পড়ার সময় ঘুম কমানোর উপায় - দিনের বেলা ঘুম কমানোর উপায়

নাপা ট্যাবলেট খেলে কি হয়প্রিয় পাঠক, আপনি নিশ্চয় জানতে চান, পড়ার সময় ঘুম কমানোর উপায় এবং দিনের বেলা ঘুম কমানোর উপায় সম্পর্কে। তাহলে আপনি সঠিক জায়গাতেই এসেছেন কারণ আমরা এই আর্টিকেলে আলোচনা করেছি পড়ার সময় ঘুম কমানোর উপায় এবং দিনের বেলা ঘুম কমানোর উপায় সম্পর্কে। শুধু তাই নয় এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন অতিরিক্ত ঘুম থেকে মুক্তির উপায় কি সে বিষয়ে। ঘুম আমাদের শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ কিন্তু সেটা যদি অতিরিক্ত পরিমাণে হয় তাহলে সেটি আমাদের শরীরে অনেক ক্ষতি করতে পারে।
পড়ার সময় ঘুম কমানোর উপায় - দিনের বেলা ঘুম কমানোর উপায়
সেজন্য আমাদের জানা প্রয়োজন ঘুম কমানোর উপায় বিষয়ে। এছাড়াও অনেক সময় দেখা যায় আমরা যখনই পড়তে বসি তখনই আমাদের ঘুম অনেকটাই চেপে বসে। ঠিকমত পড়তে পারিনা একটু না পড়তেই অনেক ঘুম চলে আসে এবং টেবিলে আমরা অনেক সময় ঘুমিয়ে পড়ি। তবে চিন্তার কোন কারণ নেই আমরা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে খুবই সুন্দরভাবে আলোচনা করেছি পড়ার সময় ঘুম কমানোর উপায় সম্পর্কে। তো চলুন বন্ধু দেরি না করে আমরা ঝটপট জেনে আসার চেষ্টা করি পড়ার সময় ঘুম কমানোর উপায় ও দিনের বেলা ঘুম কমানোর উপায় এবং অতিরিক্ত ঘুম থেকে মুক্তির উপায়। আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনার অনেক উপকারে আসতে পারে বিশেষ করে আপনি যদি একটি স্টুডেন্ট হয়ে থাকেন।
পোস্ট সূচীপত্রঃ পড়ার সময় ঘুম কমানোর উপায় - দিনের বেলা ঘুম কমানোর উপায়

ভূমিকা

আপনার ঘুমানোর সময় কতটা হবে সেটা নির্ভর করবে শারীরিক অবস্থা ইত্যাদির ওপর। যেমন- নবজাতকের ঘুমের সময় আর একজন প্রাপ্তব বয়স্কর ঘুমের সময় কখনোই এক হবে না। বিশেষজ্ঞদের মতে প্রাপ্তবয়স্ক কারো জন্য দিনে অন্তত ছয় থেকে সাত ঘন্টা ঘুম জরুরি হয়ে থাকে। সেদিক থেকে যদি এক ঘন্টা এদিক-ওদিক হয় তাহলে কোন ব্যাপার না বা কোন সমস্যা নয়।

কিন্তু তখনই সমস্যা হবে যখন এর থেকে কম কিংবা এর থেকে বেশি ঘুম হবে। নির্দাহীনতা যেমন আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতি বয়ে আনতে পারে, তেমনি অতিরিক্ত ভ্রমও ক্ষতির কারণ হবে আমাদের জন্য। আপনারা যারা দিনে ৯ থেকে ১০ ঘণ্টা ঘুমান, তাদের শরীরে দেখা দিতে পারে নানা ধরনের রোগ বিধি। এছাড়াও ওজন বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে, মাথা ব্যথা, এবং পেটে ব্যথার মতো অনেক ধরনের সমস্যা দেখা দিবে।

আবার ডাইবেটিস পর্যন্ত হতে পারে এর কারণে। আর অতিরিক্ত ঘুমের কারণেই আমাদের জীবনে আসে ডিপ্রেশন। তাই কখন কিভাবে কতক্ষণ আপনি ঘুমাবেন এই বিষয় নিয়ে আমরা আজকে এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য সাজিয়েছি। এছাড়াও যদি আপনি আর্টিকেলটি পড়তে পারেন তবে আপনি অতিরিক্ত ঘুমের বিষয়ে যে কোন সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।

যাই হোক আমরা এক নজরে দেখে নেওয়ার চেষ্টা করি এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ স্টেপ বাই স্টেপ মনোযোগ সহকারে পড়ার মাধ্যমে যে সকল বিষয়গুলো সম্পর্কে আমরা জানতে পারবো সেগুলো হল অতিরিক্ত ঘুম থেকে মুক্তির উপায়, পড়ার সময় ঘুম কমানোর উপায়, কোন দিকে মুখ করে ঘুমানো উচিত, দিনের বেলা ঘুম কমানোর উপায় এবং সকালের ঘুম দূর করার উপায়।

তাহলে চলুন আমরা এ সমস্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে আসার চেষ্টা করি।

অতিরিক্ত ঘুম থেকে মুক্তির উপায়

অতিরিক্ত ঘুম থেকে মুক্তি পাবার জন্য প্রথমে আপনার বদ অভ্যাসগুলো দূর করা জরুরী, যেমন ঘুমানোর কিছুক্ষণ আগে সকালে উচিত টিভি, মোবাইল এবং ল্যাপটপ কম্পিউটার আপনার কাছ থেকে দূরে রাখা। এবং আপনার স্বাস্থ্যকে সুস্থ রাখার জন্য নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার খাওয়া আপনি যদি নিয়মিত সঠিক নিয়মে পুষ্টি পর খাবার খেতে পারেন তাহলে আপনার এলার্জি লেভেল ভালো থাকবে।

আপনার খাদ্যে প্রোটিন, ভিটামিন এবং কার্বোহাইড্রেটের একটি ভালো ভারসাম্য থাকা দরকার। কারণ কার্বোহাইড্রেটের সমৃদ্ধ খাবার শরীরে চিনি এবং ক্যাফেইনের মত একই রকম প্রভাব ফেলতে দেখা দেয়। আমাদের শরীরে ঘুম অত্যন্ত জরুরী এমনকি ঘুমানো স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভালো, কিন্তু যদি অতিরিক্ত ঘুমানোর অভ্যাস আপনার থাকে তাহলে আপনি দৈনন্দিন জীবনে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হবেন।

একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ যদি ৯ ঘন্টার বেশি ঘুমায় তাহলে সেটিকে অতিরিক্ত ঘুমের তালিকায় ধরা হয়। চিকিৎসা বিজ্ঞান অতিরিক্ত ঘুমকে একটি রোগ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। এবং এই রোগটির একটি নামও আছে "হাইপারসোমনিয়া"। আমাদের শরীরে অতিরিক্ত ঘুমের কারণে দেখা যায় আমরা অনেক সময় স্কুলে ক্লাস মিস করি,

আবার অনেকেই ঘুমের জন্য অফিসে সময় মত যেতে পারে না, এমনকি অতিরিক্ত ঘুমের কারণে কাজ ঠিকমতো করতে পারা যায় না। এছাড়াও অনেকের ক্ষেত্রে দেখা যায় সকাল দুপুর বিকাল সব সময় ঘুমায় এত ঘুমালে স্বাস্থ্যের জন্য অনেক ক্ষতি হয়ে থাকে। আসলে আমাদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে পড়ার সময় ঘুম কমানোর উপায় এবং দিনের বেলা ঘুম কমানোর উপায় সম্পর্কে জানার। কিন্তু আমাদেরকে আগে জানতে হবে অতিরিক্ত ঘুম থেকে মুক্তির উপায় কি সে বিষয়ে।

তাই অতিরিক্ত ঘুম কিভাবে কমাবেন তার কিছু টিপস আপনাদের সামনে তুলে ধরলাম।
  • ঘুমাবার আগে ঘরের পরিবেশ ঠিক করুন, এবং লাইট বন্ধ করুন। কোনো শব্দ যেন না আসে সে দেখে খেয়াল রাখুন। শান্ত সুন্দর পরিবেশ রাখার চেষ্টা করুন।
  • আপনি পরের দিনে কি করবেন সেই কাজগুলো সুন্দরভাবে গুছিয়ে রাখুন, না হলে লিখে রাখুন সকালে উঠে পরপর কি করতে হবে। সব সময় নিজেকে কাজে ব্যস্ত রাখার চেষ্টা করুন। ঘুম পেলে অফিসে অন্যদের সাথে গল্প করার চেষ্টা করুন। আপনি যদি চুপ করে বসে থাকেন তাহলে আপনার আবারও ঘুমের চাপ আসবে।
  • আপনি কখনোই শুয়ে শুয়ে বই পড়া বা অন্য কাজ করা থেকে বিরত থাকুন। আপনি যদি শুয়ে বই পড়েন তবে ঘুম চলে আসবে আপনার। তাই আপনার যদি শুয়ে বই পড়ার অভ্যাস থাকে তাহলে সেটিকে ট্যাগ করুন।
  • গান শুনতে পারেন, বিভিন্ন গবেষণা থেকে দেখা গেছে, গান মন ও মস্তিষ্কে স্বয়ংক্রিয় করে তুলতে পারে। তাই যখনই আপনার ঘুম ঘুম ভাব লাগবে আপনার পছন্দের সবচেয়ে প্রিয় গানগুলো শুনুন, তাহলে ঘুম কেটে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
  • আপনার যদি মাদক সেবন করার অভ্যাস থাকে তাহলে সেটিকে ট্যাগ করুন কারণ মাদক সেবন করলে রাতে ঘুম হয় না, আবার দিনের বেলায় খুব ঘুম ঘুম ভাব হয় শরীরের। মাদক সেবন করলে শরীর হতে থাকে না। শরীরে একটি ঝিমঝিম ভাব থাকে তাই অতিরিক্ত ঘুম থেকে মুক্তি পেতে মাদক সেবন থেকে দূরে থাকুন।

পড়ার সময় ঘুম কমানোর উপায়

আমরা এতক্ষণ জানলাম অতিরিক্ত ঘুম থেকে মুক্তির উপায় সম্পর্কে। এখন আমরা আর্টিকেলের এই অংশে জানতে চলেছি পড়ার সময় ঘুম কমানোর উপায় কি সে বিষয়ে। আমাদের মধ্যে অনেকেরই একটানা চার থেকে পাঁচ ঘন্টা পর আর কথা বলে তবে মনোযোগ না হারিয়ে এটি করা প্রায় অসম্ভব। একটানা সর্বোচ্চ তিন ঘন্টার বেশি পড়া উচিত নয়।

প্রতি তিন ঘণ্টা পর পর ২০ মিনিটের বিরতি বা আধা ঘন্টা বিরতি নিতে হবে। এ সময়ে শ্বাস-প্রশাসের ব্যায়াম করা জরুরি। আপনাদের মধ্যে অনেকেরই অভিযোগ থাকে, পড়তে বসলেই ঘুম চেপে আসে। এটা আসলে সবার ক্ষেত্রে হয়ে থাকে। কিন্তু এর ফলে পড়ালেখার ক্ষতি হয় এবং রেজাল্ট খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। একটি ওয়েবসাইটের এক প্রতিবেদনে পড়ার সময় ঘুম তাড়ানোর উপায় জানিয়েছে তবে চলুন দেখে নেওয়া যাক।

স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া

আপনার যদি পড়াশোনা করার সময় প্রচন্ড পরিমাণে ঘুম আসে তাহলে আপনি বুঝবেন আপনার শাস্তি পুষ্টির ঘাটতি আছে। তাই পড়াশোনা সময় ঘুমিয়ে পড়া থেকে বিরত থাকতে পুষ্টিকর খাবার এবং ভাইবার সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন। সালাদ, মসুর ডাল এবং ফল ও শাকসবজি সমুদ্র সুষম স্বাস্থ্যকর খাবার নিয়মিত খাওয়া দরকার বা খাদ্যের তালিকায় রাখা প্রয়োজন আপনার।

তাছাড়া সাধারণত যে খাবারে ফ্যাট বেশি থাকে তা আমাদের তন্দ্রাচ্ছন্ন এবং অলস করে তুলতে পারে। সেজন্য আমাদের দিনের বেলা ঘুম চলে আসে অনেক সময়। সেজন্যই মূলত আমরা নিচের অংশে আলোচনা করেছি দিনের বেলা ঘুম কমানোর উপায় সম্পর্কে। আপনি সেখান থেকে জেনে নিতে পারবেন দিনের বেলা ঘুম কমানোর উপায় কি সে বিষয়ে।

যাই হোক আমরা ঐ দিকে না গিয়ে পড়ার সময় ঘুম কমানোর উপায় বিষয়ে আলোচনা করি। আমরা নিচে কিছু টিপস আপনার সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি সেগুলো আপনি অবলম্বন করতে পারেন।
  • সব সময় পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
  • আপনি টেবিল থেকে উঠুন এবং কিছুক্ষণ ঘোরাফেরা করে আসুন।
  • পাওয়ার ন্যাপ নিন।
  • আপনি শব্দ করে পড়ার চেষ্টা করুন এবং পড়ার সময় লেখালেখি করার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
  • একটানা অনেকক্ষণ পড়াশোনা থেকে বিরত থাকুন।
  • আপনি যেগুলো পড়ছেন সেগুলো ঘুরিয়ে ফিরিয়ে পড়ুন।
  • এবং পড়াশোনা করার সময় আপনার কখনো আরাম করা যাবে না।
  • আপনাকে কিছুক্ষন পরপর মুখ ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে।
  • আপনি নিজের সঙ্গে কথা বলতে পারেন বা বলুন।
  • এবং আপনি বিভিন্ন ফ্লেভারের চুইংগাম খেতে পারেন।
  • চোখকে বিশ্রাম দিন।
  • কফি বা চা এবং অন্যান্য পানীয় পান করতে পারেন।
  • এবং আপনার বন্ধুদের সাথে কুইজ প্রতিযোগিতা করতে পারেন।
  • কিছুক্ষণের জন্য গান শুনতে পারেন।
  • আকুপ্রেশার নিলে ভালো হয়।

কোন দিকে মুখ করে ঘুমানো উচিত

এতক্ষণ আমরা জানলাম পড়ার সময় ঘুম কমানোর উপায় সম্পর্কে। এখন আমরা পোস্টের এই অংশে জানবো কোন দিকে মুখ করে ঘুমানো উচিত। আমাদের মধ্যে ঘুম নিয়ে স্পর্শকাতার অনেক মানুষ রয়েছে। বিছানার কোন দিকে ঘুমাবো, কোন দিকে মাথা দিব, এমনকি এইসব নিয়ে বিস্তর মাথা ঘামান অনেকেই। এসব নিয়ে নানা যুক্তি ও শোনা যায় মাঝে মধ্যে।

অনেক সময় সোনা যায় উত্তর দিকে মাথা দিয়ে ঘুমানো উচিত নয় করেন অনেকে, আসলে কি বিষয়টা সঠিক? একটি সংবাদ মাধ্যমে দেখা গিয়েছে, ঘুমানোর ভৌগলিক দিকনির্দেশ এর উল্লেখ পাওয়া যায় ফেংশুই এবং বাস্তুশাস্ত্রেও। এখানে উল্লেখ করা হয়েছে, উত্তর দিকে মাথা করে ঘুমানো একেবারেই উচিত নয়। কারণ হিসেবে বলেছে ,

আমাদের দেহের উত্তর মেরুতে পৃথিবীর চুম্বকীয় ক্ষেত্রগুলি রয়েছে। তাই শরীরের উত্তর মেরুও যদি আপনি সেদিকে রাখেন তাহলে দুই মেরু মিলে যায়। এতে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে, অনিদ্রা, এমনকি ঘুমের মধ্যে অনেক খারাপ স্বপ্ন দেখা, আচমকা ঘুম ভেঙ্গে যাওয়ার মত সমস্যা গুলো দেখা দেয়। এমন কি আপনার শরীরের রক্তের সঞ্চালন প্রক্রিয়া বিঘ্ন ঘটে এবং পলিস্টেরল বেড়ে যায়।

কিন্তু বিজ্ঞানীদের মতে এতসব যুক্তি নেই। পার্থিব চৌম্বকীয় ক্ষেত্রের মানব শরীরে কোন প্রভাব ফেলে না এমনটাই বলেছেন বিশেষজ্ঞরা। তাই উত্তর দিকে মাথা দিয়ে ঘুমানো জন্য সমস্যা হয়েছে, এমন কিছু কোন পরীক্ষাতেই পাওয়া যায়নি, সুতরাং বিজ্ঞানীদের মতে আপনি যেভাবে ঘুমালে আরাম বোধ করবেন বা সহজে ঘুম আসবে সেভাবে ঘুমানো উচিত।

দিনের বেলা ঘুম কমানোর উপায়

আমরা এতক্ষণ জানলাম কোন দিকে মুখ করে ঘুমানো উচিত। এখন পোস্টটির এই অংশে আমরা জানব দিনের বেলা ঘুম কমানোর উপায় সম্পর্কে। আসলে আমাদের মধ্যে অনেকেরই দিনের বেলায় অযথাই ঘুম আসে বা ঘুম ঘুম ভাব পায় শরীরে। তবে এই ঘুম কমানোর কিছু কৌশল মেনে চললে দিনের বেলায় ঘুমের ভাব অনেকটাই কমানো সম্ভব আমাদের। তাই দিনের বেলায় ঘুম ঘুম ভাব থেকে নিজেকে মুক্ত করার জন্য কিছু সহজ উপায় জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিষয়ক ওয়েবসাইট ওয়ান মিলিয়ন হেলথ টিপস।

হালকা ব্যায়াম করতে পারে

আপনার দিনের বেলায় ঘুম দূর করার উপায় হল হালকা ব্যায়াম করে নেওয়া। এক্ষেত্রে পুশ- আপ, ক্রাঞ্চেস, এবং পা ওঠা নামা বা জগিং করতে পারেন। এটা আপনার ওজন কমাতে কাজ করবে এবং দিনের বেলায় আপনাকে ঘুম থেকে বিরত রাখবে।

কাজের ফাঁকে ফাঁকে নিজেকে বিরতি দিন

আপনার কাজের সময় খুব ঘুম ঘুম ভাব পেলে একটু বিরতি নিতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনি যেখানে বসে থেকে কাজ করছেন সেখান থেকে একটু দূরে গিয়ে হাঁটা হাঁটি করুন। এটিও আপনার দিনের বেলায় ঘুম কমাতে সহযোগিতা করবে।

ঘুম আসার সময় চা কফি পান করতে পারেন

আপনার ঘুম দূর করতে চা কফি পানের উপায়টি বেশ পুরনো মাধ্যম। আপনি এটাকেও কাজে লাগাতে পারেন ঘুম দূর করার জন্য।

১০ থেকে ২০ মিনিট একটু ঘুমিয়ে নিতে পারেন

দিনের বেলায় আপনার যদি খুব ঘুম পায় তবে আপনি অন্তত ১০ থেকে ২০ মিনিট ঘুমিয়ে নিন। এতে করে আপনার শরীর অনেকটাই চাঙ্গা হয়ে যাবে, এবং আপনার শরীর থেকে অলসতা ভাব দূর হবে।

আপনাকে রাতে ভালোভাবে ঘুমাতে হবে

আপনার দিনে ঘুম পাওয়ার একটি বড় কারণ হলো রাতে ভালোভাবে না ঘুমানো লক্ষণ। আপনাকে কমপক্ষে রাতে অন্তত ছয় থেকে সাত ঘন্টা ঘুমানো প্রয়োজন। আপনি যদি রাতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমান তাহলে দিনের বেলায় ঘুম ঘুম অনেকটাই কমানো সম্ভব।

সকালের ঘুম দূর করার উপায়

এতক্ষণ আমরা জানলাম দিনের বেলা ঘুম কমানোর উপায় সম্পর্কে। এখন আমরা পোস্টটির এই অংশে জানতে চলেছি সকালের ঘুম দূর করার উপায় কি সে বিষয়ে। আমরা সকলেই সকালে ঘুম থেকে তাড়াতাড়ি উঠার জন্য অনেক চেষ্টা করে থাকি কিন্তু আমরা তাড়াতাড়ি সকালে ঘুম থেকে উঠতে পারি না।

সেটার বড় কারণ হলো- রাতে আমরা সোশ্যাল মিডিয়া থেকে দূরে থাকতে পারে না সেজন্য। মোবাইল কম্পিউটার ল্যাপটপ ইত্যাদি এর সাথে ওয়াইফাই এর কানেকশন থাকায়, আমরা যেকোন জিনিস খুব সহজেই চোখের সামনে পেয়ে যায় সেজন্য আমাদের ঘুমাতে ঘুমাতে অনেক রাত হয়ে যায়।এমনকি অনেকে আবার মোবাইল ফোন ব্যবহার করার মাধ্যমে ভোর ৪ টার সময় ঘুমায়।

সে ক্ষেত্রে সকালে ঘুম দূর করতে হলে আপনাকে অবশ্যই রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমাতে হবে। যদি আপনি রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমাতে না পারেন তাহলে আপনি সকালে ঘুম দূর করতে পারবেন না। তাই আমরা কিছু সহজ উপায় নিয়ে এসেছি আপনাদের সকালের ঘুম দূর করার জন্য।
  • আপনি দুপুরের আগে যে কাজগুলো করবেন তার একটি লিস্ট বানিয়ে নিতে পারেন।
  • আপনার দেহে চার ঘন্টা ঘুম কার্যকারী নয়।
  • আপনার দিনের শুরুটা পড়তে হবে ছোট কয়েকটা লাফ দিয়ে।
  • স্ট্রেচ।
  • আপনার ঘরের জানালা খুলে দিন।
  • সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর পরে এক গ্লাস পানি পান করুন।
  • আপনার সকালের নাস্তা হালকা করার চেষ্টা করুন।
  • আপনি আপনার জীবন থেকে চিরতরে ভুলে যান Snooze বাটনকে।

শেষ কথা

প্রিয় পাঠক এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আশা করি আপনি এই আর্টিকেলের মাধ্যমে জেনে গেছেন পড়ার সময় ঘুম কমানোর উপায় এবং দিনের বেলা ঘুম কমানোর উপায় সম্পর্কে। আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনার অনেক ভালো লেগেছে। আর আপনি যদি এই পুরো পোস্টটি সম্পন্ন ভালোভাবে মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকেন,

তাহলে আপনি অবশ্যই এই পোস্টটি পড়ে অনেক উপকৃত হয়েছেন। এবং এ পোস্টটি আপনার অনেক উপকারে আসবে। তাই এই পোস্টটি যদি আপনার কাছে ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন। কারণ আপনার বন্ধুরাও আপনার মাধ্যমে জানতে পারবে পড়ার সময় ঘুম কমানোর উপায় এবং দিনের বেলা ঘুম কমানোর উপায় কি সে বিষয়ে। তাছাড়া এরকম বিভিন্ন ধরনের পোস্ট নিয়মিত পেতে আমাদের সাথে থাকুন। আসসালামু আলাইকুম।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সাগর ম্যাক্স এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url