কিভাবে ফেসবুকে প্রতিদিন 500 আয় করা যায়

বাংলাদেশী অ্যাপ প্রতিদিন 1000 টাকা আয় পেমেন্ট বিকাশকিভাবে ফেসবুকে প্রতিদিন 500 আয় করা যায় তা কি আপনি জানেন? যদি না জানেন তাহলে আমার সাথেই থাকুন। কারণ আজকে আমি এমন কিছু বিষয় আপনার সাথে শেয়ার করতে চলেছি যেগুলোর মাধ্যমে আপনি ঘরে বসেই ফেসবুকে প্রতিদিন ৫০০ টাকা আয় করতে পারবেন। ফেসবুকে আয় করা খুব একটি কঠিন কাজ নয় আপনিও চাইলে খুব সহজেই ফেসবুক থেকে প্রতিদিন ৫০০ টাকা করে ইনকাম করতে পারবেন।
কিভাবে-ফেসবুকে-প্রতিদিন-500-আয়-করা-যায়
বর্তমান সময়ে যখন সবাই ফেসবুক থেকে ইনকাম করছে তাহলে আপনি কেন ইনকাম করতে পারবেন না। আপনারাও যদি কোন একটু চেষ্টা থাকে এবং সঠিক উপায় গুলো জেনে কাজ করতে পারেন। তবে আপনিও ফেসবুক থেকে প্রতিদিন ৫০০ টাকা বা তার থেকেও বেশি টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তাহলে চলুন আর দেরি না করে জেনে নিন কিভাবে ফেসবুকে প্রতিদিন 500 আয় করা যায়।

পোস্ট সূচীপত্রঃ কিভাবে ফেসবুকে প্রতিদিন 500 আয় করা যায়

ভূমিকাঃ কিভাবে ফেসবুকে প্রতিদিন 500 আয় করা যায়

কিভাবে ফেসবুকে প্রতিদিন 500 আয় করা যায়? এই প্রশ্নটি প্রায় অনেকেরই। আসলে ফেসবুক থেকে বিভিন্ন উপায়ে ইনকাম করা যায় তবে মূল কথা হল আমরা কিভাবে ফেসবুকে প্রতিদিন 500 আয় করব। আপনারা জানলে অবাক হবেন বর্তমান সময়ে এখন অনেকেই ফেসবুক থেকে প্রতিদিন ৫০০ টাকা বা তার থেকেও বেশি ইনকাম করছেন। বাংলাদেশে ফেসবুক চালায় না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া প্রায় অসম্ভব, কিন্তু এত মানুষ ফেসবুক চালানো শর্তেও সবাই ফেসবুকের মাধ্যমে ইনকাম করতে পারেনা। কারণ তারা জানে না কিভাবে ফেসবুক থেকে ইনকাম করতে হয়।
ফেসবুক থেকে ইনকাম করা খুব একটি কঠিন কাজ নয়। চাইলে আপনারাও পারবেন ফেসবুক থেকে নিয়মিত ইনকাম করতে। তাই কিভাবে আপনারা ফেসবুক থেকে নিয়মিত ইনকাম করবেন সে বিষয় নিয়েই আজকের এই পোস্টটি সাজানো হয়েছে। আজকে আমরা জানতে চলেছি কিভাবে ফেসবুকে প্রতিদিন 500 আয় করা যায়, ফেসবুক পেজ থেকে টাকা ইনকাম করার নিয়ম, ফেসবুকে কত ফলোয়ার হলে টাকা পাওয়া যায়, ফেসবুকে কত ভিউ কত টাকা তা সম্পর্কে। আজকের এই পোস্টটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে।

তাই আপনারা যদি ফেসবুক থেকে সত্যিই প্রতিদিন ৫০০ টাকা বা তার থেকেও বেশি ইনকাম করতে চান তাহলে আজকের সম্পূর্ণ লেখাটি মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন। আপনি যদি এই পোস্টটি সম্পন্ন মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে আপনিও আজকে থেকেই ফেসবুকে ইনকাম শুরু করে দিতে পারবেন। তাহলে আর দেরি কিসের চলুন আমরা এখনই জেনে আসি কিভাবে ফেসবুকে প্রতিদিন 500 আয় করা যায়? তা সম্পর্কে। আশা করছি আপনাদের কাছে এই পোস্টটি অনেক উপকারে আসবে।

কিভাবে ফেসবুকে প্রতিদিন 500 আয় করা যায়

অনলাইন জগতে সামাজিক প্ল্যাটফর্ম হিসেবে সারা বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টিকারী মাধ্যমটির নাম ফেসবুক। 2.32 বিলিয়ন মানুষ প্রতিদিন তাদের ফেসবুক ফিডের মাধ্যমে স্ক্রোল করে। আমরা যারা ফেসবুক ব্যবহারকারী প্রায় প্রতিদিন অন্তত একবার হলেও ফেসবুক ভিজিট করে থাকি। পোস্ট করি, শেয়ার করি, রিয়েক্ট করি, মিম দেখি, এবং বন্ধুদের সঙ্গে চ্যাট করি।

কিন্তু আমরা অনেকেই জানিনা যে আপনি ফেসবুকে এই লাইক কমেন্ট শেয়ার করার মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন। এখান থেকে আপনি নিজের জন্য একটি ছোট ইনকামের প্ল্যাটফর্ম তৈরি করতে পারেন। আপনি বিভিন্ন ফ্যান পেজ তৈরি করতে পারেন, মজার ভিডিও বা মেম তৈরি করতে পারেন এবং সেগুলো পোস্ট করতে পারেন, অনলাইন শপিংয়ের জন্য গ্রুপ বা পেজ খুলতে পারেন,

ফেসবুক গেমস ডেভেলপ করতে পারেন, এফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে এবং আরো অনেক পদ্ধতির মাধ্যমে আপনি ফেসবুক থেকে প্রতিদিন 500 টাকা ইনকাম করেন। এখন আমি আপনাকে এমন কিছু উপায় বা পদ্ধতি দেখাবো যার মাধ্যমে আপনি ফেসবুক থেকে প্রতিদিন 500 টাকা ইনকাম করবেন।

ফেসবুক পেজ থেকে টাকা ইনকাম করুন

আপনি যদি একটি ফেসবুক পেজ থেকে অর্থ উপার্জন করতে চান, তাহলে আপনাকে প্রথমে ফেসবুকে একটি অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। এবং তারপর সেই একাউন্ট থেকে একটি ফেসবুক পেজ তৈরি করতে হবে। পেজ তৈরি করার পরে এটিকে সুন্দরভাবে কাস্টমাইজ করা দরকার যাতে দর্শকরা আপনার সামগ্রীতে আকৃষ্ট হয়। তারপরে নিয়মিত ভিডিও বা আপনার সামগ্রী আপলোড করা শুরু করুন, প্রতিদিন কমপক্ষে একটা বা দুইটা ভিডিও বা সামগ্রী আপলোড করুন।

একবার ফেসবুক মনিটাইজেশন সম্পন্ন হলে, আপনার ভিডিও বা সামগ্রীতে ফেসবুক বিজ্ঞাপন গুলো সংযুক্ত করুন। আপনার সামগ্রী নগরীকরণ করার পরে, ব্যাংক একাউন্টের অর্থ প্রদানের ঠিকানা সংযুক্ত করুন। তারপর থেকে আপনি আপনার ফেসবুক কন্টেন্টের মাধ্যমে প্রতি ঘন্টায় দেখার সময় বা দর্শকদের মাধ্যমে সহজে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।

ফেসবুক মার্কেটিং কেন করবেন?

মানুষ এখন এতটাই আধুনিক হয়েছে যে তারা সবকিছুতেই শর্টকাট খুঁজে পায় এবং ঘরে বসেই সেবা পেতে পছন্দ করে। এর জন্য, সবাই সোশ্যাল মিডিয়ার ওপর অনেক বেশি নির্ভর করে, তাই তাদের কাছে নিজেকে মূল্যবান এবং দরকারি প্রমাণ করার জন্য এটি একটি প্রধান সুযোগ হতে পারে। আপনি চাইলে ঘরে বসেই ফেসবুকের মাধ্যমে তাদের কাছে আপনার পণ্যের মার্কেটিং করতে পারেন, অন্যদিকে তারা ঘরে বসেই ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার পণ্য সম্পর্কে জানতে পারবে।

আবার, আপনি চাইলে ঘরে বসেই আপনার পণ্যের ক্ষয় বিক্রয় করতে পারেন। কিন্তু এগুলো করার আগে আপনাকে ফেসবুক মার্কেটিং এর নিচের তিনটি দিক বজায় রাখতে হবে, আর তা হলঃ

১। ফেসবুক পেজঃ পণ্যের মার্কেটিং সম্পূর্ণ করার জন্য, আপনার পণ্য সম্পর্কিত একটি পেশাদার পেজ থাকতে হবে, যা আপনি একটি অফিসিয়াল বিজনেস পেজ হিসাবে রাখবেন। যাতে করে লোকেরা আপনার পণ্যের সঠিক অবস্থান এবং প্ল্যাটফর্ম সম্পর্কে জানতে পারে এবং আপনার পণ্যের উপর আস্থা রাখতে পারেন।

২। ফেসবুক গ্রুপঃ ফেসবুক গ্রুপে, অনেকে তাদের ব্যবহার করা পণ্য সম্পর্কে তাদের মন্তব্য বা বিভিন্ন পর্যালোচনা প্রতিক্রিয়া দেয়। এক্ষেত্রে, আপনি আপনার পণ্য সম্পর্কিত একটি গ্রুপ খুলতে পারেন, যাতে আপনি আপনার গ্রাহকদের মন্তব্য অনুসরণ করতে পারেন এবং তাদের চাহিদা অনুযায়ী পণ্য সরবরাহ করতে পারেন এবং তাদের পরামর্শ গ্রহণ করতে পারেন। এটি আপনার জন্য লাভজনক হতে পারে।

৩। ফেসবুক অ্যাডঃ  ফেসবুক অ্যাডের মাধ্যমে, আপনি সহজেই পণ্যটির জন্য গ্রাহকদের খুঁজে পেতে পারেন। আপনি কি ধরনের গ্রাহক চান, তাদের বয়স কত, তারা কোন শহরে বাস করেন, তারা কোন দেশ থেকে এসেছেন এবং তারা সেই পণ্যগুলো কিনতে ইচ্ছুক কিনা সহ সবকিছুই কাস্টমাইজ করে আপনার পণ্যগুলির সঙ্গে বিজ্ঞাপন সংযুক্ত করতে পারেন।

এই তিনটি দিকের যেকোনো একটি অনুপস্থিত থাকলে আপনি কাঙ্খিত ফলাফল নাও পেতে পারেন।আর এই তিনটি দিক ভালোভাবে বজায় রেখে যদি ভালো ফল পাওয়া যায়, তাহলে আপনি ফেসবুক মার্কেটিং করবেন না কেন, বলুন?

ফেসবুক থেকে ইনকাম করার উপায়

বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় সামাজিক সাইট ফেসবুকে প্রতি সেকেন্ডে পাঁচটি নতুন একাউন্ট তৈরি হচ্ছে। তাই সম্ভবত এর চেয়ে বড় কোন প্লাটফর্ম নেই যেখানে আপনি কোন বিনিয়োগ ছাড়াই টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এখান থেকে আপনি আপনার শ্রোতা নির্বাচন করতে পারেন, এবং আপনার ব্যবসা থেকে শুরু করে যেকোনো ধরনের কাজ অর্জন করতে তাদের ব্যবহার করতে পারেন।
আপনাকে যা করতে হবে তা হলো তাদের বিনোদন এবং বিনোদন। এছাড়াও, নিশ্চিত করুন যে আপনি তাদের জন্য উপকারী বিষয়বস্তু প্রদান করেন এবং তারা এটিকে ইতিবাচকভাবে নেন। এছাড়াও, কিভাবে ফেসবুক থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন তার মাধ্যম গুলো আপনার সামনে এখন তুলে ধরা হলোঃ

অ্যাফিলিয়েট বিজ্ঞাপন বা মার্কেটিং

আপনারা অনেকেই হয়তো এক বিজ্ঞাপন সম্পর্কে শুনেছেন এবং অনেকের কাছে এটি একটি নতুন শব্দ। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর নাম শুনেছি কিন্তু অ্যাফিলিয়েট বিজ্ঞাপন কি? তা আপনাদের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে। আসলে, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এবং অ্যাফিলিয়েট বিজ্ঞাপন একই জিনিস।

বিজ্ঞাপন হলো যখন আমরা ফেসবুকে নিউজফিডে স্ক্রোল করার সময় বিভিন্ন বিজ্ঞাপন দেখি এবং সেই বিজ্ঞাপনের নিচে ছোট আকারে লেখা থাকে (স্পন্সরড) এটাকে মূলত এফিলিয়েট অ্যাডভার্টাইজিং বলে।

অ্যাফিলিয়েট বিজ্ঞাপনের জন্য আপনাকে যা করতে হবে তা হল-

আপনার প্রথমে এফিলিয়েট বিজ্ঞাপন প্রোগ্রামগুলি অনুসন্ধান করতে হবে, তারপর সেখানে সাইন আপ করুন। সাইন আপ করার পরে আপনি বিভিন্ন বিজ্ঞাপন সম্পর্কিত উপকরণ এবং সরঞ্জাম সহ একটি অনন্য আইডি পাবেন। এই বিভিন্ন ব্যবহারকারীর মাধ্যমে আপনার একাউন্টে টাকা জমা হবে।

অ্যাফিলিয়েট অ্যাডভার্টাইজিং

প্রোগ্রামের জন্য আলাদা আইডি খুলতে ভুলবেন না, কারণ প্রতিটি এড এর জন্য আলাদা আইডি প্রয়োজন। উঠে পড়ে আপনার আয়ের কাজ খুব দ্রুত সম্পন্ন হবে এবং ব্যবহারকারীরা তাদের পছন্দের বিজ্ঞাপন খুঁজে পেতে সক্ষম হবেন। যত বেশি লোক আপনার বিজ্ঞাপন দেখবে, আপনি তত বেশি টাকা ইনকাম করতে পারবেন। সেজন্য বিজ্ঞাপনের বিষয়কে অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত যাতে আপনি আপনার পোস্টে ক্লিক করে অ্যাফিলিয়েট কিছু কেনার সাথে সাথেই উপার্জন শুরু করতে পারেন।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং

এটি এক ধরনের বিজ্ঞাপন পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে, বিভিন্ন কোম্পানি তাদের পণ্যের প্রচার ও বিক্রয় বৃদ্ধির জন্য কমিশনের জন্য বিভিন্ন ব্লগার, সেলিব্রিটি বা প্রভাবশালীদের নিয়োগ করেন। তারা গ্রাহকদের কাছে কোম্পানির পণ্যগুলি হাইলাইট করে এবং কয়ের জন্য তাদের পরামর্শ দেয়।

এটি করার মাধ্যমে, গ্রাহকরা যখন সেই পণ্যগুলি কেনেন, তখন ব্লগার, সেলিব্রিটি বা প্রভাবশালীরা কোম্পানির কাছ থেকে কেনা পণ্যের বাজার মূল্য থেকে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ কমিশন পান। ফেসবুকে মার্কেটিং করে ইনকাম করার মতো কয়েকটি অ্যাপ্লিয়ার প্রোগ্রামের নাম নিচে উল্লেখ করা হলো:

অনলাইন অথবা ফেসবুকে বিজনেস

ফেসবুকেও আপনি ইচ্ছা করলে অনলাইন শপ প্রতিষ্ঠা করতে পারেন। আপনার এই শপটি বিভিন্ন ধরনের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের হতে পারে। যেমনঃ কসমিউটিক্স, জুয়েলারি, কাপড়, ঘড়ি, ব্যাগ, হ্যান্ডি, জুতা, ঘর সাজানোর আসবাবপত্র ইত্যাদি। কিন্তু এটা করতে আপনাকে প্রথমে ফেসবুকে পেজ অথবা গ্রুপ খুলতে হবে যেন আপনার গ্রাহকরা আপনার পণ্য সম্পর্কে প্রতিটা সময় অবগত থাকে।

প্রায় প্রতিদিন আপনার পণ্যগুলোর কালেকশন এবং মান সম্পর্কিত ছবি (ডিটেইলস) সহ উক্ত পেজ, আইডি অথবা গ্রুপে আপলোড করতে হবে। এতে করে আপনার অডিয়েন্সরা অন্য কয়ের ব্যাপারে উৎসাহিত হবে। আর আপনি চাইলে পেমেন্টের জন্য অনলাইন পেমেন্ট এবং ক্যাশ অন ডেলিভারি পেমেন্টের ব্যবস্থা রাখতে পারেন। এটার মাধ্যমে আপনার পণ্য সম্পর্কে অডিয়েন্সের আস্থা তৈরি হবে।

এছাড়াও আপনি ইচ্ছা করলে ফেসবুকের কোন অনলাইন শপে সেলসম্যান হিসেবেও কাজ করতে পারবেন। ফেসবুকে বিভিন্ন ধরনের কোম্পানি তাদের পণ্য অনলাইনে বিক্রি করেন। সেজন্য তারা অনলাইনের মাধ্যমে এমন কিছু লোক নিয়োগ দেয় যারা সেল বাড়াতে বিশেষ সাহায্য করে থাকে এবং কে তাদের সকল প্রশ্নের উত্তর দিয়ে তাদেরকে পূর্ণ বলি কিনতে অনেক উৎসাহিত করে থাকে।

ফেসবুক অ্যাপ

ফেসবুক এক অনন্য সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিয়েছে প্রোগ্রামার, ওয়েব ডিজাইনার এবং গেম ডেভলপারদের জন্য। কেননা এই ফেসবুকের জন্য বিভিন্ন ধরনের অ্যাপ তৈরি করলে সেটার ব্যবহারকারীদের ওপর পুরোপুরি নির্ভর করবে আপনার আয়। আর এভাবেই আপনি চাইলে ফেসবুকে গেম ডেভেলপ করেও আপনার আয় ইনকামের রাস্তাটা নিশ্চিত করতে পারেন।

ফেসবুকে গেম যখন চালু হয়েছিল তখনকার সময়ে একটি কোম্পানির গেম অনেক জনপ্রিয়তা পেয়েছিল, আর সেই কোম্পানির নাম হচ্ছে "জিংগা" এবং সেই গেমটির নাম ছিল "ফার্মভিল"। সেজন্য আপনিও ইচ্ছা করলে আপনার কোন ডেভেলপ করা গেম কে "জিংগা"- "রেভিও পপক্যাপ" নামক কোম্পানিগুলির সাথে ফেসবুকের প্ল্যাটফর্মে আপলোড করে আয় করতে পারেন।

অ্যাকাউন্ট ফর সেল

বর্তমান সময়ে যারা নতুন নতুন ফেসবুকে ব্যবসা শুরু করতে চাই তাদের মধ্যে অনেকেই আগের পুরাতন জনপ্রিয় একাউন্ট কেনার জন্য খোঁজ করে থাকে। এতে তাদের গ্রাহকের জন্য খুব একটা কষ্ট করতে হয় না। তারা অনেক সহজেই এবং অনেক অল্প সময়ের মধ্যেই তাদের ব্যবসা শুরু করে দিতে পারে।
তাই আপনি যদি ভাবেন, আপনার ফেসবুক পেজ অথবা একাউন্টের অনেক জনপ্রিয়তা আছে, অনেক ফলোয়ার, অনেক লাইক কমেন্ট ভিউ প্রতিনিয়ত আসে এবং মানুষজন আপনার পোস্ট বা কনটেন্ট অনেক পছন্দ করে থাকে তবে আপনিও এই অ্যাকাউন্টটি বিক্রি করে দিতে পারেন আপনার আয়ের উদ্দেশ্যে।

ক্রয় এবং বিক্রয়

আপনার পুরানো বাড়ির ফোন ঠিক করতে ক্লান্ত? এখন ফেসবুকে বিক্রি করুন। ফেসবুকে এ ধরনের পুরনো জিনিস কেনা বেচা করার জন্য অনেক গ্রুপ ও পেজ পেয়ে যাবেন। সেখানে আপনি আপনার পুরানো যে কোন অপ্রয়োজনীয় জিনিস বিক্রি করতে পারেন যা অন্য কারো প্রয়োজন।

এর জন্য আপনাকে বেশি কিছু করতে হবে না, আপনি যে আইটেমটি বিক্রি করতে চান তার একটি ছবি তুলুন এবং একটি ছোট বিবরণ এবং মূল্যসহ গ্রুপে আপলোড করুন। যাইহোক... যে ব্যক্তি এটি পছন্দ করবে সে আপনাকে কমেন্ট বা ইনবক্স করবে এবং তারপর যদি চুক্তি ঠিক হয় তবে লেনদেনটি সম্পন্ন করুন। লেনদেনের সময় গ্রাহক এবং লেনদেনের উপায় সম্পর্কে সতর্ক থাকুন।

ফেসবুক পেজ থেকে টাকা ইনকাম করার নিয়ম

ফেসবুক পেজ থেকে টাকা ইনকাম করার নিয়ম সম্পর্কে অনেকেই জানতে চাই। তাই আমি এখন আপনাদের সামনে তুলে ধরবো ফেসবুক পেজ থেকে টাকা ইনকাম করার নিয়ম গুলো সম্পর্কে। আপনি চাইলে ৬টি উপায়ে ফেসবুক পেজ থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আর গুরুত্বপূর্ণ সেই ৬টি উপায় নিচে আলোচনা করা হলোঃ

১। ইন-স্ট্রিম অ্যাডের সাহায্যে ফেসবুক পেজ থেকে টাকা ইনকাম

ফেসবুক ভিডিওর মধ্যে যেই বিজ্ঞাপনগুলি থাকে এগুলি দর্শকদের অনেক আকর্ষণীয় করে তোলে। ইন-স্ট্রিম অ্যাড ফেসবুক ফিটের যেকোনো স্বতন্ত্র বিজ্ঞাপনের চাইতেও অধিক কার্যকর কারণ স্বতন্ত্র বিজ্ঞাপন গুলি স্কিপ করে চলে যাই। কিন্তু ইন-স্ট্রিম অ্যাড গল্প আকারে উপস্থাপনা করাতে হয়। ফেসবুক পেজের সকল শর্তগুলো মেনে এক মিনিটের অধিক দীর্ঘ বিজ্ঞাপন হতে হবে। ইন-স্ট্রিম অ্যাড চালানোর জন্য ফেসবুক পেজটিতে অন্তত ১০ হাজার বেশি ফলোয়ার থাকতে হবে।

২। পেইড ইভেন্ট তৈরি করে ফেসবুক পেজ থেকে টাকা ইনকাম

ফেসবুক পেজে টাকার বিনিময়ে একটি পেইড ইভেন্ট তৈরি করার মাধ্যমে সেটি পরিচালনা করেও ইনকাম করা যায়। মূলত পেইড ইভেন্টের মাধ্যমে ফেসবুক পেজ দিয়ে ইভেন্টের সময়সূচি নির্ধারণ করে পরিচালনা করতে পারবেন। সেজন্য প্রথমেই আপনাকে ফেসবুকের ইভেন্টের ফিউচারটি চালু করতে হবে। তারপর নতুন ইভেন্ট তৈরি করতে ইভেন্ট ট্যাবটিতে ক্লিক করতে হবে। ইভেন্ট ট্যাবে ক্লিক করা হয়ে গেলে ইভেন্ট অপশন সিলেক্ট করে এর মূল্য এবং অন্য কোন হোস্টেল ইনফরমেশন দিয়ে ফরম পূরণ করতে হবে। সাধারণত এভাবেই আপনি পেড ইভেন্ট এর সাহায্যে ইনকাম করতে পারবেন।

৩। পেইট সাবস্ক্রিপশন বাড়িয়ে ফেসবুক পেজ থেকে টাকা ইনকাম

ফেসবুক পেজে টাকার বিনিময়ে সাবস্ক্রিপশন (Subscription) বাড়িয়েও টাকা ইনকাম করা যায়। এই সুবিধাটি বর্তমানে শুধু ফেসবুক ইনভাইটেশন (Invitation) ফিচারের সাহায্যে পাওয়া যায়। আর এই সুবিধাটি পাওয়ার জন্য ১০ হাজার অথবা ২৫০ জনের অধিক রিটার্ন ভিউয়ার কিংবা ৫০ হাজার পোস্ট এনগেজমেন্ট অথবা ১ লাখ ৮০ হাজার ওয়াচ টাইম থাকতে হবে।

৪। ব্লক প্রচার করে ফেসবুক পেজ থেকে টাকা ইনকাম

যদি আপনার কোন ব্লগিং ওয়েবসাইট থেকে থাকে তবে আপনি তার ফেসবুক পেজের মাধ্যমে প্রচার-প্রচারণা করতে পারেন। সাধারণত যারা ব্লগের সঙ্গে সম্পৃক্ত তারা জানেন ব্লগিংয়ের সম্পূর্ণ ইনকাম হয়ে থাকে ট্রাফিকের ওপর ভিত্তি করেই। তাই আপনি চাইলে খুব সহজেই ফেসবুক পেজের মাধ্যমে ব্লগের ট্রাফিক বাড়াতে পারবেন।

৫। ব্র্যান্ডের সঙ্গে কাজ করে ফেসবুক পেজ থেকে টাকা ইনকাম

ফেসবুক পেজের রিচ বাড়াতে অথবা নতুন নতুন আকর্ষণীয় কন্টেন্ট পাওয়ার জন্য প্রাসঙ্গিক অন্য কারো সাথে কাজ করে টাকা ইনকাম করতে পারেন। নতুন নতুন ভিওয়ার্স প্রান্তে এবং ব্র্যান্ডের প্রচার বাড়াতে অনেক কোম্পানি, নির্মাতা এবং বিভিন্ন ধরনের ব্যান্ড রয়েছে, যাদের অনেক বেশি ফলোয়ার সংখ্যা রয়েছে, সে সকল কোম্পানি তাদের সাথে কাজ করতে চাই। সে সঙ্গে আপনিও কাজ করে টাকা ইনকাম করার পাশাপাশি সেই সকল কোম্পানির সঙ্গে কাজ করার আগে তাদেরকে অ্যাক্সেস-এর জন্য অনুরোধ করতে পারেন।

৬। ফলোয়ারদের অনলাইন স্টোরে নিয়ে যেয়ে ফেসবুক পেজ থেকে টাকা ইনকাম

সোশ্যাল কমার্স ফিচারটির মাধ্যমে আপনি আপনার ভিউয়ার্সদের সরাসরি অনলাইন স্টোরে নিয়ে যেতে পারবেন। আপনারা যারা ফেসবুকের মাধ্যমে ছোটখাটো একটি ব্যবসা শুরু করতে চাচ্ছেন। এই মাধ্যমটি তাদের জন্য অনেক উপযুক্ত মাধ্যম হতে পারেন। আপনি চাইলে যারা ফেসবুক ব্যবহার করে শুধুমাত্র টাইম পাস করার জন্য তাদেরকে সহজেই অ্যাড দেখিয়ে পণ্যটি কেনার আগ্রহ বানাতে পারেন।

তবে এর জন্য আপনাকে ফেসবুকে ক্যাটালগ ম্যানেজার এ ক্যাটালগ যোগ করতে হবে। এবং একটি ভিডিও পোস্ট করে তার সাথে সেই পণ্যের লিংক এড করতে হবে। লাইভ স্ট্রিমিং চলাকালীন সময়েও পণ্যটির লিংকিং করতে পারবেন।

ফেসবুকে কত ফলোয়ার হলে টাকা পাওয়া যায়

ফেসবুকে কত ফলোয়ার হলে টাকা পাওয়া যায় জানতে পোস্টের এই অংশটুকু পড়তে থাকুন। আসলে ফেসবুক থেকে টাকা আয়ের একটি ভালো মাধ্যম হচ্ছে ফেসবুকের অফিসিয়াল ব্র্যান্ড কলাবরেশন প্রোগ্রামে যোগ দেওয়া। কিন্তু আপনি যদি অফিশিয়াল পার্টনারশিপ প্রোগ্রামে যোগ দিতে চান তাহলে আপনার ফেসবুক পেজে অবশ্যই ১ হাজার ফলোয়ার লাগবে।
ফেসবুকের লাইভ স্ট্রিমিং অথবা ভিডিওর সময় দেখানো বিজ্ঞাপন গুলোর মাধ্যমেও টাকা ইনকাম করা যায়। আসলে এর মাধ্যমে বেশি টাকা ইনকাম করা সম্ভব। তবে এর জন্য আপনার গত ৬০ দিনে প্রায় ৬,০০,০০০ লাখ মিনিটের ভিউ টাইম প্রয়োজন হবে। আশা করি এতক্ষণে আপনি বুঝতে পেরেছেন ফেসবুকে কত ফলোয়ার হলে টাকা পাওয়া যায়।

ফেসবুকে কত ভিউ কত টাকা

ফেসবুকে কত ভিউ কত টাকা জানতে পোস্টটের এই অংশটুকু পড়তে থাকুন। অনেক ধরনের ছোট বড় কোম্পানি অথবা প্রতিষ্ঠান আছে যারা ফেসবুক এ তাদের কোম্পানির অথবা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দেখাতে ফেসবুক প্রতিষ্ঠানকে টাকা দেয়। এরমধ্যে অনেক কোম্পানি অথবা প্রতিষ্ঠান বড় অংকের টাকা দিয়ে থাকে ফেসবুক প্রতিষ্ঠান দিয়ে তাদের বিজ্ঞাপন দেখানোর জন্য। এছাড়াও পিছু পিছু কোম্পানি অথবা প্রতিষ্ঠান কম টাকা দেয় তাদের বিজ্ঞাপন দেখানোর জন্য।

আর ফেসবুক তখন ওই সকল কোম্পানি অথবা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপনগুলি পেজের বিভিন্ন ধরনের ভিডিওতে দেখিয়ে থাকে। যে কোম্পানি ফেসবুকে বেশি টাকা দিয়েছে সেই কোম্পানির বিজ্ঞাপন দেখালে ভিডিও থেকে বেশি টাকা আয় হয়ে থাকে। আবার যে কোম্পানি ফেসবুক কে কম টাকা দিয়েছে সেই কোম্পানির বিজ্ঞাপন দেখানোর জন্য, যখন সেই কোম্পানির বিজ্ঞাপন গুলি ভিডিওতে দেখানো হয় তখন মূলত কম টাকা আয় হয়ে থাকে।

কখনো কখনো দেখা যায় ১ লাখ ভিউতে ১০ হাজার টাকা আয় হতে। আবার দেখা যায় কখনো কখনো ১ লাখ ভিউতে ৫ হাজার টাকা আয় হতে। এছাড়াও অনেকে জানতে চায় ফেসবুকে ১ মিলিয়ন ভিউ হলে কত টাকা পাওয়া যায়?। আমি আশা করছি আপনাদের এই প্রশ্নের উত্তর আপনারা নিজে নিজেই পেয়ে যাবেন। আসলে এটা সম্পূর্ণ নির্ভর করবে ভিডিওতে দেওয়া বিজ্ঞাপনের উপরে। যদি বেশি টাকার বিজ্ঞাপন হয় তাহলে বেশি টাকা আয় হবে। আর যদি কম টাকার বিজ্ঞাপন হয় তাহলে কম টাকা আয় হবে। আশা করি আপনি এতক্ষণে বুঝতে পেরেছেন ফেসবুকে কত ভিউ কত টাকা।

শেষ কথাঃ কিভাবে ফেসবুকে প্রতিদিন 500 আয় করা যায়?

কিভাবে ফেসবুকে প্রতিদিন 500 আয় করা যায়? এতক্ষণ ধরে আমি ডিটেইলস তথ্য আপনাকে জানিয়ে দিয়েছি। এবং আশা করছি আপনিও আজ থেকেই ঘরে বসে ফেসবুকে প্রতিদিন ৫০০ টাকা আয় করতে পারবেন। কিন্তু আপনাকে বলে রাখা ভালো আপনি যদি ফেসবুক থেকে আয় করতে চান তাহলে ধৈর্য হারালে চলবে না আপনাকে প্রতিদিন ধৈর্য ধরে কাজ করতে হবে তবেই আপনি ফেসবুক থেকে প্রতিদিন ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবেন।
আমাদের মধ্যে অনেকে আছেন যারা কিছুদিন চেষ্টা করার পর হাল ছেড়ে দেয়, কিন্তু আপনাকে আমি বলে রাখছি আপনি যদি হাল না ছেড়ে ধৈর্য ধরে নিয়মিত ফেসবুকে যেগুলো মাধ্যম আমি বলে দিয়েছি এর মাধ্যম অনুযায়ী কাজ করেন তাহলে অবশ্যই আপনি ফেসবুকে প্রতিদিন ৫০০ টাকা বা তার থেকেও বেশি টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আজকের এই পোস্টটি আপনার কাছে গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে অবশ্যই আপনি আপনার বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করে দিবেন। এতক্ষণ আমার সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আসসালামু আলাইকুম।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সাগর ম্যাক্স এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url