সৌদি আরবে কোন কাজের চাহিদা ও বেতন বেশি
মোবাইল ঠান্ডা রাখার ৫টি সেরা সফটওয়্যারসৌদি আরবে কোন কাজের চাহিদা ও বেতন বেশি তা সম্পর্কে আপনারা নিশ্চয় জানতে চাচ্ছেন? তাই সৌদি আরবে কোন কাজের চাহিদা ও বেতন বেশি সে সম্পর্কে এখন আলোচনা করব। সৌদি আরবে কোন কাজের চাহিদা ও বেতন বেশি এ বিষয়টি জানার জন্য আপনাদেরকে আর্টিকেলটি সম্পন্ন পড়তে হবে।
আমাদের মধ্যে অনেক ভাই আছেন যারা প্রবাস যেতে চান, তাই এমন অনেক ভাই প্রবাস যাওয়ার জন্য সৌদি আরবকে বেছে নেয়। আর আপনিও যদি সৌদি আরব যেতে চান, তাহলে সৌদি আরবে কোন কাজের চাহিদা ও বেতন বেশি সে সম্পর্কে আপনার জেনে রাখা উচিত। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক সৌদি আরবে কোন কাজের চাহিদা ও বেতন বেশি।
পোস্ট সূচিপত্রঃ সৌদি আরবে কোন কাজের চাহিদা ও বেতন বেশি
- ভূমিকা
- সৌদি আরবে কাজ করে কত টাকা আয় করা যায়
- সৌদি আরবে কোন কাজের চাহিদা বেশি
- সৌদি আরবে প্লাম্বিং কাজ
- সৌদি আরবে ওয়েল্ডিং কাজ
- সৌদি আরবে অটোমোবাইল কাজ
- সৌদি আরবে ইলেকট্রিশিয়ান কাজ
- সৌদি আরবে এসি টেকনিশিয়ান কাজ
- সৌদি আরবে বেতন কত ২০২৪
- সৌদি আরবে কোন কাজের বেতন বেশি
- সৌদি আরব সম্পর্কিত কিছু প্রশ্ন উত্তর
- লেখকের মন্তব্য
ভূমিকা
সৌদি আরবে কোন কাজের চাহিদা ও বেতন বেশি তা সম্পর্কে আপনারা যারা জানতে চাচ্ছেন তারা অবশ্যই আর্টিকেলটি সম্পন্ন মনোযোগ সহকারে পড়বেন। কারণ এ আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা খুবই সুন্দরভাবে আলোচনা করেছি সৌদি আরবে কোন কাজের চাহিদা ও বেতন বেশি তা সম্পর্কে। বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে অনেকেই সৌদি আরবে গিয়ে অনেক অর্থ উপার্জন করছে। তাই আপনারা যদি তাদের মতো সৌদি আরবে গিয়ে অনেক অর্থ উপার্জন করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাদেরকে জানতে হবে সৌদি আরবে কোন কাজের চাহিদা ও বেতন বেশি। তাহলে চলুন বন্ধুরা আর দেরি না করে আমরা জেনে নেওয়ার চেষ্টা করি সৌদি আরবে কোন কাজের চাহিদা ও বেতন বেশি।
সৌদি আরবে কাজ করে কত টাকা আয় করা যায়
সৌদি আরবে কাজ করে কত টাকা আয় করা যায়? এ বিষয়টি অনেকেই জানতে চাই। মূলত তাদের উদ্দেশ্যে আমরা বলব সৌদি আরবের কাজ করে কত টাকা আয় করা যায় সে সম্পর্কে। আসলে সৌদি আরবে ইলেকট্রিশিয়ান, অটোমোবাইল, প্লাম্বিং, টেকনিশিয়ান, ওয়েল্ডিং কাজের সবচাইতে চাহিদা বেশি। সেজন্য এ সকল কাজের বেতন ও অন্যান্য কাজের তুলনায় একটু বেশি। এ সকল কাজে দক্ষতা অর্জন করে সৌদি আরব যেতে পারলে আপনি প্রতি মাসে অনেক ভালো পরিমাণ টাকা উপার্জন করতে পারবেন।
আরো পড়ুনঃ বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যাওয়ার উপায়
আপনার যদি দক্ষতা নাও থাকে তাহলেও সৌদি আরবে কাজ করে টাকা ইনকাম করা যায়। কিন্তু, সে ক্ষেত্রে আপনাকে ক্লিনার অথবা কোম্পানির কাজ করতে হবে। বেতন প্রথমের দিকে কম হলেও আস্তে আস্তে অভিজ্ঞতা অর্জন করলে পরবর্তীতে বেশি বেতনে কাজ করা যায়। কিন্তু, দেশ থেকে যেকোনো একটি কাজের উপর দক্ষতা অর্জন করে গেলে শুরুতেই বেশি বেতনে কাজ করা সম্ভব হবে সৌদি আরবে। থেকে প্রতিনিয়ত দক্ষ শ্রমিক নিয়োগ দেওয়া হয়ে থাকে। সেজন্য দক্ষ শ্রমিক হিসেবে সৌদি আরব যেতে চাইলে আপনার অবশ্যই যে কোন একটি কাজের উপর বিশেষ দক্ষতা অর্জন করতে হবে।
অদক্ষ শ্রমিক হিসেবে সৌদি আরবে আপনি যদি যান তাহলে ৮০০ থেকে ১২০০ রিয়াল অদ্বি ইনকাম করতে পারবেন। কিন্তু দক্ষতা অর্জন করে আপনি যদি সৌদি আরবে যেতে পারেন তাহলে আপনি প্রতি মাসে ১০০০ থেকে ১৫০০ রিয়াল অব্দি ইনকাম করতে পারবেন। সেজন্য আপনি ইলেকট্রিশিয়ান, অটোমোবাইল, প্লাম্বিং, টেকনিশিয়ান অথবা ওয়েল্ডিং এর কাজ শিখতে পারেন। কেননা বর্তমানে এ সকল কাজে সৌদি আরবে নিয়মিত চাহিদা বেড়েই চলেছে। তার ফলে আপনি এই কাজগুলো করে অনেক বেশি বেতন পাবেন।
সৌদি আরবে কোন কাজের চাহিদা বেশি
সৌদি আরবে বর্তমানে সবচেয়ে বেশি চাহিদা প্লাম্বিং, ইলেকট্রিশিয়ান, ওয়েল্ডিং, অটোমোবাইল এবং এসি টেকনিশিয়ান। সৌদি আরবে এ সকল কাজে প্রতিবছর ৫ হাজার দক্ষ কর্মী নেওয়ার কথা জানিয়েছেন সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ঈসা বিন ইউসুফ আল দোহাইলাম। সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ঈসা বিন ইউসুফ আল দোহাইলাম গত ৭ই ফেব্রুয়ারি ২০২৩ তিনি বলেছেন, থেকে বাংলাদেশ থেকে পাঁচটি খাতে পেশাদার এবং দক্ষ কর্মী নিয়োগ দেবে সৌদি আরব।
এগুলো হচ্ছে প্লাম্বিং, ইলেকট্রিশিয়ান, ওয়েল্ডিং, অটোমোবাইল এবং এসি টেকনিশিয়ান। অন্যান্য অদক্ষ কর্মে পাশাপাশি প্রতিবছর ৫ হাজার দক্ষ কর্মী নেওয়ার কথা বলেছেন তিনি। আমাদের রাজধানী ঢাকার সৌদি দূতাবাস জনশক্তি কর্মস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি-র) সঙ্গে দক্ষতা যাচাই কর্মসূচিতে এই চুক্তি স্বাক্ষর হয়। সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ঈসা বিন ইউসুফ আল দোহাইলাম আরো জানিয়েছেন, অদক্ষ শ্রমিকদের বেতন ৮০০ থেকে ১২০০ রিয়াল।
আরো পড়ুনঃ কানাডা যাওয়ার যোগ্যতা
কিন্তু এইসব কাজের দক্ষ শ্রমিকদের বেতন হবে ১৫০০ থেকে ১৮০০ রিয়াল পর্যন্ত। তবে এই সব কাজে নিয়োগ দেওয়ার পূর্বে পরীক্ষা নেওয়া এবং দক্ষতা যাচাই করে সার্টিফিকেট প্রদান করা হবে। সৌদি আরবে এ সকল খাত গুলোতে চাকরি পেতে দক্ষতার সার্টিফিকেট বাধ্যতামূলক। তাছাড়াও সৌদি আরবের শ্রমিক ভিসায় বর্তমান সময়ে সবচেয়ে বেশি চাহিদা সম্পন্ন কাজ সেলসম্যান, ড্রাইভিং, ক্লিনার, কন্ট্রাকশন, ফ্যাক্টরি শ্রমিক, গৃহকর্মী ও ডেলিভারি ম্যান।
আমাদের বাংলাদেশের প্রবাসীদের জন্য সৌদি আরবে বর্তমান সময়ের কাজের সংকটের কথা আমরা প্রায় সকলেই জানি। কিন্তু এই সব কাজে দক্ষ হলে সৌদি আরবে গেলে কাজ পাওয়া সম্ভাবনা অনেক বেশি। সেজন্য আপনি সৌদি আরবে কোন কাজের চাহিদা বেশি সে সম্পর্কে যোগ্যতা অনুযায়ী আপনি বিদেশে যেতে পারেন।
সৌদি আরবে প্লাম্বিং কাজ
সৌদি আরবে বর্তমানে প্লাম্বিং কাজের চাহিদা অনেক বেশি। তাই আপনি যদি সৌদি আরবে কোন কাজের চাহিদা বেশি জেনে শরীরে আরব যেতে চান, তাহলে অবশ্যই প্লাম্বিং কাজের কথা আপনি ভাবতে পারেন। কেননা সৌদি আরবে এখন এই কাজের চাহিদা এবং বেতন উভয়ই বেশি পাওয়া যায়। বর্তমানে আমাদের দেশ থেকেও অনেকেই প্লাম্বিং কাজের জন্য সৌদি আরবের ভিসা নিচ্ছেন। তাছাড়াও অনেকেই ইতিমধ্যে প্লাম্বিং কাজ করেই প্রতি মাসে লক্ষাধিক টাকা দেশে রেমিটেন্স দিচ্ছে।
প্লাম্বিং কাজের ভিসা নিয়ে আপনি যদি সৌদি আরবে যেতে পারেন তাহলে প্রতি মাসে ১৪০০ থেকে ২০০০ সৌদি রিয়াল ইনকাম করতে পারবেন। তাছাড়াও আপনার কাজের দক্ষতা ভালো থাকলে আপনি আরো বেশি ইনকাম করতে পারবেন। ওভারটাইম করলে এর থেকেও বেশি ইনকাম করতে পারবেন। সেজন্য আপনার প্লাম্বিং কাজের দক্ষতা অর্জন করে তবে সৌদি আরব যাওয়া উচিত। এতে করে আপনি সৌদি আরবে গিয়ে ভালো বেতনে কাজ করতে পারবেন।
সৌদি আরবে ওয়েল্ডিং কাজ
সৌদি আরবে ওয়েল্ডিং কাজের চাহিদা অনেক বেশি। সৌদি আরবে বর্তমানে নতুন নতুন কনস্ট্রাকশনের কাজ শুরু হচ্ছে এবং অনেক কাজ চলমানো রয়েছে। সেজন্য এসব কাজে সৌদি আরবে অনেক শ্রমিক নিয়োগ দিচ্ছে। আপনার ওয়েল্ডিং কাজে দক্ষতা থাকলে সৌদি আরব ওয়েল্ডিং ভিসা নিয়ে যেতে পারবেন এবং সৌদি আরবে গিয়ে ভালো বেতনে কাজ করতে পারবেন। সৌদি আরবে আপনি যদি ওয়েল্ডিং ভিসায় যেতে চান তাহলে আপনাকে আগে ওয়েল্ডিং কাজে দক্ষতা অর্জন করতে হবে।
কেননা ওয়েল্ডিং কাজের ভিসা নিতে হলে অবশ্যই আপনাকে এই কাজের ওপর লক্ষ্য হতে হবে। তারপর আপনাকে বিএমইটি থেকে ট্রেনিং নিয়ে সার্টিফিকেট নিতে হবে। তবেই আপনি ওয়েল্ডিং কাজের জন্য সৌদি আরব যেতে পারবেন এবং এই কাজ করে আপনি প্রতি মাসে ভালো পরিমান অর্থও উপার্জন করতে পারবেন।
সৌদি আরবে অটোমোবাইল কাজ
সৌদি আরবে কোন কাজের চাহিদা সবচেয়ে বেশি এটা অনেকেই জানতে চান? আমরা যদি এই প্রশ্নের উত্তর আপনাদেরকে দিই তাহলে আমরা বলব অটোমোবাইল কাজ। কেননা বর্তমান সময়ে অটোমোবাইল কাজের চাহিদা এখন প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে। সৌদি আরবে আরো বেশি পরিমাণে অটোমোবাইল কাজের চাহিদা দেখা যাচ্ছে। তাই আপনি যদি সৌদি আরব ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় যেতে চান এবং সৌদি আরব গিয়ে ভালো পরিমাণে অর্থ উপার্জন করতে চান,
তাহলে অবশ্যই সৌদি আরবে অটো মোবাইল কাজ শিখে যাওয়াই আপনার জন্য সেরা হবে। বর্তমানে অটোমোবাইলের চাহিদা সারা বিশ্বে বেড়েই চলেছে। তাই আপনি যদি অটোমোবাইল কাজে দক্ষতা অর্জন করে সৌদি আরব অথবা অন্য দেশে যেতে পারেন, তাহলে অন্যান্য কাজের তুলনায় সবচাইতে বেশি বেতনে কাজ করতে পারবেন। আমাদের বাংলাদেশের অনেক ভাই অটো মোবাইলের কাজ শিখে বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরব গিয়ে অনেক অর্থ উপার্জন করছেন।
সৌদি আরবে অটোমোবাইল কাজ শিখে যেতে চাইলে আপনাকে আগে এই কাজের ওপর বিশেষ দক্ষতা অর্জন করতে হবে। তারপরেই বিএমইটি থেকে ট্রেনিং নিয়ে সার্টিফিকেট সংগ্রহ করতে হবে। এবং আপনি ভিসা আবেদন করার পর সৌদি আরব যেতে পারবেন।
সৌদি আরবে ইলেকট্রিশিয়ান কাজ
সৌদি আরব সহ বিশ্বের সকল দেশেই ইলেকট্রিশিয়ান কাজের চাহিদা অনেক বেশি। কারণ ইলেকট্রিশিয়ান কাজ একটি দক্ষতা ভিত্তিক কাজ। বাংলাদেশে আপনারা যারা ইলেকট্রিশিয়ান হিসেবে দৈনিক কাজ করেন তাদের জন্য সৌদি আরবে রয়েছে ভালো অর্থ উপার্জনের সুযোগ। বিশেষ করে সৌদি আরবে কোন কোম্পানির আওতায় ইলেকট্রিশিয়ান নিয়োগ দেয়া হয়ে থাকে। সৌদি আরবে ইলেকট্রিশিয়ান এর বেতন ১৫০০ থেকে ১৮০০ সৌদি রিয়াল।
সৌদি আরবের প্রতিষ্ঠানগুলোতে দীর্ঘদিন ধরে থাকলে এবং অভিজ্ঞতার ওপর নির্ভর করে বেতন ২২০০ থেকে ২৩০০ শহীদি রিয়াল পর্যন্ত হয়। এছাড়া ওভারটাইম কাজ করে বাড়তি অর্থ উপার্জনের সুযোগও রয়েছে। সৌদি আরবে ইলেকট্রিশিয়ান হিসাবে আপনার যেতে প্রয়োজন হবে ইলেকট্রনিক কাজের দক্ষতা, বিএমইটি রেজিস্ট্রেশন, বিএমইটির দক্ষতা যাচাই কর্মসূচি অনুযায়ী প্রধানকৃত সার্টিফিকেট, মাধ্যমিক শিক্ষাগত যোগ্যতা, নিয়োগ কারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বিএমইটি কার্যালয়।
আপনার যদি ইলেকট্রিশিয়ান হিসেবে কোন ধরনের দক্ষতা না থাকে তাহলে বাংলাদেশ যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর কিংবা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে তিন থেকে ছয় মাসের কোর্স করে সৌদি আরব যেতে পারবেন। তাছাড়াও আপনি চাইলে সৌদি আরবে কোন কাজের চাহিদা বেশি তা সম্পর্কে জেনে সেখান থেকে প্রশিক্ষণ নিতেও পারবেন।
সৌদি আরবে এসি টেকনিশিয়ান কাজ
সৌদি আরবে এসি টেকনিশিয়ান কাজের চাহিদাও অনেক বেশি। তাই আপনি যদি একজন এসি টেকনিশিয়ান হয়ে থাকেন, তাহলে বিএমইটির কার্যালয়ে পরীক্ষা দিয়ে খুব সহজেই সৌদি আরবে উচ্চ বেতনে এসি টেকনিশিয়ান হিসেবে কাজ করতে পারবেন। এসি টেকনিশিয়ান ও গাড়ির এসি টেকনিশিয়ানের মধ্যে সৌদি আরবে কোন কাজের চাহিদা বেশি তা আপনার দক্ষতা অনুযায়ী বেছে নিতে পারেন। সৌদি আরবে একজন এসি টেকনিশিয়ানের বেতন ১৫০০ থেকে ১৮০০ সৌদি রিয়াল পর্যন্ত।
তাছাড়াও ওভারটাইম এবং কোম্পানি থেকে অনুমতি নিয়ে বাইরে পার্ট টাইম কাজ করার মাধ্যমেও ইনকাম করতে পারবেন। সৌদি আরবে এসি টেকনিশিয়ান হিসাবে এসি টেকনিশিয়ান কাজের দক্ষতা, এসির বিভিন্ন পাস সম্পর্কে বিশেষ ধারণা, অনেক ধরনের এসির গঠন এবং কার্যপ্রণালী সম্পর্কে বিশেষ ধারণা, এসির বিভিন্ন ধরনের যন্ত্রাংশ সম্পর্কে বিশেষ ধারণা এবং বিএমইটির দক্ষতা যাচাই কর্মসূচির সার্টিফিকেট প্রয়োজন হবে। এছাড়া আপনি চাইলে বাংলাদেশ কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকেও এসি টেকনিশিয়ান প্রশিক্ষণ নিতে পারেন।
সৌদি আরবে বেতন কত ২০২৪
সৌদি আরবে বেতন কত? এই বিষয়টি অনেকেই নেটে সার্চ দিয়ে থাকে। যদি সৌদি আরবের বেতন সম্পর্কে কথা বলতে গেলে এটি শিক্ষাগত যোগ্যতা, পেশাগত যোগ্যতা, কাজের ধরন, প্রতিষ্ঠানের ধরন এবং অনেক অন্যান্য পর্যাপ্ত তথ্যের ওপর ভিত্তি করে ভিন্ন ভিন্ন বেতন হয়ে থাকে। সৌদি আরবের কোম্পানিতে বেতন সাধারণত মুদ্রার (সৌদি রিয়াল) অংকন করা হয়। তাছাড়াও সরকারি ও বেসরকারি সেক্টরের বেতন বেশি পর্যাপ্ত তথ্য দেওয়ার পূর্বে সেটি পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে পরবর্তীত হতেও পারে। যাইহোক আপনার সামনে এখন আমরা কিছু কাজের বেতন সম্পর্কে জানাবো। নিচে কিছু কাজের বেতন সম্পর্কে দেওয়া হলোঃ
- ইলেকট্রিশিয়ান (Electrician) - সৌদি আরবে ইলেকট্রনিসিয়ানদের মাসিক বেতন প্রায় 2,000 থেকে 5,000 সৈদি রিয়াল পর্যন্ত।
- পেট্রোলিয়াম উদ্যোক্তা (Oil Industry Worker) - পেট্রোলিয়াম প্রতিষ্ঠানগুলি পেশাদার ওয়ারকারদের মাসিক বেতন 3,000 থেকে 7,000 হাজার সৌদি রিয়াল পর্যন্ত।
- মিডিয়া (Media) - বর্তমানে সৌদি আরবের জার্নালিস্ট, ফটোগ্রাফার ইত্যাদির বেতন 3,000 থেকে 8,000 সৌদি রিয়াল পর্যন্ত।
- হেলথকেয়ার পেশাগত (Healthcare) - ডাক্তার, নার্স, ফার্মাসিস্ট ইত্যাদির মাসিক বেতন 5,000 থেকে 15,000 সৌদি রিয়াল পর্যন্ত।
- ইঞ্জিনিয়ার (Engineer) - ইঞ্জিনিয়ারের ক্ষেত্রে মাসিক বেতন 4,000 থেকে 10,000 সৌদি রিয়াল পর্যন্ত।
সৌদি আরবে কোন কাজের বেতন বেশি
সৌদি আরবে অনেক কাজ রয়েছে। তার মধ্য থেকে বেশিরভাগ জনপ্রিয় অফিস ম্যানেজার এবং সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং আরো অনেক। তাই এখন যারা এই কাজে যেতে চাচ্ছেন তাদের অনেকেরই মনে প্রশ্ন আসে যে এই কাজের বেতন কত? সৌদি আরবে বর্তমানে এই সকল কাজের বেতন অনেক বেশি নিচে আপনাদের সুবিধার্থে এখন জানাবো আমেরিকান ডলার ও সৌদি আরবের যেই কাজগুলো সব থেকে বেতন বেশি। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক সৌদি আরবের কোন কাজের বেতন বেশি।
- ওয়েটার - 14,362 ডলার।
- রিসেপশনিস্ট - 15,051 ডলার।
- হিসাব রক্ষক - 17,957 ডলার।
- ফার্মাসিস্ট - 20,527 ডলার।
- নির্বাহি সহকারি - 25,904 ডলার।
- মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার - 30,743 ডলার।
- অফিস ম্যানেজার - 31,204 ডলার।
- সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং 32,505 ডলার।
- গ্রাহক সেবা - 38,758 ডলার।
উপরে উল্লেখিত যে সকল কাজগুলো রয়েছে এ সকল কাজ সৌদি আরবে সবচাইতে চাহিদা এবং বেতন বেশি। তাই আপনি যদি এ সকল কাজের দক্ষ হয়ে সৌদি আরবে যান তাহলে আপনি অনেক ডলার উপার্জন করতে পারবেন।
সৌদি আরব সম্পর্কিত কিছু প্রশ্ন উত্তর
- প্রশ্নঃ সৌদি আরবে ইলেকট্রিক কাজের বেতন কত?
- উত্তরঃ সৌদি আরবে ইলেকট্রিক কাজের বেতন অনেক আপনার ইলেকট্রিক কাজের অভিজ্ঞতা অনুযায়ী বেতন নির্ধারিত হয়ে থাকে সৌদি আরবে। আপনার যদি কাজের অভিজ্ঞতা অনেক ভালো থাকে এবং ওভারটাইম করতে পারেন তাহলে বেশি টাকা উপার্জন করতে পারবেন। সৌদি আরবে ইলেকট্রিক কাজ করলে মাসে সর্বনিম্ন ৫০,০০০ টাকা থেকে ৭০,০০০ টাকা পর্যন্ত বেতন পাওয়া যায়।
- প্রশ্নঃ সৌদি আরবের সবচেয়ে বড় কোম্পানির নাম কি?
- উত্তরঃ সৌদি আরবের সবচেয়ে বড় কোম্পানির নাম আরামকো।
- প্রশ্নঃ সৌদি আরবে ব্যবসা নিবন্ধন করতে কত সৌদি রিয়াল লাগবে?
- উত্তরঃ ৮ লক্ষ সৌদি রিয়াল সমপরিমাণ অর্থ এককালীন প্রদানের মাধ্যমে সৌদি আরবে নতুন ব্যবসায়ী এবং বিনিয়োগকারী হিসেবে যেকোনো অভিবাসীর নিবন্ধনের সুযোগ রয়েছে। এছাড়াও ১ লক্ষ সৌদি রিয়াল প্রদানের মাধ্যমেও এক বছরের জন্য বিনিয়োগকারী হিসেবে নিবন্ধনের সুযোগও রয়েছে।
- প্রশ্নঃ সৌদি আরবে সর্বনিম্ন বেতন কত?
- উত্তরঃ সৌদি আরবে সর্বনিম্ন বেতন 4000 সৌদি রিয়াল যা বাংলাদেশী মুদ্রায় ১ লক্ষ ১৭ হাজার ২১৮ টাকা।
লেখকের মন্তব্য
সৌদি আরবে কোন কাজের চাহিদা ও বেতন বেশি আপনারা নিশ্চয়ই ইতিমধ্যে জেনে গেছেন। কারণ আজকের আর্টিকেলে সৌদি আরবে কোন কাজের চাহিদা ও বেতন বেশি এ সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানানো হয়েছে। তবে কখনো যদি সৌদি আরবের কাজের চাহিদা ও বেতন কম বেশি হয়, তাহলে অবশ্যই এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে আপনাদেরকে আপডেট জানিয়ে দেওয়া হবে। এই আর্টিকেলটি আপনাদের কাছে তথ্যবহুল মনে হলে অবশ্যই আপনারা আপনাদের বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করতে ভুলবেন না।
কারণ আপনাদের মাধ্যমে আপনাদের বন্ধুরাও জানতে পারবে সৌদি আরবে কোন কাজের চাহিদা ও বেতন বেশি তা সম্পর্কে। প্রিয় বন্ধুরা, এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাদের অসংখ্য ধন্যবাদ। এরকম নিত্য নতুন তথ্য পেতে আমাদের গুগল নিউজে ফলো দিয়ে রাখুন। কারণ আমরা এরকম নিত্য নতুন আপডেট তথ্য নিয়ে এ ওয়েবসাইটে নিয়মিত পোস্ট পাবলিশ করে থাকি। আসসালামু আলাইকুম।
সাগর ম্যাক্স এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url