ইউটিউব থেকে আয় করার ১২ পদ্ধতি - লাখ টাকা আয়

দিনে ৫০০ টাকা ইনকাম apps | দৈনিক ৪০০ ৫০০ টাকা ইনকামইউটিউব থেকে আয় করতে চাচ্ছেন? তাহলে আমার সাথেই থাকুন। কারণ এখন আপনাকে জানাবো ইউটিউব থেকে আয় করার ১২ পদ্ধতি সম্পর্কে, যেন আপনি খুব সহজেই বুঝতে পারেন কিভাবে আপনার ইউটিউব থেকে আয় করতে পারবেন।
ইউটিউব-থেকে-আয়-করার -১২-পদ্ধতি
বর্তমানে এখন লক্ষ লক্ষ মানুষ youtube থেকে নিয়মিত ঘরে বসে আয় করছে তাই আপনি যদি তাদের মতো আমি করতে চান youtube থেকে তাহলে ইউটিউব থেকে আয় করার ১২ পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারেন। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক ইউটিউব থেকে আয় করার ১২ পদ্ধতি গুলো।

পোস্ট সূচিপত্রঃ ইউটিউব থেকে আয় করার  ১২ পদ্ধতি - লাখ টাকা আয়

ইউটিউবে কত টাকা আয় করা যায়

ইউটিউবে কত টাকা আয় করা যায়? এ প্রশ্নটি যাদের মনে রয়েছে তাদের উদ্দেশ্যে আমি একটা কথাই বলতে চাই ইউটিউব থেকে আপনি আনলিমিটেড টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আর তাছাড়া আপনার টাকা উপার্জন নির্ভর করবে পুরোপুরি আপনার ইউটিউব চ্যানেলের ভিডিওর উপরে। ধরুন আপনার একটি ভালো মানের ইউটিউব চ্যানেল রয়েছে এবং সেই চ্যানেলে প্রচুর পরিমাণে সাবস্ক্রাইবার রয়েছে এবং নিয়মিত আপনি যে ভিডিও ছাড়েন সেখানে প্রচুর ভিউজ পাচ্ছেন সেক্ষেত্রে আপনি অনেক অর্থ ইউটিউব থেকে উপার্জন করতে পারবেন বিজ্ঞাপন দেখিয়ে।
তাছাড়াও নিচে আমি ইউটিউব থেকে আয় করার ১২ পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেছি আপনি সেখান থেকে একটি আইডিয়া নিতে পারেন। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক ইউটিউব থেকে আয় করার ১২ পদ্ধতি।

ইউটিউব থেকে আয় করার ১২ পদ্ধতি

১ পদ্ধতি। ইউটিউবে ভিডিও তৈরিঃ আপনি যদি ইউটিউব থেকে টাকা আয় করতে চান তাহলে আপনাকে সর্বপ্রথম youtube ভিডিওর উপরে নজর দিতে হবে বেশি করে। সেজন্য আপনি যখন ইউটিউবে ভিডিও তৈরি করবেন তার আগে অবশ্যই দেখে নেবেন আপনি কোন দর্শকদের কাছে আপনার ভিডিও নিয়ে যেতে চাচ্ছেন। তারপর সে দশকের উপরে ভিত্তি করে ভিডিও বানিয়ে দর্শকদের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করতে হবে।

আপনি যেই বিষয়ের উপর ভিডিও বানাতে পছন্দ বোধ করেন সেই বিষয়ের উপরে আপনি ভিডিও বানানোর চেষ্টা করবেন। তাতে করে আপনি খুব ভালো মানের ভিডিও তৈরি করতে পারবেন। আপনি যে বিষয়ের উপরে ভিডিও বানাতে ইচ্ছুক শুধুমাত্র সেই বিষয়ের উপরেই ভিডিও তৈরি করার ফলে আপনার দর্শকদের সাথে যোগাযোগ স্থাপনে বিশেষ সুবিধা পাওয়া যাবে। আপনি সেই নির্দিষ্ট বিষয়ে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সাথে কাজ করুন।

২ পদ্ধতি। ইউটিউবে নিয়মিত ভিডিও পোস্টঃ শুধু শুধু ভিডিও বানালে হবে না সেই ভিডিওকে আবার ইউটিউবে নিয়মিত পোস্ট করতে হবে সেক্ষেত্রে আপনার যদি ভালো মানের ক্যামেরা, আলো, মাইক্রোফোন থাকে এবং সে দিয়ে যদি আপনি ভিডিও তৈরি করে পোস্ট করতে পারেন তা সেই ভিডিওগুলো আপনার প্রফেশনাল হবে। এবং আপনি যেই বিষয়ের উপর ভিডিও বানিয়েছেন এবং পোস্ট করছেন সে ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনি সেই ভিডিওর সাথে কিওয়ার্ড ব্যবহার করবেন। বেশি বেশি আয় ইনকামের জন্য আপনার ভিডিও থেকে সোশ্যাল মিডিয়া এবং নিজের ব্লগিং ওয়েবসাইটে ট্রাফিক নেওয়া জরুরি।

৩ পদ্ধতি। ইউটিউবে সাবস্ক্রাইবারঃ আপনি যদি ইউটিউবে আয় ইনকাম শুরু করতে চান খুব তাড়াতাড়ি সেক্ষেত্রে আপনার চ্যালেনে অন্তত এক হাজার সাবস্ক্রাইবার থাকতে হবে। যদিও বা আপনি সাবস্ক্রাইবার প্রতি কোন ধরনের টাকা পাবেন না তবুও যত বেশি সাবস্ক্রাইবার থাকবে আপনার চ্যানেলে তত বেশি রোজগারের সম্ভাবনা বাড়বে। উদাহরণস্বরূপ যদি আপনি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সাথে হাত মিলিয়ে প্রমোশনাল কাজ করতে চান সেক্ষেত্রে আপনার ইউটিউব চ্যানেলে যত বেশি সাবস্ক্রাইবার থাকবে ততই রোজগার করতে পারবেন। তাহলে বুঝতেই পারছেন আপনার ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইবার এর কত গুরুত্ব রয়েছে।

৪ পদ্ধতি। ইউটিউবে ভিউঃ আপনি যদি ১০০০ সাবস্ক্রাইবারের সাথেই আয় ইনকাম শুরু করতে চান তাহলে বিগত ১২ মাসে প্রয়োজন হবে চার হাজার ঘন্টা ভিউ। আপনি যত বেশি ভিউ পাবেন ততই রোজগারের সম্ভাবনা বাড়তে থাকবে। কিন্তু অবশ্যই একটা কথা মাথায় রাখবেন আপনার youtube চ্যানেলে ভিডিওর উপরে দেখানো লিংকে ক্লিক করে কেউ সম্পূর্ণ বিজ্ঞাপন দেখলে তবেই হবে রোজগার youtube থেকে। আশা করি বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন।

৫ পদ্ধতি। ইউটিউবে বিজ্ঞাপনঃ আপনার সুবিধার্থে আমি আগেই আপনাকে বলে রাখি শুধু মাত্র আপনার ইউটিউব চ্যানেলে দেখানো বিজ্ঞাপন থেকে রোজগার করে জীবন চালানো প্রথমের দিকে একটু কঠিন হয়ে দাঁড়াতে পারে। সেজন্য আপনার ইউটিউব চ্যানেলের পাশাপাশি আপনি যদি আরেকটি কাজ রাখতে পারেন তাহলে খুব ভালো হয়। ইউটিউব চ্যানেলের ভিডিওতে বিজ্ঞাপন দেখানোর ক্ষেত্রে Youtube Partner Program এ যোগ দিতে পারেন। এই ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম প্রতিটা ভিডিও থেকে ইনকামের একটি অংশ কন্টেন্ট ক্রিয়েটরের সাথে ভাগ করে নেয়।

৬ পদ্ধতি। ইউটিউবে এফিলিয়েট লিংকঃ youtube চ্যানেলের বিজ্ঞাপন থেকে যেহেতু আপনি আই যে পরিমাণে চাইবেন সবসময় তেমন পরিমাণে পাওয়া সম্ভব নয়। সেজন্য যে কোন কোম্পানির সঙ্গে আপনাকে চুক্তিতে যেতে হবে, এবং তাদের পণ্যের লিংক আপনার ভিডিওর ডিসক্রিপশনে দিতে হবে এবং ভিডিওর মাধ্যমে এই পণ্যটির কথা আপনাকে অবশ্যই বলতে হবে। ভিডিওর ডিস্ক্রিপশনে দেওয়া লিংকে কেউ যদি ক্লিক করে পণ্যটি ক্রয় করে সেক্ষেত্রে আপনি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা কমিশন হিসাবে পেয়ে যাবেন। এতে করে ওই কোম্পানির লাভের সঙ্গে সঙ্গে আপনারও লাভ হয়ে যাবে।

যে ব্যক্তির মাধ্যমে তাদের কোম্পানির পণ্য বিক্রয়ের সঙ্গে সঙ্গে তাদের কোম্পানির একটি সুন্দর মার্কেটিংও হয়ে যাচ্ছে এবং এতে কোম্পানিটিও বেশ লাভবান হচ্ছে। কিন্তু আপনাকে অবশ্যই একটা কথা খেয়াল রাখতে হবে। যেহেতু অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করছেন; সুতরাং পরোক্ষভাবে অন্য কোন কোম্পানির পণ্য প্রচার করছেন সেহেতু আপনাকে অবশ্যই এখানে পণ্যটি সেল করার দিকে একটু ভালোভাবে মনোযোগী হতে হবে। সেজন্য আপনার ইউটিউব চ্যানেলের ভিডিওটি শুধু দেখতে ভালো হলেই হবে না, সেখানে পর্যাপ্ত পরিমাণে মোশন ট্রাফিক্স এবং যথাযথ এডিটিং থাকতে হবে। নইলে আপনার কনটেন্টটি ভিউযার্সদের কাছে খুব একটা গ্রহণযোগ্য হবে না।

৭ পদ্ধতি। ইউটিউবে অনলাইন কোর্সঃ অনলাইন কোর্স থেকেও ইউটিউবে আয় করা সম্ভব। এই সকল কন্টেন্টের মাধ্যমে আপনার দশকদের সাথে আপনি আরো নিবিড়ভাবে সংযোগ স্থাপন করতে পারবেন, পাশাপাশি আপনার জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা থেকে টাকা আয় করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে প্রথমেই আপনাকে একটি নিশ বাছাই করে নিতে হবে এবং আকর্ষণীয় কনটেন্ট তৈরি করতে হবে। এর পাশাপাশি সেটার মার্কেটিং ভালোভাবে করতে হবে। কিন্তু যেহেতু আপনি youtube এর মাধ্যমে আয় করতে চাচ্ছেন সেহেতু আপনি বেশ কিছু পথ অবলম্বন করতে পারেন সেগুলো হচ্ছেঃ
  • সেগুলো সরাসরি বিক্রি করতে পারেন। আপনার তৈরি করা অনলাইন কোর্স ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড করে সেটিকে প্রাইভেট রেখে সকল কোর্স গুলি সুরক্ষিতভাবে সংরক্ষণ করতে পারেন। তারপর সেগুলির লিংক আপনার ক্রেতাদের কাছে প্রাইভেট করে সেখান থেকে আয় করে নিতে পারেন।
  • তাছাড়া যদি আপনি মেম্বারশিপ চালু করে রাখেন, আপনার ইউটিউব চ্যানেলের জন্য সেখানে আপনি মেম্বারদের মধ্যে এই কোর্স গুলি শেয়ার করে মেম্বারশিপের মাধ্যমেও টাকা আয় করে নিতে পারেন।
৮ পদ্ধতি। ইউটিউবে ডোনেশনসঃ ডোনেশন হচ্ছে একটি পদ্ধতি যার মাধ্যমে আপনার দর্শকরা আপনার ইউটিউব চ্যানেলের জন্য অর্থ প্রদান করতে পারে। প্রথমে এই অর্থ ইউটিউব দ্বারা সংগ্রহ করা হয় এবং আপনার চ্যানেলের একটি ব্যাংক একাউন্ট অথবা Paypal কিংবা Stripe একাউন্টে পাঠানো হয়ে থাকে। ডোনেশনের মাধ্যমে কত টাকা আয় করা যায় তা আপনার দর্শকদের আর্থিক অবস্থা ও আপনার চ্যানেলের জনপ্রিয়তার ওপর সম্পূর্ণরূপে নির্ভরশীল করবে। তবে সাধারণত ডোনেশনের মাধ্যমে টাকা আয় করা একটি ছোট পরিমাণ, কিন্তু এটি ইউটিউব থেকে টাকা আয় করার একটি দুর্দান্ত উপায় বলা যেতে পারে। আপনি আপনার youtube চ্যানেলে ডোনেশনস যেভাবে চালু করবেনঃ
  1. Youtube studio তে যাবেন।
  2. অর্থ ট্যাবটি নির্বাচন করবেন।
  3. ডোনেশনস ট্যাবটি নির্বাচন করবেন।
  4. ডোনেশনস চালু করতে বাটনে ক্লিক করবেন।
৯ পদ্ধতি। ইউটিউবে ডিজিটাল প্রোডাক্ট বিক্রিঃ ইউটিউব থেকে টাকা আয় করা একটি জনপ্রিয় উপায় হল ডিজিটাল প্রোডাক্ট বিক্রি। এই পদ্ধতিতে, আপনার চ্যানেলে নিজস্ব ডিজিটাল পণ্য বিক্রি করতে পারেন। উদাহরণস্বরূপঃ ওয়ার্কশপ, কোর্স ওয়ার্কশপ, টিউটোরিয়াল, ই-বুকস ইত্যাদি। ইউটিউব থেকে ডিজিটাল প্রোডাক্ট বিক্রির মাধ্যমে আয় করতে, প্রথমে আপনাকে একটি শক্তিশালী ব্র্যান্ড এবং অনুসরণ তৈরি করতে হবে। সেজন্য আপনার youtube চ্যানেলে উচ্চমানের সামগ্রী তৈরি করা প্রয়োজন, যেটি আপনার দর্শকদের বিশেষভাবে আকর্ষণ করবে এবং তাদের আপনার পণ্যগুলো কিনতে আগ্রহ করে তুলবে।
এরপর, আপনার পণ্যগুলো বিক্রি করার ক্ষেত্রে একটি উপায় তৈরি করতে হবে, আর তা হলো আপনার নিজের ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন, অথবা আপনি একটি তৃতীয় পক্ষের ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করতে পারেন। ডিজিটাল প্রোডাক্ট বিক্রির মাধ্যমে ইউটিউব থেকে টাকা আয় করার জন্য বেশ কিছু জনপ্রিয় পণ্য রয়েছে সেগুলো হলোঃ
  • ওয়ার্কশপ এবং কোর্স - সাধারণত এই পণ্যগুলোতে একটি নির্দিষ্ট দক্ষতা অথবা বিষয়ে টিউটোরিয়াল এবং নির্দেশাবলীঅন্তর্ভুক্ত থাকে।
  • ই-বুকস - সাধারণত এই বইগুলো একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে তথ্য অথবা নির্দেশাবলী প্রদান করে।
  • গ্রাফিক্স এবং টেমপ্লেট - সাধারণত এই পণ্যগুলো ব্যবহারকারীদের তাদের নিজস্ব ডিজিটাল সামগ্রী তৈরি করতে সহায়তা করে থাকে।
  • ভিডিও টিউটোরিয়াল - সাধারণত এই টিউটোরিয়াল গুলো একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে কিভাবে করতে হয় তা দেখায়।
১০ পদ্ধতি। ইউটিউবে স্পন্সরশিপঃ স্পন্সরশিপ হচ্ছে একটি চুক্তি যেখানে একটি কোম্পানি আপনার ইউটিউব চ্যানেলে তাদের পণ্য অথবা পরিষেবা প্রচার করার জন্য আপনাকে অর্থ প্রদান করে থাকে। আমরা মাঝেমধ্যেই দেখি, জনপ্রিয় ইউটিউববাররা ভিডিওর শুরুতে কিংবা ভিডিওর কোন এক পর্যায়ে বলে This Video is sponsed by অমুক কোম্পানি কিংবা অমুক ব্যান্ড। মূলত এখানে ওই ইউটিউবার সে কোম্পানির কাছ থেকে এক্সট্রা টাকা লাভ করেছে ওই ভিডিওতে তাদের মার্কেটিং করার জন্য।

Sponsorship ভিডিও হচ্ছে এমন ভিডিও যেখানে কোন স্পেসিফিক কোম্পানির অথবা ব্র্যান্ডকে উল্লেখ করে তাদের পণ্য কিংবা সেবা সম্পর্কে শর্ট করে বেসিক ধারণা দেয় এবং ভিউজারসদের সেই পণ্য বা সেবা সম্পর্কে অবগত করার পাশাপাশি পণ্য কিংবা সেবা গ্রহণে উৎসাহিত করে থাকে। আমাদের বাংলাদেশের বর্তমানে জনপ্রিয় ইউটিউবারদের ক্ষেত্রে দেখা যায় প্রত্যেকটি পণ্য বাসেবার প্রমোট করার জন্য সর্বনিম্ন ১০ হাজার থেকে সর্বোচ্চ ২ লক্ষ টাকা অব্দি ওয়ান টাইম পেমেন্ট পেতে। ইউটিউব থেকে আয় করার ১২ পদ্ধতি এর মধ্যে এটা বেশ হাই পদ্ধতি, কারণ এটা সবাই পায় না, এর জন্য আপনার ইউটিউব চ্যানেলেটি বেশ জনপ্রিয় বা পরিচিত এবং অনেক ট্রাফিক থাকতে হবে নিয়মিত।

১১ পদ্ধতি। ইউটিউব প্রিমিয়ামঃ যদি আপনি একজন ইউটিউব প্রিমিয়াম সদস্য হন, তবে আপনি আপনার ইউটিউব চ্যানেলের জন্য চ্যালেন মেম্বারশিপস চালু করতে পারেন। মেম্বারশিপস থেকে আয় করার জন্য অবশ্যই আপনাকে একটি সদস্যতা মূল্য নির্ধারণ করতে হবে। সদস্যতার মূল্য 4.99 ডলার থেকে 99.99 ডলার পর্যন্ত হতে পারে। আপনি আপনার ইউটিউব চ্যানেলের জন্য প্রমোশনাল অফার ও তৈরি করতে পারেন যেমনঃ সীমিত সময়ের জন্য একটি সদস্যতার মূল্য কমানোর ক্ষেত্রে। চ্যালেন মেম্বারশিপস থেকে আয়ের হার আপনার চ্যানেলের সদস্য তার সংখ্যার উপর পুরোপুরি নির্ভরশীল। প্রত্যেকটি সদস্যতার মূল্যের ৫০ শতাংশ youtube আপনাকে প্রদান করবে। মূলত এভাবেই আপনার ইউটিউব চ্যানেল থেকে আয় হবে।

১২ পদ্ধতি। ইউটিউবে কনসাল্টিং এবং কোচিংঃ এমন একটি সেবা যেখানে একজন অভিজ্ঞ ব্যক্তি অন্য ব্যক্তি অথবা দলকে তাদের লক্ষ্য অর্জনের জন্য সাহায্য করে থাকে। সাধারণত কনসাল্টিং একটি নির্দিষ্ট সমস্যা অথবা চ্যালেঞ্জের সমাধানের উপর বৃষ্টি নিবদ্ধ করে, যখন কোচিং ব্যক্তিগত অথবা পেশাগত উন্নতির ওপর দৃষ্টি নিবন্ধ করে থাকে।

ইউটিউবে কনসাল্টিং এবং কোচিংয়ের মাধ্যমে টাকা আয় করার ক্ষেত্রে আপনাকে একটি জনপ্রিয় বিষয়ে একটি ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করতে হবে। আপনার ইউটিউব চ্যানেলে আপনি আপনার জ্ঞান এবং অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিতে পারেন যাতে করে অন্যরা তাদের লক্ষ্য অর্জনে সাহায্য করতে পারে। এর পাশাপাশি আপনি আপনার ভিউযারদের সাথে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন করতে পারেন এবং তাদের বিভিন্ন ধরনের প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেন।

ইউটিউবে কনসাল্টিং এবং কোচিংয়ের মাধ্যমে টাকা আয়ের বেশ কয়েকটি উপায় রয়েছে সেগুলো নিম্নরূপ-
  • প্রশিক্ষণ কোর্স বিক্রিঃ আপনার জ্ঞান এবং অভিজ্ঞতা শেখানোর জন্য অনলাইন প্রশিক্ষণ কোর্স বিক্রি করতে পারেন।
  • ব্যক্তিগত কোচিং সেবা প্রদানঃ আপনি চাইলে ব্যক্তিগত কোচিং সেবা প্রদান করতে পারেন যেখানে আপনি আপনার ভিউযারদের তাদের লক্ষ্য অর্জনের ব্যক্তিগত ভাবে সাহায্য করেন।
  • অন্যান্যদের জন্য কনসাল্টিং সেবা প্রদানঃ আপনি অন্যান্যদের ব্যবসা বা ব্যক্তিদের জন্য কনসাল্টিং সেবা প্রদান করতে পারেন।

ইউটিউব শর্টস থেকে ইনকাম

ইউটিউব শর্টস থেকে আয়ের দুটি উপায় রয়েছে। প্রথম উপায়টি হচ্ছে ইউটিউব এডসেন্স। ইউটিউব এডসেন্স হলো একটি বিজ্ঞাপন নেটওয়ার্ক যেটি ইউটিউবারদের তাদের ভিডিওতে বিজ্ঞাপন দেখানোর সুযোগ দিয়ে থাকে। যখন কেউ আপনার ভিডিও দেখবে তখন বিজ্ঞাপনদাতারা আপনার ভিডিওতে বিজ্ঞাপন দেখানোর জন্য আপনাকে অর্থ প্রদান করা হবে। ইউটিউব শর্টস ভিডিও থেকে এডসেন্সের মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে আপনাকে অবশ্যই নিম্নলিখিত শর্তগুলো পূরণ করতে হবে-
  • আপনার ইউটিউব চ্যানেলে অবশ্যই ১ হাজার সাবস্ক্রাইবার এবং ৪ হাজার ঘন্টা দেখার সময় থাকতে হবে।
  • আপনার ইউটিউব চ্যানেলটিতে অবশ্যই ইউটিউব এডসেন্স এর সঙ্গে সংযুক্ত থাকতে হবে।
  • আপনার তৈরি করা ভিডিও গুলো অবশ্যই ইউটিউব এডসেন্সের বিজ্ঞাপন নীতিমালা অনুসরণ করতে হবে।
দ্বিতীয় উপায়টি হচ্ছে স্পনসরশিপ। স্পনসরশিপ হচ্ছে যখন একটি কোম্পানি আপনাকে তাদের পণ্য কিংবা পরিষেবা প্রচার করার জন্য টাকা প্রদান করে। আপনি আপনার তৈরি করা ভিডিওতে স্পন্সরশিপ প্রচার করতে পারেন। স্পন্সরশিপ পাওয়ার জন্য, আপনাকে অবশ্যই একটি বড় দর্শকদের কাছে পৌঁছানোর জন্য একটি জনপ্রিয় বা সুপরিচিত ইউটিউব চ্যানেল থাকতে হবে। আপনি যদি ইউটিউব শর্টস থেকে ইনকাম করতে চান, তবে আপনাকে অবশ্যই নিয়মিত সুন্দর সুন্দর ভিডিও আপলোড করতে হবে। এবং আপনার ভিডিওগুলোকে আকর্ষণীয় এবং আকর্ষণীয় করে তুলতে হবে। আমরা এতক্ষন ধরে যে সকল কথাগুলো আপনার সামনে বলেছি এগুলো যদি আপনি করতে পারেন তাহলে অবশ্যই আপনি youtube শর্টস থেকে ইনকাম করতে পারবেন।

ইউটিউব থেকে টাকা তোলার উপায়

ইউটিউব থেকে টাকা তোলার উপায় সম্পর্কে অনেকেই জানতে চাই, সেজন্য আজকে এখন আমরা জানাবো ইউটিউব থেকে টাকা তোলার উপায় সম্পর্কে। ব্যাংকের মাধ্যমে ইউটিউব থেকে আপনারা খুব সহজেই টাকা তুলতে পারবেন। তবে আপনার youtube চ্যানেলের মনিটাইজেশনে অন্তত ১০০ ডলার থাকতে হবে, তবেই আপনি ব্যাংকের মাধ্যমে ইউটিউব থেকে টাকা তুলতে পারবে না। নিচে বেশ কয়েকটি ব্যাংকের নাম উল্লেখ করা হলোঃ
  • Bank Asia
  • Islami Bank
  • Eastern Bank
  • Pubali Bank ইত্যাদি।

ইউটিউব চ্যানেল খুলতে কত টাকা লাগবে

ইউটিউব চ্যানেল খুলতে কোন ধরনের টাকা পয়সা লাগবে না। আপনি ফ্রিতেই খুব সহজে একটি ইউটিউব চ্যানেল খুলে নিতে পারবেন। আপনি সুন্দর ভাবে একটি ইউটিউব চ্যানেল খুলতে ইউটিউবে গিয়ে সার্চ করতে পারেন " ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম" তাহলেই আপনি সেখানে অসংখ্য ভিডিও পেয়ে যাবেন ইউটিউব চ্যানেল কিভাবে খুলে বা খোলার নিয়ম সম্পর্কে। আশা করি এতক্ষণে বুঝতে পেরেছেন।

ইউটিউব সম্পর্কিত কিছু প্রশ্ন উত্তর

  • ১০০ সাবস্ক্রাইবার কি ভালো?
  • আপনি যদি এক মাসের মধ্যে 100 জন সাবস্ক্রাইবার অর্জন করতে পারেন তাহলে youtube চ্যানেলের জন্য একটি ইতিবাচক সূচনা। এটির মাধ্যমে দেখায় যে আপনার সামগ্রীতে প্রাথমিক আগ্রহ রয়েছে। আপনি আপনার সাবস্ক্রাইবার বাড়ানোর জন্য ধারাবাহিক গুণমান এবং ব্যস্ততার ওপর ফোকাস করুন।
  • ইউটিউবে 1000 ভিউতে কত টাকা দেয়?
  • মূলত আপনার ইউটিউব চ্যানেলের ভিডিওর ভিউ 1000 হলেই আয় শুরু হয়ে যায়। আজকের দিনের মার্কিন ডলার এবং বাংলাদেশি টাকার হিসেবে youtube এ 1000 ভিউতে ৩ ডলার বা ৩২৮ টাকা আয় করতে পারবেন।
  • ইউটিউবে ৫ হাজার ভিউ পেমেন্ট কত?
  • ইউটিউবে ৫০০০ ভিউয়ের জন্য আনুমানিক 13.70 ডলার উপার্জন করতে পারবেন। যা বাংলাদেশি টাকার প্রায় ১৫০০ টাকা।
  • ইউটিউব থেকে আয় কি হালাল?
  • ইউটিউবে মুসলিম ধর্ম অনুযায়ী টাকা আয় করা হারাম, কারণ youtube এ ভিডিও এর মাঝে যে এড গুলো দেয় তাতে প্রায়ই পর্দা বিহীন মেয়েদের দেখা যায়। কিন্তু হালাল আয়ও করা যায়।সেজন্য বিভিন্ন ধরনের কোম্পানির হালাল এড নিজেই ভিডিওতে দেয়, তাহলে সেটা কখনোই হারাম হবে না।
  • ইউটিউবে ১০০ হাজার সাবস্ক্রাইবার হলে কি হয়?
  • অনেক আগে নিয়ম ছিল এক হাজার সাবস্ক্রাইবার থাকলে তবেই দুয়াররা এই মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। তবে এখন এই সাবস্ক্রাইবারদের সংখ্যা কমিয়ে শুধুমাত্র ৫০০ করা হয়েছে। সুতরাং আপনারা যারা অল্প সময়ে হল নিজেদের ইউটিউব চ্যানেল খুলেছেন, অথবা হয়তো এখনো 1000 সাবস্ক্রাইবার পাননি, তাদের ক্ষেত্রে 500 সাবস্ক্রাইবার থাকলেই আয়ের সুযোগ পাবেন ক্রিয়েটররা।
  • ইউটিউবে 60 হাজার ভিউ কত টাকা?
  • আপনার youtube চ্যানেলে যদি এমন একটি ভিডিও থাকে যে ভিডিওতে নিয়মিত ৬০ হাজার ভিউ জেনারেট হচ্ছে, তবে আপনার উপার্জন ৬০ ডলার থেকে ৩০০ ডলারের মধ্যে হবে। যা বাংলাদেশি টাকায় ৬,৫৭২ থেকে ৩২,৮৬১ টাকা।

ইউটিউব থেকে আয়ের শেষ কথা

ইউটিউব থেকে আয় করার ১২ পদ্ধতি গুলো আপনাকে এতক্ষণ ধরে জানানো হলো। আশা করছি এই ১২ পদ্ধতির মাধ্যমে আপনিও ইউটিউব থেকে নিয়মিত অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। আজকের এই পোস্টে আপনার কাছে তথ্যবল মনে হলো আপনি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এতক্ষণ আমার সাথে থাকার জন্য। আসসালামু আলাইকুম।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সাগর ম্যাক্স এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url