কিভাবে স্বাস্থ্যের অধিকারী হওয়া যায় - মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার উপায় কি
অতিরিক্ত লেবু খাওয়ার উপকারিতাপ্রিয় পাঠক, আপনি নিশ্চয়ই জানতে চাচ্ছেন কিভাবে স্বাস্থ্যের অধিকারী হওয়া যায় এবং মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার উপায় কি। সেজন্য আমরা কিভাবে স্বাস্থ্যের অধিকারী হওয়া যায় এবং মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার উপায় কি সে সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আলোচনা করব।
আপনি যদি আমাদের এই আর্টিকেলটি সম্পন্ন মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে জানতে পারবেন কিভাবে স্বাস্থ্যের অধিকারী হওয়া যায় এবং মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার উপায় কি সে সম্পর্কে।
পোস্ট সূচিপত্রঃ কিভাবে স্বাস্থ্যের অধিকারী হওয়া যায় - মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার উপায় কি
ভূমিকা
কিভাবে স্বাস্থ্যের অধিকারী হওয়া যায় এবং মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার উপায় কি ছাড়াও এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন সুস্থ থাকার জন্য আমরা কি কি করতে পারি। আশা করি এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ার মাধ্যমে আপনি এই সমস্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে একটি ধারণা পাবেন। কারণ কিভাবে স্বাস্থ্যের অধিকারী হওয়া যায় ও মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার উপায় কি এবং সুস্থ থাকার জন্য আমরা কি কি করতে পারি
এ সকল বিষয় সম্পর্কে আমরা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেছি। তাহলে চলুন বন্ধু আর দেরি না করে আমরা ঝটপট জেনে আসার চেষ্টা করি কিভাবে স্বাস্থ্যের অধিকারী হওয়া যায় ও মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার উপায় কি এবং সুস্থ থাকার জন্য আমরা কি কি করতে পারি। দৈনন্দিন জীবনে আমাদের সুস্থ থাকা অনেক জরুরী। আমরা যদি আমাদের শরীরকে সুস্থ না রাখতে পারি তাহলে কোন ধরনের কাজে আমাদের কখনোই মন বসবে না।
এমনকি কোন কিছুতেই ভালো লাগবে না, সেজন্য সবার আগে দরকার আমাদের সুস্থ থাকা। আপনি যদি আমাদের এই পোস্টটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়েন, তাহলে এগুলো বিষয়ে সম্পর্কে আপনি বিস্তারিতভাবে জানতে পারবেন। আশা করি এই পোস্টটি আপনার অনেক উপকারে আসবে। কারণ এই পোস্টটি আমরা এমনভাবে সাজিয়েছি, যাতে করে আপনার জীবনের সুস্থতা থেকে শুরু করে মানসিক সুস্থতা পর্যন্ত সব ধরনের তথ্য জানতে পারবেন।
তাই অবশ্যই আপনি এই আর্টিকেলটি সম্পন্ন পড়ার চেষ্টা করবেন। তাহলে চলুন দেরি না করে কিভাবে স্বাস্থ্যের অধিকারী হওয়া যায় এবং মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার উপায় কি সম্পর্কে জেনে আসার চেষ্টা করি।
সুস্থতা কি
সুস্থতা বলতে, আমাদের শরীরে প্রত্যেকটি অঙ্গ পতঙ্গ সুস্থ থাকা ও কর্মসচল থাকাকেই মূলত সুস্থতা বলা হয়ে থাকে। সেজন্য আপনি যদি নিয়মিত সুষম খাবার খান, এবং বেশি বেশি করে পানি পান করে এবং মসলা পরিমাণ মত স্থান শাক সবজি, তাছাড়া আপনি যদি নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকেন। তাহলে এই সকল কাজের মাধ্যমে আপনি এমনিতেই সুস্থতা অর্জন করতে পারবেন খুব সহজে।
সেসঙ্গে সুস্থতা হল শারীরিক ও মানসিকভাবে এক ধরনের নীরোগ থাকাকে বোঝায়। কিংবা আপনার চিন্তা মুক্ত মন ও রোগমুক্ত শরীরকে বুঝিয়ে থাকে। সেজন্য আপনাকে সব সময় ফলমূল বেশি পরিমাণে খেতে হবে, যতটুকু সম্ভব চেষ্টা করবেন সময়ের খাবার সময়ে খাওয়া। আর যদি আপনি পারেন তাহলে সকালের গোধূলি সময়ের হাওয়া আপনার শরীরে লাগাতে পারেন। আশা করি এর মাধ্যমে আপনি সুস্থতা অর্জন করতে পারবেন।
কিভাবে স্বাস্থ্যের অধিকারী হওয়া যায়
আমাদের মধ্যে অনেকে আছেন যারা রুগ্ন স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তিত অনেক। এছাড়াও যারা পর্যাপ্ত পরিমাণে খাবার খাওয়ার পরেও স্বাস্থ্যের অধিকারী হতে পারছেন না। এবং ওজন কম হওয়ার কারণে বিভিন্ন লোকজন বিভিন্ন ধরনের কথাবার্তা আপনাকে নিয়ে বলছি। আজকে আমরা এমন কিছু উপায় আপনাকে বলার চেষ্টা করব সে ক্ষেত্রে আপনি, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কিছুটা ওজন বাড়াতে পারবেন খুব সহজে।
যেমন ধরেন আপনাকে প্রতিদিন নিয়মিত ব্যায়াম করার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। কেননা আমরা সকলেই জানি নিয়মিত ব্যায়াম করার মাধ্যমে আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং সুস্থ থাকতে অনেকটাই ভূমিকা পালন করে থাকে ব্যায়াম। আপনি হয়তোবা এখন আমাদেরকে প্রশ্ন করতে পারেন, দিনে অন্তত কতক্ষণ সময় ধরে ব্যায়াম করবে? সে ক্ষেত্রে আমরা বলব আপনাকে অন্তত আপনি শুরুতে ৩০ মিনিট করে ব্যায়াম করার অভ্যাস করুন।
তারপর সেটিকে আস্তে আস্তে বাড়াতে পারেন। আপনি যদি কোন জিমে গিয়ে ব্যায়াম না করতে পারেন, তাহলে আপনি খুব সহজেই হাতের সহায়তায় ওয়েট লিফটিং বা অন্যান্য ব্যায়াম করতে পারেন। আর বেশি বেশি করে পুষ্টিকর যুক্ত খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন বা স্বাস্থ্যকর খাবার খান। আপনার খাবারের পরিমাণ কমানো সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক, যাতে করে আপনি সুস্থ থাকতে পারেন।
সেজন্য আমরা আপনাকে কিছু স্বাস্থ্যকর খাবার সমূহ যা কার্বোহাইড্রেট এবং প্রয়োজনীয় পুষ্টি প্রদান করবে যেমন সবজি, ফল এবং প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার ইত্যাদি। আপনি কখনোই আপনার স্বাস্থ্য বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের মেডিসিন বা ওষুধ ব্যবহার করবেন না কেননা তাতে প্রচুর পরিমাণে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া যুক্ত থাকে। যার ফলে আমাদের শরীরের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে এমনকি কিডনি পর্যন্ত নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
তাই কখনোই আপনি এই ধরনের ওষুধ বা মেডিসিন সেবন করবেন না। আপনি অবশ্যই প্রাকৃতিক উপায়ে ওজন ও বাড়ানোর চেষ্টা করতে পারেন, সে ক্ষেত্রে আপনি যদি স্বাস্থ্যের অধিকারী হতে চান তাহলে সোশাও খেজুর একসঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন। কেননা এটি ইসলামিক দিক থেকেও প্রমাণিত আছে। আপনি একটা জিনিস খেয়াল করে দেখবেন আমরা রোজার মাসে সবাই খেজুর খেয়ে থাকে।
কিন্তু বছরের বাকি সময় গুলো আমরা সাধারণত খেজুর কেমন ভাবে খাই না। সেজন্য আপনি যদি সারা বছর খেজুর খাওয়া চালিয়ে যেতে পারেন তাহলে আপনার স্বাস্থ্যের অনেক উন্নতি করা সম্ভব হবে। কারণ খেজুরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালরি এবং পুষ্টিকর। আপনি যদি খেজুর এবং শসা একসঙ্গে মিশিয়ে কমপক্ষে তিন মাস ধরে খেতে পারেন তাহলে, আপনি তিন মাসের মধ্যে আপনার শরীরের ভালো একটি পরিবর্তন লক্ষ্য করতে পারবেন।
এছাড়াও আপনি যদি স্বাস্থ্যের অধিকারী হতে চান তাহলে নিয়মিত ডিম খেতে পারে। কিন্তু এই ডিম অবশ্যই দেশি মুরগির ডিম হওয়া লাগবে। কেননা বর্তমানে এখন বিদেশ থেকে আমদানি করা বিভিন্ন মুরগির ডিম পাওয়া যায় বা প্লাস্টিকের ডিম পর্যন্ত পাওয়া যায়। যা আমাদের উপকারের বদলে ক্ষতির পরিমাণ বেশি হতে পারে। অনেক গবেষণায় দেখা গেছে, এমন কিছু ডিম আমাদের দেশে আমদানি করা হয়েছে যার মধ্যে ক্যান্সারের বীজ পর্যন্ত পাওয়া গেছে।
সেজন্য ডিম খাওয়ার সময় অবশ্যই দেখে নিবেন সেটা দেশি মুরগির ডিম কিনা। তাছাড়াও আপনি ভেজে কিংবা তরকারির মাধ্যমে খেতে পারেন। তবে সবথেকে ভালো হয় সিদ্ধ ডিম খেতে পারবে কারণ সিদ্ধ ডিম রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিগুণ, আর যতটুকু সম্ভব চেষ্টা করবেন আধা সিদ্ধ ডিম খাওয়ার। প্রতিদিন বিকালে কয়েকটি করে বাদাম খেতে পারেন সে ক্ষেত্রে আপনার ওজন বাড়াতে সহায়তা করবে।
আরো পড়ুনঃ পেটে চর্বি জমার লক্ষণ
বাদাম এমন একটি খাবার যাতে রয়েছে সিংহ। তাই আপনি প্রতিদিন কয়েক গ্রাম বাদাম খেতে পারেন কেননা শুধুমাত্র বাদাম খাওয়ার মাধ্যমে আপনার ত্বক এর পাশাপাশি শরীরে স্নেহের পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে সে সঙ্গে শরীরে চর্বি যোগ হবে অনেকটাই। আপনি যদি স্বাস্থ্যের অধিকারী হতে চান তাহলে কোন পোকার দামি খাবারের প্রয়োজন পড়বে না। পুষ্টিকর ও সুষম খাদ্য সঠিক নিয়মে গ্রহণ করতে পারেন। আশা করি বিষয়টি আপনি সুন্দরভাবে বুঝতে পেরেছেন।
মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার উপায় কি
এতক্ষণ আমরা জানলাম কিভাবে স্বাস্থ্যের অধিকারী হওয়া যায়। এখন আমরা আর্টিকেলের এই অংশে জানবো মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার উপায় কি। নিজেকে মানসিকভাবে সুস্থ রাখার দায়িত্ব কিন্তু আপনারই, তাই মানসিক রোগ যেন বাসা না বাধে সেদিকে সময় থাকতে সচেতন হতে হবে। পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার ১০ টি উপায় মেনে চলুন।
মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার ১০টি উপায়
১। পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম
ঘুম শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। ঘুম মস্তিষ্কের রাসায়নিক পদার্থ গুলোকে নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। এই রাসায়নিক গুলো মেজাজ ও আবেগ পরিচালনা করে। যদি আমরা পর্যাপ্ত না ঘুমায়। তাহলে মস্তিষ্কে বিভিন্ন অংশ ঠিকমত কাজ করতে পারে না।
২। পুষ্টিকর খাবার
পুষ্টিকর খাবার শুধু শরীরের জন্য গুরুত্বপূর্ণ নয়। বরং মনের জন্যও উপকারী। কিছু খনিজ যেমন আইরন, ভিটামিন বি২, এর ঘাটতি মেজাজ পরিবর্তনের জন্য দায়ী। তাই সুষমযুক্ত খাবার খাওয়া জরুরী।
৩। অ্যালকোহল ধূমপান এবং মাদক পরিহার
আমাদের মধ্যে অনেকে আছেন যারা হতাশ হয়ে মাদক ও ধূমপানের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েন। তবে আপনি জানেন কি? এগুলো হতাশা কাটাই না বরং শরীর ও মনে বিরু প্রভাব ফেলে। দীর্ঘ সময় ধরে অতিরিক্ত মদ্যপানে, শরীরে থাইয়ামিনের ঘাটতি হতে পারে। এর ঘাটতি দেখা দিলে, মনোযোগের অভাব, জ্ঞানের অভাব, বিভ্রান্তি এবং চোখের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
৪। সূর্যের আলো গায়ে মাখুন
কারণ সূর্যে থাকে ভিটামিন ডি। সেটি আমাদের শরীর ও মস্তিষ্কে খুব গুরুত্বপূর্ণ। এটি মস্তিষ্কের ক্ষতিকর পদার্থ গুলোকে দূর করতে সহায়তা করে থাকে। ফলে মেজাজ আরো উন্নত হয়। কারণ এন্ডোফিন ও সিরোটটমিন এর উৎপাদন বেড়ে যায়। তবে রোদে গেলে আপনার চোখ ও তোকে নিরাপদ রাখুন।
৫। দুশ্চিন্তা দূরে রাখুন
আমাদের সবার জীবনেই কাজের চাপ আছে, তাই বলে এই নিয়ে বেশি দুশ্চিন্তা করা উচিত নয়। এই সমস্যার সমাধানে আপনাকে জানতে হবে, কিভাবে আপনি চাপ সামলাবেন। যদি না পারেন, তাহলে আপনি মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়বেন। এজন্য দৈনন্দিন জীবনের একটি তালিকা তৈরি করুন। এরপর এগুলোর সমাধান খুঁজে বের করার চেষ্টা করুন।
৬। শরীর চর্চা আবশ্যক
মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে আপনাকে অবশ্যই শরীরচর্চা করতে হবে। কারণ যত বেশি সক্রিয় থাকবেন, মস্তিষ্কে রাসায়নিক পদার্থগুলো বেড়ে যায় যা আমাদের মেজাজ ভালো রাখতে সহায়তা করে। অন্যদিকে শরীরচর্চার অভাবে, মেজাজ খারাপ হতে পারে।পাশাপাশি চাপ, ক্লান্তি, অলসতা বোধ করতে পারেন, তাই শরীরে মন দুটোই ভালো রাখতে নিয়মিত শরীর চর্চা করুন।
৭। যা ভালো লাগে, তাই করুন
আপনার যদি ইচ্ছা হয় ঘুরতে যেতে, শপিং করতে বা ছবি আছে তাহলে তাই করতে পারেন। আপনি যা উপভোগ করেন যখন আপনি সে কাজগুলো করবেন, তখন মনও ভালো থাকবে। অনেক বিশেষজ্ঞদের মতে যারা অন্যের বাধ্যগত হয়ে নিজের খুশিকে দমিয়ে রাখেন, তাদের মধ্যে খিটখিটে মেজাজ, ও অসুখী হওয়ার সম্ভাবনা বেশি দেখা দেয়।
৮। মিশুক হওয়ার চেষ্টা করুন
আপনি সব সময় অন্যদের সাথে ভাল সম্পর্ক বজায় রাখার চেষ্টা করুন। যখনই সুযোগ পাবেন তখনই মানুষের সাথে কথা বলুন। অনেক গবেষণায় দেখা গেছে, অন্যদের সাথে মাত্র ১০ মিনিট কথা বলা, স্মৃতিশক্তি ও পরীক্ষা স্কোর উন্নত করতে পারে।
৯। অন্যের জন্য কিছু করুন
কাউকে সাহায্য করলে নিজের মধ্যেও অনুভূতি কাজ করে। তাই সব সময় চেষ্টা করুন অন্যের জন্য কিছু করার। কোন দরিদ্রকে খাবার কিনে দিন কিংবা সামান্য অর্থ দিয়ে সাহায্য করুন দেখবেন, আপনার মন ভালো হয়ে যাবে।
১০। সাহায্য নিন
আপনি যদি মানসিকভাবে অসুস্থ বোধ করেন, তাহলে অন্যের সাহায্য নিন। মুখ বুজে থাকবেন না, নিজের অসুবিধার কথা সবার সাথে শেয়ার করুন, কারণ অত্যাধিক মানসিক চাপে আপনি বিকাক্রস্ত হয়ে যেতে পারেন। অনেকেই মনে করেন মন ভালো নেই এ বিষয়ে কাউকে জানালে, সে পাগল বলবে।মনও সবসময় ভালো থাকে না, তাই মানসিকভাবে চাপ অনুভব করলে, কাউন্সিলিং করুন বা মনোবিদদের সাহায্য নিন।
সুস্থ থাকার জন্য আমরা কি কি করতে পারি
এতক্ষণ আমরা জানলাম মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার উপায় কি। এখন আমরা আর্টিকেলের এই অংশে জানবো সুস্থ থাকার জন্য আমরা কি কি করতে পারি। সুস্থ থাকার জন্য আমরা অনেক কিছু করতে পারি। তাই আমরা নিচে সুস্থ থাকার জন্য কি কি করণীয় তা উল্লেখ করলাম। আপনি এখনই জেনে নিতে পারবেন সুস্থ থাকার জন্য আমরা কি কি করতে পারি সে বিষয়ে।
- পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করুন।
- সব সময় ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
- নিয়মিত স্বাস্থ্যকর খাবার খান।
- নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করুন।
- যতটুকু সম্ভব মানসিক চাপ কমান।
- পরিমাণ মতো পানি পান করুন।
- ধূমপান বন্ধ করুন।
- শুয়ে বসে থাকা বা অলসতা কমান।
- পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমান।
- স্বাস্থ্যকর খাবার খান, ইত্যাদি।
সুস্থ থাকার জন্য, অবশ্যই আপনাকে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তে হবে। কেননা নামাজের মধ্যেই রয়েছে অসংখ্য ব্যায়াম। এবং আপনি অবশ্যই নবীজির পছন্দনীয় খাবারগুলো খেতে কখনোই ভুলবেন না। যে খাবারগুলো খেলে আল্লাহ আপনাকে অবশ্যই সুস্থতা দান করবেন। সেজন্য অবশ্যই সে খাবার সম্পর্কে আপনি হযরত ওয়া উলামায়ে কেরামদের থেকে জেনে নিবেন। এর পাশাপাশি আপনি নবীজির সুন্নত আদায়ের জন্য ওষুধ খাওয়া যেতে পারে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী।
সুস্বাস্থ্যের জন্য আমাদের কোন কোন খাবার খাওয়া উচিত
আমরা এতক্ষন জানলাম সুস্থ থাকার জন্য আমরা কি কি করতে পারি। এখন আমরা আর্টিকেলের এই অংশে জান বো সুস্বাস্থ্যের জন্য আমাদের কোন কোন খাবার খাওয়া উচিত। আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য কোন কোন খাবার খাওয়া উচিত সে সম্পর্কে আমরা নিজে কিছু খাবারের তালিকা উল্লেখ করলাম। আপনি এখনই জেনে নিতে পারবেন সুস্বাস্থ্যের জন্য আমাদের কোন কোন খাবার খাওয়া উচিত সে সম্পর্কে।
সুস্বাস্থ্যের জন্য আমাদের যে খাবারগুলো খাওয়া প্রয়োজন তা হল।
- বিভিন্ন ধরনের বাদাম খেতে পারেন।
- প্রতিদিন সকালে একটা করে আধা সিদ্ধ ডিম
- টাটকা মৌসুমী ফল।
- দুধ বা দুগ্ন জাতীয় খাদ্য।
- দেশি মুরগির মাংস বা গরুর মাংস।
- বিভিন্ন রকমের শাকসবজি।
- স্বাস্থ্যকর চর্বি আছে এমন খাবার খেতে পারেন।
- প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খেতে পারেন।
- গোটা শস্য দানা খান।
- মধুখান।
- কালোজিরা খেতে পারেন।
- খাবারের তালিকায় লেবু রাখতে পারেন।
- যেকোনো ধরনের খেজুর রাখতে পারেন।
- দই খেতে পারেন।
- অল্প করে বাদাম খেতে পারেন।
- নিয়মিত দুইটি করে কলা খেতে পারেন।
- যেকোনো ধরনের কফি খাওয়া যেতে পারে।
- ভাত অথবা রুটি খেতে পারেন। ইত্যাদি।
শেষ কথা
প্রিয় পাঠক, এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনি নিশ্চয়ই এই পোস্টটির মাধ্যমে এতক্ষণে জেনে গেছেন, কিভাবে স্বাস্থ্যের অধিকারী হওয়া যায় এবং মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার উপায় কি তা সম্পর্কে। নিশ্চয়ই এ আর্টিকেলটি আপনার কাছে অনেক ভালো লেগেছে এবং এই আর্টিকেলটি আপনার অনেক উপকারে আসবে। তাই এই আর্টিকেলটি আপনার কাছে ভালো লেগে থাকলে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। কেননা আপনার মাধ্যমে আপনার বন্ধুরাও জানতে পারবে কিভাবে স্বাস্থ্যের অধিকারী হওয়া যায় এবং মানুষের স্বাস্থ্য ভালো রাখার উপায় কি সে বিষয়ে।
এবং এরকম বিভিন্ন ধরনের নতুন নতুন আর্টিকেল বা ব্লক পোস্ট নিয়মিত পেতে আমাদের সাথেই থাকুন, কারণ আমরা এই ওয়েবসাইটে নিয়মিত নতুন নতুন ব্লগ পোস্ট পাবলিশ করে থাকি। তাছাড়াও আমরা এই ওয়েবসাইটে প্রযুক্তি বিষয়ক বিভিন্ন পোস্ট বা আটিকের প্রকাশ করে থাকি। নিজে ভালো থাকবেন পরিবারকে ভালো রাখার চেষ্টা করবেন। আসসালামু আলাইকুম।
সাগর ম্যাক্স এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url