পাকা তালের উপকারিতা ও অপকারিতা - তালের শাঁস খাওয়ার উপকারিতা

পাকা তালের উপকারিতা ও অপকারিতা এবং তালের শাঁস খাওয়ার উপকারিতা বিষয়ে আপনি নিশ্চয়ই জানতে চান। তাই আমরা পাকা তালের উপকারিতা ও অপকারিতা এবং তালের শাঁস খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে আমরা এখন আপনাকে জানাবো। আপনি আমাদের এই আর্টিকেলটি সম্পন্ন পড়ার মাধ্যমে পাকা তালের উপকারিতা ও অপকারিতা এবং তালের শাঁস খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানতে পারবেন।
পাকা তালের উপকারিতা ও অপকারিতা - তালের শাঁস খাওয়ার উপকারিতা
কারণ আমরা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে খুবই সুন্দরভাবে আলোচনা করার চেষ্টা করেছি ফাঁকা তালের উপকারিতা ও অপকারিতা এবং তাদের শাঁস খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে। আমরা সকলেই তাল খেতে খুবই পছন্দ করি, শুধু তাল নয় তালের শাঁস খেতেও আমরা অনেক পছন্দ করে থাকি। তাই আমাদের প্রত্যেকেরই জেনে রাখা উচিত পাকা তালের উপকারিতা ও অপকারিতা এবং তালের শাঁস খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে। তাহলে চলুন বন্ধু আর দেরি না করে আমরা বিস্তারিতভাবে জেনে আসার চেষ্টা করি পাকা তালের উপকারিতা ও অপকারিতা এবং তালের শাঁস খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে।

পোস্ট সূচিপত্রঃ পাকা তালের উপকারিতা ও অপকারিতা - তালের শাঁস খাওয়ার উপকারিতা

ভূমিকা

শহরে তালের গাছ দেখা না গেলেও গ্রামগঞ্জে তালের গাছ অনেক দেখা যায়। তাল খেতে আমরা প্রায় অনেকেই পছন্দ করে থাকি পাকা তাল অথবা তালের শাঁস খেতে অনেক ভালো লাগে। শুধু খেতে ভালো লাগে বিষয়টি তা না পাকা তাল এবং তালের শাঁস আমাদের শরীরে বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান যোগান দিয়ে থাকে।
সেজন্যই মূলত আমরা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে খুব সুন্দরভাবে জানার চেষ্টা করব পাকা তালের উপকারিতা ও অপকারিতা এবং তালের শাঁস খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে। যাই হোক বন্ধু আমরা এক নজরে জেনে নেওয়ার চেষ্টা করি এই আর্টিকেলটি সম্পন্ন পড়ার মাধ্যমে আমরা কি কি বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানতে পারবো।

আমরা এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ার মাধ্যমে যে সকল বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে পারব সেগুলো হলো তাল গাছ কত দিন পর ফল দেয়, তালের রস খেলে কি হয়, পাকা তাল খেলে কি ওজন বাড়ে, পাকা তালের উপকারিতা ও অপকারিতা, এবং তালের শাঁস খাওয়ার উপকারিতা। তো চলুন বন্ধু এই সমস্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে আমরা জেনে নেওয়ার চেষ্টা করি। আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনি সম্পূর্ণ করার মাধ্যমে তাল সম্পর্কে অনেক অজানা তথ্য জানতে পারবেন, তো চলুন শুরু করা যাক।

তাল গাছ কত দিন পর ফল দেয়

তাল গাছ কত দিন পর ফল দেয় এই বিষয়টি জানার জন্য আর্টিকেলের এই অংশটুকু পড়তে থাকুন। কারণ এখন আমরা সুন্দরভাবে আলোচনা করব তাল গাছ কত দিন পর ফল দেয়। জানুয়ারি মাস হতে শুরু করে মার্চ মাস পর্যন্ত তালগাছে ফুল ফুটে থাকে। কিন্তু বারোমাসি জাতের তালগাছে বছরের সব সময় কম বেশি ফুল ফোটে।

একটি তাল গাছের বিষ চারা রোপনের কমপক্ষে ১০ থেকে ১২ বছর পর তাল গাছ ফল দেওয়া শুরু করে। আর মেয়ে জুন মাস থেকে কচি তাল পাওয়ার উপযোগী হয় গাছ। তবে আগস্ট মাস থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত পাকা তালের ভরা মৌসুম থাকে। প্রতিটি তালগাছে 200 থেকে 300 টাকা কাঁচা পাকা তাল ধরে থাকে।

কিন্তু একটি সুস্থ সবল কাছে ১০ থেকে ১৫ তালের ছড়া থাকে। যখনই তালপাতা শুরু হয় তিন থেকে পাঁচ সপ্তাহ পর্যন্ত ক্রমান্বয়ে পাকা ফল পাওয়া যায়। তাল গাছে যখনই তাল গুলো প্যাকে তখন মাটিতে ঝরে পড়তে দেখা যায়। আবার অনেকেই দেখা যায় একটি পুষ্ট বা তাল পেরে 23 দিন ঘরে রেখে পাকিয়ে বাজারজাত করতে।

আমার অনেক চাষীকে দেখা যায় লাইনের দড়ি দিয়ে জাল তৈরি করে এবং সেই জাল গাছের নিচের কা- পাতার ডগায় বেঁধে রাখতে। যখনই গাছ থেকে পাকা তাল পড়ে তখন এই জালে জমা হতে থাকে। তাতে পড়ে গাছে ওঠে জমাই তো ফলগুলি সংগ্রহ করা হয়ে থাকে। এতে করে তাল অনেকটাই নষ্ট কম হয় আবার তালের গায়ে খুব একটা আঘাত পড়ে না।

এভাবে তাল ফল সংগ্রহ করা হলে বাজার মূল্য বেশি পাওয়া যায়। বাজারে এক একটি কচিকালের মূল্য ২০ টাকা হয়। কিন্তু পাকা তাল ফলের আকার অনুযায়ী ৬০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়ে থাকে বাজারে। সেই অনুযায়ী হিসাব করলে দেখা যায় একটা গাছ থেকে পাঁচ থেকে সাত হাজার টাকার কচি তাল,

অথবা ৮ থেকে ১০ হাজার টাকার পাকা তাল থেকে আয় করা সম্ভব হয়। আর এক একটি তাল গাছ থেকে প্রতিদিন ১০ থেকে ১৫ লিটার রস পাওয়া যায়। এই তালের রস মার্চ মাস থেকে জুন মাস পর্যন্ত সংগ্রহ করা হয়। তাছাড়া এক মৌসুমে হিসাব করলে দেখা যায় একটা তাল গাছ থেকে প্রায় ৭০০ থেকে ১,৫০০ লিটার সংগ্রহ করা সম্ভব হয়।

আর বাজারে প্রতি লিটার রসের মূল্য ২০ থেকে ৩০ টাকা হয়ে থাকে। সেই অনুযায়ী হিসাব করলে দেখা যায় একটি পুরুষ তালগাছ থেকে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকার রস বিক্রি করা সম্ভব। তাছাড়া একটা তাল গাছের রস থেকে প্রায় ৫০ থেকে ৭০ কেজি গুড় পাওয়া সম্ভব হয়। আমরা যদি সবদিক বিবেচনা করি,

তাহলে তালগাছ মানব জীবনে অতি উপকারী বৃক্ষ হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করবে। এই তাল গাছের বহুল সম্প্রসারণ এবং নিধন বন্ধু করে একে রক্ষা করা আমাদের প্রত্যেক মানবজাতির দায়িত্ব। আশা করি তাল গাছ কত দিন পর ফল দেয় এই বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন।

তালের রস খেলে কি হয়

তালের রস খেলে কি হয় এ বিষয়টি জানার জন্য আর্টিকেলের এই অংশটুকু পড়তে থাকুন। কারণ আমরা এখন বিস্তারিতভাবে আলোচনা করার চেষ্টা করব তাহলে রস খেলে কি হয় এই বিষয়টি। তালের রস খেলে কি হয় এ বিষয়টি বিস্তারিতভাবে জানার জন্য আপনাকে অবশ্যই এই অংশটুকু মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।

আমরা সকলেই জানি তালের রস হচ্ছে গ্রীষ্মকালে তাল গাছের ফল থেকে আহরিত এক প্রকার মিষ্টি রস। এ রসে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, বি, সি ও জিংক, ক্যালসিয়াম, আয়রন এবং পটাশিয়াম জাতীয় পুষ্টি উপাদান থাকে। তাছাড়াও তালের রসে রয়েছে উপকারি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, সেজন্যই মূলত তালের রস খাওয়া আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী।

বাংলাদেশে গ্রীষ্মকালীন সময়ে একটি প্রতীকি এবং সুপরিচিত খাবার হচ্ছে তালের রস। এই রস ব্যবহার করে অনেক জনপ্রিয় বাঙালি খাবার তৈরি করে থাকে যেমন তালের মিছরি, তালের বড়া, তালের পিঠা, তালের পায়েস এবং ক্ষীর ইত্যাদি। স্বামী স্ত্রী তালগাছের মধ্যে শুধুমাত্র স্ত্রী তালগাছি ফল দিয়ে থাকে।

আমরা অবশ্য উপর থেকে জেনে এসেছি তাল গাছ কত দিন পর ফল দেয়, ১২ থেকে ১৩ বছর পর থেকে ফল দেওয়া শুরু করে। তালের রস অথবা তালের শাঁসের স্বাদ সাধারণত তেতো এবং মিষ্টি হয়ে থাকে। কিন্তু এ সকল তেতো বা মিষ্টি ভাব হওয়ার জন্য মাটি ও জলধার উপর নির্ভর করে থাকে। তালের মিষ্টি রস মূলত ঐতিহ্যবাহী খাবারে ব্যবহৃত করা হয়।

প্রচলিতভাবেই কাঁচা তালের বীজ খাওয়া হয়ে থাকে। তবে পাকা তাল বিভিন্নভাবে ব্যবহার করা হয়। একটি পাকা তালের শাঁস এবং রস নিষ্কাশন করে সেটি খাদ্য হিসেবে আহরণ করা হয়ে থাকে এবং খাবার প্রস্তুতিতে ব্যবহার করা হয় প্রায়শই। প্রথমেই ফলের খোসা ছাড়ানো প্রয়োজন রস নিষ্কাশনের জন্য।

এরপর তাল থেকে সমস্ত বীজগুলো বার করে নেওয়া হয়। তারপর হাতের সাহায্যে কিংবা কোন মেশিনের সাহায্য নিয়ে ফলের প্রতিটি বীজের অংশ থেকে রস নিষ্কাশন করা হয়। মূলত নিষ্কাশিত রসিই হচ্ছে তালের রস নামে পরিচিত। আর এই রস পরে ব্যবহারের জন্য একটি পাত্রে সুরক্ষিত ভাবে রাখা হয়।

পাকা তাল খেলে কি ওজন বাড়ে

পাকা তাল খেলে কি ওজন বাড়ে। এ বিষয়টি জানার জন্য আর্টিকেলের এই অংশটুকু পড়তে থাকুন। কারণ আমরা এখন আলোচনা করব পাকা তাল খেলে কি ওজন বাড়ে সে বিষয়ে। তাহলে চলুন আর দেরি না করে আমরা জেনে নেওয়ার চেষ্টা করি পাকা তাল খেলে কি ওজন বাড়ে।

আসলে পাকা তাল খেলে ওজন বাড়ে না ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে কেননা পাকা তালে যে সকল পুষ্টিগুণ গুলো পাওয়া যায় সে সকল পুষ্টিগণ আমাদের শরীরের জন্য বেশ উপকারী হিসাবে কাজ করে। কারণ পাকা তালে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুনাগুন সমৃদ্ধ হওয়ায় ক্যান্সার প্রতিরোধে সক্ষম এই পাকা তাল।

শুধু তাই নয় তাল দুধ, তাল মুড়ি, পার্টির ভেতরে সাদা শাঁস গুলো খেতে খুবই ভালো লাগে। এ সকল খাবার গুলো খাওয়ার মাধ্যমে মুখে রুচি অনেকটাই বেড়ে যায়। হজম বৃদ্ধি পায় এবং হজম ভালো হয়। তাছাড়া পাকা তালের রস বিভিন্ন ধরনের কনফেকশনারিতে শুকনো খাবার প্রস্তুতকরণের উপাদান হিসেবেও ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

স্মৃতিশক্তি ভালো রাখতে সহযোগিতা করে পাকা তাল। তাছাড়া স্বাস্থ্য রক্ষাতেও তাল বেশ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাহলে থাকা ভিটামিন বি এর আধার। সেজন্য ভিটামিন বি এর অভাবজনিত রোগ প্রতিরোধে অনেক বেশি ভূমিকা পালন করে তাল। পাকা তালে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম এবং ফসফরাস।

যেটি আমাদের দাঁতের জন্য বা দাঁত ক্ষয় প্রতিরোধের জন্য সহায়ক কোষ্ঠকাঠিন্য এবং অন্তরের রোগ ভালো রাখতে ভূমিকা পালন করে থাকে পাকা তাল। তাই বলাই যায় আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য পাকা তাল খুবই উপকারী একটি খাবার। আশা করি আপনি এতক্ষণে বুঝতে পেরেছেন পাকা তাল খেলে কি ওজন বাড়ে সে বিষয়ে।

পাকা তালের উপকারিতা ও অপকারিতা

পাকা তালের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানার জন্য আর্টিকেলের এই অংশটুকু পড়তে থাকুন। আমরা আর্টিকেলের এই অংশে খুবই সুন্দরভাবে আলোচনা করেছি পাকা তালের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে। আপনি যদি এই অংশটুকু সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়েন,

তাহলে বিস্তারিত ভাবে জানতে পারবেন পাকা তালের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে। আর দেরি না করে আমরা বিস্তারিত ভাবে জেনে আসার চেষ্টা করি পাকা তালের উপকারিতা ও অপকারিতা বিষয়ে। পাকা তালের উপকারিতা ও অপকারিতার মধ্যে আমরা প্রথমে জানবো পাকা তালের উপকারিতা সম্পর্কে। নিচে পাকা তালের উপকারিতা দেওয়া হল।

পাকা তালের উপকারিতাঃ

পুষ্টিকর খাদ্য হিসেবে তাল

পাকা তালে বিভিন্ন পুষ্টিগুণ উপাদান রয়েছে। যেমন ফাইবার, ভিটামিন, প্রোটিন এবং খনিজ। যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী, যেমন এই উপাদানগুলি স্বাস্থ্যকর পুষ্টি প্রদান করে এবং শরীরের নির্মাণ প্রক্রিয়াকে সমর্থন করে থাকে।

পুষ্টিবর্ধক খাদ্য হিসেবে তাল

পাকাতালে প্রোটিনের প্রাকৃতিক উৎস থাকায় এটি পুরনো এবং নতুন শিল্প বা টিস্যু গঠনের জন্য খুবই ভালো খাদ্য হিসেবে পরিচিত। পাকা তাল শারীরিক পাচন্তন এর পাশাপাশি বৃদ্ধির সাহায্য করে থাকে।

পাচনাযোগ্য খাদ্য হিসেবে তাল

পাকা তালে উচ্চ পরিমাণে ফাইবার রয়েছে যেটি পাচনার ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে এবং পেটে সাথে থাকে। শুধু তাই নয় পাকা তাল কলেস্টেরলের স্তর নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে এবং এর পাশাপাশি শুকনা নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।

পাকাতাল হাড় এবং দাঁতের জন্য উপকারী

পাকাতালে ফলস্ফোরাস থাকায়, আমাদের হাড় এবং তাদের জন্য খুবই উপকারী উপাদান হিসেবে কাজ করে। এর পাশাপাশি পাকাতাল হাড়ের কক্ষপ এবং প্রতিষ্ঠান করতে সাহায্য করে।

পাকা তালের অপকারিতাঃ

এলার্জির সমস্যা দেখা দিতে পারে

পাকা তাল খাওয়ার মাধ্যমে কিছু মানুষের এলার্জির সমস্যা দেখা দিতে পারে। যারা মূলত পাকা তাল সম্পর্কে এলার্জিক প্রতিক্রিয়া প্রদর্শন করে থাকে তাদের এটি সেবন করা উচিত নয়।আসলে এই তথ্যগুলো সাধারণত প্রযোজ্য হয়, কিন্তু প্রত্যেকটি ব্যক্তির শরীরের প্রতিক্রিয়া এবং অনুকরণ ভিন্ন হতে পারে। সেজন্য কোনো না কোনো পুষ্টিবিদদের পরামর্শ নেওয়া উচিত। যারা মূলত আপনার নিরাপত্তা এবং স্বাস্থ্যের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত পরামর্শ প্রদান করবেন।

অতিরিক্ত পক্যালরি থাকায় সমস্যা হতে পারে

পাকা তালে সাধারণত উচ্চ ক্যালরি থাকে, সেজন্য মানসিক এবং শারীরিক স্বাস্থ্যের জন্য কিছু সমস্যা সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। সেক্ষেত্রে চারা ওজন কমাতে চান অথবা ক্যালরি নিয়ন্ত্রণ করতে চান তাদের ক্ষেত্রে পাকাতাল থেকে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।

তালের শাঁস খাওয়ার উপকারিতা

এখন আমরা আর্টিকেলের এই অংশে জানবো তালের শাঁস খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে। তাই আপনি আর্টিকেলের এই অংশটুকু পড়তে থাকুন আর জানতে থাকুন তাহলে শ্বাস খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে। কারণ আমরা এখানে খুব সুন্দর ভাবে আলোচনা করার চেষ্টা করেছি তাদের শাঁস খাওয়ার উপকারিতা নিয়ে। তাহলে চলুন বন্ধু আর দেরি না করে আমরা ঝটপট জেনে নেওয়ার চেষ্টা করি তাহলে শাঁস খাওয়ার উপকারিতা গুলো কি কি।

তালের শাঁস খাওয়ার উপকারিতাঃ
  • ত্বককে সুন্দর এবং উজ্জ্বল ও দীপ্তিময় করে তোলার জন্য নিয়মিত তালের শাঁস খাওয়া উচিত।
  • তালের শাঁসে আছে ভিটামিন সি এবং বি কমপ্লেক্স যেটির শরীরের জন্য বিশেষভাবে উপকারী হিসেবে কাজ করে থাকে।
  • হাড়ের গঠনে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে তালের শাঁসে থাকা ক্যালসিয়াম।
  • তালের শাঁসে আছে ভিটামিন এ, যেটি মূলত আমাদের দৃষ্টি শক্তিকে বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
  • বিশেষ করে আপনার যদি অ্যানিমিয়া কিংবা রক্তস্বল্পতা থাকে তাহলে অবশ্যই তালের শাঁস খাওয়ার চেষ্টা করবেন। আশা করি তালের শাঁস খাওয়ার মাধ্যমে আপনার এই সমস্যাগুলো দূর হবে।
  • শরীরের পানি শূন্যতা দূর করতে সাহায্য করে তালের শাঁসে থাকা জলীয় অংশ। শুধু তাই নয় এর পাশাপাশি শরীরে পানির অভাব দূর করতে পারে।
  • লিভারের সমস্যা দূর করার জন্য আপনি খান কচি তালের শাঁস, আশা করি অনেক উপকার পাবেন।
  • আমাদের মধ্যে অনেকে আছেন যাদের এসিডিটির সমস্যা থাকার কারণে মাঝেমধ্যে বমি বমি ভাব হয় এবং খাবার বিস্বাদ লাগে। তাই এগুলো থেকে মুক্ত পাওয়ার জন্য কচি তালের শাঁস খান। সেই সাথে আমাদের খাবারের অরুচি ভাব কাটিয়ে উড়তে অনেকটাই ভূমিকা পালন করে।
  • শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দিতে সাহায্য করে তালের শাঁস। কারণ তালের শাঁসে আছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।
তালের শাঁসে আরো রয়েছেঃ

স্বাদময় মিষ্টি মোহনীয় গন্ধে ভরা প্রতি 100 গ্রাম তারের শাঁসে ৮৭ কিলো ক্যালরি রয়েছে। শুধু তাই নয় এর পাশাপাশি রয়েছে ৮ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, জলীয় অংশ ৮৭.৬ গ্রাম, ফ্যাট রয়েছে .১ গ্রাম, আমিষ .৮ গ্রাম, কার্বোহাইড্রেটস রয়েছে ১০.৯ গ্রাম, খাদ্য আশ রয়েছে এক গ্রাম, ক্যালসিয়াম রয়েছে ২৭ মিলিগ্রাম, ফসফরাস রয়েছে ৩০ মিলিগ্রাম,

লৌহ রয়েছে ১ মিলিগ্রাম, থায়ামিন রয়েছে .০৪ গ্রাম, রিবোফ্লাবিন রয়েছে .০২ মিলিগ্রাম, নিয়াসিন .৩ মিলিগ্রাম এবং ভিটামিন সি রয়েছে ৫ মিলিগ্রাম। এ সমস্ত উপাদানগুলো আমাদের শরীরকে বিভিন্ন রোগ থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে এবং আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।

লেখকের মন্তব্য

প্রিয় পাঠক, এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনি নিশ্চয়ই এতক্ষণে জেনে গেছেন পাকা তালের উপকারিতা ও অপকারিতা এবং তালের শাঁস খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে। তাল পাখা হোক কিংবা কাঁচা হোক যেভাবে খায় না কেন আমরা অনেক উপকার পেয়ে থাকি তাল থেকে।

সেজন্য আমাদের প্রত্যেকেরই উচিত উক্ত বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানার। তবে আপনি যদি আর্টিকেলটি থেকে কোন বিষয় না বুঝতে পারেন তাহলে আমাদের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানাতে পারেন, আমরা আপনাকে বুঝিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব। আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনার কাছে অনেক ভালো লেগেছে এবং এই আর্টিকেলটি আপনার অনেক উপকারে আসবে।

তাই এই আর্টিকেলটি আপনার কাছে ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। কেননা আপনার মাধ্যমে আপনার বন্ধুরাও জানতে পারবে পাকা তালের উপকারিতা ও অপকারিতা এবং তালের শাঁস খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে। আর অবশ্যই আমাদের এই ওয়েবসাইটে নিয়মিত ভিজিট বা ফোলো করার চেষ্টা করবেন।
কারণ আমরা এই ওয়েবসাইটে নিয়মিত নতুন নতুন ব্লক পোস্ট বা আর্টিকেল পাবলিশ করে থাকি। নিজে ভালো থাকবেন, সবসময় পরিবারকে ভালো রাখার চেষ্টা করবেন। আসসালামু আলাইকুম।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সাগর ম্যাক্স এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url