বাংলাদেশের সেরা ১০ সরকারি পলিটেকনিক ২০২৪
১০টি শিক্ষা প্রযুক্তির নামবাংলাদেশের সেরা ১০ সরকারি পলিটেকনিক: বাংলাদেশের সেরা ১০ সরকারি পলিটেকনিক সম্পর্কে অনেকেই জানতে চাই। কারণ কর্মভিত্তিক শিক্ষার জন্য পলিটেকনিক শিক্ষা ব্যবস্থার বাংলাদেশ বর্তমান সময়ে অনেক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। সেজন্য প্রত্যেককেই পলিটেকনিকে অধ্যায়ন করতে চাচ্ছে।
তাই আজকের আর্টিকেলে বাংলাদেশের সেরা ১০ সরকারি পলিটেকনিক সম্পর্কে জানানো হবে। তাহলে দেখুন বাংলাদেশের সেরা ১০ সরকারি পলিটেকনিক কোন গুলো।
পোস্ট সূচিপত্রঃ বাংলাদেশের সেরা ১০ সরকারি পলিটেকনিক
- বাংলাদেশের সেরা ১০ সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ২০২৪
- ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট - ০১
- রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটক - ০২
- বরিশাল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট - ০৩
- চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট - ০৪
- সিলেট পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট - ০৫
- পাবনা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট - ০৬
- কুমিল্লা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট - ০৭
- বগুড়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট - ০৮
- বাংলাদেশ সুইডেন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট - ০৯
- রংপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট - ১০
- আর্টিকেল সম্পর্কিত কিছু প্রশ্ন উত্তর
বাংলাদেশের সেরা ১০ সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ২০২৪
বাংলাদেশের সেরা ১০ সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট কোনগুলো? এ প্রশ্নটি অনেকেরই। আসলে আমাদের বাংলাদেশে অনেক সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থাকলেও, সব প্রতিষ্ঠানের মান একই সমান হয় না। সেজন্য বাংলাদেশের সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে পড়াশোনার ক্ষেত্রে শিক্ষার মানকে অনেক বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়। বাংলাদেশের সেরা ১০ সরকারি পলিটেকনিক এর সংক্ষিপ্ত তালিকা এবং কিছু পরিচিতি আজকের আর্টিকেলে রয়েছে।
আপনি আপনার পছন্দমত বাংলাদেশের সেরা ১০ সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর মধ্যে একটি প্রতিষ্ঠান বেছে নিতে পারেন। আপনি যদি আজকের এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে অবশ্যই আপনি জানতে পারবেন বাংলাদেশের সেরা ১০ সরকারে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট সম্পর্কে। তো চলুন জেনে নেওয়া যাক বাংলাদেশের সেরা ১০ সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট।
ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট - ০১
ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটঃ বাংলাদেশের সেরা ১০ সরকারি পলিটেকনিকের নাম আসতেই সবার প্রথমে ঢাকা পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের নাম চলে আসে। কারণ শিক্ষার মানের দিক থেকে অনেক এগিয়ে এবং এই ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট অনেক প্রাচীন একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। আমেরিকার ফোর্ড ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট স্থাপিত হয়েছিল ১৯৫৫ সালে।
তৎকালীন সময়ে ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের নাম ছিল " ইস্ট বেঙ্গল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট"। পরবর্তী সময়ে যখন বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল তখন এই পলিটেকনিকের নাম পরিবর্তন রাখা হয়েছিল ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট।
ঢাকা পলিটেকনিকের অনুষদসমূহঃ
- ইলেকট্রিক্যাল
- সিভিল
- কম্পিউটার
- আর্কিটেকচার
- কেমিক্যাল
- ইলেকট্রনিক্স
- মেকানিক্যাল
- অটোমোবাইল
- ফুড
- এনভায়রনমেন্ট
- রেফ্রিজেশন ও এয়ার কন্ডিশনিং
- পাওয়ার
- কেমিক্যাল
রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট - ০২
রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটঃ রাশি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের অন্যতম কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠার পর থেকে এই প্রতিষ্ঠানটি ব্যাপক সুনাম অর্জন করেছে। ১৯৬৩ সালে রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠিত হয় কারিগরি এবং বৃত্তিমূলক শিক্ষা প্রদানের উদ্দেশ্যে। তৎকালীন সময় এই প্রতিষ্ঠানটির অবকাঠামো নির্মাণের জন্য ১৮ লক্ষ টাকা ব্যয় করেছিলেন সরকার। সেজন্য এই প্রতিষ্ঠানটি আয়তনে সুবিশাল এবং শিক্ষা ক্ষেত্রেও অনেক এগিয়ে।
রাজশাহী পলিটেকনিকের অনুষদসমূহঃ
- ইলেকট্রনিক্স প্রকৌশল
- যন্ত্র প্রকৌশল
- কম্পিউটার প্রকৌশল
- পুরকৌশল (সিভিল)
- ইলেকট্রোমেডিক্যাল প্রকৌশল
- শক্তি প্রকৌশল
- তড়িৎ প্রকৌশল
- মেকাট্রনিক্স প্রকৌশল
বরিশাল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট - ০৩
বরিশাল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটঃ বরিশাল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের মধ্যে অন্যতম একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান। বরিশাল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠানটি ফোর্ড ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৬২ সালে। এই প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠা লগ্নে শুধুমাত্র তিনটি অনুষদসমূহ নিয়ে যাত্রা শুরু করেন।
এই প্রতিষ্ঠানটি কারিগরি শিক্ষা এর পাশাপাশি আবশ্যকভাবে পাঠ্য বাংলা, ইংরেজি, গণিত, পদার্থ, রসায়ন, ব্যবস্থাপনা, সমাজবিজ্ঞান এবং শারীরিক শিক্ষা ইত্যাদি বিষয়ে পাঠদানের উদ্দেশ্যে একটি অকারিগরি শিক্ষা বিভাগ তৈরি করেন। বরিশাল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ১৯৯৫ সালে বাংলাদেশের সকল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর মধ্যে শ্রেষ্ঠ নির্বাচিত হয়েছিল এবং সে সময় এ প্রতিষ্ঠানটি জাতীয় পুরস্কার লাভ করেছিলেন।
বরিশাল পলিটেকনিকের অনুষদসমূহঃ
- ইলেকট্রিক্যাল প্রকৌশল
- কম্পিউটার প্রকৌশল
- ইলেকট্রনিক্স প্রকৌশল
- পুরকৌশল
- শক্তি কৌশল
- ট্যুরিজম এন্ড হস্পিটালিটি ম্যানেজমেন্ট
- ইলেকট্রোমেডিক্যাল প্রকৌশল
- যন্ত্রপ্রকৌশল
চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট - ০৪
চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটঃ ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর পরে যে নামটি সবার মাঝে চলে আসে সেটা হল চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট। চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পূর্বে ১৯৬২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট তাদের পথ চলা শুরু করে শুধুমাত্র ৭ টি বিভাগ নিয়ে।
বাংলাদেশের ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং চাকরির ক্ষেত্রে চট্টগ্রামের পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর অনুদান সবচাইতে বেশি। এই প্রতিষ্ঠানটির মোট শিক্ষার্থীর মধ্যে ৬৫% শিক্ষার্থী সরকারি ভাতা পেয়ে থাকে। এছাড়াও এই প্রতিষ্ঠানটির কিছু শিক্ষার্থী বিশ্ব ব্যাংক থেকেও ব্যক্তি পায়।
চট্টগ্রাম পলিটেকনিকের অনুষদসমূহঃ
- কম্পিউটার
- পুরপ্রকৌশল (১০০ আসন)
- তড়িৎ প্রকৌশল
- পরিবেশ
- শক্তি প্রকৌশল
- ইলেকট্রনিক্স প্রকৌশল
- যন্ত্রপ্রকৌশল
সিলেট পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট - ০৫
সিলেট পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটঃ ১৯৫৫ সালে এই প্রতিষ্ঠানটিও ফোর্ড ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে স্থাপিত হয়েছিল। সিলেট পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠানটির নকশা কারছিলেন, উপমহাদেশের প্রখ্যাত স্থাপতি শিল্পী মাজহারুল ইসলাম ও ইনস্ট্যান্টলি টাইগারম্যান। সিলেট পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠানটি শুরু লগ্নে ৫টি অনুষদসমূহ নিয়ে পথ চলা শুরু করেছিলেন। কিন্তু বর্তমান সময়ে চার বছর মেয়াদী ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে সাতটি বিভাগ চলমান রয়েছে।
সিলেট পলিটেকনিকের অনুষদসমূহঃ
- সিভিল
- ইলেকট্রনিক্স
- কম্পিউটার
- পাওয়ার
- ইলেকট্রিক্যাল
- ইলেকট্রোমেডিক্যাল
- মেকানিক্যাল
পাবনা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট - ০৬
পাবনা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটঃ ১৯২৪ সালের নিজ অর্থায়নে পাবনা শহরে বিএল ইলিইয়ট নামে একটি টেকনিক্যাল স্কুল নামের একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন, তৎকালীন তাড়াশের জামিদার শ্রী বনমালী রায়। পরবর্তী সময়ে ১৯৬২ সালে পাকিস্তান সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় বিএল ইলিইয়ট স্কুলটিকে " পাবনা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট" নাম দেওয়ার পর পলিটেকনিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত করেন।
পাবনা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকেই খুবই সুনামের সহিত পরিচালিত হয়ে আসছে এ পর্যন্ত। পাবনা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের অন্যতম একটি সেরা সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট। বর্তমান সময়ে বেশ কিছু অনুষদসমূহ রয়েছে এই পাবনা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে।
পাবনা পলিটেকনিকের অনুষদসমূহঃ
- ইলেকট্রনিক্স
- কম্পিউটার
- কম্পিউটার প্রকৌশল
- যন্ত্র প্রকৌশল
- পরিবেশগত
- রেফ্রি ও এয়ারকন্ডিশন
- তড়িৎ প্রকৌশল
- পাওয়ার
- নির্মাণ
- পুরপ্রকৌশল
কুমিল্লা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট - ০৭
কুমিল্লা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটঃ কুমিল্লা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠানটি চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর সাথে একই বছরে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। কুমিল্লা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে বর্তমান সময়ে চার বছর মেয়াদে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স চালু রয়েছে।
কুমিল্লা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠানটির অন্যান্য একটি বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এটি কারিগরি শিক্ষার সাথে সাথে বাংলা ইংরেজি বিজ্ঞান সুতরাং পদার্থ রসায়ন গণিতসহ সামাজিক বিজ্ঞান ও পরিবেশ বিদ্যা ইত্যাদি প্রদান করে। আর সকল কারিগরি সাবজেক্ট এর জন্য একটি "ননটেক" শিক্ষা বিভাগ রয়েছে এই প্রতিষ্ঠানে।
কুমিল্লা পলিটেকনিকের অনুষদসমূহঃ
- ইলেকট্রিক্যাল
- সিভিল
- মেকানিক্যাল
- ইলেকট্রনিক্স
- কম্পিউটার
- পাওয়ার
বগুড়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট - ০৮
বগুড়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটঃ এই প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশের মধ্যে একটি স্বনামধন্য ও বৃহৎ কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বগুড়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠানটিও ১৯৬২ সালে ফোর্ড ফাউন্ডেশন অর্থায়নে প্রতিষ্ঠিত হয়। এই প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর ওকলাহোমা ইউনিভার্সিটির পাঠ্যক্রমানুসারে তিন বছর মেয়াদী কোর্স পড়ানো হত। তবে বর্তমান সময়ে সেখানে চার বছর মেয়াদী কোর্স সমূহ চালু আছে।
বগুড়া পলিটেকনিকের অনুষদসমূহঃ
- ইলেকট্রনিক্স
- কম্পিউটার
- রেফ্রিজারেশন ও এয়ারকন্ডিশনিং
- পুরকৌশল
- পাওয়ার
- যন্ত্রকৌশল
- তড়িৎ প্রকৌশল
বাংলাদেশ সুইডেন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট - ০৯
বাংলাদেশ সুইডেন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটঃ বাংলাদেশের সেরা ১০ সরকারি পলিটেকনিক এর মধ্যে বাংলাদেশ সুইডেন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটও একটি। বাংলাদেশ সুইডেন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট বিখ্যাত কাপ্তাই হ্রয়ের তীরে অবস্থিত। বাংলাদেশ সুইডেন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠানটি ১৯৬০ সালে পর্বত চট্টগ্রাম রাঙ্গামাটি জেলার কাপ্তাই উপজেলায় প্রতিষ্ঠিত হয়।
তৎকালীন সময়ে পাকিস্তানের সরকার এবং সুইডিশ সরকারের যৌথ উদ্যোগেই এই প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এই প্রতিষ্ঠানটি নিজের অবস্থান ধরে রেখেছে অত্যন্ত সুনামের সহিত। এছাড়া এ প্রতিষ্ঠানটি রাজনীতি মুক্ত এবং শান্ত পরিবেশের পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট হিসেবে সবার কাছেই পরিচিত।
বাংলাদেশ সুইডেন পলিটেকনিকের অনুষদসমূহঃ
- সিভিল (উড)
- কম্পিউটার
- মেকানিক্যাল
- কন্সট্রাকশন
- ইলেকট্রিক্যাল
রংপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট - ১০
রংপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটঃ রংপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের অন্যতম সেরা একটি কারিগরি প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিত। এই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে অনেক ইতিহাস জড়িত রয়েছে। দক্ষ এবং অভিজ্ঞ জনশক্তি তৈরি করার লক্ষ্যে ১৮৮২ সালে, "বেইলী ব্রিজ গোবিন্দ লাল টেকনিক্যাল স্কুল" নামে একটি প্রতিষ্ঠান করা হয়। তৎকালীন সময় থেকে এ পর্যন্ত এই প্রতিষ্ঠানটি শিক্ষা ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রেখে যাচ্ছে।
"রংপুর টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট নামে" প্রতিষ্ঠা লাভ করেছিলেন, ১৯৬২ সালে পাকিস্তান সরকার কর্তৃক গঠিত সাত ধাপের কর্মসূচির আওতায়। তারপর ১৯৬৮ সালে নাম পরিবর্তন করে এ প্রতিষ্ঠানের নামকরণ করা হয়েছিল "রংপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট"। কিন্তু পরবর্তী সময়ে ১৯৯২, ২০০২ ও ২০০৬ সালে অনুষদ সংযোজন করার মাধ্যমে সম্প্রসারিত করা হয়।
রংপুর পলিটেকনিকের অনুষদসমূহঃ
- কম্পিউটার প্রকৌশল
- ইলেকট্রোমেডিক্যাল প্রকৌশল
- তড়িৎ বিদ্যা
- যন্ত্র প্রকৌশল
- তড়িৎ প্রকৌশল
- পুরপ্রকৌশল
- শক্তি প্রকৌশল
আর্টিকেল সম্পর্কিত কিছু প্রশ্ন উত্তর
- প্রশ্নঃ বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় পলিটেকনিক কোনটি?
- উত্তরঃ বাংলাদেশের সবচাইতে বড় দ্বীপ ভোলায় অবস্থিত একটি কারিগরি প্রতিষ্ঠান হল ভোলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট (বিএইচপিআই)।
- প্রশ্নঃ ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট কত একর?
- উত্তরঃ ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ২৭.৬৩ একর।
- প্রশ্নঃ সরকারি পলিটেকনিকে আসন সংখ্যা কত?
- উত্তরঃ বাংলাদেশের সর্বমোট ৪৯ টি সরকারি পলিটেকনিক আছে যার মধ্য থেকে প্রত্যেক শিফট এ ২০ হাজার ৯০০ টি আসন রয়েছে।
- প্রশ্নঃ বাংলাদেশের প্রথম সরকারি পলিটেকনিক এর নাম কি?
- উত্তরঃ বাংলাদেশের প্রথম সরকারি পলিটেকনিকের নাম হলো ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট। এই প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশের অন্যতম প্রাচীন সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট।
- প্রশ্নঃ বাংলাদেশের প্রথম মহিলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট কোনটি?
- উত্তরঃ বাংলাদেশের প্রথম মহিলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট হল ঢাকা মহিলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট। এই প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশের নারীদের কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত করার জন্য ১৯৮৫ সালে শুধু মাত্র দুইটি বিভাগ নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিলেন ঢাকা মহিলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট।
- প্রশ্নঃ সরকারি পলিটেকনিকে ভর্তি হতে কত পয়েন্ট লাগবে?
- উত্তরঃ সরকারি পলিটেকনিকে ভর্তি হতে পয়েন্ট লাগবে জিপিএ ৩.৫ (ছেলে) এবং ৩.০ (মেয়ে)।
- প্রশ্নঃ বর্তমানে আমাদের দেশে সরকারি ও বেসরকারি পলিটেকনিকের সংখ্যা কত?
- উত্তরঃ সরকারি ৪৯টি এবং বেসরকারি ৩৭৩টি।
- প্রশ্নঃ বাংলাদেশে সরকারি পলিটেকনিক কয়টি?
- উত্তরঃ বাংলাদেশে সরকারি পলিটেকনিক ৪৯টি।
সাগর ম্যাক্স এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url