শক্তির জন্য সবচেয়ে ভালো ভিটামিন কোনটি
নবরত্ন তেল কি স্বাস্থ্যের জন্য ভালোপ্রিয় পাঠক, আপনি নিশ্চয়ই জানতে চাচ্ছেন, শক্তির জন্য সবচেয়ে ভালো ভিটামিন কোনটি। তাহলে বন্ধু আপনি সঠিক জায়গাতেই এসেছেন কারণ আমরা এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে আপনাকে জানাবো শক্তির জন্য সবচেয়ে ভালো ভিটামিন কোনটি।
এই পোস্টটি যদি আপনি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়েন, তাহলে এ সকল বিষয় ছাড়াও আপনি আরো ভিটামিন সম্পর্কিত অন্যান্য বিষয়গুলো জানতে পারবেন।
পোস্ট সূচিপত্রঃ
ভূমিকা
শরীর দুর্বল হওয়া এ সমস্যাটি একটি স্বাভাবিক সমস্যা, আপনি যদি কিছুদিন নিয়ম কানুন মেনে কিছু ভিটামিন খাবার গুলো রয়েছে সেগুলো খান বা খাদ্যের তালিকায় রাখেন। তাহলে এ সমস্যা থেকে আপনি মুক্তি পাবেন। কারণ একটি সুস্থ ও সবল স্বাস্থ্যের জন্য ভিটামিনই সবথেকে বড় দায়ী। তাই এমন খাবার আমাদেরকে সেবন করতে হবে যে খাবারগুলোর মাধ্যমে আমরা এই ভিটামিন গুলো পূরণ করতে পারি,
চিন্তার কোন কারণ নেই সকল খাবারগুলোতে আপনি বিশেষ ভিটামিন গুলো পাবেন সেগুলোই আমরা এই পোস্টটির মাধ্যমে আলোচনা করেছি। আশা করি এই পোস্টটি আপনার অনেক উপকারে আসবে, তো চলুন দেরি না করে আমরা ভিটামিন কাকে বলে এবং কোন ভিটামিনের অভাবে শরীর দুর্বল হয় বিষয় গুলো সম্পর্কে জেনে আসার চেষ্টা করি। ভিটামিন আমাদের শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
শরীরে যদি ভিটামিনের অভাব থাকে তাহলে আমরা যে কোন সমস্যায় পড়তে পারি এবং শরীর যে কোন সময় দুর্বল হয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকে। তাই আমাদের প্রত্যেকেরই উচিত কোন ভিটামিনের অভাবে শরীর দুর্বল হয় সে বিষয়টি জানার। সেজন্য আমরা এই পোস্টটি জুড়ে আলোচনা করেছি কোন ভিটামিনের অভাবে শরীর দুর্বল হয়। শুধু তাই নয় এ পোস্টটি সম্পন্ন করার মাধ্যমে আপনি ভিটামিন সম্পর্কে আরো অনেক তথ্য জানতে পারবেন।
আপনি যদি আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়েন তাহলে যে সকল বিষয়গুলো জানতে পারবেন সেগুলো হল ভিটামিন কাকে বলে, ভিটামিন বি ১২ কমে গেলে কি হয়, ভিটামিন সি এর অভাবে কি কি হয়, কোন ভিটামিনের অভাবে শরীর দুর্বল হয় এবং শক্তির জন্য সবচেয়ে ভালো ভিটামিন কোনটি। তো বন্ধু এ সকল বিষয়গুলো জানার জন্য আপনাকে অবশ্যই আমাদের এই আর্টিকেলটি সম্পন্ন মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।
আপনি যদি এই আর্টিকেলটি সম্পন্ন না পড়েন, তাহলে এ আর্টিকেলটি পড়ে আপনি কিছু বুঝতে পারবেন না। তাই বন্ধু একটু টাইম নিয়ে আর্টিকেলটি সম্পন্ন করার চেষ্টা করবেন। আমরা প্রত্যেকটি পয়েন্টে খুব সুন্দর ভাবে আলোচনা করেছি এবং আপনাকে বোঝানোর চেষ্টা করেছি। আশা করি এ পোস্টটি আপনার অনেক উপকারে আসবে। তাহলে বন্ধু চলুন দেরি না করে সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ে আসার চেষ্টা করি। আর জেনে আসি কোন ভিটামিনের অভাবে শরীর দুর্বল হয়।
ভিটামিন কাকে বলে
এখন আমরা আর্টিকেলের এই অংশে জানতে চলেছি, ভিটামিন কাকে বলে?। আমাদের প্রত্যেকেরই প্রথমে জানা প্রয়োজন ভিটামিন কাকে বলে। ভিটামিন হলো এমন একটি পুষ্টি উপাদান যেটা খুব সামান্য পড়ে মনে প্রয়োজন হয়ে থাকে। এবং মানবদেহে অনেক রকমের কাজ সম্পন্ন করতে সাহায্য করে। ভিটামিনের অপর নাম হল খাদ্যপ্রাণ। যদি রাসায়নিক দিক থেকে বিবেচনা করি তাহলে এরা হলো কার্বন,
হাইড্রোজেন ও অক্সিজেন যা এক ধরনের জৈব যৌগের একটি গ্রুপ বলা যায়। আমরা ভিটামিনের বড় একটা অংশ পেয়ে থাকি অনেক রকমের খাবার থেকে। কিছু কিছু ভিটামিন আছে মানব দেহে সামান্য পরিমাণে তৈরি হয়। মানবদেহে ভিটামিনের অভাব দেখা দিলে বিভিন্ন রকমের প্রতিবন্ধকতা দেখা দিতে পারে। আশা করি ভিটামিন কাকে বলে বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন।
শক্তির জন্য সবচেয়ে ভালো ভিটামিন কোনটি
আমরা এখন আর্টিকেলের এই অংশে জানতে চলেছি, শক্তির জন্য সবচেয়ে ভালো ভিটামিন কোনটি?। আসলে শক্তির জন্য কোন ভালো ভিটামিন বলতে কিছু নেই। কারণ ভিটামিন হচ্ছে খাদ্যের একটি অত্যাবশ্যকীয় জৈব রাসায়নিক উপাদান। যা মানব দেহের ভেতরে তৈরি হয় না বরং খাবার থেকে গ্রহণ করতে হয়। আমাদের অনেকেরই ধারণা, যে ভিটামিন মানব দেহে শক্তি জোগায়, ভিটামিন খেলে খারাপ স্বাস্থ্য ভালো হবে এবং দুর্বলতা কমবে।
আসলে এই ধারণাটি একেবারেই ভুল। কেননা ভিটামিন থেকে দেহে সরাসরি কোন শক্তি উৎপাদন হয় না। কিন্তু বিভিন্ন প্রকার খাদ্য যেমন শর্করা, আমিষ এবং স্নেহ জাতীয় খাবারের বিভাগ প্রক্রিয়ায় ভিটামিন অংশ নিয়ে থাকে। সেজন্য শরীরে কোন ভিটামিনের অভাব হলে সেই নির্দিষ্ট উপাদানের কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হয়ে থাকে। জৈব রাসায়নিক বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে ভিটামিন কে সাধারণত পানিতে এবং চর্বিতে দ্রবণীয় এই দুই ভাগে ভাগ করা হয়।
যেমন চর্বিতে দ্রবণীয় ভিটামিন রয়েছে এ, ডি, ই, কে। এবং পানিতে দ্রবণীয় ভিটামিন রয়েছে বি এবং সি। শরীরে বেশি জমা থাকে না পানিতে দ্রবণীয় ভিটামিন। তার ফলে কিছুদিন এই ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ না করলে দ্রুত এর অভাব দেখা দিয়ে থাকে। তাছাড়া চর্বি জাতীয় ভিটামিন শরীরে বেশিদিন বেশি পরিমাণে জমা থাকার কারণে, কিছুদিন এটি খাবারে না গ্রহণ করলেই সহজে সমস্যা দেখা দেয় না।
ভিটামিন এ এর অভাবে খসখসে ত্বক, রাতকানা, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিতে পারে। ভিটামিন ডি এর অভাবে শিশুদের পা বাঁকা অথবা রিকেটস এবং বড়দের ক্ষেত্রে হাড় ক্ষয় অথবা অস্টিওমেলেশিয়া রোগের আশঙ্কা দেখা দেয়। আর ভিটামিন কে রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে থাকে। পানিতে দ্রবণীয় ভিটামিনের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন বি কমপ্লেক্স বিভিন্ন ভিটামিনের সমন্বয়।
মূলত এদের অভাবে বেরিবেরি রোগ, অ্যানিমিয়া, ঠোঁটের কোণে ঘা, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া, রক্তস্বল্পতা ইত্যাদি সমস্যা দেখা দেয়। আবার ভিটামিন সি এর অভাবে স্কার্ভি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। যে সকল প্রয়োজনীয় ভিটামিনের সব কটি সুষম খাদ্যের মাধ্যমে পাওয়া যায়। কখনোই একই খাবারে সকল ভিটামিন পাওয়া যায় না। তাই আপনাকে সব ধরনের খাবারই খেতে হবে শক্তির জন্য।
বিভিন্ন রকমের রঙ্গিন শাকসবজি যেমনঃ লাল শাক, গাজর, মিষ্টি কুমড়া, অঙ্কুরিত ছোলা, পালং শাক, মাছের তেল, বাঁধাকপি, ফুলকপি ইত্যাদিতে চর্বিতে দ্রবনীয় ভিটামিন বেশি পরিমাণে পাওয়া যায়। ভিটামিন ডি এর অন্যতম উৎস হলো সূর্যের আলো। এবং তাজা ফলমূল যেমনঃ ঢেঁকি ছাটা চাল ছাড়াও দুধ, শাকসবজি, কলিজা, ডিম অর্থাৎ প্রাণীজ আমিষ ইত্যাদিতে পানিতে দ্রবণীয় ভিটামিন বেশি পাওয়া যায়।
তাছাড়া টক হলে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। এবং ভিটামিন ই এর বড় উৎস বিভিন্ন ধরনের ভোজ্য তেল। সেজন্য অবশ্যই শাকসবজি রান্না করার সময় সামান্য তেল দিয়ে রান্না করা উচিত। আপনি যদি সঠিক খাদ্য নির্বাচনের মাধ্যমে ভিটামিন গ্রহণ করে থাকেন। তাহলে বাড়তি ভিটামিন বডির কোন প্রয়োজন হবে না। আশা করি শক্তির জন্য সবচেয়ে ভালো ভিটামিন কোনটি বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন।
ভিটামিন বি ১২ কমে গেলে কি হয়
এখন আমরা আর্টিকেলের এ অংশে জানতে চলেছি ভিটামিন বি ১২ কমে গেলে কি হয়? যদি ভিটামিন বি ১২ কমে যায় তাহলে স্নায়ু কোষের বিকাশে প্রয়োজন। কিছু কিছু রক্ত স্বল্পতা জনিত স্নায়ু রোগ এবং অসুখ এর অভাবে হয়ে থাকে। আমরা সকলেই জানি ভিটামিন শরীর সুস্থ রাখতে বেশ সাহায্য করে থাকে। শরীর সুস্থ রাখার জন্য নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে।
শরীরের যদি পুষ্টির অভাব থাকে তাহলে শরীর ভেতর থেকে দুর্বল হয়ে যায়, এবং একটু একটু করে শরীর ভাঙতে থাকে। কিন্তু এ বিষয়টি সহজে বোঝা যায় না। আমরা যদি বলতে চাই তাহলে, শরীরে যে সকল গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন রয়েছে তার মধ্যে একটি হলো ভিটামিন বি ১২। ভিটামিন বি১২ শরীরের লোহিত রক্তকণিকা তৈরি করতে সাহায্য করে, এর পাশাপাশি ডিএনএ তৈরি করতে মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য এবং স্নায়ুতন্ত্র বজায় রাখতে ভূমিকা রয়েছে এই ভিটামিন বি ১২।
ভিটামিন বি১২ এর অভাব হলে শরীরে সেখান থেকে একাধিক সমস্যা হতে পারে। যদি আপনার শরীর থেকে ভিটামিন বি১২ এর অভাব হয় তাহলে ক্লান্তি, দুর্বলতা, দ্রুত হেদস্পন্দন, মাথা ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, লাল জিব্বা, ত্বক ফ্যাকাশে হয়ে যায়, ডায়রিয়া, স্নায়ু সমস্যা, ক্ষুধামন্দা, কোষ্ঠকাঠিন্য, হাত পা এসাড় হয়ে যাওয়ার মত অনেক ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই আপনি যখনই এ সকল লক্ষণ গুলো দেখবেন তখনই সতর্ক হয়ে যাবেন।
আমাদের মধ্যে অনেকে আছেন যাদের সব সময় মাথাব্যথা লেগেই থাকে। মূলত এর বড় কারণ হচ্ছে ভিটামিন বি ১২ এর অভাব। স্মৃতিশক্তি এবং স্নায়ুতন্ত্রের ওপর চাপ পড়ে। সেজন্য ভুলে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে। তাই আপনি যদি অনুভব করেন যে মাঝেমধ্যে অনেক কিছু আপনি ভুলে যাচ্ছেন তাহলে সাবধান হয়ে যান। আর ক্লান্তি বিষয়টি একটি সাধারণ বিষয়, কেননা ক্লান্তি অনেক রোগেরই সাধারণ লক্ষণ।
মূলত ভিটামিন বি ১২ এর অভাবে দেহে লোহিত রক্ত কণিকায় ঘাটতি দেখা দিয়ে থাকে। আর ভিটামিন বি ১২ এর অভাবের জন্য মেগালয়ব্লাস্টিক অ্যানিমিয়া হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। মেগালয়ব্লাস্টিক অ্যানিমিয়া এমন একটি রোগ বলা যেতে পারে যা আপনার শরীর অস্বাভাবিকভাবে বড়লাল রক্তকণিকা তৈরি করা শুরু করে। এর লক্ষণ হিসেবে সবচেয়ে সাধারণ লক্ষণ গুলির মধ্যে ক্লান্তি হল একটি।
এছাড়াও হাত-পা কাঁপা, দেহের ভিটামিন বি ১২ এর অভাবে হয়ে থাকে। হঠাৎ করে পায়ে শিহরণ, এমন সমস্যা দেখা দিতে পারে। হাত-পা কাঁপা সমস্যাটি শরীরের যে কোন অঙ্গেই হতে পারে। তাছাড়া ভিটামিন বি ১২ এর অভাবে রক্তস্বল্পতা দেখা দেয়। মূলত সেখান থেকে ত্বক হলুদ হয়ে যাওয়ার মত সমস্যা দেখা দেয়। এর বড় কারণ হচ্ছে শরীরে পরিমাণ মতো ভিটামিন বি ১২ এর অভাব।
ভিটামিন বি ১২ এর অভাবে গ্লসাইটিস হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তার ফলে মুখ এবং জিব্বা ফুলে যাওয়ার মত সমস্যা দেখা দেয়, সে সাথে জিব্বা লাল হয়ে যায় এবং ব্যথা করতে শুরু করে। আপনি যদি ভিটামিন বি ১২ এর অভাব পূরণ করতে চান তাহলে আপনাকে যে সকল খাবারগুলো খেতে হবে সেগুলো হলঃ (যেমন- বাদাম, পনির, মাছ, ডিম, দই, মাংস, দুধ, ইত্যাদি) এ সকল খাবারগুলো খেতে হবে। তবে অবশ্যই মাত্রা বুঝে খেতে হবে। আশা করি ভিটামিন বি ১২ কমে গেলে কি হয় বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন।
ভিটামিন সি এর অভাবে কি কি হয়
আমরা এখন আর্টিকেলের এই অংশে জানতে চলেছি ভিটামিন সি এর অভাবে কি কি হয়?। আমাদের শরীরের জন্য ভিটামিন সি একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। কারণ ভিটামিন সি শক্তিশালী এন্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে সুপরিচিত সবার কাছে। মূলত হার্টের স্বাস্থ্য থেকে শুরু করে ত্বক এবং মৌখিক স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে অত্যন্ত উপকারী হিসেবে কাজ করে ভিটামিন সি। শুধুমাত্র ভিটামিন সি এর অভাবে আপনার শরীরে একাধিক রোগের সৃষ্টি করতে পারে। তাই বন্ধু যত দ্রুত পারেন এই লক্ষণগুলো সম্পর্কে সচেতন হয়ে যাবেন। আমরা নিচে কিছু ভিটামিন সি এর অভাবে কি কি হয় তা উল্লেখ করেছি।
শুকনো ত্বক হয়ে যাওয়া সমস্যা দেখা দেয়
ভিটামিন সি আমাদের ত্বকের কোলাজেন উৎপাদনে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই যখন ভিটামিন সি এর অভাব হয়, তখন ত্বককে শুষ্ক এবং ক্ষতিগ্রস্ত হতে দেখা যায়। তার ফলে ত্বক নিস্তেজ ও প্রাণহীন হয়ে ওঠার পাশাপাশি কুঁচকে যাওয়ার মত মনোভাব হয়। তাছাড়াও আরেকটি সমস্যা দেখা দিতে পারে সেটা হল ব্রণ।
জয়েন্ট ব্যথার সমস্যা
ভিটামিন সি এর অভাবের কারণে হাড়ের চারপাশ জুড়ে কম প্যাডিং হয়ে থাকে। সেজন্য একটুতেই জয়েন ব্যথা অনুভব হয়। এছাড়াও ভিটামিন সি এর অভাবের কারণে জয়েন্ট এবং হাড়ের চারপাশে প্রদাহ এবং ফোলাভাবও দেখা দেওয়ার আশঙ্কা থাকে।
দাঁতের মাড়ি থেকে রক্তপাত
দাঁতের স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রেও অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন সি। যদি শরীরে ভিটামিন সি এর ঘাটতি পরে তাহলে দাঁতের মাড়ি ফুলে যাওয়া এবং মাড়ি থেকে রক্তপাতের মত সমস্যা হয়ে থাকে।
দ্রুত নিরাময় হয় না ক্ষত
হত নিরাময় প্রক্রিয়া, ভীষণভাবে ধীরে হয়ে যায়, শরীরে ভিটামিন সি এর ঘাটতি হলে। ছাড়াও সংক্রমনের সম্ভাবনাও অনেকটাই বেড়ে যায় ভিটামিন সি এর অভাবে।
হঠাৎ করেই ওজন বৃদ্ধি
হঠাৎ ওজন বৃদ্ধির পেছনে ভিটামিন সি এর অভাব দায়ী। মূলত পেটের চর্বি জমা হয় আর সেজন্যই ওজন বৃদ্ধি পায়, ভিটামিন সি এর অভাবে।
শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে
এন্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ ভিটামিন সি। মূলত এটি আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সহযোগিতা করে থাকে। সেজন্য যখনই শরীরে ভিটামিন সি এর অভাব দেখা দেয়, তখনই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। তার ফলে ঘন ঘন বিভিন্ন ধরনের রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।
কোন ভিটামিনের অভাবে শরীর দুর্বল হয়
আমরা এখন আর্টিকেলের এই অংশে জানতে চলেছি, কোন ভিটামিনের অভাবে শরীর দুর্বল হয়?। মূলত সাধারণ মানুষের বেশ আগ্রহ বিভিন্ন রকমের ভিটামিনের কৌটার প্রতি। গা হাত পা ব্যথা করা, দুর্বল অনুভব করা, হাত-পা ঝিঝি করা, এরকম বিভিন্ন অজুহাতে ভিটামিন ক্যালসিয়াম ইত্যাদি খেতে চায় অনেকেই। কখনো কখনো চিকিৎসককেও অনুরোধ করে থাকে ভিটামিন লিখে দিতে।
আরো পড়ুনঃ অর্থ সঞ্চয় করা কেন ভালো
আবার দেখা যায় আত্মীয়-স্বজনেরাও পরামর্শ দিয়ে থাকেন ভিটামিন খাওয়ার জন্য। কিন্তু আপনি কি জানেন প্রয়োজন ছাড়া যে কোন ওষুধ সেবন শরীরের জন্য অনেক ক্ষতিকর। আসলে ভিটামিন, ক্যালসিয়াম এবং আয়রন আমাদের দৈনন্দিন খাদ্য উপাদানের অংশ। কিন্তু এগুলির দীর্ঘ মেয়াদে ওষুধ হিসেবে দিনের পর দিন এবং মাসের পর মাস গ্রহণ করা আপনার শরীরের ক্ষতির কারণ হতে পারে।
তাই যারা শারীরিক দুর্বলতার জন্য এ সকল ওষুধ সেবন করে থাকেন, তাদের মধ্যে অনেকেরই কিন্তু এ সকল ওষুধের কোন প্রকার প্রয়োজন নেই বললেই চলে। বরং এ সকল ওষুধ সেবনের কারণে ক্ষতি বা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সেজন্য জেনে রাখা ভালো, পুষ্টি উপাদানের অভাব যেমন দেহের জন্য ক্ষতিকর, তেমনি ভাবে এগুলির আধিক্যও শরীরের জন্য অনেক ক্ষতিকর। আশা করি কোন ভিটামিনের অভাবে শরীর দুর্বল হয় বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন।
শেষ কথা
প্রিয় পাঠক, এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনি নিশ্চয়ই এতক্ষণে জেনে গেছেন, শক্তির জন্য সবচেয়ে ভালো ভিটামিন কোনটি সে সম্পর্কে। যেহেতু আমাদের শরীরের জন্য ভিটামিন এবং পুষ্টি দুটোই খুবই প্রয়োজন সেহেতু আমাদের প্রত্যেকেরই উচিত উক্ত বিষয় সম্পর্কে জানার। আশা করি এই পোস্টটি পড়ে আপনি অনেক উপকৃত হয়েছেন। এবং এতক্ষণে জেনে গেছেন কোন ভিটামিনের অভাবে শরীর দুর্বল হয় এবং ভিটামিন সি এর অভাবে কি কি হয়। নিশ্চয়ই এই পোস্টটি আপনার কাছে অনেক ভালো লেগেছে,
তাই যদি এই পোস্টটি আপনার কাছে ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করবেন। কারণ আপনার বন্ধুরাও আপনার মাধ্যমে জানতে পারবেন কোন ভিটামিনের অভাবে শরীর দুর্বল হয় এবং ভিটামিন সি এর অভাবে কি কি হয়। আর আমাদের এই ওয়েবসাইটে নিয়মিত ভিজিট বা ফোলো করার চেষ্টা করুন। কারণ আমরা এই ওয়েবসাইটে নিয়মিত নতুন নতুন ব্লক পোস্ট বা আর্টিকেল পাবলিশ করে থাকি। আসসালামু আলাইকুম।
সাগর ম্যাক্স এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url