পিরিয়ডের সময় কি কি খাবার খাওয়া উচিত
গর্ভাবস্থায় কি কি সবজি খাওয়া যাবে না? জেনে নিনপিরিয়ডের সময় কি কি খাবার খাওয়া উচিত এবং উচিত নয় তা কি আপনি জানেন? যদি না জানেন তাহলে আমার সাথে থাকুন। কারণ আমি এখন
আপনাকে জানাবো পিরিয়ডের সময় কি কি খাবার খাবেন এবং কি কি খাবার খাবেন না। আপনি
যদি একজন মেয়ে হয়ে থাকেন তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে।
পিরিয়ডের সময় একটি নারীর শরীরে আয়রনের ঘাটতি দেখা দিয়ে থাকে। সেজন্য এই সময়
আপনার ডায়েটে এমন খাবার রাখা উচিত যেসব খাবার গুলো শরীরে আয়রনের ঘাটতি পূরণ
করতে বিশেষ সাহায্য করে থাকে। সেজন্যই মূলত আমি আপনাকে জানাতে চলেছি পিরিয়ডের
সময় কি কি খাবার খাওয়া উচিত ও উচিত নয়। তাহলে চলুন আপু আর দেরি না করে আপনি
এখনই জেনে নিন পিরিয়ডের সময় কি কি খাবার খাওয়া যাবে এবং খাওয়া যাবে না।
পোস্ট সূচিপত্রঃ পিরিয়ডের সময় কি কি খাবার খাওয়া উচিত
- ভূমিকা
- পিরিয়ডের সময় কি কি সমস্যা হয়
- পিরিয়ডের সময় কি কি খাবার খাওয়া উচিত
- পিরিয়ডের সময় কি কি খাবার খাওয়া উচিত না
- পিরিয়ডের সময় টক খেলে কি হয়
- পিরিয়ডের সময় টক দই খেলে কি হয়
- পিরিয়ডের সময় কলা খেলে কি হয়
- পিরিয়ডের সময় ডিম খেলে কি হয়
- পিরিয়ডের সময় শসা খেলে কি হয়
- পিরিয়ডের সময় চা খেলে কি হয়
- পিরিয়ডের সময় আইসক্রিম খেলে কি হয়
- পিরিয়ডের সময় জাঙ্ক ফুড খাওয়া যাবে কি
- শেষ কথা
ভূমিকা
পিরিয়ডের সময় কি কি খাবার খাওয়া উচিত এবং পিরিয়ডের সময় কি কি খাবার খাওয়া
উচিত নয় এ বিষয়টি অনেকেই জানার জন্য ইন্টারনেটের সার্চ করে থাকে শুধু তাই নয়
এর পাশাপাশি অনেকেই সার্চ করে পিরিয়ডের সময় টক খেলে কি হয়, পিরিয়ডের সময় টক
দই খেলে কি হয়, পিরিয়ডের সময় কলা খেলে কি হয়, পিরিয়ডের সময় ডিম খেলে কি
হয়, পিরিয়ডের সময় শসা খেলে কি হয়, পিরিয়ডের সময় চা খেলে কি হয়, পিরিয়ডের
সময় আইসক্রিম খেলে কি হয়, পিরিয়ডের সময় জাঙ্ক ফুড খাওয়া যাবে কি যাবে না সে
বিষয়ে।
তাই আপনার মনে যদি প্রশ্ন থাকে এগুলো সম্পর্কে জানার তাহলে অবশ্যই এই পোস্টটি হতে
চলেছে আপনার জন্য। কারণ আমি এই পোস্টটিতে এগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।
তাই এ সকল প্রশ্নের উত্তর জানতে অবশ্যই সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়তে থাকুন। আশা করি
আজকের এই পোস্টটি আপনার অনেক উপকারে আসবে। তো চলুন শুরু করা যাক-
পিরিয়ডের সময় কি কি সমস্যা হয়
পিরিয়ড চলাকালীন পুরো সময়টা জুড়েই এ ব্যথা থাকে। কিন্তু অনেক সময় এই ব্যথার
তীব্রতা অনেক বেশি বেড়ে যায় এবং এর ফলে খিঁচুনি পর্যন্ত হতে পারে। পিরিয়ডের
সময় অনেকেরই বমি বমি ভাব হয় ও ডায়রিয়া এবং মাথা ব্যথায় ভুগতে হয়। কিন্তু
পিরিয়ডের চলাকালীন সময়ের ব্যথা বিভিন্ন মেয়ের ক্ষেত্রে বিভিন্ন রকম ও মাত্রায়
হয়ে থাকে। আর সব মেয়ের শরীরের একই জায়গায় ব্যাথা হয় না এবং সব মেয়ের ব্যথার
তীব্রতাও একই রকম হয় না। আশা করি পিরিয়ডের সময় কি কি সমস্যা হয় বিষয়টি বুঝতে
পেরেছেন, তাহলে চলুন এবার আমরা জেনে নেই পিরিয়ডের সময় কি কি খাবার খাওয়া উচিত।
পিরিয়ডের সময় কি কি খাবার খাওয়া উচিত
পিরিয়ডের সময় একটি মেয়ের শরীরে আয়রনের ঘাটতি দেখা দেয়। সেজন্য এই সময়
ডায়েটে এমন খাবার রাখা উচিত যেগুলো শরীরে আয়রনের ঘাটতি পূরণ করতে সাহায্য
করে। পিরিয়ডের সময় প্রচুর পরিমাণে সবুজ শাকসবজি খাওয়া উচিত। কারণ সবুজ
শাকসবজিতে থাকে প্রচুর পরিমাণে আয়রন যা শরীরের ক্ষয় পূরণে সাহায্য করে থাকে।
তাই পিরিয়ডের সময় খাদ্যের তালিকায় রাখা উচিত সবুজ পাতা, বিভিন্ন শাকসবজি ও
সালাদ। এর পাশাপাশি কচু শাক, পুঁইশাক, ফুল কপির পাতা, ডাঁটা শাক, কলমি শাক, লাল
শাক ইত্যাদি।
এছাড়া দেহের চাহিদা অনুযায়ী প্রোটিন জাতীয় খাবার গুলো খাওয়ার চেষ্টা করতে
হবে। পরিমিত পরিমাণে প্রতিদিন ডিম, মাছ বা মাংস এবং সম্ভব হলে সপ্তাহে ১ থেকে ২
বার সামুদ্রিক মাছ খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে। কারণ সামুদ্রিক মাছে প্রচুর
পরিমাণে ভিটামিন, মিনারেল, ফ্যাটি, এসিড ইত্যাদি থাকে। সেজন্য পিরিয়ডের সময়
সামুদ্রিক মাছ বাদ দেওয়া যাবে না। আবার আপনি পরিমাণ মতো রেড মিটও খেতে পারেন।
কারণ এটি আয়রনের ঘাটতি পূরণে সহযোগিতা করে। আর অবশ্যই একটা কথা মনে রাখবেন
মাংস চর্বি ছাড়া হতে হবে এবং পরিমাণে কিছুটা কম খেতে হবে।
পিরিয়ডের সময় শরীরে আয়রনের ঠিকমতো শোষণ ও কার্যকারিতার জন্য ভিটামিন সি থাকা
আবশ্যক। সেজন্য আপনার পিরিয়ডের সময় বিশেষ পুষ্টি নিশ্চিত করতে আপনার খাদ্য
তালিকায় যেসব খাবার গুলো রাখতে পারেন সেগুলো হলোঃ পেয়ারা, তরমুজ, আমরা, কালো
জাম, পাকা তেতুল, লেবু, আমলকি, জলপাই, পাকা টমেটো, জাম্বুরা, কামরাঙ্গা, আনারস
পাকা পেঁপে। পিরিয়ডের সময় ফলমূল যতটা সম্ভব বেশি করে খাওয়া উচিত। তাছাড়া
নিয়ম করে কলা খাওয়া উচিত।
কলায় থাকে পটাশিয়াম ও ভিটামিন যেটি মূলত পিরিয়ডের সময় অতি প্রয়োজনীয়।
অনেক সময় দেখা যায় কিছু সংখ্যক মেয়ে পিরিয়ডের সময় ডায়রিয়াতে ভোগে থাকেন,
মূলত তাদের জন্য কলা অনেক উপকারী খাবার। এছাড়া র্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম হওয়া ও বিষন্নতা দূর করতে আপনি আপনার খাদ্য তালিকায় কলা রাখতে পারেন।
পিরিয়ডের সময় প্রচুর পরিমাণে পানি ও পানি জাতীয় খাবার আপনার খাদ্য তালিকায়
রাখতে হবে। কিন্তু তার মানে এই নয় যে বাইরের ড্রিংক অথবা অন্য কিছু খাওয়া
যাবে। সাধারণত পানি, ফলের জুস, স্যুপ, লিকুইড খাবার গুলো খাওয়া প্রয়োজন। এছাড়াও যদি কারো কারো পেটে পেইন থাকে সেক্ষেত্রে হালকাগরম পানি পান করতে পারে, এটি পেইন রিলিফে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
বাদামে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন ও খনিজ উপাদান, আর এই ভিটামিন ও খনিজ উপাদান গুলো আমাদের
শরীরের বিভিন্ন ধরনের পুষ্টির চাহিদা পূরণে ভূমিকা রাখে। সেজন্যই মূলত পিরিয়ড চলাকালীন সময়ে বাদাম আমাদের শরীরকে সুস্থ ও এনার্জিটিক রাখতে সাহায্য করে।
কাজু বাদাম,
চিনা বাদাম, কাঠবাদাম, পেস্তা বাদাম, পিরিয়ডে শরীরের ঘাটতি পূরণে সাহায্য করে
থাকে। তাই পিরিয়ডের সময় নিয়ম করে আপনার ডায়েটে বাদাম রাখতে পারেন।
কিন্তু অবশ্যই রোস্টেড অথবা সল্টেড বাদাম খাওয়া থেকে দূরে থাকা উচিত বা দূরে
থাকতে হবে। তাছাড়াও সঙ্গে খেতে পারেন কুমড়া, শিমের বীজসহ বিভিন্ন ধরনের বিচি
জাতীয় খাবার গুলো। এর পাশাপাশি আপনার ডায়েটে যোগ করতে পারেন ২ থেকে ৩ পিস
ডার্ক চকলেট। কারণ ডার্ক চকলেটে সুগারের পরিমাণ তুলনামূলক কম থাকে, এবং এতে
থাকে ম্যাগনেসিয়াম, যেটি আপনাকে পিওডে কিছুটা হলেও পোস্টটি যোগাবে আর সেই
সঙ্গে দূর করবে আপনার বিষন্নতাও।
আদা, হলুদ, টক দই এই জাতীয় খাবার গুলো প্রতিদিন আপনার ডায়েটে রাখা জরুরি।
হলুদে থাকে কারকিউমিন, যেটি অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি স্পাইস হিসেবে কাজ করে
থাকে। পিরিয়ডের সময় হলুদ মেশানো দুধ বিশেষ উপকারী ভূমিকা পালন করে থাকে। আদা
বমি বমি ভাব দূর করতে সাহায্য করে। সেজন্য আদা চা হতে পারে আপনার জন্য এ সময়ের
ভালো ড্রিঙ্ক, কিন্তু অবশ্যই পরিমাণ মতো খেতে হবে।
তাছাড়া যাদের ইউরিন ইনফেকশন রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে পিরিয়ডে উপকারী ভূমিকা
রাখে প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ টকদই। আশা করি আপনি এতক্ষণে বুঝতে পেরেছেন পিরিয়ডের
সময় কি কি খাবার খাওয়া উচিত, এখন আমরা নিচের অংশ থেকে জেনে নিব
পিরিয়ডের সময় কি কি খাবার খাওয়া উচিত না।
পিরিয়ডের সময় কি কি খাবার খাওয়া উচিত না
পিরিয়ডের সময় সল্টেড বিস্কুট থেকে শুরু করে চিপস, এক্সট্রা লবণ ও তেল মশলা
দেওয়া যে কোন খাবার খাওয়া উচিত নয়। সেই সঙ্গে সকল প্রকার সফট ড্রিংকস পরিহার
করতে হবে। পিরিয়ডের সময় মিষ্টি জাতীয় খাবার যতটা কম খাবেন ততই ভালো। পিরিয়ড
চলাকালীন সময় ব্যথা, হরমোনাল ইন ব্যালেন্স ইত্যাদির ফলে অনেক মেয়েরই রাতে ঘুম
হয় না, মাথা ব্যথা করে অথবা ক্লান্তি ভাব দেখা দিয়ে থাকে সে অনেকেই খুব বেশি
চা কফি খেয়ে থাকেন।
তবে আপনি কি জানেন চা কফির ক্যাফিইন শরীরকে হাইড্রেট করে এবং আয়রন শোষণে বাধা
সৃষ্টি করে। তাই আপনাকে কয়েক দিনের জন্য চা কফি খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
পিরিয়ডের সময় কি কি খাবার খাওয়া উচিত নয় সেগুলো এক নজরে দেখে নিন।
- ক্যাফিইনঃ এটি উদ্বেগকে বাড়িয়ে তুলে এবং পিরিয়ডের ক্র্যাম্প ও বাড়াতে পারে।
- প্রক্রিয়াজাত খাবারঃ চিনি, উচ্চ সোডিয়াম এগুলো ফুলে যাওয়া এবং মেজাজের পরিবর্তনকে আরো খারাপ করে তোলে।
-
চর্বিযুক্ত খাবারঃ ভাজা ও চর্বিযুক্ত খাবার প্রদাহ এবং
অস্বস্তি বাড়ায়।
- চিনিযুক্ত চিকিত্সাঃ অতিরিক্ত চিনি শক্তি ক্র্যাস হয় এবং মেজাজ খারাপ করে তোলে।
- দুগ্ধজাতঃ কিছু মানুষ দেখতে পাই যুগ্নজাত পণ্যগুলো ফোলা ভাব এবং ক্র্যাম্পকে বাড়িয়ে তুলতে পারে।
-
লাল মাংসঃ উচ্চচর্বিযুক্ত মাংস প্রদাহ বাড়ায়,
তাই চরবিহীন প্রোটিন উত্স জন্য নির্বাচন করতে পারেন।
আপনি অবশ্যই মনে রাখবেন খাবারের প্রতি পৃথক প্রতিক্রিয়া পরিবর্তিত হতেও পারে।
সেজন্য আপনি আপনার শরীরের প্রতি মনোযোগ দিবেন এবং আপনার পিরিয়ডের সময় আপনার
জন্য সবচেয়ে কি ভালো কাজ করে তার ওপর ভিত্তি করে খাদ্য তালিকা গত সমন্বয় করা
অপরিহার্য। তাহলে চলুন এবার আমরা জেনে নিই পিরিয়ডের সময় টক খেলে কি হয়।
পিরিয়ডের সময় টক খেলে কি হয়
পিরিয়ডের সময় সাধারণ কোনো ধরনের টক খাবার খেলে রক্তপাত অথবা ব্যথা বাড়ে
না। কারণ টক খাবারের সঙ্গে পিরিয়ডের কোনো সম্পর্ক নেই বললেই চলে। তবে হাঁ,
কিন্তু বিশেষ ধরনের টক খাবার খাওয়ার ফলে ব্যথা ও রক্তপাত দুটোই বাড়বে। আর
সেই বিশেষ টক খাবার হল লবণযুক্ত রক্ষাবার যেমনঃ আচার। আমাদের দেশে আম, বড়ই,
কামরাঙ্গা, জলপাই, আমরা ইত্যাদি অন্য যেকোনো টক খাবার খাওয়ার সঙ্গে আমরা লবণ
খেয়ে থাকি।
মূলত এই লবনই ক্ষতির কারণ এবং এর কারণেই ব্লিডিং বাড়ে, আসলে ত্বক জাতীয়
খাবারের ফলে নয়। অতিরিক্ত পরিমাণে লবণ দেওয়া, প্রসেসড এবং ক্যানড যেকোনো
খাবার পিরিয়ডের সময় আপনার জন্য ক্ষতিরকারণ, কেননা এগুলোতে উচ্চমাত্রার
সোডিয়াম থাকে যা রক্তপাত বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। পিরিয়ডের সময় বাড়তি লবণ
ছাড়া আপনি অবশ্যই যে কোন টক ফল খেতে পারেন। আশা করি আপনি বুঝতে পেরেছেন
পিরিয়ডের সময় টক খেলে কি হয়, তো চলুন এখন আমরা জেনে নেই পিরিয়ডের
সময় দুধ খেলে কি হয়।
পিরিয়ডের সময় টক দই খেলে কি হয়
পিরিয়ডের সময়ে দই খেলে মানসিক উদ্বেগ, পেটে ব্যথা এবং পেটে যন্ত্রণা কমাতেও
বেশ সাহায্য করে টক দই। পিরিয়ডের সময় অনেকেই কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাতেও ভুগে
থাকেন। তাদের জন্য টক দই অত্যন্ত উপকারী খাবার। কিন্তু চিকিৎসকের মতে,
সন্ধ্যায় বাড়াতে দই খাওয়ার পরিবর্তে দিনের বেলা দই খাওয়া ভালো। আশা করি
পিরিয়ডের সময় টক দই খেলে কি হয় বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন। এখন আমরা
জানতে চলেছি পিরিয়ডের সময় কলা খেলে কি হয়।
পিরিয়ডের সময় কলা খেলে কি হয়
কলাই থাকে পটাশিয়াম ও ভিটামিন জিডি পিরিয়ডের সময় অতি প্রয়োজনীয়।
পিরিয়ডের সময় কিছু সংখ্যক মেয়ে ডায়রিয়াতে ভোগে থাকেন, তাদের জন্য কলা
অনেক উপকারী খাবার। তাছাড়াও ভালো ঘুম হওয়া এবং বিষন্নতা দূর করতেও কলা আপনি
খেতে পারেন। আপনি নিশ্চয়ই এতক্ষণে বুঝতে পেরেছেন পিরিয়ডের সময় কলা খেলে কি
হয়। তাহলে চলুন এবার আমরা জেনে নেই পিরিয়ডের সময় ডিম খেলে কি হয়।
পিরিয়ডের সময় ডিম খেলে কি হয়
পিরিয়ডের সময় শরীরে আয়রনের পরিমাণ কমে যায়। এই আয়রনের ঘাটতির ফলে এই
সময় শরীর ক্লান্তি, ব্যথা, মাথা ঝিমঝিম করার মতো সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে।
সেজন্য পিরিয়ডের সময় আয়রনের ঘাটতি রোধ করতে আপনার খাদ্য তালিকায় অবশ্যই
আয়রন সমৃদ্ধ খাবার রাখতে হবে। আপনার শরীরে আয়রনের ঘাটতি পূরণ করতে আপনি
অবশ্যই ডিম খেতে পারেন। আশা করছি পিরিয়ডের সময় ডিম খেলে কি হয় বিষয়টি
বুঝতে পেরেছেন। এখন চলুন জেনে আসি পিরিয়ডের সময় শসা খেলে কি হয় তা
সম্পর্কে।
পিরিয়ডের সময় শসা খেলে কি হয়
পিরিয়ডের সময়ে শসা খাওয়া আপনার জন্য খারাপ হতে পারে, কেননা শসাতে থাকা
উপাদান গুলোর কারণে জরায়ু প্রাচীরে রক্ত জমতে পারে। তাই পিরিয়ডের সময়
চেষ্টা করুন শসা খাওয়া থেকে বিরত থাকার। পিরিয়ডের সময় শসা খেলে কি হয় আশা
করি বিষয়টা বুঝতে পেরেছেন। তাহলে চলুন এবার আমরা জেনে আসি পিরিয়ডের সময় চা
খেলে কি হয়।
পিরিয়ডের সময় চা খেলে কি হয়
চা-কফি যদিও আমাদের জন্য খুবই উপকারী। কিন্তু পিরিয়ডের সময় চা-কফি খেলে পেটে ব্যথা আরও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।
সেজন্য আপনিও যদি একই সমস্যায় ভুগে থাকেন তাহলে এই সময়টাতে চা অথবা কফি
এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন। কিন্তু আপনি একেবারেই বাদ না দিয়ে দিনে অন্তত
একবার খেতে পারেন, কিন্তু এর বেশি নয়। তাছাড়াও এ সময়ে সব ধরনের কোমল
পানীয় বাদ দিন। এর ফলে আপনার পেটে ব্যথার সমস্যা অনেকটাই কমবে। আশা করি
পিরিয়ডের সময় চা খেলে কি হয় বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন। তাহলে চলুন এবার আমরা
জেনে নিই পিরিয়ডের সময় আইসক্রিম খেলে কি হয়।
পিরিয়ডের সময় আইসক্রিম খেলে কি হয়
পিরিয়ডের সময় যদি আপনি আইসক্রিম, ব্রাউনিজ, চকলেট খান তবে এটি আপনার রক্তে
শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। আর উচ্চ শর্করা দেহে প্রদাহ বাড়িয়ে
তোলে। সেজন্য, পিরিয়ডের সময় আপনি আরো শারীরিক অস্বস্তির সম্মুখীন হতে
পারেন। তাই এ সময় আপনি সীমিত পরিমানে চিনি গ্রহণ করতে পারেন। আশা করি
পিরিয়ডের সময় আইসক্রিম খেলে কি হয় বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন।তাহলে চলুন
এবার আমরা জেনে নিই পিরিয়ডের সময় কি মিলন করা যায়? তা সম্পর্কে।
পিরিয়ডের সময় জাঙ্ক ফুড খাওয়া যাবে কি
পিরিয়ডের সময় ফাস্টফুড এবং জাঙ্ক ফুড খাওয়া একদম উচিত নয় কেননা এটি পেট
ফুলে যাওয়া এবং শরীরে ওয়াটার রিটেনশন অথবা পানি জমানোর কারণ হতে পারে। যার
ফলে আপনার পেট খারাপ করতে পারে এবং আপনার পেটে আরো ব্যথা হতে পারে। তাই
শুধুমাত্র বিশুদ্ধ শাকসবজি খাওয়ার চেষ্টা করুন। আশা করি পিরিয়ডের সময়
জাঙ্ক ফুড খাওয়া যাবে কিনা সে বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন।
শেষ কথা
পিরিয়ডের সময় কি কি খাবার খাওয়া উচিত ও উচিত নয় আমি এতক্ষণ ধরে এই
পোস্টটিতে আলোচনা করেছি। তাই আশা করছি আপনি নিশ্চয়ই এতক্ষণে বুঝে গেছেন
পিরিয়ডের সময় কি কি খাবার খাওয়া উচিত ও উচিত নয় তা সম্পর্কে। পিরিয়ডের
সময় অবশ্যই নিজের যত্ন বেশি বেশি করে নেওয়ার চেষ্টা করবেন। এবং যথেষ্ট
পরিমাণে বিশ্রাম ও ঘুমানোর চেষ্টা করবেন।
আরো পড়ুনঃ ঘরে বসে মেয়েদের ব্যবসার আইডিয়া
এতক্ষণ আমার সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আজকের এই পোস্টটি আপনার
কাছে যদি তথ্যবহুল মনে হয় তাহলে অবশ্যই আপনি আপনার বান্ধবীদের সঙ্গে শেয়ার
করে দিবেন। আর এরকম তথ্য জানতে আমাদের গুগল নিউজে ফোলো দিয়ে রাখুন। কারণ আমরা এই ওয়েবসাইটে নিয়মিতস্বাস্থ্য বিষয়ক বিভিন্ন ধরনের পোস্ট পাবলিশ করে থাকি। আসসালামু
আলাইকুম।
সাগর ম্যাক্স এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url