৩১টি হুমায়ুন আহমেদের প্রেমের বাণী
বাংলা শর্ট ক্যাপশন - বাংলা শর্ট ক্যাপশন রোমান্টিকজনপ্রিয় কথা সাহিত্যিক, নাট্যকার, পরিচালক এবং কবি হুমায়ুন আহমেদের প্রেমের বাণী ৩১ টি আজকের এই পোস্টটিতে আপনার সামনে তুলে ধরব। তাই অবশ্যই চেষ্টা করবেন আজকের এই পোস্টটির সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ার। আশা করি ৩১টি হুমায়ুন আহমেদের প্রেমের বাণী গুলো আপনার কাছে অনেক ভালো লাগবে এবং অনেক উপকারে আসবে।
সচরাচর দেখা যায় হুমায়ূন আহমেদের প্রেমের বাণী সম্পর্কে অনেকেই ইন্টারনেটে সার্চ করে থাকে, মূলত তাদের কথা মাথায় রেখেই আজকের এই পোস্টটি আমি ৩১টি হুমায়ুন আহমেদের প্রেমের বাণী নিয়ে সম্পূর্ণভাবে সাজিয়েছি। তাহলে তোর বন্ধুরা আর কথা না বাড়িয়ে আমরা এখনই জেনে আসি ৩১টি হুমায়ুন আহমেদের প্রেমের বাণী গুলো।
১। সবাই তোমাকে কষ্ট দিবে,
তোমাকে শুধু...
এমন একজন কে খুঁজে নিতে হবে,
যার দেওয়া কষ্ট তুমি সহ্য করতে পারবে।
২। যে নারীকে ঘুমন্ত অবস্থায় সুন্দর দেখায়,
সেই প্রকৃত রূপবতী।
৩। যুদ্ধ এবং প্রেমে কোন কিছু...
পরিকল্পনা মতো হয় না।
৪। গার্লফ্রেন্ড বিহীন তরুণের পৃথিবীতে বেঁচে থাকা,
ঘাসবিহীন মাঠে গরুর পায়চারির মত।
৫। যে মানুষটিকে তুমি দেখছো তাকেই যদি...
ভালো না বাসতে পারো,
তবে তুমি কিভাবে ঈশ্বরকে ভালবাসবে,
যাকে তুমি কোনদিন দেখোই নি?
৬। এই পৃথিবীতে প্রায় সবাই,
তার থেকে বিপরীত স্বভাবের মানুষের সাথে,
প্রেমে পড়ে।
৭। পৃথিবীতে অনেক ধরনের অত্যাচার আছে।
ভালবাসার অত্যাচার হচ্ছে সবচেয়ে ভয়ানক অত্যাচার।
এ অত্যাচারের বিরুদ্ধে...
কখনো কিছু বলা যায় না,
শুধু সহ্য করে নিতে হয়।
৮। ভদ্র ছেলেদের জন্য মেয়েদের মনে কখনো প্রেম জাগে না।
যা জাগে সেটা হল সহানুভূতি।
৯। কাউকে প্রচন্ডভাবে ভালোবাসার মধ্যে,
এক ধরনের দুর্বলতা আছে।
নিজেকে তখন তুচ্ছ এবং সামান্য মনে হয়।
এই ব্যাপারটা নিজেকে ছোট করে দেয়।
১০। গভীর প্রেম মানুষকে পুতুল বানিয়ে দেয়।
প্রেমিক প্রেমিকার হাতের পুতুল হন কিংবা
প্রেমিকা হয় প্রেমিকের পুতুল।
দুজন একসঙ্গে কখনো পুতুল হয় না।
কে পুতুল হবে আর কে হবে সূত্রধর,
তা নির্ভর করে,
মানসিক ক্ষমতার উপর। মানসিক ক্ষমতা যার বেশি,
তার হাতেই পুতুলের সুতা।
১১। চট করে কারো প্রেমে পড়ে যাওয়া কাজের কথা না।
অতি রূপবতীদের কারো প্রেমে পড়তে নেই।
অন্যেরা তাদের প্রেমে পড়বে,
তাই নিয়ম।
১২। বাস্তবতা এতই কঠিন যে,
কখনো কখনো বুকের ভেতর গড়ে তোলা,
বিন্দু বিন্দু ভালবাসাও অসহায় হয়ে পড়ে।
মাঝে মাঝে আত্মার সম্পর্ক রক্তের সম্পর্ককেও
অতিক্রম করে যায়।
১৩। ভালোলাগা এমন এক জিনিস যা
একবার শুরু হলে সব কিছুই ভালো
লাগতে থাকে।
১৪। ভালোবাসাবাসির জন্য অনন্তকালের প্রয়োজন নেই,
একটি মুহূর্তই যথেষ্ট।
১৫। ছেলে এবং মেয়ে বন্ধু হতে পারে,
কিন্তু তারা অবশ্যই একে অপরের প্রেমে পড়বে।
হয়তো খুবই অল্প সময়ের জন্য,
অথবা ভুল সময়ে। কিংবা খুবই দেরিতে,
আর না হয় সব সময়ের জন্য।
তবে প্রেমেে তারা পড়বেই।
১৬। দিতে পারো একশ ফানুষ এনে?
আজান্য সলজ্জ সাধ একদিন আকাশে
কিছু ফানুষ উড়াই...
১৭। ছেলেদের জন্য পৃথিবীতে সবচাইতে মূল্যবান হলো,
মেয়েদের হাসি।
১৮। ভাসিয়ে দেওয়ার প্রবণতা প্রকৃতির ভেতর আছে।
সে জোসনা দিয়ে ভাসিয়ে দেয়,
বৃষ্টি দিয়ে ভাসিয়ে দেয়,
তুষারপাত দিয়ে ভাসিয়ে দেয়।
আবার প্রবল প্রেম,
প্রবল বেদনা দিয়েও তার সৃষ্টি জগতকে ভাসিয়ে দেয়।
১৯। সব পাখি জোড়ায় জোড়ায় উড়ে।
পক্ষীকুলে শুধুমাত্র চিলকেই নিঃসঙ্গ উড়তে দেখা যায়।
নিঃসঙ্গতার আনন্দের সাথে,
এই পাখিটার হয়তোবা পরিচয় আছে।
২০। চমৎকার মেয়েগুলি এমন এমন
জায়গায় থাকে যে ইচ্ছা করলেই হুট করে,
এদের কাছে যাওয়া যায় না।
দূর থেকে এদের দেখে,
দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেলতে হয়
এবং মনে মনে বলতে হয়,
আহা, এরা কি সুখেই না আছে।
২১। ভালোবাসা যদি তরল পানির মতো কোন বস্তু হতো,
তাহলে সেই ভালোবাসায় সমস্ত পৃথিবী তলিয়ে যেত।
এমনকি হিমালয় পর্বত।
২২। হুট করে প্রেম হয় কনজারভেটিভ ফ্যামিলি গুলিতে।
ঐ সব ফ্যামিলির মেয়েরা,
পুরুষদের সঙ্গে মিশতে পারে না,
হঠাৎ যদি সুযোগ ঘটে যায়-
তাহলেই বড়শিতে আটকে গেল।
২৩। মেয়ে জাতটাই হচ্ছে মায়াবতির জাত।
কখন যে এই মেয়েটি মায়ায় জড়িয়ে ফেলেছে,
নিজেই বুঝতে পারেন নি।
২৪। একজন মানুষকে সত্যিকার ভাবে জানার উপায় হচ্ছে,
তার স্বপ্নটা জানা।
২৫। ভালোবাসার মানুষের সাথে বিয়ে না হওয়াটাই বোধ ভয় ভালো।
বিয়ে হলে মানুষটা থাকে ভালোবাসা থাকে না।
আর যদি বিয়ে না হয়,
তাহলে হয়তোবা ভালোবাসাটা থাকে,
শুধু মানুষটাই থাকে না।
মানুষ এবং ভালোবাসা এই দুইয়ের মধ্যে ভালোবাসাই হয়তো বেশি প্রিয়।
২৬। যদি মন কাঁদে তুমি চলে এসো,
চলে এসো এক বর্ষাই।
২৭। অল্প বয়সের ভালোবাসা অন্ধ গন্ডারের মত।
শুধুই একদিকে যায়। যুক্তি দিয়ে,
বুদ্ধি দিয়ে,
আদর দিয়ে এই গন্ডার কে সামলানো যায় না।
২৮। পুরুষদের আহত করার কৌশল মেয়েরা খুব তাড়াতাড়ি শিখে ফেলে
এবং তা ব্যবহার করে চমৎকারভাবে।
কেউ তার প্রতিভার বাইরে যেতে পারে না।
২৯। ঘর খুলিয়া বাহির হইয়া জোসনা ধরতে যাই;
হাত ভর্তি চান্দের আলো ধরতে গেলে নাই।
৩০। ব্যবহার করা কপালে টিপটার আঠা,
নষ্ট হলেও মেয়েরা সেটা,
যত্ন করে রেখে দেয়।
একজোড়া কানের দুলের একটা হারিয়ে গেলেও,
অন্যটা ফেলে না।
পুরাতন শাড়িটা ভাঙ্গা চুরি টা কাজে লাগবে না জেনেও তুলে রাখে,
কারণ হলো মায়া। মেয়েরা মায়ার টানে ফেলনা জিনিসও খেলে না।
অসংখ্য কষ্ট, যন্ত্রণা পেয়েও মেয়েরা মায়া টানে একটা ভালোবাসা,
সম্পর্ক, টিকিয়ে রাখতে চায়।
এই জন্য মেয়েরা মায়াবতী,
আর মায়াবতীর কোন পুরুষবাচক শব্দ নেই।
৩১। পৃথিবীতে ফিনিক ফোটা জোছনা আসবে।
শ্রাবণ মাসে টিনের চালে বৃষ্টির সেতার বাজবে।
সেই অলৌকিক সংগীত,
শোনার জন্য আমি থাকবো না।
কোনো মানে হয়...
শেষ কথাঃ ৩১টি হুমায়ুন আহমেদের প্রেমের বাণী
এতক্ষণ ধরে আমি আপনার সামনে হুমায়ূন আহমেদের প্রেমের বাণী ৩১ টি তুলে ধরেছি। আশা করি হুমায়ুন আহমেদের এই প্রেমের বাণী গুলো আপনাদের কাছে অনেক ভালো লেগেছে, এবং অনেক উপকারে আসবে। তাই যদি হুমায়ূন আহমেদের প্রেমের বাণী গুলো আপনাদের কাছে ভালো লেগে থাকে, তাহলে অবশ্যই কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আরো এরকম বিভিন্ন বাণী পেতে আমার এই ওয়েবসাইটে নিয়মিত ভিজিট বা ফলো করার চেষ্টা করবেন। কারণ আমি এই ওয়েবসাইটে নিয়মিত বিভিন্ন ধরনের মনীষীদের বাণী, উক্তি, স্ট্যাটাস নিয়ে পোস্ট পাবলিশ করে থাকি।
সাগর ম্যাক্স এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url