ঠোঁট ফাটার জন্য কোন ভিটামিন খেলে ভালো হয়শীতে ত্বকের শুষ্কতা দূর করার উপায় এবং শীতে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির উপায় সম্পর্কে আপনি নিশ্চয়ই জানতে চান। তাই আমরা শীতে ত্বকের শুষ্কতা দূর করার উপায় এবং শীতে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির উপায় সম্পর্কে জানাবো। এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ার মাধ্যমে শীতে ত্বকের শুষ্কতা দূর করার উপায় এবং শীতে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির উপায় সম্পর্কে আপনি বিস্তারিত ভাবে জানতে পারবেন।
শীতে আমাদের ত্বক অনেকটাই শুষ্কতা হয়ে যায়। শুধু তাই নয় ত্বকের উজ্জ্বলতাও অনেকটাই কমে যায়। তাই আমরা কিভাবে এর থেকে মুক্তি পাবো। সে বিষয় নিয়েই মূলত আমরা এই আর্টিকেলটি সাজিয়েছি। আমরা এ আর্টিকেলটির মাধ্যমে খুবই সুন্দরভাবে জানতে পারবো শীতে ত্বকের শুষ্কতা দূর করার উপায় এবং শীতে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির উপায়। তো চলুন বন্ধু দেরি না করে আমরা বিস্তারিতভাবে জেনে আসার চেষ্টা করি শীতে ত্বকের শুষ্কতা দূর করার উপায় এবং শীতে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির উপায় সম্পর্কে। আশা করি আর্টিকেলটি আপনার অনেক উপকারে আসবে।
পোস্ট সূচিপত্রঃ শীতে ত্বকের শুষ্কতা দূর করার উপায় - শীতে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির উপায়
ভূমিকা
শীত চলে এসেছে, এখন আমাদের দায়িত্ব ত্বকের বাড়তি যত্ন নেওয়া। আমরা সারা বছর যতই ত্বকের যত্ন নিই না কেন শীত আসলে আমাদেরকে ত্বকের যত্ন একটু বেশি নিতে হয় কারণ শীতে আমাদের ত্বক অনেকটাই সুস্থ হয়ে যায় আদরতা হারিয়ে ফেলে উজ্জ্বলতা কমে যায়। সেজন্য আমাদের প্রত্যেকেরই উচিত এই শীতে ত্বকের আদ্রতা এবং উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির উপায় সম্পর্কে জানার।
তাই আমরা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে খুবই সুন্দরভাবে আলোচনা করার চেষ্টা করেছি শীতে ত্বকের শুষ্কতা দূর করার উপায় এবং শীতে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির উপায় সম্পর্কে। যাইহোক চলুন আমরা এক নজরে জেনে নেওয়ার চেষ্টা করি এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ার মাধ্যমে কি কি বিষয় সম্পর্কে আমরা বিস্তারিত ভাবে জানতে পারব।
আমরা যদি এই আর্টিকেলটি সম্পন্ন মনোযোগ সহকারে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত স্টেপ বাই স্টেপ সকল পয়েন্ট গুলো পড়ি তাহলে যে সকল বিষয়গুলো জানতে পারবো সেগুলো হল শীতে ত্বকের সুস্থতা দূর করার উপায়, শীতে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির উপায় শীতকালে মুখে কি মাখা উচিত শীতে ত্বকের যত্নে ক্রিম শীতে ত্বকের যত্নে ঘরোয়া উপায়। তো চলুন ঝটপট এ সমস্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে জেনে আষাঢ় চেষ্টা করি।
শীতে ত্বকের শুষ্কতা দূর করার উপায়
শীতে ত্বকের শুষ্কতা দূর করার উপায় সম্পর্কে আপনারা যারা জানতে চাচ্ছেন তারা আর্টিকেলের এই অংশটুকু পড়তে থাকুন। কারণ আমরা আর্টিকেলের এই অংশে আলোচনা করব শীতে ত্বকের শুষ্কতা দূর করার উপায় সম্পর্কে। শীতে ত্বকের শুষ্কতা দূর করার জন্য বেশ কয়েকটি উপায় আপনি অবলম্বন করে দেখতে পারেন অনেক ভালো ফলাফল পাবেন।
শীতে ত্বকের শুষ্কতা দূর করার বেশ কয়েকটি উপায় থাকলেও সব থেকে যেটি বেশি কার্যকারী সেটা হল বাদাম তেল আপনি যদি নিয়মিত আপনার ত্বকে গ্লিসারিন ব্যবহার করতে পারেন। তাহলে অনেক ভালো ফলাফল পাবেন, কেননা গ্লিসারিন ত্বকের সুস্থতা দূর করতে বেশ সাহায্য করে থাকে।
সেজন্য আপনাকে গ্লিসারিনের মধ্যে এক চা চামচ গোলাপ জল মিশাতে হবে এবং সামান্য এলোভেরা মিশিয়ে নিয়মিত ত্বকে ম্যাসাজ করতে হবে। আপনি যদি আপনার ত্বকে নিয়মিত গ্লিসারিন ব্যবহার করতে পারেন তাহলে আপনার ত্বকে আদ্রতা আসবে এবং আপনার ত্বকে পর্যাপ্ত পরিমাণে পুষ্টি পাবে।
এছাড়াও আপনি যখনই ঘুমাতে যাবেন আপনার ত্বকে বাদাম তেল ব্যবহার করতে পারেন, কেননা বাদাম তেল ব্যবহারে শুষ্ক ত্বক আদ্র হয় এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা ফিরে আসে। শুধু তাই নয় ত্বক টানটান করতে সাহায্য করে থাকে বাদাম তেল। তাই আপনি যদি আপনার শুষ্ক ত্বক আদ্র করতে চান এবং ত্বক উজ্জ্বল করতে চান,
তাহলে আপনাকে রাতে ঘুমানোর আগে বাদাম তেল ত্বকে সুন্দরভাবে মালিশ করতে হবে। আশা করি শীতে ত্বকের শুষ্কতা দূর করার উপায় সম্পর্কে বুঝতে পেরেছেন।
শীতে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির উপায়
শীতে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির উপায় সম্পর্কে জানার জন্য আর্টিকেলের এই অংশটুকু পড়তে থাকুন। আমরা আর্টিকেলের এই অংশে খুব সুন্দর ভাবে আলোচনা করার চেষ্টা করেছি শীতে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির উপায় সম্পর্কে। আপনি যদি এই অংশটুকু মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে বিস্তারিত ভাবে জানতে পারবেন শীতে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির উপায়।
আজকে আমরা এমন কিছু ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে আপনাদেরকে জানাবো যে উপায়গুলো আপনি যদি আপনার ত্বকে ব্যবহার করেন তাহলে এই শীতে আপনার ত্বক অনেকটাই উজ্জ্বল থাকবে। যাই হোক আপনারা যারা বাজারে বিভিন্ন প্রকার আয়ুর্বেদিক মশ্চারাইজারের দিকে নির্ভরশীল থাকেন,
কাছ থেকে আর তাদেরকে আয়ুর্বেদিক মশ্চারাইজারের দিকে নির্ভরশীল হতে হবে না।আপনারা নিঃসন্দেহে এ সকল ঘরোয়া উপায়ে নিজের ত্বককে উজ্জ্বলতার ভরপুর করে আনতে পারবেন। তাহলে চলুন বন্ধু আর্জেন্টিনা করে আমরা বিস্তারিতভাবে চিনে আসার চেষ্টা করি শীতে ত্বকের উজ্জ্বলতার বৃদ্ধির উপায় সম্পর্কে।
ঠান্ডা আবহাওয়া আমাদের ত্বকে মৃত কোষের পরিমাণ অনেকটাই বেড়ে যায়। সেজন্য নিয়মিত ত্বক স্ক্রাব করে নেওয়া প্রয়োজন। এতে করে ত্বকের গভীর থেকে পরিষ্কার হবে এবং মৃত কোষ অনেকটাই উঠে আসবে। তাই প্রতিদিন গোসলের পর প্রত্যেকটি বার মুখ ধোয়ার পর ভেজা অবস্থায় মশ্চারাইজার অথবা লোশন ব্যবহার করা প্রয়োজন।
নিয়মিত এ সকল মশ্চারাইজার আমাদের ত্বকের প্রয়োগ করি তাহলে ত্বকের আদ্রতা বজায় থাকবে। ঠান্ডা বা শীত আসছে বলেই যে সানস্ক্রিন ব্যবহার করার প্রয়োজনীয়তা কমে গেছে। শীতকালীন সময়েও বাইরে বের হওয়ার ২০ থেকে ৩০ মিনিট আগে এসপিএফ ২০ থেকে ৩০ সম্পন্ন সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন।
শীতকালে মাঝেমধ্যেই ত্বকের আদ্রতা বজায় রাখতে মুখে পানির ঝাপটা দিন। তাতে করে সহজে আপনার ত্বক শুষ্ক হবে না। আমাদের মধ্যে অনেকে আছেন যখনই শীতকাল আসেন তখন গরম পানিতে গোসল করেন। কিন্তু আপনি কি জানেন গরম পানি ত্বকের আদ্রতা অনেকটাই কমিয়ে দেয়।
সেজন্য আপনি কখনোই গরম পানি দিয়ে মুখ ধোয়ার চেষ্টা করবেন না। এতে করে আপনার ত্বকের অনেকটাই ক্ষতি হতে পারে। আর শুধু টক নয় ঠোঁটের সমস্যায় ভোগে থাকি আমরা সকলেই। এসময় মূলত সূর্যের আলো থেকে ত্বকে বার্ন হয় না, ঠান্ডা বাতাস থেকেও টক অনেকটাই জ্বালা হয়। সেজন্য একে বলা হয়ে থাকে উইন্ড বার্ন।
আমাদের এই শুষ্ক ত্বকে উইন্ড বার্ন অনেক বেশি ক্ষতি করে থাকে। শুধুমাত্র এর থেকে রক্ষা করতে পারে পেট্রোলিয়াম জেলি। যদি আপনার ত্বক খুব বেশি উইন্ড বার্ন হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই ত্বকে এলোভেরা জেল ব্যবহার করুন অনেক ভালো ফল পাবেন। আশা করি এতক্ষণে আপনি বুঝতে পেরেছেন শীতে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির উপায় সম্পর্কে।
শীতকালে মুখে কি মাখা উচিত
এতক্ষণ আমরা জানলাম শীতে ত্বকের উজ্জ্বলতার বৃদ্ধির উপায়। আর্টিকেলের এই অংশে আমরা এখন জানবো শীতকালের মুখে কি মাখা উচিত?। বিশেষ করে শীতকালে বাতাসের আদ্রতা কম থাকে তার ফলে খুশকি অনেক বেশি হয়। শীতকালীন সময় আদ্রতার কারণে চামড়া শুকিয়ে যায়,
পুরনো চামড়া উঠে গিয়ে নতুন চামড়া তৈরি হতে থাকে। আর এ সকল মৃত চামড়া বা পোস্টগুলিকে আমরা খুশকি হিসেবে দেখে থাকি। শুধু তাই নয় শীতকালীন সময়ে বাতাসে ধুলাবারে পরিমাণ অনেকটাই বেড়ে যায় বলে খুশকির সমস্যা বেড়ে যায়। সেজন্য আমাদের প্রত্যেকেরই জানা প্রয়োজন শীতকালে মুখে কি মাখা উচিত।
সকালে
সকালে ঘুম থেকে উঠে নিজের ত্বকের ধরন বুঝতে হবে তারপর ফেসওয়াশ অথবা কোমল ময়েশ্চারযুক্ত সাবান দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে অন্তত একদিন স্ক্রাব করতে পারেন। আপনার ত্বক পরিষ্কার এবং উজ্জ্বল করতে এর কোন বিকল্প নেই। তবে মাঝেমধ্যে গাজরের রস মুখে মেখে কিছুক্ষণ পর ধুয়ে ফেললেও অনেক উপকার পাওয়া যায়। এভাবে করে আপনার ত্বক ঠিকমতো ধোয়া হবে এবং কালো ছাপও কমবে।
দুপুরে
শীতকালীন সময়ে গোসলে সাবান ব্যবহার কম করুন। যদিও সাবান ব্যবহার করতে চান তাহলে আদ্রতা যুক্ত সাবান ব্যবহার করার চেষ্টা করুন। এতে করে আপনার ত্বকে খুশখুসে ভাব অনেকটাই কম আসবে।তবে আপনি শীতে শরীরে তেল ব্যবহার করতে পারেন। আমাদের বাংলাদেশে সর্ষের তেল শরীরে মাখার ঐতিহ্য অনেক প্রাচীন।
এছাড়াও আপনি অলিভ অয়েল, নারিকেল অথবা অন্যান্য যেকোন তেলি শরীরে ব্যবহার করতে পারেন।কিন্তু এ সকল তেল ব্যবহারের আগে দেখে নিতে হবে সেটি আপনার ত্বকের জন্য উপযুক্ত কিনা। যদি এ সকল তেলগুলো আপনার ত্বকের উপযুক্ত হয় তাহলে তেল হালকা গরম করে পুরো শরীরে ম্যাসাজ করতে পারেন।
আপনি যদি দুপুরে গোসল করার পরে এই ম্যাসাজ করতে পারেন তাহলে অনেক উপকার পাবেন। আমাদের দেশে শীতের সময় গরম পানি দিয়ে গোসল করার প্রবণতা অনেকের রয়েছে। আপনি আপনার সারা শরীরে গরম পানি দিয়ে গোসল করলেও গরম পানি দিয়ে মাথা এবং মুখ ধোয়া কখনোই যাবে না।
কারণ অনেক বিশেষজ্ঞ রাই বলেছেন, অতিরিক্ত গরম পানি ত্বকের কষ্টে ক্ষতিগ্রস্ত করতে সাহায্য করে।সেজন্য ত্বকের আদ্রতা অনেকটাই নষ্ট হয়ে যায়। তাই গোসলের সময় পানিতে কয়েক ফোটা জোজোবা অথবা বাদাম তেল দিয়ে তা ত্বককে আগ্রহ ও মসৃণ করতে অনেক সহায়তা করে। আপনার গোসল শেষে এবং প্রতিবার মুখ ধোয়ার পর ভেজা অবস্থায় ময়েশ্চারাইজার কিংবা লোশন ব্যবহার করতে পারেন, এতে করে আপনার ত্বকের আদ্রতা বজায় থাকবে।
বাসা থেকে বাইরে যাওয়ার আগে
শীতকালীন সময়ে আমাদের রোদ গায়ে লাগে বেশ চিনচিন করে। সেই হীন আবহাওয়া রোদ আরাম দিলেও স্বামী-স্ত্রী ব্যবহার করতে কখনোই ভুলবেন না। বাইরে বের হওয়ার অন্তত ৩০ মিনিট আগে এসপিএফ ১৫ থেকে ৩০ সম্পন্ন সানস্ক্রিন লোশন ব্যবহার করতে পারেন।অতিরিক্ত ময়েশ্চারাইজার যুক্ত সানস্ক্রিন ব্যবহার করার চেষ্টা করুন প্রয়োজনে পানি মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। বিকেলের দিকে পুরো মুখে মধু লাগিয়ে পড়ে ধুয়ে ফেললে অনেক উপকার পাওয়া যায়।
রাতে
রাতে যখন আপনি ঘুমাতে যাবেন তার আগে নিয়মিত পরিমাণের চেয়ে একটু বেশি ময়েশ্চারাইজিং লোশন ব্যবহার করার চেষ্টা করুন। তাতে করে আপনার ত্বকের খুসখুসে ভাব দূর হবে। আপনার ত্বকের আদ্রতা ও উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে রাতে ঘুমানোর আগে অলিভ অয়েল কিংবা তরল প্যারাফিন মারতে পারেন।
তাছাড়াও রাতে ঘুমানোর আগে তাদের বয়স কম তারা পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করতে পারেন এটাও অনেক উপকার পাবেন। কিন্তু আপনার যদি বয়স ৩০ এর ওপর হয় তাহলে নাইট ক্রিম ব্যবহার করুন, নাইট ক্রিম ত্বকের জন্য খুবই ভালো।
শীতে ত্বকের যত্নে ক্রিম
শীতে ত্বকের যত্নে ক্রিম?। শীতে আমাদের ত্বক অনেকটাই শুষ্ক দেখায়। এর পাশাপাশি টক প্রাণহীন হয়ে যায়। শুধু তাই নয় সারা শরীরে শীতের প্রভাব পড়ে। নাক বন্ধ হয়ে আসে, এবং নাক দিয়ে জল পড়া শুরু করে, হাসমিতে অনেকটাই কষ্ট হয়, আর হাঁচি কাশি তো আছেই। বিশেষ করে এই সময় দেখা যায়।
সেজন্যই শীতে বেশি করে ক্রিম, লোশন ব্যবহার করা প্রয়োজন। তবে অবশ্যই এই ক্রিম ব্যবহার করলে মুখ প্রতিদিন ভালো করে ধুতে হবে। নইলে ত্বকে একটা আস্তরণ পড়ে যাবে। ধুলোবালি ময়লা এ সকল দিনের পর দিন যদি ত্বকে জমতে থাকে তাহলে তো আরো বেশি প্রাণহীন হয়ে যাবে।
শীত যখনই আসতে শুরু করে তখনই বাজারে ক্রিমের ছড়াছড়ি শুরু হয়ে যায়। শুধু তাই নয় মোবাইলে কিংবা টিভিতে বিজ্ঞাপনের ছড়াছড়ি। সকলেই বলতে চাই তাদের নিজেদের ক্রিমই সেরা। তাই বন্ধু এ সকল বিজ্ঞাপনের প্রলোভনে পা না এগিয়ে নিজেই ব্যবহার করতে থাকুন এ সকল উপাদান গুলি।
১। বাদাম তেল ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন। কারণ বাদাম তেলের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই। বাদাম তেল শীতে ত্বককে নতুন প্রাণ দিয়ে থাকে। নিয়মিত বাদাম তেল ব্যবহার করলে ত্বক থাকে উজ্জ্বল। সেই সাথে ত্বকের অর্ধেকের বেশি সমস্যা সেরে যায়। শুধু তাই নয় বাদাম তেল নিয়মিত ব্যবহারে ত্বক ফর্সা হয়।
২। অর্গান অয়েল আমাদের ত্বকের জন্য বেশ উপযোগী অয়েল। শুধু তাই নয় অর্গান অয়েল দেওয়া শ্যাম্পু ব্যবহার করলে চুল থাকে ঝকঝকে এবং নরম। অর্গান তেলের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন ই, ভিটামিন এ, ওমেগা ৬, এন্টিঅক্সিডেন্ট এর মত একাধিক উপাদান সমূহ। তাই আমাদের ত্বকের শুষ্কতা ও ফুসফুসের ভাব দূর করার জন্য অর্গান অয়েল বেশ কাজে আসে।
৩। এই শীতে ব্যবহার করতে পারেন সিরাম। কারণ সিরাম এর মধ্যে উপাদান হিসেবে থাকে হায়ালুরোনিক এসিড। এই অ্যাসিড আমাদের ত্বকে এজিং আসতে দেয় না কখনোই। আর সব সময় ত্বকের স্বাভাবিক আদ্রতা বজায় থাকে।
৪। শীতকালীন সময়ে সকলের বাসাতেই গ্লিসারিন থাকে। এই গিলি সারিনের মধ্যে প্রাকৃতিকভাবেই প্রচুর ময়েশ্চারাইজার রয়েছে। আমাদের ত্বকের আদ্রতা বজায় রাখতে গেলে সারিনের জুড়ি নেই বললেই চলে। আমাদের মধ্যে অনেকে আছেন যারা গিলে ছাড়েন সাবান ব্যবহার করেন থাকেন, তারা অবশ্যই শীতে যে কিরিমি ব্যবহার করুন না কেন বা যে কোন পণ্যই ব্যবহার করুন না কেন তার মধ্যে যেন গিলিসারিন থাকে, এটি অবশ্যই একবার দেখে কিনবেন।
৫। আপনি শীতের দুপুরে যে কৃমি ব্যবহার করুন না কেন, সিকিমের মধ্যে যেন অবশ্যই শিয়া বাটার থাকে তা খেয়াল রাখুন সবসময়। কারণ শিয়া বাটার দীর্ঘ সময়ের জন্য ত্বকের আদ্র ভাব বজায় রাখে এবং শীতের ঠান্ডা বাতাস এই শিয়া বাটারের সামনে কাবু হয়ে যায়। আপনি যদি এটা সকালে মাঠে তাহলে রাত পর্যন্ত আপনার ত্বকে নরম ভাব থাকবে।
শীতে ত্বকের যত্নে ঘরোয়া উপায়
শীতে ত্বকের যত্নে ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জানার জন্য আর্টিকেলের এই অংশটুকু পড়তে থাকুন। আমরা এখানে খুবই সুন্দর ভাবে আলোচনা করার চেষ্টা করেছি শিখতে ত্বকের যত্নে গড়া উপায় সম্পর্কে। সারা বছর আমরা সকলেই ত্বকের যত্ন নিয়ে থাকি। কিন্তু শীতকালে এই স্বাভাবিক যত্ন আমাদের কাজে আসে না।
শীতকালে আমাদের একটু বাড়তি যত্ন নিতে হয় ত্বকের। এমনিতে ঠান্ডা আবহাওয়া, তার ওপর বাতাসে আদ্রতা কম বলে শীতকালে আমাদের ত্ব নাজুক হতে দেখা যায়। এর পাশাপাশি ত্বক শুষ্ক হয়ে ফেটে যায়, আর ত্বক হয়ে যায় রুক্ষ। তবে বন্ধুরা চিন্তার কোন কারণ নেই আপনাদের সামনে আমরা কিছু ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে আলোচনা করেছি।
যদি এই ঘরোয়া পদ্ধতিগুলো ব্যবহার করেন তাহলে আপনার এসব সমস্যা দূর করা সম্ভব হবে। তাহলে চলুন বন্ধু দেরি না করে শীতে ত্বকের যত্নে গড়া উপায় গুলো জেনে নেওয়ার চেষ্টা করি।
পেঁপে ত্বকের পোড়া ভাব কমায়
তার জন্য আপনাকে প্রথমে পাকা পেঁপে সংগ্রহ করতে হবে। তারপর দুই টেবিল চা চামচ পেঁপে একটি বাড়িতে নিয়ে পেস্ট বানাতে হবে। পেস্টটা ১০ থেকে ১৫ মিনিট ত্বকে লাগাতে হবে। তারপর স্বাভাবিক পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে ত্বক। এক সপ্তাহ দিনে দুইবার ব্যবহারে আপনার ত্বকের রোদে পোড়া ভাব দূর হবে।
শসা তোরে লাগতো ত্বকের যত্নে
আমাদের মধ্যে অনেকে আছে যাদের ত্বক অনেকটাই দোয়া লাগতো তারা শসার রস ব্যবহার করতে পারেন। সেজন্য শসার রসে মুলতানি মাটি ও চন্দনের গোড়া দিতে হবে। তারপর চামচ দিয়ে ভালোভাবে মিশ্রণ তৈরি করুন। এরপর মিশ্রণটি তোকে হাত ও পায়ের তালুতে লাগান।তারপর পাশ থেকে দশ মিনিট রেখে দিন শুকিয়ে গেলে স্বাভাবিক পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।এভাবে শসা ব্যবহার করলে তোকে টয় লাগতো হাত কেটে গিয়ে ত্বকের উজ্জ্বলতা ফিরে আসবে।
কলা, মধু এবং টমেটো ত্বকের যত্নে
কলা, মধু এবং টমেটো ত্বকের যত্নে দারুন ভাবে কাজ করে। শীতকালে আপনি এ সকল উপাদান গুলো ব্যবহার করতে পারেন ত্বকের যত্নে। তার জন্য আপনাকে কলা পেস্ট করতে হবে। তারপর তাতে সামান্য মধু দিয়ে ত্বকে লাগাতে হবে। তারপর শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করুন শুকিয়ে গেলে গরম কুসুম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে ফেলুন। আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়বে। তাছাড়া টমেটোর রসের সাথে মধু মিশিয়ে একই নিয়মে লাগালেও ত্বকের আদ্রতা বাড়বে এর পাশাপাশি ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে।
ত্বকের কমলতা গাজরের পেস্টে ফিরবে
শীতকালীন সময়ে শীতের আদ্রতায় ত্বক তার কোমলতা হারিয়ে ফেলে। গাজর এ সময়ে সবথেকে কাজে আসে। গাজর ব্যবহার প্রণালী ও খুবই সহজ। আপনি যদি গাজরের পেস্ট বানাতে চান তাহলে আপনাকে কচি রাজুর পেস্ট করে তাতে সামান্য চন্দন দিতে হবে। এই মিশ্রণটি তোকে লাগিয়ে রাখুন ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর্যন্ত। শুকিয়ে গেলে হালকা ঠান্ডা পানি দিয়ে আপনার ত্বক ধুয়ে ফেলুন। আপনি যদি এই পেস্টটি নিয়মিত ব্যবহার করেন তাহলে আপনার ত্বকের কমলতা ফিরে আসবে।
দুধের ক্রিম ও টক দই ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে
দুধ ও টক দই সকল ধরনের ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে সাহায্য করে। এর ব্যবহার প্রণালীও খুবই সহজ। দুধের কিরিম কিংবা টকদইয়ে কয়েক ফোঁটা গোলাপ জল মিশাতে হবে তারপর চামচ দিয়ে ভালো করে নেরে নিতে হবে। এই মিশ্রণটি ব্যবহারের আগে পানি দিয়ে মুখ সুন্দর ভাবে পরিষ্কার করে ফেলুন। তারপর ১০ থেকে ১৫ মিনিট এই মিশ্রণটি মুখের ত্বকে রাখুন। এরপর স্বাভাবিক পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। আপনি যদি এই মিশ্রণটি নিয়মিত ব্যবহার করেন তাহলে আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা ফিরে আসবে।
ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে নারিকেল তেল
হারানো উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনতে নারিকেল তেল দারুন কাজ করে। তাই তোকে নারিকেল তেল লাগান। তারপর গরম কসম পানি দিয়ে স্বপ্নের দুয়ালে ভিজিয়ে নিংড়ে নিয়েন। তারপর ওই কোয়ালিটি ত্বকের ওপরে দিয়ে রাখুন, ১০ থেকে ১৫ মিনিট তারপর ত্বকটা ধুয়ে গোলাপ জল লাগিয়ে নিন। সকল ধরনের ত্বক উজ্জ্বলতা করতে সাহায্য করে।
লেখকের মন্তব্য
প্রিয় পাঠক, এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনি নিশ্চয়ই ওখানে জেনে গেছেন শীতে ত্বকের শুষ্কতা দূর করার উপায় এবং শীতে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির উপায় সম্পর্কে। যেহেতু আমাদের প্রত্যেকেরই শীত আসলেই ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয় এবং এই সমস্যা থেকে কিভাবে মুক্তি পাবো সেটা আমরা অনেক খোঁজাখুঁজি করে থাকে।
সেহেতু আমাদের প্রত্যেকের উচিত উক্ত বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জানার। তবে আপনি যদি আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে কোথাও কোন বিষয় বুঝতে না পারেন তাহলে অবশ্যই কমেন্টে জানাবেন। তাহলে আপনাকে আমরা বুঝিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব। আশা করি আপনার কাছে অনেক ভালো লেগেছে এবং আর্টিকেলটি আপনার অনেক উপকারে আসবে।
তাই এই আর্টিকেলটি আপনার কাছে ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। কেননা আপনার বন্ধুরাও আপনার মাধ্যমে জানতে পারবে শীতে ত্বকের শুষ্কতা দূর করার উপায় এবং শীতে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির উপায় সম্পর্কে। আর অবশ্যই এই ওয়েবসাইটে নিয়মিত ভিজিট বা ফোলো করবেন।
কারণ আমরা এই ওয়েবসাইটে নিয়মিত নতুন নতুন ব্লক পোস্ট বা আর্টিকেল পাবলিশ করে থাকি। এই শীতে নিজে ভালো থাকবেন পরিবারকে ভালো রাখার চেষ্টা করবেন। আসসালামু আলাইকুম।
সাগর ম্যাক্স এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url