নতুনদের জন্য ইংরেজি বই পড়া কিভাবে শুরু করবেন - ইংরেজি শেখার টেকনিক
১০টি শিক্ষা প্রযুক্তির নামনতুনদের জন্য ইংরেজি বই পড়া কিভাবে শুরু করবেন এবং ইংরেজি শেখার টেকনিক সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন?। তাই আমরা নতুনদের জন্য ইংরেজি বই পড়া কিভাবে শুরু করবেন এবং ইংরেজি শেখার টেকনিক সম্পর্কে এখন আলোচনা করব। নতুনদের জন্য ইংরেজি বই পড়া কিভাবে শুরু করবেন এবং ইংরেজি শেখার টেকনিক গুলি জানার জন্য আপনাকে এই আর্টিকেলটি সম্পন্ন পড়তে হবে।
আশা করি এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ার মাধ্যমে আপনি বিস্তারিতভাবে জানতে পারবেন নতুনদের জন্য ইংরেজি বই পড়া কিভাবে শুরু করবেন এবং ইংরেজি শেখার টেকনিক সম্পর্কে। তো চলুন বন্ধু আর দেরি না করে আমরা বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়ার চেষ্টা করি নতুনদের জন্য ইংরেজি বই পড়া কিভাবে শুরু করবেন এবং ইংরেজি শেখার টেকনিক গুলি বিষয়ে।
পোস্ট সূচিপত্রঃ নতুনদের জন্য ইংরেজি বই পড়া কিভাবে শুরু করবেন - ইংরেজি শেখার টেকনিক
ভূমিকা | নতুনদের জন্য ইংরেজি বই পড়া কিভাবে শুরু করবেন - ইংরেজি শেখার টেকনিক
ইংরেজি এমন একটি সাবজেক্ট বা বই। যেটি আমাদের শেখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেননা আধুনিক দিন যতই বাড়ছে ততই ইংরেজির ব্যবহার বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেজন্য আমাদের প্রত্যেকেরই ইংরেজি সুন্দরভাবে শেখা উচিত। কেউ যদি বিদেশে কোন কাজ বা পড়াশোনার জন্য যায়, তাহলে অবশ্যই তাকে ইংরেজিতে দক্ষ হতে হবে। শুধু তাই নয় আপনি এখন দেশে বসে যদি ফ্রিল্যান্সিং শিখতে চান, তাহলে অবশ্যই বায়ারের সাথে ইংরেজিতে কথা বলতে হবে।
আরো পড়ুনঃ ৫টি শিক্ষা প্রযুক্তির নাম ও ব্যবহার
তাই বলাই যাই ইংরেজি শেখা আমাদের খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সেজন্যই মূলত আমরা এই আর্টিকেলটি সাজিয়েছি, বিশেষ করে যারা নতুন তারা এ আর্টিকেলটি সম্পন্ন করার মাধ্যমে বুঝতে পারবে ইংরেজি বই পড়া কিভাবে শুরু করবেন সে বিষয়ে। এছাড়াও এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা ইংরেজি বিষয়ে আরো অনেক তথ্য জানানোর চেষ্টা করেছি। তো চলুন আমরা এক নজরে দেখে নেওয়ার চেষ্টা করি, এই আর্টিকেলটি সম্পন্ন পড়ার মাধ্যমে আমরা কি কি বিষয়গুলি বিস্তারিতভাবে জানতে পারবো।
এই আর্টিকেলটি সম্পন্ন পড়ার মাধ্যমে আমরা যেগুলো বিষয় জানতে পারবো সেগুলো হল পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলার উপায়, নতুনদের জন্য ইংরেজি বই পড়া কিভাবে শুরু করবেন, বই থেকে ইংরেজি শেখার উপায়, ইংরেজি শেখার টেকনিক, ইংরেজি পড়ার গুরুত্ব সম্পর্কে। তাহলে চলুন বন্ধু আর দেরি না করে আমরা স্টেপ বাই স্টেপ সকল পয়েন্ট গুলো পড়ার মাধ্যমে বিস্তারিতভাবে জেনে আসার চেষ্টা করি। আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনার অনেক উপকারে আসবে।
পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলার উপায়
পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলার উপায় গুলি জানার জন্য আর্টিকেলের এই অংশটুকু পড়তে থাকুন। কারণ আর্টিকেলের এই অংশে আমরা খুবই সুন্দর ভাবে আলোচনা করেছি পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলার উপায় সম্পর্কে। তো চলুন আর দেরি না করে আমরা বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়ার চেষ্টা করি পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলার উপায় গুলি বিষয়ে।
বর্তমান সময়ে বইয়ের গন্ধে নাক ডুবিয়ে অবসর কাটানো হয়ে ওঠে না। আমাদের জীবনের সবটুকু সময় যেন একেবারেই দখল করে নিয়েছে মোবাইল ফোন এবং ইন্টারনেট। এই সমস্ত গেজেটের কারণে আমাদের জীবনে বাড়ছে হতাশা এবং বিষন্নতার মত সমস্যা। সেজন্য আমরা যদি আমাদের মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে চাই তাহলে অবশ্যই বই পড়ার অভ্যাস থাকা ভীষণ প্রয়োজন।
আপনি চেষ্টা করুন আপনার দ্বীনের কিছুটা সময় বইয়ের সাথে কাটানোর। তাহলে আপনার শরীর এবং মন দুটোই ভালো থাকতে সাহায্য করবে। কিন্তু সবথেকে বড় প্রশ্ন হলো ডিজিটাল যুগে হারিয়ে যাওয়া বই পড়ার অভ্যাস কিভাবে আপনি ফিরে পাবেন?। তবে বন্ধু চিন্তার কোন কারণ নেই আমরা এমন কিছু টিপস আপনার সাথে শেয়ার করব। এই টিপস গুলি আপনি যদি অবলম্বন করেন তাহলে বই পড়ার অভ্যাস আবার আপনার জীবনে গড়তে পারবেন।
১। নিয়মিত বই পড়ার জন্য আপনার ঘরের একটি কন্যার সুন্দরভাবে সাজিয়ে নিতে পারেন।সে কর্নারে অবশ্যই আরামদায়ক বসার জায়গা এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে ভালো থাকতে হবে। আর খেয়াল রাখবেন বাইরে থেকে শব্দ কম আসে এমন একটি স্থান। আপনি আপনার নিজের পছন্দ মতন বই পড়ার টেবিলটিকে ডেকরেশন করে নিতে পারেন। সেজন্য কয়েকটি ইনডোর প্লান্ট, আপনার পছন্দের নকশার বুক সেলফ এবং কফি বা চায়ের মগ ব্যাস! এখন কফির মুভি চমক দিতে দিতে আপনার কোন একটি পছন্দের বই পড়তে পড়তে হারিয়ে যান কল্পনার রাজ্যে।
২। নিয়মিত কতটুকু সময় কাটাবেন বইয়ের সাথে সেটি ঠিকঠাক মত রুটিন করে নিন।শুরুতেই খুব একটি বেশি সময় বরাদ্দ করবেন না, আস্তে আস্তে আপনার পড়ার সময়টি বাড়ান। প্রথমদিকে বই পড়ার জন্য অন্তত ১৫ থেকে ২০ মিনিট রাখুন। তারপর কিছুদিনের মধ্যেই দৈনিক ৩০ থেকে ৪০ মিনিট সময় নির্দিষ্ট করার চেষ্টা করুন। আপনি আস্তে আস্তে দেখবেন বইয়ের সঙ্গে আপনার জীবন উপভোগ শুরু হয়ে গেছে।
৩। সব সময় নিজের ইচ্ছাকে প্রাধান্য দিন বই নির্বাচনের ক্ষেত্রে। আপনি যে সমস্ত বই পড়তে পছন্দ করেন, বেছে নিতে পারেন সে সমস্ত বইগুলি। এই বইগুলি হতে পারে কল্প কাহিনী, প্রেমের গল্প, গোয়েন্দা কাহিনী এবং কবিতার বই ইত্যাদি।
৪। আপনি আপনার মোবাইলের স্কিনের জন্য বরাদ্দ রাখা সময় আস্তে আস্তে কমিয়ে ফেলুন।এবং সেই সময়টুকু বই পড়াতে কাজে লাগান। বই পড়ার কর্নারে কোন প্রকার গেজেট রাখার চেষ্টা করবেন না।
৫। নিয়মিত একই সময় ধরে বই পড়ার চেষ্টা করুন। সেটা হতে পারে দুপুরে বিশ্রামের সময় কিংবা রাতে ঘুমানোর আগে। এভাবেই আস্তে আস্তে আপনার অভ্যাসে পরিণত হবে বই পড়া।
৬। অনেক ধরনের বুক ক্লাব অথবা অনলাইন রিডিং কমিউনিটি আছে। আপনি এ সমস্ত জায়গাতে যোগ দিতে পারেন। বই নিয়ে অনেক ধরনের আলোচনায় অংশগ্রহণের সুযোগ থাকে এই সমস্ত জায়গাতে। এতে করে পড়ার আগ্রহ ভীষণভাবে তৈরি হবে।
৭। মনে রাখবেন, এই বই পড়া অভ্যাস কখনোই রাতারাতি গড়ে তোলা সম্ভব নয়। আপনি কখনোই ধৈর্য হারা হবেন না।হঠাৎ করে কোন সময় যদি আপনার বই পড়তে ইচ্ছা না করে তবে হতাশ হবেন না।আপনাকে কষ্ট করে হলেও চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।
নতুনদের জন্য ইংরেজি বই পড়া কিভাবে শুরু করবেন
নতুনদের জন্য ইংরেজি বই পড়া কিভাবে শুরু করবেন? এই বিষয়টি জানানোর জন্যই আমরা এই আর্টিকেলটি সাজিয়েছি। আপনি যেদিন আর্টিকেলের এই অংশটুকু মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে বিস্তারিত ভাবে জানতে পারবেন নতুনদের জন্য ইংরেজি বই পড়া কিভাবে শুরু করবেন সে বিষয়ে। তাহলে চলুন বিস্তারিত ভাবে জেনে নেওয়ার চেষ্টা করি নতুনদের জন্য ইংরেজি বই পড়া কিভাবে শুরু করবেন সে সম্পর্কে।
আরো পড়ুনঃ ৫টি শিক্ষা প্রযুক্তির নাম
প্রথমেই বন্ধু আপনাকে একটা কথা বলতে চাই সেটা হল মানুষ পারে না এমন কোন বিষয় নেই। মানুষ যদি তার সর্বোচ্চ চেষ্টা করে তাহলে অবশ্যই সে বিষয়ে এক্সপার্ট হতে পারবে।সেজন্য আপনাকে ইংরেজি বই পড়ার জন্য নিজের মনকে প্রস্তুত করতে হবে। আপনার ইংরেজি পড়াটা যেন জোর করে না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখুন।
ইংরেজি বই পড়লে যে অনেক লাভ, এই বিষয়টি জানতে আর কারো বাকি নেই। কিন্তু আমরা বাঙালি জাতি এই ইংরেজি সাবজেক্টকে ছোট থেকে ভয় পেয়ে থাকি। তবে আপনি যদি একটু খেয়াল করে দেখেন তাহলে ইংরেজি সাবজেক্টটি খুব একটি কঠিন সাবজেক্ট নয়। আসলে একটি ইংরেজিতে প্রবাদ আছে, যত পড়বেন ততই শিখবেন। এবং সে সঙ্গে ততই পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায় যেতে পারবেন ও জানতে পারবেন।
কারণ শুধুমাত্র আপনি বই পড়ার মাধ্যমে বুঝতে পারবেন পৃথিবীটা আসলে কতটা সুন্দর।পড়ার প্রতি ভালোবাসা থাকার কারণে, আপনার পড়ার প্রতি বেশি আগ্রহী করে তুলতে পারবেন। তার মানে পড়ার বিকল্প ইংরেজিতে দক্ষ হওয়া কোন উপায় নেই? এই প্রশ্নের উত্তরে আমরা বলব না। কিন্তু এই টপিকসের সৃষ্টি হয়নি আমি চেষ্টা করব কিভাবে দ্রুত আপনি ইংরেজি অনর্গল ভাবে কথা বলবেন সে বিষয় নিয়ে।
যাই হোক চলুন আমরা এক নজরে দেখে নিই ইংরেজি বই পড়ার মাধ্যমে আমরা কি কি লাভ অর্জন করব।
- সুন্দরভাবে ইংরেজি শিখতে পারবো।
- ইংরেজির প্রচুর শব্দ শিখতে পারবো।
- ইংরেজি সারা জীবন কাজে লাগবে সেজন্য এই পজেটিভ জিনিসগুলো মনে সেটাপ করে নিন।
এখন কথা হল নতুনদের জন্য ইংরেজি বই পড়া কিভাবে শুরু করবেন?
১। প্রথমদিকে কিছু সহজ ইংরেজি বই দিয়ে শুরু করার চেষ্টা করুন। তবে আপনার যদি উপন্যাস পড়তে ভালো লাগে তাহলে সেটা দিয়েই শুরু করুন। যেমন অমিতাভ ঘোষ এদের লেখা পড়তে পারেন " চেতন ভগত"।
যখনি আপনি পড়বেন তখনই নতুন শব্দ লিখে রাখবেন। শুধু তাই নয় এর পাশাপাশি তার অর্থ বোঝার চেষ্টা করবেন। প্রথম দিকে আপনার অধৈর্য লাগতে পারে কিন্তু নিয়মিত লেগে থাকুন।শুরুতে একটি বই পড়া শেষ করুন। তারপর দেখবেন অনেকটাই শান্তি লাগছে। শুধু তাই নয় ইংরেজির প্রতি উদাসীনতা একটু হলেও আপনার জীবন থেকে কমবে।
২। কিছুদিনের মধ্যে আপনার যদি মনে হয় আপনি মোটামুটি সহজ ইংরেজি গুলি বুঝতে পারছেন।তবে আপনি যে লেভেলে আছেন সেই লেভেল থেকে একটু বাড়ান।অরুন্ধতী রাই, খুশওয়ান্ত সিং, টনি মরিসন ইত্যাদি এদের লেখা বই পড়ার চেষ্টা করুন। ধীরে ধীরে আপনার লেভেল ডেভেলপ হবে সে সঙ্গে আপনার পড়াও অভ্যাসে পরিণত হবে।
পরিশেষে আপনাকে একটা কথাই বলবো আপনার যে বিষয়ে আগ্রহ আছে সে বিষয়ে পড়া শুরু করতে থাকুন। আসলে বন্ধু আমাদের ব্রেন এমন যে কোন কাজ শুরু করার আগেই আমরা ভেবে বসে থাকি এই কাজটি আমরা পারবো না। তবে আমরা যেটি পারবো না মনে হয় নিজের ব্রেন কে সেটা জোর করে করালে বেড়ানো নিজেকে সেই কাজে ধীরে ধীরে খাপ খাইয়ে নেয়। তাই নিয়মিত চেষ্টা রাখুন এবং নিজের প্রতি আস্থা রাখবেন সবসময়।
৩। একটি ধারণা হতে পারে এমন একটি বই বেছে নেওয়ার চেষ্টা করুন যেটি আপনি ইতিমধ্যে পড়েছেন এবং আপনার নিজের ভাষায় উপভোগ করেছেন। হয়তোবা আপনি কিছুক্ষণ আগে এটি পড়েছেন ও আপনি ঠিক কি ঘটে সেটি ভুলে গেছেন। এটি মূলত আবার ইংরেজিতে পড়ার চেষ্টা করুন, এবং গল্পটি পরিচিত এবং অনুসরণ করা সহজ হবে আপনার জন্য। তাছাড়া আরেকটি ধারণা হচ্ছে একটি চলচ্চিত্রের বই পড়া যেটি আপনি ইতিমধ্যেই দেখেছেন।
বই থেকে ইংরেজি শেখার উপায়
বই থেকে ইংরেজি শেখার উপায় আপনি কি জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আপনি সাইফুল স্যারের বইটি পড়ুন। কিন্তু কথা হল আপনি কিনবেন কোন বই? সেক্ষেত্রে আপনি সিরিয়ায় ওনার বইগুলো পড়বেন। তবে আপনি যদি একেবারে প্রথম থেকে শুরু করতে চান তাহলে ইংরেজিতে জিরো থেকে হিরো এই বইটি এখনই কিনে ফেলুন। একটা কিনার মাধ্যমে আপনি সব কিছুর লাইন অটোমেটিক পেয়ে যাবেন।
আরো পড়ুনঃ কারিগরি শিক্ষা কাকে বলে
তাছাড়াও আপনি আরেকটি বই পড়তে পারেন, সেটা হল " ইংলিশ গ্রামার ইন ইউজ"। এই বইটি রেমন্ড মারফি লিখেছে। ক্যামব্রিজ ইউনিভার্সিটি প্রেস থেকে এই বইটি প্রকাশিত হয়েছে। এই বইটি মূলত নিজে নিজে পড়ার এবং অনুশীলন করার বই। গুগল থেকে জানা গেছে ১০০% এর মধ্যে ৯৩% মানুষই এই বইটি পছন্দ করেছেন। আসলে ইন্টারমিডিয়েট থেকে অ্যাডভান্স ছাত্রদের জন্য এই বইটি লেখা হয়েছে।
তাছাড়া যেসব দেশে ইংরেজি কথ্য ভাষা নয়। সে সমস্ত দেশসহ সারা পৃথিবীতে এই বইটি অত্যন্ত জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। খুবই সহজ করে লেখা এবং যথার্থ তার জন্য এ বইটি বিপুল পাঠকীয়তা পেয়েছে। যদিও এই বইটি সেল্ফ স্টাডি টাইপের তবুও শ্রেণীতে পড়ানোর জন্য বইটি অত্যন্ত ভালো একটি বই। এই বইটি আজ থেকে পড়তে থাকুন।
ইংরেজি শেখার টেকনিক
ইংরেজি শেখার টেকনিক সম্পর্কে এখন আর্টিকেলের এই অংশে আলোচনা করব। আপনি যদি ইংরেজি শেখার টেকনিক জানতে চান, তাহলে আর্টিকেলের এই অংশটুকু সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন আর জানতে থাকুন ইংরেজি শেখার টেকনিক গুলি। তো চলুন শুরু করা যাক।
একটি গভীর নিঃশ্বাস নিয়ে শুরু করুন বলাঃ
আপনি যদি ইংরেজিতে কথা বলতে চান তাহলে আপনাকে চিন্তাভাবনা ছেড়ে দিয়ে ইংরেজি বলা শুরু করে দিতে হবে। প্রথম প্রথম আপনি পুরো একটি ইংরেজি বলতে পারবেন না তো চিন্তার কোন কারণ নেই আস্তে আস্তে সময় বাড়ান আজকে তিন মিনিট কালকে পাঁচ মিনিট তারপর দশ মিনিট তারপর ১৫ মিনিট করে অনুশীলন শুরু করুন। এভাবে আপনি নিজের অজান্তেই ইংরেজি কথা বলা শিখে যাবেন।
ইংরেজি না জানার কারণে নিজেকে কখনোই দোষারোপ করবেন নাঃ
আপনার জীবনে ইংরেজি জ্ঞান এর স্বল্পতা থাকতে পারে। তবে সেজন্য নিজেকে কখনোই দোষারোপ করার চেষ্টা করবেন না। আপনি তো এখন শিখতেই চাচ্ছেন। কোনদিনই না শেখার চেয়ে দেরিতে শেখা অনেক ভালো।
সবকিছুই অনুবাদ করবেন নাঃ
আপনার কিছু কিছু সময় মনে হতে পারে ইংরেজি যখন শিখছি তখন সমস্ত কিছুই বঙ্গানুবাদ শিখে রাখা প্রয়োজন। যেমন ধরুন আপনি চেয়ারকে কেদারা বলা শুরু করে দিলেন কিংবা কোন প্রেসকে আপনি বাংলায় অনুবাদ করে শেখার চেষ্টা করলেন। এ কাজগুলো ভুলেও করতে যাবেন না। এটি মূলত আপনার শেখার গতিকে একেবারেই নষ্ট করে দিতে পারে। এর চেয়েও বড় কথা হচ্ছে ইংরেজি শেখার জন্য আপনাকে এই সমস্ত বিষয়গুলি জানার কোন প্রয়োজন নেই।
আপনার কানকে প্রশিক্ষিত করুনঃ
আপনি যদি ভালোভাবে ইংরেজি শিখতে চান তাহলে আপনাকে লিস্ট ইনিং স্কিল বাড়াতে হবে। আপনি যত বেশি নিজ কানে শুনে বুঝবেন, ততই বেশি আপনার শিখাটা সহজ হবে। সেজন্য আপনি যেমন ইংলিশ গান শুনতে পারেন, ইংলিশ মুভি দেখতে পারেন এবং ডকুমেন্টারি প্রোগ্রাম দেখতে পারেন। এতে করে আপনার আস্তে আস্তে লিস্ট ইন স্কিল অনেক ডেভেলপ হয়ে যাবে।
কখনোই ভুল করার ভয় করবেন নাঃ
আমরা যেহেতু সকলে মানুষ হয়ে জন্মেছি হিসেবে তো আমাদের ভুল হবে এটাই স্বাভাবিক।তবে সেই ভুলের ভয় করে হাত-পা গুটিয়ে বসে থাকা চলবে না। আসলে ইংরেজিতে কথা বলতে কি না বা ইংরেজি শিখতে গিয়ে, যত বেশি ভুল করতে থাকবেন ততই তাড়াতাড়ি ইংরেজি শিখতে পারবেন। আস্তে আস্তে আপনার ভুলের মাত্রা আপনা আপনি কমে যাবে এবং আপনি নিজেই নিজের পার্থক্যটি বুঝতে পারবেন।
সব সময় চেষ্টা করুন ছেড়ে দেওয়ার চেষ্টা করবেন নাঃ
ইংরেজি দক্ষ ভাবে শিখতে গিয়ে হয়তো বা আপনার একটু সময় বেশি লাগতে পারে। তবে হতাশ হবেন না এমনকি ভেঙ্গে পড়বেন না। কেননা প্রত্যেকটি মানুষের স্বীকার পদ্ধতি এবং সময়সীমা একরকম হয় না। কিন্তু আপনি যদি আপনার সর্বোচ্চ চেষ্টা করে লেগে থাকেন তাহলে অবশ্যই একদিন না একদিন ভালো হবে ইংরেজি শিখতে পারবেন।
একটি খাতায় Phrase গুলি লিখে রাখুনঃ
আপনি যদি অনেক ভালো ইংরেজি জানতে চান তাহলে আপনাকে অনেক Phrase জানতে হবে।সেজন্য আপনি সবসময় Phrase শেখার জন্য গুরুত্ব দিন। আপনার চোখে যখনই কোন Phrase পড়বে, তখনই সঙ্গে সঙ্গে একটি ডাইরিতে বা খাতায় লিখে নিন। শুধু শুধু লিখে খাতাটা রেখে দেবেন না আপনার কাছে রাখার চেষ্টা করবেন, উনি অবসর সময় পাবে তখনই খাতাটি দেখুন, অনেক কাজে আসবে।
নেতিবাচক চিন্তা ভাবনা থেকে দূরে থাকুনঃ
কোনভাবেই কোন পরিস্থিতিতেই নেতিবাচক চিন্তাভাবনা করার চেষ্টা করবেন না অথবা নিজেকে বলবেন না "You Will Never Learn English"।
একটি লক্ষ্য নির্ধারণ করুনঃ
কত দিনের মধ্যে আপনি আপনাকে কোন জায়গাতে দেখতে চান বা কতটুকু ভালো ইংরেজি জানতে চান, সেই লক্ষ্যটি সঠিকভাবে নির্ধারণ করুন। আপনার সামনে একটি লক্ষ্য নির্ধারণ করুন যদিও বা লক্ষ্যটি ছোট হয় তবুও। সে ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনার শেখার প্রতি অনেকটা গতি আসবে।
নতুন কিছু করার চেষ্টা করুনঃ
আপনি আপনার নিজের থেকে বেরিয়ে বাইরে গিয়ে ভাবতে শিখুন। এখানে আপনাকে আমি বোঝানোর চেষ্টা করেছি সকলেই ইংরেজি যেভাবে শেখে সেভাবে না শেখে একটু অন্যভাবে ইংরেজি শেখার চেষ্টা করুন।
গ্রামার বইটি ছাড়ুনঃ
আপনি কখনোই ইংরেজি ভালোভাবে শিখতে পারবেন না যদি আপনি প্রথমেই গ্রামার নিয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করেন। আত্মস্থ করতে পারবেন না কখনোই। মনের ভেতরে গ্রামার ভীতি না নিয়ে নতুন কিছু শেখার আনন্দে ইংরেজি শিখতে থাকুন। যেমন ধরেন ছোট শিশুরা বা ছোট ছেলে মেয়েরা নতুন খেলনা নিয়ে সীমাহীন আগ্রহ নিয়ে খেলে।
ইংরেজি পড়ার গুরুত্ব
ইংরেজি পড়ার গুরুত্ব হওয়ার একমাত্র কারণ তুলে ধরার চেষ্টা করব এখন। সেজন্য আপনাকে আর্টিকেলের এই অংশটুকু সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে। তবেই আপনি জানতে পারবেন কেন ইংরেজি পড়ার গুরুত্ব। তো চলুন আমরা ঝটপট জেনে নেওয়ার চেষ্টা করি ইংরেজি পড়ার গুরুত্ব সম্পর্কে।
আসলে বন্ধু বাংলা আমাদের মাতৃভাষা হলেও ইংরেজি আমাদের জীবনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।কারণ বলা যায় ইংরেজি আমাদের দ্বিতীয় ভাষা। এই ভাষাটি ব্রিটিশরা প্রায় 200 বছর এই উপমহাদেশ শাসন করে তাদের ভাষায় ইংরেজি এখানে প্রবর্তন করেন। ব্রিটিশকালীন সময়ে এদেশের পাঠ্যপুস্তক ইংরেজিতে পঠিত হতো। সে সময় ব্রিটিশ সরকার তাদের প্রশাসনিক কর্মকাণ্ড গতি আনার জন্য ইংরেজি ভাষার ওপর গুরুত্ব দেন।
তবে ইংরেজি ভাষা শিক্ষাকে হিন্দু ধর্মের অনুসারীরা যেভাবে স্বাগতম জানিয়েছিল সেভাবে আমাদের মুসলিমরা জানায়নি। আজ একবিংশ শতাব্দীতে আসার পরেও নতুন প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের কাছ থেকে যখন প্রত্যাশিত মানের ইংরেজি ভাষা জ্ঞান না পায় তখন মনটা অনেকটাই ব্যর্থ হয়ে যায়। আসলে প্রকৃতপক্ষে একটি শিক্ষাজীবন শেষে শিক্ষার্থীরা যখন ইংরেজিতে ঠিকঠাক মতো কথা না বলতে পারে বা ইংরেজিতে দুর্বল থেকে যায় তখন সেটি হয় আমাদের দেশের জন্য বোঝা স্বরূপ।
এই ডিজিটাল যুগে এসে যদি আমরা ঠিকঠাক মত ইংরেজিতে কথা না বলতে পারি তাহলে আমরা করব অনেক বিপদে। কারণ ডিজিটাল যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার জন্য আমাদেরকে অবশ্যই ইংরেজি শেখা প্রয়োজন। কারণ আমরা এই তথ্য প্রযুক্তির যুগে যে প্রযুক্তি ব্যবহার করি না কেন সে প্রযুক্তিতেই রয়েছে ইংরেজির ব্যবহার। সেজন্য আমাদের প্রত্যেকেরই ইংরেজির উপর ভীষণভাবে গুরুত্ব দেওয়া উচিত।
সত্যি কথা বলতে বাঙালি মানুষের কাছে ছোট থেকে ইংরেজি পড়তে বা জানতে ভয় পায়।সেজন্য আমাদেরকেই এই অভ্যাস পরিবর্তন করতে হবে। এই ইংরেজি ভাষাকে ভয় না পেয়ে ইংরেজি ভাষা আমাদের শিখতে হবে। আপনি যদি বাইরের কোন দেশে ঘুরতে যান তাহলে আপনার অবশ্যই ইংরেজি জানা থাকতে হবে যদি আপনার ইংরেজি জানা না থাকে তাহলে আপনি কোন দেশে ঘুরে বেড়াতে পারবেন না।
তবে এই বিষয়টি শুধুমাত্র শিক্ষার্থীদের ওপর ছেড়ে দিলে হবে না। আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা কেউ কঠোর হতে হবে। শিক্ষাব্যবস্থা যদি ইংরেজি বিষয়ে কঠোর হয় তাহলে অবশ্যই শিক্ষার্থীরা ইংরেজি শিখার জন্য আগ্রহী হয়ে উঠবে এবং ইংরেজি শিখতে পারবে। শ্রেণী কক্ষে শিক্ষককেও যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। শুধু তাই নয় এর পাশাপাশি ইংরেজি ভাষার প্রসারে সরকারের উদ্যোগে বয়স উপযোগী বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নিতে হবে।
লেখকের মন্তব্য | নতুনদের জন্য ইংরেজি বই পড়া কিভাবে শুরু করবেন | ইংরেজি শেখার টেকনিক
প্রিয় পাঠক, এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনি নিশ্চয়ই এতক্ষণে জেনে গেছেন নতুনদের জন্য ইংরেজি বই পড়া কিভাবে শুরু করবেন এবং ইংরেজি শেখার টেকনিক সম্পর্কে। যেহেতু দিন যত আগাচ্ছে এবং প্রযুক্তির যত বৃদ্ধি পাচ্ছে ততই আমাদের ইংরেজির প্রয়োজনীয়তা বেশি বাড়ছে, সেহেতু আমাদের সকলকেই উক্ত বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জেনে রাখা উচিত।
তবে আপনি যদি আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে কোথাও বুঝতে না পারেন বা বুঝতে সমস্যা হয়, তাহলে অবশ্যই আমাদেরকে কমেন্টে জানিয়ে যাবেন আমরা যত দ্রুত পারি আপনাকে সমাধান দেওয়ার চেষ্টা করব। আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনার কাছে অনেক ভালো লেগেছে এবং এই আর্টিকেলটি আপনার অনেক উপকারে আসবে। তাই এই আর্টিকেলটি আপনার কাছে ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই আপনি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না।
কেননা আপনার বন্ধুরা আপনার মাধ্যমে জানতে পারবে নতুনদের জন্য ইংরেজি বই পড়া কিভাবে শুরু করবেন এবং ইংরেজি শেখার টেকনিক সম্পর্কে। আর অবশ্যই আমাদের এই ওয়েবসাইটে নিয়ম ভিজিট বা ফোলো করার চেষ্টা করবেন। কারণ আমরা এই ওয়েবসাইটে নিয়মিত নতুন নতুন ব্লক পোস্ট বা আর্টিকেল পাবলিশ করে থাকি। আসসালামু আলাইকুম।
সাগর ম্যাক্স এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url