প্রাকৃতিকভাবে ঠোঁট হাইড্রেট করার উপায় - ঠোঁট ফেটে গেলে কি করতে হবে

ঠোঁট ফেটে গেলে কি করতে হবে এবং প্রাকৃতিকভাবে ঠোঁট হাইড্রেট করার উপায় সম্পর্কে জানতে চান?। তাই আমরা ঠোঁট ফেটে গেলে কি করতে হবে এবং প্রাকৃতিকভাবে ঠোঁট হাইড্রেট করার উপায় সম্পর্কে এখন বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব। বিশেষ করে শীতকালীন সময়ে আমাদের এ সকল সমস্যা হয়ে থাকে। তবে বন্ধু চিন্তার কোন কারণ নেই আপনারা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে ঠোঁট ফেটে গেলে কি করতে হবে এবং প্রাকৃতিকভাবে ঠোঁট হাইড্রেট করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জানতে পারবেন। শুধু তাই নয় এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনারা আরো জানতে পারবেন ঠোঁট ফাটে কোন ভিটামিনের অভাবে সে বিষয়েও।
ঠোঁট ফেটে গেলে কি করতে হবে
শীতকালীন সময়ে ঠোঁট ফাটেনা এমন মানুষ পাওয়া প্রায় অসম্ভব। তাই আমাদের সকলেরই শীতকালীন সময়ে ঠোঁট ফাটার সমস্যা হয়ে থাকে। তবে বন্ধু চিন্তার কোন কারণ নেই আপনারা এই আর্টিকেলটি সম্পন্ন করার মাধ্যমে জানতে পারবেন ঠোঁট ফাটে কোন ভিটামিনের অভাবে, ঠোঁট ফেটে গেলে কি করতে হবে এবং প্রাকৃতিকভাবে ঠোঁট হাইড্রেট করার উপায় সম্পর্কে। তো চলুন আর দেরি করছি না, আমরা ঠোঁট ফেটে গেলে কি করতে হবে ও প্রাকৃতিকভাবে ঠোঁট হাইড্রেট করার উপায় এবং ঠোঁট ফাটে কোন ভিটামিনের অভাবে এ সমস্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে জেনে আসার চেষ্টা করি।

পোস্ট সূচিপত্রঃ প্রাকৃতিকভাবে ঠোঁট হাইড্রেট করার উপায়

ভূমিকা

ঠোঁট ফেটে গেলে কি করতে হবে এ বিষয়টি এখনো অনেকেরই অজানা। আবার প্রাকৃতিকভাবে ঠোঁট হাইড্রেট করার উপায় সম্পর্কেী অনেকে জানেনা। আর না জানাটাই স্বাভাবিক কারণ এই সমস্ত বিষয় নিয়ে অনেকেই সঠিক তথ্য দিতে পারে না। তবে আজ থেকে আপনার আর চিন্তার কোন কারণ নেই। আপনি যেহেতু আমাদের এই আর্টিকেলটি পড়তে এসেছেন

তাহলে অবশ্যই আপনি আজকে এ সমস্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানতে পারবেন। শুধু তাই নয় এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনি ঠোঁট আরো অনেক অজানা তথ্য জানতে পারবেন। তাহলে চলুন আমরা একনজরে দেখে নেওয়ার চেষ্টা করি এ আর্টিকেলটির সম্পূর্ণ পড়ার মাধ্যমে আমরা কি কি বিষয় জানতে পারবো।

আমরা এই আর্টিকেলটি সম্পন্ন করার মাধ্যমে যে সকল বিষয়গুলো জানতে পারবো সেগুলো হল ঠোঁট ফাটে কোন ভিটামিনের অভাবে, ঠোঁট ফেটে গেলে কি করতে হবে, প্রাকৃতিকভাবে ঠোঁট হাইড্রেট করার উপায়, ঠোঁটের চামড়া ওঠার কারণ, ঠোঁটের মরা চামড়া দূর করার উপায়, ঠোঁট ফাটার ওষুধ এবং ঠোঁট ফাটার ক্রিম এই সমস্ত বিষয় সম্পর্কে।

তো বন্ধু আর দেরি করছি না কথা না বাড়িয়ে আমরা এ সকল বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে স্টেপ বাই স্টেপ জেনে আসার চেষ্টা করি। আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনার অনেক উপকারে আসবে।

ঠোঁট ফাটে কোন ভিটামিনের অভাবে

ঠোঁট ফাটে কোন ভিটামিনের অভাবে সে সম্পর্কে আপনি জানেন?। যদি না জেনে থাকেন তাহলে আর্টিকেলের এই অংশটুকু আপনার জন্য। কারণ এখানে আমরা খুবই সুন্দর ভাবে আলোচনা করেছি ঠোঁট ফাটে কোন ভিটামিনের অভাবে। তো চলুন জেনে নেওয়া যাক ঠোঁট ফাটে কোন ভিটামিনের অভাবে।

বিভিন্ন চিকিৎসা বিদদের কাছ থেকে জানা গেছে, ঠোঁট ফাটার সমস্যার জন্য সবথেকে দায়ী হচ্ছে ভিটামিন বি। মূলত ভিটামিন বি এর কারণেই আমাদের ঠোঁট ফাটে। তাছাড়া ফোলেট যথাক্রমে ভিটামিন বি২, ভিটামিন বি৬, ভিটামিন বি৯ এবং ভিটামিন বি১২ এর অভাবের কারণে ঠোঁট ফাটার সমস্যা দেখা দেয়।

আমাদের প্রত্যেকেরই শরীরের জন্য প্রোটিন এবং ভিটামিন সহ বিভিন্ন ধরনের পুষ্টির প্রয়োজন হয়ে থাকে। কেননা শরীরে পুষ্টির অভাবে অনেক সমস্যায় পড়তে হয়। এই সমস্যাগুলোর যত্ন না নেওয়ার ফলে বাড়তে পারে আরো বিভিন্ন ধরনের সমস্যা। ঠোঁট ফাটা থেকে শুরু করে দুর্বল হার পর্যন্ত ভিটামিনের অভাবের অনেক উপসর্গ থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।

আবার অনেক সময় দেখা যায় ফাটা ঠোঁট ও মাড়ি থেকে রক্ত পড়া ভিটামিন সি ও ভিটামিন বি এর অভাব নির্দেশ করে থাকে। আমাদের মধ্যে অনেকে আছেন যাদের পায়ের গোড়ালি ফাটার সমস্যায় ভোগে। তবে কিছু কিছু মানুষ আছে যাদের সারা বছরই পায়ের গোড়ালি ফাটার সমস্যা দেখা দেয়।

ঠোঁট ফেটে গেলে কি করতে হবে

ঠোঁট ফেটে গেলে কি করতে হবে আপনি কি জানেন?। যদি না জানেন তাহলে আর্টিকেল এর এই অংশটুকু আপনার জন্য। কারণ আমরা এখন আপনার সামনে আলোচনা করব ঠোঁট ফেটে গেলে কি করতে হবে সে বিষয়ে। তো চলুন আর দেরি না করে আমরা বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়ার চেষ্টা করি ঠোঁট ফেটে গেলে কি করতে হবে তা সম্পর্কে।

শীতকালীন সময় যখনই চলে আসে, তখনই আমাদের শুষ্ক ত্বক, খুশকি এবং ঠোঁট ফাটা ইত্যাদি প্রভৃতির সমস্যা দেখা দেয়। বিশেষ করে শীতকালীন সময়ে সারাক্ষণ ঠোঁট ফাটা এবং ঠোঁট শুকনো হয়ে থাকে। বিশেষ করে ঠোঁট শুকনো হয়ে থাকলে কিছুক্ষণ পর পর লিপবাম জাতীয় পণ্য ঠোঁটে ব্যবহার করতে হয়।

তবে এ সকল পণ্যগুলি আমাদের ঠোঁটকে সাময়িকভাবে স্বস্তি দিলেও স্থায়ী স্বস্তি দেয় না। কিন্তু আমাদের শুষ্ক ঠোঁটের এ সকল সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য বাড়িতেই রয়েছে অনেক উপায়। সেজন্যই আমরা এখন আর্টিকেলের এই অংশে আপনাদেরকে জানাবো। ঘরোয়া উপায়ে আপনি কিভাবে আপনার ঠোঁটকে যত্ন নিবেন সে বিষয়ে।

১। অ্যালোভেরাঃ

ত্বকের জন্য খুবই উপকারী এই এলোভেরা। কারণ এলোভেরা আমাদের শুষ্ক ঠোঁটকে নমনীয় করতে বেশ সাহায্য করে থাকে। তাই আপনি যদি নিয়মিত ঠোঁটে এলোভেরা জেল ব্যবহার করেন তাহলে আপনার শুষ্ক ঠোঁটের সমস্যা দূর করা সম্ভব হবে।

২। নারিকেল তেলঃ

এই নারিকেল তেলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাটি অ্যাসিড। যেটি মূলত আমাদের ঠোঁটের শুষ্কতা থেকে মুক্তি দিয়ে থাকে। সেজন্য নিয়মিত ঠোঁটে নারিকেল তেল ব্যবহার করুন।

৩। সূর্যমুখী বীজ তেলঃ

প্রচুর পরিমাণে ফ্যাটি এসিড রয়েছে সূর্যমুখী বীজ তেলে, যেটি মূলত লিনলীক এসিড নামেও পরিচিত। সূর্যমুখী বীজ তেল আমাদের ত্বকের যত্নের পণ্যগুলোতে ব্যবহার জন্য উপযুক্ত করে তোলে, কেননা সূর্যমুখী বীজ তেলে যেই লিনলীক এসিড থাকে এই এসিড আমাদের ত্বকের জন্য উপকারী। এছাড়াও বিভিন্ন গবেষণা থেকে দেখা গেছে সূর্যমুখী বীজ তেল আমাদের ত্বকে হাইড্রেশন সরবরাহ করে থাকে।
শুধু তাই নয় আমাদের ত্বকের কোষের গঠন বজায় রাখতে বেশ সাহায্য করে। অর্থাৎ বলা যায় এই সূর্যমুখী বীজ তেল আমাদের ঠোঁটের জন্য একটি ঘরোয়া প্রতিকার হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। আবার এই সূর্যমুখী বীজ তেল সরাসরি প্রয়োগ কিংবা রান্নায় ব্যবহার করা যেতে পারে।

৪। মধুর ব্যবহারঃ

আমরা প্রায় প্রত্যেকেই জানি মধু খুব ভালো আন্টি ব্যাকটেরিয়াজাত পদার্থ। শুধু তাই নয় ভেসলিন কিংবা পেট্রোলিয়াম জেলি আমাদের ত্বকের কমল করতে বেশ সাহায্য করে থাকে।এবং ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়া থেকে বাঁচায়। এই দুটি পণ্য যদি আপনি একসাথে ঠোঁটে ব্যবহার করেন, তাহলে সেটি আপনার ঠোঁটের জন্য উপকারী হিসেবে কাজ করবে এবং ঠোঁট ফাটার সমস্যা থেকেও মুক্তি দেবে।

৫। জলপাইয়ের তেলঃ

জলপাইয়ের তেল আমাদের ঠোঁট হাটার সমস্যা থেকে রেহায় দিয়ে থাকে। শুধু তাই নয় এ জলপাইয়ের তেল আমাদের ঠোঁটের জন্য খুবই উপকারী হিসেবে কাজ করে। তাই আপনি যদি নিয়মিত দুই বার করে ঠোঁটে জলপাইয়ের তেল ব্যবহার করেন তাহলে আপনার ঠোঁট কমল ও নমনীয় হবে।

শীতকালীন ছাড়াও যদি আপনার গরমকালীন সময়েও ঠোঁট ফাটে তাহলে আপনি এই ঠোঁট ফাটা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য নিম্নলিখিত এ বিষয়গুলি মাথায় রাখতে পারেন।এ বিষয়গুলি যদি আপনি ফোলো করেন তাহলে গরমকালীন সময়েও আপনার ঠোঁট ফাটা থেকে মুক্তি পাবেন। তো চলুন আমরা এক নজরে দেখে নেওয়ার চেষ্টা করি গরমকালীন সময়ে কিভাবে আমরা ঠোঁট ফাটা থেকে মুক্তি পাব, সেজন্য আপনাকে
  • ঠোঁটের যত্ন নিতে হবে।
  • প্রচুর পরিমাণে পানি পান করার চেষ্টা করতে হবে।
  • তীব্র সূর্যালোক এবং ধুলাবালি থেকে এড়িয়ে চলার চেষ্টা করতে হবে।
  • প্রয়োজন হলে ভেসলিন ব্যবহার করতে হবে।
  • সুষম খাবার এবং পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে।

প্রাকৃতিকভাবে ঠোঁট হাইড্রেট করার উপায়

প্রাকৃতিকভাবে ঠোঁট হাইড্রেট করার উপায় সম্পর্কে জানার জন্য আর্টিকেলের এই অংশটুকু পড়তে থাকুন। কারণ আমরা এখন আলোচনা করব প্রাকৃতিকভাবে ঠোঁট হাইড্রেট করার উপায় কি সে বিষয়ে। তাহলে চলুন বন্ধু আর দেরি না করে আমরা বিস্তারিত ভাবে জেনে নেওয়ার চেষ্টা করি প্রাকৃতিকভাবে ঠোঁট হাইড্রেট করার উপায় সম্পর্কে।

আমাদের শুষ্ক ঠোঁট হওয়ার পিছনে সবথেকে বেশি দায়ী খুব গরম, শুষ্ক বা ঠান্ডা আবহাওয়া, এলার্জি, রোদে পোড়া ইত্যাদি।সেজন্য ঠোঁট বাম অথবা কুমারী নারিকেল তেল, মধু, অলিভ অয়েল ইত্যাদির মত ঘরোয়া প্রতিকার প্রয়োগ করার মাধ্যমে নিরাময় মিলতে পারে আপনার ঠোঁটের এই সমস্যা গুলো। চলুন বন্ধু আমরা এক নজরে দেখে নেওয়ার চেষ্টা করি প্রাকৃতিকভাবে ঠোঁট হাইড্রেট করার উপায় গুলো।

১। গোলাপের নির্যাস ব্যবহার করুনঃ

আপনি যদি আপনার ঠোঁট প্রাকৃতিকভাবে ঠোঁট হাইড্রেট করতে চান তাহলে গোলাপের নির্যাস ব্যবহার করুন। তার জন্য আপনাকে এক বোতল গোলাপ জলে অল্প করে মধু মেশাতে হবে।এবং এই মিশ্রণটি দিয়ে নিয়মিত কোমল ভাবে ঠোঁট স্ক্রাব করতে হবে। তাছাড়াও অল্প দুধে গোলাপের পাপড়ি ভিজিয়ে বেটে নেওয়ার পর আপনি যদি আপনার ঠোটে লাগাতে পারেন তাহলেও অনেক উপকার পাবেন।

২। এক্সফোলিয়েশনের ব্যবহারঃ

এক্সফোলিয়েট আমাদের ঠোঁটের মৃত কোষ অপসারণ করতে বেশ সাহায্য করে থাকে। শুধু তাই নয় এতে ঠোঁট সতেজ ও পূর্ণজিবিত হয়ে ওঠে। যেমন প্রাকৃতিক স্ক্রাব মধুর সাথে চিনি অথবা দুধের সাথে হলুদ মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন আপনার ঠোঁটে। আবার চীনের সাথে লেবু মিশিয়েও আপনার ঠোঁটে ঘুষ নিতে পারেন এতে করেও আপনি ভালো ফলাফল পাবেন।এর ভালো ফলাফল পাওয়ার জন্য আপনাকে আলতো হাতে ম্যাসাজ করতে হবে। এক থেকে দুই মিনিট স্ক্রাব করার পরে স্বাভাবিক পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। প্রতিদিন এই এক্সফোলিয়েশন করার মাধ্যমে আপনি প্রাকৃতিকভাবে ঠোঁট হাইড্রেট পাবেন।

৩। লেবুর রস এবং গ্লিসারিনঃ

সমপরিমাণ লেবুর রস এবং গ্লিসারিন একসাথে মেশানোর পর। যখনই আপনি রাতে ঘুমাতে যাবেন তার আগে ভালোভাবে ঠোঁটে লাগিয়ে নিন। পরের দিন সকালে ঘুম থেকে উঠে স্বাভাবিক পানি দিয়ে আপনার ঠোঁট ধুয়ে ফেলুন। আশা করি ভালো ফল পাবেন।

৪। শসার রস এর ব্যবহারঃ

প্রচুর পরিমাণে এন্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে শসার রসে। যেটি মূলত দ্রুত পিগমেন্টেশন কমাতে সাহায্য করে। সেজন্য আপনাকে একটি শসা খেতে করে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশাতে হবে তারপর এটি সুন্দর করে ঠোঁটে লাগিয়ে ১০ থেকে ২০ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে, তারপর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেললেই ভালো ফলাফল পাবেন।

৫। ডালিমের ব্যবহারঃ

আপনি যদি ডালিম থেকে ভালো ফলাফল পেতে চান আপনার ঠোঁটের জন্য তাহলে ডালিমের দানা থেকে পেস্ট তৈরি করুন তারপর আপনার ঠোঁটে ঘোষণ। আপনি যদি চান তাহলে অল্প করে ঘি মিশাতে পারেন। এটি মূলত আপনার ঠোঁটের মরা চামড়া গুলি দূর করে প্রাকৃতিক ভাবে ঠোঁট হাইড্রেট করতে সাহায্য করবে।

৬। মধু এবং বিটরুটঃ

তিন থেকে পাঁচ মিনিট এক স্লাইস বিট মধুতে ডুবিয়ে রাখুন। তারপর আপনার ঠোঁটে রসুন এই বিটের টুকরা। অন্তত ১০ থেকে ১৫ মিনিট রেখে দিন আপনার ঠোঁটে। তারপর আপনার ঠোঁট থেকে বিট উঠিয়ে নিন। কিন্তু আপনার ঠোঁট ধুবেন না।সারা রাত্রি এভাবেই আপনার ঠোঁটে রেখে দিন। পরের দিন সকালে ঘুম থেকে উঠে হালকা ঠান্ডা পানি দিয়ে আপনার ঠোঁট ধুয়ে ফেলুন। অন্তত দুই সপ্তাহ ব্যবহার করুন নিয়মিত তাহলেই ভালো ফল পাবেন।

এছাড়াও সব সময় আপনি আপনার ঠোঁটকে হাইড্রেট রাখার জন্য, আপনাকে নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান এবং ফলের রস পান করতে হবে। আর চেষ্টা করবেন কখনোই জিব্বা দিয়ে ঠোঁট না ভেজানোর। কেননা এতে করে আপনার ঠোঁট আরো দ্রুত শুষ্ক হওয়ার আশঙ্কা থাকে। আর বিশেষ করে আপনি যদি ধূমপান করে থাকেন, তাহলে আজ থেকেই ধূমপান এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন। আশা করি আপনি এতক্ষণে বুঝতে পেরেছেন প্রাকৃতিকভাবে ঠোঁট হাইড্রেট রাখার উপায় সম্পর্কে।

ঠোঁটের চামড়া ওঠার কারণ

ঠোঁটের চামড়া ওঠার কারণ কি তা কি আপনি জানেন?। যদি না জানেন তাহলে আর্টিকেলের এই অংশটুকু আপনার জন্য। কারণ আমরা এখন আর্টিকেলে এই অংশে খুবই সুন্দর হবে আপনাকে জানাবো ঠোঁটের চামড়া ওঠার কারণ সম্পর্কে। তাহলে চলুন বন্ধু আর দেরি না করে আমরা বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়ার চেষ্টা করি ঠোঁটের চামড়া ওঠার কারণ কি সে বিষয়ে।

আসলে আমাদের শরীরের চামড়ার তুলনায় ঠোঁট বেশি ফাটার কারণ বা ঠোঁটের চামড়া ওঠার কারণ হল ঠোঁটের চামড়ার অপরিভাগের খুব পাতলা স্তর হচ্ছে এটি। বিশেষ করে যখনই শীতকাল চলে আসে তখনই শীতকালের বাতাসে আদ্রতার পরিমাণ বেশি হয়। সেজন্য আমাদের শরীর থেকে জলীয় অংশ কমে যায় ও চামড়ার এই স্তরটি দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত অর্থাৎ শুকিয়ে ফেটে যেতে থাকে।

তাছাড়া আমাদের ঠোঁটের এই স্তরটিকে আমরা মূলত এপিডার্মিস কিংবা বহুৎস্তর বলে থাকি। ঠোঁটের এই অংশটুকু পাতলা হওয়ায় তাপমাত্রার হেরফেরের কারণে কিংবা বাতাস আদ্র হওয়ার কারণে দ্রুত প্রদাহ পরে এই ঠোঁটের উপর, এমনটাই জানা গেছে অনেক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছ থেকে।

বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা আরো বলেছেন, ঠোঁট সামান্য শুষ্ক হলে অনেকে জিব্বা দিয়ে ভেজানোর চেষ্টা করে থাকে। তবে পরবর্তী সময়ে স্যালাইভা শুকিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঠোঁট আরো সুস্থ হয়ে ওঠে এবং ফেটে যেতে থাকে। তাছাড়াও বিশেষজ্ঞরা আরো বলেছেন, অনেক সময় উচ্চ রক্তচাপ, হার্ট, ক্যান্সার এবং কিডনির চিকিৎসায় ব্যবহৃত কিছু ওষুধ শরীর থেকে পানি চুষে নেই,

সেজন্য অনেক সময় অনেকের ত্বক বিশেষ করে ঠোঁটে প্রভাব পড়ে থাকে। আবার কিছু কিছু সময় ঠোঁটের অবস্থান নাকের ঠিক নিচে থাকার কারণে নিঃশ্বাসের সঙ্গে বেরিয়ে আসা গরম বাতাসের অভাবেও ঠোঁট শুষ্ক হয়। আশা করি আপনি এতক্ষণে বুঝতে পেরেছেন ঠোঁটের চামড়া ওঠার কারণ কি সে সম্পর্কে।

ঠোঁটের মরা চামড়া দূর করার উপায়

ঠোঁটের মরা চামড়া দূর করার উপায় সম্পর্কে আপনি কি জানতে চান?। তাহলে আপনি সঠিক জায়গাতেই এসেছেন, কারণ আমরা আর্টিকেলের এই অংশে এখন আলোচনা করব ঠোঁটের মরা চামড়া দূর করার উপায় কি সে বিষয়ে। তাহলে চলুন বন্ধু আর দেরি না করে আমরা ঝটপট জেনে নেওয়ার চেষ্টা করি ঠোঁটের মরা চামড়া দূর করার উপায় সম্পর্কে।

আপনি জানলে অবাক হবেন গ্রিন টি এর মাধ্যমে আমাদের ঠোঁটের মরা চামড়া দূর করা সম্ভব। তাই আপনি যদি চান গ্রিন টি ব্যবহার করে আপনার ঠোঁটের মরা চামড়া দূর করতে, তাহলে জেনে নিন কিভাবে আপনি গ্রিন টি ব্যবহার করে আপনার ঠোঁটের মরা চামড়া দূর করবেন। আমাদের মধ্যে অনেকে আছি যারা এখনো পর্যন্ত জানিনা গ্রিন টি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য কতটা উপকারী।

গ্রিন টি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। কারণ গ্রিন টি এটি এন্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ, সেজন্যই মূলত আমাদের ত্বক দূষণমুক্ত করে থাকে। তাই আপনি যদি এর ভালো ফলাফল পেতে চান তাহলে গ্রিন টি এর সাথে আদা টেবিল চামচ টক দই ও সম পরিমাণ অলিভ অয়েল এবং চিনি মিশিয়ে নিন। 

তারপর এই ব্যাস তৈরি গ্রিনটি স্ক্রাব মিশ্রণ আপনার ঠোঁটে কিছুক্ষণ ম্যাসাজ করতে থাকুন।আপনি যদি এটি নিয়মিত ব্যবহার করেন তাহলে আপনার ঠোঁটের মৃত কোষ উঠে যাবে। শুধু তাই নয় তার ফলে আপনার ঠোঁটের চামড়াও আর উঠবে না এবং ঠোঁটও ফাটবে না কখনো।

লেখকের মন্তব্য

প্রিয় পাঠক, এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনি নিশ্চয়ই এতক্ষণে জেনে গেছেন ঠোঁট ফেটে গেলে কি করতে হবে এবং প্রাকৃতিকভাবে ঠোঁট হাইড্রেট করার উপায় সম্পর্কে। যেহেতু শীতকালীন সময়ে আমাদের প্রত্যেকেরই ঠোঁট ফেটে থাকে সেহেতু আমাদের সকলকে উক্ত বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে রাখা উচিত।
আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনার কাছে অনেক ভালো লেগেছে এবং এই আর্টিকেলটি আপনার অনেক উপকারে আসবে। তাই আর্টিকেলটি আপনার কাছে ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। কেননা আপনার বন্ধুরাও আপনার মাধ্যমে জানতে পারবে ঠোঁট ফেটে গেলে কি করতে হবে এবং প্রাকৃতিকভাবে ঠোঁট হাইড্রেট করার উপায় সম্পর্কে।

আর অবশ্যই আমাদের এই ওয়েবসাইটে নিয়মিত ভিজিট বা ফোলো করার চেষ্টা করবেন। কারণ আমরা এ ওয়েবসাইটে নিয়মিত নতুন নতুন ব্লক পোস্ট বা আর্টিকেল পাবলিশ করে থাকি। শুধু তাই নয় এই ওয়েবসাইটে আমরা নিত্যনতুন তথ্য বিষয়ক পোস্ট পাবলিশ করি। আসসালামু আলাইকুম।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সাগর ম্যাক্স এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url