সুন্দরবন অনুচ্ছেদ - সকল ক্লাস

সুন্দরবন সম্পর্কে ১৫ টি বাক্য বাংলায় ও ইংরেজিতেসুন্দরবন অনুচ্ছেদ সম্পর্কে আপনি নিশ্চয় জানতে চাচ্ছেন? হয়তোবা সামনে আপনার পরীক্ষা? তাই আমরা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনার সামনে তুলে ধরব সুন্দরবন অনুচ্ছেদ। সুন্দরবন অনুচ্ছেদ জানতে আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ুন।
সুন্দরবন-অনুচ্ছেদ
আশা করি সুন্দরবন অনুচ্ছেদ আপনার কাছে অনেক ভালো লাগবে এবং আপনার অনেক উপকারে আসবে। বিশেষ করে যারা শিক্ষার্থী রয়েছেন তাদের জন্য সুন্দরবন অনুচ্ছেদ গুলো অনেক প্রয়োজন পড়বে। কারণ বিভিন্ন পরীক্ষাতেই সুন্দরবন অনুচ্ছেদ লিখতে হয়।

পোস্ট সূচিপত্রঃ সুন্দরবন অনুচ্ছেদ - সকল ক্লাস

সুন্দরবন অনুচ্ছেদ - ১

চির সবুজের দেশ আমাদের এই মাতৃভূমি বাংলাদেশ। পৃথিবীর বৃহত্তম প্রাকৃতিক ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল সুন্দরবন। গাছপালার চমৎকার সমারহ এবং বিচিত্র সব বন্যপ্রাণীর সমাবেশ সুন্দরবনকে এক অপরূপ প্রাকৃতিক নিদর্শন হিসেবে উপস্থাপন করে থাকে। বাংলাদেশের খুলনা জেলা এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কিছু অংশ জুড়েই সুন্দরবনের বিস্তার। জোয়ার ভাটার জন্য এখানকার মাটিতে জলাবদ্ধতা এবং লবণাক্ততার প্রভাব অনেক বেশি। সুন্দরবনের উদ্ভিদকুলও অনেক বৈচিত্র্যময়। আর সুন্দরবনের মধ্যে রয়েছে বৃক্ষ, লতাগুগ্ন, ঘাস প্রভৃতি উদ্ভিদ। "সুন্দরী বৃক্ষ" সুন্দরবনের প্রধান উদ্ভিদ। তাছাড়াও অন্যান্য উদ্ভিদের মধ্যে আছে গেওয়া, গরান, কেওড়া, পশুর, ধুন্দুল ও বাইন প্রভৃতি। আর সুন্দরবনের ছোট ছোট খালের পাড়ে জন্মে থাকে গোলপাতা। সুন্দরবনকে ঐশ্বর্যশালী করে তুলেছে বিচিত্র প্রাণীদের সমারোহ। প্রাণীসমূহের মধ্যে সুন্দরবনের রয়েল বেঙ্গল টাইগার সবচাইতে পরিচিত এবং বিশ্ব বিখ্যাত। তাছাড়া সুন্দরবনে রয়েছে বিচিত্র হরিণ, বানর, সজারু, শূকরসহ বিভিন্ন ধরনের প্রাণী। সুন্দরবনে একসময় প্রচুর হাতে দেখা যেত। বর্তমানে সুন্দরবনে অরণ্য কমে যাওয়ার কারণে একটিও হাতে দেখা যায় না। সুন্দরবনে রয়েছে বিভিন্ন রঙের ছোট বড় নানান প্রাণী। যেমনঃ বক, হাড়গিলা, সারস প্রভৃতি। সুন্দরবনের সমুদ্র উপকূলে দেখা যায় গাংচিলের। সুন্দরবনে দেখা যায় চিল, মাছরাঙ্গা, প্যাঁচা, বুলবুলি, ঘুঘু, শালিক, দোয়েল প্রভৃতি পাখির বিচিত্র সমারোহও। সুন্দরবনের প্রায় ৫০ জাতের সরীসৃপ দেখা মিলে। এছাড়া সুন্দরবনের বিষাক্ত সাপের আনাগোনাও লক্ষ্য করা যায়। সুন্দরবন শুধু যে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য তা নয়, অর্থনীতিতেও বিশাল ভূমিকা রাখে সুন্দরবন। তাছাড়া সুন্দরবনের বিক্ষোভ কাঠের উপস্থাপনা তৈরিতে, জ্বালানি হিসাবে এবং কাঠ কয়লা উৎপাদনে ভীষণভাবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। বিভিন্ন ধরনের ঘরের চাল এবং বেড়া তৈরিতে গোলপাতা ব্যবহৃত হয়ে থাকে। সুন্দরবনে মৌয়ালরা মধু সংগ্রহ করে তারা তাদের জীবিকানির্বাহ করে থাকে। সুন্দরবনকে কেবল কেন্দ্র করেই ব্যাপক জনগোষ্ঠী আজ পর্যন্ত বেঁচে আছে। আমাদের নিজেদের অস্তিত্বের স্বার্থেই সুন্দরবনকে সংরক্ষণ করতে হবে।

সুন্দরবন অনুচ্ছেদ - ২

সুন্দরবন বাংলাদেশের দক্ষিণ পশ্চিমাংশে অবস্থিত বিস্তৃত একটি ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল নামে পরিচিত। সুন্দরবনকে ১৯৯৭ সালের ৬ ডিসেম্বর ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। সুন্দরবনে বিভিন্ন ধরনের গাছপালায় পরিপূর্ণ বিচিত্র বন্যপ্রাণী বাস করে। ৪০০০ বর্গ কিলোমিটারের এই সুন্দরবনটির মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশ বাংলাদেশ এবং বাকি অংশটি ভারতের পশ্চিমাবঙ্গে অবস্থিত। খুলনা, সাতক্ষীরা ও বাগেরহাট জেলার অংশবিশেষ নিয়ে বাংলাদেশ অংশে সুন্দরবন বিস্তৃত। সুন্দরবন বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বিশাল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে প্রাকৃতিক সম্পদের ভান্ডার হিসেবে। সুন্দরবন থেকে সংগৃহীত হয় বিভিন্ন ধরনের কাঠ, মধু, মন এবং মৎস্য। সুন্দরবনের প্রায় ৪০০ নদী ও খাল এবং ২০০ দ্বীপ রয়েছে। সুন্দরবনে যে সকল গাছ জন্মায় তার মধ্যে রয়েছে সুন্দরী, গোলপাতা, কেওড়া, গেওয়া, গরান, বাইন, ধুন্দুল, পশুর প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য। সুন্দরবনের বাস করে রয়েল বেঙ্গল টাইগার, চিত্রা হরিণ, মায়া হরিণ, বন্য শূকর, বানর, বন বিড়াল, সজারু ইত্যাদি বন্যপ্রাণী। সুন্দরবনের এক সময় হাতি দেখা যেত, তবে বর্তমান সময়ে সুন্দরবনে এখন আর হাতি দেখা যায় না। সুন্দরবন মুখর থাকে বিচিত্র প্রজাতির পাখির কলকাকলিতে।

সুন্দরবন অনুচ্ছেদ - ৩

সুন্দরবন বিশ্বের সবচাইতে বড় ম্যানগ্রোভ অথবা লবণাক্ত বনাঞ্চল হিসেবে পরিচিত। সুন্দরবন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং অপরূপ সৌন্দর্যের লীলাভূমি। সুন্দরবনে রয়েছে প্রচুর সুন্দর বৃক্ষ যেটি এই ম্যানগ্রোভটির আকর্ষণীয়তা পর্যটনদের কাছে আরো অনেক গুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। সেজন্য এই বনের নামকরণ করা হয়েছে সুন্দরবন। সুন্দরবনের বসবাস করে পৃথিবীর বিখ্যাত রয়েল বেঙ্গল টাইগার। সুন্দরবনের কারণেই পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশ নামটি খ্যাতি অর্জন করেছেন। সুন্দরবনে জীববৈচিত্র্য থেকে শুরু করে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের টয়টম্বুর। এই সুন্দরবনের মোট আয়তন ১০ হাজার বর্গ কিলোমিটার। যেটি বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে যৌথভাবে অবস্থিত। বাংলাদেশের মধ্যে সুন্দরবনের মোট আয়তন ৬,০১৭ বর্গ কিলোমিটার, যেটি আমাদের দেশের খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পটুয়াখালী এবং বরগুনা জেলার অংশ নিয়েই বিস্তৃত। সুন্দরবনকে বিশ্বের ঐতিহ্যবাহী পর্যটন স্থান হিসেবে ইউনেস্কো ১৯৯৭ সালে ৬ ডিসেম্বর স্বীকৃতি দেয়। সুন্দরবনটির অপরূপ সৌন্দর্যতার কারণে প্রত্যেক বছর বাংলাদেশ হাজার হাজার পর্যটকরা এখানে ভ্রমনে আসে। সুন্দরবন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং সম্পদের পরিপূর্ণ, যা বাংলাদেশের একটি অমূল্য সম্পদ। সেজন্য একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে এই সম্পদের রক্ষণাবেক্ষণ আমাদের সকলের প্রধান কর্তব্য।

সুন্দরবন অনুচ্ছেদ - ৪

পৃথিবীর বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবন। বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমের অবস্থিত সাতক্ষীরা, খুলনা, পটুয়াখালী, বরগুনা এবং বাগেরহাট জেলা জুড়ে সুন্দরবন বিস্তৃত। সুন্দরবনে প্রচুর পরিমাণে সুন্দরী বৃক্ষ থাকায় এর নামকরণ করা হয় সুন্দরবন। বাংলাদেশের মোট আয়তন প্রায় ১০ হাজার বর্গ কিলোমিটার যার মধ্যে ৬৬ শতাংশ রয়েছে বাংলাদেশে, এবং ৩৪ শতাংশ রয়েছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে। সুন্দরবনে রয়েছে পশু পাখি, বিভিন্ন ধরনের গাছপালা আরো রয়েছে মূল্যবান বনজ সম্পদ। এছাড়া সুন্দরবনের অভয়ারণ্যে বাস করে পৃথিবীর সর্ব বৃহত্তম রয়েল বেঙ্গল টাইগার। আরো রয়েছে হরিণ, বানর, সজারু ইত্যাদি। সুন্দরবনের রয়েছে প্রায় ৪০০ মতো নদী ও খাল এবং প্রায় ২০০ মতো দ্বীপ রয়েছে। সুন্দরবনের বৃক্ষের মধ্যে রয়েছে সুন্দরী, গোলপাতা, কেওড়া, গরান, বাইন, ধুন্দল এবং পশুর ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। সুন্দর বনে অপরূপ সৌন্দর্যের পাশাপাশি প্রাকৃতিক সম্পদের ভান্ডার হিসেবে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ব্যাপক অবদান রেখেছে। সুন্দরবনকে ১৯৯৭ সালের ৬ই ডিসেম্বর ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন। অর্থাৎ বলাই যাই সুন্দরবন আমাদের দেশের গৌরব। সুতরাং সুন্দরবনকে অসৎ কাঠুরিদের অথবা অসৎ সমাগলারদের থেকে রক্ষা করা, একজন নাগরিক হিসেবে আমাদের সকলেরই দায়িত্ব।

সুন্দরবন অনুচ্ছেদ - ৫

বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলে অবস্থিত পৃথিবীর সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ বন হল সুন্দরবন। এই সুন্দরবনের অবস্থান খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পটুয়াখালী ও বরগুনা জেলার দক্ষিণ বঙ্গপ্রসাগরের কোল জুড়ে। সুন্দরবনকে ম্যানগ্রোভ বন বলা হয় কারণ লবণাক্ত পানিতে বেঁচে থাকতে পারে এমন উদ্ভিদের জন্যই। সুন্দরবন সম্পর্কে ধারণা করা হয় দুই থেকে তিন হাজার বছর আগে এই অঞ্চল ছিল সমুদ্রগর্ভে। গঙ্গা ও গঙ্গার শাখা সমূহ হিমালয়ের শীর্ষ থেকে পলিমাটি বহন করে দক্ষিনে সঞ্চিত হয়ে ভূ-ভাগের সৃষ্টি হয়ে থাকে। যুগ যুগ এটি গভীর জঙ্গল হয়ে ওঠে। সুন্দরবন নামটি রাখার কারণ হলো এই বনে সুন্দরী নামে এক প্রকার গাছ বেশি রয়েছে, যদিও বা এই কথার প্রচলন রয়েছে তারপরও নামকরণের সঠিক ইতিহাস আজ পর্যন্ত জানা যায়নি। সুন্দরবনের দৈর্ঘ্য প্রায় ২৯০ কিলোমিটার এবং উত্তর দক্ষিনে প্রস্থ প্রায় ১২৯ কিলোমিটার। সুন্দর মনের মোট আয়তন প্রায় ১০ হাজার বর্গ কিলোমিটার যা বাংলাদেশ রয়েছে ৫৮০০ বর্গ কিলোমিটার, বন এলাকা ৪,০১,৬০০ হেক্টর, নদীর ও খাল বিল এলাকা ১,৭৫,৬৮৫ হেক্টর। সুন্দরবনের মোট আয়তনের মধ্যে ৩, ৮০, ৩৪০ হেক্টর উন্নত বনভূমি এবং ২৬, ৮০৭ হেক্টর প্রধান বনভূমি। এই বনভূমি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে উচ্চতায় ০.৯১২ মিটার থেকে ২.১১ মিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে। সুন্দরবনে আমাদের সম্পদ নদী, মৎস্য, পাখি এবং বৃক্ষ। আমাদের এ সকল সম্পদ গুলো একদিকে প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা করে থাকে এবং অন্যদিকে অর্থনৈতিকভাবেও উন্নতিতে সহায়তা করে। জীব বৈচিত্রের এই সুন্দরবন "ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ" ঘোষণার পর থেকে আরও সম্ভাবনা হয়ে উঠেছে। সুন্দরবন সৌন্দর্যের জন্য পর্যটনের একটি উপযুক্ত জায়গা। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও সম্পদের এই সুন্দরবনের খনি বাংলাদেশের অমূল্য এক সম্পদ। তাই একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে এই সম্পদকে রক্ষণাবেক্ষণ আমাদের সকলের প্রধান কর্তব্য হওয়া উচিত।

লেখকের মন্তব্য

আপনারা যারা শিক্ষার্থী রয়েছে, তারা এ সকল সুন্দরবন অনুচ্ছেদ করে আপনাদের পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে পারেন। আশা করি এই সুন্দরবন অনুচ্ছেদ গুলো আপনাদের কাছে অনেক ভালো লেগেছে এবং সুন্দরবন অনুচ্ছেদ গুলো আপনাদের অনেক উপকারে আসবে। তাই সুন্দরবন অনুচ্ছেদ গুলো আপনাদের কাছে ভালো লেগে থাকলে, অবশ্যই আপনারা আপনাদের বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। কারণ আপনার মাধ্যমে আপনার বন্ধুরা করতে পারবে সুন্দরবন অনুচ্ছেদ। আসসালামু আলাইকুম।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সাগর ম্যাক্স এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url