ডায়রিয়া হলে কি কি খাওয়া যাবে - ডায়রিয়া হলে কি কি খাওয়া যাবেনা
ফর্সা হওয়ার জন্য কি খাওয়া উচিতপ্রিয় পাঠক, আপনারা যারা জানতে চাচ্ছেন, ডায়রিয়া হলে কি কি খাওয়া যাবে এবং ডায়রিয়া হলে কি কি খাওয়া যাবেনা সে সম্পর্কে। তাদেরকে আমরা এই পোস্টটির মাধ্যমে জানাবো, ডায়রিয়া হলে কি কি খাওয়া যাবে এবং ডায়রিয়া হলে কি কি খাওয়া যাবেনা।
পোস্ট সূচিপত্রঃ
ভূমিকা
আশা করি এ পোস্টটি আপনি সম্পূর্ণ প্ড়ার মাধ্যমে ডায়রিয়া হলে কি কি খাওয়া যাবে এবং ডায়রিয়া হলে কি কি খাওয়া যাবেনা তা বিষয় সম্পর্কে আপনি বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবেন। আসলে শুধু তরল খাবারে কোন শরীর শক্তির চাহিদা পূরণ করতে পারে না। সেজন্য তরল খাবারের পাশাপাশি শক্ত বা অধ্যতরল খাবার খেতে হবে। ডাবের পানি, কম লিকারের চা, কলা ইত্যাদি খেতে পারেন। আজকের নিবন্ধনে আমরা ডায়রিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। তাহলে চলুন বন্ধু দেরি না করে আমরা ঝটপট জেনে আসি ডায়রিয়া হলে কি কি খাওয়া যাবে এবং ডায়রিয়া হলে কি কি খাওয়া যাবেনা।
ডায়রিয়া রোগ কেন হয়
ডায়রিয়ার জীবাণু দূষিত খাদ্য বা দূষিত পানের মাধ্যমে মানুষের পেটে যায়। এবং আক্রান্ত ব্যক্তির মল থেকে ডায়রিয়ার জীবাণুগুলো ভাতের মাধ্যমে মাছি বা তেলাপোকার এমনকি অনেক সময় সরাসরি খাদ্য পানিতে সংক্রমিত হতে পারে। এই দূষিত খাদ্য বা পানি গ্রহণ করলে অন্যরাও ডায়রিয়া আক্রান্ত হতে পারে।
বিশেষ করে ময়লা হাতে কোন খাবার খেলে বা পরিষ্কার জায়গাতে খাবার না খেলে ডায়রিয়া হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই বেড়ে যায়। এমনকি নিজের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা না থাকার ফলেও হতে পারে।
ডায়রিয়া একটি কি ঘটিত রোগ
ডায়রিয়া হলো একটি পরিপাকতন্ত্রের ব্যাধি যেখানে একজন ব্যক্তির আলগা জলযুক্ত মল এবং আরো ঘন ঘন মলত্যাগ হয়। ডায়রিয়া সাধারণত বর্ষাকালে বেশি হয়ে থাকে, তবে অন্যান্য রীতিতেও হতে পারে। এটি সাধারণত এক থেকে তিন দিন ব্যাপী স্থায়ী হয়ে থাকে এবং আপনা আপনি নিজে থেকেই চলে যায়। গুরুতর ডায়রিয়া ডিহাইড্রেশনের মত বিভিন্ন জটিলতার কারণ হতে পারে, যা মলের সাথে ইলেকট্রোলাইট এবং জলের ক্ষতির কারণে ঘটে। ডিহাইড্রেশন সময়মতো সাধারণ না করলে জীবন হুমকির মুখে পড়তে পারে।
আরো পড়ুনঃ বাদাম খেলে ওজন বাড়ে
দিনে দিনে গ্রামের তাপদহ অসহনীয় হয়ে উড়ছে। তাপমাত্রা বৃদ্ধির সাথে সাথে ডায়রিয়া ও আমসা জনিত রোগের প্রদোভাব দেখা দিচ্ছে। দূষিত পানি পান করা এবং অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া এর অন্যতম প্রধান কারণ হতে পারে। ডায়রিয়া ধ্বনিত অসুখের কারণে শরীর হতে প্রচুর পরিমাণে পানি ও লবণ বেরিয়ে যায় এবং রোগী পানি শূন্যতায় ভোগে। এরপর সঠিক মাত্রায় পানীয় লবনের ঘাটতি পূরণ করা না হলে রোগী মারাত্মক কিডনি জনিত অসুখের ঝুঁকির মধ্যে পড়ে যায়।
ডায়রিয়ার উপসর্গ শুরু হলেই রোগীকে নিয়মমাফিক খাবার স্যালাইন বা ডাব খাওয়ালে অবস্থা গুরুতর পর্যায়ে পৌঁছানো থেকে আটকানো যায়। ব্যাকটেরিয়া ঘটিত ডায়রিয়া হলে তার প্রধান উপসর্গ হজম ক্ষমতা একেবারে কমে যায়, পেটের মধ্যে নানা শব্দ হয় গ্যাসের জন্য অস্বস্তিকর হয়, পেটে ব্যথা অনুভব করে ও বমি বমি ভাব হয়ে থাকে খাবার খেতে ইচ্ছা হয় না। এরপরেই শুরু হয় আসল লক্ষণ।
ডায়রিয়া হলে কি কি খাওয়া যাবে
ডায়রিয়া হলে শরীর অনেকটাই দুর্বল হয়ে পড়ে। কারণ এই রোগে শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণে পানি বের হয়ে যায়। এমনকি শরীরে পারমিশূন্যতা দেখা দিতে পারে। তাই এই সময়ে তরল জাতীয় খাবার খাওয়া খুবই জরুরি। অনেক সময় দেখা যায় ডায়রিয়া একদিনে ভালো হয়ে যায় আবার অনেক সময় ডায়রিয়া ভালো তিন থেকে চার দিন লেগে যাই।
আরো পড়ুনঃ লিচুর উপকারিতা ও অপকারিতা
হজমের সমস্যা থাকলে অনেকের ক্ষেত্রে আবার কয়েকবার পর্যন্ত হতে পারে। সাধারণত সংক্রমণ বলে ডায়রিয়া দেখা দিতে পারে। এটি ব্যাকটেরিয়া ভাইরাস কিংবা কৃমির কারণে হতে পারে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অস্বাস্থ্যকর খাবার বা দূষিত পানি থেকে এ রোগ হয়। আসুন জেনে নেয়া যাক ডায়রিয়া হলে কি কি খাওয়া যাবে?
- ডাক্তারের মতে ডায়রিয়া হলে প্রচুর পরিমাণে তরল খাবার খাওয়া দরকার।
- ডায়রিয়া নিয়ন্ত্রণের জন্য দিনে 8 থেকে 10 গ্লাস তরল খাবার খাওয়া খুবই প্রয়োজন।
- প্রত্যেকবার টয়লেটে যাওয়ার পরে এক কাপ পরিমাণে তরল খাবার খাওয়া প্রয়োজন।
- 'ন্যাশনাল লাইব্রেরী অব মেডিসিন' এর তথ্য অনুযায়ী ডায়রিয়া হলে উচ্চ পটাশিয়ামযুক্ত খাবার বেশি বেশি করে খাওয়া প্রয়োজন যেমন-কলা, আলু, ফলের রস ইত্যাদি।
- ডায়রিয়া হলে টক দই খেতে পারেন।
- ডায়রিয়া হলে অবশ্যই বার বার খাওয়ার স্যালাইন খেতে হবে। কারণ এই সময় শরীর থেকে অনেক পর যায় এবং রোগী দুর্বল হয়ে যেতে পারে। এ সময় রোগীদের নরম খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা
- ডায়রিয়া ভালো না হওয়া পর্যন্ত সিরিয়াল ধরনের খাবার যেমন উট মিল, মরিচ খেতে পারেন। এছাড়া কলা , নরম সাদা ভাত ,টোষ্ট করা ব্রেড , সিদ্ধ আলু খাওয়া যেতে পারে।
- অল্প অল্প করে হলেও বারবার খাবার খেতে হবে।
- সারাদিনে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে।
- এছাড়া সুখ , ডাবের পানি , হাতের মাড় , হালকা লিকার চা - এগুলো ডায়রিয়া রোগের জন্য অনেক উপকারী।
ডায়রিয়া হলে কি কি খাওয়া যাবেনা
অস্বাস্থ্যকর ও অপরছন্ন জীবন যাপন যেখানে সেখানে ও পানি উৎসের কাছে মলত্যাগ সঠিক উপায়ে হাত না ধোঁয়া অপরিচ্ছন্ন ওপরে খাদ্য সংরক্ষণ এবং ঘন ঘন লোডশেডিং এর কারণে এই সময় দোকান রেস্তোরাঁ বা বাসায় ফ্রিজের খাবারে পচন ধরা ইত্যাদি ডায়রিয়ার কারণ হতে পারে বর্তমানে বেশিরভাগ মানুষই বাইরের খাবার খেয়ে থাকে।
যা অস্বাস্থ্যকর পানি ব্যবহার করে তৈরি করা হয় গরমে খাবারও দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়। তাই রাস্তার পাশে বা বিভিন্ন রেস্তোরাঁয় যেসব খাবার আমরা খাই গরমের কারণে সেগুলো বেশিক্ষণ খাবারের উপযোগী থাকে না। এইসব কারণে ডায়রিয়া হয়ে থাকে।
- দুধ এবং দুগ্ধজাত খাবার খাওয়া থেকে সব সময় বিরত থাকা প্রয়োজন।
- আমরা সকলেই জানি এমনিতেই শরীরের জন্য ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে চিনি ও মিষ্টি জাতীয় খাবার। তখন যদি আবার ডায়রিয়া হয় তাহলে তো কোন কথাই নেই। তাই আপনার যখনই ডায়রিয়া হবে তখনই চিনি ও মিষ্টি জাতীয় খাবার গুলো অবশ্যই আপনার খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত। কেননা এ সকল খাবারগুলো পেট ব্যথা, পেটে গ্যাস জমা পাতলা পায়খানা বাড়িয়ে দিতে পারে।
- আইরিয়া হলে ফাস্টফুড অতিরিক্ত তেল চর্বি ও মসলাযুক্ত খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। কারণ এ জাতীয় খাবার গুলো পেটের সমস্যা আরো বাড়িয়ে দেয়।
- ডায়রিয়া হলে শরীরে পানি স্বল্পতা দূর করার জন্য তরল খাবার পরামর্শ তবে ফলের জুস শরবত হওয়া যাবে না। কারণে এতে প্রচুর পরিমাণে চিনি থাকে যা ডায়রিয়ার লক্ষণ আরো বাড়িয়ে দিতে পারে। বিশেষ করে আশেপাশে রাস্তাঘাটে অথবা বাজারে ফলের জুস শরবত সব সময় আপনি বিরত থাকার চেষ্টা করবেন। কারণ জুস বানানোর ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধে মেনে চলা এবং বিশুদ্ধ পানি ব্যবহার হয়েছে কিনা সেই ব্যাপারে সন্দেহ থেকে যায় বা থাকে।
- কিছু কিছু সবজি খাওয়া থেকে বিরত থাকা খুবই জরুরী যেমনঃ বাঁধাকপি, কাঁচা পেঁয়াজ, ফুলকপি ,টমেটো ইত্যাদি। এই খাবারগুলো কেটে গ্যাস জমা এবং ডায়রিয়ার লক্ষণ বাড়িয়ে দেওয়ার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। এছাড়া মিষ্টি ফল আঙ্গুর মধু খেজুর বাদাম এগুলো একেবারেই খাওয়া যাবে না।
- চা এবং কফি পান করা যাবে না। কারণ এতে পানীয় পুষ্টি শোষণে ব্যাঘাত ঘটে এবং সেই সাথে ডায়রিয়ার লক্ষণ বাড়িয়ে দিতে পারে।
- ডায়রিয়া যখন হয় তখন কিছু কিছু খাবার ভজন করলে সমস্যা দেখা দেয়। সে সময় ঝাল খাবার কিংবা ভাজাপোড়া এবং মিষ্টি জাতীয় খাবার এছাড়াও অতিমাত্রায় আঁশযুক্ত খাবার যেমন-শক্ত ভাব, বাদাম ,পেঁয়াজ , রসুন , পেটের জাত খাবার , বাঁধাকপি , ফুলকপি ,ব্রকলি , দুধ জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলা উচিত।
ডায়রিয়া কিভাবে প্রতিরোধ করা যায়
ডায়রিয়া বাংলাদেশের সাধারণ একটি রোগ হলেও বন্যা পরবর্তী সময়ে তা মহামারী আকার ধারণ করে। এ রোগ সহজেই নিরাময়যোগ্য হয়ে থাকে। তবে অবহেলা ও সচেতনতার অভাবে ডায়রিয়া থেকে মৃত্যু বরণ পর্যন্ত হতে পারে। ডায়রিয়া থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়া যেমন প্রয়োজন তেমনি ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হলে প্রতিরোধের ব্যবস্থা করাও খুবই জরুরী। এ কারণে ডায়রিয়া সম্পর্কে সবারই জ্ঞান থাকা এবং সচেতন হওয়ার পর প্রতিরোধ এবং প্রতিকার করা একান্ত দরকার।
- খাবার খাওয়ার আগে ও পরে হাত ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে।
- বিশুদ্ধ পানি পান করতে হবে।
- বাইরের খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
- রান্না করা খাবার অবশ্যই পরিষ্কার জায়গাতে রাখতে হবে।
- মলত্যাগে সেনেটারির পায়খানা ব্যবহার করার চেষ্টা করুন।
- নিজে পরিষ্কার থাকার চেষ্টা করুন এবং আশেপাশের পরিছন্নতা বজায় রাখুন।
- আপনি যখনই মলত্যাগ করবেন তখনই খুবই ভালোভাবে হাত পরিষ্কার করবেন।
- বারবার হাত ধোয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
- শিবা পঁচা খাবার, মাছি বসা খাবার এবং বাইরের খোলা খাবার শরবত বা ফলের রস খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
- কিংবা খাবার পরিষ্কার পাত্রে রাখার চেষ্টা করুন।
- ব্যবহার করা থালা-বাসন ভালোভাবে ধুয়ে নিন। এসব কাজে নিরাপদ পানি ব্যবহার করুন।
- ডায়রিয়া প্রতিরোধে স্বাস্থ্য সচেতনতাই প্রধান কাজ করে থাকে।
- কঠিন ভাবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা মেনে চললে ডায়রিয়া প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়।
- পানি পান করার আগে ভালোভাবে কমপক্ষে দশ মিনিট ফোটাতে হবে।
শিশুদের ডায়রিয়া হলে করনীয় কি
বাংলাদেশ একটি ঘন বসতিপূর্ণ দেশ এদেশে ডায়রিয়া রোগের ভয়াবহ রূপ নতুন নয়। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে ডায়রিয়া সংক্রমণ দেশজুড়ে শঙ্কার সৃষ্টি আকার ধারণ করেছে। প্রচন্ড গরমের কারণে দেশের বিভিন্ন এলাকায় এখন ডায়রিয়ার প্রভাব দেখা দিচ্ছে। বিশেষ করে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোতে খাবার পানির সঙ্গে লবণতা বৃদ্ধি পাওয়ায় এ সকল এলাকায় ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। ডায়রিয়াই সব থেকে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশু।
আরো পড়ুনঃ শিশুর মানসিক বিকাশের ধাপ গুলি কি কি
সময় মত চিকিৎসা না দিতে পারলে এটি মারাত্মক রোপ ধারন করতে পারে শিশুদের ডায়রিয়া প্রতিরোধে নিতে হবে বাড়তি সতর্কতা। শিশুদের শরীরে কোষের বাইরের পানি বা এক্সট্রা সেলুলার ফ্লাইট বেশি থাকে। হলে ডায়রিয়া হলে সহজে তাদের শরীল পানি শূন্য হয়ে যেতে পারে। পানি শূন্যতা তীব্র হলে শিশু অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আবার কিডনির সমস্যা দেখা দিতে পারে।
শিশুদের ডায়রিয়া হলে কি ওষুধ
শিশুর ডায়রিয়া হলে শিশুকে বারবার স্যালাইন খাওয়াতে হবে। বয়েস দুই বছরের নিচে হলে তাদের প্রতিবার পাতলা পায়খানার পর ১০ থেকে ২০ চামচ, দুই বছরের বেশি বয়সীদের প্রতিবার পাতলা পায়খানার পর ২০ থেকে ৪০ চামচ করে স্যালাইন দিতে হবে।
- বড়দের পাশাপাশি শিশুদেরও খাবার আগে ও পরে হাত ধোয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
- নখ কেটে সব সময় ছোট রাখার চেষ্টা করুন। বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে।
- তারা বেশি অংশ বাইরে খেলাধুলা করে ঘরের ছোট ছোট জিনিস হাতে নিয়ে মুখে দেয়। তাই সব সময় হাত পরিষ্কার রাখা উচিত।
- প্রতিবার পাতলা পায়খানার পর বয়স অনুযায়ী পরিমাণ মতো খাবার স্যালাইন পান করাতে হবে।
- জন্ম থেকে দুই বছরঃ ১০ থেকে ২০ চা চামচ(৫০-১০০ মি.লি.)।
- দুই বছর থেকে ১০ বছরঃ ২০ থেকে ৪০ চা চামঃ(১০০-২০০ মি.লি.)।
- খাবার স্যালাইন ছাড়া ঘরে তৈরি তরল খাবার যেমনঃ ভাতের মার , চিড়ার পানি , তাজা ফলের রস ,ডাবের পানি ইত্যাদি খাওয়ানো উচিত।
- স্বাভাবিক খাবারও পাশাপাশি খাওয়ানো যেতে পারে।
- বুকের দুধ খাওয়া শিশুরা খাবার স্যালাইনের পাশাপাশি বুকের দুধ ও খেতে পারে।
- চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী জিস্ক ট্যাবলেট খাওয়াতে পারেন। এতে ডায়রিয়া তুলনামূলক কম হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে এবং কম সময়ে সেরে যাবে।
শেষ কথা
এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনি নিশ্চয়ই এতক্ষণে জেনে গেছেন ডায়রিয়া হলে কি কি খাওয়া যাবে এবং ডায়রিয়া হলে কি কি খাওয়া যাবেনা আমাদের মতামত হিসেবে ডায়রিয়া যেহেতু সকলেরই হয়ে থাকে, সেও তো আমাদের ডায়রিয়া হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অবশ্যই চিকিৎসকের কাছে গিয়ে পরামর্শ নিয়ে চিকিৎসা নেওয়া দরকার।
আরো পড়ুনঃ শ্বাসকষ্ট হলে কি খাওয়া যাবে না
কেননা অতিরিক্ত পরিমাণে ডায়রিয়া হলে মারাত্মক ধরনের ক্ষতি হতে পারে শরীরে। তাই যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা নেওয়ার চেষ্টা করবেন। আশা করি এতক্ষণ আপনি এই পোস্টটি পড়ে উপকৃত হয়েছেন। তাই এমন পোস্ট নিয়মিত পেতে চাইলে আমাদের সাথেই থাকুন। আমরা বিভিন্ন রকমের আর্টিকেল বা ব্লগ পাবলিশ করে থাকে।
সাগর ম্যাক্স এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url