প্রতিদিন শসা খাওয়ার উপকারিতা - ওজন কমাতে শসার উপকারিতা

ডায়রিয়া হলে কি কি খাওয়া যাবেপ্রিয় পাঠক, আপনি নিশ্চয় জানতে চাচ্ছেন, প্রতিদিন শসা খাওয়ার উপকারিতা এবং ওজন কমাতে শসার উপকারিতা সম্পর্কে। তাহলে বন্ধু আপনি সঠিক জায়গাতেই এসেছেন কারণ আমরা আপনাকে এখন এই আর্টিকেলের মাধ্যমে জানাতে চলেছি প্রতিদিন শসা খাওয়ার উপকারিতা এবং ওজন কমাতে শসার উপকারিতা সম্পর্কে।
প্রতিদিন-শসা-খাওয়ার-উপকারিতা
পোস্ট সূচিপত্রঃ

ভূমিকা

আসলে আমাদের সারা বিশ্বে আবাদ হওয়ার দিক থেকে ৪ নম্বরে রয়েছে যে সবজিটি সেটি হল শসা। শসাই রয়েছে অনেক রকমের গুন। রূপচর্চা ও মেদ নিয়ন্ত্রণ সহ নানা উপকারিতা আছে এই শসাতে। আমাদের এই পোস্টটে শসা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়তে থাকুন তাহলে আপনি শসা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে সবকিছুই সুন্দরভাবে জেনে যাবেন। এমনকি সশা গর্ভ অবস্থায় খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে ।

গর্ভ অবস্থায় শোসা কোন উপায়ে খাওয়া যাবে? এই প্রশ্নটি অনেক গর্ভবতী মহিলাদের বিরক্ত করতে পারে। এই বিষয়টি মাথায় রেখে এই পোস্টে, আমরা গর্ব অবস্থায় সসার উপকারিতা এবং অপকারিতা উভয় নিয়ে বলেছি, এখানে দেওয়া এই তথ্যগুলি আপনাকে বুঝতে সাহায্য করবে যে শসা গর্ব অবস্থায় উপকারি কিনা?। তাহলে চলুন আর দেরি না করে আমরা ঝটপট জেনে আসি প্রতিদিন শসা খাওয়ার উপকারিতা এবং ওজন কমাতে শসার উপকারিতা সম্পর্কে।

শসাই রয়েছে অনেক রকমের গুন। রূপচর্চা ও মেদ নিয়ন্ত্রণ সহ নানা উপকারিতা আছে এই শসাতে। আমাদের এই পোস্টটে শসা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়তে থাকুন তাহলে আপনি শসা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে সবকিছুই সুন্দরভাবে জেনে যাবেন। এমনকি সশা গর্ভ অবস্থায় খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। গর্ভ অবস্থায় শোসা কোন উপায়ে খাওয়া যাবে? এই প্রশ্নটি অনেক গর্ভবতী মহিলাদের বিরক্ত করতে পারে।

এই বিষয়টি মাথায় রেখে এই পোস্টে, আমরা গর্ব অবস্থায় সসার উপকারিতা এবং অপকারিতা উভয় নিয়ে বলেছি, এখানে দেওয়া এই তথ্যগুলি আপনাকে বুঝতে সাহায্য করবে যে শসা গর্ব অবস্থায় উপকারে কিনা? যেহেতু সোচা একটি কম ক্যালরিযুক্ত খাবার তাই ওজন কমাতে শসা খাওয়ার পরামর্শ দেয় অনেক বিশেষজ্ঞরা। তাই বলে এটি যে চর্বি কমানোর প্রধান উপায় বিষয়টা আসলে সেটা না। এছাড়া কিছু ক্ষতিকর দিকও রয়েছে।

নিয়ম না মেনে শসা খেলে আপনার শরীরে বিভিন্ন পুষ্টি উপাদানের ঘাটতি দেখা দিতে পারে। অন্য খাবার কম খেয়ে সারা দিন বা অতিরিক্ত পরিমাণে আপনি যদি শসা খেতে থাকেন বা ক্ষুধা লাগলে সমস্যা খান তাহলে বদ হজম হতে পারে, গ্যাসের সমস্যা সহ পেট ফাঁপা, পেটে ব্যথা হওয়া, এবং বমি বমি ভাব হওয়া ইত্যাদি দেখা দিতে পারে।

শসা খাওয়ার নিয়ম

এটি খাওয়ার সঠিক সময় হলো দুপুরের খাবার এবং রাতের খাবারের পরে। লাঞ্চ, ডিনারে শসার সালাদ শুধু আপনার পেট ভরাবে সেটা না। ওজন কমাতে সাহায্য করে। আপনি যদি একটু ভিন্নভাবে শালা বানাতে চান, তাহলে এর জন্য তিনটি শসা, এক চা চামচ লেবুর রস, এক চিমটি চিনি দিতে পারেন, ১০ থেকে ১১ টি অলিভ বা জলপাই এবং দের চা চামচ অলিভ অয়েল নিন।

আপনি আপনার অন্য যে কোন খাবারের সঙ্গে যোগ করে শসা খেতে পারেন। যেমন- সকালে নাস্তার পর, দুপুরের খাবারের সঙ্গে সালাত হিসাবে, বিকালে নাস্তার সঙ্গেও খেতে পারেন, টক দইয়ের সঙ্গে কিংবা রাতের খাবারের সঙ্গে আপনি শসা খেতে পারেন। অন্য খাবারের সাথে শসা থাকলে খাবার সুস্বাদু হয়, এবং খাবারটা আপনার শরীরে ধীরে ধীরে। যা আপনার ওজন কমাতে সাহায্য করবে অনেকটাই।

তখন রক্তের চর্বি কমাতে সক্ষম হবে, এক্ষেত্রে অবশ্যই সম্পূর্ণ খাবারের ক্যালরি আপনার শারীরিক গঠন, বয়স, শারীরিক পরিশ্রম ইত্যাদির ওপর নির্ভর করে ঠিক করে নিতে হবে। আপনার মাথায় রাখতে হবে যে, শসা ওজন কমাতে সাহায্য করবে এই কথাই ঠিক। কিন্তু এটি ওষুধ নয়। তাই শুধুমাত্র শসা খেলেই ওজন কমবে এই ধারণা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে আপনাকে। উপকার পেতে নিয়মিত শসা খেতে পারেন।
যেহেতু সোচা একটি কম ক্যালরিযুক্ত খাবার তাই ওজন কমাতে শসা খাওয়ার পরামর্শ দেয় অনেক বিশেষজ্ঞরা। তাই বলে এটি যে চর্বি কমানোর প্রধান উপায় বিষয়টা আসলে সেটা না। এছাড়া কিছু ক্ষতিকর দিকও রয়েছে। নিয়ম না মেনে শসা খেলে আপনার শরীরে বিভিন্ন পুষ্টি উপাদানের ঘাটতি দেখা দিতে পারে। অন্য খাবার কম খেয়ে সারা দিন বা অতিরিক্ত পরিমাণে আপনি যদি শসা খেতে থাকেন বা ক্ষুধা লাগলে সমস্যা খান তাহলে বদ হজম হতে পারে, 

গ্যাসের সমস্যা সহ পেট ফাঁপা, পেটে ব্যথা হওয়া, এবং বমি বমি ভাব হওয়া ইত্যাদি দেখা দিতে পারে। দীর্ঘদিন ধরে ওজন কমানোর আশায় সারাক্ষণ শসা খেলে দেহে ঘটবে নানা রকমের সমস্যা। শরীলে পর্যাপ্ত পুষ্টির অভাবে শরীর ভীষণ দুর্বল হয়ে যাবে। কাজ করা শক্তি পাবেন না, রক্ত কমে যাওয়ার আশঙ্কাও থাকতে পারে। এছাড়া রক্তে গ্লুকোজের অভাবে মাথা ঘুরে পড়ে যাওয়ার মত অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটতে পারে আপনার সাথে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, শসার একটি উপাদান হলো "কিউকারবিটাসিন"। কুমড়া, তরমুজ ইত্যাদি তো এই উপাদানটি পাওয়া যায়। আর এর কারণে কিছু শসা তেতো হয় এবং শসা খাওয়ার কারণে পেটে গ্যাস হয়। ওজন কমানো ছাড়াও আরো বেশ কিছু পুষ্টিগুণ রয়েছে। তাই শসার উপকার পেতে হলে দরকার নিয়ম মেনে এটি খাওয়া।

প্রতিদিন শসা খাওয়ার উপকারিতা

সশাস সবজি নয়। উদ্ভিদ বিজ্ঞানের সংজ্ঞা অনুসারে এটা একটি ফল। কারণ ফল থেকে হয় সশা যাতে থাকে বীজ। একইভাবে অনেক সবজি আসলে ফল, যেমন- শুঁটি, ক্যাপ্সিকাম, তোমরা এমন কি টমেটো। ফল খাওয়ার যেমন স্বাস্থ্যের জন্য ভালো, সশাও তাই।

হজমে সহায়তা

শসার ভিটামিন, খাদ্য আঁশ এবং পানি খাবার হজমের সাহায্য করে থাকে। প্রতিদিন নিয়মিত শসা খাওয়া হলে পাচনতন্ত্র সুস্থ থাকে এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর হয়। হাড় মজবুত করেঃ শসাতে আছে ভিটামিন কে এবং ক্যালসিয়াম যা হার মজবুত করতে সাহায্য করে। ভিটামিন কে হাড়ের খয়ের ঝুঁকি কমাতে এবং ক্যালসিয়াম শোষণে সাহায্য করে থাকে।

হৃদয় যন্ত্রেসুস্থতা

সু সাথে আছে ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম এবং ভিটামিন কে। এই তিনটি ও উপাদান হৃদয়যন্ত্রের সুস্থতা রক্ষা করতে সাহায্য করে। ম্যাগনেসিয়াম ও পটাশিয়াম গ্রহণের মাধ্যমে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আনা যায়। নিয়মিত শসা খাওয়ার কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায় এবং শর্করা নিয়ন্ত্রণ রাখে। ভিটামিন কে রক্ত জমাট বাধা এবং রক্তে ক্যালসিয়াম প্রবাহের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে আনতে সহায়তা করে।

আদ্রতা রক্ষা

তুষার ৯০ শতাংশ পানি যা শরীর আর্দ্র রাখতে ও পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। নিয়মিত পানি পানির কথা ভুলে গেলেও প্রতিদিন শসা খাওয়া হতে পারে উপকারী।

তুলনখের উন্নতি

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো থাকলে শরীর সুস্থ থাকবে এবং এর প্রবাহ দেখা যাবে চুল ও নখেও।

হরমোনের ভারসাম্য রক্ষা

শসাতে আছে ফসফরাস যা হরমোন নিয়ন্ত্রণ কারে মূল পুষ্টি উপাদান। শসা তে প্রায় চার শতাংশ ফসফরাস থাকে, যা প্রাপ্তবয়স্কদের অনেকটাই প্রয়োজন। ভালো ফলাফলের জন্য প্রতিদিনের খাবার তালিকায় শসা রাখার চেষ্টা করুন।

মানসিক চাপ কমায়

ভিটামিন বি ১, ভিটামিন বি ৫, এবং ভিটামিন বি ৭ শসাতে পাওয়া যায়। যা উদ্বেগ ও চাপ কমাতে সাহায্য করে।

ত্বক ও কোমল উজ্জ্বল করে

এর ঠান্ডা ও আদ্র রাখার উপাদান মলিন ও শুষ্ক ত্বক সতেজ করতে অনেকটাই সহায়তা করে। এর ভিটামিন বি-নাযাসিন, রিবোফ্লাভিন, ভিটামিন সি এবং জিংক ত্বকের উজ্জ্বলতা রক্ষা করে। বিউটি ক্রিমের বদলে নিয়মিত শসা খেলে ত্বক অনেকটাই উজ্জ্বল হবে।

খালি পেটে শসা খাওয়ার উপকারিতা

খালি পেটে সরিষার জল বা জোশ, সালাদ আমরা যদি প্রতিনিয়ত খেতে পারি শরীর ভালোভাবে হাইড্রেটেড থাকে। এটি শরীরকে ডিটক্স পড়ার জন্য সেরা পানীয় হিসাবে বিবেচিত হয়ে থাকে। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও অনেকখানি বাড়ায়। ওজন কমানো শসার রসের অনেকগুলি স্বাস্থ্য উপকারের মধ্যে একটি। রোজায় শসা খেলে তার শরীরের জন্য অনেক উপকার হয়।

কেননা গরমে বিভিন্ন ফল ও সবজি খাওয়ার পরামর্শ দেন পুষ্টি বিশেষজ্ঞরা। এর বড় কারণ হলো, বেশিরভাগ ফল ও সবজিতে পানির পরিমাণ থাকে অনেক বেশি। সেসব খেলে শরীরে আদ্রতা বজায় থাকে, হঠাৎ পানের ঘাটতি হয় না সসা হলো এমন একটি সবজি যাতে পানির পরিমাণ প্রায় ৯০ শতাংশ। শসা পানি শূন্যতা দূর করে থাকে, দেহে পানি শূন্যতা দেখা দেওয়া খুব স্বাভাবিক একটা বিষয়।
এটি শরীরে পানি ঘাটতি অনেকটাই পূরণ করে। এতে সারাদিনের ক্লান্তি ভাব অনেকটাই কমে যাবে, শরীর হবে সতেজ ও চনমনে। ত্বকের যে কোন সমস্যা দূর হবে। তাপ শোষণ করে শসা, শরীরের ভেতর বা বাইরে প্রচন্ড উত্তাপ অনুভব শসা খেতে পারেন, কারণ এই উত্তাপে শরীরে জ্বালাপোড়া হতে পারে। এই জ্বালাপোড়া অনুভব করলে শসা কেটে ত্বকে বুঝতে পারেন।

এতে উপকার পাবেন, খালি পেটে শসা খাওয়ার উপকারিতা। শসা খাওয়ার মাধ্যমে দূষিত পদার্থ দূর করা যায়, শেষ হয়ে থাকা পানি আমাদের শরীরের ভেতর থেকে দূষিত ও বিষাক্ত পদার্থ উপসরণ করে। ফলে দূর হয় অনেক রকম অসুখে আক্রান্ত হওয়ার ভয়, আপনি যদি নিয়মিত শসা খেতে পারেন তবে কিডনিতে পাথর জন্মানোর ভয় থাকবে না।

কারো কিডনিতে পাথর সৃষ্টি হলে সেটিও সহজে গলে যাবে, খালি পেটে শসা খাওয়ার মাধ্যমে। শসা ভিটামিনের অভাব পূরণ করে, আমাদের শরীরের জন্য যতগুলো ভিটামিন প্রয়োজন তার বেশির ভাগই রয়েছে শসার মধ্যেই। এতে থাকা এ, বি, ও সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। গাজর, সবুজ শাক ও শসার রস মিশিয়ে খেলে নানা ধরনের ভিটামিনের ঘাটতি পূরণ হয় দেহের।

খালি পেটে শসা খেলে দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়, অনেকের রূপচর্চার অংশ হিসেবে শসা গোল করে কেটে চোখের পাতায় বসান। এতে করে চোখের পাতায় জমে থাকা ময়লা দূর হওয়ার পাশাপাশি বারে দৃষ্টিশক্তিও। এতে প্রচুর চোখের প্রদাহ প্রতিরোধ উপাদান থাকে, যে কারণে চোখে ছানি পড়ে না। খালি পেটে শসা খাওয়ার মাধ্যমে ওজন কমানো অনেক সহজ হয়, এতে থাকা ক্যালরির সংখ্যা কম।

যে কারণে ওজন কমানোর ক্ষেত্রে বিশেষভাবে সহায়তা করে থাকে এই ফল। স্যুপ, শালাত ইত্যাদিতে শসা খেতে পারেন। কাঁচা শসা চিবিয়ে খেলে হজম বেশ ভালো হয়। সে সঙ্গে দূর হয় কন্ঠকাঠিন্যের সমস্য।

রাতে শসা খাওয়ার উপকারিতা

শসায প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন বি ও সুগার আছে।কারণ সসার মাল্টিভিটামিন ও মাল্টি মিনারেলসহ প্রাকৃতিক ওষুধ হিসেবে কাজ করে। এবং ভিটামিন মিনারেলসের অভাবজনিত সমস্যা থেকে রক্ষা করে। শসা তে সিলিকা নামক একটি উপাদান রয়েছে, যা শরিলে প্রবেশ করার পর কেষেদের কর্ম ক্ষমতাকে বাড়াতে থাকে।

শসার ফাইবার ও ফ্লুইডসমৃদ্ধ সুড়শা শরীরে ফাইবার এবং পানি পরিমান বাড়ায়। শসা বা শসার রস ডায়াবেটিস রোগীর জন্য বেশ উপকারী একটি খাবার ডায়াবেটিসের রোগীর প্রতিদিন রাতে যদি কয়েক টুকরা শসা খায় তবে তার ডায়াবেটিসের মতো বড় রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। তাই প্রতিরাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে কয়েক টুকরা শসা খেয়ে নিলে ভরে ঘুম থেকে ওঠার পর এই শসা থাকবে না।

শরীরের ইউরিক এসিডের মাত্রা ঠিক রাখে শসা। এতে কিডনি থাকে সুস্থ ও সতেজ। শসা হজম হতে সময় নেই তাই রাতে শসা খাবেন না। ঘুম খারাপ- রাতে শসা খেলেও ঘুমের ব্যাঘাত ঘটতে পারে। সোসাই বেশি জল থাকে, যা পেটে ভার করে থাকে। যাদের হজম শক্তি দুর্বল তাদের খাওয়া উচিত নয় একেবারে, যাদের হজম শক্তি সংক্রান্ত সমস্যা রয়েছে তাদের রাতে শসা খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত।

গর্ভাবস্থায় শোসা খাওয়ার উপকারিতা

গরমে শরীর ঠান্ডা করতে ও সতেজ রাখতে শসার জরি নেই। গরমে সুস্থ থাকতে গর্বটি নারীদের প্রচুর তাজা ফল এবং শাকসবজি খাওয়ার পরামর্শ দেন অনেক বিশেষজ্ঞরা। শসা বিভিন্নভাবে গর্ব অবস্থায় উপকার করে। ভিটামিন সি, ভিটামিন কে, ভিটামিন বি, এবং পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, আয়রন, জিঙ্কের মতো ফোনের সমৃদ্ধ শসা মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টের একটি দুর্দান্ত উৎস।

এই পুষ্টিগুলি গর্ব অবস্থায় ভ্রূণকে সুস্থ রাখতে এবং বিকাশের জন্য অপরিহার্য। সোসায় উপস্থিতি ভিটামিন বি৬, ও বি৯ , উদ্বেগ, মানসিক চাপ কমাতে এবং মোট ভালো রাখতে সাহায্য করে থাকে। গর্ব অবস্থায় নারীদের ঘন ঘন মুড পরিবর্তন হওয়ায় শসা খেলে উপকার পাওয়া যায়। শোষায় পটাশিয়ামের মতো ইলেকট্রোলাইট থাকে যা গর্ব অবস্থায় রক্তচাপের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

এমনিতে গর্ব অবস্থায় হরমোনের পরিবর্তনের ফলে রক্ত চাপের প্রধান আনা করে, সে ক্ষেত্রে শসা খেলে উপকার পাওয়া যায়। সোডিয়ামের মাত্রা কমাতে এবং তরলের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। শসা গর্ভ অবস্থায় রক্ত থাকে মাত্রা স্থিতিশীল রাখতে বা সাহায্য করতে পারে। গর্ব অবস্থায় রক্তচাপের মাত্রা বজায় রাখা মা এবং অনুগত সন্তানের জন্য অপরিহার্য।

তবে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন যে, কারো কারো ক্ষেত্রে শসা খাওয়ার ফলে ঘন ঘন প্রসাবের মত পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে কারণ এতে লবণ ও পানের পরিমাণ বেশি থাকে। আবার কারো কারো এলার্জিজনিত প্রক্রিয়া, বদহজম হতে পারে। সে ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী গর্ভ অবস্থায় খাওয়ানো উচিত।

ওজন কমাতে শসার উপকারিতা

সুসে একটি কম ক্যালরিযুক্ত খাবার যাতে শূন্য করবি থাকে, সেজন্য কোন দ্বিধা ছাড়াই ওজন কমানোর ডায়েটে সমস্যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো পেটের সমস্যা দূর করতে শোষা খুব উপকারী কাজ করে। শসাতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে এবং এতে প্রচুর পরিমাণে জল রয়েছে যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে থাকে।

আমাদের ওজন নিয়ন্ত্রণের জন্য খাদ্যাভ্যাস নিয়ন্ত্রণ করার উপায় আছে অনেক গুলি। এদের মধ্যে একটি হলো শসা, অনেক ভাবে খাওয়া যায় এই সবজি, সরাসরি খেতেও তা বেশ সুস্বাদু লাগে। এক কাপ শোষায় ক্যালরি মাত্র ১৬। অর্থাৎ এর" এনার্জি ডেনসিটি" কম। বিশেষজ্ঞরা বলেন, "এনাজি ডেনসিটি" কম এমন খাবার খাওয়ার সঙ্গে ওজন কমার গভীর সম্পর্ক রয়েছে। আর শসায় পানির মাত্রা বেশি হওয়া তা খাওয়া পেট ভরা অনুভূতি থাকে, ফলে হাওয়া অনেকটাই কম হয়।

ওজন কমাতে শসা খাবেন যেভাবে
  • ওজন বাড়াতে চীনের বড় হাত রয়েছে। চিনি যুক্ত যে কোন খাবার খেলে ওজন বৃদ্ধির ঝুকিয়ে থাকে। তবে শোষাদের খুব কম প্রাকৃতিক চিনি থাকে, যা এটিকে একটি ভালো ওজন কমানোর খাবার হিসেবে গড়ে তুলেছে।
  • সালাত বানিয়ে খেতে পারেন। শুসার সঙ্গে টমেটো, মূলা, গাজর, পেঁয়াজ, কাঁচামরিচ এবং লবণ মিশিয়ে সালাদ বানিয়ে নিন। এটি আপনার এক বেলার খাবার। ভারী কোন খাবারের বদলে আপনি সোশ্যাল সালাদ খেতে পারেন। এটি অনেকক্ষণ আপনার পেট ভরিয়ে রাখবে। অন্যদিকে ওজন কমাতে সহায়তা করবে।
  • এছাড়াও শসার পানিও খেতে পারেন, এটি ওজন কমাতে দুর্দান্ত কাজ করে থাকে। টুকরো করে কেটে নিন। এবার পুদিনা পাতা, তুষলিপাতা, লেবুর রস এবং পরিমাণ মতো পানি মিশিয়ে নিন, এবার এটি পান করুন।
  • পাস্তা বা নুডুলস এর সঙ্গে মিশিয়েও খেতে পারেন শসা।
  • ওজন কমাতে টক দইয়ের সঙ্গে শসার কিছু টুকরো মিশিয়ে খেতে পারেন।

শসা খেলে কি কি উপকার পাওয়া যায়

ফাইবার ও ফ্লুইড সামিদ্ধ হওয়ার কারণে সোসা শরীরের ফাইবার এবং জলের পরিমাণ বাড়িয়ে থাকে। পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও প্রচুর ফাইবার থাকার কারণে শসা উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে অনেকটাই সহযোগিতা করে থাকে। শসার মধ্যে রয়েছে স্টেরল নামের এক ধরনের উপাদান, যা মানব দেহের কলেজের অল নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।

শসা খাওয়ার কিছু উপকার আপনাদের সামনে তুলে ধরা হল
  • শসা খুব উপকারী একটি খাদ্য ওবেসিটি নিয়ন্ত্রণে রাখতেও।
  • কিডনি, ইউরিনারি, ব্লাডার, লিভার ও প্যানক্রিয়াসের সমস্যার শসা বেশ অনেকটাই সাহায্য করে থাকে।
  • এরেপসিন নামক এনজাইম সসার মধ্যে থাকার কারণে শসা হজম ও কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূর করতে অনেকটাই সহযোগিতা করে থাকে। এবং শসার রস আলসার, গ্যাস্ট্রাইটিস, এসিডিটির ক্ষেত্রেও উপকারী।
  • শসা বা শসার রস ডায়াবেটিস রোগীর জন্য বেশ উপকারী একটি জিনিস।
  • মিনারেল এর সম্ভার শশানক ভালো রাখতে, দাঁত ও নারীর সমস্যা সমাধান করতে অনেকটা সহযোগিতা করে।
  • শসায় রয়েছে স্টেরল অল নামক এক ধরনের উপাদান, যা মানব দেহের কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।

শেষ কথা

প্রিয় পাঠক এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আশা করি আপনি এই পুরো পোস্টটি সুন্দরভাবে মনোযোগ সহকারে পড়ে উপকৃত হয়েছে। এবং শসা সম্পর্কে আপনি স্বচ্ছ ধারণা ইতিমধ্যেই পেয়ে গেছেন। তাই এই পোস্টটি আপনার কাছে ভালো লেগে থাকলে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন। এরকম বিভিন্ন ধরনের পোস্ট পেতে আমাদের সাথেই থাকুন। আসসালামু আলাইকুম।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সাগর ম্যাক্স এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url