ফর্সা হওয়ার জন্য কি খাওয়া উচিত - কালো থেকে ফর্সা হওয়ার উপায়

গার্লফ্রেন্ডকে কি গিফট করা যায়প্রিয় পাঠক, আপনি নিশ্চয় জানতে চাচ্ছেন, ফর্সা হওয়ার জন্য কি খাওয়া উচিত এবং কালো থেকে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে। তাহলে বন্ধু আপনি সঠিক জায়গাতেই এসেছেন কারণ আপনার সামনে এখন আমরা আলোচনা করতে চলেছি ফর্সা হওয়ার জন্য কি খাওয়া উচিত এবং কালো থেকে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে।
ফর্সা-হওয়ার-জন্য-কি-খাওয়া-উচিত
আপনি যদি এই আর্টিকেলটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে ফর্সা হওয়ার জন্য কি খাওয়া উচিত এবং কালো থেকে ফর্সা হওয়ার উপায় এ সকল বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানতে পারবেন। এছাড়াও জানতে পারবেন তাড়াতাড়ি ফর্সা হওয়ার উপায়।
পোস্ট সূচিপত্রঃ

ভূমিকা

আসলে নিজেকে সুন্দর দেখাতে কে না চাই। বিশেষ করে নারীরা সুন্দর্য সচেতন হয়ে থাকে। একজন মানুষের মন ও শরীর দুটো যদি পজেটিভ ও সুন্দর থাকে তবে তিনি একজন সুন্দর মানুষ। এছাড়া ব্যক্তিগত পছন্দ থাকতেও পারে। ত্বক উজ্জ্বল দেখাতে কিংবা মুখে ত্বক নিখুঁত দেখাতে অনেকেই মেকআপ এর উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে। তবে প্রাকৃতিকভাবে গায়ের রং ফর্সা করার অনেক উপায় রয়েছে। তাই মেকআপের কোন প্রয়োজন নেই।

কিছু সহজ উপায় কয়েক সপ্তাহ মেনে চললে প্রাকৃতিক ভাবে গায়ের রং ফর্সা হয়ে যাবে। এবং ফর্সা হওয়ার মনের আশা পূরণ হবে। তবে চলুন জেনে আসি সেগুলো কি। প্রখর রোদে বা বাড়ির বাইরে থাকার কারণে এক সময় তো কালো হয়ে যায়। তাই আপনি কি কিভাবে ফর্সা হওয়া যায় এবং স্থায়ী ফর্সা হওয়ার উপায় জানতে চাচ্ছেন। তাহলে চলুন দেরি না করে আমরা ঝটপট জেনে আসার চেষ্টা করি ফর্সা হওয়ার জন্য কি খাওয়া উচিত ও কালো থেকে ফর্সা হওয়ার উপায়

এবং তাড়াতাড়ি ফর্সা হওয়ার উপায়। ফর্সা হতে কে না চায়, আমরা সকলেই চাই ফর্সা হবে। কিন্তু কথা হল কিভাবে আমরা ভরসা হব সেটাই জানি না। তবে বন্ধু আর চিন্তার কোন কারণ নেই কেননা আমরা এখনই আপনার সাথে এমন কিছু প্রাকৃতিক উপায় শেয়ার করতে চলেছি এগুলো যদি আপনি আপনার বাসায় বানিয়ে  ত্বকে মারতে পারেন। তাহলে আপনি কিছুদিনের মধ্যেই আপনার ত্বকের পরিবর্তন দেখতে পারবেন।

যেহেতু আপনি এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়বেন। সেহেতু আপনার জানা প্রয়োজন এই আর্টিকেলটি সম্পন্ন মনোযোগ সহকারে পড়ার মাধ্যমে আপনি কি কি বিষয় জানতে পারবেন। তো চলুন আমরা এখনই এক নজরে দেখিনিই আমরা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে কি কি বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানতে পারব। প্রাকৃতিকভাবে ফর্সা হওয়ার উপায়, কালো থেকে ফর্সা হওয়ার উপায়, তাড়াতাড়ি ফর্সা হওয়ার উপায়,

এক মাসে ফর্সা হওয়ার উপায়, ৩ দিনে ফর্সা হওয়ার উপায়, ফর্সা হওয়ার জন্য কি খাওয়া উচিত এবং ফর্সা হওয়ার ডাক্তারি ক্রিম। আশা করি এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ স্টেপ বাই স্টেপ মনোযোগ সহকারে পড়ার মাধ্যমে আপনি এ সকল বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানতে পারবেন। তো চলুন আমরা যে সমস্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে জেনে আসা চেষ্টা করি।

প্রাকৃতিকভাবে ফর্সা হওয়ার উপায়

প্রাকৃতিকভাবে ফর্সা হওয়ার জন্য প্রথমেই ত্বকের সঠিক যত্ন নিতে হবে। সুস্থ থাকার প্রতিবিম্ব হল সুন্দর মুখ। সেজন্য আপনি যদি হাইড্রেটেড থাকেন সব সময় তবে আপনার ত্বক স্বাভাবিকভাবেই ভালো থাকবে। এছাড়াও ক্লিনজিং, এক্সফোলিয়েটিং ও মাইশচারাইজড করার অভ্যাস গড়ে তুলুন। হাইড্রেটেড থাকতে প্রতিদিনের রুটিনে সিরাম বা ফেসিয়াল তেল যোগ করুন।

সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে ভুলবেন না যেন। প্রাকৃতিকভাবে ফর্সা হতে চাইলে প্রচুর পরিমাণ পানি পান করুন। দৈনিক অন্তত ১২ থেকে ১৪ গ্লাস পানি পানের অভ্যাস গড়ে তুলুন। বিপাকতন্ত্রকে স্বাভাবিক রাখার জন্য সকালে খালি পেটে এক গ্লাস নেব ও গরম পানি পান করুন।প্রাকৃতিকভাবে ফর্সা হওয়ার জন্য অবশ্যই আপনাকে স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে,

তত চুল সহ সামগ্রিক চেহারায় সুন্দরের ভাব আনতে স্বাস্থ্যকর খাবার খুব প্রয়োজন।প্রক্রিয়াজাত খাবার যেমন চিনি ও অ্যালকোহল যত কম খাবেন ততই আপনার জন্য ভালো হবে। খাদ্যের তালিকায় প্রচুর পরিমাণে তাজা ফল সবজি চর্বিহীন প্রোটিন ও স্বাস্থ্যকর চর্বি। ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে প্রাকৃতিক উপাদানে ভরসা রাখুন।

ময়েশ্চারাইজার হিসাবে নারিকেল তেল ব্যবহার করতে পারেন। রোদে ত্বক পুড়ে গেলে বারদে পোড়ার প্রতিকার হিসেবে এলোভেরা, চন্দন ব্যবহার করা প্রয়োজন। নিয়মিত ওয়ার্ক আউট করার অভ্যাস গড়ে তুলুন। আপনার জীবন সঠিকভাবে পরিচালনা করার জন্য শরীরের প্রত্যেকটি অংশের সাথে জড়িত থাকে ব্যায়াম, তাই ব্যায়াম সুন্দর থাকতে নিয়ম করা জরুরী।

কালো থেকে ফর্সা হওয়ার উপায়

আমাদের সবার জীবনে একটা অংশ হলো নিজেকে সুন্দর এবং আকর্ষণীয় ভাবে সবসমার জন্য রাখা। নারী হোন কিংবা পুরুষ হন যাই হোক না কেন আমরা সবাই সুন্দরের অধিকারী হতে চাই। কারণ একটা সুন্দর মুখের প্রশংসা সবাই করে থাকে। কেননা আপনি যদি দেখতে সুন্দর হন তাহলে সব জায়গায় গ্রহণযোগ্যতা পাবেন।

এবং গ্রহণযোগ্যতা পেতে আপনার জন্য অনেকটাই সহজ হবে। সুতরাং আপনি যদি দেখতে ভালো না হন। তবে কেউ আপনাকে সহজে গ্রহণযোগ্যতা হিসেবে দাম দেবে না বা গ্রহণ করবেন না। দেখা যেতে পারে আপনার অফিসিয়াল মিটিং হলে আপনাকে দূরে রাখবে সেই মিটিং থেকে, তখন কিন্তু আপনাকে অনেকটাই খারাপ লাগবে বা যে কোন অনুষ্ঠানে আপনার বাধানো খুব একটা থাকবে না।

কিন্তু আপনি যদি দেখতে একটু ভালো হন কিংবা সুন্দর হন তাহলে অবশ্যই আপনার ওই মিটিং য়ে অতিথি থাকতে বিশেষ জোর দেওয়া হবে। এবং যেকোনো অনুষ্ঠানে আপনার প্রতি আকৃষ্ট হবে সবাই আমাদের ব্যবহৃত জীবনে ফর্সা হওয়ার জন্য বা রূপচর্চাতেও হলুদ অনেক সহায়তা করে। তাছাড়া হলুদ নানার রং পরিষ্কার করতে অনেকটাই সহায়তা করে।

বিশেষ করে কাল যে ছোট দাগ দূর করতে হলুদ খুবই কার্যকারী একটি মাধ্যম। অনেক সময় দেখা যায় হলুদ সরাসরি মুখে এপ্লাই করতে অনেক সময় মুখে জলে বিভিন্ন ধরনের হতে পারে। তাই আপনি চাইলে একটি পেস্ট বানিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। এই পেস্ট বানানোর জন্য আপনার প্রথমে দরকার হবে তিনটে বেল চা চামচ কিংবা চার টেবিল চামচ গুরু দুধ, এক টেবিল চামচ লেবুর রস,

এবং কাঁচা হলুদ বাটা এক চামচ। এবার এই সবগুলোকে এক সঙ্গে মিশিয়ে আপনার মুখে লাগান, এবং কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন যখন দেখবেন সম্পূর্ণ শুকিয়ে গেছে, তখন হালকা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে আপনার মুখের কালো ছোট ছোট দাগগুলো বা কালচে ছাপ গুলো দূর হয়ে যাবে। খেয়াল রাখবেন গরম জল দিয়ে কখনোই মুখ ধুবেন না।

তাড়াতাড়ি ফর্সা হওয়ার উপায়

তাড়াতাড়ি ফর্সা হওয়ার জন্য ১.৫ টেবিল চামচ গুঁড়ো দুধ এবং ২ টেবিল চা চামচ মধু ও এক টেবিল চামচ লেবুর রস, আধা টেবিল চামচ বাদামের তেল ভালোভাবে মিশিয়ে মুখে ১৫ থেকে ২০ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। তারপর পরিষ্কার করুন। এই ব্যাগটি মুখে সাইন আনতে আর রোদে পুড়া ভাব দূর করতে অনেকটা সাহায্য করবে।

এবং নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা থাকুন এবং বিশেষ করে ত্বকের যত্ন নিন সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ দিয়ে ফেলুন, এবং রোদে কম বেড়ানোর চেষ্টা করুন। তবে কাজে ক্ষেত্রে আমাদের রোদে বেড়াতে হতে পারে। কিন্তু দুপুরে এসে আবার অবশ্যই ফেস ওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন, তাহলে আপনার ব্লকের কালচে দাগগুলো দূর হয়ে যাবে।

তাছাড়া রাত্রে ঘুমানোর আগে অবশ্যই একবার হলেও ফেসওয়াশ দিয়ে মন দিয়ে ফেলুন, কারণ আপনার ত্বকে থাকা বিভিন্ন রকম মহিলা কৃষক দিয়ে মুখ ধোয়ার মাধ্যমে চলে যাবে এবং ত্বকটি সারারাতের জন্য সুন্দর থাকবে। কাল যে ভাব পড়ার সম্ভাবনাও থাকবে না।

১ মাসে ফর্সা হওয়ার উপায়

আমরা এখন আর্টিকেলের এই অংশে জানতে চলেছি ১ মাসে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে। তো চলুন জেনে নিই ১ মাসে ফর্সা হওয়ার উপায় গুলো।
  • প্রথমে সকালে ঘুম থেকে উঠে এক গ্লাস উষ্ণ পানি খালি পেটে খাবে। এবং চাইলে সামান্য মধুর মিশিয়ে নিতে পারেন।এক গ্লাস উষ্ণ পানি কেবল ত্বক নয়, আপনার দেহের যেকোনো জায়গা সতেজ করে তুলবে। এবং আপনার পরবর্তী রূপচর্চার জন্য তককে প্রস্তুত রাখবে।
  • তারপর মুখে ভাপ নিয়েন। একটি হাড়িতে গরম পানি নিয়ে সেই বাষ্পমুখে লাগান কয়েক মিনিট ধরে। তাই বলে খুব বেশি কাছ থেকে বাষ্প লাগাবেন না। এবং খুব বেশি উদযাপন যেন না লাগে আপনার মুখে। মুখে ভাপ দেওয়া হলে পরিষ্কার তুলে দিয়ে মুখ মুছেনি।
  • এরপর আসে ফেস মার্কসের পালা। একটি টমেটো নিবেন তারপর, মাঝ থেকে কেটে দুই ভাগ করে ভেতরে পাল্প সবটুকু বের করে নেয়ার পর তার সাথে দিন আদা চামচ লেবুর রস, এক টেবিল চামচ কাঁচা দুধ, সামান্য একটু মধু দিতে পারেন। এবং সম্ভব হলে এক টেবিল চা চামচ শসার রস ও দিন। ন্যাচারাল ব্লিচ হিসেবে কাজ করবে, দুধ যোগাবে ময়েশ্চার, এবং মধু ব্যাকটেরিয়া দূর করবে আক্রমণ আর শসা করবে অতিরিক্ত তেল। এই ফেস মাস্কটি মুখে ও গলায় হাতে কিংবা পায়ে এবং অন্যান্য যেকোনো জায়গায় মাখন। ২৫ থেকে ৩০ মিনিট রাখুন।তারপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন সুন্দরভাবে। মুখ মুচে হালকা ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিন। এবং কোথাও বের হওয়ার জন্য বা বের হওয়ার প্রয়োজন হলে অবশ্যইসানস্ক্রিন ক্রিম মাখুন।
  • ত্বকের রং ফর্সা করতে রোজ সকালে এক গ্লাস গাজরের জুস খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।গাজরের জুস রং ফর্সা করার জন্য খুব কার্যকারী একটি মাধ্যম। এটি প্রতিদিন এক গ্লাস বা হাফ গ্লাস করে খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। গাজরের জুস প্রাকৃতিক একটি উপাদান।

৩ দিনে ফর্সা হওয়ার উপায়

তিন দিনের ফর্সা হওয়ার জন্য সব থেকে কার্যকারী মাধ্যম হল লেবুর রস। লেবুর রস প্রাকৃতিক ব্লিচিং এজেন্ট, জাতককে ফর্সা করতে সাহায্য করে। লেবুর রস ব্যবহার করতে, ২ চা চামচ লেবুর রস টকে লাগিয়ে দুই থেকে তিন মিনিট ধরে আলতো করে ম্যাসেজ করুন। এরপর ১৫ থেকে ২০ মিনিট ধরে রাখার পর সুন্দর ভাবে ধুয়ে ফেলুন।

এমন করে তিন দিন ব্যবহার করুন, তাহলে আপনি নিজে নিজেই বুঝতে পারবেন আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা আগের থেকে অনেকটাই বেড়ে গেছে। হলুদের ফেস মাস্ক তিন দিনের টক ফর্সা করতে হলুদ ব্যবহার করা সহজ এবং কার্যকর এর উপায়। হলুদের ফেস মাস্ক তৈরি করতে তিন চা চামচ হলুদ গুড়ার সাথে ২৪ চামচ মধু মিশিয়ে নিতে পারেন।
এরপর তাকে ভালোভাবে প্রয়োগ করুন এবং ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ঘৃতকুমারী তিন দিনের ফর্সা হওয়ার জন্য ঘৃতকুমারী হল সবথেকে অন্যতম একটি মাধ্যম। কারণ ঘৃতকুমারী একটি প্রাকৃতিক ত্বক লাইটেনার, তাছাড়া এটি একদিন ব্যবহার ত্বকে করে তোলে। ঘৃতকুমারী ব্যবহার করার জন্য ত্বকে এর জেল এর ব্যবহার করুন

এবং ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে মাত্র তিন দিন ব্যবহার করতে থাকুন, তিন দিনের মধ্যে আপনার ত্বক অনেকটাই উজ্জ্বল হয়ে যাবে। বেসন হল স্থায়ী ফর্সা হওয়ার উপায় এর আরেকটি মাধ্যম বলতে পারেন।বেসন এক্সফোলিয়েটর, যা ত্বকের মৃত কোষ উপসরন করার পর ফর্সা করে।

বেসন ব্যবহার করতে পরিমাণ মতো পানির সাথে এটি মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন, তারপর ত্বকে পেজটি লাগান এবং পাঁচ থেকে দশ মিনিট পর ভালোভাবে শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। দই হলো কালো থেকে ফর্সা হওয়ার একটি মাধ্যমের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ একটি উপায়। দুই প্রাকৃতিক ইস্কিন লাইট না আর, যা ইস্কিনকে ময়েশ্চারাইজ করে ফর্সা করে তুলে।

দুই ব্যবহার করতে দুই চা চামচ দই তোকে প্রয়োগ করুন এবং শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানি,সাবান দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ভালো ফলাফল পাওয়ার জন্য এটি কমপক্ষে তিন দিন ব্যবহার করুন তখন আপনি নিজের ত্বকের ফর্সা অনুভব করবেন। পাকা পেঁপে হল প্রাকৃতিক। এক্সফোলিয়েটর, যা আপনার ত্বকের মৃত কোষগুলিকে অপসারণ করতে

এবং ত্বককে ফর্সা করার জন্য সাহায্য করে থাকে। পাকা পেঁপে ব্যবহার করার জন্য, একটি পাকা পেঁপে ছিলার পর আপনার ত্বকে লাগান। শুকিয়ে গেলে তিন থেকে পাঁচ মিনিট পর সুন্দর ঠান্ডা পানি দিয়ে আপনার ত্বক ধুয়ে ফেলুন। তাহলে তিন দিনে ফর্সা হতে আপনাকে পাকা পেঁপে অনেকটাই সাহায্য করবে।

ফর্সা হওয়ার জন্য কি খাওয়া উচিত

ফর্সা হওয়ার জন্য সবজির মধ্যে পালং শাক, টমেটো, ব্রোকলি, মিষ্টি আলো এবং করলা এগুলো আমাদের ত্বককে ফর্সা করতে বেশ কাজ করে থাকে। তাছাড়া এতে লাইকোপিন নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। এবং পানি জাতীয় খাবারের মধ্যে রয়েছে যেমন দুধ, টক দই, চিজ, আর প্রোটিনের জন্য রয়েছে ডিম, মাছ-মাংস হিসাবে।

তাই এগুলো নিয়মিত সেবন করুন। এই খাবারগুলি নিয়মিত আপনি খেলে আপনার ত্বক ফর্সা বা উজ্জ্বল হবে। জেনে নিন ত্বক ফর্সা বা উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে যে ৫টি খাবার।

১। নিয়মিত চকলেট খাবেন যে কারণে

আমাদের মধ্যে সবারই চকলেট পছন্দের একটি খাবার। এটি যে শুধু খেতে সুস্বাদু আসলে বিষয়টি সেটা নয়। সেই সঙ্গে এটি নানা গুণেও সমৃদ্ধ আছে। আপনি যদি চকলেট পছন্দ করে থাকেন তবে আপনার জন্য সুখবর হলো, এটি ত্বক ফর্সা করতে কাজ করে থাকে। চকলেটের মধ্যে থাকা কোকোয়া ত্বককে ভেতর থেকে আদ্র রাখতে পারে।

ফলে তো অনেকটাই উজ্জ্বল হয়। তবে এক্ষেত্রে মিল্ক চকলেট বাদ দিয়ে খেতে হবে ডার্ক চকলেট। কারণ ডার্ক চকলেটের কোকোয়ার পরিমাণ অনেকটাই বেশি থাকে। এবং সে সঙ্গে থাকে অ্যান্টি অক্সিডেন্টও। তাই সে কারণে ত্বকের উজ্জ্বলতা বা সুন্দর রাখা সহজ হয়।

২। নিয়মিত গাজর খাবেন যে কারণে

রাজোর যেমন সুস্বাদু একটি খাবার, তেমনি এর উপকারিতা ও একটু বেশি। গাজর ত্বকের জন্য ভীষণ উপকারী একটি খাদ্য। আপনি যদি নিয়মিত গাজর খেতে পারেন তাহলে ত্বকের অনেক সমস্যা দূর হয়ে যাবে। কারণ গাজরে থাকা বিটা ক্যারোটিন আমাদের ত্বকের জন্য অনেকটাই উপকারী। এটি এর ধরনের অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। এবং এতে আরো থাকে ভিটামিন এ। সেজন্য এইসব উপাদান ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে বেশ কাজ করে থাকে। সে সঙ্গে ত্বকের শুষ্কভাবও দূর করার কাজ করে।

৩। নিয়মিত টক দই খাবেন যে কারণে

আমাদের খাবারের তালিকায় টক দই রাখার উপকারিতা অনেক বেশি। এটি আমাদের ত্বক উজ্জ্বল বা ভালো রাখতেও কাজ করে। অনেকেই ফেসপ্যাকে টক দই ব্যবহার করে থাকেন। এবং টক দই খেলে ত্বক ভালো থাকে। আপনি যদি নিয়মিত টক দই খেতে পারেন তা আপনার ত্বকের জন্য খুবই ভালো উপকার হয়ে থাকবে। এতে করে আপনার ত্বক আরো বেশি উজ্জ্বল দেখাবে।

৪। নিয়মিত রসুন রসুন খাবেন যে কারণে

আমাদের জন্য রসুন উপকারী ভেষজ। এটি অনেক সময় রান্নার কাজেও ব্যবহার হয়। কিন্তু এই ভেষজ আমাদের ত্বকে সুন্দর বা ভালো রাখতে সাহায্য করে। এটি কি আপনি আগে কখনো জানতেন? আপনি যদি প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এক পোয়া রসুন খেতে পারেন সেক্ষেত্রে আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ানো সহজ হয়ে যাবে। কারণ এতে আছে অনেক পরিমাণ স্কিন প্রটেক্টিভ পলিফেলন।

৫। নিয়মিত আমন্ড খাবেন যে কারণে

ত্বক বা স্ক্রিনের জন্য আমন্ড হল একটি অন্যতম উপকারী মাধ্যম। এটি বিভিন্ন ত্বকের প্রোডাক্টেও ব্যবহার করা হয়। ত্বকের পাশাপাশি শরীর ভালো রাখতে কাজ করে এই বাদাম, ত্বকের সুস্থতার জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ। নিয়মিত আমন্ড যদি আপনি খেতে পারেন তবে রোদের কারণে সৃষ্ট ত্বকের ক্ষতি থেকে বাঁচতে পারবেন। আমন্ডে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই আছে। এটি ত্বককে টানটান রাখতে কাজ করে থাকে।

ফর্সা হওয়ার ডাক্তারি ক্রিম

আমরা আজকে ফর্সা হওয়ার ডাক্তারি ক্রিম নিয়ে এখানে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব।আপনি যদি দ্রুত এবং দীর্ঘস্থায়ী ফর্সা হওয়ার জন্য ডাক্তারি ক্রিম খুঁজে থাকেন তাহলে আজকে আপনারা এই কন্টেন্টের মাধ্যমে মূল্যবান কিছু ক্রিম এর বিষয়ে জানতে পারবেন যা আপনার ত্বকের জন্য অত্যন্ত কার্যকারী।

তাছাড়া ফর্সা হওয়ার ডাক্তারি ক্রিম সম্পর্কে অনেকেই মিথ্যা তথ্য দিয়ে থাকে এবং অনেক ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে। এ সমস্ত ক্রিম মাখার ফলে। তাই চলুন দেখে নেওয়া যাক ফর্সা হওয়ার ডাক্তারি কিছু ক্রিম এর নাম।

ফর্সা হওয়ার ডাক্তারি ক্রিমগুলোর নাম।

  • হিমালয়া রিভিটালিজিং নাইট ক্রিম
  • লোটাস হারবাল নিউটা নাইট ক্রিম
  • ল্যাকমি ফর্সা হওয়া নাইট ক্রিম
  • ওলে ন্যাচারাল হোয়াইট আল-ইন ফেযারনেস ক্রিম
  • লরিয়াল প্যারিস হোয়াইট পারফেক্ট নাইট ক্রিম
  • পর্নডস গ্লোড রেডিয়েন্স ইউথফুল নাইট ক্রিম
  • Lotus Herbals White Glow
  • Garnier Light Complete
  • Lakme Absolute Perfect Residence
  • Bella Vita Papayablem Anti Blemish 
এছাড়া বাজারে আরও ক্রিম রয়েছে যেগুলো খুবই ভালো মানের এক্ষেত্রে ডাক্তারেরা সাধারণত এই ক্রিমগুলোয় আপনাকে সাজেস্ট করে থাকবে. তবে প্রত্যেকটি ক্রিম যে আপনার ফেস এর জন্য কার্যকর হবে তা কিন্তু নয়। সেজন্যই মূলত আপনার ফেসে যেটি ব্যবহার করার ফলে সুন্দর ভাব আসে সেটি শুধু ব্যবহার করতে পারেন ডাক্তারের কাছ থেকে পরামর্শ নিয়ে।

শেষ কথা

প্রিয় পাঠক, এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনি নিশ্চয়ই এতক্ষণে জেনে গেছেন ফর্সা হওয়ার জন্য কি খাওয়া উচিত এবং কালো থেকে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে। শেষ কথা হিসেবে আপনাকে একটা কথাই বলতে চাই সেটা হল আপনি যদি আপনার ত্বকের নিয়মিত যত্ন নেন তাহলে অবশ্যই আপনি খুবই দ্রুত ফর্সা হবেন কিন্তু আপনি যদি আপনার ত্বকের যত্ন না নেন তাহলে যত কিছুই উপায় অবলম্বন করেন না কেন কোন প্রকার লাভ হবে না।
আশা করি আপনি যদি এই পোস্টটি সুন্দরভাবে মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকেন, তাহলে অবশ্যই আপনি উপকৃত হয়েছেন। সেজন্য এই আর্টিকেলটি আপনার কাছে ভালো লেগে থাকলে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না কেননা আপনার বন্ধুরাও আপনার মাধ্যমে জানতে পারবে ফর্সা হওয়ার জন্য কি খাওয়া উচিত এবং কালো থেকে ফর্সা হওয়ার উপায়। আর বিভিন্ন ধরনের নতুন নতুন পোস্ট পেতে আমাদের সাথেই থাকুন। আসসালামু আলাইকুম।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সাগর ম্যাক্স এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url