বসন্তকাল অনুচ্ছেদ - সকল ক্লাস

বসন্তকাল রচনাবসন্তকাল অনুচ্ছেদ সম্পর্কে আপনি নিশ্চয় জানতে চাচ্ছেন? তাই আমরা আজকের আর্টিকেলে আপনার সামনে বসন্তকাল অনুচ্ছেদ তুলে ধরব। বসন্তকাল অনুচ্ছেদ সম্পর্কে জানতে আপনাকে আর্টিকেলটি সম্পন্ন পড়তে হবে।
বসন্তকাল-অনুচ্ছেদ
বসন্তকাল অনুচ্ছেদ অনেক সময় বিভিন্ন পরীক্ষাতে লিখতে বলা হয়। সেজন্য অনেক শিক্ষার্থী ইন্টারনেটের সার্চ দিয়ে থাকে বসন্তকাল অনুচ্ছেদ সম্পর্কে। তাই সকল শিক্ষার্থীর সুবিধার্থে আমরা এখানে মোট তিনটি বসন্তকাল অনুচ্ছেদ তুলে ধরব। এই তিনটি বসন্তকাল অনুচ্ছেদ গুলো থেকে আপনি আপনার পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে পারেন।

পোস্ট সূচিপত্রঃ বসন্তকাল অনুচ্ছেদ - সকল ক্লাস

বসন্তকাল অনুচ্ছেদ - ১

বসন্ত কাল হলো ফাল্গুন ও চৈত্র এই দুই মাস। ঋতুরাজ বসন্তের আগমনে বাংলাদেশের প্রকৃতি যেন নতুন সাজ সাজে। শীতের পাতা ঝরা বৈরাগ্য আর যেন থাকে না। প্রতিটা গাছের ডালে ডালে নতুন কচি উঁকি দেয়। পত্র পল্লবে ভরে ওঠে গাছের শাখা। মুখলিত গাছের শাখায় মৌমাছিদের আনাগোনা। কোকিলের কুহু কুহু গানে ভরে যায় হৃদয়। আর তখনই মনে পড়ে রবীন্দ্রনাথের সেই গানের কথা " আহা আজি এই বসন্তে-এত ফুল ফোটে এত বাঁশি বাজে-এত পাখি গায়ে"। বসন্তের প্রকৃতি যেন খুবই মনোরম। পত্র-পুষ্পে উজ্জ্বল হয়ে ওঠে তখন সবুজ বন-বনানি গুলো। বিভিন্ন বর্ণের ফুলের সৌরভে বাতাস আমোদিত হয়। শিমুলের লাল থোকা থোকা ফুলের আড়ালে নেচে ওঠে শালিক পাখি, টিয়ে, ময়না। ঘনঘন বনের আড়ালে লুকিয়ে কুহু কুহু ডেকে ওঠে কোকিল। প্রকৃতির এই সাজ বদল সবার মনেও নতুন এক বার্তা বয়ে আনে। "বউ কথা কও" পাখির গানে সবার মনও প্রকৃতির সাথে আত্মনিল হয়ে যায়। সবার হৃদয় যেন অজানা এক আনন্দে ভরে ওঠে। ধান কাউনের মাঠে মটরশুটির লতানো গাছ, সরিষা ফুলের হলুদ বনে প্রজাপতির লুটোপুটি এসবই মনোরম সভা সত্যিই অনেক আনন্দের। আমের প্রতিটা শাখায় শাখায় দেখা মিলে নতুন মঞ্জরি। ফুলে ফুলে মৌমাছির গুঞ্জন আর মৃদুমন্দ দখিনা বাতাসে শরীর যেন জুড়িয়ে যায়। আবহাওয়া থাকে ভীষণ নাতিশীতোষ্ণ। বসন্তকাল বাংলার সুরভিত এক ঋতু। বসন্ত ঋতুতে প্রকৃতি যেমন আপন সাজে নিজেকে সজ্জিত করে তোলে, তেমনি ভাবে মানুষের মনেও এক নতুন প্রাণ চাঞ্চল্য তৈরি হয়ে থাকে। তাই তো বসন্ত সবার কাছে কাক্সিক্ষত এক ঋতু। এক কবি সাহিত্যিকরা বিভিন্নভাবে বসন্তের বর্ণনা দিয়েছেন। "রাজঋতু" বলে অভিহিত করে বসন্তের প্রশংসা করছেন।

বসন্তকাল অনুচ্ছেদ - ২

এই বাংলাদেশ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপরূপ লীলাভূমি। ঋতু বৈচিত্র্য ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কারণে বাংলাদেশকে বলা হয় রূপসী বাংলা। ৫৬ হাজার বর্গ মাইলের এই দেশটি যেন ষড়ঋতুর এক অপূর্ব মিউজিয়াম। বাংলার বর্ষপঞ্জির সর্বশেষ ঋতু হলো বসন্ত। ফাল্গুন ও চরিত্র এই দুই মাস বসন্তকাল হয়ে থাকে। বসন্তকালকে বলা হয় "ঋতুরাজ"। ঋতুরাজ বসন্তের আগমনী গান শুরু হয় শীত শীত মাঘের শেষে। আর আসে সবুজ কচি কিশলয় শোভিত পুষ্প রাতের পরম লগ্ন। দক্ষিণা হাওয়ায় ভরে যায় সবার মন প্রাণ। দক্ষিণা বাতাসে ফুলে ওঠে নৌকার রঙিন পাল। নর নারীর ঘরোয়া জীবন রঙিন হয়ে ওঠে। শীতের সময় যেসব গাছের পাতা গুলো ঝরে যায় বসন্ত আসার সঙ্গে সঙ্গে সেসব গাছের পাতা নতুন করে জন্মায়। আর যখনই নতুন পাতায় রোদ লাগে তখনই পান্নার মতো ঝলমল করে। বসন্তের গানের পাখি ডালে ডালে কুহু কুহু করে ডাকে। ফুলে ফুলে প্রকৃতির নতুন সাজ সাজে। বসন্তের নতুন ফুল থেকে মধু সংগ্রহ করে মৌমাছিরা ডালে ডালে মৌচাক বাঁধে। ভিশন সুভাষ মাখা বাতাসে মাতোয়ারা বাংলার প্রকৃতির মুখ। সবার মন গেয়ে ওঠে " ওমাফাল্গুনে তোর আমের বনে ঘ্রাণে পাগল করে"। এ সময় নাতি শীতোষ আবহাওয়ার ফলে সুখকর সময় কাটানো যায়। বসন্ত ঋতুতে অনেক উৎসব হয়, বিশেষ করে হিন্দুদের বাসন্তী পূজা হয়ে থাকে বসন্ত ঋতুতে। দোলযাত্রা চৈত্র সংক্রান্তি প্রভৃতি উৎসব ভীষণ সমারোহে অনুষ্ঠিত হয়। বর্তমান বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে বসন্তকালের প্রথম দিকেই "ভালোবাসা দিবস" পালিত হয়। এবং নগরকেন্দ্রিক বসন্ত উৎসব আয়োজন করা হয়ে থাকে মহাসমারোহে। এইসবই হল রাজঋতু বসন্তের উপহার। রূপসী বাংলার এই অপরূপ রূপ-বৈচিত্র্য শহরবাসী ও শহরমুখী বাঙালিরা আজ খুব একটা অনুভব না পেলেও ঋতুরাজ বসন্তের নিয়ন্ত্রিত ও বসন্তের দূর কোকিলের গান তাদের অন্তরে অন্তরে বেজে চলে নিরন্তর।

বসন্তকাল অনুচ্ছেদ - ৩

বসন্তের প্রকৃতি যেন খুবই মনোরম। তখন সবুজ বন-বনানী পত্রপুষ্পে উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। বিভিন্ন বর্ণের ফুলের সৌভাসে বাতাস আমদিত হয়। শিমুলের লাল ধোঁকা গুলো ফুলের আড়ালে মেচে উঠে, ময়না পাখি, শালিক, টিয়া। কোকিল ঘন বনের আড়ালে লুকিয়ে কুহু কুহু ডেকে ওঠে। প্রকৃতির এই নতুন সাজ মানুষের মনেও নতুন এক বার্তা বয়ে আনে। " বউ কথা কও" পাখির গানে মানুষের মনো প্রকৃতির সাথে অন্তনীল হয়ে ওঠে। অজানা এক আনন্দে মানুষের হৃদয় ভরে যায়। ধান কাউন্টের মাঠে মটরশুঁটির লতানো গাছ, সরিষা ফুলের হলুদ বনে প্রজাপতির লুটুপুটি এসব মনোরম শোভা সত্যিই অনেক আনন্দের। আমের শাখায় শাখায় দেখা মিলে নতুন মঞ্জরি। মৌমাছির গুঞ্জন আর মৃদুমন্দ দখিনা বাতাসে শরীর যেন জুড়িয়ে যায়। আবহাওয়া থাকে যেন নাতিশীতোষ্ণ। বসন্ত বাংলার সৌরভীত এক ঋতু। বসন্ত ঋতুতে প্রকৃতি যেমন আপন সাজে সেজে ওঠে তেমনি ভাবে মানুষের মনেও এক নতুন প্রাণ চাঞ্চল্য তৈরি হয়। তাইতো বসন্ত সবার কাছে কাক্সিক্ষত ঋতু। কবি সাহিত্যিকরা নানানভাবে বসন্তের বর্ণনা দিয়েছেন। "ঋতুরাজ" বলে অভিহিত করে বসন্ত-এর প্রশংসা করেছেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সাগর ম্যাক্স এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url