শীতকালে কি কি উৎসব পালিত হয় ও শীতকাল রচনা

শীতকালীন সবজির নামের তালিকাপ্রিয় পাঠক, আপনি নিশ্চয়ই জানতে চাচ্ছেন, শীতকালে কি কি উৎসব পালিত হয় এবং শীতকাল রচনা সম্পর্কে। তাই আমরা এখন শীতকালে কি কি উৎসব পালিত হয় এবং শীতকাল রচনা সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব আপনার সামনে। আপনি যদি আমাদের এই আর্টিকেলটি সম্পন্ন মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে জানতে পারবেন শীতকালে কি কি উৎসব পালিত হয় এবং শীতকাল রচনা সম্পর্কে।
শীতকালে-কি-কি-উৎসব-পালিত-হয়
শুধু তাই নয় এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনারা আরো জানতে পারবেন শীতকালে প্রকৃতির রূপ কেমন হয়। বাংলাদেশ ছয় ঋতুর দেশ, ছয় ঋতুর মধ্যে পঞ্চম ঋতু টি হচ্ছে শীতকাল। এই শীতকালে বিভিন্ন রকমের উৎসব পালিত হয়ে থাকে। তাছাড়া প্রায় সকলের কাছেই এই শীতকালটি অনেক জনপ্রিয়। কেননা এই শীতকালে বিভিন্ন ধরনের পিঠাপুড়ির আয়োজন করা হয়। এবং প্রত্যেকটি বাড়িতেই পিঠার উৎসব হয়ে থাকে। শীতকাল মানেই কুয়াশার সকাল আর মেঘহীন আকাশ। শীতকালে অজানা এক অলসতা ঘিরে ধরে সকলের মাঝে। সকলের চাদরে মোরা ঘুম থেকে উড়তে কেউ পছন্দ করে না। তো বন্ধু চলুন আমরা এই আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে জেনে নেওয়ার চেষ্টা করি শীতকালে কি কি উৎসব পালিত হয় এবং শীতকাল রচনা সম্পর্কে। শীতকালে কি কি উৎসব পালিত হয় এবং শীতকাল রচনা সম্পর্কে জানার জন্য আপনাকে অবশ্যই প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে এই আর্টিকেলটি পড়তে হবে।
পোস্ট সূচিপত্রঃ

ভূমিকা

পৌষ ও মাঘ এই দুই মাস নিয়ে গঠিত শীতকাল। শীতকালের সকালবেলায় কুয়াশায় ঘিরে থাকে প্রকৃতিকে। শুধু তাই নয় শীতের সময় সকাল বেলা ঘাসের উপর শিশির বিন্দুগুলো পড়ে। শীত মানে উৎসবে ভরপুর। শীত আসলেই বিভিন্ন পিঠা পাইসের আয়োজন নিয়ে সবাই মেতে থাকে। আর ঘুরাঘুরির জন্য বা ভ্রমণের জন্য এই শীতকালে সবার কাছে অনেক জনপ্রিয় কারণ এর সময়।

রোদের আদ্রতা অনেকটাই কম হয় মানুষ এ সময় ভ্রমণ করে অনেক মজা পায়। শীতকালীন সময়ে বিশেষ করে একটি অজানা অলসতা ঘিরে ধরে সবার মাঝে। সকালে ভোর বেলায় ঘুম থেকে যেন উড়তেই মনে চায়না। তাই আমরা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনাদেরকে এই সমস্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জানানোর চেষ্টা করব।

তাহলে চলুন আমরা এক নজরে দেখে নেওয়ার চেষ্টা করি আমরা এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ার মাধ্যমে কি কি বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জানতে পারব। আমরা যদি এই আর্টিকেলটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে সকল পয়েন্টগুলো স্টেপ বাই স্টেপ পড়ি তাহলে যে সকল বিষয়গুলো জানতে পারবো সেগুলো হল

শীতকাল কাকে বলে সহজ কথায়, শীতকালে প্রকৃতির রূপ কেমন হয়, শীতকালে কি কি উৎসব পালিত হয় এবং শীতকাল রচনা। তাহলে চলুন বন্ধু আর দেরি না করে এই আর্টিকেলটি স্টেপ বাই স্টেপ পড়তে থাকি আর জানতে থাকি এই সমস্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে।

শীতকাল কাকে বলে সহজ কথায়

আমরা এখন আর্টিকেলের এই অংশে জানতে চলেছি শীতকাল কাকে বলে সহজ কথায়। প্রায় আমরা সকলেই জানি বাংলাদেশ একটি ছয় ঋতুর দেশ। আর এই ছয় ঋতুর মধ্যে শীতকাল হলো পঞ্চম ঋতুর ও গ্রীষ্মের বিপরীতে বছরের ঠান্ডা অংশকে বুঝিয়ে থাকে। এই শীতকাল মূলত শরতের শেষের দিকে শুরু হয়ে থাকে।

তাছাড়া পৌষ এবং মাঘ দুই বাংলা মাসে ছড়িয়ে পরে। যদি আমরা শীতকালকে সহজ কথায় বলতে চাই তাহলে বাংলাদেশে শীতকাল হচ্ছে সবচাইতে ভালো এবং উপভোগ ঋতু হিসেবে সবার কাছে পরিচিত। এই শীতকাল শরতের শেষের দিকে আসে। এই ঋতুটি বছরের সবচাইতে ঠান্ডা ঋতু।

আর এই ঋতু সাধারণত নভেম্বরে শুরু হয়ে থাকে এবং শেষ হয় ফেব্রুয়ারিতে। শীতকাল হচ্ছে কুয়াশা এবং কুয়াশার ঋতু। শীতকালের সময় সবকিছুই মনে হয় যেন জরা জরাজীর্ণ হয়ে যায়। এবং গভীর রাত্রে শিশির ফোঁটা পড়তে থাকে। যখনই ভোর হয় তখনই সূর্য কুয়াশা ভেদ করে উঁকি দেয়।

আর সকালবেলা দেখা যায় ঘাসের উপর মুক্তার চকচকে পুতির মত। আকাশ সব সময় থাকে মেঘহীন ও মিল মেঘে ঢাকার মতো। দিনের বেলায় মাঝেমধ্যেই ঠান্ডা বাতাস প্রবাহিত করে। এই ঋতুতে সকল গাছের পাতা ঝরে পড়ে নতুন পাতা গজায়। যখনই গাছের পাতাগুলো ঝরে পড়ে তখন মনে হয় প্রকৃতি খালি হয়ে গেছে,

আবার যখন নতুন পাতা জন্মানো শুরু করে তখন মনে হয় প্রকৃতি আবার ফিরে এসেছে। তাছাড়া ভোর বেলায় যখন কুয়াশা ঘন হয় তখন মনে হয় প্রকৃতি ধূসন দেখাচ্ছে। শীতকালে আবহাওয়া সব সময় স্বাস্থ্যকর থাকে। শীতকালের সময় যখন রাত্রি হয় তখন চাদর মড়িয়ে একটি লম্বা ঘুম দেওয়া যায়।

আর আকাশ সব সময় মেঘহীন হয়ে থাকে এবং সূর্যের রশ্মি অনেকটাই হালকা হয়ে যায়। আর ঘাসের উপর শিশির বিন্দুগুলো পড়ে তখন সূর্যের রোশনি যখনই তাদের গায়ে পড়ে তখনই মনে হয় মুক্তোর মত ঝলমলে। আশা করি শীতকাল কাকে বলে সহজ কথায় এই বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন।

শীতকালে প্রকৃতির রূপ কেমন হয়

আমরা এতক্ষণ জানলাম শীতকাল কাকে বলে সহজ কথায়। আমরা এখন আর্টিকেলের এই অংশে জানবো শীতকালে প্রকৃতির রূপ কেমন হয় সে বিষয়ে। শীতকাল যখন আসে তখন শীতকালের প্রকৃতির রূপ হয় শীতল ধোঁয়াশা। যখনই শীতকাল আসে তখনই বিভিন্ন রকমের গাছের সবুজ পাতাগুলো অনেকটাই হলুদ হয়ে যায়,

তারপর পাতাগুলো আস্তে আস্তে শুকিয়ে শুকিয়ে যায় এবং কিছুদিন পর দেখা যায় পাতাগুলো ঝরে পড়ে গেছে। এই বিষয়টাকেও শীতকালের প্রকৃতির একটি রূপ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। চারিদিকে শীতকালের সময় কুয়াশায় চাদরে ঢাকা পড়ে, এটাও শীতকালের প্রকৃতির একটি রূপ। সকালবেলা ঘাসের উপর পড়ে থাকে শিশির বিন্দুগুলো।

যখনই ভোরবেলায় প্রথম সূর্য আলো ছড়িয়ে থাকে তার সঙ্গে সঙ্গে প্রকৃতিতে অনেকটাই বলিয়ে দেয় উষ্ণতার পরশ। তাছাড়া শীতকালের সময় সূর্যের মতো উষ্ণতা সকলের মাঝে ছড়িয়ে দিতে আমরাও অনেককেই জড়িয়ে রাখতে ভালোবাসি উষ্ণতার চাদরে। যখনই শীতকাল শুরু হয়।

তখন বিভিন্ন পশুপাখি অনেক মাইল পাড়ি দিয়ে শীতের দেশে এসে ভিড় করে থাকে। আর এ সকল অতিথি পাখিগুলোর বিভিন্ন ধরনের আকার হয় বা আকৃতি রং ভিন্ন রঙের হয়ে থাকে সেগুলো মূলত আমাদের চোখে মাঝেমধ্যে পড়ে। আর এ সকল পাখির ভালবাসা দিয়ে বাঁচিয়ে রাখতেও আমরা অনেকটা ভালোবাসি।

তাছাড়া শীত মানে হল পিঠার উৎসব, কেননা শীতের সময় বিভিন্ন ধরনের পিঠার উৎসব আমরা দেখতে পাই। এই উৎসবগুলোতে বিভিন্ন রকমের পিঠা আমরা দেখতে পাই এবং সে পিঠা গুলো আমরা নিজেরাও বাসায় তৈরি করে থাকি। শীতকালে প্রায় সকলের বাসায় নতুন নতুন পিঠা তৈরি হয়।

কেননা শীতকালে পিঠা খেতে অনেকটাই ভালো লাগে এবং এই শীতকালে পিতার স্বাদ অনেকটাই বেড়ে যায়। আর এই শীতকালে যে সকল নতুন নতুন পিঠা আমরা দেখতে পাই এই পিঠাগুলোও একপ্রকার শীতকালের প্রকৃতির রূপ হিসেবে বিবেচিত হয়। শীতকালে যখনই গাছের পাতাগুলো ঝরে পড়ে তখন মনে হয়।

যেন কোন একটি শিল্পী প্রকৃতি জুড়ে একে দিয়েছে আঁকাবাঁকা হাজারো রেখা গুলো। আর সেই আঁকাবাঁকা রেখার পেছনে কুয়াশা ঢাকা চাঁদটা যখনই মাঝে মাঝে উঁকি দেয় তখনই মনে হয় ঘিরে তৈরি হয়ে যায় এক আলো আঁধারের স্বল্প কণিকা গুলো। আমরা শীত প্রকৃতির এ সকল রূপ গুলো আনন্দধারার দেখা গাছটির মধ্য দিয়েও সব সময় অনুভব করার চেষ্টা করব। আশা করি আপনি এতক্ষণে জেনে গেছেন শীতকালে প্রকৃতির রূপ কেমন হয় সে বিষয়ে।

শীতকালে কি কি উৎসব পালিত হয়

এতক্ষণ আমরা জানলাম শীতকালে প্রকৃতির রূপ কেমন হয়। এখন আমরা আর্টিকেলের এই অংশে জানবো শীতকালে কি কি উৎসব পালিত হয়। শীত মানেই উৎসবের ছড়াছড়ি। কারণ শীত আসলে আমরা বিভিন্ন ধরনের উৎসব দেখতে পায়। বাংলাদেশ ছয় ঋতুর দেশ প্রত্যেকটি হৃদয় কোন না কোন আমেজ নিয়ে আসে এই দেশে।

এই ঋতুর সঙ্গে উৎসবের অনেকটাই মিল রয়েছে, কেননা বিভিন্ন ঋতুতে বিভিন্ন উৎসবের আয়োজন আমরা দেখতে পাই এদেশে।তবে শীতকালীন উৎসবগুলো বেশি আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে কারণ শীতকালে বিশেষ করে পিঠার আয়োজন অনেকটাই দেখা যায়। শীতকালীন সময়ে শহরে কিংবা গ্রামবাংলায় উৎসবের আয়োজন ও হয়ে থাকে।

এই উৎসবগুলো একেবারেই লৌকিক এবং প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন হিসেবে সবার কাছে পরিচিত। এই উৎসবগুলোর সাথে বাংলাদেশের মানুষের সম্পর্ক অনেকটাই অবিচ্ছেদ্য এর মত। প্রত্যেক বছর শীতকাল বিশেষ বিশেষ অনুষঙ্গ নিয়ে হাজির হয়। সেজন্য শীতকালটা আমাদের সকলের জন্যই বিশেষ হয়ে ওঠে।

শীতকাল বিশেষ করে আমাদের দৈনন্দিন জীবনে বিশেষ কিছু পরিবর্তন নিয়ে আসে। গরমের সময় আমাদের বিচ্ছিন্ন করে তোলে কিন্তু শীত আমাদের যূথবদ্ধ করে থাকে। আর মানুষের যূথবদ্ধতাই হচ্ছে একপ্রকার উৎসব। শীতের সময় গ্রাম অঞ্চলগুলোতে দেখা যায় সকাল বেলা অনেক কুয়াশার মাঝে দলবদ্ধভাবে বাড়ির উঠানে,

পুকুর পাড়ে, রাস্তার ধারে, চায়ের দোকানে কিংবা নদীর পাড়ে রোড পোহাতে বসে। বুড়ো বুড়ি, শিশু কিশোর, তরুণ-তরুণী, নারী-পুরুষ ইত্যাদি সকলেই একসঙ্গে বসে রোদ উপভোগ করে। কেননা শীতের সময় রোদ অনেক মিষ্টি হয়। যার ফলে রোদ পোহাতে সবাই অনেকটাই ভালোবাসে, শুধু তাই নয় সবার মনে এক ধরনের ফুর্তির মতো ভাব আসে।

শীতের সকালের এই আনন্দ উপভোগ একপ্রকার উৎসবের মতো হয়ে থাকে। আর যখনই মাঝ দুপুর হয় তখনই উৎসবের মাত্রা আরেকটি রূপ ধারণ করে। বাসার যতই কাজ থাকুক না কেন গোসল করার আগে পুকুর পাড়ে একটু রোদ পোহাবেই সকলে। আবার গোসল শেষেও সকলেই একই আড্ডায় মেতে যায়।

রোদ পোহানোর আড্ডা যেন শেষ হবার নয়। যখনই বেলা গড়িয়ে সন্ধ্যা লাগে তখন উৎসবের মাত্রা আরেকটি রূপ ধারণ করে। কেননা সন্ধ্যার পরে বিভিন্ন ধরনের খড়ি পাতা জোগাড় করে গ্রাম অঞ্চলের মানুষগুলো একত্রে বসে আগুন পোহায়। যখনি শীতের মাত্রা একটু বেশি হয় তখন শহরের মানুষগুলোও এমনভাবে আগুন পোহাতে বসে।
শীত উৎসব রাতে ঘুমাতে গেলেও আর একটা মাত্রায় পৌঁছায়। কারণ আমরা গরমে দেখতে পাই একসঙ্গে ঘুমাতে বা যৌথভাবে ঘুমাতে কেউ পছন্দ করেনা। তবে শীতকালীন সময়ে ভীষণ শীতের কারণে একসঙ্গে ঘুমাতে বাধ্য করে। শীতের সময় যৌথভাবে ঘুমানোর মজাই আলাদা রূপ ধারণ করে। যৌথভাবে একসঙ্গে দীর্ঘ রাত্রি ঘুমানো মজাই আলাদা এবং এটি একপ্রকার উৎসব।

শীতকাল রচনা

আমরা এতক্ষণ জানলাম শীতকালে কি কি উৎসব পালিত হয়। এখন আমরা আর্টিকেলের এই অংশে জানবো শীতকাল রচনা সম্পর্কে। তাই আপনারা যারা অনেক খোঁজাখুঁজি করছেন শীতকাল রচনা সম্পর্কে। তারা আর্টিকেলের এই অংশ থেকে জেনে নিন শীতকাল রচনা বিষয়ে। আমরা এখানে একটি শীতকালীন রচনা সুন্দরভাবে আলোচনা করেছি। এর রচনাটি সকল ক্লাসের জন্য প্রযোজ্য।

শীতকাল রচনা
ভূমিকা

বাংলাদেশ ছয় ঋতুর দেশ। বাংলাদেশের ছয়টি ঋতু এসে প্রকৃতিকে একটি নতুন নব রূপে সাজিয়ে তুলেছে। এই ঋতুগুলো সৌন্দর্যের পসরা সাজিয়ে তুলে আবার চলে যায়। আর শীতের আগমন ঘটে বসন্ত ঋতুর আগে। শীতকালের সময় প্রকৃতিগুলোকে কুয়াশার চাদরে জড়িয়ে আবির্ভাব ঘটিয়ে থাকে।

শীতকালের সময়

ছয়টি ঋতুর মধ্যে পঞ্চম তম ঋতুতি হচ্ছে শীতকাল। শীতকাল মূলত পৌষ এবং মাঘ এই দুই মাস নিয়ে গঠিত। আর নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শীতকাল অন্তর্ভুক্ত হয়ে থাকে ইংরেজি ক্যালেন্ডার অনুসারে।

শীতকালের সকাল বেলা

শীতকালের সকাল বেলা কুয়াশার চাদরে মোরা থাকে সবসময় এবং শীতের সকাল ভীষণ শীতলময় ঠান্ডা নিয়ে শুরু হয়। শীতের সকালে ফালি রোদ প্রত্যেকটি মানুষের কাছে বহুল প্রতিক্ষিত। শহর অথবা গ্রাম অঞ্চলগুলোতেও শীতকালের সময় ভিন্ন একটি আমেজ তৈরি হয়। আর শীতকালে সকালবেলায় প্রত্যেকটি মানুষের মধ্যে অজানায় অলসতা ভর করে। প্রত্যেকটি মানুষের শীতকালের সকালবেলায় চাদর মরিয়ে ঘুমিয়ে থাকতে পছন্দ করে বা অনেক সুখ পায়।

শীতকালীন সময়ে উপকারিতা

বিশেষ করে শীতকালীন সময় বিভিন্ন রকমের সবজি চাষ করা হয়ে থাকে। যেমন বাঁধাকপি, ফুলকপি, গাজর, পালন শাক, বেগুন, সিম, মটরশুঁটি ইত্যাদি। আর গ্রাম অঞ্চলে মাঠঘাটে যে সকল ধানের আবাদ থাকে সেগুলো কাটা শুরু করে। শুধু তাই নয় শীতকালীন সময়ে বিভিন্ন ধরনের ফুলও ফোটে থাকে। তাছাড়া কমলা লেবুর চাষ তো আছেই। 

শীতকালীন সময়ে মানুষ বেশি ঘুরাঘুরি করতে পছন্দ করে, কেননা শীতকালীন আবহাওয়া ভ্রমণ করার জন্য সঠিক সময়। বিশেষ করে শীতে খেজুর গাছের রস পাওয়া যায়, তাছাড়া এই খেজুরের রস দিয়ে অনেক মানুষ গুড় তৈরি করে এবং এই রস দিয়ে অনেক পিঠা, পায়েস ইত্যাদি বানিয়ে থাকে সকলেই। খেজুরের রস দিয়ে যে সকল পিঠা বানানো হয় সে পিঠাগুলো ছোট থেকে বড় সকলেই খেতে খুবই পছন্দ করে।

শীতকালীন সময়ের অসুবিধা

বিশেষ করে যারা অনেক গরিব ও বয়স্ক তাদের জন্য শীতকালীন সময়ে খুবই অসুবিধা জনক।কারণ বিভিন্ন বয়স্ক মানুষ তীব্র শীতের ঠান্ডা সহ করতে পারেনা, সেজন্য তাদের অনেক সময় মৃত্যু পর্যন্ত ঘটে। আর যারা অনেক গরিব দরিদ্র তাদের পোশাক লেপ কম্বল ইত্যাদি প্রয়োজনীয় সামগ্রী অভাবে খুবই কষ্টের মধ্য দিয়ে দিন কাটাতে হয়।

শীতকালীন সময়ে মশা প্রচুর পরিমাণে বেড়ে যায়, সেজন্য অনেক সময় দেখা যায় ডেঙ্গুর মত প্রাণঘাতিক অসুখ ছড়াতে। শুধু তাই নয় শীত যখন শেষ হতে থাকে তখন বসন্ত রোগের ও অনেকটাই প্রভাব দেখা দিয়ে থাকে।

উপসংহার

শীতকাল এমন একটি জনপ্রিয় রিতু যা বেশিরভাগ মানুষের কাছে খুবই জনপ্রিয়। বিশেষ করে শীতকাল আসে আমাদের প্রকৃতিকে বদলিয়ে দিতে। এবং প্রকৃতিকে নতুন করে সাজিয়ে দেওয়ার পূর্ব প্রস্তুতি হচ্ছে শীতকালীন সময়ের। শীতকালীন সময়ের ঋতুরাজ বসন্ত রিক্ততা বেশি সংখ্যক গাছেরই পুরনো পাতাগুলোকে ঝরিয়ে দিয়ে নতুন পাতা নিয়ে আস্তে সাহায্য করে। এবং প্রত্যেকটি গাছকে নতুন সাজে সাজিয়ে থাকে শীতকালের ঋতু বসন্ত।

শেষ কথা

প্রিয় পাঠক, এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনি নিশ্চয়ই এতক্ষণে জেনে গেছেন শীতকালে কি কি উৎসব পালিত হয় এবং শীতকাল রচনা সম্পর্কে। যেহেতু আমরা সকলেই ছয় ঋতুর দেশ বাংলাদেশে বসবাস করি, সেহেতু আমাদের প্রত্যেকেরই শীতকালে কি কি উৎসব পালিত হয় এবং শীতকাল রচনা সম্পর্কে জানা উচিত। আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনার কাছে অনেক ভালো লেগেছে
এবং আপনার অনেক উপকারে আসবে। তাই এই আর্টিকেলটি যদি আপনার কাছে ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। আর আমাদের এই ওয়েবসাইটে নিয়মিত ভিজিট বা ফোলো করার চেষ্টা করবেন। কারণ আমরা এ ওয়েবসাইটে নিয়মিত নতুন নতুন ব্লক পোস্ট বা আর্টিকেল পাবলিশ করে থাকি। আসসালামু আলাইকুম।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সাগর ম্যাক্স এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url