ডিজিটাল বাংলাদেশ রচনা

বাংলাদেশ সম্পর্কে ১০ টি বাক্যডিজিটাল বাংলাদেশ রচনা সম্পর্কে নিশ্চয়ই আপনি জানতে চাচ্ছেন? তাই আমরা এখন ডিজিটাল বাংলাদেশ রচনা আপনার সামনে তুলে ধরব। ডিজিটাল বাংলাদেশ রচনা জানতে আর্টিকেলটি সম্পন্ন করুন।
ডিজিটাল-বাংলাদেশ-রচনা
বর্তমানে বিভিন্ন পরীক্ষাতেই ডিজিটাল বাংলাদেশ রচনা লিখতে হয়। তাই আপনি যদি ছাত্র হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনাকে ডিজিটাল বাংলাদেশ রচনা সম্পর্কে জানতে হবে। তাহলে চলুন ডিজিটাল বাংলাদেশের রচনাটি পড়ে আসি-

পোস্ট সূচিপত্রঃ ডিজিটাল বাংলাদেশ রচনা

  • ভূমিকা
  • ডিজিটাল বাংলাদেশ কি
  • ডিজিটাল বাংলাদেশ ধারনার উদ্ভব
  • ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে গৃহীত পদক্ষেপ
  • ডিজিটাল বাংলাদেশ শিক্ষা ক্ষেত্রে
  • ডিজিটাল বাংলাদেশ চিকিৎসা ক্ষেত্রে
  • ডিজিটাল বাংলাদেশ কৃষি ক্ষেত্রে
  • ডিজিটাল বাংলাদেশ নিরাপত্তা বিধানে
  • ডিজিটাল বাংলাদেশ অফিস আদালতে
  • ডিজিটাল বাংলাদেশ ক্রয়-বিক্রয়ের ক্ষেত্রে
  • ডিজিটাল বাংলাদেশ যোগাযোগ ক্ষেত্রে
  • ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রকাশনার ক্ষেত্রে
  • ডিজিটাল বাংলাদেশ সংবাদপত্রের ক্ষেত্রে
  • ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনোদনের ক্ষেত্রে
  • ডিজিটাল বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যবস্থার ক্ষেত্রে
  • ডিজিটাল বাংলাদেশ অনলাইন তথ্য কেন্দ্র স্থাপন
  • ডিজিটাল বাংলাদেশের প্রতিবন্ধকতা
  • ডিজিটাল বাংলাদেশের সর্তকতা
  • উপসংহার

ভূমিকাঃ বর্তমান যুগ হলো তথ্য ও প্রযুক্তির যুগ। আধুনিক এই তথ্য ও প্রযুক্তির যুগে নিয়মিত নতুন নতুন তথ্য ও সত্য উদঘাটিত হয়েই যাচ্ছে। সময়ের বিবর্তনে রাজনীতি, অর্থনীতি, জলবায়ুর পরিবর্তন সহ বিভিন্ন কারণে দ্রুত বদলে যাচ্ছে বিশ্ব প্রেক্ষাপট। বিগত কয়েক বছরের মধ্যেই সারা বিশ্বে তথ্যপ্রযুক্তির অনেক উন্নতি হয়েছে। সেই সাথে বাংলাদেশেও লেগেছে তথ্য প্রযুক্তির ছোঁয়া। যার নামই হল আমাদের "ডিজিটাল বাংলাদেশ"।

ডিজিটাল বাংলাদেশ কিঃ বর্তমান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে ২০২১ সালের মধ্যে "ডিজিটাল বাংলাদেশ" হিসেবে গড়ে তোলার ঘোষণা দিয়েছিলেন। ডিজিটাল বাংলাদেশ বলতে আমরা যা বুঝি সংক্ষেপে তা হলঃ সারা বাংলাদেশের কর্মকান্ড কে আধুনিক কম্পিউটার নেটওয়ার্ক ও ইন্টারনেট সিস্টেমের মাধ্যমে সুতরাং আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার দিয়ে বাংলাদেশকে গতিশীল করে তোলা। সমগ্র বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ কর্মকান্ড এবং বহির্বিশ্বকে কম্পিউটার নেটওয়ার্কের আওতায় নিয়ে আসতে পারলেই দেশের কর্মক্ষেত্রে যে সকল সফলতা অর্জিত হবে তাকেই আমরা মূলত বলতে পারি "ডিজিটাল বাংলাদেশ"। যেমনঃ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্বাচনী প্রচারণাকে আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশের অংশ হিসেবে ধরতে পারি।

ডিজিটাল বাংলাদেশ ধারনার উদ্ভবঃ নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশের আওয়ামী লীগের নির্বাচনে ইশতেহার "দিন বদলের সনদ"-এর অংশ হিসেবে ২০২১ সালের মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার স্বপ্ন থেকেই ডিজিটাল বাংলাদেশ ধারণার উদ্ভব ঘটে।

ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে গৃহীত পদক্ষেপঃ ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে বর্তমান বাংলাদেশ সরকার এই পর্যন্ত যে সকল পদক্ষেপ গুলি করেছেন সেগুলোর কিছু অংশ নিচে উল্লেখ করা হলঃ
  • ই ফাইল অথবা ডিজিটাল ফাইল
  • আইসিটি মোবাইল ল্যাব
  • মোবাইল মানি অর্ডার
  • ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম)
  • অনলাইন জিডি
  • অনলাইন টেন্ডার
  • প্রাথমিক পাঠ্য বইয়ের ওয়েব
  • ই-শিক্ষা
  • মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট
  • মোবাইল কৃষি সেবা
  • টেলিমেডিসিন সেবা
  • বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণ
  • হাইটেক পার্ক এবং কম্পিউটার ভিলেজ স্থাপন
ডিজিটাল বাংলাদেশ শিক্ষা ক্ষেত্রেঃ ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে সর্বপ্রথম শিক্ষার উপর বেশি গুরুত্ব দেওয়া উচিত। কারণ শিক্ষকের লেকচার অথবা বক্তব্য ভিডিও করে প্রজেক্টরের মাধ্যমে দেওয়ালে সাদা পর্দায় সেটি প্রদর্শন করা যায়। এই পদ্ধতি সকল শিক্ষার্থীদের মনোযোগ আকর্ষণের একটি সহজ পদ্ধতি। ইন্টারনেট সংযোগ থাকলে এই পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীরা ঘরে বসেই শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে। শিক্ষার্থীদের নিজস্ব বই না থাকলেও লাইব্রেরীতে যাওয়ার প্রয়োজন হয় না শুধুমাত্র ইন্টারনেটের মাধ্যমে একটি ওয়েবসাইট থেকে খুঁজে নিয়ে তা পড়া যায়। এভাবেই ডিজিটাল পদ্ধতি শিক্ষা ক্ষেত্রে উৎকর্ষ বইয়ের আনতে পারে বাংলাদেশে। কিন্তু একে সর্বজনীন করার জন্য সরকারের ব্যাপক উদ্যোগ প্রয়োজন।

ডিজিটাল বাংলাদেশ চিকিৎসা ক্ষেত্রেঃ চিকিৎসা ক্ষেত্রে যদি ইন্টারনেট সংযোগ ব্যাপকভাবে স্থাপিত হয় তাহলে চিকিৎসকের কাছে সরাসরি উপস্থিত না হলেও অনলাইন ব্যাংকিং এর মাধ্যমে ফ্রি পরিশোধ করে চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করা যায়। শারীরিক সমস্যায় ঘরে বসেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে চিকিৎসা করা যেতে পারে। এই বিষয়টি সরকারের উদ্যোগে সর্বজনীন হয়ে উঠলে, সেক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত হতে পারে আমাদের ডিজিটাল বাংলাদেশ।

ডিজিটাল বাংলাদেশ কৃষি ক্ষেত্রেঃ কৃষি ক্ষেত্রে বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতির ব্যবহার এবং বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে চাষ আবাদের ফলে কৃষিতে যুগান্তকারী বিশেষ পরিবর্তন এসেছে। বিশেষ বিজ্ঞানীদের বদৌলতে উদ্ভাবিত হয়েছে উন্নত জাতের ফসল বীজ, পরিবেশ বান্ধব সার এবং উচ্চ ফসলশীল প্রজাতির শস্য। এবং অনাবৃষ্টি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য উদ্ভাবিত হয়েছে কৃত্রিম বৃষ্টিপাতের পদ্ধতিও। তবে বর্তমানে বাংলাদেশের কৃষি সমাজ অধিকাংশ নিরক্ষর হওয়ায় সব কিছুর ফসলে ব্যবহার করতে পারছে না। সেজন্য কৃষকদের যথাযথ প্রশিক্ষণ দিয়ে উপযুক্ত করে তুলতে পারলেই ইন্টারনেটের মাধ্যমে ওয়েবসাইট থেকে বিভিন্ন বিষয়ে জেনে নেওয়ার মাধ্যমে কৃষকরা তা কাজে লাগাতে পারে। ডিজিটাল বাংলাদেশ এক্ষেত্রেও গড়ে উঠতে পারে।

ডিজিটাল বাংলাদেশ নিরাপত্তা বিধানেঃ সর্বক্ষেত্রে নিরাপত্তা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সেজন্য সিসি ক্যামেরা স্থাপন এবং ইন্টারনেটের সঙ্গে কম্পিউটার নেটওয়ার্কের সংযোগ সাধন করে নিরাপত্তা বিধান করা সম্ভব। কারণ দুষ্কৃতকারীরা কোন প্রকার অঘটন ঘটিয়ে সাময়িকভাবে যদিও পালিয়ে যায় তবুও পরবর্তী সময়ে সিসি ক্যামেরার বদৌলাতে ধরা পড়তে অবশ্যই বাধ্য। এতে করে অনেকটাই নিশ্চিত হবে জাতির নিরাপত্তা। এবং জাতির নিরাপত্তা নিশ্চিত হওয়ার মাধ্যমেও গতিশীল হবে ডিজিটাল বাংলাদেশ।

ডিজিটাল বাংলাদেশ অফিস আদালতেঃ বর্তমানে বাংলাদেশের অধিকাংশ অফিস আদালতে কাজের গতি অত্যন্ত মন্থহর এবং সব ক্ষেত্রেই ওঁৎপেতে থাকে দুর্নীতির কালো থাবা। অফিস আদালত গুলোতে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করে ইন্টারনেটের মাধ্যমে কম্পিউটার নেটওয়ার্কের আওতায় এনে একই স্থানে বসে প্রশাসনকে গতিশীল, কর্মমুখী এবং দুর্নীতিমুক্ত করা সম্ভব। আর এই ব্যবস্থা ব্যাপকভাবে চালু করা হলে কোনভাবেই কেউ আর অফিস আদালতের কাজের অবহেলা করতে পারবে না এবং কোন ধরনের ঘুষ দুর্নীতির মত অপরাধ অধিকাংশই কমে আসবে। আর তার ফলেই সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হবে এবং গড়ে উঠবে আমাদের ডিজিটাল বাংলাদেশ।

ডিজিটাল বাংলাদেশ ক্রয়-বিক্রয়ের ক্ষেত্রেঃ প্রত্যেকটি মানুষের জীবনে ক্রয়-বিক্রয় একটি নিত্যনৈমিওিক ব্যাপার। বিভিন্ন ধরনের প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রী কেনার জন্য প্রায় প্রতিদিনই আমাদের হাটবাজারে কিংবা কোন শপিংমলে যেতে হয়। যদি কম্পিউটার নেটওয়ার্কের বিস্তার ঘটানো হয় তাহলে ঘরে বসেই কড়াই বিক্রয় করা যাবে এবং বর্তমানে এই পদ্ধতি মানুষের কাছে অনেক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। প্রয়োজনীয় পছন্দ করা থেকে শুরু করে দাম, নির্ধারণ, এবং অনলাইন ব্যাংকিং এর মাধ্যমে জিনিসপত্রের মূল্য পরিশোধ করে দ্রব্য সামগ্রী ঘরে বসে পেয়ে যাওয়া প্রায় সবই সম্ভব এই ডিজিটাল পদ্ধতির মাধ্যমে। শুধু বাংলাদেশেই নয়, বিদেশের সঙ্গেও এই পদ্ধতি কার্যকর হবে শুধুমাত্র ইন্টারনেটের মাধ্যমে। এই পদ্ধতি ব্যাপকভাবে চালু করলে ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হবে।

ডিজিটাল বাংলাদেশ যোগাযোগ ক্ষেত্রেঃ বর্তমান সময়ে কম্পিউটার নেটওয়ার্কের সাহায্যে ইন্টারনেটের মাধ্যমে যোগাযোগ ব্যবস্থার অনেক কিছুই নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে। বিশেষ করে বর্তমানে আকাশ পথ কম্পিউটার দ্বারা নিয়ন্ত্রণ করা যায়। নানান গ্রহে রকেট উৎক্ষেপণ করা হলে যোগাযোগ থাকছে কম্পিউটার নেটওয়ার্কের সঙ্গে। আর নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে সমুদ্রপথ। মুহূর্তের মধ্যেই এক দেশের সঙ্গে আরেক দেশের যোগাযোগ স্থাপিত হচ্ছে শুধুমাত্র ইন্টারনেটের মাধ্যমে। তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে সারা বাংলাদেশকে হাতের মুঠোয় নিয়ে আসা যাবে। এবং এভাবেই ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হবে।

ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রকাশনার ক্ষেত্রেঃ আমাদের বাংলাদেশে অনেক আগেই কম্পিউটার সিস্টেম চালু হয়েছে প্রকাশনার ক্ষেত্রে। এই দেশে আগে যেই বইটি চেপে বের হতে প্রায় দুই মাস সময় লাগতো, এখন তা দুই দিনে সম্ভব হচ্ছে। বাংলাদেশের কোন বাংলা বই বিদেশ থেকে প্রকাশ করতে চাইলে বর্তমানে আর কোন সমস্যা নেই বললেই চলে। সবকিছুই ফাইনাল করে কয়েক মিনিটের মধ্যেই তা নির্ধারিত দেশে পাঠিয়ে দেওয়া যাচ্ছে এবং সে দেশের কোন বই এ পদ্ধতিতে নিয়ে এসে আমাদের দেশে দ্রুত গতিতে প্রকাশ করা যাচ্ছে। এগুলো সবই ডিজিটাল মাধ্যমে আশীর্বাদ। এভাবেই আমাদের বাংলাদেশ ডিজিটাল বাংলাদেশে পরিণত হবে।

ডিজিটাল বাংলাদেশ সংবাদপত্রের ক্ষেত্রেঃ সংবাদপত্রের ক্ষেত্রে কম্পিউটার বর্তমানে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। ইন্টারনেটের সাহায্যে একটি সংবাদপত্র একই সময়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে প্রকাশ করা যাচ্ছে। আবার বিদেশি পত্রিকা গুলি আমরা পড়তে পারছি ইন্টারনেটের সাহায্যে। এছাড়াও বিভিন্ন ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অনেক আগের পত্রিকাও সহজে খুঁজে বের করে নেওয়া যাচ্ছে। এভাবেই আমাদের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে উঠছে।

ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনোদনের ক্ষেত্রেঃ বর্তমানে বিনোদনের ক্ষেত্রে কম্পিউটার নেটওয়ার্ক ভীষণভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। খেলাধুলা, সিনেমা, নাটক, গান ইত্যাদি থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের আনন্দ উপভোগ করা যাচ্ছে কম্পিউটারের মাধ্যমে। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের গেম খেলা যাচ্ছে। এবং ইন্টারনেটের মাধ্যমে অন্য কোন দেশে চলমান খেলার ফলাফলসহ খেলা দেখা মুহূর্তের মধ্যেই সম্ভব হচ্ছে।

ডিজিটাল বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যবস্থার ক্ষেত্রেঃ বর্তমানে ব্যাংক ব্যবস্থাকে কম্পিউটার সিস্টেম অনেক গতিশীল করে তুলেছে। আমাদের দেশে বেশ কয়েকটি ব্যাংকে ইতিমধ্যেই চালু হয়ে গেছে অনলাইন সিস্টেম। বর্তমানে আর ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম অথবা দূরদূরান্তের কোন জেলায় নগদ টাকা বহন করে নিয়ে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। কারণ কম্পিউটারের সাহায্যে অনলাইন ব্যাংক ব্যবস্থার মাধ্যমে স্থানীয়ভাবে ক্রেডিট কার্ডের সাহায্যে তা সমাধান করা যায়। একজনের হিসাব থেকে অন্য কারো হিসাবে মুহূর্তের মধ্যেই টাকা পাঠানো যায়। বাংলাদেশের সকল ব্যাংকে এই ব্যবস্থাটি প্রবর্তিত হওয়ার মাধ্যমে গড়ে উঠবে আমাদের ডিজিটাল বাংলাদেশ।

ডিজিটাল বাংলাদেশ অনলাইন তথ্য কেন্দ্র স্থাপনঃ বিভিন্ন ধরনের সরকারি এবং বেসরকারি তথ্য সেবা জনসাধারণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া সম্ভব শুধুমাত্র অনলাইন তথ্য কেন্দ্র স্থাপনের মাধ্যমে। এ সকল তথ্য কেন্দ্র থেকে মানুষজন বিভিন্ন ডাটা অথবা তথ্য সংগ্রহ করতে পারবে। এবং জানতে পারবে সর্বশেষ প্রাতিষ্ঠানিক অবস্থা এবং অবস্থান। বর্তমান সময়ে নির্বাচন কমিশন প্রতিটি উপজেলায় সার্ভার স্টেশন প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছেন। এই সার্ভার স্টেশন যদি চালু হয় তাহলে ভোটাররা তাদের নিজ উপজেলায় বসে নতুন ভোটার হওয়া, ভুল সংশোধন এবং পরিবর্তন সহ যাবতীয় তথ্য আপডেট করতে পারবেন। এছাড়া অন্যান্য সেক্টরেও এই ধরনের সার্ভার স্টেশন চালু হলে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে ওঠার স্বপ্ন অনেকটাই বাস্তবায়ন ত্বরান্বিত হবে।

ডিজিটাল বাংলাদেশের প্রতিবন্ধকতাঃ আমাদের ডিজিটাল বাংলাদেশ হবে আধুনিক সোনার বাংলা। এদেশে থাকবে না ক্ষুধা, দরিদ্র, দুর্নীতি, সন্ত্রাস, হরতাল, বোমাবাজি, পাচার, দখল এবং নারী নির্যাতন। তবে এরূপ স্বপ্নীল বাংলাদেশ গড়ার পদে পদে রয়েছে অনেক ধরনের বাধা। আর্থিক দীনতা, অশিক্ষা, দরিদ্র, স্বাস্থ্যহীনতা, সাম্প্রদায়িকতা, পেশিশক্তির দূরান্ত, সন্ত্রাস, দৌর্নীতি, বিদ্যুতের অভাব, যাতায়াত এবং যোগাযোগের অভাব প্রভৃতি প্রতিবন্ধকতা এই পথকে কণ্টকাকীর্ণ রেখেছে। তাছাড়া জনগণের সুদ ইচ্ছা অভাব, আত্মকেন্দ্রিক মনোভাব ও গভীর দেশপ্রেমের অভাবও ডিজিটাল বাংলাদেশ হওয়ার পথকে আচ্ছন্ন করে রেখেছে।

ডিজিটাল বাংলাদেশের সর্তকতাঃ আসলে ডিজিটালাইজেশনকে বিকেন্দ্রিকরণের অর্থে না দেখলে ফাইবার অপটিক্স দিয়ে বাংলাদেশ ঘিরেও কোন লাভ হবে না। বিকেন্দ্রীকরণ এক প্রকার জ্ঞানভিত্তিক সমাজের পথে প্রথম সোপান। আমাদের দেশের শিশুদের ৯ থেকে ১০ বছরের আগে প্রযুক্তি ব্যবহারে যত কম অভ্যাস করানো যায় ততই দেশের জন্য মঙ্গল। এর চেয়ে বেশি তাকে প্রকৃতির সাথে পরিচয় করিয়ে দেওয়ায় আমাদের কর্তব্য। কেননা প্রকৃতি থেকে দূরে রেখে ফার্মের মুরগির মতো ছোটবেলা থেকে কম্পিউটার আসক্ত করে তুললে সেই শিশুর মানসিকভাবে প্রতিবন্ধী হয়ে ওঠার আশঙ্কায় বেশি। ডিজিটাল বাংলাদেশ হল একটি যান্ত্রিক ব্যবস্থা। এই ব্যবস্থা কিভাবে চলবে সেটার পরিকল্পনা এবং বাস্তবায়ন মানুষকেই করতে হবে, যন্ত্র নিজে করবে না। সমাজবিদ, শিক্ষাবিদ, মনোবিদ, বিজ্ঞানী এবং প্রযুক্তিবিদদের সাথে সমন্বয়ে এমনভাবে পরিকল্পনাটি করা প্রয়োজন যাতে করে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া গুলো কাটিয়ে আমরা নির্বিঘ্নে সামনে এগিয়ে যেতে পারি এবং আমাদের দেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশ হিসেবে পরিণত করতে পারি।

উপসংহারঃ আমাদের বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল রাষ্ট্র। আমাদের দেশটিকে উন্নতির দিকে নিয়ে যেতে হলে সর্বক্ষেত্রেই উন্নয়ন ঘটাতে হবে। আর কাজের কোন বিকল্প নেই উন্নয়ন হলে। কাজের মধ্য দিয়েই ভালবাসতে হবে আমাদের দেশকে। প্রশাসনকে গড়ে তুলতে হবে কার্যকর ও শক্তিশালী। সারা বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে অগ্রসর হওয়া লাগবে। তাহলেই প্রতিষ্ঠিত হবে আমাদের "ডিজিটাল বাংলাদেশ"।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সাগর ম্যাক্স এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url