বিজয় দিবস অনুচ্ছেদ (class 2, 5, 6, 7, 8, 9, 10, hsc)

স্বদেশ প্রেম অনুচ্ছেদ"বিজয় দিবস" অনুচ্ছেদ সম্পর্কে আপনি নিশ্চয়ই জানতে চাচ্ছেন? তাই বিজয় দিবস অনুচ্ছেদ এখন আপনার সামনে তুলে ধরা হবে। বিজয় দিবস অনুচ্ছেদ জানতে আপনাকে আজকের আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।
বিজয়-দিবস
অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অনুচ্ছেদের মত বিজয় দিবস অনুচ্ছেদটিও খুবই গুরুত্বপূর্ণ অনুচ্ছেদ। কারণ অনেক সময় বিভিন্ন পরীক্ষাতে বিজয় দিবস অনুচ্ছেদ লিখতে বলা হয়। তাই আপনি যদি পরীক্ষায় ভালো নম্বর পেতে চান, তাহলে বিজয় দিবস অনুচ্ছেদটি পড়ে ফেলুন।

পোস্ট সূচীপত্রঃ বিজয় দিবস অনুচ্ছেদ (class 2, 5, 6, 7, 8, 9, 10, hsc)

প্রশ্নঃ "বিজয় দিবস" নিয়ে অনুচ্ছেদ লিখ?

উত্তরঃ

বিজয় দিবস

১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস বাঙালির কাছে সবচাইতে গৌরবের একটি দিন। ১৯৭১ সালের ২৬ শে মার্চ-এর প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা দিয়েছিলেন। তারপর দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষী মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে ৩০ লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে, লক্ষ লক্ষ নারীর ইজ্জত এবং মায়ের কোল খালি করে বহু বছরের পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বের মানচিত্রে আত্মপ্রকাশ পায় বাংলাদেশ নামক একটি দেশ। সেজন্য প্রতিবছর ১৬ই ডিসেম্বর বাঙালি জাতি বিজয় দিবস পালন করে থাকে। আমাদের দেশের সোনার ছেলেদের বর্বর পাকিস্তানি বাহিনীরা নির্বিচারে হত্যা করেছিল। আমাদের দেশের সোনার ছেলেরা সবকিছু ত্যাগ করে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল পাকিস্তানি বাহিনীদের বিরুদ্ধে বিজয় অর্জন করার জন্য। হাজার হাজার লক্ষ লক্ষ মানুষ শহীদ হওয়ার পরেও আমাদের দেশের সোনার ছেলেরা পিছিয়ে পড়েনি। সোনার ছেলেরা আমাদের জন্য আমাদের দেশকে স্বাধীন করার জন্য বিজয়ের মালা আমাদের গলায় এনে পড়িয়েছিল। হাজার হাজার লক্ষ লক্ষ শহীদের প্রাণের বিনিময়ে আমরা বিজয় অর্জন করতে পেরেছি। তাদের আত্মত্যাগ আমাদের কখনো ভোলার নয়। তাদের আত্মত্যাগের জন্য আমরা সবাই গর্বিত। আমাদের দেশের বীর সাহসী ছেলেরা যুদ্ধে যদি না যেত, তবে আমাদের সারা জীবন পাকিস্তানিদের কাছে মাথা নিচু করে বসবাস করা লাগতো। তাদের আত্মত্যাগের জন্য পুরোবিশ্বের কাছে বাংলাদেশের নাম জ্বলজ্বল করে জ্বলছে। আমাদের দেশের বীরপুরুষেরা মাতৃভূমিকে ভালোবেসে জীবন বিসর্জন দেওয়ার মতো বহন কাজ করেছিল। তাইতো মহান বিজয় দিবস এলেই সকল বাঙালিরা শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের মনে প্রানে স্মরণ করে। আর শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্দেশ্য করেই বাংলাদেশের বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, অফিস আদালত ছুটির ঘোষণা করা হয়। প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠান আনন্দের সাথেই মহান বিজয় দিবস পালন করে থাকে। বিজয় দিবস উপলক্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান যেমনঃ নাচ, -গান, কবিতা আবৃত্তির আয়োজন করা হয়ে থাকে। সকাল বেলায় সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, অফিস আদালতে জাতীয় পতাকা উড়ানো হয়। মহান বিজয় দিবস প্রত্যেকটি বাঙ্গালীদের জন্য গর্বের একটি দিন। বিজয় দিবস আসলেই আত্মত্যাগ এবং মাতৃভূমির মর্যাদা রক্ষার কথা আমাদের মনে করিয়ে দেয়।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সাগর ম্যাক্স এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url