বাক্য কাকে বলে কত প্রকার ও কী কী

নিজের সম্পর্কে ১০ টি বাক্য বাংলায়বাক্য কাকে বলে কত প্রকার ও কী কী নিশ্চয়ই আপনি জানতে চাচ্ছেন? তাই বাক্য কাকে বলে কত প্রকার ও কী কী এখন আপনার সামনে তুলে ধরা হবে। বাক্য কাকে বলে কত প্রকার ও কী কী তা সম্পর্কে জানতে আপনাকে আর্টিকেলটি সম্পন্ন মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।
বাক্য-কাকে-বলে-কত-প্রকার-ও-কী-কী
বাংলা ব্যাকরণের সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো বাক্য কাকে বলে কত প্রকার ও কী কী। তাই আমরা যারা শিক্ষার্থী রয়েছি তাদের অবশ্যই বাংলা ব্যাকরণের বাক্য কাকে বলে কত প্রকার ও কী কী তা জানা খুবই প্রয়োজন। তো চলুন জেনে নেওয়া যাক বাক্য কাকে বলে কত প্রকার ও কী কী।

পোস্ট সূচীপত্রঃ বাক্য কাকে বলে কত প্রকার ও কী কী

ভূমিকাঃ বাক্য কাকে বলে কত প্রকার ও কী কী

বাক্য কাকে বলে কত প্রকার ও কী কী এই বিষয়টি অনেকেই জানতে চাই? মূলত তাদের উদ্দেশ্যেই আমি আজকের এই আর্টিকেলটি বাক্য কাকে বলে কত প্রকার ও কী কী তা নিয়ে সাজিয়েছি। তাই আপনারা যারা বিভিন্ন জায়গায় অনেক খোঁজাখুঁজি করছেন বাক্য কাকে বলে কত প্রকার ও কী কী তা সম্পর্কে, তারা আজকের আমার এই আর্টিকেলটি সম্পন্ন মনোযোগ সহকারে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
আপনারা যদি আজকের এই আর্টিকেলটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়েন, তাহলে বিস্তারিত ভাবে জানতে পারবেন বাক্য কাকে বলে কত প্রকার ও কী কী তা সম্পর্কে। এছাড়াও আরও জানতে পারবেন, বিভিন্ন ধরনের বাক্য শেখা কেন গুরুত্বপূর্ণ, বাক্য গঠন অর্থকে কিভাবে প্রভাবিত করে এবং লেখায় বাক্য বৈচিত্র্য কেন ব্যবহার করা উচিত। আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনাদের অনেক উপকারে আসবে।

বাক্য কাকে বলে

বাক্য কাকে বলে? যে সুবিন্যস্ত পদসমষ্টি দ্বারা কোনো বিষয়ে বক্তার মনের ভাব সম্পূর্ণভাবে প্রকাশিত হয়, তাকেই মূলত বাক্য বলা হয়ে থাকে। ড. সুনীতি কুমার মুখোপাধ্যায়ের মতে, পরস্পর অর্থসম্বন্ধবিশিষ্ট যে পদগুলি দ্বারা একটি সম্পূর্ণ ধারণা অথবা বক্তব্য কিংবা ভাব প্রকাশ পায়, "সে পদ গুলির সমষ্টিকে বাক্য বলে"। বাক্যকে ভাষার মৌলিক একক বলা হয়ে থাকে। বাক্য গঠনের জন্য শব্দের সমন্বয় প্রয়োজন হয়ে থাকে। এছাড়া শব্দের মধ্যে অর্থগত সম্পর্ক স্থাপনের মাধ্যমে বাক্য গঠিত হয়ে থাকে। অর্থাৎ, বাক্য হল এক বা একাধিক শব্দের সমষ্টি যেটি একটি সম্পূর্ণ অর্থ প্রকাশ করে থাকে।

কতগুলো পদের সমষ্টিতে বাক্য গঠিত হওয়া সত্ত্বেও যেকোনো পদ সমষ্টিই বাক্য নয়। বাক্যের বিভিন্ন পদের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক অথবা অন্বয় থাকতেই হবে। তাছাড়াও বাক্যের অন্তর্গত বিভিন্ন পদ দ্বারা মিলিতভাবে একটি অখন্ড ভাব সম্পূর্ণরূপে প্রকাশিত হওয়া আবশ্যক, তবেই সেটি বাক্য হবে। বাক্য হলো যোগ্যতা, আকাঙ্ক্ষা, আসক্তি সম্পূর্ণ পদ সমষ্টি, যেটি বক্তার মনের ভাব সম্পূর্ণরূপে প্রকাশ করে।
উদাহরণস্বরূপ বলা যায়-
  • সে কলেজে যায়,
  • সাগর ফুটবল খেলছে,
  • আমি ভাত খাচ্ছি

বাক্যের প্রকারভেদ

প্রত্যেকটি বাক্য ২ অংশে বিভক্ত। যথাঃ
  1. উদ্দেশ্য
  2. বিধেয়

উদ্দেশ্য

উদ্দেশ্যঃ একটি বাক্যে যার বিষয়ে কোন কিছু বলা হয়, মূলত তাকেই উদ্দেশ্য বলা হয়ে থাকে যেমনঃ
  • সে কলেজে যায়, এখানে "সে" হল উদ্দেশ্য।
  • সাগর ফুটবল খেলছে, এখানে "সাগর" হল উদ্দেশ্য।
  • আমি ভাত খাচ্ছি, এখানে " আমি" হল উদ্দেশ্য।
উপরে উল্লেখিত, "সে", "সাগর", "আমি" হল উদ্দেশ্য। কেননা এদের সম্পর্কে কিছু বলা হয়েছে

বিধেয়

বিধেয়ঃ বাক্যে উদ্দেশ্যে সম্পর্কে কিছু বলা হলেই তাকে বিধেয় বলা হয়ে থাকে। বিধেয় সাধারণত ক্রিয়া পদ দ্বারা প্রকাশিত হয় যেমনঃ
  • সে কলেজে যায়, এখানে "কলেজে যাই" হল বিধেয়।
  • সাগর ফুটবল খেলছে, এখানে "ফুটবল খেলছে" হল বিধেয়।
  • আমি ভাত খাচ্ছি, এখানে " ভাত খাচ্ছি" হল বিধেয়।
উপরে উল্লেখিত, "কলেজে যায়", "ফুটবল খেলছে", "ভাত খাচ্ছি" হল উদ্দেশ্য। কেননা উদ্দেশ্য সম্পর্কেই বলা হয়েছে।

গঠন অনুসারে বাক্য

গঠন অনুসারে বাক্যকে ৩ ভাগে ভাগ করা হয়। যথাঃ
  1. সরল বাক্য
  2. জটিল/মিশ্র বাক্য
  3. যৌগিক বাক্য

সরল বাক্য

সরল বাক্যঃ যে বাক্যে একটি কর্তা এবং একটি ক্রিয়া থাকে, তাকেই সরল বাক্য বলে। যেমনঃ রহিম ফুল তুলছে। এখানে রহিম কর্তা এবং তুলছে ক্রিয়া। এই বাক্যে একটি কর্তা এবং একটি ক্রিয়া রয়েছে।

জটিল/মিশ্র বাক্য

জটিল/মিশ্র বাক্যঃ যে বাক্যে একটি প্রধান খন্ডবাক্যের সঙ্গে এক অথবা একাধিক আশ্রিত বাক্য পরস্পর যুক্ত হয়ে বাক্য গঠন করে, তাকেই জটিল/মিশ্র বাক্য বলে। যেমনঃ আপনি যদি আসেন, আমি যাবো। যে মানুষ পরিশ্রম করে, সে মানুষ সুখ লাভ করে।

যৌগিক বাক্য

যৌগিক বাক্যঃ পরস্পর নিরপেক্ষ একাধিক সরল বাক্য যখন অর্থ এবং গঠন অপরিবর্তিত রেখে সংযোজন অব্যয়ের দ্বারা মিলিত হয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ বাক্য গঠন করে থাকে, তখন তাকে যৌগিক বাক্য বলে। যেমনঃ রহিম অনেক মেধাবী ছাত্র কিন্তু নিয়মিত ক্লাস করে না। মানুষটি গরিব কিন্তু অনেক সৎ।

অর্থ অনুসারে বাক্য

অর্থ অনুসারে বাক্য ৫ প্রকার। যথাঃ
  1. নির্দেশক বাক্য
  2. প্রশ্নবোধক বাক্য
  3. অনুজ্ঞাসূচক বাক্য
  4. বিস্ময়সূচক বাক্য
  5. ইচ্ছাসূচক বাক্য

নির্দেশক বাক্য

নির্দেশক বাক্যঃ যে বাক্যে কোন বিষয় সম্পর্কে বিবৃতি কিংবা বর্ণনা দেওয়া হয়, তাকেই নির্দেশক বাক্য বলা হয়ে থাকে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, নির্দেশক বাক্য হ্যাঁ বোধক কিংবা না বোধক হতেও পারে।

প্রশ্নবোধক বাক্য

প্রশ্নবোধক বাক্যঃ যে বাক্যের দ্বারা কোনো প্রশ্ন করা হয়, তাকে প্রশ্নবোধক বাক্য বলে। যেমনঃ কি, কেন, কবে, কখন ইত্যাদি প্রশ্নবোধক বাক্য।

অনুজ্ঞাসূচক বাক্য

অনুজ্ঞাসূচক বাক্যঃ যে বাক্য দ্বারা কোন কিছু অস্বীকার করা হয়ে থাকে, তাকেই নেতিবাচক অথবা না-সূচক বাক্য বলে। যেমনঃ না, নয় ইত্যাদি দ্বারা অস্বীকার করাকে বোঝায়।

বিস্ময়সূচক বাক্য

বিস্ময়সূচক বাক্যঃ যে বাক্য দ্বারা বিস্ময় অথবা আবেগ প্রকাশিত হয়ে থাকে, তাকেই বিস্ময়সূচক অথবা আবেগসূচক বাক্য বলে। যেমনঃ বাহ!, দৃশ্যটা কি সুন্দর, ইত্যাদি।

ইচ্ছাসূচক বাক্য

ইচ্ছাসূচক বাক্যঃ যে বাক্য দ্বারা বক্তার মনের কামনা, বাসনা, প্রার্থনা, ইচ্ছা, আশা ইত্যাদি প্রকাশ পায়, তাকেই ইচ্ছাসূচক বাক্য বলে। যেমনঃ তোমার যাত্রা শুভ হোক, ইত্যাদি।

গুন অনুসারে বাক্য

গুন অনুসারে বাক্য ৩ প্রকার। যথাঃ
  1. আকাঙ্ক্ষা
  2. আসক্তি
  3. যোগ্যতা

আকাঙ্ক্ষা

আকাঙ্ক্ষাঃ অর্থসঙ্গতি রক্ষার জন্যে একটি পদ শোনার পর অন্য পদ শোনার যে ইচ্ছে থাকে তাকে মূলত আকাঙ্ক্ষা বলে। যেমনঃ "সাগর স্কুলে" এখানকার বাক্যে বক্তার মনের ভাব সম্পূর্ণরূপে প্রকাশ পায়নি, আরো কিছু শোনার ইচ্ছে থাকে। তবে যদি বলা হয়ে থাকে সাগর প্রতিদিন স্কুলে যায়, এখানকার বাক্যে বক্তার সম্পন্ন মনের ভাব প্রকাশ পেয়েছে।

আসক্তি

আসক্তিঃ বাক্যের অন্তর্গত পদগুলির সুশৃংখল পদবিন্যাসকে আসক্তি বলে। যেমনঃ আমি করি প্রতিদিন চেষ্টা পড়ার ওয়াক্ত পাঁচ নামাজ। এখানকার বাক্যে বক্তা যা বলতে চেয়েছে সকল উপকরণ গুলো এখানে আছে। তবে পথগুলো সুশৃংখলভাবে সাজানো নয়। সেজন্য বক্তার মনোভাব সম্পূর্ণরূপে প্রকাশ পায়নি। আবার যেমনঃ আমি প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ার চেষ্টা করি। এখানকার বাক্যে বক্তার মনেরভাব সম্পূর্ণরূপে প্রকাশ পেয়েছে।

যোগ্যতা

যোগ্যতাঃ বাক্যের অন্তর্গত এবং ভাবগত মেলবন্ধনের নামই হল যোগ্যতা। যেমনঃ বর্ষার রৌদ্রে প্লাবন সৃষ্টি করে, এখানকার বাক্যটি ভাব প্রকাশের যোগ্যতা হারিয়েছে, কেননা, রৌদ্রে প্লাবন হয় না, প্লাবন হয়ে থাকে বৃষ্টিতে। যদি বলা যেত বর্ষার বৃষ্টিতে প্লাবন সৃষ্টি করে, তাহলে একটি যোগ্যতা সম্পন্ন বাক্য হত, কেননা পদে অর্থগত ও ভাবগত মিল রয়েছে।

বিভিন্ন ধরনের বাক্য শেখা কেন গুরুত্বপূর্ণ

বিভিন্ন ধরনের বাক্য শেখা কেন গুরুত্বপূর্ণ? তা সম্পর্কে জানতে আর্টিকেল এই অংশটুকু পড়তে থাকুন। বিভিন্ন ধরনের বাক্য, সেগুলো কি উদ্দেশ্যে পরিবেশন করে ও কখন এবং কিভাবে সেগুলো ব্যবহার করতে হয় তা জানার ফলে স্পষ্টতা সহজ হয়ে থাকে। সহজ ভাষায় বলা যায়, এটি আপনার লেখাকে বোঝা আরো অনেক সহজ করে তুলবে। এবং বিভিন্ন ধরনের বাক্য ব্যবহার করে ছন্দ ও উদাহরণ যোগ করার সময় আপনার লেখার বৈচিত্র বৃদ্ধি পাবে, যা আপনার পাঠকদের নিযুক্ত রাখতে সাহায্য করবে।

বাক্য গঠন অর্থকে কিভাবে প্রভাবিত করে

বাক্য গঠন অর্থকে কিভাবে প্রভাবিত করে? তা জানতে আর্টিকেলের এই অংশটুকু পড়তে থাকুন। কারণ আর্টিকেলের এই অংশে এখন আলোচনা করা হবে বাক্য গঠন অর্থকে কিভাবে প্রভাবিত করে। একটি বাক্য দীর্ঘ অথবা সংক্ষিপ্ত, সহজ অথবা জটিল হতেও পারে। তবে সঠিক বাক্য গঠন পাঠকদের বাক্যের অর্থ সঠিকভাবে উপলব্ধি করতে দেয়। বৈচিত্র্যপূর্ণ বাক্য গঠন জোটিল ধারণাগুলোকে প্রকাশ করার অনুমতি দেয় এবং এটি বৈচিত্র্যপ্রদান করে যাতে একটি কাজ একঘেয়েমি না হয়।

লেখায় বাক্য বৈচিত্র্য কেন ব্যবহার করা উচিত

লেখায় বাক্য বৈচিত্র্য কেন ব্যবহার করা উচিত? কারণ বাক্যের বৈচিত্র্য ছন্দ সৃষ্টি করে। একই দৈর্ঘ্য অথবা বাক্য গুলোর ধরন বারবার একঘেয়েমি তৈরি করে এবং পাঠকের পক্ষে লেখার মধ্য দিয়ে যাওয়া অনেক কঠিন করে তোলে। আবার বিপরীতভাবে, বৈচিত্র্য পাঠককে জড়িত করে থাকে। এটি চোখ ক্যাপচার করে থাকে এবং পাঠ্যকে সহজ করে তোলে।

বহুল জিজ্ঞাসিত কিছু প্রশ্ন উত্তর

  • প্রশ্নঃ বাক্যের তিন প্রকার কি কি?
  • উত্তরঃ বাক্যের তিন প্রকার হলঃ
    1. সরল
    2. যৌগিক
    3. জটিল
  • প্রশ্নঃ বাক্যের চারটি রাজা কি কি?
  • উত্তরঃ বাক্যের চারটি রাজা হলঃ
    1. ঘোষণামূলক
    2. জিজ্ঞাসামুলক
    3. বাধ্যতামূলক
    4. বিস্ময়কর
  • প্রশ্নঃ উদ্দেশ্য কত প্রকার?
  • উত্তরঃ বাক্যের উদ্দেশ্য ২ প্রকার। যথাঃ
    1. সরল উদ্দেশ্য
    2. জটিল উদ্দেশ্য

শেষ কথাঃ বাক্য কাকে বলে কত প্রকার ও কী কী

বাক্য কাকে বলে কত প্রকার ও কী কী তা সম্পর্কে নিশ্চয়ই আপনি ইতিমধ্যে জেনে গেছেন, কারণ আজকের আর্টিকেলে আমি খুবই সুন্দরভাবে আলোচনা করেছি বাক্য কাকে বলে কত প্রকার ও কী কী সে সম্পর্কে। তারপরও যদি আপনার কোথাও বুঝতে সমস্যা হয় তাহলে অবশ্যই আমাকে কমেন্টে জানাবেন, আমি আপনাকে সঙ্গে সঙ্গে বুঝিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব।
প্রিয় পাঠক, এতক্ষণ আমার সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। এই আর্টিকেলটি আপনার কাছে তথ্যবহুল মনে হলে আপনি অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। কেননা আপনার মাধ্যমে আপনার বন্ধুরাও জানতে পারবে বাক্য কাকে বলে কত প্রকার ও কী কী তা সম্পর্কে। এরকম নিয়মিত বিভিন্ন ধরনের ব্লক পোস্ট বা আর্টিকেল পেটে এই ওয়েবসাইটে নিয়মিত ভিজিট বা ফোলো করুন। আসসালামু আলাইকুম।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সাগর ম্যাক্স এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url