ঠোঁট ফাটার জন্য কোন ভিটামিন খেলে ভালো হয় - ঠোঁটের চামড়া ওঠার কারণ

কিভাবে মেয়ে পটাবোঠোঁট ফাটার জন্য কোন ভিটামিন খেলে ভালো হয় এবং ঠোঁটের চামড়া ওঠার কারণ এই বিষয়গুলো কি আপনি জানতে চান?। তাই ঠোঁট ফাটার জন্য কোন ভিটামিন খেলে ভালো হয় এবং ঠোঁটের চামড়া ওঠার কারণ সম্পর্কে এখন আপনাকে জানাবো। ঠোঁট ফাটার জন্য কোন ভিটামিন খেলে ভালো হয় এবং ঠোঁটের চামড়া ওঠার কারণ ছাড়াও আরো অনেক বিষয় এ আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন। যেমন এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনারা জানতে পারবেন শীতকালে ঠোঁট ফেটে যায় কেন।
ঠোঁট ফাটার জন্য কোন ভিটামিন খেলে ভালো হয়
যেহেতু এই আর্টিকেলটি আমরা সাজিয়েছি মূলত ঠোঁট ফাটার বিষয় নিয়ে। সেহেতু আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনারা ঠোঁট ফাটার সম্পর্কে a to z বিষয় জানতে পারবেন। এবং ঠোঁটফাটা আপনি কিভাবে ভালো করবেন সে বিষয়েও আলোচনা করা রয়েছে এই আর্টিকেলের মাধ্যমে। ঠোঁট ফাটার জন্য কোন ভিটামিন খেলে ভালো হয় এবং ঠোঁটের চামড়া ওঠার কারণ শুধু এই বিষয়গুলি জানলেই হবে না, আপনাকে আরো জানতে হবে কেন আপনার ঠোঁট ফাটে। যাই হোক বন্ধু চলুন আমরা ঠোঁট ফাটার জন্য কোন ভিটামিন খেলে ভালো হয় এবং ঠোঁটের চামড়া ওঠার কারণ এই সমস্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে আগে জেনে আসার চেষ্টা করি।

পোস্ট সূচীপত্রঃ ঠোঁট ফাটার জন্য কোন ভিটামিন খেলে ভালো হয় - ঠোঁটের চামড়া ওঠার কারণ

ভূমিকা | ঠোঁট ফাটার জন্য কোন ভিটামিন খেলে ভালো হয় | ঠোঁটের চামড়া ওঠার কারণ

ঠোঁট ফাটার জন্য কোন ভিটামিন খেলে ভালো হয় এই বিষয়টি প্রায় অনেকের কাছে অজানা। তবে অনেকের কাছে অজানা হওয়া সত্ত্বেও আপনি আজকে এই আর্টিকেলের মাধ্যমে জানতে পারবেন ঠোঁট ফাটার জন্য কোন ভিটামিন খেলে ভালো হয় সে সম্পর্কে। শুধু তাই নয় বন্ধু আপনি যেহেতু এই আর্টিকেলটি পড়তে এসেছেন, ঠোঁট ফাটার আরো অনেক বিষয় সম্পর্কে জানতে পারবেন।

তো চলুন বন্ধু আমরা একনজরে দেখে নেওয়ার চেষ্টা করি এ আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ার মাধ্যমে আমরা কি কি বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জানতে পারব। আমরা এই আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে যে সকল বিষয় সম্পর্কে জানতে পারবো সেগুলো হল শীতকালে ঠোঁট ফেটে যায় কেন, ভিটামিন বি এর অভাবে ঠোঁটের কোন অংশে প্রদাহ হয়,

ঠোঁট ফাটার জন্য কোন ভিটামিন খেলে ভালো হয়, ঠোঁটের চামড়া ওঠার কারণ এবং ঠোঁট ফাটা কমানোর ঘরোয়া উপায়। তো চলুন বন্ধু আর দেরি না করে আমরা এই সমস্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে স্টেপ বাই স্টেপ বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়ার চেষ্টা করি। আশা করি এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ার মাধ্যমে আপনি অনেক উপকৃত হবেন।

শীতকালে ঠোঁট ফেটে যায় কেন

শীতকালে ঠোঁট ফেটে যায় কেন? বিষয়টি জানার জন্য আর্টিকেলের এই অংশটুকু পড়তে থাকুন। কারণ আমরা এখন আলোচনা করব শীতকালে ঠোঁট ফেটে যায় কেন সে বিষয়ে। তো চলুন দেরি না করে আমরা জেনে নেওয়ার চেষ্টা করি শীতকালে ঠোঁট ফেটে যায় কেন। শীতের আবহাওয়া যখনই পড়ে তখন আমাদের পা ও ঠোঁট ফাটে।

শুধু তাই নয় আমাদের ত্বকের ফাটা স্থান থেকে রক্ত পড়তেও দেখা যায়। সেজন্য আমাদের প্রত্যেকেরই উচিত শীতকালীন সময়ে ত্বকের যত্নে সজাগ থাকা। কেননা ফাটা ত্বক আমাদের সৌন্দর্যকে নষ্ট করে ফেলে। আসলে শীতকালীন সময়ে শুষ্ক এবং ঠান্ডা আবহাওয়ার প্রভাব শুধু শরীরের ওপরে পড়ে না বরং ঠোঁটের ওপরও পড়ে থাকে।

এ সময় নারী এবং পুরুষ উভয়েরই ঠোঁট শুষ্ক থাকে এর পাশাপাশি ঠোঁট ফাটতে দেখা যায়। বিভিন্ন বিশেষজ্ঞদের মতে শীতকালীন সময় আবহাওয়া শুষ্ক থাকে। মূলত এর কারণ হচ্ছে অল্প আদ্রতা, খুব সূর্যের আলো এবং ঠান্ডা বাতাস। ঋতু যখনই পরিবর্তন হয় তার সাথে সাথে শরীরেরও কিছু পরিবর্তন দেখা যায়।

যথাক্রমে শীতকালীন সময়ে অতিরিক্ত ধুলাবালির কারণে শরীরে রুক্ষতা তৈরি হয়। এবং অতিরিক্ত ময়লা জমে ত্বকে। ত্বক সবসময় খসখসে ভাব দেখায়। ঠোঁট ফাটার অন্যতম কারণ হচ্ছে শীতের শুষ্ক আবহাওয়া। বিভিন্ন আবহাওয়া বিজ্ঞানীদের মতে, শীতকালীন সময়ে সূর্য হেলানো ভাবে কিরণ দিলেও সেটি সরাসরি বায়োমন্ডলকে উত্তপ্ত করে থাকে।

আর শীত আসার সঙ্গে সঙ্গে বায়ুতে তেমন জলীয় বাষ্প থাকে না। সেজন্য শুষ্ক বায়ুতে চারপাশ থেকে পানি দলীয় বাষ্পে পরিণত হয়ে থাকে। সে কারণেই মূলত শীতকাল এলেই নদী নালা, খাল বিল, জলাশয়, পুকুর ইত্যাদি পানি কমতে দেখা যায়। বায়ুর মধ্যে জলীয় বাষ্পের ভারসাম্য রক্ষার জন্য চারপাশ থেকে পানির প্রয়োজন হয়।

আবহাওয়া বৈজ্ঞানীরা আরো বলেন, একটি মানবদেহে ত্বকের কোষে যে পরিমাণ পানি আছে, সেটি কোষের ছিদ্র দিয়ে বেরিয়ে যায়। তার ফলে শরীর শুষ্ক, রুক্ষ এবং টানটান ভাব দেখায়। আর একটা সময় গিয়ে ত্বক রুক্ষ হয়ে ফেটে যায়। শীতে ত্বক শুষ্ক থাকে, তার প্রমাণস্বরূপ বলা যেতে পারে শরীরের কোন অংশে হালকা আঁচড় দিলেই

ত্বকের পাতলা চামড়া উঠতে দেখা যায়। শুধু তাই নয় পায়ের ক্ষেত্রে টানটান ত্বকে হাটা হয়ে থাকে, তখনই মূলত শরীরের সব ভার পায়ের তলার পেছনের দিকে চাপ পড়তে থাকে ও পায়ের তলার চারদিকের ভারসাম্য রক্ষার জন্যই ফাটতে থাকে। আশা করি এতক্ষণে আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন শীতকালে ঠোঁট ফেটে যায় কেন।

ভিটামিন বি এর অভাবে ঠোঁটের কোন অংশে প্রদাহ হয়

ভিটামিন বি এর অভাবে ঠোঁটের কোন অংশে প্রদাহ হয় এই বিষয়টা কি আপনি জানেন?। যদি না জানেন তাহলে আর্টিকেলের এই অংশটুকু পড়তে থাকুন। আমরা এখন আলোচনা করব ভিটামিন বি এর অভাবে ঠোঁটের কোন অংশে প্রদাহ হয় সে সম্পর্কে। আসলে ভিটামিন বি এর অভাবে ঠোঁটের কোনায় ঘা হয়ে থাকে।

যেকোনো বয়স ভেবেই নারী-পুরুষ এই রোগে আক্রান্ত হতে পারে। তবে যারা পান সুপার, সাদা পাতা অথবা তামাকের দীর্ঘদিন সেবন করে থাকে এমনকি মুখে গোলের ব্যবহারেও এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। ঠোঁটের কোনায় ঘা এ রোগটি পান মশলা খাওয়ার অভ্যাসেও হতে পারে। বিভিন্ন বয়স্ক ব্যক্তিরা অনেকেই মুখে ডেনচার ব্যবহার করে থাকেন

অথবা তাদের মুখের কোণে ত্বক ঝুলে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। সেজন্য ও ঠোঁটের কোণে ঘা হতে দেখা যায়। তাছাড়াও ঠোঁটের কোণে ফেটে যায় মুখে শুষ্কতার কারনে। আবার কিছু কিছু সময় ব্যাকটেরিয়া অথবা ছত্রাক ফাটা অংশে প্রবেশ করার ফলে প্রদাহ কিংবা সংক্রমণের কারণ হতে পারে। শুধু তাই নয়, এটোপিক ডার্মাটাইটিস কিংবা একজিমা,

ডেনচার মুখে সেট না হওয়া, মুখে ছত্রাক এর সংক্রমণ, ঘুমন্ত অবস্থায় লালা পড়া, আঁকাবাঁকা দাঁত, শিশুদের ক্ষেত্রে আঙ্গুল চোষা, ত্বকের এলার্জি এমনকি মুখে দীর্ঘ সময় মার্কস ব্যবহার করার ফলেও এ ধরনের ঘা হতে পারে। বিশেষ করে আপনার ডায়াবেটিস কিংবা অন্ত্রের প্রদাহ জনক রোগ থেকে থাকে, শরীরের ভিটামিন বি,

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে, আয়রন অথবা প্রোটিনের ঘাটতি হলে, দ্রুত আপনার ওজন হ্রাস বা বার্ধকজনিত কারণে, ধূমপান করলে অথবা মানসিক চাপ থাকলে এই রোগের ঝুঁকি বাড়তে থাকে। ঠোঁটের কোণে ঘায়ের সাথে রক্তপাত, ত্বক ফেটে যাওয়া, ফোসকা, খসখসে, লালচে রং, চুলকানি এবং ফোলাভাব হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আশা করি আপনি নিশ্চয়ই এতক্ষণে জেনে গেছেন ভিটামিন বি এর অভাবে ঠোঁটের কোন অংশে প্রদাহ হয়।

ঠোঁট ফাটার জন্য কোন ভিটামিন খেলে ভালো হয়

ঠোঁট ফাটার জন্য কোন ভিটামিন খেলে ভালো হয়? এটা কি আপনি জানেন। যদি না জানেন তাহলে পড়তে থাকুন কারণ আমরা এখন আলোচনা করব ঠোঁট ফাটার জন্য কোন ভিটামিন খেলে ভালো হয় সে সম্পর্কে। তো চলনা আর দেরি না করে আমরা বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়ার চেষ্টা করি ঠোঁট ফাটার জন্য কোন ভিটামিন খেলে ভালো হয় সে বিষয়ে।

প্রায় অনেক মানুষই মুখের ঘা নিয়ে ভোগেন। কারণ অধিকাংশ মানুষই শীতকালীন সময়ে এই রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকেন। মূলত যাদের মুখে এই ঘা হয়ে থাকে তারাই বুঝতে পারে এই ঘা এর জন্য কতটা সমস্যায় পড়তে হয়। তবে একটা কথা মাথায় রাখবেন গরম কিংবা শীত যেকোনো সময়ে ঠোঁটের কোণে ঘা হতে পারে।

আবার মাঝেমধ্যেই দেখা যায় অনেকের ঠোঁট ফেটে যায়, এবং সেখান থেকেই ঘা এর সৃষ্টি হয়। সেজন্য অনেকের মাঝে প্রশ্ন জাগে কেন এমনটা হয়। মুখের ঘা যাদের হয়ে থাকে তাদের মুখের ভেতরে খুব জ্বালাপোড়া করে, সেজন্য খেতেও অসুবিধা হয়। তাছাড়াও দেখা গেছে ঘা এর জায়গাটা কিছুটা ফোলাভাব হতে।

বিভিন্ন চিকিৎসা বিদদের মতে, শরীরের ভিটামিন বি কমপ্লেক্সের অভাব হলেই এই সমস্যা হয়। সেজন্য অবশ্যই যত দ্রুত সম্ভব একটি ভালো চিকিৎসকের কাছ থেকে পরামর্শ নিয়ে সে অনুযায়ী খাবার এবং ওষুধ সেবন করা উচিত। ক্ষেত্রেই চিকিৎসকেরা ঠোঁটের কোণে ঘা কিংবা ফেটে যাওয়ার পর ভিটামিন বি ২ অথবা রিবোফ্লেভিন ট্যাবলেট খেতে বলেন।

আসলে রিবোফ্লেভিন এমন একটি ভিটামিন যেটি ত্বক, স্নায়ু এবং চোখের সুস্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারী হিসেবে কাজ করে। তাছাড়া একজন প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষের দৈনিক ১.৩ মিলিগ্রাম ও প্রাপ্ত বয়স্ক নারীর ১.১ মিলিগ্রাম পরিমাণ রিবোফ্লেভিন এর প্রয়োজন হয়। কিন্তু এই রিবোফ্লেভিন শরীরে জমিয়ে রাখার কোন প্রকার ব্যবস্থা নেই বললেই চলে।

সেজন্য নিয়মিত খাদ্যের মাধ্যমেই গ্রহণ না করলে দ্রুত এর অভাব দেখা দিতে পারে শরীরে। তার ফলে মুখে, জিভে কিংবা ঠোঁটের কোণে ঘা হতে দেখা যায়। এই ভিটামিন বি শুধুমাত্র মুখের ঘাই ভালো করেনা, এর পাশাপাশি ভিটামিন বি এর অনেক উপকারিতা রয়েছে। তো চলুন আমরা একনজোরে জেনে নেওয়ার চেষ্টা করি ভিটামিন বি এর উপকারিতা গুলো কি কি সে বিষয়ে।

ভিটামিন বি এর উপকারিতাঃ
  • উচ্চ রক্তচাপ বিষন্নতা, রক্তস্বল্পতা এবং ত্বকের সমস্যায় ভিটামিন বি ৬ কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে।
  • বেরিবেরি রোগ হতে পারে থায়ামিন ভিটামিন বি ১ এর অভাবে। শুধু তাই নয় বুক ধরফর করা, হাত-পা ব্যথা করা, দুর্বলতা ইত্যাদি ভিটামিন বি ১ এর অভাবে হয়ে থাকে।
  • ঠোঁট ও তালু ফাটা, গলা শুকিয়ে যাওয়া, ঠোঁটের কোনায় ঘা, ইত্যাদি থেকে পরিত্রাণ পেতে ভিটামিন বি সহায়তা করে থাকে।
  • শরীর দুর্বলতা, ত্বক খসখসে, ডায়রিয়া প্রতিরোধে, চুলকানি ইত্যাদি থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য ভিটামিন বি ৩ নিয়মিত খাওয়া উচিত।
তো চলুন এবার জেনে নেওয়া যাক কি কি খাবারের মধ্যে আমরা ভিটামিন বি পাব। যেমন- দুধ ও দুধ জাতীয় খাবার, সামুদ্রিক মাছ, মাশরুম, ডিম, ওটস, আস্ত শস্য, শিম ও মটরশুটি, বাদাম এবং বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সবুজ শাকসবজি, আভোক্যাডো, মধু, কলা ইত্যাদি।

থেকে আমরা ভিটামিন বি পর্যাপ্ত পরিমাণে পাব। তাই আপনি আপনার খাদ্য তালিকায় এ সমস্ত খাবার থেকে কিছুটা খাবার নিয়মিত রাখতে পারেন। কেননা শুধুমাত্র এই সমস্ত খাবার গুলোর মাধ্যমে আমরা পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন বি পেয়ে থাকি। আশা করি আপনি এতক্ষণে বুঝতে পেরেছেন ঠোঁট ফাটার জন্য কোন ভিটামিন খেলে ভালো হয়।

ঠোঁটের চামড়া ওঠার কারণ

ঠোঁটের চামড়া ওঠার কারণ কি সে সম্পর্কে আপনি জানেন?। যদি না জেনে থাকেন তাহলে আর্টিকেলের এই অংশটুকু আপনার জন্য। কারণ আমরা এখন খুব সুন্দরভাবে আলোচনা করব ঠোঁটের চামড়া ওঠার কারণ সম্পর্কে। তো চলুন বন্ধু জেনে নেওয়া যাক ঠোঁটের চামড়া ওঠার কারণ কি।

শীতকালীন সময়ে আমাদের ত্বক শুষ্ক থাকে। সেজন্য আমাদের হাত-পায়ের চামড়ায় ফাটল হতে দেখা যায়। শুধু তাই নয় ঠোঁটের চামড়াও ফেটে যেতে থাকে। আসলে এর পেছনে বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে, বলতো সেই কারণগুলোই আমরা এখন আলোচনা করব। তাই নিচে আমরা কিছু কারণ উল্লেখ করেছি সেগুলো থেকে আপনি বুঝতে পারবেন ঠোঁটের চামড়া ওঠার কারণ কি।

পুষ্টির অভাব দেখা দিলেঃ

পুষ্টির অভাব দেখা দিলে আমাদের শরীরের নানা জটিলতা দেখা দেয়। বিভিন্ন পোস্টটিবিদ থেকে জানা গেছে, মস্তিষ্কের ক্ষমতা, শক্তির মাত্রা, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, হজম প্রক্রিয়া, দৃষ্টিশক্তি, স্নায়ুর কার্যকলাপ, পেশির টানটান ভাব, হরমোন উৎপাদন এবং হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য ইত্যাদি এসবের জন্য প্রয়োজন হয়ে থাকে ভিটামিন বি।

কোষের বৃদ্ধি এবং সেরে উঠাতে বিশেষভাবে ভূমিকা রাখে ভিটামিন বি ১২। মুখে শুষ্ক ভাব তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে এই ভিটামিনের অপর্যাপ্ততাই। ভিটামিন বি শরীরে বেশি সময় ধরে রাখতে পারে না। সেজন্য নিয়মিত খাবারের মাধ্যমে এই ভিটামিনের চাহিদা পূরণ করতে হয়।

পানি শূন্যতা দেখা দিলেঃ

শরীরে পানির অভাব শুষ্ক ঠোটের সমস্যার অন্যতম কারণ। যে সমস্যায় ভোটের চামড়া শুষ্ক হয়ে উঠে যাওয়া সত্ত্বেও সেই তুলনায় কোনভাবেই দ্রুত গজাতে পারে না। তাছাড়া একই সাথে পানি শূন্যতার অন্যান্য লক্ষণ ও দেখা দিতে পারে। কিন্তু এ সকল সমস্যার সহজ সমাধান হচ্ছে সারাদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা।

অনেক সময় ধরে সূর্যালোকে থাকাঃ

সূর্যের আলো গরমের মধ্যে ঠোঁটের সমস্যা বাড়ার অন্যতম কারণ। শুধু দেহে নয় মুখেও হতে পারে রোদপোড়া। আসলে শরীরের অন্যান্য অংশের চাইতেও মুখে রোধ পরে অনেক বেশি। বিভিন্ন চিকিৎসাবিদ থেকে জানা গেছে, সূর্যের অতি বেগুনি রশ্নির সংস্পর্শে আমাদের ঠোঁটের চামড়া ওঠা, প্রদাহ, রং পরিবর্তন ইত্যাদি দেখা দেওয়ার আশঙ্কা থাকে। সেজন্য ৩০ বা এর থেকে বেশি মাত্রায় SPF সমৃদ্ধ লিপবাম ব্যবহার করা প্রয়োজন।

অতিরিক্ত লিপবামে আসক্তিঃ

আসলে আমাদের মধ্যে অনেকেরই ধারণা লিপবাম ঠোঁট আর্দ্র রাখে। তবে লিপবাম ঠোট আদ্র রাখার পরিবর্তে উলটো শুষ্ক করে ফেলতে পারে। মূলত এর কারণ হচ্ছে লিপবামে থাকা উপাদানগুলি। এই বিষয়ে বিভিন্ন চর্ম বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে জানা গেছে, কিছু কিছু লিপবামে শুধুমাত্র হিউম্যাট্যান্টস উপাদান রয়েছে।

যেটি মূলত সাথে সাথে ঠোঁটে আদ্রতা দিয়ে থাকে। কিন্তু আদ্রতা ধরে রাখতে ব্যর্থ হয়। বিশেষজ্ঞরা আরো বলেন, হায়ালুরনিক এসিড ও গ্লিসারিন বাতাস থেকে পানি সরষে ঠোঁট আদ্র রাখতে সাহায্য করে। কিন্তু পেট্রোলিয়াম, শিয়া বাটার, বিওয়াক্স, স্কোয়েলিন অথবা নারিকেল তেল ইত্যাদি এই ধরনের অকুলসিভ কিংবা আদ্রতা আটকে রাখার উপাদান লিপবামে না থাকার কারণে দ্রুত ঠোঁট শুষ্ক হয়ে যেতে পারে।

সেজন্যই মূলত লিপবাম বারবার ব্যবহার করতে হয়। আর লিপবাম কেনার সময় অবশ্যই আপনাকে এসব উপাদানের দিকে নজর দেওয়া প্রয়োজন। সেজন্য আপনাকে পড়তে হবে পণ্যের লেবেল। তবে লিপবাম বারবার ব্যবহার করার প্রয়োজন পড়লে সেটা পরিবর্তন করার পরামর্শ দেন অনেক চিকিৎসকরাই। আশা করি এতক্ষণে আপনি বুঝতে পেরেছেন ঠোঁটের চামড়া ওঠার কারণ সম্পর্কে।

ঠোঁট ফাটা কমানোর ঘরোয়া উপায়

ঠোঁট ফাটা কমানোর ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জানার জন্য এই অংশটুকু পড়তে থাকুন। কারণ আমরা খুবই সুন্দর হবে এই অংশে আলোচনা করেছি ঠোঁট ফাটা কমানোর ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে। তাহলে চলুন আর দেরি না করে আমরা বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়ার চেষ্টা করি ঠোঁট ফাটা কমানোর ঘরোয়া উপায় কি সে বিষয়ে।

আসলে শীতকালীন সময়ে ঠোঁটফাটা একটি সাধারণ সমস্যা। যেটি মূলত প্রত্যেকেরই হয়ে থাকে। তবে আপনি যদি কিছু নিয়ম মেনে চলতে পারেন তাহলে এই সমস্যা থেকে আপনি খুব সহজেই মুক্তি পাবেন। তো চলুন দেরি না করে আমরা জেনে নেই ঠোঁট ফাটা কমানোর ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে। আশা করি এই ঘরোয়া উপায় ব্যবহারে আপনি অনেক উপকার পাবেন।তাহলে চলুন শুরু করা যাক।

ঠোঁট ফাটা কমানোর ঘরোয়া উপায়ঃ
  • এক চা চামচ চিনি এবং এক চা চামচ নারিকেল তেল দিয়ে বানিয়ে ফেলুন লিপ স্ক্রাব। সপ্তাহে কয়েকবার ঠোঁট স্ক্রাব করার পর ধুয়ে ফেলুন, আশা করি অনেক ভাল ফল পাবেন।
  • আধা চা চামচ দারুচিনি গুড়ার সাথে অলিভ অয়েল, মধু এবং চিনি মিশিয়ে ঠোঁটে ঘষুন কিছুক্ষণ, তারপর ঠোঁট ধুয়ে ফেলে লিপবাম লাগিয়ে নিন।
  • নারিকেল তেলের সঙ্গে দুধ এবং গোলাপজল মিশিয়ে লিপ ক্লিনজার বানিয়ে ফেলুন।তারপর নিয়মিত সকালে এই লিপ ক্লিনজার ব্যবহার করুন, ভালো ফল পাবেন।
  • তিন ঘন্টা কয়েকটি গোলাপ এর পাপড়ি কাঁচা দুধে ভিজিয়ে রাখুন। তারপর এই পাপড়ি গুলোর পেস্ট বানিয়ে ঠোঁটে লাগিয়ে রাখুন, অন্তত 20 থেকে 30 মিনিট রাখার চেষ্টা করবেন তারপর স্বাভাবিক পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
  • এক চা চামচ লেবুর রস এবং দুই চা চামচ দই দিয়ে লিপ মাস্ক বানিয়ে নিতে পারেন।

লেখকের মন্তব্য | ঠোঁট ফাটার জন্য কোন ভিটামিন খেলে ভালো হয় | ঠোঁটের চামড়া ওঠার কারণ

প্রিয় পাঠক, এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনি নিশ্চয়ই এতক্ষণে জেনে গেছেন ঠোঁট ফাটার জন্য কোন ভিটামিন খেলে ভালো হয় এবং ঠোঁটের চামড়া ওঠার কারণ। যেহেতু শীতকালীন সময় আসার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের ঠোঁট ফাটার সমস্যা দেখা দেয়, সেহেতু আমাদের অবশ্যই উক্ত বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে রাখা উচিত।

আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনার কাছে অনেক ভালো লেগেছে এবং এ আর্টিকেলটি আপনার অনেক উপকারে আসবে। তাই এই আর্টিকেলটি আপনার কাছে ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই আপনি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না, কেননা আপনার বন্ধুরাও আপনার মাধ্যমে জানতে পারবে ঠোঁট ফাটার জন্য কোন ভিটামিন খেলে ভালো হয় এবং ঠোঁটের চামড়া ওঠার কারণ।

আর অবশ্যই আমাদের এই ওয়েবসাইটে নিয়মিত ভিজিট বা ফোলো করার চেষ্টা করবেন। কারণ আমরা এই ওয়েবসাইটে নিয়মিত নতুন নতুন ব্লগ পোস্ট বা আর্টিকেল পাবলিশ করে থাকি। শুধু তাই নয় আমরা এই ওয়েবসাইটে নিয়মিত বিভিন্ন ধরনের তথ্য বিষয়ক পোস্ট পাবলিশ করি। আসসালামু আলাইকুম।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সাগর ম্যাক্স এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url