ইন্টারনেট অনুচ্ছেদ - PDF সহ সবার জন্য
পদ্মা সেতু অনুচ্ছেদইন্টারনেট অনুচ্ছেদ সম্পর্কে অনেকেই জানতে চাই। তাই আপনিও যদি জানতে চান
ইন্টারনেট অনুচ্ছেদ সম্পর্কে তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য। আমরা এখানে মোট ৪টি
ইন্টারনেট অনুচ্ছেদ তুলে ধরেছি। তাহলে চলুন আর কথা না বাড়িয়ে আমরা ইন্টারনেট
অনুচ্ছেদ গুলি পড়ে নিই।
পোষ্ট সূচিপত্রঃ ইন্টারনেট অনুচ্ছেদ
ইন্টারনেট অনুচ্ছেদ - ১
বর্তমান সময়ে বিশ্বের ইন্টারনেট একটি বহুল আলোচিত নাম তথ্য-প্রযুক্তির
সর্বাধুনিক আবিষ্কার হিসেবে। সারা বিশ্বব্যাপী যোগাযোগ ব্যবস্থায় ইন্টারনেট
একপ্রকার বিস্ময়কর উদ্ভাবন। একটি কম্পিউটার নেটওয়ার্ক হচ্ছে ইন্টারনেট।
ইন্টারনেট নেটওয়ার্কের মাধ্যমে পৃথিবীর এক প্রান্তের কম্পিউটার থেকে অন্য
পাম্পের কম্পিউটারের সাহায্যে একে অপরের সাথে অতি দ্রুত যোগাযোগ স্থাপন এবং তথ্য
আদান-প্রদান খুব সহজে করা যায়। এই ইন্টারনেট হচ্ছে ইন্টারন্যাশনাল কম্পিউটার
নেটওয়ার্ক সার্ভিস (International Computer Network Service) যা অসংখ্য
নেটওয়ার্কের সমন্বয় গঠিত। সারা বিশ্বব্যাপী সুবিশাল কম্পিউটার নেটওয়ার্কিং
ইন্টারনেট নামে অভিহিত করা হয়ে থাকে। আমাদের জনপ্রিয় ইন্টারনেট ধারণাটির উদ্ভব
খুব একটি বেশি দিনের নয়। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিভাগ "আমেরিকান ডিফেন্স
নেটওয়ার্ক" নামে একটি নিজস্ব নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা গড়ে তুলেছিলেন ১৯৬৯ সালে।
ইন্টারনেট শুরুতে কেবল চারটি কম্পিউটারের মধ্যে অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে
তোলা হয়েছিল। আর এই প্রযুক্তিকে আরো জনকল্যাণমুখী করে তোলার জন্যই
পরীক্ষামূলকভাবে মার্কিং বিশ্ববিদ্যালয় গুলিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। শিক্ষা
ও গবেষণা এবং তথ্য আদান প্রদানের ক্ষেত্রে তারা অদ্ভুতপূর্ব সাফল্য অর্জন
করেছিলেন। "অর্পানেট" শিক্ষা জগতের নামকরণ করা হয়। এটি পরবর্তী সময়কালে
আন্তর্জাতিক যোগাযোগের জন্য একেবারেই উন্মুক্ত করা হয়। আমাদের বাংলাদেশে
ইন্টারনেটের ব্যবহার শুরু হয়েছিল ১৯৯৩ সালের ১১ই নভেম্বর। ব্যবহারকারীগণ সাধারণত
দুই ভাগে ইন্টারনেটের গ্রাহক হতে পারতেন। ১. কম্পিউটার বিশ্বে একেবারেই সরাসরি
যোগাযোগ - যেটি অনলাইন ইন্টারনেট নামেই পরিচিত লাভ করে। ২. যেকোনো একটি সার্ভারকে
মাধ্যম হিসেবে রেখে কম্পিউটার বিশ্বের বিচরণ - যেটি অফলাইন ইন্টারনেট অথবা ইমেইল
নামে পরিচিত লাভ করেন। ইন্টারনেট সবার কাছে এত জনপ্রিয় হওয়ার কারণ হলো তথ্যের
দ্রুত আদান প্রদানের জন্য। বর্তমান সময়ে সারা বিশ্বে অর্থনৈতিক উন্নয়ন তথ্য
প্রযুক্তির সাথে নিবিড় ভাবেই জড়িত রয়েছে। মালোশিয়া, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড,
ভারত, তাইওয়ান প্রভৃতি দেশ তথ্য প্রযুক্তিকে কাজে লাগানোর মাধ্যমে নিজ নিজ দেশের
অর্থনৈতিক ভিত্তিকে সুদৃঢ় করতে সক্ষম হচ্ছে। বর্তমান সময়ে শুধুমাত্র
ইন্টারনেটের সাহায্যেই সম্ভব হচ্ছে শিক্ষা, গবেষণা, বিনোদন, বিপণন এবং
চিকিৎসাসেবা। এই আধুনিক প্রযুক্তির বিস্ময়কর অবদানকে কাজে লাগানোর মাধ্যমে দেশের
উন্নতি করা প্রয়োজন। বর্তমানে খুবই জনপ্রিয় বিষয় একজন ইন্টারনেটের ব্যবহার এবং
অনুশীলন।
ইন্টারনেট অনুচ্ছেদ - ২
আধুনিক বিজ্ঞানের বিরাট আবিষ্কার হচ্ছে ইন্টারনেট। শুধু তাই নয় যোগাযোগ ব্যবস্থার ক্ষেত্রে একটি বিশাল উন্নয়ন। এটি কম্পিউটার এবং ইন্টারনেট নেটওয়ার্কের সহায়তায় তথ্যের দ্রুত স্থানান্তর পদ্ধতি। এর কাজ হচ্ছে সূক্ষ্ম, সহজ এবং দ্রুত। যেকোনো ব্যক্তি যখন কম্পিউটারের নির্দিষ্ট ঠিকানা টাইপ করার পর কমান্ড দিবে তখন সঙ্গে সঙ্গে ইন্টারনেট সংযোগ তাকে দ্রুত তার প্রত্যাশা অনুযায়ী দেশের এবং দেশের বাইরে সংযোগ দিবে। বর্তমান সময়ে অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এই ইন্টারনেট ব্যবহার করার ফলে ব্যাপকভাবে উপকৃত হচ্ছে। শুধুমাত্র এই ইন্টারনেট ব্যবহার করে আমরা ওয়েবসাইটে রক্ষিত বিভিন্ন ধরনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়ে থাকি। এটি বিশেষ করে ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে এক কার্যকর বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাছাড়া ইন্টারনেট ই-কমার্স বক্তাদের কাছে খুবও জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। কেননা ভোগতারা বাজারে না গিয়েই তারা তাদের পছন্দ মত কেনাকাটা করতে পারছে। এই ইন্টারনেটের সঠিক ব্যবহার করে ছাত্রছাত্রীরা গ্রন্থাগারে না গিয়েই কতিপয় বই পড়তে পারছে খুব সহজে। ভবিষ্যৎ সময়ে সারা বিশ্বের ছাত্রছাত্রীরা শুধুমাত্র ইন্টারনেটের মাধ্যমেই বিশ্বের যে কোন স্থান থেকে তাদের ক্লাস অথবা লেকচার গ্রহণ করতে পারবে বাসায় বসে। আমাদের বাংলাদেশে ইন্টারনেট যোগাযোগ ব্যবস্থায় এক প্রকার নতুন মাত্রা খুলে দিয়েছে। তবে আমাদের বাংলাদেশে ইন্টারনেটের ব্যবহার খুবই ব্যয়বহুল, সেজন্য বাংলাদেশের অনেক মানুষই এখনো পর্যন্ত ইন্টারনেটের প্রবেশাধিকার পায়নি। কিন্তু সরকার এবং বিটিটিবি উভয়ই আমাদের বাংলাদেশের বাস্তবায়নের জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নিয়েছেন।
ইন্টারনেট অনুচ্ছেদ - ৩
বিজ্ঞানের যুগ বর্তমান যুগ। বর্তমান সময়ে সারা বিশ্বে ইন্টারনেট এক বিস্ময়কর
আবিষ্কারের নাম। ইন্টারন্যাশনাল কম্পিউটার নেটওয়ার্ক সার্ভিস (International
Computer Network Service) যেটি বর্তমান সময়ে ইন্টারনেট নামেই পরিচিত। আসলে
ইন্টারনেট এর কাজ হচ্ছে নেটওয়ার্ক ভক্ত কম্পিউটার সমূহকে অন্যান্য নেটওয়ার্ক
ভুক্ত কম্পিউটারের সঙ্গে নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা। সর্বপ্রথম ১৯৬৯ সালে আমেরিকার
সামরিক বাহিনী গোপনে শত্রুদের দেখাশোনার জন্যে প্রথম ইন্টারনেটের ব্যবহার শুরু
করেছিলেন। তারপর ঠিক ১৯৯৩ সালে ইন্টারনেট কে মানুষের কাজে ব্যবহার করার জন্য
অনুমতি প্রদান করা হয়। বর্তমান সময়ে আমরা ইন্টারনেট ব্যবহার করার মাধ্যমে
পৃথিবীর বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য সংগ্রহ করতে পারি খুব সহজে। বিভিন্ন ধরনের
ব্যবসা-বাণিজ্যের লেনদেন করতে পারে খুব সহজে ইন্টারনেট ব্যবহার করে। ইন্টারনেট
ব্যবহার করে বিভিন্ন মানুষ এখন ঘরে বসেই তাদের পছন্দমত কেনাকাটা করতে পারে।
ইন্টারনেট সারা পৃথিবীটাকে এনে দিয়েছে হাতের মুঠোয়। ইন্টারনেট আমাদের জীবনকে
করেছে সহজ ও সুন্দরময়।
ইন্টারনেট অনুচ্ছেদ - ৪
ইন্টারনেট সবচেয়ে বিস্ময়কর মাধ্যম আন্তর্জাতিক যোগাযোগের ক্ষেত্রে। বর্তমান
সময়ে সারা বিশ্বে এটি একটি প্রযুক্তি নির্ভর তথ্যবহুল মাধ্যম হয়ে উঠেছে।
বর্তমান পুরো পৃথিবীতে ইন্টারনেট একটি বহুল আলোচিত গতিশীল মাধ্যম। ইন্টারনেট একটি
আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক কার্যক্রম সম্পর্ক স্থাপন মাধ্যম। ইন্টারনেট কম্পিউটারের
মাধ্যমে পরিচালিত হয়ে থাকে। ইন্টারনেট প্রযুক্তির মাধ্যমে নিমিষেই পুরো পৃথিবীর
সংবাদ এবং মতামত আমাদের নিকট এসে পৌঁছায়। আমরা খুব সহজে এবং দ্রুত বিশ্বের যে
কোন দেশের সংবাদপত্র সমূহ পড়তে পারি ইন্টারনেটে সংবাদ পরিক্রমা বিধান সংবলিত
নির্দেশনাবলির মাধ্যমে। পেলি নেট সফটওয়্যার আমাদের দেশ-বিদেশের অবস্থানরত
আত্মীয়-স্বজনদের সাথে কথা বলতে ভীষণভাবে সাহায্য করে থাকে। যেকোনো ফাইল
আদান-প্রদান সংক্রান্ত নির্দেশনা বলি থাকার জন্য আমরা এক কম্পিউটার থেকে অন্য
কম্পিউটারে আদান প্রদান করতে পারে ইন্টারনেটের সহায়তায়। এই ইন্টারনেটে গল্প করা
সংক্রান্ত নির্দেশনা বলি থাকার জন্য আমরা যে কোন স্থানে বসে আমাদের প্রিয়জনের
সঙ্গে গল্প কথা বলতে পারি। সেজন্য বলাই যাই, আমাদের প্রত্যেকের জীবনের খুঁটিনাটি
কাজগুলি থেকে শুরু করে শিক্ষা, চিকিৎসা, ব্যবসা-বাণিজ্য, ব্যাংক, বিমা, অফিসের
কাজকর্ম, প্রযুক্তি, গবেষণা সংক্রান্ত প্রায় সকল ধরনের কাজে ইন্টারনেটের মাধ্যমে
সমাধান করতে পারে। আমাদের বাংলাদেশের প্রত্যেকটি জেলাতেই এখন ইন্টারনেট কর্মসূচির
আওতায় এসে গেছে। ইন্টারনেট আমাদের উন্নত জীবন এবং বিশ্ব ব্যবস্থাপনার একটি
অবিচ্ছেদ অঙ্গ বলা যায়। ইন্টারনেট অদূর ভবিষ্যতে সুবিধা বিশ্বের বেশিরভাগ
ব্যক্তিরে নিকট পৌঁছাবে ও ব্যক্তির জীবন আরো সহজ ও সুখ এবং সুন্দরময় হবে।
ইন্টারনেট অনুচ্ছেদ গুলি আপনার কাছে কেমন লেগেছে? এই অনুচ্ছেদ গুলিতে নতুন কিছু
সংযোজন করা যায় অথবা বাদ দেওয়া প্রয়োজন? সেটি কমেন্টে জানিয়ে যেতে ভুলবেন
না। ধন্যবাদ আপনাকে এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য।
সাগর ম্যাক্স এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url