মেট্রোরেল অনুচ্ছেদ class 8

মেট্রোরেল অনুচ্ছেদ class 8 সম্পর্কে অনেক শিক্ষার্থী খোঁজাখুঁজি করে থাকেন। সেজন্য মেট্রোরেল অনুচ্ছেদ class 8 এর অনুচ্ছেদ তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। তাহলে চলুন ঝটপট মেট্রোরেল অনুচ্ছেদ class 8 দেখে নিন। আশা করি এই অনুচ্ছেদটি আপনার অনেক উপকারে আসবে।
মেট্রোরেল-অনুচ্ছেদ-class-8
যেহেতু কম বেশি সকল শিক্ষার্থীদের কোন না কোন বাংলা পরীক্ষায় কোন অনুচ্ছেদ এসে থাকে বা লেখার প্রয়োজন হয়।সেহেতু আমাদের সকল শিক্ষার্থীদের মেট্রোরেল অনুচ্ছেদ ক্লাস এইট সম্পর্কে জেনে রাখা উচিত।

মেট্রোরেল অনুচ্ছেদ class 8

আমাদের বাংলাদেশ একটি ছোট দেশ। কিন্তু আমাদের এই দেশ ঘনবসতিপূর্ণ জনবহুল দেশ হওয়ার জন্য এই দেশে যানজট একটি বড় সমস্যা হিসেবে দেখা দেয়। এই যানজটের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য সরকার মেট্রোরেল প্রকল্পের কাজ শুরু করেন। আমাদের এই বাংলাদেশে মেগা প্রকল্প গুলির মধ্যে মেট্রোরেল হচ্ছে একটি। আমাদের বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে যানজটমুক্ত রাখতে আমাদের সরকার এই পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।

যা বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের জন্য এক প্রকার আশীর্বাদ। বাংলাদেশের মেট্রোরেল একটি বৈদ্যুতিক যান। আর এই মেট্রোরেল প্রকল্পের বাস্তবায়নের জন্য খরচ হয়েছে প্রায় ২১, ৯৮৫ কোটি ৫৯ লক্ষ টাকা। এর মধ্য থেকে জাইকা দিবে প্রায় ৭৫% এবং বাকিটা দিবে আমাদের দেশের সরকার। এই মেট্রোরেল উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত নিয়মিত চলাচল করবে। এর মধ্যে থেকে ১৬ টি স্টেশন থাকবে। আর এই পথটি প্রায় ২০ কিলোমিটার দীর্ঘ।

আসলে এটি যানজট থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য করা হয়েছে, সেজন্য এই মেট্রোরেলের পথ হবে উড়াল সড়ক। এর মধ্য থেকে প্রথম পর্যায়ে উত্তরা হতে আগারগাঁও পর্যন্ত প্রায় ৯টি স্টেশন থাকবে। আর এই স্টেশন গুলি হচ্ছেঃ উত্তরা সেন্টার, উত্তরা দক্ষিণ, পল্লবী, আইটেমটি, ফার্মগেট, মিরপুর-১০, তালতলা, আগারগাঁও এবং কাজীপাড়া। তাছাড়াও বিজয় সরণি, জাতীয় স্টেডিয়াম, সোনারগাঁও, জাতীয় জাদুঘর, দোয়েল চত্বর এবং বাংলাদেশ ব্যাংক এ সমস্ত স্টেশনগুলো থাকবে।

এর পাশাপাশি প্রতিটি ট্রেনে মোট ছয়টি করে বগি থাকবে। উত্তরা হতে মতিঝিল রোটে ট্রেন চলবে ১৪টি। আর এই ট্রেন গুলি প্রায় ১,৫০০ জনের মতো যাত্রী বহন করতে পারবে। তাছাড়া এই ট্রেন গুলির আসন সংখ্যা থাকবে প্রায় ৯৪২টি এবং ৫৭৪ জন যাত্রী দাঁড়িয়ে এই ট্রেন গুলিতে ভ্রমণ করতে পারবে। আর এ সকল ট্রেন গুলির প্রতিটি বগি বেশ প্রশস্তু এবং শীততাপ নিয়ন্ত্রিত। প্রত্যেকটি ট্রেন ৪০ মিনিট পর পর ছাড়া হবে।

এবং গতি হবে ঘন্টায় প্রায় ৩২ কিলোমিটার এবং এক স্টেশন হতে অন্য স্টেশন যেতে সময় লাগবে প্রায় ৩৫ মিনিট পর্যন্ত। প্রত্যেকটি স্টেশনে ৪০ সেকেন্ড করে ট্রেনগুলি থামবে। এ সমস্ত ট্রেনের ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে সর্বনিম্ন ২০ টাকা হতে সর্বোচ্চ ১০০ টাকা। এ সকল ট্রেনগুলো ঢাকাবাসীর সুবিধার কথা ভেবেই তৈরি করা হয়েছে। ঢাকা শহরের বাসিন্দাদের জন্য একটি দ্রুত পরিবহন গামী যানবাহন। শুধু যে এটি ট্রাফিক সমস্যার সমাধান করে থাকবে বিষয়টি তা নয়,

এর পাশাপাশি শব্দ দূষণ কমাতেও বেশ সাহায্য করবে। আবার হাজার হাজার মানুষের কর্মস্থানও হবে এর মাধ্যমে। এটি যেশুধুমাত্র ঢাকা শহরের আসবে বিষয়টি তা নয়। এর পাশাপাশি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের ধারাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করবে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সাগর ম্যাক্স এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url