মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার উপায় - (সেরা ৬টি উপায়)
দিনে ৫০০ টাকা ইনকাম apps | দৈনিক ৪০০ ৫০০ টাকা ইনকামমাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার উপায় জানতে আমাদের সাথে থাকুন। মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার উপায় অনেক রয়েছে। কিন্তু তার মধ্য থেকে আপনার জন্য যেগুলো টাকা আয়ের সেরা উপায় সেগুলো নিয়েই আজকের এই পোস্টটিতে আলোচনা করা হবে। মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার সেরা ৬টি উপায় নিয়ে পোস্টটি সাজিয়েছি।
মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার উপায় গুলোর মধ্য থেকে আমরা নিচে যে ৬টি কার্যকরী উপায় আপনার সামনে এখন শেয়ার করব, এগুলোর মধ্য থেকে আপনি যেকোনো একটি উপায় বেছে নিয়ে মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন। তাহলে চলুন আর দেরি না করে এখনই জেনে নেই মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার উপায় গুলো।
পোস্ট সূচিপত্রঃ মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার উপায়
- মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার উপায়
- (১) ফ্রিল্যান্সিং করে আয়
- (২) ব্লগ বা কনটেন্ট লিখে আয়
- (৩) অনলাইনে ছবি বিক্রি করে আয়
- (৪) ইউটিউব চ্যানেল খুলে আয়
- (৫) ফেসবুকের মাধ্যমে আয়
- (৬) ডিজিটাল মার্কেটিং করে আয়
- শেষ কথা
মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার উপায়
মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করা বর্তমান সময়ে খুব একটি আহামরি বিষয় নয়। শুধুমাত্র আপনার একটু প্রচেষ্টা এবং সঠিক দিক নির্দেশনা থাকলেই আপনি প্রতিমাসে মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন। এবং আপনিও আপনার বেকারত্ব সহজেই দূর করে নিতে পারবেন। আমরা নিচে মাসে ২০ হাজার টাকা আয়ের কথা এখন আপনাকে জানাতে চলেছি। এগুলোর মধ্য থেকে আপনি যে বিষয়টি বেছে নেন না কেন, আপনি সেখান থেকেই প্রতি মাসে অনায়াসে মাসে বিশ হাজার টাকা আয় করে নিতে পারবেন। তাহলে আর দেরি কিসের এখনই জেনে নেওয়া যাক মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার উপায় গুলো।
(১) ফ্রিল্যান্সিং করে আয়
বেসরকারি এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে বর্তমানে বাংলাদেশে প্রায় ৬ থেকে ৭ লক্ষ ফ্রিল্যান্সার রয়েছে। তারা শুধুমাত্র ফ্রিল্যান্সিং করেই বছরে প্রায় ১০ হাজার ৬০০ কোটি টাকার মতো আয় করছে। আসলে বন্ধু ফ্রিল্যান্সিং জগৎটা বিশাল বড় এখানে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের খেলা। এই ফ্রিল্যান্সিং এর চাহিদা দিনের পর দিন বাড়তে থাকবে। আশা করা যায় আগামী আরো ৫০ বছরেও ফ্রিল্যান্সিং এর চাহিদা কমবে না।
কারণ সারা বিশ্বে এখনো অনেক ফ্রিল্যান্সারের চাহিদা বা ঘাটতি রয়েছে। তাই আপনিও চাইলে অনায়াসেই ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করতে পারেন মাসে ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা। কিন্তু কথা হল কিভাবে আপনি ফ্রিল্যান্সিং শুরু করবেন? আপনি চাইলে আপনার হাতে থাকা স্মার্টফোনের মাধ্যমে ও ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ শুরু করে দিতে পারেন আজ থেকেই। আপনি যেভাবে আপনার হাতে থাকা স্মার্ট ফোনের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করবেন তা নিচে দেওয়া হলঃ
- আপনি যদি ভালো মানের ফ্রিল্যান্সার হতে চান তাহলে আপনার একটি ল্যাপটপ বা একটি কম্পিউটার ডিভাইস প্রয়োজন হবে। কিন্তু বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর অনেক কাজ ফোনের মাধ্যমেও করা যায়।
- এরপর বর্তমানে অনলাইনে সব থেকে যেই কাজের চাহিদা বেশি সেই কাজ আপনি শিখতে পারেন। অনলাইনে চাহিদা বলতে যেমনঃ ডিজিটাল মার্কেটিং, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ওয়েব ডিজাইন, ট্রাইপিং, ডাটা এন্ট্রি ইত্যাদি।
- এ সকল কাজগুলো শেখার জন্য আপনি চাইলে খুব সহজে বাসায় বসে ইউটিউব এর মাধ্যমেও শিখতে পারেন অথবা আপনি যে শহরে বসবাস করছেন সেই শহরের ভালো ট্রেনিং সেন্টার থেকে তিন মাসের ট্রেনিং নিতে পারেন।
- তারপর এ সকল কাজ পেতে Fiverr, Upwork, Freelancer সহ অনেক মার্কেটপ্লেসে আবেদন করতে হবে।
আপনি যদি একবার এসব কাজ শুরু করে দিতে পারেন তাহলে আপনাকে আর মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার উপায় চিন্তা করতে হবে না। কারণ এই কাজগুলোর মাধ্যমে আপনি লক্ষাধিক টাকাও ইনকাম করতে পারবেন প্রতিমাসে। আর যতদিন যাচ্ছে ততই এই কাজগুলোর চাহিদা বেড়েই চলেছে। তাই আপনি যদি মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার উপায় খুঁজেন তাহলে এই উপায়টি আপনার জন্য সেরা পছন্দ হতে পারে।
(২) ব্লগ বা কনটেন্ট লিখে আয়
ব্লগ বা কনটেন্ট লিখে আয়ের থেকে আমার মনে হয় আর কোন সহজ কাজ নেই বললেই চলে। কারণ লিখতে পারেনা এমন মানুষ বর্তমানে খুঁজে পাওয়াই মুশকিল। তাই আপনিও নিঃসন্দেহে এই কাজটি বেছে নিতে পারেন মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার উদ্দেশ্যে। আপনি যদি ব্লগ বা কনটেন্ট লিখে আয় করতে চান তাহলে আপনার একটি ওয়েবসাইট লাগবে।
আপনি যদি চান তাহলে ফ্রিতেই ব্লগার থেকে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন। এবং আপনার সেই ওয়েবসাইটে আপনি যে বিষয়ের উপরে লিখতে পছন্দ করেন সে বিষয়ের উপরে লিখতে থাকুন নিয়মিত। যেমনঃ অনুচ্ছেদ, উপন্যাস, গল্প, কবিতা, স্ট্যাটাস, রান্নার নিয়ম, স্বাস্থ্য বিষয়ক ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের বিষয়ে লিখতে থাকুন। আস্তে আস্তে যখন আপনার ওয়েবসাইটে প্রচুর পরিমাণে পোস্ট বা আর্টিকেল হয়ে যাবে।
এবং আপনার ওয়েবসাইটে আস্তে আস্তে আপনার লেখা পড়ার জন্য দর্শকেরা আসবে। আপনি তখনই আপনার ওয়েবসাইটে গুগল এডসেন্স এর জন্য আবেদন করে দিবেন, আপনার আবেদন যদি অ্যাপ্রুভ করে গুগল এডসেন্স কর্তৃপক্ষ তাহলে google এডসেন্সের মাধ্যমে এড দেখিয়ে টাকা ইনকাম শুরু করে দিতে পারবেন। তবে প্রথমের দিকে আপনার খুব একটি ইনকাম না হলেও ধীরে ধীরে আপনার ওয়েবসাইটের ইনকাম বৃদ্ধি পাবে।
আর এভাবেই আপনি দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে আপনার ইনকাম মাসে ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা হয়ে যাবে। যতদিন বাড়বে ততই আপনার ইনকাম আসতে আসতে বাড়তে থাকবে। কিন্তু একটা কথা মাথায় রাখবেন আপনাকে আপনার ওয়েবসাইটে নিয়মিত পোস্ট পাবলিশ করতে হবে অধৈর্য না হয়ে নিয়মিত ধৈর্য ধরে ব্লক পোস্ট বা আর্টিকেল পাবলিশ করতে হবে। তাহলে আপনি একটা সময় গিয়ে আপনার এই ওয়েবসাইট থেকে প্রচুর টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
(৩) অনলাইনে ছবি বিক্রি করে আয়
অনলাইনে ছবি বিক্রি করে আয় করাও অনেক সহজ কাজ বলা যেতে পারে। অনলাইনে ছবি বিক্রি করে আয় এই কথাটা শুনে আপনার মনে হয়তো প্রশ্ন যাচ্ছে এটা আবার কিভাবে সম্ভব। কিন্তু বন্ধু হ্যাঁ এটাও সম্ভব ,শুধু আপনার আগ্রহ এবং চাওয়া থাকতে হবে। আপনি ইচ্ছা করলেই শুধুমাত্র অনলাইনে ছবি বিক্রি করে আয় করতে পারেন মাসে ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা।
এই কাজটি করার জন্য আপনার তেমন কিছুরই প্রয়োজন হবে না শুধুমাত্র আপনার হাতে থাকা স্মার্টফোনে যথেষ্ট। বর্তমানে এখন যতগুলো স্মার্টফোন রয়েছে প্রায় সব ফোনেই ভালো ক্যামেরা থাকে। আপনি শুধু আপনার আশেপাশে যেগুলো চোখের সামনে দেখতে পারছেন তার ছবি আপনার হাতে থাকা স্মার্টফোন দিয়ে তুলতে থাকুন যেমনঃ গাছ, পাখি, ঘরবাড়ি, নদী ইত্যাদি সবকিছুই।
কিন্তু আপনি যে ছবিগুলো তুলছেন সেই ছবিগুলো অবশ্যই সুন্দরভাবে তুলতে হবে। কারণ আপনি একটা কথা মনে রাখবেন আপনার এই ছবি গুলো সারা বিশ্বের বিভিন্ন জায়গা থেকে মানুষ কিনে নেবে, এবং তার বিনিময়ে আপনাকে টাকা দেবে। তাহলে বুঝুন কত সুন্দরভাবে আপনাকে ছবি তুলতে হবে।
আরো পড়ুনঃ ফ্রি লটারী খেলে টাকা ইনকাম
আপনার তোলা বিভিন্ন ধরনের ছবি বিভিন্ন মানুষজন তাদের ওয়েবসাইট, ব্যবসা, প্রজেক্ট ইত্যাদি কাজে আপনার কাছ থেকে টাকা দিয়ে কিনে নেবে। এখন নিশ্চয়ই আপনার মনে প্রশ্ন এসেছে কিভাবে আমি এই ছবিগুলো অনলাইনে বিক্রি করতে পারব? আর আপনার এই প্রশ্নের উত্তর দিতেই চলেছি এখন তো চলুন জেনে নেয়া যাক আপনি কিভাবে আপনার তোলা ছবি অনলাইনে বিক্রি করে মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন।
অনলাইনে অনেক ধরনের ওয়েবসাইট রয়েছে। যারা বিভিন্ন ধরনের ছবি কেনাবেচা করে থাকে। তারা আপনার তোলা ছবি সেখানে নিবে। এবং সেই ছবিগুলো তাদের ওয়েবসাইটে ক্রেতাদের কাছে দেখাবে। আর সেই ছবি যদি ক্রেতারা কিনে তবে আপনাকে ওখান থেকে টাকা দেওয়া হবে। ছবি কেনাবেচা বেশ কয়েকটি ওয়েবসাইটের মধ্যে রয়েছে তার মধ্য থেকে কিছু ওয়েবসাইটের নাম নিচে উল্লেখ করা হলো।
- Depositphotos
- Gettyimages
- Pond5
- 500px ইত্যাদি।
উপরে উল্লেখিত এ সকল ওয়েবসাইটে আপনাকে প্রথমে জয়েন হতে হবে। এবং তাদের ওয়েবসাইটে আপনার তোলা ছবিগুলো আপলোড করতে হবে। তারা আপনার ছবিগুলো সংগ্রহ করে বিক্রি করবে আর বিক্রি হয়ে গেলে আপনাকে টাকা দেবে। তারা আপনাকে যেসব টাকাগুলো দিবে সেগুলো আপনি খুব সহজেই আপনার হাতে নিয়ে আসতে পারবেন।
আপনি তাদের ওয়েবসাইটে যত বেশি ছবি তুলে আপলোড দিতে পারবেন তত বেশি আপনার ইনকাম হতে থাকবে। এভাবেই আপনি প্রত্যেক মাসে ২০ হাজার থেকে ৩০ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন।
(৪) ইউটিউব চ্যানেল খুলে আয়
ইউটিউব চ্যানেল খুলে আয় করাও খুবই সহজ, সেজন্য আপনার হাতে থাকা স্মার্টফোন দিয়ে সুন্দর সুন্দর ভিডিও তৈরি করে আপলোড করতে পারলেই খুব সহজেই আয় করতে পারবেন। বর্তমানে মানুষ এখন ভিডিও দেখতে বেশি পছন্দ করে, তাই এমন ভিডিও বানানোর চেষ্টা করবেন যে ভিডিওগুলো সচরাচর মানুষ সব সময় দেখার জন্য আগ্রহ বোধ করে। যেমনঃ বিনোদন, খেলাধুলা, শিক্ষা ইত্যাদি। কারণ এখন মানুষ যে কোন বিষয় জানার জন্য শিক্ষার জন্য সার্চ অপশন হিসেবে youtube কে বেছে নেই।
ধরন আপনি অনেক সুন্দর ভাবেন রান্না করতে পারেন, সে ক্ষেত্রে আপনি আপনার রান্নার ভিডিও তৈরি করে ইউটিউবে আপলোড করতে পারেন, কিংবা আপনি টেক ভিডিও, খবরের ভিডিও, বাগানের ভিডিও, বায়োগ্রাফি ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের ভিডিও বানিয়ে সেগুলো থেকেও আয় করতে পারেন। কেননা এ সকল ভিডিও ইউটিউবে দিলে আপনার ইউটিউব চ্যানেলের এডসেন্সের মাধ্যম থেকে টাকা আয় করতে পারবেন। কিভাবে আপনি youtube চ্যানেল খুলে আয় করবেন তা নিচে দেওয়া হলঃ
- আপনাকে প্রথমে একটি ইউটিউব চ্যানেল খুলে নিতে হবে। আপনি যে বিষয় ভালবাসেন বা পছন্দ করেন সে বিষয়ের উপর আপনার ইউটিউব চ্যানেল খুলুন।
- আপনি মিনিমাম দুই মাস নিয়মিত আপনার ইউটিউব চ্যানেলের ভিডিও আপলোড করতে থাকুন।
- এবং আপনি খেয়াল রাখবেন আপনার ভিডিও যেন একদম ১০০% ইউনিক হয়।
- এরপর যখনই ৪ হাজার ঘন্টা ওয়াচটাইম এবং 1000 সাবস্ক্রাইবার আপনার ইউটিউব চ্যানেলে হয়ে যাবে তখন গুগল এডসেন্সের জন্য আবেদন করে ফেলুন।
- Google কর্তৃপক্ষ যদি আপনার আবেদনটি অ্যাপ্রুভ করে, তাহলে আপনি আপনার ভিডিওতে অ্যাড লাগাবেন। আপনার ভিডিওতে অ্যাড লাগানোর কিছুদিনের মধ্যেই গুগল এডসেন্স থেকে আপনি টাকা পেতে শুরু করবেন।
- আপনি এভাবেই আপনার ইউটিউব চ্যানেলে নিয়মিত ইউনিক ভিডিও তৈরি করে আপলোড করতে থাকুন। এবং আস্তে আস্তে আমি একটা সময় গিয়ে দেখবেন আপনার প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকা বা এর থেকেও বেশি টাকা ইনকাম হচ্ছে। আসলে বলা যায় এ প্রক্রিয়াটি খুবই সহজ। এভাবেই আস্তে আস্তে আপনি বিশ হাজার থেকে লক্ষাধিক টাকা পর্যন্ত আপনার ইউটিউব চ্যানেল থেকে ইনকাম শুরু করতে পারবেন।
(৫) ফেসবুকের মাধ্যমে আয়
বর্তমানে জনপ্রিয় একটি প্ল্যাটফর্ম হল ফেসবুক। এই ফেসবুককে টাকার মেশিন বলা যেতে পারে। কেননা ফেসবুক থেকে যেই পরিমাণ টাকা ইনকাম করা সম্ভব সেটি কল্পনার বাইরে। ফেসবুক থেকে আপনি বেশ কয়েকটি মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আপনি কিভাবে ফেসবুক থেকে প্রতিমাসে ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা আয় করবেন তা নিচে দেওয়া হলঃ
- ফেসবুকে পণ্য বিক্রি করে আয়
- আপনি ফেসবুকে একটি পেজ খুলে প্রচুর টাকা আয় করতে পারবেন।
- আপনি চাইলে ফেসবুক পেজের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের পণ্য বিক্রি করতে পারবেন খুব সহজে।
- প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ মানুষ ফেসবুকে ঢুকে। আর আপনি এত মানুষের মধ্যে আপনার পণ্য খুব সহজেই বিক্রি করতে পারবেন।
- সেজন্য আপনি আপনার রিলেটেড একটি পেজ তৈরি করুন বা খুলুন।
- তারপর সেই পণ্যগুলোর ছবি অথবা ভিডিও এবং মূল্য শেয়ার করুন।
- আপনি এমন ভাবে আপনার পণ্যের ছবি অথবা ভিডিও এবং মূল্য শেয়ার করবেন যেগুলো দেখে অনেকেরই যেন কিনতে মন চায়, এক কথায় যেন আকর্ষণীয়ভাবে শেয়ার করবেন।
- এগুলো অনেকেই দেখবে এবং পছন্দ করলে সেগুলো পণ্য কিনবে।
- আর আপনি সেখান থেকে লাভ করতে পারবেন অনেক টাকা। এভাবেই আপনি প্রতিমাসে সহজেই ২০ হাজার থেকে ৩০ হাজার টাকা আয় করে নিতে পারবেন।
- ফেসবুকে ভিডিও আপলোড করে আয়
- আমাদের মধ্যে অনেকেই জানেন না ইউটিউবের মতো ফেসবুকেও ভিডিও আপলোড করে টাকা আয় করা সম্ভব।
- আপনি চাইলে যেকোনো ধরনের ভিডিও বানিয়ে সেটি আপনার ফেসবুক পেজে আপলোড দিতে পারেন।
- এরপর সেই ভিডিও ফেসবুক মনিটাইজেশনের মাধ্যমে এড লাগিয়ে টাকা ইনকাম করে নিতে পারবেন।
- এভাবেই আপনি প্রতি মাসে ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা অনায়াসেই ইনকাম করে নিতে পারবেন। এই ইনকাম আসতে আসতে আপনার আরো বৃদ্ধি পাবে।
- ফেসবুক রিলস-এর মাধ্যমে আয়
- আমরা যখন ফেসবুক চালাই তখন দেখতে পায় ছোট ছোট ভিডিও আর সেই ভিডিওগুলোকেই রিলস বলা হয়ে থাকে।
- ফেসবুকের রিলস ভিডিওগুলো অনেক তাড়াতাড়ি ভাইরাল হয়। আপনি কি ইচ্ছে করলে এই ছোট ছোট ভিডিওগুলো বানিয়েও টাকা আয় করতে পারেন। এই ছোট ছোট ভিডিও বানানো খুবই সহজ।
- আপনি চাইলে অন্যের বানানো ভিডিও কিছুটা এডিট মডিফায়ার করে আপনার নিজের গলা বসিয়ে তৈরি করতে পারেন এইসব ছোট ছোট ভিডিও।
- তবে একটা কথা মাথায় রাখবেন এসব রিলস ভিডিওর লেন্স হতে হবে সর্বোচ্চ ১ মিনিটের। এই রিলস ভিডিও গুলোতেও অ্যাড লাগানো যায়।
- আপনি শুধুমাত্র ফেসবুক রিলস থেকেও প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকা থেকে ৩০ হাজার টাকা খুব সহজেই আয় করে নিতে পারবেন।
(৬) ডিজিটাল মার্কেটিং করে আয়
আপনি যদি প্রতি মাসে ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা আয় করার উপায় জানার আগ্রহ থাকে। তবে আপনি নিঃসন্দেহে ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে তা খুব সহজেই করে নিতে পারবেন। ডিজিটাল মার্কেটিং এর ক্ষেত্রটি বিশাল বড়। সেজন্য আপনাকে খুবই ভালোভাবে একটি ক্ষেত্রের ওপর দক্ষতা অর্জন করতে হবে। আপনি যদি ডিজিটাল মার্কেটিং এর একটি ক্ষেত্র থেকে ভালো দক্ষতা অর্জন করতে পারেন তাহলে আপনি অনায়াসেই প্রতি মাসে ২০ হাজার থেকে লক্ষ্যাদিক টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আপনার জানার সুবিধার্থে নিচে ডিজিটাল মার্কেটিং এর ক্ষেত্রগুলো দেওয়া হলোঃ
- সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং
- এফিলিয়েট মার্কেটিং
- কনটেন্ট মার্কেটিং
- ই কমার্স মার্কেটিং
- ইমেইল মার্কেটিং
- ড্রপশিপিং
- এসইও বা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন
- এসইএম বা সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং
- সিপিএ মার্কেটিং ইত্যাদি।
উপরে উল্লেখিত যে সকল ডিজিটাল মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে গুলো তুলে ধরেছি এগুলোর মধ্যে থেকে যেকোনো একটি বিষয়ের উপর আপনার ভালো মানের দক্ষতা থাকতে হবে। বর্তমান সময়ে ডিজিটাল মার্কেটিং এর অনেক চাহিদা রয়েছে। আপনি যদি ডিজিটাল মার্কেটিং এর যেকোনো একটি কাজ ভালো করে শিখতে পারেন তাহলে আপনার কোনদিনই কাজের অভাব হবে না। আপনি একের পর এক কাজ পেলেই থাকবেন সহজে কাজ করে শেষ করতে পারবেন না। আর এভাবেই আপনি প্রতিমাসে ২০ হাজার টাকা থেকে লক্ষাধিক টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবেন।
শেষ কথাঃ মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার উপায়
মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার উপায় গুলো সম্পর্কে আপনি তো এতক্ষণ ধরে জানলেন। এখন আপনি নিজে নিজেই ডিসাইড করেন যে আপনি কোন কাজটি ভালোভাবে পারবেন এবং কোন কাজটি করে প্রতি মাসে ২০,০০০ টাকা আয় করতে চাচ্ছেন? আপনি যদি সঠিকভাবে কাজ শিখে কাজ করতে পারেন তাহলে আপনি প্রতি মাসে শুধু ২০ হাজার টাকা নয় ৫০ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন। এবং ৫০ হাজার থেকে লক্ষাধিক টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারবেন। কিন্তু শর্ত একটাই ধৈর্য ধরে লেগে থাকতে হবে ধৈর্য হারালে চলবে না এবং কোনভাবেই কোন পরিস্থিতিতে হাল ছাড়বেন না। আপনি যদি কষ্ট করে লেগে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনি ইনকাম করতে পারবেন। তাই সব সময় নিজের প্রতি বিশ্বাস রাখুন এবং কাজ চালিয়ে যান। ধন্যবাদ।
সাগর ম্যাক্স এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url