আমি মোটা হবো কিভাবে - মোটা হওয়ার ঘরোয়া উপায়
অতি তাড়াতাড়ি মোটা হওয়ার উপায় - মোটা হওয়ার ঘরোয়া উপায়আমি মোটা হবো কিভাবে এবং মোটা হওয়ার ঘরোয়া উপায় গুলো কি? তা জানতে ধৈর্য ধরে
আমার সাথেই থাকুন। কারণ আপনাকে আমি এখন বিস্তারিত ভাবে জানিয়ে দেবো মোটা হওয়ার
ঘরোয়া উপায় গুলো সম্পর্কে। আমরা মোটা হতে সবাই চায় কেননা চিকন মানুষকে কেউ
অতটা মূল্যায়ন করে না। তাই আমাদের ইচ্ছা হয় আমাদের ওজনকে একটু বৃদ্ধি করতে, যেন
সবার কাছে আমরা আরো আকর্ষণীয় হবে উঠি।
তবে চিন্তার কোন কারণ নেই বন্ধু আজকে আমি এমন কিছু ঘরোয়া উপায় আপনার সাথে
শেয়ার করতে চলেছি যেগুলো আপনি আপনার বাসায় বসে নিয়মিত মেনে চললে। আপনি কয়েক
মাসের মধ্যেই আপনার ওজন বৃদ্ধি করতে সক্ষম হবেন। তাহলে আর দেরি কিসের চলুন এখনই
জেনে নেওয়া যাক মোটা হওয়ার ঘরোয়া উপায় গুলো।
পোস্ট সূচিপত্রঃ আমি মোটা হবো কিভাবে - মোটা হওয়ার খাদ্য তালিকা
- ভূমিকা
- মোটা না হওয়ার কারণ কি
- আমি মোটা হবো কিভাবে
- মোটা হওয়ার খাদ্য তালিকা
- মোটা হওয়ার ঘরোয়া উপায়
- মোটা হওয়ার জন্য ব্যায়াম
- অতি তাড়াতাড়ি মোটা হওয়ার উপায়
- উপসংহার
ভূমিকা
আমাদের মত অনেকে আছেন যারা প্রায়ই ইন্টারনেটে সার্চ করে মোটা না হওয়ার কারণ কি,
আমি মোটা হবো কিভাবে, মোটা হওয়ার খাদ্য তালিকা, মোটা হওয়ার ঘরোয়া উপায়,
ইসলামে মোটা হওয়ার উপায়, মোটা হওয়ার জন্য ব্যায়াম, অতি তাড়াতাড়ি মোটা
হওয়ার উপায় গুলো সম্পর্কে জানার জন্য। সেজন্য আমি আজকের আর্টিকেলে খুবই সুন্দর
ভাবে যে সকল বিষয় নিয়ে বিস্তারিতভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করব। আপনারা যদি সত্যিই
স্বাস্থ্যের অধিকারী হতে চান, তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য খুবই
গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। তাহলে চলুন আর দেরি না করে বিস্তারিতভাবে এ সকল উপায়
গুলো জেনে আসার চেষ্টা করি।
মোটা না হওয়ার কারণ কি
মোটা না হওয়ার কারণ কি? এ বিষয়টি আমাদের অনেকেরই মনে প্রশ্ন জাগে আসলে আমরা কেন মোটা হতে পারে না, মোটা না হওয়ার পেছনে অনেক কারণ রয়েছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কারণ হলো টেনশন, পর্যাপ্ত পরিমাণে না ঘুমানো, মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা, ডায়াবেটিস, অনিয়মিত খাদ্যাভাস, এইডস, ডায়রিয়া, ফুসফুসের সমস্যা, আর্থ্রাইটিস, হাইপারথাইরয়েডিজম, বয়স বৃদ্ধি, ড্রাগ নেওয়া এবং জেনেটিক ইত্যাদি কারণে। মূলত এ সকল সমস্যার কারণেই আমরা সহজে মোটা হতে পারি না।
তারপরও আমরা যদি চাই তবে অবশ্যই মোটা হতে পারবো, সেজন্য নিচের অংশ থেকে আমরা এখনই জেনে নেব আমি মোটা হবো কিভাবে এই প্রশ্নের উত্তরটি। আসলে আমরা যদি চেষ্টা করি এবং মোটা হওয়ার ঘরোয়া উপায় গুলো ঠিকঠাক মত মেনে চলি তাহলে অবশ্যই মোটা হতে পারবো। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক কিভাবে মোটা হওয়া যায় সে বিষয়গুলো বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়ার।
আমি মোটা হবো কিভাবে
আমি মোটা হবো কিভাবে? এই প্রশ্নর যদি আপনি উত্তর খুজেন তাহলে সবার আগে
আপনাকে লক্ষ্য করতে হবে মোটা না হওয়ার পেছনে যে সকল কারণগুলো রয়েছে
সেগুলো। তাই আমি ইতিমধ্যেই আপনাকে জানিয়ে দিয়েছি মোটা না হওয়ার কারণ কি
সে বিষয়ে। তাই আপনি যদি সত্যি মোটা হতে চান তাহলে অবশ্যই যেসব কারণের কথা
আমি আপনার সামনে এতক্ষণ ধরে আলোচনা করেছি সেগুলো থেকে অবশ্যই আপনাকে মাথায় রাখতে
হবে।
মোটা হওয়ার সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল খাদ্য। আপনি যদি ঠিকঠাক মত খাবার
খান এবং এক্সারসাইজ করেন নিয়মিত তাহলে তাড়াতাড়ি না হলেও আস্তে আস্তে আপনার
অবশ্যই মোটা হওয়ার স্বপ্ন পূরণ হবে। আমাদের মধ্যে অনেকে আছেন যারা মোটা
হওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের ওষুধ সেবন করে থাকেন। কিন্তু মোটা হওয়ার জন্য
কোন ভাবে ওষুধ সেবন করা আমাদের একেবারে উচিত হবে না। কেননা এতে করে আমাদের
শরীরের আরও অন্যান্য দিক ক্ষতি হতে পারে।
তাই অবশ্যই আমাদেরকে ঘরোয়া উপায় এর মাধ্যমে মোটা হতে হবে। তাহলে আমাদের
কোন প্রকার সমস্যা শরীরে দেখা দেবে না, কিন্তু আপনি এখন নিশ্চয়ই চিন্তা
ভাবনা করছেন যে তাহলে আমি মোটা হওয়ার ঘরোয়া উপায় গুলো কিভাবে জানতে
পারব। এই নিয়ে আপনাকে কোন ভাবনা চিন্তা করতে হবে না কেননা আমি আপনার সামনে
এখনই আলোচনা করব মোটা হওয়ার ঘরোয়া উপায় গুলো নিয়ে।
তবে তার আগে আপনাকে জানাবো আপনার মোটা হওয়ার খাদ্য তালিকা সম্পর্কে। আপনাকে
আমি আগেই বলেছি মোটা হতে গেলে অবশ্যই খাদ্যের দিকে মনোযোগী হতে হবে। সেজন্য
আপনাকে আগে থেকেই জেনে নিতে হবে মোটা হওয়ার খাদ্য তালিকা সম্পর্কে। আপনি
যদি মোটা হওয়ার খাদ্য তালিকা টি জেনে নেন তাহলে অবশ্যই ঘরোয়া উপায় গুলো আপনার
কাজে দেবে। এবং আপনার মোটা হওয়ার স্বপ্ন খুব তাড়াতাড়ি পূরণ হয়ে
যাবে। তো চলুন আর কথা না বাড়িয়ে আমরা মোটা হওয়ার খাদ্য তালিকাটি দেখে
নিই।
মোটা হওয়ার খাদ্য তালিকা
আপনি যদি আপনার মোটা হওয়ার স্বপ্নটি পূরণ করতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই শাকসবজি,
ডিম, আলু, ফলমূল, মাংস, মধু, বাদাম, খেজুর, পেস্তা, ড্রাই ফ্রুটস, কিসমিস, ছোলা,
ফাস্টফুড, ভুনা খিচুড়ি, পিনাট বাটার, ফলের রস ইত্যাদি আপনার খাদ্য তালিকায়
রাখতে হবে। তবে আপনাকে আগেই বলে রাখি, শুধু এগুলো আপনার খাদ্য তালিকায় রাখলেই
হবে না আপনাকে নিয়মিত যথেষ্ট পরিমাণে ঘুমাতে হবে এবং শোন মুক্ত থাকতে হবে।
তবেই এইসব খাবারগুলো আপনার স্বাস্থ্য মোটা হওয়ায় কাজে দেবে। আপনি যদিও এসব
খাবারগুলো নিয়মিত খান, আবার যদি টেনশন এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে না ঘুমান তাহলে
আপনার কোন কাজে আসবে না। তাই আপনি যদি সত্যিই মোটা হতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে
সবসময় টেনশন মুক্ত থাকতে হবে এর পাশাপাশি পরিমাণে ঘুমাতে হবে। এছাড়াও আপনার যদি
স্বাস্থ্যের কোন ধরনের সমস্যা থেকে থাকে তাহলেও কিন্তু আপনার এসব খাবারগুলো কাজে
আসবে না।
তাই আপনি আপনার স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য একটি ভালো চিকিৎসকের কাছে পরামর্শ এবং
আপনার শরীর সুন্দরভাবে করাবেন যে আপনার শরীরে কোন ধরনের সমস্যা রয়েছে কিনা।
কেননা একটি ডাক্তাররি সঠিকভাবে বলতে পারবে আপনার শরীরে কোন ধরনের সমস্যা রয়েছে
কিনা। তাহলে এবার চলুন আমরা জেনে নেই মোটা হওয়ার ঘরোয়া উপায় গুলো সম্পর্কে।
আপনাকে আগেই বলে রাখি আমি যেগুলো মোটা হওয়ার ঘরোয়া উপায় সামনে আলোচনা করতে
চলেছি, এগুলি খুবই কার্যকরী উপায়।
আপনি যদি এই ঘরোয়া উপায় গুলো ঠিকঠাক মতো মেনে চলেন তাহলে আপনি অল্প কিছুদিনের
মধ্যেই মোটা হয়ে যেতে পারবেন।
মোটা হওয়ার ঘরোয়া উপায়
মোটা হওয়ার জন্য সেরা ঘরোয়া উপায় গুলো নিয়ে এখন আলোচনা করা হবে। মোটা হওয়ার
জন্য আপনি চেষ্টা করতে পারেন এমন কিছু উপায় নিচে তুলে ধরা হয়েছে। এই উপায়গুলো
যদি আপনি নিয়মিত চেষ্টা করেন তাহলে আশা করি আপনি অনেক ভালো ফলাফল পাবেন।
১। শুকনো খেজুর এবং দুধ
শুকনো খেজুর ওজন বৃদ্ধির জন্য সেরা উচ্চ ক্যালরিযুক্ত খাবার গুলোর মধ্যে একটি।
কেননা, শুকনো খেজুরে সোডিয়া, পটাশিয়াম, আয়রন, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং
ভিটামিন বি ৬ সবই পাওয়া যায়। তাই এটি আমাদের স্বাস্থ্য ও সুস্থতার জন্য
অপরিহার্য। এগুলোতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, চিনি এবং শক্তি রয়েছেন, যা আপনাকে
প্রচুর ওজন না বাড়িয়ে পেশি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। ওজন বাড়াতে এগুলোকে দুধের
সঙ্গে মিশিয়ে খান। প্রায় 20 থেকে 30 দিনের মধ্যেই, আপনি আপনার শরীরে দৃশ্যমান
প্রভাব দেখতে পাবেন।
২। পরিষ্কার করা মাখন এবং চিনি
একটি মিক্সিং বাটিতে এক টেবিল চাচা মোচ পরিষ্কার মাখন এবং চিনি একসঙ্গে ব্লেন্ড
করুন। খালি পেটে, প্রতিদিন বা রাতের খাবারের পরে এই মিশ্রণটি খান। এই স্বাস্থ্যকর
ওজন বাড়ানোর মিশ্রণটি আপনি যদি এক মাস নিয়মিত খান, তাহলে আপনাকে কাঙ্খিত ফলাফল
দিবে।
৩। আম এবং দুধ
একটি তাজা আম দিনে তিনবার খান, তারপর এক গ্লাস গরম দুধ খান। আমে প্রচুর পরিমাণে
কার্বোহাইড্রেট, শর্করা এবং প্রোটিন রয়েছে, যেগুলো সবই পেশীর ভর পেতে
সাহায্য করে। এক মাস পরে, আপনি অবশ্যই আপনার শরীরে একটি পার্থক্য দেখতে পাবেন।
৪। বিকালের ঘুম
আমরা প্রায় সবাই জানি মিনিট থেকে 45 মিনিট ঘুমালে আমাদের মন ও শরীর শান্ত থাকে।
এটি শুধুমাত্র ওজন বাড়াতে সাহায্য করে না বরং সতর্কতা বাড়ায় এবং কাজের ক্ষমতা
উন্নত করে। জিমে না গিয়ে ওজন বাড়ানোর জন্য এটি একটি দ্রুততম ঘরোয়া উপায়।
৫। বাদামের মাখন
চীনা বাদামে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাটি অ্যাসিড, প্রোটিন, মিনারেল এবং ভিটামিন
রয়েছে।তাই আপনি আপনার খাদ্য তালিকায় নিয়মিত একমুঠো চিনা বাদাম অন্তর্ভুক্ত
করলে তা ওজন বাড়াতে সাহায্য করতে পারে। অন্যদিকে, চিনা বাদাম মাখন উচ্চ ক্যালোরি
সামগ্রী থাকার জন্য স্বীকৃত, যা এটিকে ওজন বাড়ানোর সেরা খাবারগুলোর মধ্যে একটি
করে তোলেছে।
আপনার গমের রুটিতে চিনাবাদাম মাখন রাখুন এবং প্রভাব দেখতে 30 দিন অপেক্ষা করুন।
৬। কলা মিল্কশেক বা স্মুদি
ওজন বাড়াতে এবং তাৎক্ষণিক শক্তি বৃদ্ধির জন্য কলা অন্যতম স্বাস্থ্যকর খাবার। এর
কারণে প্রায় প্রতিটি ক্রীড়াবিদ খেলার মধ্যে একটি কলা খায়। তবে ওজন বাড়াতে
চাইলে কলা দিয়ে এক কাপ দুধ পান করে; আরো ভালো, একটি কলা মিল্কশেখ তৈরি করুন এবং
আপনার সকাল বা সন্ধ্যার চা বা কফি এর সাথে অদলবদল করুন।
৭। সেকা আলু
আপনার খাবারে আলো অন্তর্ভুক্ত করা আপনার ওজন বাড়াতে সাহায্য করবে, কারণ
এতে কার্বোহাইড্রেট বেশি থাকে। আর এগুলো খাওয়ার সেরা উপায় হলো গ্রিল
করে বা মাখন দিয়ে বেক করে। যাই হোক, মাঝে-মাঝে ফ্রেঞ্চ ফ্রাই খাওয়া ক্ষতিকর
নয়। এগুলি এয়ার-ফ্রাই করার জন্য আপনি অতিরিক্ত ভার্জিন তেল ব্যবহার করেছেন তা
নিশ্চিত করুন।
৮। আপনার শরীরের প্রয়োজনের চেয়ে বেশি ক্যালোরি খান
একটি ক্যালোরি উদ্বৃত্ত তৈরি করা বা আপনার শরীরের প্রয়োজনের চেয়ে বেশি ক্যালোরি
খাওয়া আপনার ওজন বাড়ানোর জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জিনিস। হিসাব অনুযায়ী,
আপনি যদি সময়ের সাথে ধীরে ধীরে ওজন বাড়াতে চান তবে প্রতিদিন আপনার ব্যয়ের
চেয়ে 300 থেকে 500 ক্যালোরি বেশি খাওয়ার লক্ষ্য রাখুন। আর আপনি যদি দ্রুত
ওজন বাড়াতে চান তবে আপনার স্বাভাবিক খরচের মাত্রা থেকে 700 থেকে 1000 ক্যালোরি
বেশি পান করুন।
আপনাকে আপনার বাকি জীবনের জন্য ক্যালোরি ট্র্যাক করতে হবে না তবে এটি আপনাকে
প্রথম কয়েক সপ্তাহ বা মাসে কত ক্যালরি খাচ্ছে তা বোঝাতে সহায়তা করতে পারে।
আপনাকে সাহায্য করার জন্য অনেক দরকারি টুল উপলব্ধ আছে।
৯। প্রচুর পরিমাণে শর্করা এবং চর্বি
ওজন বাড়ানোর চেষ্টা করার সময়, অনেক লোক কার্বোহাইড্রেট বা চর্বি সীমিত করতে
চায়। আপনি যদি ওজন বাড়াতে চান তবে এটি একটি খারাপ পছন্দ কারণ এটি পর্যাপ্ত
ক্যালোরি গ্রহণ করা আরো কঠিন করে তুলবে। আপনি যদি ওজন বাড়াতে চান তবে প্রচুর
পরিমাণে উচ্চ-কার্ব এবং উচ্চ চর্বিযুক্ত খাবার খান। পর্যাপ্ত প্রোটিন, চর্বি এবং
কার্বোহাইড্রেটযুক্ত খাবার খান।
বিরতিহীন উপবাসও একটি ভালো ধারণা নয়। এটি ওজন হ্রাস এবং ফিটনেসের জন্য উপকারী,
তবে এটি ওজন বাড়ানোর জন্য পর্যাপ্ত ক্যালোরি গ্রহণ করা আরো কঠিন করে তোলে।
প্রতিদিন কমপক্ষে তিনবার খাবার খাওয়া নিশ্চিত করুন এবং যেখানে প্রয়োজন সেখানে
শক্তি-ঘন মিউঞ্চি অন্তর্ভুক্ত করুন।
১০। শক্তি-ঘন খাবার
আবার, প্রধানত পুরো, উপাদান যুক্ত খাবার খাওয়া গুরুত্বপূর্ণ। সমস্যা হল যে
খাবারগুলি আরো ভরাট করে, পর্যাপ্ত ক্যালোরি গ্রহণ করা আরো কঠিন করে তোলে।
এটি বিভিন্ন মশলা, সস এবং সিজনিং ব্যবহার করে সহায়তা করা যেতে পারে। আপনার খাবার
যত বেশি সুস্বাদু হবে, তত বেশি পরিমাণে খাওয়া সহজ হবে। এছাড়াও, যতটা সম্ভব
শক্তি-ঘন খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন। এগুলি এমন খাবার যেগুলির ওজনের তুলনায় উচ্চ
ক্যালরি সামগ্রী রয়েছে যেমন ভাত, ভাজা কাজু, বাদাম, অ্যাভোকাডো ইত্যাদি।
১১। টেনশনমুক্ত থাকার চেষ্টা করুন
একটি মানবদেহের সবচাইতে বড় রোগ হল টেনশন করা। তাই যেমন ওজন বৃদ্ধিতে টেনশন মুক্ত
থাকা অনেক প্রয়োজন তেমনিভাবে ওজন কমাতেও টেনশন মুক্ত থাকা অত্যন্ত প্রয়োজন।
বর্তমান সময়ে টেনশনমুক্ত থাকা বা টেনশনমুক্ত করে চলা খুবই তবুও আপনি যদি মোটা
হতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে টেনশনমুক্ত থাকতে হবে। তাছাড়া এমনিতেই যতোটুকু
সম্ভব টেনশন মুক্ত থাকার চেষ্টা করুন এতে করে আপনার শরীর ভালো থাকবে এবং সুস্থ
থাকবে।
১২। পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমান
আপনি যদি আপনার শরীর সুস্থ রাখতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে
ঘুমাতে হবে। আপনাকে
অবশ্যই নিয়মিত ৭ থেকে ৮ ঘন্টা ঘুমাতে হবে। আপনার শরীর সুস্থ রাখতে এর থেকে কম
হওয়া যাবে না। এছাড়াও ঘুম থেকে উঠে প্রতিদিন সকালে নিয়ম করে ইয়োগা অথবা
যোগাসন করুন, কেন নাহিতে করে আপনার ওজন দ্রুত বৃদ্ধি পাবে।
১৩। রাতে ঘুমানোর আগে দুধ মধু খান
আপনি যখন এই রাত্রে ঘুমাতে যাবেন, ঘুমাতে যাওয়ার আগে এমন কিছু খাবেন যেটি বেশ
পুষ্টিকর এবং ক্যালোরিযুক্ত। কেননা সেটা ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে পড়েছেন বলে খরচ হচ্ছে
না এবং সারারাত আপনার শরীরে ক্যালরির কাজ করবে এর পাশাপাশি আপনার ওজন বৃদ্ধি
করবে। সেজন্য প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে
দুধ ও মধু
মিশিয়ে খেয়ে ঘুমাতে যাবেন। এটি আপনার ওজন বৃদ্ধিতে পরিচিত এবং মোটা হওয়ার
সবচেয়ে সহজ উপায়।
১৪। আপনার ডায়েটে চকলেট এবং চিজ রাখুন
আমরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বাইরের খাবার খেতে নিষেধ করি। তবে আপনার ওজন
বৃদ্ধিতে বাহিরের খাবার যেমন পেস্ট্রি, আইসক্রিম, বার্গার ইত্যাদি
খাবার খুবই কার্যকারী হতে পারে। কিন্তু এতে থাকে ফ্যাট, তাই বেশি খেলে
শরীরের জন্য ভীষণ ক্ষতিকর! তাই আপনি ইচ্ছা করলে এগুলোই খেতে পারেন তবে অবশ্যই তা
হবে পরিমাণ মতো।আপনি আপনার প্রতিদিনের ডাইকে চকলেট ও চিজ রাখতে পারেন।
১৫। প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা
প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা শুধুমাত্র ওজন বৃদ্ধি বা ওজন হ্রাসের জন্য নয় বরং
এটি আপনার সুস্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। তা নিয়মিত বেশি বেশি করে বিশুদ্ধ
পানি পান করার চেষ্টা করুন। এতে করে আপনার শরীর স্বাস্থ্য ভালো থাকবে।
মোটা হওয়ার জন্য ব্যায়াম
মোটা হওয়ার জন্য ব্যায়াম সম্পর্কে আপনারা অনেকেই ইন্টারনেটে সার্চ করে
থাকেন। তাই আমি আপনাদের জন্য সর্বমোট 17টি ব্যায়াম নিয়ে
এসেছি। মোটা হওয়ার জন্য এবং ওজন বাড়ানোর জন্য এই 17টি ব্যায়াম আপনার
শরীরে অনেক ভালো ফলাফল প্রদান করবে। মোটা হওয়ার জন্য কার্যকারী 17টি
ব্যায়াম নিচে উল্লেখ করা হলোঃ
- Squats
- Bench press
- Push-up
- Pull-up
- Deadlift
- Lunge
- Overhead press
- Bent-over row
- Tricep dips
- Crunches
- Dip
- Front squats
- Rowing
- Bulgarian split squat
- Bench dips
- Back squat
- Abdominal exercise
অতি তাড়াতাড়ি মোটা হওয়ার উপায়
অতি তাড়াতাড়ি মোটা হওয়ার উপায় - আসলে বন্ধু আপনি চাইলেও অতি
তাড়াতাড়ি মোটা হতে পারবেন না। আবার আপনি অতি তাড়াতাড়ি চিকনও হতে
পারবেন না। কিন্তু আপনার যদি তীব্র ইচ্ছা থেকে থাকে তাহলে আপনি মোটা হতে
পারবেন। অতি দ্রুত ওজন বাড়ানো যায় না আবার অতি দ্রুত ওজন কমানো যায় না
কমপক্ষে তিন থেকে ছয় মাস সময় প্রয়োজন হবে। তবে আপনি যদি কিছু খাবার
নিয়ম তিন থেকে ছয় মাস খান তাহলে আপনার ওজন তাড়াতাড়ি বাড়তে পারে
যেমনঃ
- প্রতিদিন সকালে ছোলা ভিজিয়ে খান
- নিয়ম করে প্রতিদিন খেজুর খান
- নিয়ম করে প্রতিদিন ডিম খান
- নিয়ম করে কাজুবাদাম এবং কাঠবাদাম পরিমাণ মতো খান
- নিয়মিত মসুর ডাল খান
- নিয়ম করে দুধখান
- প্রতিদিন কয়েকটি করে কলা খান
- পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন
- বারবার খাবার গ্রহণ করুন
- খাবারে রাখুন কার্বোহাইড্রেট
- বেশি ক্যালোরি গ্রহণ করুন
- সঠিক প্রোটিন গ্রহণ করুন
- ড্রাই ফ্রুটস খান
- মধু খান নিয়ম করে
- এছাড়াও আপনার ডায়েটে চকলেট এবং চিজ রাখুন
তাছাড়াও
- পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমান
- প্রতিনিয়ত টেনশন ফ্রি থাকুন
- নিয়মিত ব্যায়াম করুন
উপসংহার
আমি মোটা হবো কিভাবে এবং মোটা হওয়ার ঘরোয়া উপায় গুলো সম্পর্কে আপনার সাথে
এতক্ষণ বিস্তারিত ভাবে আমি আলোচনা করেছি। আশা করছি আপনি যদি এই ঘরোয়া
উপায় গুলো নিয়মিত মেনে চলেন, তাহলে অবশ্যই আপনি আপনার ওজন বৃদ্ধি করতে
পারবেন। তবে আপনাকে বলে রাখি আপনি ওজন বৃদ্ধির জন্য অত তাড়াহুড়া না করাই
ভালো আপনি আসতে পেরে এইসব উপায় গুলো অবলম্বন করতে থাকুন আশা করা যায় তিন থেকে
ছয় মাসের মধ্যে আপনার ওজন বৃদ্ধি পাবে। নিয়মিত নিজের যত্ন
নিন, আপনার
সুস্বাস্থ্যের
দিকে ভালোভাবে মনোযোগী হোন। ধন্যবাদ।
সাগর ম্যাক্স এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url