কুমিল্লার সেরা ১০টি দর্শনীয় স্থান

ঢাকার ১০টি দর্শনীয় স্থানকুমিল্লার সেরা ১০টি দর্শনীয় স্থান - গুলো সম্পর্কে নিশ্চয়ই আপনি জানতে চাচ্ছেন? তাই কুমিল্লার সেরা ১০টি দর্শনীয় স্থান নিয়ে এখন আলোচনা করা হবে। কুমিল্লার সেরা ১০টি দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে জানতে আপনাকে আর্টিকেলটি সম্পন্ন পড়তে হবে।
কুমিল্লার-১০টি-দর্শনীয়-স্থান
আপনি যদি মনে করেন কুমিল্লায় ভ্রমণের জন্য যাবেন, তাহলে অবশ্যই আপনার আগে থেকেই কুমিল্লার সেরা ১০টি দর্শনীয় স্থান গুলো জেনে রাখা উচিত। তো চলুন জেনে নেওয়া যাক কুমিল্লার সেরা ১০টি দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে।

পোস্ট সূচিপত্রঃ কুমিল্লার সেরা ১০টি দর্শনীয় স্থান

কুমিল্লার সেরা ১০টি দর্শনীয় স্থান

কুমিল্লার সেরা ১০টি দর্শনীয় স্থানঃ কুমিল্লা জেলার দর্শনীয় স্থান সমীরদা শিক্ষা, শিল্প ও সংস্কৃতির পরিচয় বহন করে। চট্টগ্রাম বিভাগের অন্তনগর ঐতিহাসিক এই জেলাটি সপ্তম থেকে অষ্টম শতাব্দীর বিভিন্ন প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনের আশ্রয়স্থল। অনেক আগে কুমিল্লা জেলা সমতট জনপদের অংশ ছিল। এটি কালক্রমে ত্রিপুরা রাজ্যভুক্ত হয়। কমলাঙ্ক শব্দ থেকেই কুমিল্লা নামটি এসেছে, যার অর্থ হচ্ছে পদ্মের পুকুর। বাংলাদেশ বিশ্ব দরবারে পরিচিতি হয় কুমিল্লার পর্যটন আকর্ষণ গুলোর মাধ্যমে। কুমিল্লা জেলায় অবস্থিত দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সৈন্যদের কবরস্থানটি কমনওয়েলথ ওয়ার গ্রেভস কমিশন দ্বারা রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়ে থাকে। আজকের এই আজকেরটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ জেলা কুমিল্লার বিভিন্ন ঐতিহাসিক স্থান সম্পর্কে আলোচনা করা রয়েছে। তাহলে চলুন বন্ধুরা আমরা জেনে নেই কুমিল্লার সেরা ১০টি দর্শনীয় স্থান গুলো সম্পর্কে। আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনাদের অনেক উপকারে আসবে।

১। ময়নামতি জাদুঘরঃ কুমিল্লার ১০টি দর্শনীয় স্থান

ময়নামতি জাদুঘরঃ এই ময়নামতি জাদুঘর, কুমিল্লার ঐতিহাসিক নিদর্শনের এক গুরুত্বপূর্ণ সংগ্রহশালা। এটি কুমিল্লা থেকে ১৪ কিলোমিটার দূরে সালমানপুরে অবস্থিত। ময়নামতি জাদুঘরের ৪২ টি ভিন্ন ভিন্ন সংরক্ষণাগার ঘরে দেখার সময় চোখে পড়বে ব্রোঞ্জ এবং পাথরের ছোট বড় মূর্তি, স্বর্ণ ও রৌপ্য মুদ্রা, ব্রোঞ্জ-এর বিশাল ঘন্টা, পোড়ামাটির ফলক, মাটির বিভিন্ন খেলনা, কাঠের পুরানো অনেক জিনিসপত্র, মৃৎশিল্প সামগ্রী ও প্রাচীন হাতে লেখা পান্ডুলিপি।

কুমিল্লার চারপত্র, রূপবান এবং কোটিলা মুড়া, শ্রীভবদের মহাবিহার, ইটাখোলা, রানির বাংলা এবং ভোজ রাজবাড়ী বিহার ও আনন্দবিহার খননকালীন সময়ে খুঁজে পাওয়া যায় এই প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনগুলি। আঙ্গিনার বিশ্রামাগার এবং ফুলবাগান জাদুঘরের সৌন্দর্যকে আরো অনেক বাড়িয়ে তুলেছেন। এই জাদুঘর ১৯৬৫ সালে কোটবাড়ির শালবন বিহারের পাশেই স্থাপন করা হয়। পাশাপাশি হওয়ায় একসঙ্গে দুটো স্থানই বেড়াতে আসতে পারেন আপনি।

২। শালবন বৌদ্ধ বিহারঃ কুমিল্লার ১০টি দর্শনীয় স্থান

শালবন বৌদ্ধ বিহারঃ কুমিল্লা কোটবাড়িতে এক সময়কার বৌদ্ধ সন্ন্যাসীদের প্রধান উপাসনালয় শালবন বুদ্ধ বিহারের অবস্থান। এখানকার বলে প্রচুর শালগাছ থাকার কারণেই মনে হয় বিহারটির শালবন বিহার নাম হয়েছে। এই বিহারে মোট ১৫৫ টি কক্ষ রয়েছে। বুদ্ধের অনুসারিরা যেখানে ধর্মচর্চা করতেন।

শালবন বৌদ্ধ বিহার থেকে বিভিন্ন সময়ে প্রায় ৪০০টি স্বর্ণ ও রৌপ্য মুদ্রা, ব্রোঞ্জ এবং মাটির মূর্তি, সিলমোহর, ৮টি তাম্বলিপি ও অসংখ্য পোড়া মাটির ফলক অথবা টেরাকোটা পাওয়া গেছে। আপনি কুমিল্লা সদর থেকে শুধুমাত্র ২০ টাকায় সিএনজি ভাড়া করে কোটবাড়ি বিশ্বরোড হয়ে একদম সরাসরি শালবন বিহার যেতে পারবেন।

৩। ময়নামতি ওয়ার সিমেট্রিঃ কুমিল্লার ১০টি দর্শনীয় স্থান

ময়নামতি ওয়ার সিমেট্রিঃ এই ময়নামতি ওয়ার সিমেট্রি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় শহীদ হওয়া ব্রিগেডিয়ার পদমর্যাদার সৈনিকদের একটি আন্তর্জাতিক সমাধিক্ষেত্র। এই সমাধিক্ষেত্রে চব্বিশ জন জাপানি যুদ্ধবন্দি ও একজন বেসামরিক ব্যক্তিসহ সর্বমোট ৭৩৭ জন সৈন্যের কবর রয়েছে। ময়নামতি সাহেব বাজার এবং কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্টের টিপরা বাজারের মধ্যস্থলে কমনওয়েলথ পরিচালিত ওয়ার সিমেট্রিটির অবস্থান।

বাংলাদেশের দ্বিতীয় কমনওয়েলথ সমাধিক্ষেত্র প্রায় ৪.৫ একর পাহাড়ে ভোগের উপর গড়ে তোলা ওয়ার সিমেট্রি। একে স্থানীয় নিবাসীরা ইংরেজ কবরস্থান নামে ডাকলেও সেখানে সমাহিত সৈন্যদের মধ্যে মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ এবং ইহুদীও রয়েছেন। ময়নামতির এই যুদ্ধের গোরস্থানে কুমিল্লা সদর থেকে সিএনজি-অটোরিক্সা অথবা বাসে করে পৌঁছা যায়।

৪। নব শালবন বিহারঃ কুমিল্লার ১০টি দর্শনীয় স্থান

নব শালবন বিহারঃ কোটবাড়ি এলাকার এই বিহারটি কুমিল্লার প্রাচীন নিদর্শনের এক নতুন সংযোজন। এই বিহারটি প্রতিষ্ঠা করা হয় ১৯৯৫ সালের ৮ সেপ্টেম্বর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের শান্তি বিহার নামে পরিচিত। নব শালবন বিহারের মূল আকর্ষণ হল আপাদমস্তক ধাতুতে মোড়া প্রায় ৬ টন ওজনের ৩০ ফুট উচ্চতা সোনালী রঙের বুদ্ধের মূর্তি। এটি বাংলাদেশকে উপহার দেওয়া হয় ২০১৪ সালের থাইল্যান্ডের বৌদ্ধ ধর্মীয় ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে।

আপনি যদি এই বিহার পরিদর্শন করতে চান তাহলে আপনাকে কোটবাড়ি বাস স্ট্যান্ড থেকে সিএনজি অথবা অটোরিক্সা দিয়ে বিহার পর্যন্ত যেতে হবে। তাছাড়া কুমিল্লা জিরো পয়েন্ট হতে কান্দিরপাড় সড়ক দিয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে যাওয়া যায়। সেখানে বামের রাস্তা দিয়ে কিছুদূর গেলেই নব শালবন। এখন পথে ফেরার সময় কান্দিরপাড় হতে মনোহরপুর গেলে দেখা মিলবে কুমিল্লার বিখ্যাত মাতৃভান্ডারের রসমালাই।

৫। ধর্মসাগর দীঘিঃ কুমিল্লার ১০টি দর্শনীয় স্থান

ধর্মসাগর দীঘিঃ এই দর্শনীয় স্থানটি কুমিল্লা সদরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত। আঙ্গিনায় ঢুকতে দেখা মিলবে একটি সাইনবোর্ড, যেখানে লেখা রয়েছে এই দিঘির ইতিহাস। রাজা ধর্মপালের শাসনামলে রাজ্যে এক ভয়ানক দুর্ভিক্ষ দেখা দেয় ১৭৫০ থেকে ১৮০৮ সালে। তখন পাল বংশের এই জনদরদী রাজা প্রজাদের কষ্ট দূর করার জন্যই খনন করে দিয়েছিলেন ধর্মসাগর দিঘীটি। অতঃপর তার নামেই দীঘিটি প্রসিদ্ধি লাভ করেছিলেন।

ধর্মসাগরের অপরূপ দৃশ্য উপভোগ করা যায় দীঘির উত্তরে সবুজে ঘেরা শিশু পার্ক থেকেও। পর্যটকদের কেউ কেউ ধর্মসাগরের পাড় ধরে হেটে বেড়ান, আবার কেউ কেউ নৌকা নিয়ে ভেসে বেড়ান দীঘির জলে। কুমিল্লার শাসনগাছা হতে স্থানীয় যেকোনো যানবাহন নিয়ে বাদুরতলা পর্যন্ত গেলেই দেখা মিলবে ধর্মসাগর।

৬। ইটাখোলা মুড়াঃ কুমিল্লার ১০টি দর্শনীয় স্থান

ইটাখোলা মুড়াঃ কোটবাড়ির এই স্থানটি সপ্তম বা অষ্টম শতকে নির্মিত একটি বৌদ্ধ বিহার। এখানে প্রাচীনকাল থেকেই ইট পোড়ানো হয়, তাই এই জায়গাটির নাম হয়েছে ইটাখোলা মুড়া। ইটাখোলা মুড়ায় প্রবেশ করে উপরে উঠে গেলেই চতুর্ভুজাকার ক্ষেত্রের মাঝে দেখা মিলবে বিহারের প্রধান মন্দিরটি।

ইটাখোলা মুড়া থেকে এই পর্যন্ত পাওয়া গেছে ১৮ তোলা ওজনের স্বর্ণ, রৌপ্য মুদ্রা, মাটির পাতিলে রক্ষিত শোনার বল, ধ্যাণী বুদ্ধ মূর্তির আবক্ষ অংশ, তাম্রশাসন, ধাতব ধ্যাণীযুদ্ধ অমিতাভ, মাটির ফলকলিপি, ধাতব ধ্যাণীবন্ধ অক্ষোভ্য, অলংকিত পোড়া মাটির ফলক, তেলের প্রদীপ এবং গণেশ মূর্তি। কোটবাড়ি বাস স্ট্যান্ড হতে সিএনজি অথবা অটোরিক্সায় ইটাখোলা মুড়া যাওয়া যায়।

৭। রূপবান মুড়াঃ কুমিল্লার ১০টি দর্শনীয় স্থান

রূপবান মুড়াঃ কোটবাড়িতে ইটাখোলা মুড়ার ঠিক উল্টো পাশেই প্রন্ততাত্ত্বিক স্থাপনাটির নাম হল রূপবান মুড়া। এই ঐতিহাসিক স্থান ঘিরে রহিম ও রুপবানের ভালোবাসার কিংবদন্তিতে প্রচলিত রয়েছে। এই প্রত্নস্থানটি ৯০-এর দশকে কুমিল্লা-কক্সবাজার সড়কের কাছে আবিষ্কৃত হয়। এখানে প্রাপ্ত প্রন্ততাত্ত্বিক নিদর্শনগুলি ৭ম থেকে ১২শ শতাব্দীতে নির্মিত হয়েছিল বলে ধারণা করা হয়ে থাকে।

রূপবান মুড়ার উচু বিহারের উপর থেকে সূর্যাস্তের মনোমুগ্ধকর দৃশ্য দেখার জন্য কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকেই এখানে ভিড় জমান অনেক পর্যটকরাই। এখানে যাওয়ার জন্য কোটবাড়ি বাস স্ট্যান্ড থেকে যেতে হবে কুমিল্লা-কালির বাজারের পথে। অর্থাৎ দক্ষিণ দিকে বিজেবি এবং বার্ডের মাঝখানে টিলার উপর দেখা মিলবে নয়নাভিরাম রূপবান মুড়া।

৮। বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমিঃ কুমিল্লার ১০টি দর্শনীয় স্থান

বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমিঃ কোটবাড়ির এই স্থাপনটি মূলত গাছ-গাছালি ও ফুল বাগানের সুসজ্জিত একটি স্বায়ত্ত্বশাসিত গবেষণা এবং প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান। ২৭ মে ১৯৫৯ সালে প্রতিষ্ঠার সময় এটির নাম ছিল পাকিস্তান গ্রাম উন্নয়ন একাডেমি। কিন্তু পরবর্তীতে পল্লী গবেষক ড. আখতার হামিদ খান এটিকে বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমি নাম দিয়েছিলেন, সংক্ষেপে জেটি বার্ড নামে সুপরিচিত লাভ করেন।
প্রায় ১৫৬ একরের এই বিশাল জায়গায় রয়েছে পাঁচটি হোস্টেল, চারটি কনফারেন্স রুম, হেলথ ক্লিনিক, মসজিদ, স্পোর্টস কমপ্লেক্স, লাইব্রেরী, একটি প্রাইমারি স্কুল এবং দুইটি ক্যাফেটেরিয়া। বিশেষ অনুমতি নিয়ে এখানে পিকনিক করার সু-ব্যবস্থা রয়েছে। এখানে যেতে কোটবাড়ি বাস স্ট্যান্ড থেকে হেটেই বার্ড-এ যাওয়া যায়।

৯। আনন্দ বিহারঃ কুমিল্লার ১০টি দর্শনীয় স্থান

আনন্দ বিহারঃ কোটবাড়ির ময়নামতিতে অবস্থিত স্থাপন গুলির মধ্যে সবচাইতে বড় এই বিহারটি ছিল উপমহাদেশের সর্বশেষ বৌদ্ধ বিশ্ববিদ্যালয়। সপ্তম অথবা অষ্টম শতাব্দীর প্রথম দিকে এটি নির্মাণ করেছেন দেব রাজবংশের তৃতীয় শাসক শ্রী আনন্দ দেব। ধারণা করা হয়ে থাকে, এই বিহার ছিল সমতটের রাজধানী সপ্তম শতকের শেষ সময়ে। নান্দনিক বর্গাকৃতির বিশাল অবকাঠামোর ঠিক মাঝখানে আছে কেন্দ্রীয় মন্দির ও অপরূপ এক দিঘী। কুমিল্লা জেলা থেকে কোটবাড়ির আনন্দ বিহার যাবার পথে বিখ্যাত টমছম ব্রিজ দেখে নেওয়া যায়।

১০। রানী ময়নামতির প্রাসাদঃ কুমিল্লার ১০টি দর্শনীয় স্থান

রানী ময়নামতির প্রাসাদঃ কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়ক ধরে পূর্ব দিকে কমনওয়েলথের ওয়ার সেমেট্রি থেকে শুধু মাত্র ৩ কি.মি. গেলেই দেখা মিলবে এই প্রাসাদের। এই পুরাকীর্তিটির নির্মাণকাল হল অষ্টম থেকে দ্বাশম শতাব্দীর মাঝের কোন এক সময়। সে সময়ের চন্দ্র বংশের রাজা মানিক চন্দ্র তার স্ত্রী ময়নামতির আরাম-আয়েশের জন্য বানিয়েছিলেন এই প্রাসাদটি।

এই প্রাসাদ ১৯৮৮ সালে ভূপৃষ্ঠ থেকে ৩ মিটার গভীরে থাকা একটি সুড়ঙ্গের সামনে খননের সময় আবিষ্কৃত হয়। এখানে মাসব্যাপী উদযাপন হয় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বৈশাখী মেলা প্রতি বৈশাখের সপ্তম দিন থেকে। কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট গেইট কিংবা কোটবাড়ি বিশ্ব রোড থেকে অটোরিক্সা নিয়ে ময়নামতি সাহেব বাজার গেলেই আপনার দেখা মিলবে এই প্রাচীন প্রাসাদটির।

কুমিল্লার আরো কিছু দর্শনীয় স্থান

  • ডাইনো পার্ক
  • জাহাপুর জমিদার বাড়ি
  • ফান টাউন পার্ক
  • ম্যাজিক প্যারাডাইস পার্ক
  • লালমাই লেক ল্যান্ড পার্ক
  • জগন্নাথ মন্দির
  • চন্ডি মুড়া মন্দির
  • রানীর বাংলা পাহাড়
  • শাহ সুজা মসজিদ
  • বীরচন্দ্র গণপাঠাগার ও নগর মিলনায়তন
  • উটখাড়া মাজার
  • বায়তুল আজগর জামে মসজিদ
  • নূর মানিকচর জামে মসজিদ
  • কবি তীর্থ দৌলতপুর
  • প্রাচীন আলোয় কুমিল্লা
  • বিদ্রোহী কবির কুমিল্লার দৌলতপুর

কুমিল্লা কিসের জন্য বিখ্যাত

কুমিল্লা জেলা বাংলাদেশের দক্ষিণ পূর্ব অঞ্চলের চট্টগ্রাম বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল। কুমিল্লা জেলা খাদি কাপড় এবং রসমালাইয়ের জন্য বিখ্যাত। উপজেলার সংখ্যা অনুসারে কুমিল্লা বাংলাদেশের একটি "এ" শ্রেণীভুক্ত জেলা।

ঢাকা থেকে কুমিল্লা যাওয়ার সহজ উপায়

ঢাকা থেকে বাসে করেও কিংবা ট্রেনে করে কুমিল্লা যেতে পারবেন আপনি খুব সহজেই। শায়েদাবাদ অথবা কমলাপুর থেকে বাসে করে কুমিল্লা যেতে আপনার খরচ পড়বে প্রায় ২২০ টাকা থেকে ৩৫০ টাকা টাকা পর্যন্ত। আপনার এই যাত্রাটির সময় লাগবে প্রায় দুই থেকে আড়াই ঘন্টার মত। তাছাড়া চট্টগ্রামে প্রায় সকল ট্রেনই কুমিল্লা স্টেশনে যাত্রী নামিয়ে থাকে। ট্রেনের টিকিটের মূল্য ট্রেনের সিটের ক্যাটাগরি ভেদেই নির্ধারণ করা হয়ে থাকে তবে ভাড়া জনপ্রতী ১৭০ টাকা থেকে ৪৬৬ টাকা পর্যন্ত।

ঢাকার অনেক কাছে হওয়ায় কুমিল্লা জেলার জনপ্রিয় দর্শনীয় স্থানের মধ্যে অনেকগুলোই একদিনে ঘুরে আসা যায়। সেজন্যই মূলত একদিনের ভ্রমণ গন্তব্য হিসেবে ঢাকা-বাসীদের কাছে কুমিল্লা ভীষণ জনপ্রিয়। তারপরেও ভালোভাবে পুরো কুমিল্লা জেলাটি ঘুরে দেখার জন্য হাতে যথেষ্ট সময় নিয়েই যাওয়া উচিত। এছাড়া ঝটিকা সফরে অনেক ছোট ছোট সৌন্দর্য চোখ থেকে এড়িয়ে যায়। কোন কোন ক্ষেত্রে অনেকেরই জন্য সেটি ক্লান্তি কর বটে। আপনার ঢাকার নিরন্তর যান্ত্রিকতা থেকে বেরিয়ে একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে শুধু কয়েকটি দিনের জন্য কুমিল্লায় কাটিয়ে আসতে পারেন। আশা করছি কুমিল্লা দর্শনীয় স্থানগুলো আপনার কাছে অনেক ভালো লাগবে।

কুমিল্লার সেরা ১০টি দর্শনীয় স্থানঃ শেষ কথা

কুমিল্লার সেরা ১০টি দর্শনীয় স্থান গুলো সম্পর্কে নিশ্চয়ই আপনি ইতিমধ্যে জেনে গেছেন। কারণ আমরা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে খুবই সুন্দরভাবে আলোচনা করেছি কুমিল্লার সেরা ১০টি দর্শনীয় স্থান গুলো নিয়ে। তারপরও যদি আপনার কোথাও বুঝতে সমস্যা হয় তাহলে অবশ্যই কমেন্ট সেকশনে জানাবেন আমরা আপনাকে বুঝিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব।
প্রিয় পাঠক, এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার কাছে যদি এই আর্টিকেলটি তথ্যবহুল মনে হয় তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না, কেননা আপনার মাধ্যমে আপনার বন্ধুরা জানতে পারবে কুমিল্লার সেরা ১০টি দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে। এরকম তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে নিয়মিত ভিজিট বা ফোলো করার চেষ্টা করুন, কারণ আমরা এই ওয়েবসাইটে নিয়মিত নতুন নতুন তথ্য সংগ্রহ করে বিভিন্ন ধরনের ব্লক পোস্ট বা আর্টিকেল পাবলিশ করে থাকি। আপনি যেন কুমিল্লার সেরা ১০টি দর্শনীয় স্থান ঘুরে আসতে পারেন, এই কামনা করে আজকের আর্টিকেল আমরা এখানেই শেষ করছি। আসসালামু আলাইকুম।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সাগর ম্যাক্স এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url