অনুচ্ছেদ সততা - সকল শ্রেণীর জন্য (ফুল মার্ক)
সততা অনুচ্ছেদঅনুচ্ছেদ সততাঃ প্রত্যেক শিক্ষার্থীর বাংলা পাঠ্য বইয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অনুচ্ছেদ গুলির মধ্যে অনুচ্ছেদ সততা অন্যতম। আপনি যদি অনুচ্ছেদ সততা ভীষণভাবে খোঁজাখুঁজি করে থাকেন, তাহলে সঠিক জায়গাতে এসেছেন। কারণ আমরা আজকের আর্টিকেলে অনুচ্ছেদ সততা আপনার সামনে তুলে ধরবো।
আশা করি অনুচ্ছেদ সততা আপনার অনেক উপকারে আসবে। তাই বন্ধু আপনি যদি অনুচ্ছেদ সততা করতে ইচ্ছুক হন তাহলে আজকের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে সম্পূর্ণ পড়ুন। তাহলে জানতে পারবেন অনুচ্ছেদ সততা সম্পর্কে।
পোস্ট সূচিপত্রঃ অনুচ্ছেদ সততা
অনুচ্ছেদ সততা - ১
মানব চরিত্রের অন্যতম শ্রেষ্ঠ একটি গুণ হলো সততা। সব সময় সত্য কথা বলা, অন্যায় কাজে লিপ্ত না হওয়া এবং সৎ পথে চলাই হল সততা। এক কথায় সত্যের অনুসারী ব্যক্তির সৎ থাকার গুণকেই বলা হয় সততা। সততার গুণ অর্জনের চেষ্টা এবং চর্চা একজন ব্যক্তিকে পৌঁছে দিতে পারে মর্যাদা ও গৌরবের আসনে। নিষ্ঠার সাথে নিরলস অনুশীলনের মধ্য দিয়ে সততার গুণ অর্জন করা যায়। আর যিনি সততার গুণ অর্জন করতে পারেন তিনিই সমাজে একটি আদর্শ ব্যক্তি হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। সেজন্য সততাকে মানব চরিত্রের অলংকার হিসেবে বিবেচিত করা হয়ে থাকে। এই গুণ সুফল শত সব ধারায় বিকশিত। একটি মানুষের জীবনকে সুন্দর, সফল ও সার্থক করার জন্য সৎ থাকার অভ্যাস গড়ে তোলা প্রয়োজন। একটি সৎ গুন সম্পন্ন ব্যক্তি কখনোই অন্যায় এবং অবৈধ কাজে লিপ্ত থাকতে পারে না। সৎ ব্যক্তি মাত্রই চরিত্রবান এবং মহৎ হয়ে থাকে। সেজন্য সৎ ব্যাক্তি বিশ্বাসভাজন ও শ্রদ্ধেয় হয়। একটি মানুষের নৈতিকতাকে সমুন্নত করে সততা। একটি সৎ ব্যক্তি কখনোই কোনভাবে অন্যায়ের কাছে মাথা নত করে না। একটি ব্যক্তির সমৃদ্ধ এবং আদর্শ জীবন গড়ার জন্য সততার কোনো বিকল্প নেই। তাই প্রত্যেক শিক্ষার্থীদের উচিত ছাত্র জীবন থেকেই সততার সৎ গুনগুলি অনুশীলন করার। তাহলে প্রত্যেক শিক্ষার্থী তাদের পরিবারও জাতির মুখ উজ্জ্বল করতে পারবে।
অনুচ্ছেদ সততা - ২
পরম দুঃখ কষ্টে অর্জিত ধন্য হলো সততা। সততা মানব চরিত্রের অন্যতম শ্রেষ্ঠ গুণ। একজন মানুষের সততার দ্বারাই প্রতিষ্ঠা লাভ সম্ভব। সারা বিশ্বে ভালো-মন্দ, সৎ-অসৎ, সত্য-মিথ্যা এবং বিরাজমান। একজন মানুষের জীবনে প্রকৃত এবং স্থায়ী সাফল্য লাভ করার জন্য সৎ পথে জীবন চালিত করায় উত্তম কাজ। যেমন এখানে সাধু এবং সৎপথের যাত্রী রয়েছে, তেমনি ভাবে মিথ্যা এবং অসৎ পথে যাত্রী রয়েছে। সজ্ঞানে ও সতর্কতার সাথে অসৎ পথ পরিহার করা লাগবে, কেননা সিদ্ধি লাগে সৎ পথের কোন বিকল্প নাই। একটি ব্যক্তির জীবনের যেকোনো ক্ষেত্রে সততার মূল সবকিছুর উর্ধ্বে। একজন সৎ মানুষই সবার কাছে বিশ্বস্ত এবং শ্রদ্ধাভাজন হতে পারে। বিভিন্ন সময় দেখা যায় অনেক মানুষই অসৎ পথে চলেও বিরাট উন্নতি সাধন করে বা করেছে। তবে মনে সেই ব্যক্তির মনে রাখা উচিত তার এই উন্নতি সাময়িক এবং ক্ষণস্থায়ী। তাসের ঘরের মতো যেকোনো সময় সেটি ভেঙে যেতে পারে। একটি ব্যক্তির অসৎ পথে অর্জিত সাফল্য একদিন না একদিন ধ্বংস হবেই। অসৎ পথের ব্যক্তি টাকার জোরে সম্মান এবং প্রতিপওি লাভ করা সত্ত্বেও অনেক মানুষ তাকে মনে মনে ঘৃণা করে। অন্যদিকে দেখা যায় যে ব্যক্তি সৎ এবং দুঃখ কষ্টের মধ্যে জীবন যাপন করে সে প্রত্যেক মানুষের কাছে শ্রদ্ধার পাত্র। রাজনীতি, ব্যবসায় বাণিজ্য এবং সমাজনীতি ইত্যাদি যে কোন ক্ষেত্রেই একমাত্র সৎপথের মানসী পরি নামে সাফল্যের স্বর্ণশিখরে আরোহন করতে পারে। একটি ব্যক্তি যদি মহৎ কাজ করতে যায় ও সৎ পথে চলতে যায় তাহলে হাজার দুঃখ কষ্ট এসে তার পথ রোধ করে দাঁড়াবে। তবে এ সকল দুঃখ কষ্ট কে বাধা হিসেবে না মেনে সত্যের পথে পরিচয় না করে কর্মক্ষেত্রে অগ্রসর হওয়া উচিত। প্রত্যেক ব্যক্তিরই মনে রাখা দরকার, একদিন না একদিন সততার জন্য অসততার পরাজয় হবেই। মানুষের জীবনে চলার পথে সততা সর্বত্র কৃষ্ণ পন্থা বা নীতি এতে কোন প্রকার সন্দেহ নেই। অর্থাৎ বলা যায় যে “সততা সেরা নীতি”।
অনুচ্ছেদ সততা - ৩
মানব জীবনের যে সকল গুন মানব চরিত্র কে মহামান্বিত করে তার মধ্য থেকে অন্যতম হল সততা। এই পৃথিবী সত্যের ওপর দণ্ডায়মান। মানুষ তার নিজের পরিচয় এবং চরিত্রকে ফুটিয়ে তুলতে পারে সততার বলে। মানব চরিত্রের ভালো গুণাবলীর সমষ্টি হল সততা। অন্যায়, দুর্নীতি এবং অবৈধ কাজ ইত্যাদি পরিত্যাগ করে নেয় এবং সৎপথে জীবন পরিচালিত করার নামিই হচ্ছে সততা। সততা হল এক প্রকার আলো। আর সততার বিপরীত হল অন্ধকার। যে ব্যক্তি সততার ওপর দন্ডায়মান সেই ব্যক্তি দুর্নীতিমুক্ত। সততার গুনেই একটি ব্যক্তি দুর্নীতি থেকে বেঁচে থাকতে পারে। সেজন্য সমাজ দুর্নীতিমুক্ত হয়। এজন্য সারা পৃথিবীতে যে জাতি যত উন্নত সেই জাতি তত সৎ।অন্যদিকে সততার অভাবে সমাজে দুর্নীতি, মারামারি, হাতাহাতি এবং হানাহানি বেড়ে যায়। একটি অসৎ ব্যক্তি যেকোন সময়ে নিজের সুবিধার কথা চিন্তা করে। সেজন্য সে ব্যক্তি অন্যের ক্ষতি করে। এভাবে আস্তে আস্তে সমাজে বেড়ে যায় অসামাজিক কাজ গুলো।তাই সমাজকে কলুষিত না করতে চাইলে প্রত্যেককেই সৎ থাকতে হবে। সেজন্য পাঠ্যপুস্তক, বিভিন্ন ধরনের গণমাধ্যম ইত্যাদিতে সততার গুরুত্বের উপর প্রতিবেদন থাকতে হবে। আমরা প্রত্যেকেই জানি এই পৃথিবীতে আমাদের জীবন ক্ষণস্থায়ী। সেজন্য অসৎ জীবনকে ত্যাগ করে সৎ ভাবে বেঁচে থাকাটাই কাম্য। আমাদের প্রত্যেককেই সততার মূল্য দিতে হবে। এবং যারা সৎ তাদের সততার আলো নিজের জীবনে প্রতিফলিত করতে হবে।
সাগর ম্যাক্স এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url