ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার প্রতিবেদন সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
ঠান্ডা জ্বর হলে করণীয় কিপ্রিয় পাঠক, আপনি নিশ্চয় জানতে চাচ্ছেন, ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার প্রতিবেদন সম্পর্কে?। তাহলে বন্ধু আপনি সঠিক জায়গাতেই এসেছেন কারণ আমরা এখন আলোচনা করতে চলেছি ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার প্রতিবেদন সম্পর্কে।
আপনি যদি আমাদের এই আর্টিকেলটি সম্পন্ন মনোযোগ সহকারে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়েন তাহলে বিস্তারিত ভাবে জানতে পারবেন ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার প্রতিবেদন বিষয়ে। এছাড়াও জানতে পারবেন ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ সম্পর্কে।
পোস্ট সূচিপত্রঃ
ভূমিকা
আসলে আমাদের দেশে ডেঙ্গু জ্বর একটি মশা বাহিত ভাইরাস সংক্রমণ। অ্যাডেস মশা মানুষকে কামড়ানোর জন্য ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয় থাকে। এই রোগে তখনই মানুষ আক্রান্ত তখন, মশা সংক্রমিত কোন ব্যক্তিকে কামড়ায় এবং ভাইরাস গ্রহণ করার সময় একজন অসংক্রমিত ব্যক্তিকে কামড় দেয়। আমাদের বাংলাদেশে এমনিতেই দিন দিন বেড়েই চলেছে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। এটি এবছর একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড হয়ে দাঁড়ায়।
এর আগে গত মঙ্গলবার ৪ জুলাই সর্বোচ্চ পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছিল এই নিয়ে চলতি বছর সারাদেশে ডেঙ্গুতে মোট ৯০ জনের মৃত্যু হল। তাই ডেঙ্গু রোগ বা ডেঙ্গু জ্বর থেকে বাঁচার কিছু উপায় আমরা নিচে আপনাদের সামনে উপস্থাপন করলাম। তো চলুন বন্ধু দেরি না করে আমরা ঝটপট জেনে আসার চেষ্টা করি ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার প্রতিবেদন এবং ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ বিষয়ে আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনার অনেক উপকারে আসবে।
বাংলাদেশের চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে এমন কিছু উপসর্গ দেখা যাচ্ছে যারা ডেঙ্গুর প্রথাগত উপসর্গ নয়, তাছাড়াও চিকিৎসকেরা বলেছেন- আপনার ডেঙ্গু হয়েছে সেটি বুঝতে না পারার কারণে হাসপাতালে যেতে দেরি করবেন না। কারণ শেষ মুহূর্তে হাসপাতালে আসলেও অনেকেই মারা যাওয়ার মত বড় ধরনের ঝুঁকি থাকে। বাংলাদেশ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলেছেন, চলতি বছর এ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৬০ জন।
তাদের মধ্যে ৯০% হাসপাতালে ভর্তির এর থেকে তিন দিনের মধ্যে মারা যান। বাকিদের মধ্যে ৫ শতাংশ পাশ থেকে দশ দিনের মধ্যে এবং ৫ শতাংশ মৃত্যু হয়েছে হাসপাতালে ভর্তি হবার ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আরো বলেন, শেষ মুহূর্তে হাসপাতালে যাওয়াটাই ৭২ ঘন্টা মধ্যে মৃত্যুর একটি বড় কারণ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। একে বলা হয়, কমপ্লিকেটেড ডেঙ্গু সিনড্রোম বা এক্সট্রেনডেড ডেঙ্গু সিনড্রোম। এই উপসর্গগুলো কোনভাবেই আপনার অবহেলা করার সুযোগ নেই।
তো এবার চলুন আমরা জেনে নিই আসলে আপনি এই আর্টিকেলটি সম্পন্ন করার মাধ্যমে কি কি বিষয়গুলো জানতে পারবেন আপনি এই আর্টিকেলটি সম্পন্ন করার মাধ্যমে যে সকল বিষয়গুলো জানতে পারবেন সেগুলো হল ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ, ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার প্রতিবেদন, ডেঙ্গু রোগী সুস্থ হতে কত সময় লাগে, ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ, ডেঙ্গু জ্বর কতদিন থাকে এবং ডেঙ্গু জ্বরের চিকিৎসা। তাহলে চলুন বন্ধু আমরা স্টেপ বাই স্টেপ পয়েন্টগুলো পড়তে থাকি এবং জানতে থাকি এই বিষয়গুলো সম্পর্কে।
ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ
ডেঙ্গু রোগ একটি মরণ ঘাতি রোগ। আমরা অনেকেই এই রোগ সম্পর্কে জানতে পারি না বা কিভাবে এ রোগটি হয় সেটাও বুঝতে পারি না। তার জন্য আপনাদের সামনে ডেঙ্গু রোগের লক্ষণগুলো উপস্থাপন করলাম।
- আপনার কোমর ব্যথা করা।
- হাটু ব্যথা করা।
- মাথাব্যথা করা।
- গোড়ালি ব্যথা করা।
- হাত--পা ঝিম-ঝিম করা।
- ঘাড় ব্যথা করা।
- শরীরে কিছু কিছু জায়গায় অবস-অবস লাগা।
- পিঠ ব্যথা করা।
- স্পন্ডাইলোসিস এর সমস্যা হওয়া।
- প্যারালাইসিস এর সমস্যা হওয়া।
- এমনকি বিভিন্ন জয়েন্টে ব্যথা হওয়া।
তাছাড়াও ডেঙ্গু রোগের প্রধান বাহক এসিড ইজিপতি নামক মশা। তাছাড়া এডিস অ্যালবপটিকাস দিয়ে ও এ রোগের বিস্তার ঘটে থাকে। এই এডি স নামক মশাগুলো অন্যান্য মশার চেয়ে বড় এবং গায়ে ডোরাকাটা দাগ থাকে। এরা জলাবদ্ধ অবস্থানে বংশবিস্তার করে। এমনকি আপনার ঘরে রাখা টপ বা ফুলদানির পানিতেও এরা বংশবিস্তার করে।
ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার প্রতিবেদন
আমাদের প্রথমে জানতে হবে, এডিস মশা কামড়ালেই কি মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয় কিনা? আসলে চিকিৎসকেরা কিন্তু ঠিক তেমনটা বলেন না। বরং তারা বলে থাকেন, আপনার পরিবেশের উপস্থিতি কোন ভাইরাস যদি কোন এডিস মশার মধ্যে সংক্রমিত হয়, শুধুমাত্র সেই মশা কামড়ালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায় বা হয়।
তাছাড়া স্ত্রী এডিস মশা ভাইরাসের বাহক হিসেবে কাজ করে থাকে। সংক্রমিত ব্যক্তি থেকে সুস্থ ব্যক্তিতে এরা এ ভাইরাস ছড়াতে পারে। এমনকি হালকা ডেঙ্গু জ্বরের কারণে প্রচন্ড জ্বরের মতো উপসর্গ দেখা দেয়। ডেঙ্গু ভাইরাস সাধারণত চার প্রকার হয়ে থাকে। তবে যারা আগে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়েছে, তাদের পরবর্তীতে এই রোগ দেখা দিলে প্রাণঘাতী হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
আরো কিছু ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ
- আপনার কোমর ব্যথা করা।
- হাটু ব্যথা করা।
- মাথাব্যথা করা।
- গোড়ালি ব্যথা করা।
- হাত--পা ঝিম-ঝিম করা।
- ঘাড় ব্যথা করা।
- শরীরে কিছু কিছু জায়গায় অবস-অবস লাগা।
- পিঠ ব্যথা করা।
- স্পন্ডাইলোসিস এর সমস্যা হওয়া।
- প্যারালাইসিস এর সমস্যা হওয়া।
- এমনকি বিভিন্ন জয়েন্টে ব্যথা হওয়া।
ডেঙ্গু রোগের প্রতিকার প্রতিবেদন
এই রোগের কোন টিকা নেই। তাই প্রতিরোধ ব্যবস্থা নিতে হবে আপনাকে।
- জমে থাকা খোলাপাত্রের পানিতে মশা ডিম পাড়ে। পোষা পানির খাবার পাত্র, পানির পাত্র, ফুল গাছের টপ, নারকেলের ময়লা, ফুলদানি, ডাবের খোসা, খোলা অ্যাকোরিয়াম, ফ্রিজ বা এয়ার কন্ডিশনার ইত্যাদিতে পানি জমে থাকতে পারে সেগুলো পরিষ্কার রাখতে হবে আপনাকে।
- আক্রান্ত ব্যক্তিকে যাতে মশা কামড়াতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীকে অবশ্যই সব সময় মশারির মধ্যে রাখার চেষ্টা করুন, যাতে রোগীকে কোন মশা কামড়াতে না পারে।
- ডেঙ্গু রোগের প্রতিরোধের মূল যন্ত্র হলো এডিস মশার বিস্তার রোধ এবং এই মশা যেন কামড়াতে না পারে তার ব্যবস্থা কঠোর ভাবে নেওয়া। আপনাকে মনে রাখতে হবে, এডিস মশা অভিজাত এলাকায় বড় বড় দালানকোঠায় বাস করে।পরিষ্কার পানিতে এই মশা ডিম পাড়ে। ময়লাযুক্ত বা দুর্গন্ধ ড্রেনের পানি এদের পছন্দ হয় না। তাই আপনি যদি ডেঙ্গু প্রতিরোধ এডিস মশার ডিম পাড়ার উপযোগী স্থানগুলোকে পরিষ্কার রাখতে পারেন এবং একই সাথে মশক নিধনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারেন তবে আপনি এ রোগ থেকে মুক্তি পাবেন।
- সাধারণত সন্ধ্যায় বা সকালে কামড়ে থাকে। কিন্তু তারা অন্য সময়ও কামড়াতে পারে। তাই আপনি দিনের বেলা শরীর ভালোভাবে কাপড় দিয়ে ঢেকে বের হওয়াটা ভালো, প্রয়োজনে মসকুইটো রিপ্লেন্ট ব্যবহার করা যেতে পারে। মশক নিধনের জন্য স্প্রে, কয়েল, এবং ব্যাড ব্যবহারের সাথে সাথে মশার কামড় থেকে বাঁচার জন্য প্রয়োজনে তিনি ও রাতে মশারি ব্যবহার করতে পারেন।
ডেঙ্গু রোগী সুস্থ হতে কত সময় লাগে
এতক্ষণ আমরা জানলাম ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার প্রতিবেদন সম্পর্কে। এখন আমরা আর্টিকেলের এই অংশে জানতে চলেছি ডেঙ্গু রোগী সুস্থ হতে কত সময় লাগে। ডেঙ্গু রোগী সুস্থ হতে প্রায় এক থেকে দুই সপ্তাহ পর্যন্ত লাগতে পারে। কিছু রোগীর ক্ষেত্রে পরিস্থিতি ঝুঁকিপূর্ণ হতেও পারে। সে ক্ষেত্রে মৃত্যু ঝুঁকি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
সে কারণে সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত এবং চিকিৎসকের সঠিক পরামর্শ নেওয়া জরুরি। তাই ডেঙ্গু রোগীকে অবহেলায় না রেখে আপনি অবশ্যই তাড়াতাড়ি তার সঠিক চিকিৎসকের চিকিৎসা নেওয়ার চেষ্টা করুন।
ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ
১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে ভাইরাস বহনকারী এডিস মশার কামড়ালে যে কারোই ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ বা উপসর্গ দেখা যেতে পারে। সে কারণে ডেঙ্গু জ্বরের উপসর্গগুলো সবারই ভালোভাবে জানা উচিত। তাই নিচে এই উপসর্গগুলো রয়েছে।
- মাথা ব্যথা করা।
- বমি বমি ভাব হওয়া।
- জ্বর ১০২ থেকে ১০৫ ডিগ্রি পর্যন্ত হওয়া।
- চোখের পেছনে ব্যথা।
- ক্ষুধা কমে যাওয়া।
- কণ্ঠকাঠিন্যর সমস্যা দেখা দেওয়া।
- বেহেশ শীতলতা অনুভব করা।
- চামড়ায় লালচে দাগ হওয়া।
- পেশীতেও ঘাড়ে ব্যথা করা।
- স্বাদের পরিবর্তন।
- হৃদয় স্পন্দনের হার ও রক্তচাপ কমে যাওয়া।
আপনি যদি এই সমস্যা গুলি অনুভব করতে থাকেন বা আপনার পরিবারের কারো যদি এই সমস্যা গুলি হয় তবে অবশ্যই আপনি ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা করবেন। কারণ ডেঙ্গু জ্বরের মাধ্যম দিয়ে রোগীর মৃত্যু পর্যন্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
ডেঙ্গু জ্বর কতদিন থাকে
ডেঙ্গু জ্বর কমপক্ষে দুই সপ্তাহ পর্যন্ত শরীরে থাকতে পারে। কিছু কিছু রোগীর ক্ষেত্রে পরিস্থিতি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়তে পারে। সে ক্ষেত্রে মৃত্যুঝুঁকি হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। একটা মানুষের দেহে সাধারণ জ্বর আসলে সেটা হয়তো তিন দিন বা এক সপ্তাহর মধ্যে ভালো হয়ে যায়। কিন্তু তাও যদি ভালো না হয় তাহলে চিকিৎসকের মাধ্যমে সেটি সঠিক চিকিৎসা নেওয়ার পরে ভালো করা সম্ভব হয়।
কিন্তু যদি ডেঙ্গু জ্বর হয় সেক্ষেত্রে ১৫ থেকে ২০ দিন পর্যন্ত শরীরে থাকতে পারে। তাই একটি রোগীকে জ্বর হওয়ার দুই তিন দিন পরে যদি চিকিৎসা না নেন তবে, ডেঙ্গু জ্বর রোগীকে মৃত্যুর ঝুঁকি পর্যন্ত নিয়ে যেতে পারে।
ডেঙ্গু জ্বরের চিকিৎসা
যেকোনো রোগে উপসর্গ দেখা দিলেই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে বা নেওয়া জরুরি। ডাক্তারের নির্দেশনা ছাড়া ওষুধ গ্রহণ করলে অথবা নিজে থেকে কোন পদক্ষেপ নিলে অনেক সময় মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারেন আপনি। তাই নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হলেই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী বাসায় প্রার্থনা পরিচর্যা ও চিকিৎসা নেওয়া ভালো। ডেঙ্গু জ্বরের সুনির্দিষ্ট কোন চিকিৎসা নেই। জেনে নিন ডেঙ্গু জ্বরের চিকিৎসা বা প্রতিকারের যা যা করা প্রয়োজন।
- জ্বর কমানোর জন্য শুধু প্যারাসিটামল এজাতীয় ওষুধ ব্যবহার করতে পারেন আপনি।
- ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি দিনে তিনটি ওষুধ নিতে পারবেন। এর বেশি নিলে লিভারের সমস্যা সহ নানান ধরনের জটিলতা হতে পারে আপনার দেহে।
- জ্বরের মাত্রার উপনির্ভর করে ৫ থেকে ৭ ঘন্টা পর পর এই ওষুধ ব্যবহার করতে হবে।
- ডেঙ্গুর ক্ষেত্রে জ্বর কমাতে গিয়ে অ্যাসপিরিন অথবা ব্যথা নাশক এন এস এআইডি গ্রুপের ওষুধ ব্যবহার না করার প্রতি করা ভাবে নিষেধ করেছেন অনেক বিশেষজ্ঞ ডাক্তার।
- জ্বর কমানোর জন্য গরম পানিতে কাপড় ভিজিয়ে শরীর মুছতে পারেন অথবা গোসল করাটাও এক্ষেত্রে কার্যকরী হতে পারে আপনার জন্য।
- অধিকাংশ ডেঙ্গু রোগীরা সব সময় ক্লান্ত থাকে, তাদের পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেওয়া জরুরি।
- ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ দেখা দিলে ৭ থেকে ১০ দিন পর্যন্ত কোনো ভারী কাজ অথবা মাত্র পরিশ্রম করা যাবে না। তবে তাই বলে শুধু শুয়ে বসে থাকাটাই ঠিক হবে না রোগীর। রোগীকে স্বাভাবিক হাঁটাচলা বা দৈনন্দিন কাজ চালিয়ে যেতে হবে।
- এ সময় যতটুকু পারেন বাসার মধ্যে থাকার চেষ্টা করুন। তাছাড়া ডেঙ্গু রোগীর খাবার এ সময় ডেঙ্গু রোগীকে প্রচুর প্রোটিন ও আইরন সামিদ্ধ খাবার খাওয়া প্রয়োজন। এছাড়াও প্রচুর পরিমাণে পানি, স্যুপ, স্যালাইন, ডাবের পানি, ফলের রস, এমনকি দুধ জাতীয় তরল পানীয় পান করাতে হবে রোগীকে।
শেষ কথা
প্রিয় পাঠক এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। নিশ্চয়ই আপনি এতক্ষণে জেনে গেছেন ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার প্রতিবেদন সম্পর্কে। আশা করি আর্টিকেলটি আপনার অনেক ভালো লেগেছে এবং এই আর্টিকেলটি আপনাদের অনেক উপকারে আসবে। তাই এই আর্টিকেলটি আপনার কাছে ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না।
কেননা আপনার বন্ধুরাও আপনার মাধ্যমে জানতে পারবে ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার প্রতিবেদন সম্পর্কে। আর অবশ্যই আমাদের এই ওয়েবসাইটে নিয়মিত ভিজিট বা ফলো করবেন। কারণ আমরা এই ওয়েবসাইটে নিয়মিত নতুন নতুন ব্লগ পোস্ট বা আর্টিকেল পাবলিশ করে থাকি। আসসালামু আলাইকুম।
সাগর ম্যাক্স এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url