পিতা মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব ও কর্তব্য - সন্তানের প্রতি পিতা মাতার দায়িত্ব ও কর্তব্য
মানসিকভাবে ভালো থাকার উপায়পিতা মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব ও কর্তব্য এবং সন্তানের প্রতি পিতা মাতার দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে আপনি জানতে চাচ্ছেন?। তাই আমরা আপনাকে এখন জানাবো পিতা মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব ও কর্তব্য এবং সন্তানের প্রতি পিতা মাতার দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে। পিতা মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব ও কর্তব্য এবং সন্তানের প্রতি পিতা মাতার দায়িত্ব ও কর্তব্য এ সমস্ত বিষয়গুলো ছাড়াও আরো জানতে পারবেন সন্তানের প্রতি পিতা মাতার অবদান সম্পর্কে।
আশা করি এই আর্টিকেলটি সম্পন্ন পড়ার মাধ্যমে আপনি এই সমস্ত বিষয়গুলি বিস্তারিতভাবে জানতে পারবেন। কেননা এই আর্টিকেলটি আমরা সাজিয়েছি পিতা মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব ও কর্তব্য এবং সন্তানের প্রতি পিতা মাতার দায়িত্ব ও কর্তব্য নিয়ে। তো চলুন বন্ধু আর দেরি না করে আমরা বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়ার চেষ্টা করি পিতা মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব ও কর্তব্য এবং সন্তানের প্রতি পিতা মাতার দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে।
পোস্ট সূচিপত্রঃ পিতা মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব ও কর্তব্য - সন্তানের প্রতি পিতা মাতার দায়িত্ব ও কর্তব্য
ভূমিকা
আমাদের প্রত্যেকেরই জানা উচিত পিতা মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব ও কর্তব্য এবং সন্তানের প্রতি পিতা মাতার দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে। সেজন্যই মূলত আমরা এই পোস্টটি খুবই সুন্দরভাবে সাজানোর চেষ্টা করেছি। কারণ দুনিয়াতে যেমন পিতা-মাতার চেয়ে বড় কিছু নাই আবার পিতা-মাতার কাছে সন্তানের চেয়ে বড় কিছু নয় সেহেতু আমাদের এই বিষয়ে বিস্তারিতভাবে জেনে রাখা উচিত।
শুধু তাই নয় পিতামাতা বা সন্তান সম্পর্কে আমাদের আরো অনেক কিছুর বিষয় আমাদের জেনে রাখা উচিত। তো চলুন আমরা এক নজরে দেখে নেয়ার চেষ্টা করি সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে কি কি বিষয়গুলি জানতে পারবো। সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে আমরা যা যা জানতে পারবো সেগুলো হল আমরা পিতামাতার খেদমত করব কেন,
পিতা মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব ও কর্তব্য, সন্তানের প্রতি পিতা মাতার দায়িত্ব ও কর্তব্য, সন্তানের প্রতি পিতা মাতার অবদান এবং সন্তানের প্রতি পিতা মাতার প্রত্যাশা সম্পর্কে। তাহলে চলুন আর দেরি না করে আমরা স্টেপ বাই স্টেপ সকল পয়েন্ট গুলো জেনে নেওয়ার চেষ্টা করি। আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনার অনেক উপকারে আসবে।
আমরা পিতামাতার খেদমত করব কেন
এই পৃথিবীর মধ্যে কেউ যদি সব থেকে আপনজন হয়ে থাকে তাহলে পিতা-মাতা। আপনি যেখানেই যতই বিপদে পড়েন না কেন সব সময় আপনি পিতামাতাকে পাশে পাবেন। আমরা পিতা-মাতার খেদমত করবো কেন এ বিষয়টি বলে শেষ করা যাবেনা। আমরা যদি আমাদের পিতা-মাতার খেদমত করি তাহলে শুধু দুনিয়াতে নয় আখেরাতেও অনেক সুখ শান্তি লাভ করতে পারব।
পৃথিবীতে কেউ পিতা-মাতার চেয়ে বেশি ভালবাসতে পারবেনা। এই পৃথিবীতে আমাদের জীবনের চেয়েও যদি বেশি কেউ ভালোবেসে থাকে সেটা হল পিতা-মাতা। আমরা যখন শিশু ছিলাম তখন আমাদের মল মূত্র পরিষ্কার করার পাশাপাশি অতি আদরের সাথে আমাদের লালন পালন করেছিলেন। বিভিন্ন সময় তারা না খেয়ে আমাদের খাইয়েছেন। তাছাড়া আমাদের যখনই অসুখ বিসুখ শরিলে আসতো
তখনই তারা না ঘুমিয়ে সারারাত জেগে জেগে আমাদের সেবা করত। তারা সব সময় দুশ্চিন্তায় থাকতো যতক্ষণ না আমরা সুস্থ না হতাম। আসলে বাবা-মা তখনই আনন্দ পায় যখন আমরা আনন্দ পাই আমরা যখন কষ্ট পাই তখন বাবা-মা অনেক কষ্ট পেয়ে থাকে। সন্তান যতই বড় হোক না কেন বাবা-মার ভালোবাসা কখনোই কমেনা। মূলত আমরা সেজন্যই আমাদের পিতা-মাতার খেদমত করবো।
আসলে বন্ধু পিতা-মাতার ঋণ আমরা কোনদিনই শোধ করতে পারবোনা কারণ দুনিয়াতে আমরা এসেছি তাদেরই মাধ্যমে। পিতা-মাতার সেনহো ও আদরে আমরা লালিত পালিত হয়ে বড় হয়েছি। পিতা-মাতা সব সময় আমাদের কল্যাণ এবং মঙ্গল কামনা করে থাকে। তারা চায় আমরা যেন সবসময় হাসিখুশি থাকি এবং সুখে থাকি। তাছাড়া আমাদের সুস্থতা এবং সুখ-সমৃদ্ধির জন্য আল্লাহর কাছে তারা সব সময় দোয়া করেন।
সেজন্যই পিতা মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব ও কর্তব্য রয়েছে অনেক। আমরা যতদিন দুনিয়াতে বাঁচবো পিতা মাতার খেদমত করে যাব ইনশাল্লাহ। আশা করি আপনি এতক্ষণে বুঝতে পেরেছেন আমরা পিতামাতার খেদমত করবো কেন।
পিতা মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব ও কর্তব্য
পিতা মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে জানার জন্য আর্টিকেলের এই অংশটুকু পড়তে থাকুন। আমরা এখানে খুবই সুন্দর ভাবে আলোচনা করেছি পিতা মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে। তো চলুন বন্ধু আর দেরি না করে আমরা বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়ার চেষ্টা করি পিতা মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব ও কর্তব্য গুলি।
আমাদের জন্মদাতা পিতা-মাতার চেয়ে এই পৃথিবীতে আর আপনজন বলে কেউ নেই। পিতা-মাতা আমাদের জন্য মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে বিশেষ রহমত। কথায় আছে না মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের বেহেশত। কোন বাবা-মা যদি তার সন্তানের জন্য আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করে তাহলে আল্লাহ সঙ্গে সঙ্গে সে প্রার্থনা কবুল করেন, বলুন আমিন। আমাদের প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
বেহেশত অর্জন করার পূর্ব শর্ত হলো পিতা-মাতার সঙ্গে সর্বদা সদ্ব্যবহার করা, সব সময় নরম ভাষায় কথা বলা এবং সম্মানে চোখে দেখা। প্রত্যেক পিতা মাতায় তার সন্তানের কল্যাণের কথা ভাবেন। কেউ যদি তার পিতা-মাতার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে তাহলে সেই সন্তান কখনো সফলতার পথে এগিয়ে যেতে পারবেনা। কারণ একমাত্র পিতা-মাতার অবাধ্য সন্তানের ধ্বংস অনিবার্য।
মহান আল্লাহ তা'আলা বলেছেন, তাকে ছাড়া অন্য কাউকেই এবাদত করো না এবং পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহার কর। পিতা মাতার মধ্যে কেউ কিংবা উভয়ই যদি তোমার জীবদ্দশায় বার্ধক্যে অপনিত হয়ম তাহলে তাদেরকে "উহ" শব্দটিও বলিও না, কখনোই তাদেরকে ধমক দিওনা, তাদের সাথে সবসময় শিষ্টাচার পূর্ণ কথা বল। পিতা-মাতার সামনে ভালোবাসার সাথে নম্রভাবে মাথা নত করে দাও।
এবং বল হে আল্লাহ পিতা মাতার ওপর তুমি রহমত করো, যেমন পিতা-মাতা আমাদেরকে শৈশবকালে লালন পালন করেছেন। কোন সন্তান যদি তার পিতামাতার সাথে উত্তম আচরণ করে তাহলে মহান আল্লাহ তা'আলা তাকে দুনিয়া এবং আখিরাতের কল্যাণ দান করবেন।কুরআন ও হাদিসের আলোকে পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের অত্যাবশ্যকীয় দায়িত্ব এবং কর্তব্যগুলো হল।
- সব সময় পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহার করুন এবং পিতা-মাতার প্রতি অনুগ্রহ প্রদর্শন করুন।
- পিতা-মাতার সঙ্গে সুন্দর ও মার্জিত ভাষায় কথা বলুন।
- পিতা-মাতার সাথে বিনম্রভাবে চলাফেরা করুন।
- পিতা-মাতার সুখ শান্তির জন্য ধন সম্পদ ব্যয় করুন।
- পিতা মাতার সাথে যেকোনো বিষয়ে পরামর্শ করুন।
- পিতা-মাতার সাথে কর্কশ এবং বিশ্রী বাক্যে কথা না বলুন।
- পিতা মাতার মৃত্যুর পর আল্লাহ তাআলার কাছে তাদের জন্য মাগফিরাতের দোয়া করুন।
- পিতা-মাতার ঋণ থেকে থাকলে তা পরিশোধ করুন।
- পিতা-মাতার ওসিয়ত গুলি পূর্ণ করুন।
সবশেষে আমরা বলতে পারি, সন্তান জন্ম হওয়ার পর থেকে পূর্ণ ব্যক্তিত্বে পরিণত হওয়া পর্যন্ত পিতা-মাতা সন্তানের জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করেন। পিতা-মাতা ছাড়া সন্তানের জন্য এত ভালোবাসার মানুষ আর কেউ নেই। তবে অতি দুঃখের সাথে আজকাল দেখা যাচ্ছে পিতা-মাতা বার্ধক্যে উপনীত হলে, অনেকেই পিতা-মাতাকে বৃদ্ধাশ্রম নামক কারাগারে পাঠিয়ে দিয়ে থাকে।
যেটি একজন সুদর্শন সন্তানের কাছ থেকে কোন ভাবে কাম্য নয়। এতে করে আমাদের মহান আল্লাহর আরশ পর্যন্ত কেঁপে ওঠে। এবং জমিন অভিশাপ করে। তাই আসুন আমরা সকলেই চেষ্টা করি আমাদের পিতা-মাতা দুইজনকেই বা কোন একজন বেঁচে থাকলে তাদের সেবা যত্ন করে আল্লাহর সন্তুষ্টি এবং জান্নাত অর্জন করি। আশা করি এতক্ষণে আপনি বুঝতে পেরেছেন পিতা মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে।
সবশেষে আমরা আপনাকে একটা কথাই বলতে চাই, আমাদের সকলেরই উচিত আমাদের মা-বাবাকে সুখে শান্তিতে রাখার।এবং মা-বাবার সেবা যত্ন করার। কারণ আমাদের মা-বাবা যদি আমাদের জন্য একটু দোয়া করে সেই দোয়াই সঙ্গে সঙ্গে আল্লাহ তাআলা কবুল করে নিবেন। আমরা আমাদের মা-বাবার ঋণ কখনো শোধ করতে পারব না। তাই বন্ধু আমরা সকলেই আজ থেকে চেষ্টা করি মা-বাবার সেবা যত্ন করার। এবং সারা জীবন মা-বাবার পাশে থাকার।
সন্তানের প্রতি পিতা মাতার দায়িত্ব ও কর্তব্য
সন্তানের প্রতি পিতা মাতার দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে জানার জন্য আর্টিকেলে এই অংশটুকু পড়তে থাকুন। কারণ আমরা আর্টিকেলের এই অংশে খুবই সুন্দরভাবে আলোচনা করেছি সন্তানের প্রতি পিতা মাতার দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে। তো চলুন বন্ধু আর দেরি না করে আমরা বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়ার চেষ্টা করি সন্তানের প্রতি পিতা মাতার দায়িত্ব ও কর্তব্য গুলি।
প্রত্যেকটি সন্তানের পিতা-মাতার কাছে মূল্যবান সম্পদ ও দুনিয়ার সৌন্দর্য স্বরূপ। এই অমূল্য সম্পদকে পিতা-মাতা যেভাবে লালন-পালন করবে ঠিক সেভাবেই সে গড়ে উঠবে। তাই যদি প্রত্যেক পিতা-মাতাই তার ছেলে মেয়েকে ইসলামী আদর্শে গড়ে তুলতে পারে তাহলে তারা দুনিয়াতে যেমন উপকারে আসবে তেমনি ভাবে পরকালেও মুক্তির কারণ হবে।
আসলে যখন জৈনিক ব্যক্তিকে জান্নাতের সর্বোচ্চ মর্যাদায় আসীন করা হবে, তখন সে অবাক হয়ে বলবে এমন মর্যাদা কোন আমলের বিনিময়ে আমি পেলাম?। আমি তো কখনোই এত সৎ আমল করিনি। তখন বলা হবে, তোমার জন্য তোমার সুসন্তানের প্রার্থনার কারণেই তোমাকে এই মর্যাদাটি দেওয়া হয়েছে। একটি মানুষ যখন মৃত্যুবরণ করেন তখন সৎ সন্তানের দোয়া পিতা-মাতার ওপরে আসতে থাকে।
সব সময় নিজেকে জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা করার পাশাপাশি প্রত্যেকটি সন্তানকেও বাঁচানোর চেষ্টা করতে হবে। আল্লাহ তাআলা বলবেন, হে ঈমানদারগণ! তোমরা তোমাদের নিজেদেরকে এবং তোমাদের পরিবার পরিজনদেরকে জাহান্নামের আগুন হতে রক্ষা করো। প্রত্যেকটি সন্তানকে সুসন্তান হিসেবে গড়ে তোলার জন্য পিতা-মাতার কিছু দায়িত্ব এবং কর্তব্য অবশ্যই রয়েছে,
পিতা-মাতার প্রধান দায়িত্ব হচ্ছে প্রত্যেকটি সন্তানকে দ্বীনি শিক্ষা দান করা। প্রিয়নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, প্রত্যেকটি মুসলিম নূর নারীর উপর দ্বীনি জ্ঞান অর্জন করা ফরজ। আর হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু বলেছেন, তোমরা তোমাদের সন্তানদেরকে দুইটি বিষয়ে শিক্ষা দাও। এর মধ্যে রয়েছে তাদেরকে কোরআন তেলাওয়াত শিক্ষা দেওয়া এবং কুরআনের জ্ঞান দেওয়া।
পৃথিবীতে কোরআন শিক্ষা দেওয়ার চেয়ে আর কোন উত্তম কাজ নেই। হযরত উসমান রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু থেকে বর্ণিত আছে যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, তোমাদের মধ্যে সেই সর্বোত্তম ব্যক্তি যে নিজে কোরআন শিক্ষা করে এবং অপরকে শিক্ষা দেয়। অন্যএ এরশাদ করেন, যে ব্যক্তি নিজের সন্তানকে কোরান শরীফ পড়ায়, তার আগের এবং পরের সকল গুনাহ মাফ হয়ে যায়।
আর যে ব্যক্তি সন্তানকে হাফেজ বানাবে, তাকে হাশরের ময়দানে পূর্ণিমার চাঁদের মতো উজ্জ্বল করে ওঠানো হবে কবর থেকে। এবং তার সন্তানকে বলা হবে পড়তে শুরু করো। যখনই সন্তান একটি আয়াত পড়বে তখনই পিতার একটি মর্যাদা বৃদ্ধি পাবে। এভাবে যখন সমস্ত কোরআন পড়া হবে তখন শেষ পর্যন্ত মাতা পিতার মর্যাদাও বৃদ্ধি পেতে থাকবে। আশা করি আপনি এতক্ষণে বুঝতে পেরেছেন সন্তানের প্রতি পিতা মাতার দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে।
সবশেষে আমরা আপনাকে একটা কথাই বলতে চাই সেটা হল। আপনার সন্তানকে অবশ্যই আপনি গড়ে তুলুন কোরআন শিক্ষা দিয়ে। তাহলে আপনি এই দুনিয়াতেও অনেক সম্মান লাভ করতে পারবেন এবং পরকালেও অনেক সম্মান পাবেন। দুনিয়াতে আপনি একটি সুসন্তান রেখে যেতে পারলে, সারা জীবন আপনি তার থেকে দোয়া পাবেন, এবং সেই দোয়ার মাধ্যমে আপনার অনেক গুনাহ মাফ হয়ে যাবে।
দুনিয়াতে আমরা কয়দিন বা বাঁচবো, দুনিয়া আমাদের জন্য একটি অল্প সময়। এই অল্প সময়ের মধ্যে যে যত আল্লাহর সন্তুষ্টর জন্য কাজ করবে সে ততই লাভবান হবে পরকালের জন্য। তাই বন্ধুর চেষ্টা করুন আজ থেকেই নিজে নামাজ পড়ার এবং আপনার সন্তানকে কুরআন শিক্ষা ও নামাজের জন্য আদেশ করার। শুধুমাত্র আপনি একটি সুসন্তানের কারণেই পরকালে জান্নাত লাভ করতে পারবেন।
সন্তানের প্রতি পিতা মাতার অবদান
সন্তানের প্রতি পিতা মাতার অবদান বলে শেষ করা যাবে না। একটি সন্তান জন্ম হওয়ার পর থেকেই তার পিতা-মাতার অবদানের কোন শেষ নেই। একটি সন্তান ছোট থেকে বড় হয়ে প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত পিতা-মাতার অবদান থাকে সর্বদা। একটি পিতা-মাতাই তার সন্তানের জন্য দোয়া কামনা করে থাকে। আর পিতা-মাতার দোয়া আল্লাহ তায়ালা সঙ্গে সঙ্গে কবুল করেন।
তাই আমরা যদি বলতে যাই সন্তানের প্রতি পিতা মাতার অবদান সম্পর্কে তাহলে সেটি বলে শেষ করা যাবে না। সন্তান যখন হাসিখুশি থাকে তখন পিতা-মাতাও অনেক আনন্দ পায়। আর যদি সন্তান দুঃখে থাকে তাহলে পিতা-মাতা অনেক কষ্ট পায়, এবং আল্লাহর কাছে সব সময় প্রার্থনা করতে থাকে। পিতা মাতার রেইন একটি সন্তান কখনোই পূরণ করতে পারবে না। কারণ পৃথিবীতে যদি স্বার্থ ছাড়া কেউ ভালোবেসে থাকে তাহলে সেটা হল পিতা-মাতা।
সেজন্য আমাদের প্রত্যেকটি সন্তানেরই উচিত পিতা-মাতার সঙ্গে ভালো আচরণ করার। যেন কোনো কারণেই আমাদের কাছ থেকে আমাদের পিতা-মাতা কষ্ট না পায়। পিতা-মাতা ছাড়া পৃথিবী অন্ধকার। কোন সন্তান যদি পিতা-মাতাকে সন্তুষ্টি রাখতে পারে। তাহলে আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে তার উপর শান্তি নাযিল হয়। সেজন্য সর্বদা আমাদের চেষ্টা করতে হবে আমাদের পিতা-মাতাকে সন্তুষ্টি রাখার।
পিতা-মাতা যখনই আমাদের যে কাজ বলবে সঙ্গে সঙ্গে সে কাজ করার চেষ্টা করতে হবে। এবং পিতামাতাকে কখনোই কোন কষ্ট দিয়ে কথা বলা যাবে না, পিতামাতা যদি সন্তানের মাধ্যমে কষ্ট পায়, তাহলে আল্লাহতালার আরশ পর্যন্ত কেঁপে ওঠে। তবে বর্তমান সময়ে এখন অনেককে দেখা যায়, যখনই পিতা-মাতা বৃদ্ধ হয়ে যায় তখনই বৃদ্ধাশ্রমের মত জেলখানায় রেখে আসতে। কিন্তু এটা যে কত বড়টা জঘন্যতম কাজ সেটা অনেকেই জানেনা।
তাই বন্ধু আসুন আজ থেকে আমরা চেষ্টা করি বাবা-মাকে সব সময় খুশি রাখা এবং তাদের পাশে আজীবন ধরে থাকার। কারণ তারা যদি আমাদের উপর সন্তুষ্ট হয়ে আল্লাহ তাআলার কাছে দোয়া করে তাহলে সেই দোয়া আমাদের ওর সঙ্গে সঙ্গেই কবুল হবে। তাই বন্ধু বলাই যায় পিতা-মাতার ঋণ আমরা কখনো শোধ করতে পারবোনা। তাই বন্ধু আজ থেকে তুলুন আমরা চেষ্টা করি আমাদের জীবনের সবটুকু ভালোবাসা দিয়ে পিতা-মাতাকে আগলে রাখার।
আশা করি আপনি এতক্ষণে বুঝতে পেরেছেন সন্তানের প্রতি পিতা মাতার অবদান সম্পর্কে।
সন্তানের প্রতি পিতা মাতার প্রত্যাশা
সন্তানের প্রতি পিতা মাতার প্রত্যাশা সম্পর্কে আপনি কি জানতে চাচ্ছেন?। তাহলে আর্টিকেলের এই অংশটুকু পড়তে থাকুন। কারণ আমরা এখানে খুবই সুন্দর ভাবে আলোচনা করেছি সন্তানের প্রতি পিতা মাতার প্রত্যাশা সম্পর্কে। তো চলুন আর দেরি না করে আমরা বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়ার চেষ্টা করি সন্তানের প্রতি পিতা মাতার প্রত্যাশা গুলি।
আরো পড়ুনঃ অর্থ সঞ্চয় করা কেন ভালো
আমাদের মতে, সন্তানের প্রতি পিতা মাতার প্রত্যাশা অনেক থাকতেই পারে বিভিন্ন রকমের বা বিভিন্ন ধরনের। তবে সবসময় প্রত্যাশা কেন থাকবে? প্রত্যাশা ছাড়া কি আসলে সন্তানকে কি মানুষ করা যায় না। প্রত্যেকটি পিতা মাতায় হল নিঃস্বার্থ মানুষ। কিন্তু হ্যাঁ ব্যক্তি বিশেষে ব্যাপার অন্যরকম হয়। তবে ইনশাল্লাহ আমি যদি কখনো বাবা হই তাহলে বলব আমার সন্তান যেন আল্লাহভীরু এবং ভালো মনের মানুষ হয়।
আর অবশ্যই আমি আমার সন্তানকে কোরআন শিক্ষা দেওয়ার চেষ্টা করব। যেন আমার সন্তান আমার জন্যও দোয়া কামনা করতে পারে। কারণ কোরআন শরীফে বলা আছে, কোন ব্যক্তি যদি দুনিয়াতে সুসন্তান রেখে যেতে পারে তাহলে তার দোয়া আল্লাহ তায়ালা কবুল করবেন, এবং তাকে আল্লাহ তা'আলা হাশরের ময়দানে বিশেষ মর্যাদা দান করবেন। তাই আমরা বলব প্রত্যেকটি পিতা-মাতার সন্তানের উপর প্রত্যাশা করা উচিত
তার সন্তান যেন সুসন্তান হিসেবে মানুষ হয়। আশা করি বন্ধু আপনি এতক্ষণে বুঝতে পেরেছেন সন্তানের প্রতি পিতা-মাতার প্রত্যাশা কি হওয়া উচিত তা সম্পর্কে।
লেখকের মন্তব্য | পিতা মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব ও কর্তব্য | সন্তানের প্রতি পিতা মাতার দায়িত্ব ও কর্তব্য
প্রিয় পাঠক, এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনি নিশ্চয়ই ইতিমধ্যে জেনে গেছেন, পিতা মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব ও কর্তব্য এবং সন্তানের প্রতি পিতা মাতার দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে। আমরা যেহেতু প্রত্যেককেই আমাদের বাবা-মাকে অনেক ভালবেসে থাকি এবং অনেক সম্মান করে থাকে, সেহেতু আমাদের সকলেরই উক্ত বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে রাখা উচিত।
তবে এই আর্টিকেলটি পড়তে গিয়ে আপনার যদি কোথাও কোন সমস্যা হয়ে থাকে বা বুঝতে না পারেন তাহলে অবশ্যই আমাদেরকে কমেন্টে জানিয়ে দেবেন আমরা যত দ্রুত সম্ভব ওই বিষয়গুলি বুঝিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব। আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনার কাছে অনেক ভালো লেগেছে এবং এ আর্টিকেলটি আপনার অনেক উপকারে আসবে। তাই আর্টিকেলটি আপনার কাছে ভালো লেগে থাকলে আপনি অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না,
কেননা আপনার বন্ধুরা আপনার মাধ্যমে জানতে পারবে পিতা মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব ও কর্তব্য - সন্তানের প্রতি পিতা মাতার দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে। আর অবশ্যই আমাদের এই ওয়েবসাইটে নিয়মিত ভিজিট বা ফলো করার চেষ্টা করবেন কারণ আমরা এই ওয়েবসাইটে নিয়মিত নতুন নতুন ব্লক পোস্ট বা আর্টিকেল পাবলিশ করে থাকি। আসসালামু আলাইকুম।
সাগর ম্যাক্স এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url