দুবাই কোন কাজের চাহিদা বেশি - দুবাই সর্বনিম্ন বেতন কত
সৌদি আরবের কোম্পানি নাম - সৌদি আরবের শহর গুলোর নামদুবাই কোন কাজের চাহিদা বেশি এবং দুবাই সর্বনিম্ন বেতন কত তা জানতে আমার সাথেই থাকুন। কারণ আমি এখন আপনাকে জানাবো দুবাই কোন কাজের চাহিদা বেশি এবং দুবাই সর্বনিম্ন বেতন কত সে বিষয়ে। এর পাশাপাশি এটাও জানাবো দুবাই কোন কাজের বেতন কত। অর্থাৎ আজকের পোস্টটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে।
তাই ধৈর্য ধরে সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ার চেষ্টা করুন। আশা করি আপনি যদি দুবাই কোন কাজের উদ্দেশ্যে যেতে চান তাহলে আজকের এই পোস্টটি আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ হবে। তাহলে চলুন আর দেরি না করে এখনই জেনে নিন দুবাই কোন কাজের চাহিদা বেশি ও দুবাই সর্বনিম্ন বেতন কত এবং দুবাই কোন কাজের বেতন কত?
পোস্ট সূচিপত্রঃ দুবাই কোন কাজের চাহিদা বেশি - দুবাই সর্বনিম্ন বেতন কত
- ভূমিকা
- দুবাই কাজের সন্ধান
- দুবাই কোন কাজের চাহিদা বেশি
- দুবাই কোন কাজের বেতন বেশি
- দুবাই সর্বনিম্ন বেতন কত
- দুবাই কোন কাজের বেতন কত
- দুবাই কোম্পানি ভিসা বেতন কত
- দুবাই হোটেল ভিসা বেতন কত
- দুবাই ড্রাইভিং ভিসা বেতন কত
- দুবাই ইলেকট্রিক কাজের বেতন কত
- দুবাই ওয়েল্ডিং কাজের বেতন কত
- দুবাই ক্লিনারের বেতন কত
- দুবাই যেতে কত টাকা লাগে
- দুবাই ভিজিট ভিসা কত টাকা
- ভারত থেকে দুবাই যেতে কত টাকা লাগে
- দুবাই থেকে ইতালি যেতে কত টাকা লাগে
- উপসংহার
ভূমিকা
আমাদের দেশ থেকে অনেকেই জানতে চায়, দুবাই কাজের সন্ধান, দুবাই কোন কাজের চাহিদা বেশি, দুবাই কোন কাজের বেতন বেশি, দুবাই সর্বনিম্ন বেতন কত, দুবাই কোন কাজের বেতন কত, দুবাই কোম্পানি ভিসা বেতন কত, দুবাই হোটেল ভিসা বেতন কত, দুবাই ড্রাইভিং ভিসা বেতন কত, দুবাই ইলেকট্রিক কাজের বেতন কত, দুবাই ওয়েল্ডিং কাজের বেতন কত, দুবাই ক্লিনারের বেতন কত, দুবাই যেতে কত টাকা লাগে, দুবাই ভিজিট ভিসা কত টাকা, ভারত থেকে দুবাই যেতে কত টাকা লাগে, দুবাই থেকে ইতালি যেতে কত টাকা লাগে তা সম্পর্কে।
সেজন্যই মূলত আমি এইসব প্রশ্নের উত্তর দিতে আজকের এই পোস্টটি সাজিয়েছি। তাই আপনারা যদি এসব বিষয় সম্পর্কে জানার অনেক আগ্রহ থাকে তাহলে আমার সাথেই থাকুন। কারণ আমি আজকে আপনাকে বিস্তারিতভাবে এ সকল প্রশ্নের উত্তর জানিয়ে দেবো। আশা করি আজকের এ সকল তথ্যগুলো জানার মাধ্যমে আপনি অনেক উপকৃত হবেন। তাহলে চলুন শুরু করা যাক-
দুবাই কাজের সন্ধান
বর্তমান সময়ে অসংখ্য বাংলাদেশি আরব আমিরাতের বিভিন্ন শহরে কাজ করছেন। বড় শহর হবার জন্য এবং ধনী দেশ হওয়ায় এখানে কাজ পাওয়া বেশ কঠিন। কিন্তু প্রত্যেকটি কাজের বেতন আমাদের দেশের থেকে অনেক বেশি হওয়ার কারণে অসংখ্য মানুষ আরব আমিরাতের বড় একটি শহর দুবাই কাজ করতে আগ্রহী থাকেন। সেজন্য অনেকেই দুবাই কাজের সন্ধান পেতে বিভিন্ন ধরনের পন্থা অবলম্বন করে। একটি বহুল কাঙ্খিত বিষয় হলো দুবাই জব ফর বাংলাদেশি।
দুবাইতে চাকরির বাজার সম্পর্কে সঠিক ধারণা না থাকার ফলে অনেক মানুষ ভুল পথে দুবাই যেতে চায়। সেজন্য আপনি কোন স্থানে চাকরি করতে চাইলে সবার প্রথম সেই স্থানের চাকরির বাজার ও খরচ এবং অন্যান্য সব বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে রাখা উচিত। কেননা আপনি যদি অন্ধের মতো কোন স্থানে চাকরি করতে চান, তাহলে আপনার সফল হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যাবে।
সেজন্য সবার আগে নিজের দক্ষতা অনুযায়ী সবদিক বিচার বিবেচনা করার পর বিদেশে চাকরির জন্য যাবার পরিকল্পনা করা উচিত। দুবাইতে চাকরি করার জন্য দুবাই চাকরির খবর সঠিকভাবে জেনে নিয়ে নিজে থেকে চেষ্টা করা প্রয়োজন। এক্ষেত্র যেকোনো দালাল অথবা অন্যান্য বিভিন্ন অবৈধ পন্থা থেকে বিরত থেকে আপনি আপনার নিজের দক্ষতা অনুযায়ী চাকরি খোঁজার চেষ্টা করুন।
সেজন্য আমি এখন আপনাকে নিচের অংশ থেকে জানিয়ে দেবো দুবাই কোন কাজের চাহিদা বেশি এবং দুবাই কোন কাজের বেতন বেশি। এতে করে আপনার বুঝতে সুবিধা হবে যে আপনার কোন কাজের উপর বেশি অভিজ্ঞতা রয়েছে এবং আপনি কোন কাজ করে খুব তাড়াতাড়ি প্রতিমাসে বেশি টাকা উপার্জন করতে পারবেন।
দুবাই কোন কাজের চাহিদা বেশি
দুবাইতে বিভিন্ন ধরনের কাজ রয়েছে এগুলোর কাদের চাহিদা দুবাইয়ে সব সময় বেশি থাকে। আসলে দুবাইয়ে যে সকল কাজের চাহিদা বেশি সে সকল কাজের বেতনও অনেক বেশি। আবার যেসব কাজের চাহিদা বেশি সেসব কাজের প্রতিযোগিতাও অনেক। তাই দুবাই যাওয়ার আগে আপনাকে অবশ্যই দেশ থেকে ভালোভাবে কাজ শিখে যেতে হবে তবেই আপনি দুবাই এ গিয়ে তাড়াতাড়ি কাজও পাবেন এবং বেতনও পাবেন অনেক বেশি। দুবাইতে সব থেকে কাজের চাহিদা বেশি রয়েছে-
- ড্রাইভিং
- ওয়েল্ডিং
- প্লাম্বিং
- কনস্ট্রাকশন
- হোটেল বয়
- ইলেকট্রনিশিয়ান
- ক্লিনার, ইত্যাদি।
সুতরাং বিশেষ দক্ষতার কাজগুলির ক্ষেত্রে দুবাইয়ে বেশ চাহিদা রয়েছে। সাধারণত যদি আপনি ড্রাইভিং, কনস্ট্রাকশন অথবা ইলেকট্রিক্যাল বিভিন্ন কাজের ক্ষেত্রে অভিজ্ঞ হয়ে থাকেন তাহলে দুবাইয়ে আপনার চাহিদা হবে সবচেয়ে বেশি। দুবাইতে এইসব কাজের জন্য প্রচুর পরিমাণে অভিজ্ঞ লোকের দরকার হয়ে থাকে। শুধু তাই নয় লেবার অথবা শ্রমিক হিসেবেও দুবাইয়ে প্রচুর পরিমাণে কাজ রয়েছে। কিন্তু এ সকল কাজের জন্য সুস্থ সবল হওয়া প্রয়োজন, কেননা এ সকল কাজ গুলো শারীরিক পরিশ্রমের কাজ হয়ে থাকে।
চাহিদা এবং বেতন অনুযায়ী দুবাইয়ে কনস্ট্রাকশনের কাজগুলি অত্যন্ত ভালো হয়। কারণ এ সকল কাজ কিছুটা কঠিন এবং বিশেষ দক্ষতার প্রয়োজন হয়। তবে দুবাইয়ে প্রতিনিয়তই বিভিন্ন ধরনের নতুন নতুন দালান ও স্থাপনা নির্মিত হয়ে থাকে সেজন্য এই কাজে সবসময়ই জনবল দরকার হয়। সুতরাং দুবাইয়ে আপনি চাইলে শ্রমিক অথবা উপরের উল্লেখিত বিশেষায়িত কাজের জন্য যেতে পারেন। আপনি যদি শ্রমিক হিসেবে কাজ করতে চান তাহলে আপনাকে সুস্থ সবল হতে।
এছাড়া আপনি যদি অন্যান্য কাজ করতে চান তাহলে আপনার দক্ষতা বাড়ানো অত্যন্ত জরুরী। কেননা আপনি যদি সঠিক দক্ষতা অর্জন করতে পারেন এবং অভিজ্ঞতা হয়ে থাকেন তাহলে দুবাইতে কাজ পাওয়া আপনার জন্য খুবই সহজ হয়ে যাবে। অর্থাৎ আপনি যদি দুবাইতে কাজের সন্ধানে যেতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই আগে থেকেই দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা অর্জন করে তারপর যেতে হবে।
তাছাড়াও ক্লিনার এবং হোটেল বয়ের কাজের জন্য অনেক কোম্পানি ভালো বেতনে শ্রমিক নিয়োগ দিয়ে থাকে, কিন্তু সে ক্ষেত্রেও আপনার কিছুটা অভিজ্ঞতার প্রয়োজন পড়বে। তবেই আপনি দুবাইয়ে গিয়ে ভালো চাহিদা সম্পন্ন কাজ করে, প্রতিমাসে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আশা করি আপনি এতক্ষণে বুঝতে পেরেছেন দুবাই কোন কাজের চাহিদা বেশি।
দুবাই কোন কাজের বেতন বেশি
দুবাই হোক বা অন্য কোন জায়গা হোক সবার আগে বেতনটাই খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেননা আমরা টাকার জন্যই প্রবাস জীবন বেছে নেই। তাই আমাদেরকে সবার আগে জানতে হবে দুবাই কোন কাজের বেতন বেশি। দুবাই কোন কাজের বেতন বেশি এই কথা যদি বলতে যায় তাহলে সবার আগে বলতে হবে ড্রাইভিং, প্লাম্বিং, হোটেল বয় এবং ইলেকট্রিশিয়ান-এর কাজগুলোর কথা, কেননা দুবাইতে এই সকল কাজের বেতন সবচেয়ে বেশি হয়ে থাকে।
কিন্তু আপনাকে আগেই বলে রাখা ভালো আমি শুধুমাত্র এখানে কাজের ভিসা নিয়ে যারা দুবাই যায় তাদের জন্য বেতনের পরিমাণ তুলে ধরেছি। সেক্ষেত্রে তারা তাদের ডাক্তার, হিসাব রক্ষক, কোম্পানি ম্যানেজার, ইঞ্জিনিয়ার ইত্যাদি এগুলোর বেতন অনেক বেশি হয়ে থাকে দুবাইতে। তবে আমি যেসব কাজে বেতনের পরিমাণ আপনাকে বেশি বলেছি সেগুলো হলো কাজের ভিসার বেতন। অর্থাৎ দুবাই ড্রাইভিং ভিসা নিয়ে গেলে প্রতিমাসে আপনার বেতন হবে প্রায় ৬০ হাজার টাকার উপরে।
প্রথম অবস্থাতে আপনি প্রতি মাসে ৬০ হাজার টাকা পেয়ে যাবেন। পরবর্তীতে আস্তে আস্তে আপনার বেতন আরো বৃদ্ধি পাবে। আর আপনি যদি লামবিন কিংবা ইলেকট্রিশিয়ান-এর কাজ ভালো পারেন, তবে প্রতিমাসে আপনার বেতন হবে ৭০,০০০ হাজার টাকার উপরে। আশা করি দুবাই কোন কাজের বেতন বেশি তা বুঝতে পেরেছেন। তাহলে চলুন এবার আমরা জেনে নেই দুবাই সর্বনিম্ন বেতন কত?
দুবাই সর্বনিম্ন বেতন কত
দুবাই সর্বনিম্ন বেতন কত? এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি নিয়েই পোস্টটির এই অংশে এখন আমি আপনার সামনে আলোচনা করব। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক দুবাই সর্বনিম্ন বেতন কত তা সম্পর্কে। আমাদের দেশ থেকে প্রতিবছর অনেকেই দুবাই কোম্পানির ভিসায় কাজের উদ্দেশ্যে যেতে চায় বা যায়। কারণ অন্যান্য দেশের তুলনায় দুবাই কোম্পানি ভিসায় যেতে পারলে অনেক সুযোগ সুবিধা পাওয়া যায়।
এছাড়াও দুবাই অন্যান্য দেশগুলোর চেয়ে উন্নত একটি দেশ সেজন্য সব ধরনের কাজে একটু বেশি সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যায়। বর্তমান সময়ে দুবাইতে অনেক ধরনের কোম্পানি রয়েছে কিন্তু একেক কোম্পানিতে একেক রকমের বেতন দেওয়া হয়ে থাকে। কিন্তু কথা হল আমাদের মধ্যে অনেকেই এখনো পর্যন্ত জানে না দুবাই সর্বনিম্ন বেতন কত হয়? সেজন্য এখন আমি সবার জানার উদ্দেশ্যে দুবাই সর্বনিম্ন বেতন ও সর্বোচ্চ বেতন কেমন হয়ে থাকে তা জানাবো।
তাহলে চলুন বন্ধুরা আর দেরি না করে আমরা এখনই জেনে নেই দুবাই সর্বনিম্ন বেতন ও সর্বোচ্চ বেতন কত তা সম্পর্কে।
- দুবাইয়ে একটি শ্রমিক-এর সর্বনিম্ন বেতন ৩৫,০০০ থেকে ৪০,০০০ হাজার টাকা পর্যন্ত।
- দুবাইয়ে একটি শ্রমিক-এর সর্বোচ্চ বেতন ১,০০,০০০ থেকে ১,১০,০০০ টাকা পর্যন্ত।
উপরে উল্লেখিত যে সর্বনিম্ন বেতন এবং সর্বোচ্চ বেতন আপনাকে জানালাম সেগুলো কিছুটা কম বেশি হতে পারে। কেননা দুবাইতে একেক কোম্পানির শ্রমিকের একেক বেতন নির্ধারণ করা হয়। তবে বেশিরভাগ কোম্পানিতেই সর্বনিম্ন বেতন ৩৫ থেকে ৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে এবং সর্বোচ্চ বেতন ১ লক্ষ টাকা থেকে ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। আশা করি দুবাই সর্বনিম্ন বেতন কত এবং দুবাই সর্বোচ্চ বেতন কত তা সম্পর্কে বুঝতে পেরেছেন। তাহলে চলুন এবার আমরা জেনে নেই দুবাই কোন কাজের বেতন কত?
দুবাই কোন কাজের বেতন কত
আপনাকে আমি ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছি দুবাই কোন কাজের চাহিদা বেশি। দুবাই কোন কাজের বেতন কত এ সম্পর্কে জানার আগে আপনাকে জানিয়ে দেবো দুবাইতে টাকার মান কি এবং দুবাইয়ের ১ দিরহাম আমাদের বাংলাদেশের কত টাকা হয়ে থাকে। আসলে দুবাইতে টাকার মান হল দিরহাম।
- দুবাইয়ের ১ দিরহাম = বর্তমানে বাংলাদেশের ৩১ টাকা ৮২ পয়সা।
- দুবাইয়ের ১০ দিরহাম = বর্তমানে বাংলাদেশের ৩১৮ টাকা ২০ পয়সা।
- দুবাইয়ের ১০০ দিরহাম = বর্তমানে বাংলাদেশের ৩,১৮২ টাকা।
- দুবাইয়ের ১,০০০ দিরহাম = বর্তমানে বাংলাদেশের ৩১,৮২০ টাকা।
তাহলে চলুন এবার আপনাকে জানাই দুবাই কোন কাজের বেতন কত টাকা।
দুবাই কোম্পানি ভিসা বেতন কত
দুবাই কোম্পানি ভিসা বেতন কত এটা জানার আগে আপনাকে প্রথমেই বলে রাখি বেতন সম্পূর্ণটাই নির্ভর করবে আপনার কাজের উপর। সাধারণত বাইরের রাষ্ট্রগুলিতে কাজের অভিজ্ঞতা অনুযায়ী বেতন নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। প্রায় প্রতিবছর দুবাই কোম্পানি থেকে সরকারিভাবে অনেক শ্রমিক নিয়োগ দেওয়া হয়। আমাদের অনেক বাংলাদেশী ভাই রয়েছেন যারা এই কোম্পানি ভিসা দুবাই যেতে চান।
তবে সঠিক বেতন না জানার ফলে অনেকেই অনলাইনের মাধ্যমে দুবাইয়ের কোম্পানিতে সঠিক কত টাকা বেতন দিয়ে থাকে এ তথ্যগুলি জানার চেষ্টা করে। সত্যি কথা বলতে যদি আপনার কাজের অভিজ্ঞতা ভালো হয় এবং দুবাইতে কোম্পানি ভিসায় যান, তাহলে আপনি প্রতিমাসে অনেক টাকা বেতন উত্তোলন করতে পারবেন। তাছাড়া কাজের ক্যাটাগরি অনুযায়ী আপনার বেতন কমবেশি হতে পারে।
- দুবাই কোম্পানি ভিসায় ড্রাইভিং-এর বেতন প্রতিমাসে (৬০-৮০) হাজার টাকা পর্যন্ত।
- দুবাই কোম্পানি ভিসায় ইলেকট্রিশিয়ানের বেতন (৭০-৮৫) হাজার টাকা পর্যন্ত।
- দুবাই কোম্পানি ভিসায় প্লাম্বিং-এর বেতন প্রতিমাসে (৭০-৯০) হাজার টাকা পর্যন্ত।
- দুবাই কোম্পানি ভিসায় কোনস্ট্রাকশননের বেতন প্রতিমাসে (৫০-৬৫) হাজার টাকা পর্যন্ত।
- দুবাই কোম্পানি ভিসায় ক্লিনারের বেতন প্রতিমাসে (৩০-৫০) হাজার টাকা পর্যন্ত।
দুবাই হোটেল ভিসা বেতন কত
অনেকেই দুবাইতে কাজের উদ্দেশ্যে অথবা ভ্রমণের উদ্দেশ্যে আসে। যারা ডুবাইতে ভ্রমণ করে তারা হোটেলগুলিতে থাকার জন্য হোটেল রুম ভাড়া নিয়ে থাকে। অনেকেই হোটেল প্যাকেজ এর মাধ্যমে টুরিস্টদের সার্ভিস প্রদান করে থাকে। যার জন্য হোটেল গুলোতে শিক্ষিত ব্যক্তিদের কাজের জন্য নিয়োগ দেওয়া হয়। তাই আপনি যদি হোটেল কোম্পানিতে চাকরি করতে চান তাহলে আপনার ইংরেজি ভাষা ভালো জানা থাকতে হবে। তবেই আপনি সেখানে গিয়ে ভালো মানের বেতনে চাকরি করতে পারবেন।
কারণ দুবাইতে বিভিন্ন দেশ থেকে অনেক টুরিস্ট আসে। তাদের সার্ভিস প্রদানের জন্য ভালো ইংরেজি ভাষা জানা আবশ্যক। আসলে হোটেলের জন্য অনেকগুলি কাজের ক্যাটাগরি রয়েছে। আর প্রতিটা পদেই দক্ষ এবং অভিজ্ঞ কর্মচারীদের নিয়োগ দেওয়া হয়। হোটেলের মান এবং আপনার কাজের ধরনের উপরে বেতন নির্ধারণ করা হবে।
উন্নত হোটেল গুলোতে প্রতিমাসে বাংলাদেশী টাকায় (৭০-৯০) হাজার টাকা পর্যন্ত দেওয়া হয়। এছাড়া সাধারণ মানের হোটেল গুলোতে প্রতিমাসে বাংলাদেশি টাকায় (৪০-৬০) হাজার টাকা পর্যন্ত দেওয়া হয়ে থাকে। আশা করি দুবাই হোটেল ভিসা কত টাকা বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন। তো চলুন এবার আমরা জেনে নিই দুবাই ড্রাইভিং ভিসা বেতন কত টাকা।
দুবাই ড্রাইভিং ভিসা বেতন কত
আমাদের দেশ থেকে অনেকেই আছেন যারা দুবাই ড্রাইভিং-এর কাজে যেতে চাই। কিন্তু অনেকেরই জানা নেই দুবাই ড্রাইভিং ভিসা বেতন কত টাকা। এটা সঠিকভাবে না জানার কারণে বাংলাদেশী অনেক ভাই দুবাই গিয়ে বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হয়ে থাকেন। কিন্তু তথ্যপ্রযুক্তির এই যুগে আপনি চাইলে ঘরে বসেই জানতে পারবেন দুবাই ড্রাইভিং ভিসা বেতন কত টাকা। তাহলে চলুন আর দেরি না করে আমরা এখনই জেনে নেই দুবাই ড্রাইভিং ভিসা সর্বনিম্ন এবং সর্বোচ্চ বেতন কত টাকা।
- দুবাই ডাইভিং ভিসা একজন ড্রাইভার-এর ৯৫ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত গড় বেতন হয়ে থাকে।
- দুবাই ড্রাইভিং ভিসায় একজন ড্রাইভার-এর (70-80) হাজার টাকা পর্যন্ত সর্বনিম্ন বেতন হয়ে থাকে।
- দুবাই ড্রাইভিং ভিসায় একজন ড্রাইভার-এর ১,৩০,০০০ থেকে ১,৪০,০০০ টাকা পর্যন্ত সর্বোচ্চ বেতন হয়ে থাকে।
দুবাই ইলেকট্রিক কাজের বেতন কত
বর্তমান সময়ে কারিগরি শিক্ষার মূল্যায়ন প্রায় সব জায়গাতেই অনেক বেশি। কেননা কেউ যদি কারিগরের দক্ষতা নিয়ে বিদেশে যাই তাহলে তার কাজের মান সবচেয়ে বেশি থাকে। তাছাড়া ও বিদেশীরা কারিগরি দক্ষ থাকে অনেক বেশি মূল্যায়ন করে থাকে। সেজন্য যখন কেউ বিদেশ যেতে চাই এবং যদি তার ইলেকট্রিশিয়ান কাজে দক্ষতা থাকে, অথবা পূর্বে কাজের অভিজ্ঞতা থাকে তাহলে তুলনামূলকভাবে তার বেতন অনেক বেশি হবে। সেক্ষেত্রে কেউ যদি দুবাই ইলেকট্রিক কাজের জন্য আসে তাহলে তার বেতন সাধারণত ১৫০০ দিরহাম থেকে ২৫০০ দিরহাম পর্যন্ত হবে। আশা করি আপনি এতক্ষণে বুঝতে পেরেছেন দুবাই ইলেকট্রিক কাজের বেতন কত টাকা তা সম্পর্কে।
দুবাই ওয়েল্ডিং কাজের বেতন কত
দুবাই এমন একটা দেশ যেখানে বিভিন্ন কোম্পানি থেকে সবচেয়ে বেশি ওয়েল্ডিং কোম্পানির রয়েছে দুবাইতে। আর বাংলাদেশে আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে কোন পূর্বের অভিজ্ঞতা নিয়ে আসেন, তাহলে আপনি দুবাইতে প্রথম অবস্থাতেই (১৩০০-১৪০০) দিরহাম পর্যন্ত বেসিক বেতন উত্তোলন করতে পারবেন। আবার আরো কিছু কোম্পানি রয়েছে যেগুলো বড় বড় ইন্টারন্যাশনাল কোম্পানি এ সকল কোম্পানিতে বেতন আরো বেশি দেওয়া হয়ে থাকে (১৫০০-১৬০০) দিরহাম পর্যন্ত বেসিক বেতন উত্তোলন করতে পারবেন।
এছাড়াও আপনার যদি ওয়েল্ডিং কাজের কোন অভিজ্ঞতা না থাকে তারপরও বাংলাদেশ থেকে যদি আপনি দুবাইতে যান তাহলে আপনার প্রথমের দিকে বেসিক বেতন হবে (৯০০-১০০০) দিরহাম পর্যন্ত উত্তোলন করতে পারবেন। তারপর যখন আপনার আস্তে আস্তে আরো অভিজ্ঞতা বাড়বে তখন আপনাকে বেতন এর থেকেও বেশি দেওয়া হবে। আপনি অবাক হবেন দুবাইতে সবচেয়ে ওভারটাইম বেশি হয় এই ওয়েল্ডিং কাজে। কারণ ওয়েল্ডিং কাজের অনেক ওভারটাইম হয়ে থাকে।
দুবাই ক্লিনারের বেতন কত
আসলে ক্লিনার বিভিন্ন ধরনের হতে পারে মার্কেট ক্লিনার, মসজিদ ক্লিনার, মেডিকেল ক্লিনার, স্কুল ক্লিনার ইত্যাদি যে কোন ক্লিনারের কাজ হতে পারে। এখন কথা হল আপনি কোন কোম্পানিতে কাজ করবেন এবং কোন কোম্পানি আপনাকে কত টাকা দিবে পুরোপুরি আপনার কাজের উপর নির্ভর করবে এর পাশাপাশি আপনার পূর্বে কাজের কোন অভিজ্ঞতা আছে কিনা তার উপর ভিত্তি করে আপনার বেতন নির্ধারণ করা হবে।
তবে দুবাইতে প্রথম অবস্থায় যারা বাংলাদেশ, নেপাল, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান, ইন্ডিয়া থেকে যারা আসে, এদের মধ্যে যারা ইংলিশে অনেক দক্ষ এবং ভালো ইংলিশ বলতে এবং বুঝতে পারে তাদের বেতন একটু বেশি ধরা হয়ে থাকে। যারা প্রথম অবস্থায় দুবাই ক্লিনার ভিসায় যায় তাদের বেতন (১০০০-১১০০) দিরহাম ধরা হয়ে থাকে। তবে কিছু কিছু কোম্পানিতে বেতন (১২০০-১৩০০) দিরহাম ধরা হয়ে থাকে। তবে বেশিরভাগ কোম্পানিতেই বেতন (১০০০-১১০০) দিরহাম ধরা হয়। আশা করি আপনি এতক্ষণে বুঝতে পেরেছেন দুবাই ক্লিনারের বেতন কত টাকা।
দুবাই যেতে কত টাকা লাগে
দুবাই যেতে কত টাকা লাগে? এই প্রশ্নটি অনেকেরই। তাই আমরা এখন সবার উদ্দেশ্যে জানাবো দুবাই যেতে কত টাকা লাগে। একটু বেশি টাকা ইনকামের আশায় সবাই প্রবাসী জীবন বেছে নেয়। তাই কোন এক দেশে যাওয়ার আগে সবাই সেই দেশে যাওয়ার আগে ভিসা খরচ এবং বিভিন্ন খরচ সম্পর্কে জানতে চাই। তাই আপনারা এখন এখান থেকে জেনে নিতে পারবেন দুবাই যেতে কত টাকা লাগে।
আসলে বন্ধুরা দুবাইয়ের ভিসার মধ্যে অনেকগুলি ক্যাটাগরি আছে। সেজন্য ক্যাটাগরি অনুযায়ী ভিসার দাম নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। তবে দুবাইয়ের ভিসা খরচ সর্বোচ্চ (৮-১০) লক্ষ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। তাই আপনার কাছে যদি ১০ লক্ষ টাকা থাকে তাহলে আপনি দুবাইয়ের যেকোনো ক্যাটাগরির ভিসা করতে পারবেন। আশা করি আপনারা এতক্ষণে বুঝতে পেরেছেন দুবাই যেতে কত টাকা লাগে।
দুবাই ভিজিট ভিসা কত টাকা
বর্তমানে আমাদের বাংলাদেশ থেকে অনেকেই দুবাই ভিজিট ভিসা যেতে চায়। সেজন্য মূলত আপনাদেরকে এখন জানাতে চলেছি দুবাই ভিজিট ভিসা কত টাকা। বাংলাদেশ থেকে আপনি চাইলে যদি কোন এজেন্সির সাহায্যে এই দুবাইয়ের ভিজিট ভিসা করতে পারবেন। তাই আপনি যদি কোন এজেন্সির সাহায্যে ভিজিট ভিসা করতে চান তাহলে আপনার খরচ হতে পারে (২-৩) লক্ষ টাকা। তবে সরকারি ভাবে যদি আপনি দুবাই ভিজিট ভিসা (Visa) পেয়ে যান, সেক্ষেত্রে আপনার খরচ হতে পারে (১-২) লক্ষ টাকা। আশা করি দুবাই ভিজিট ভিসা কত টাকা বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন।
ভারত থেকে দুবাই যেতে কত টাকা লাগে
ভারতীয় (7-10) হাজার টাকার মধ্যে 1 মাসের দুবাই ভিসা হয়ে যায়। আর 2 মাসের ভিসা (600-650) দিরহাম লাগে। আশা করি আপনি বুঝতে পেরেছেন ভারত থেকে দুবাই যেতে কত টাকা লাগে।
দুবাই থেকে ইতালি যেতে কত টাকা লাগে
দুবাই থেকে আপনারা যারা ইতালি যেতে চান তাদের খরচ অনেকটাই কম পড়বে। আপনি যদি দুবাই থেকে ইতালি যান তাহলে সুযোগ-সুবিধা পাবেন। যেমন ধরুন আমাদের বাংলাদেশে ইতালির ভিসা বের হতে অনেক সময় লেগে যায় তবে আপনি দুবাই থেকে ইতালি ভিসা খুবই কম সময়ের মধ্যেই বের করে নিতে পারবেন। ভিসা প্রসেসিং হওয়ার কয়েক দিনের মধ্যেই ইতালির ভিসা আপনি পেয়ে যাবেন। দুবাই থেকে ইতালি যেতে বাংলাদেশি টাকায় (৫-৬) লক্ষ টাকার মতো খরচ হতে পারে।
উপসংহার
দুবাই কোন কাজের চাহিদা বেশি এবং দুবাই সর্বনিম্ন বেতন কত এগুলো বিষয় নিয়ে আমি ইতিমধ্যেই আলোচনা করেছি। তাই যদি আপনি এখনো এই পোস্টটি সম্পূর্ণ না পড়েন, তাহলে এখনই পোস্টটি একবার সম্পূর্ণ পড়ে আসুন। আর যদি আপনি এই পোস্টটি সম্পন্ন করে থাকেন তাহলে নিশ্চয়ই আপনি বুঝতে পেরেছেন, দুবাই কোন কাজের চাহিদা বেশি এবং দুবাই সর্বনিম্ন বেতন কত টাকা। তবে আমরা এখান থেকে একটা জিনিস বুঝতে পেরেছি সেটা হল আমি যদি দুবাই যেতে চান তাহলে আপনাকে নিজ দেশ থেকেই ভালো কাজের অভিজ্ঞতা এবং ভালোভাবে ইংলিশ শিখিয়ে যেতে হবে।
তবেই আপনি দুবাই গিয়ে চাহিদা সম্পন্ন কাজ খুব সহজেই পেয়ে যাবেন এবং সেখান থেকে আপনি অনেক টাকা প্রতিমাসে উত্তোলন করতে পারবেন। এরকম আরো বিভিন্ন ধরনের তথ্য পেতে আমার সাথেই থাকুন, কারণ আমি এ ওয়েবসাইটে নিয়মিত বিভিন্ন ধরনের অজানা তথ্য সংগ্রহ করে নিয়মিত ব্লক পোস্ট বা আর্টিকেল পাবলিশ করে থাকি। ধৈর্য ধরে এতক্ষণ আমার সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আজকের এই পোস্টটি আপনার কাছে গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করে দিবেন। আসসালামু আলাইকুম।
সাগর ম্যাক্স এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url