১০টি শিক্ষা প্রযুক্তির নাম - শিক্ষা প্রযুক্তিতে শিক্ষণ প্রযুক্তি কি
৫টি শিক্ষা প্রযুক্তির নাম ও ব্যবহারপ্রিয় পাঠক, আপনারা যারা ১০টি শিক্ষা প্রযুক্তির নাম কি? এবং শিক্ষা প্রযুক্তিতে শিক্ষণ প্রযুক্তি কি? সে সম্পর্কে জানতে চান। তাদেরকে আমরা এই পোস্টটির মাধ্যমে জানাবো ১০টি শিক্ষা প্রযুক্তির নাম ও শিক্ষা প্রযুক্তিতে শিক্ষণ প্রযুক্তি কি।
তাই আপনি এই পোস্টের মাধ্যমে এগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জানতে পারবেন। আশা করি এই পোস্টটি আপনার অনেক উপকারে আসবে। তাহলে চলুন ১০টি শিক্ষা প্রযুক্তির নাম এবং শিক্ষা প্রযুক্তিতে শিক্ষণ প্রযুক্তি কি সে বিষয়ে বিস্তারিতভাবে যেনে আসা যাক।
পোস্ট সূচিপত্রঃ ১০টি শিক্ষা প্রযুক্তির নাম - শিক্ষা প্রযুক্তিতে শিক্ষণ প্রযুক্তি কি
ভূমিকা | ১০টি শিক্ষা প্রযুক্তির নাম | শিক্ষা প্রযুক্তিতে শিক্ষণ প্রযুক্তি কি
সারা বিশ্বে শিক্ষা প্রযুক্তি বা শিক্ষা বিষয়ক প্রযুক্তি হল হার্ডওয়ার ও সফটওয়্যার এবং শিক্ষাগত তাত্ত্বিক দিক ব্যবহার করে অনুশীলন ও শিখন সহজ করে তোলাকে বোঝায়। তাছাড়া শিখন তত্ত্ব, অনলাইন শিখন, কম্পিউটার ভিত্তিক প্রশিক্ষণ, যেখানে মোবাইল প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়ে থাকে, এম এম লার্নিংসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে কে অন্তর্ভুক্ত করা বোঝায়।
এবং শিক্ষা বিষয়ক প্রযুক্তির বৈদ্ধিক ও প্রযুক্তিগত বিকাশের বর্ণনা দেওয়ার জন্য বেশ কয়েকটি বিষয় রয়েছে। তাই এগুলো সম্পর্কে আমরা এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে বিস্তারিতভাবে আপনাদের সামনে উপস্থাপন করব। এছাড়াও এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনারা জানতে পারবেন,
শিখনের জন্য কোন ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়, শিক্ষা প্রযুক্তি বিদ্যা বলতে কি বুঝায়, শিখনে প্রযুক্তির ব্যবহার। এগুলো সম্পর্ক আমরা বিস্তারিতভাবে আপনাদেরকে জানাবো। তবে চলুন বিস্তারিত ভাবে জেনে আসি।
শিক্ষা প্রযুক্তিতে শিক্ষণ প্রযুক্তি কি
শিক্ষা প্রযুক্তিতে শিক্ষণ প্রযুক্তি বলতে শিক্ষাকে প্রযুক্তিয়ান করা। কারণ প্রযুক্তি হল একটি ছাতা পরিভাষা যা শিক্ষণ, শিক্ষাদান এবং মূল্যায়নকে উন্নত করতে ব্যবহৃত যোগাযোগ, তথ্য ও প্রযুক্তিগত সরঞ্জামকে বর্ণনা করে থাকে। এর মধ্যে রয়েছে কম্পিউটার ভিত্তিক শিক্ষা বা টি মিডিয়া উপকরণ অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে যা ক্লাসে কার্যক্রমের পরিপূরক করতে অনেকটাই ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
শিক্ষণ প্রযুক্তি সরঞ্জামগুলির মূল বিভাগগুলির মধ্যে রয়েছে, শিমুলেশন, টিউটোরিয়াল, উৎপাদনশীলতা সরঞ্জাম, যোগাযোগের সরঞ্জামগুলি যথাক্রমে ইমেল ইত্যাদি আরো অনেক কিছু। এবং টিউটোরিয়াল গুলি একটি কাঠামো গত বিন্যাসে নতুন ধারণা শিক্ষণ বা শেখায় যেখানে শিমুলেশনগুলি একটি পরীক্ষা বা বিশ্বের দৃশ্যের মডেল করে।
তাছাড়া উৎপাদনশীলতা সরঞ্জাম গুলিতে ওয়ার্ড প্রসেসর ও স্পেডশিট অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে, যদিও বা সেগুলি অজ্ঞতা শিক্ষার উদ্দেশ্যে ডিজাইন করা হয়নি। এবং এটি নিয়মিত কর্মক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। শিক্ষা সম্পর্কিত বিজ্ঞানভিত্তিক জ্ঞান, শিখন ও প্রশিক্ষণের উৎকর্ষতা বৃদ্ধির জন্য বিজ্ঞানভিত্তিক এই জ্ঞানের ব্যবহার করা হয়ে থাকে। সেজন্য একে শিক্ষা প্রযুক্তিতে শিক্ষণ প্রযুক্তি বলে।
শিখনের জন্য কোন ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়
শিখনের জন্য ব্যবহৃত ডিজিটাল সরঞ্জাম এবং মিডিয়ার পরিসীমা ব্যবহার করা হয়। অধ্যাপকদের জন্য, শিখন প্রযুক্তিগুলি তাদের শিক্ষণ এবং শিখন এর লক্ষ্যগুলিকে আরো এগিয়ে নিয়ে যাওয়া উচিত। যে কোন ধরনের শিখন প্রযুক্তি শিক্ষার্থীরা তাদের স্ব-দায়িত্ব বাড়াতে অনেকটাই সহযোগিতা করবে।
আরো পড়ুনঃ ৫টি শিক্ষা প্রযুক্তির নাম
এবং তাদের ব্যক্তিগত ও সহযোগিতামূলক শিক্ষার ও স্মরণ হিসেবে কাজ করবে। তাছাড়া শ্রেণীকক্ষের বাইরে জ্ঞান কিভাবে ব্যবহার করা হয়, সেটা বোঝার জন্য উচ্চ ক্রম শিক্ষায় শিক্ষার্থীদের অংশ নিতে ক্ষমতায়ন করবে।
১০টি শিক্ষা প্রযুক্তির নাম
১০টি শিক্ষা প্রযুক্তির নাম হলঃ
- ইমারসিভ শেখার জন্য ভার্চুয়াল বাস্তবতা (VR)
- শিক্ষায় অগমেন্টেড রিয়েলিটি (AR)
- শিক্ষার গ্যামিফিকেশন
- অ্যাডাপটিভ লার্নিং সিস্টেম
- অনলাইন লার্নিং প্ল্যাটফর্ম
- শিক্ষায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI)
- শিক্ষায় ডেটা বিশ্লেষণ
- সহযোগিতামূলক সরঞ্জাম ও ক্লাউড কম্পিউটিং
- নৈতিক বিবেচনা এবং ভবিষ্যতের প্রভাব
- কম্পিউটার, টিভি, রেডিয়ান, ওভারহেড প্রজেক্টর ইত্যাদি।
শিখনে প্রযুক্তির ব্যবহার
শিখনে প্রযুক্তির ব্যবহার বলতে, তথ্যপ্রযুক্তি একটি সর্বজনীনভাবে গ্রহণযোগ্য শিক্ষা মন্ত্র বলা যায়। যা আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় কার্যকারিতা ও দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য পরিকল্পিত করা হয়েছে। স্কুল ব্যবস্থায় শিক্ষাদানের জন্য কম্পিউটার ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এবং শিক্ষা ব্যবস্থায় কাজকর্ম দ্রুত ও আকর্ষণীয় করে তোলার জন্য এবং শিক্ষার্থীদের আধুনিক টেকনোলজিতে দক্ষ করার লক্ষে সারা বিশ্ব জুড়ে শিক্ষা ব্যবস্থায় তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার নিয়োগ করা হয়েছে।
আমাদের বাংলাদেশ ১৯৬৪ সালে টেলিভিশন ও কম্পিউটারের যাত্রা শুরু হয়। তাছাড়া শিক্ষা বিস্তারে টেলিভিশনের প্রথম কার্যকর ব্যবহার শুরু হয় ইংল্যান্ডে। এবং টেলিভিশনের মাধ্যম ব্যবহার করে দূর শিক্ষণ প্রোগ্রাম বিশ্বে প্রচলিত লাভ করে থাকে যা বয়স্ক শিক্ষা বিস্তারে অনেক দৃঢ় প্রভাব ফেলে। এটি প্রতিষ্ঠাকালীন সময় ১৯৯২ থেকে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ বিটিভির মাধ্যমে দূর শিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।
তাছাড়াও অনেক উন্নত দেশগুলো সমসাময়িক প্রযুক্তি তথা স্মার্টফোন, কম্পিউটার, ইন্টারনেট ইন্টারেক্টিভ হোয়াইট বোর্ড, রেডিও, টেলিভিশন ইত্যাদি শ্রেণীপক্ষের শিখন শেখানো প্রক্রিয়ায় সমন্বয় করে আসছে। এগুলোর মাধ্যমে যেমন শিক্ষার গুণগত মানের উন্নতি হচ্ছে তেমনি শিখন প্রক্রিয়া হয়েছে শিক্ষার্থী কেন্দ্রিক। সেজন্য ৯০ এর দশকে শিখন শেখানো প্রক্রিয়ায় কম্পিউটার ব্যবহারের ফলে পাঠদানে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসে।
এবং ইন্টারনেটের যাত্রা শুরু হওয়ার পর থেকে জ্ঞান অর্জনের পথ আরো উন্মুক্ত ও বিস্তৃত হয়। যেখানে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, শিক্ষার্থী-শিক্ষার্থী ও শিক্ষক-শিক্ষক ইন্টারনেট প্রযুক্তির মাধ্যমে বা নানারকম সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করে নিজেদের মাঝে যোগাযোগ স্থাপন করতে পারছে অনেক সহজে। এর ফলে ব্যবহারকারীরা প্রতিদিনই শিখতে পারছে নতুন কিছু। এবং বিদ্যালয়ই শিক্ষার্থীদের কাছে শিক্ষা লাভের একমাত্র জায়গা থাকছে না। বরং শিখন ঘটছে তাদের নানা রকম সামাজিক কর্মকান্ডের মাধ্যমে।
শিক্ষা প্রযুক্তি বিদ্যা বলতে কি বুঝায়
শিক্ষা প্রযুক্তি বিদ্যা বলতে শিক্ষার উদ্দেশ্যমুখী বুঝায়। সেজন্য প্রযুক্তিবিদ্যা উদ্দেশ্য মুখী আর এই প্রযুক্তির বিশ্লেষণ করলে কিছু সাধারন উদ্দেশ্য খুজে পাওয়া যায়। এবং এই উদ্দেশ্য গুলি সাধানার্থে প্রযুক্তি বিদ্যায় বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই নিজে কিছু শিক্ষা প্রযুক্তির ভূমিকা গুলো দেওয়া হলোঃ
- বিশেষজ্ঞ প্রযুক্তিবিদ গড়ে তোলাঃ প্রযুক্তিবিদ্যার সাহায্যে বিশেষজ্ঞ ব্যক্তি গড়ে তোলা সম্ভব।সেজন্য বিশেষজ্ঞ ব্যক্তি, ব্যক্তিগত কল্যাণ করে। এর পাশাপাশি সমাজের কল্যাণ করে।
- চাহিদা ভিত্তিক বিষয় নির্বাচনঃ শিক্ষার্থী রা কখনোই অনুপ্রেরণা পায় না যদি শিক্ষা চাহিদা ভিত্তিক না হয়। সেজন্য শিক্ষার্থীদের প্রাণ শক্তির অপচয় হয়। মূলত সে কারণে প্রযুক্তি বিদ্যার শিক্ষার্থীকে চাহিদা ভিত্তিক বিষয় নির্বাচনের সাহায্য করে থাকে।
- প্রযুক্তি বিদ্যার মাধ্যমে উন্নত জাতি গঠনঃ প্রযুক্তিবিদ্যা উন্নত শ্রেণীর মানুষ তৈরি করতে সাহায্য করে। তার ফলে উন্নত শ্রেণীর মানুষ উন্নত জাতি গঠনে সক্ষম হয়।
- আন্ততৃপ্তিঃ প্রযুক্তিবিদ্যা ব্যক্তির মনে এক ধরনের তৃপ্তি আনে। সেজন্য আন্ততৃপ্তি ও আন্তবিকাশের সহায়ক। আন্ততৃপ্তি মানুষের দেহে মনে, চিন্তায়, অভিনবত্বের প্রকাশ ঘটিয়ে থাকে। এর ফলে প্রযুক্তিবিদ্যা আন্ত-বিনাশের পথ সুগম করতে সাহায্য করে থাকে।
- সামাজিক মর্যাদাঃ প্রযুক্তিবিদ্যার মাধ্যমে পারদর্শী মানুষ তৈরি করা সম্ভব হয়। এবং এইসব মানুষের পারদর্শিতার ফলে সমাজের অগ্রগতি ঘটে। এর ফলে প্রযুক্তি বিদ্যায় পারদর্শী মানুষের সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধি পায়।
- আত্মনির্ভরশীলতাঃ প্রযুক্তি বিদ্যার শিক্ষিত ব্যক্তি আত্মনির্ভরশীল হয়ে থাকে। কারণ তারা নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে কাজকর্ম করে বলিষ্ঠ জীবন যাপন করে তুলতে পারে।
- অনিশ্চিয়তা দূরীকরণঃ প্রযুক্তিবিদ্যার ফলে কিছু ব্যক্তির সামনে অনেক সুযোগ আসে। তার ফলে এই সুযোগের ব্যবহার নিশ্চিত জীবন উপভোগ করতে সহায়তা করে। এবং এর ফলে ব্যক্তির জীবনের অনিশ্চিয়তা দূর হয়।
- সুপ্ত প্রতিভার বিকাশঃ প্রযুক্তি বিদ্যার মাধ্যমে ব্যক্তির সুপ্ত প্রতিভার বিকাশ ঘটানো সম্ভব হয়। সেজন্য সুপ্ত প্রতিভা ব্যক্তি স্বার্থ তথা সমাজের স্বার্থ রক্ষা করতে পারে।
উপরোক্ত আলোচনা থেকে বলা যায় যে, শিক্ষার ক্ষেত্রে প্রযুক্তি বিদ্যার ভূমিকা অনেক বেশি। এবং প্রযুক্তিবিদ্যা ব্যক্তিকে রুজি রোজগারের পথ তৈরি করতে অনেক সহযোগিতা করে থাকে এবং ব্যক্তিগত ও সামাজিক অস্থিরতা দূর করা অনেক সহজ হয়।
শেষ কথা | ১০টি শিক্ষা প্রযুক্তির নাম | শিক্ষা প্রযুক্তিতে শিক্ষণ প্রযুক্তি কি
প্রিয় পাঠক, এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনি নিশ্চয়ই এতক্ষণে জেনে গেছেন ১০টি শিক্ষা প্রযুক্তির নাম এবং শিক্ষা প্রযুক্তিতে শিক্ষণ প্রযুক্তি কি সে সম্পর্কে। আশা করি এ পোস্টটি আপনার অনেক উপকারে আসবে। তাই এই পোস্টটি আপনার কাছে ভালো লেগে থাকলে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন।
আরো পড়ুনঃ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির দশটি ব্যবহার
এবং এরকম বিভিন্ন ধরনের নতুন নতুন আর্টিকেল বা ব্লক পোস্ট নিয়মিত পেতে আমাদের সাথেই থাকুন, তাছাড়াও আমরা এই ওয়েবসাইটে প্রযুক্তি বিষয়ক বিভিন্ন পোস্ট বা আটিকের প্রকাশ করে থাকি। আসসালামুয়ালাইকুম।
সাগর ম্যাক্স এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url