পদ্মা সেতু অনুচ্ছেদ ২০২৪

মেট্রোরেল অনুচ্ছেদপদ্মা সেতু অনুচ্ছেদ ২০২৪ সম্পর্কে আপনি নিশ্চয় জানতে চান। পদ্মা সেতু অনুচ্ছেদ ২০২৪ বিষয়ে জানার জন্য আপনাকে আর্টিকেলটি পড়তে হবে। পদ্মা সেতু অনুচ্ছেদ ২০২৪ সম্পর্কে একটি সুন্দর অনুচ্ছেদ দেওয়া রয়েছে।
পদ্মা-সেতু-অনুচ্ছেদ-২০২৪
মূলত সে সফল শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে আমরা এই আর্টিকেলটি পদ্মা সেতু অনুচ্ছেদ ২০২৪ নিয়ে সাজিয়েছি। আমরা এখানে পদ্মা সেতু নিয়ে মোট পাঁচটি অনুচ্ছেদ রেখেছি। যেন প্রত্যেকটি শিক্ষার্থীদের অনেক উপকারে লাগে। তাহলে চলুন বন্ধুরা আর দেরি না করে আমরা পড়ে নিই পদ্মা সেতু অনুচ্ছেদ ২০২৪।

পোস্ট সূচিপত্রঃ পদ্মা সেতু অনুচ্ছেদ ২০২৪

ভূমিকা

আমাদের বাংলাদেশের স্বপ্নের পদ্মা সেতু অনুচ্ছেদ ২০২৪-২০২৫ সালের SSC, HSC শিক্ষার্থীসহ প্রায় প্রত্যেক শ্রেণীর জন্য ফুল নম্বর পাবার উপযোগী করে লেখা হয়েছে পদ্মা সেতু নিয়ে এই ৫টি অনুচ্ছেদ। তাই আপনারা যারা শিক্ষার্থী রয়েছেন তারা নিঃসন্দেহে এই অনুচ্ছেদ গুলি পড়ে নিতে পারেন। তাহলে আশা করা যায় আপনি আপনার পরীক্ষার খাতায় ফুল নম্বর পেয়ে যাবেন। তাহলে চলুন আর দেরি না করে আমরা এখনই পড়ে নেওয়ার চেষ্টা করি পদ্মা সেতু অনুচ্ছেদ ২০২৪ সম্পর্কে। আশা করি পদ্মা সেতু নিয়ে এই অনুচ্ছেদ রচনা গুলি আপনার অনেক উপকারে আসবে।

অনুচ্ছেদ ১ - পদ্মা সেতু অনুচ্ছেদ ২০২৪

আমাদের বাংলাদেশের দীর্ঘতম বহুমুখী সেতু হচ্ছে পদ্মা সেতু। পদ্মা সেতু আমাদের বাংলাদেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলকে রাজধানী ঢাকা ও দেশের বাকি অংশের সঙ্গে সংযুক্ত করে যোগাযোগ ব্যবস্থার বিশাল উন্নতি ঘটিয়েছে। পদ্মা সেতু ইতিমধ্যেই বাংলাদেশের অর্থনীতি এবং উন্নয়নে ব্যাপকভাবে ভূমিকা রেখেছে। আর এই পদ্মা নদীর ওপর সেতু নির্মাণ ধারণাটি কয়েক দশক ধরেই আলোচনায় রয়েছে। তবে অর্থের উৎসের অভাবের কারণে সেটা হয়ে ওঠেনি। কিন্তু ২০০৭ সালে বাংলাদেশের সরকার প্রথম আনুষ্ঠানিকভাবেই সেতু বানানোর ঘোষণা দিয়েছিলেন। সে সময়কালীন পদ্মা সেতু বানানোর অনুমতি ব্যয় ছিল প্রায় ২.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। পদ্মা সেতু নির্মাণে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছিলেন বিশ্ব ব্যাংক। তবে পরবর্তী সময়ে দুর্নীতির অভিযোগ বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতু নির্মাণের আর্থিক সহায়তা প্রত্যাখ্যান করে নিয়েছিলেন। এরপর আমাদের বাংলাদেশ সরকার নিজস্ব তহবিলে সেতু নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছিলেন। এই ঘোষণা দেয়ার পর ২০১৪ সাল থেকে পদ্মা সেতু নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছিল এবং এই পদ্মা সেতুর কাজ শেষ হয়েছিল ২০২২ সালের ২৩ শে জুন। এই পদ্মা সেতুর মোট দৈর্ঘ্য হচ্ছে প্রায় ৬.১৫ কিলোমিটার এবং প্রস্ত হচ্ছে প্রায় ১৮.১০ মিটার। এই পদ্মা সেতুতে ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের ৪১টি স্প্যান এবং ৪২টি পিলার আছে। পদ্মা সেতুটি দুইটি স্তরে বিভক্ত। যানবাহনের জন্য চারলেন মহাসড়ক ও নিচে রয়েছে একক রেলপথ। শুধু তাই নয় ফাইবার অপটিক্যাল ক্যাবল ও গ্যাস এবং পাওয়ার ট্রান্সমিশন ইত্যাদি। তাছাড়া পদ্মা সেতুতে রক্ষণাবেক্ষণ এবং জরুরী প্রতিক্রিয়ার জন্য একটি পরিষেবা এরিয়া সাথে সাথে পথচারীদের হাটার জন্য পথ রয়েছে। এ পর্যন্ত বাংলাদেশের সরকারের যত উদ্যোগ ছিল তার মধ্যে বিশাল উদ্যোগ হচ্ছে পদ্মা সেতু নির্মাণ প্রকল্প। পদ্মা সেতু নির্মাণ প্রকল্পটি চলাকালীন সময়ে অসংখ্য চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হয়েছিল। সবচাইতে বড় চ্যালেঞ্জিং ব্যাপারটা ছিল পদ্মা সেতু বাজেট। বিশ্ব ব্যাংক ২০১১ সালে পদ্মা প্রকল্পের জন্য এক পয়েন্ট দুই বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণদানের প্রস্তাব করেছিলেন। তবে বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগের জন্য ২০১২ সালে প্রস্তাবটি প্রত্যাখ্যান করে নেন বিশ্ব ব্যাংক। আমাদের এই পদ্মা সেতুর মোট নির্মাণ ব্যয় হয়েছে প্রায় ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। বাংলাদেশ অর্থ বিভাগ বাংলাদেশ সেতু বিভাগকে প্রায় এক শতাংশ সুদের হারে ২৯ হাজার ৮৯৩ কোটি টাকা ঋণ প্রদান করেছিলেন। এই চুক্তি অনুযায়ী সেতু বিভাগ উক্ত ঋণ ৩৫ বছরের মধ্যে পরিশোধ করবেন তা জানিয়েছিলেন। এই পদ্মা সেতু নির্মাণের প্রধান ও অন্যতম কারণ ছিল বাংলাদেশের অভিভক্ত অঞ্চল গুলোর মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়ন করা। যেমন বলা যায়, দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চলের যাত্রীদের ভ্রমণের সময় কমিয়ে দিবে এবং পদ্মা সেতু পরিবহনে উন্নতি ঘটাবে। পদ্মা সেতুটি আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে একটি নতুন রোড এবং সরবরাহ করবে কেননা বাংলাদেশের প্রধান সমুদ্র বন্দর চট্টগ্রামকে দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের সাথে সংযুক্ত করেছে এই পদ্মা সেতু। অর্থনৈতিক সুবিধার পাশাপাশি বাংলাদেশের সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক ভূ-প্রকৃতিতেও একটি বিশাল প্রভাব ফেলেছে 2022 সালে পদ্মা সেতু চালুর পর থেকে। পদ্মা সেতুটি দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলকে সংযুক্ত করেছেন যেটি বাংলাদেশের অন্যান্য বিভাগের শিক্ষা স্বাস্থ্যসেবার পাশাপাশি অন্যান্য পরিষেবা গুলিকে অনেকটাই উন্নত করেছে। এই পদ্মা সেতু উদ্বোধনের ফলে আমাদের বাংলাদেশের ২১টি জেলার মোট তিন কোটি মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে উপকৃত হয়েছেন। আশা করা যায় এই পদ্মা সেতু উদ্বোধনের ফলে আমাদের বাংলাদেশের জিডিপি ১.২ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে। এবং পদ্মা সেতু ভবিষ্যতে এশিয়া এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া মধ্যেও সংযোগ স্থাপনে একটি বিশাল ভূমিকা পালন করবে।

অনুচ্ছেদ ২ - পদ্মা সেতু অনুচ্ছেদ ২০২৪

পদ্মা সেতু আমাদের বাংলাদেশের দীর্ঘতম বহুমুখী সেতু। এই পদ্মা সেতু নির্মাণের হওয়ার উত্তর-পূর্বকে দক্ষিণ-পশ্চিমের সঙ্গে সংযোগ করেছে। পদ্মা সেতুটির ওপরের ডেকে রয়েছে চার লেনের মহাসড়ক এবং নিচের দিকে রয়েছে একক রেল লাইন। পৃথিবীর ১২২ তম বৃহত্তম সেতু হচ্ছে পদ্মা সেতু। পদ্মা সেতু টির দৈর্ঘ্য হচ্ছে প্রায় ৬.১৫ কিলোমিটার এবং প্রস্থ হচ্ছে প্রায় ১৮.১০ মিটার। পদ্মা সেতুটি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০২২ সালের ২৫ শে জুন আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়েছিল। বাংলাদেশের উন্নয়নে এই পদ্মা সেতু নির্মাণ একটি চ্যালেঞ্জিং ব্যাপার ছিল। এ পর্যন্ত সরকার যতগুলো উদ্যোগ নিয়েছে তার সবচাইতে বড় চ্যালেঞ্জিং উদ্যোগ ছিল পদ্মা সেতু নির্মাণ। কেননা বিশ্বব্যাংক দুর্নীতির অভিযোগের কারণে পদ্মা সেতু নির্মাণে ঋণ দিতে অস্বীকার জানিয়েছিলেন। এরপর বাংলাদেশ সরকার নিজস্ব তহবিল থেকেই পদ্মা সেতু নির্মাণের প্রকল্প হাতে নিয়েছিলেন। এই পদ্মা সেতু পদ্মাব্রহ্মপত্র এবং মেঘনা নদীর অববাহিকায় ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের ৪১ টি স্প্যান এবং ৪২ টি পিলার দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। এই পদ্মা সেতু নির্মাণে ৩০০০০ ১৯৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকা ব্যয় হয়। যার মধ্যে আছে অবক কাঠামো নদী ব্যবস্থাপনা, সংযোগ সড়ক, পূর্ণবাসন, জমি অধিগ্রহণ, পরিবেশ, ভাতা এবং বেতন ইত্যাদি। পদ্মা সেতু প্রকল্পের জন্য অর্থ বিভাগ সেতু বিভাগকে ২৯ হাজার ৮৯৩ কোটি টাকার ঋণ প্রদান করেছিলেন ১% সুদের হারে, যা পরিশোধের মেয়াদ ৩৫ বছর। পদ্মা সেতু বাংলাদেশের দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চলের সামাজিক অর্থনৈতিক এর পাশাপাশি শিল্প উন্নয়নের জন্যও ভীষণভাবে ভূমিকা রেখেছে। এই পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর থেকে বাংলাদেশের জিডিপি ১.২% বৃদ্ধি পাবে বলে গণনা করা হয়। পদ্মা সেতুটি আমাদের বাংলাদেশের দক্ষিণ অঞ্চলে রেল, গ্যাস পাওয়ার লাইন ও ফাইবার অপটিক্যাল ক্যাবলের সম্প্রসারণ কে সহজ করেছে। এশিয়া ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক সংযোগ কে আরো মজবুত করতে বেশ সাহায্য করেছে পদ্মা সেতু। সেজন্য আমাদের প্রত্যেকেরই উচিত একজন গর্বিত নাগরিক হিসেবে পদ্মা সেতুর সঠিকভাবে ব্যবহার করার।

অনুচ্ছেদ ৩ - পদ্মা সেতু অনুচ্ছেদ ২০২৪

পদ্মা সেতু আমাদের বাংলাদেশের দীর্ঘতম সেতু। পদ্মা সেতুর ওপরে ডেকে চারলিনের মহাসড়ক ও নিচের ডেকে একক রেললাইন পথ রয়েছে। আর এই রেল লাইনের পথ থাকায় পদ্মা সেতুকে বহুমুখী সেতু বলা হয়ে থাকে। এছাড়া পদ্মা সেতুতে রয়েছে গ্যাস ট্রান্সমিশন পাইপ লাইন, পাওয়ার সাপ্লাই পাইপ লাইন এবং ফাইবার অপটিক্যাল কেবল ইত্যাদি। এই পদ্মা সেতু নির্মাণের প্রধান কার্যক্রম ২০১৪ সালের নভেম্বর ২৬ এ শুরু হয়েছিল। আর এই পদ্মা সেতু বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০২২ সালের ২৫ শে জুন উদ্বোধন করেছিলেন। বাংলাদেশের এ যাবত যত বড় বড় প্রকল্প রয়েছে তার মধ্যে পদ্মা সেতুই হচ্ছে সবচাইতে বড় প্রকল্প। যেটি বাস্তবায়নের জন্য অনেক বাধার সম্মুখীন হতে হয়েছে। তাছাড়া এই পদ্মা সেতু প্রকল্পটি বাংলাদেশ সরকার কোনরকম বৈদেশিক অর্থায়ন ছাড়াই নিজস্ব তহবিলেই বাস্তবায়ন করেছিলেন। পদ্মা সেতুর দৈর্ঘ্য হচ্ছে ৬.১৫ কিলোমিটার এবং প্রস্থ হচ্ছে ১৮.১০ মিটার। পদ্মা সেতুটি মুন্সিগঞ্জ, মাদারীপুর এবং শরীয়তপুর এলাকা জুড়ে বিস্তৃত। পদ্মা সেতুটি নির্মাণের জন্য আমাদের বাংলাদেশের ২১ টি জেলার অথবা ৪৪,০০০ হাজার কিলোমিটার এর মধ্যে বসবাসকারী তিন কোটি মানুষ উপকৃত লাভ করেছেন। এই পদ্মা সেতুটির নির্মাণ ব্যয় হয়েছিল প্রায় ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি ৩৯ লক্ষ টাকা। পদ্মা সেতুটি আমাদের বাংলাদেশের দক্ষিণ অঞ্চলের সামাজিক, অর্থনীতি এবং শিল্প উন্নয়নে বিশেষভাবে অবদান রেখেছে। শুধু তাই নয় এর পাশাপাশি ভবিষ্যতে আশা করা যাচ্ছে পদ্মা সেতুটি এশিয়া এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অঞ্চল গুলির সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনেও বিশেষ ভূমিকা রাখবে।

অনুচ্ছেদ ৪ - পদ্মা সেতু অনুচ্ছেদ ২০২৪

পদ্মা সেতুটি বাংলাদেশের দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চলে অবস্থিত একটি বহুমুখী সেতু। এটি একটি আমাদের বাংলাদেশের বৃহত্তম সেতু এবং দক্ষিণ এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম সেতু হচ্ছে এটি। পদ্মা সেতুটি নদীর ওপর নির্মিত হয়েছে এবং এই পদ্মা সেতুটি মুন্সিগঞ্জ ও শরীয়তপুর জেলাকে সংযুক্ত করেছে। পদ্মা সেতুর মোট দৈর্ঘ্যের পরিমাণ হলো ৬.১৫ কিলোমিটার এবং প্রস্থ হলো ১৮.১০ মিটার আর উচ্চতা হচ্ছে ১৬২ মিটার। পদ্মা সেতুটিতে চারটি লেন রয়েছে যা প্রতিদিনপ্রায় ১০ হাজার যান বহন বহন করতে সক্ষম। পদ্মা সেতু নির্মাণ ব্যয় হয়েছে প্রায় ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি ৩৯ লক্ষ টাকা। পদ্মা সেতুটি বাংলাদেশ সরকার শেখ হাসিনা ২০২২ সালের ২৫ জুন উদ্বোধন করেছিলেন। এই পদ্মা সেতুটি আমাদের বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ব্যাপকভাবে প্রভাব ফেলেছে। পদ্মা সেতু দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থাকে উন্নত করতে সাহায্য করেছে এবং এর পাশাপাশি এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়ন করতে বেশ ভূমিকা রেখেছে। পদ্মা সেতু আমাদের বাংলাদেশের একটি জাতীয় গৌরব। কারণ পদ্মা সেতু বাংলাদেশের মানুষের অদম্য সাহস এবং সংকল্পের প্রতীক হিসেবে পরিচিত।

অনুচ্ছেদ ৫ - পদ্মা সেতু অনুচ্ছেদ ২০২৪

বাংলাদেশের মানুষের কাছে পদ্মা সেতু একটি স্বপ্নের সেতু। এই পর্দা সেতুটি বাংলাদেশের দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চলকে ঢাকার সঙ্গে যুক্ত করেছে যেটি বাংলাদেশের একটি ঐতিহাসিক অর্জন হিসেবে পরিচিত। বিভিন্ন সময় বলা হয়ে থাকে পদ্মা সেতু নির্মাণের জন্য প্রতি এক টাকা খরচের বিপরীতে দুই টাকা লাভবান হবে বাংলাদেশ। দক্ষিণ এশিয়ার দীর্ঘতম পিতল সেতু পদ্মা সেতু বাঙালি জাতির স্বপ্ন যেটির দৈর্ঘ্য হচ্ছে প্রায় ৬.১৫ কিলোমিটার এবং প্রস্থ হচ্ছে ১৮.১০ মিটার এবং উচ্চতা হচ্ছে ১৬২ মিটার। ৪২ টি পিলারের ওপর দাঁড়িয়ে থাকাপদ্মা সেতু দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের ২১ জেলাকে যুক্ত করতে সাহায্য করেছে। পদ্মা সেতুর কাজ শুরু হয়েছিল ২০১৪ সালের ২৬ শে নভেম্বর।আর বাংলাদেশ সরকার ২০২২ সালের ২৫ জুন উদ্বোধন করেছিলেন পদ্মা সেতু। ২০২২ সালের ২৫ শে জুন উদ্বোধন হওয়া বাংলাদেশের স্বপ্নের পদ্মা সেতু মুন্সিগঞ্জ জেলার সঙ্গে শরীয়তপুর জেলাকে সংযুক্ত করেছে। পদ্মা সেতু নির্মাণের মোট খরচ হয়েছে প্রায় ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি ৩৯ লক্ষ টাকা। বিশ্বব্যাংকের মতে আগামী ৩১ বছরে যোগাযোগ খাতে পদ্মা সেতু থেকে প্রায় আয় হবে ১৮.৫ বিলিয়ন ডলার। যা পদ্মা সেতু নির্মাণ খরচের ৫.৫ গুণ। তাছাড়াও বিভিন্ন ধরনের প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা যাচ্ছে পদ্মা সেতুকে কেন্দ্র করে ২০৩০ সালের ভেতর ৫ কোটি লোকের প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ কর্মস্থানের সুযোগ তৈরি হবে। আমাদের বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের দারিদ্র্যের হার প্রায় এক শতাংশের বেশি কমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এবং সামগ্রিক জিডিপি ১.২৩ শতাংশ বাড়বে। পরিশেষে আমরা সকলেই একটা কথাই বলতে চাই সেটা হল প্রায় দুই যুগের প্রতিষ্ঠার ফসল পদ্মা সেতু আজ বাস্তবে রূপ নিয়েছে আমাদের মাঝে। বিভিন্ন ধরনের ষড়যন্ত্র বাধা-বিপত্তি কাটিয়ে পদ্মা সেতু আজ বাস্তবায়িত যা আমাদের সকলের গর্ব।

উপসংহার

পদ্মা সেতু অনুচ্ছেদ ৫টি আশা করি আপনাদের কাছে অনেক ভালো লেগেছে। বিশেষ করে যারা অষ্টম শ্রেণী থেকে দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী তাদের জন্য পদ্মা সেতু অনুচ্ছেদ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সেজন্য আপনারা যারা এই অনুচ্ছেদ গুলি পড়েছেন তারা আপনাদের বন্ধুদের সাথে শেয়ার করে দিবেন। কারণ তারাও যেন এই পদ্মা সেতু অনুচ্ছেদ অনুচ্ছেদ গুলি সম্পর্কে জানতে পারে। আমাদের এই ওয়েবসাইটে আসার জন্য আপনাদেরকে অসংখ্য ধন্যবাদ। তবে যদি কোথাও বুঝতে সমস্যা হয় তাহলে অবশ্যই কমেন্টে জানিয়ে যাবেন আমরা সঙ্গে সঙ্গে আপনাকে বুঝিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব। নিয়মিত নতুন নতুন আপডেট নিউজ পেতে আমাদের গুগল নিউজে ফলো দিয়ে রাখুন। ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সাগর ম্যাক্স এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url