চুলকানি রোগ কেন হয় - চুলকানি বন্ধ করার উপায়
জন্ডিস থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায়প্রিয় পাঠক, আপনি নিশ্চয় জানতে চাচ্ছেন, চুলকানি রোগ কেন হয় এবং চুলকানি বন্ধ করার উপায় কি?। তাই বন্ধু আমরা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনাকে এখন জানাতে চলেছি চুলকানি রোগ কেন হয় এবং চুলকানি বন্ধ করার উপায় কি।
আপনি যদি আমাদের এই আর্টিকেলটি সম্পন্ন মনোযোগ সহকারে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়েন তাহলে বিস্তারিতভাবে জানতে পারবেন চুলকানি রোগ কেন হয় এবং চুলকানি বন্ধ করার উপায় কি সে সম্পর্কে। এছাড়াও এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনারা জানতে পারবেন পুরুষাঙ্গের চুলকানি দূর করার উপায় সম্পর্কে।
পোস্ট সূচিপত্রঃ
ভূমিকা
আসলে আমাদের শরীরে এলার্জি ছাড়াও হঠাৎ করে হাত পায়ে চুলকানির সমস্যা দেখা দিতে পারে। আমাদের শরীরে এই ব্যাপারটি বিরক্তি পর্যায়ে চলে যায় তখনই যখন চুলকানি বা চুলকানো ভাব আর থামে না। এবং বারবার চুলকাতে থাকায় সেখানে ঘা পর্যন্ত হয়ে যায়। কিছু কিছু সময় এই চুলকানি আসার ফলে আমাদের শরীরে অনেক বিরক্তিবোধ হয়। এবং কোন কিছু ভালো লাগে না, নানা সময় লজ্জার মুখে পড়তে হয়।
তাছাড়া বিভিন্ন মানুষের সাথে কথা বলার সময় যেখানে সেখানে চুলকানোর ভাব দেখা দিলে নিজের কাছে অনেক লজ্জিত মনে হয় নিজেকে। তাই এই বিষয়গুলো নিয়ে আমরা এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য সাজিয়েছি আপনি যদি এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে আশা করি আপনার কখনোই চুলকানির ভাব আর হবে না। যাইহোক বন্ধু আমরা দেরি না করে ঝটপট জেনে আসার চেষ্টা করি চুলকানি রোগ কেন হয় ও চুলকানি বন্ধ করার উপায় কি
এবং পুরুষাঙ্গের চুলকানি দূর করার উপায়। আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনার অনেক উপকারে আসবে। চুলকানি রোগ এমন একটি সমস্যা যা কোন জায়গা কিংবা কোন অবস্থান মানে না। যে কোন সময় যে কোন জায়গায় চুলকানি শুরু হয়ে যায় শরীরে। তখন আমাদের অনেক লজ্জার মুখে পড়তে হয়। কেননা অনেক সময় লজ্জাস্থানেও চুলকানি দেখা দেয়। তবে বন্ধু আর চিন্তার কোন কারণ নেই কেননা আমরা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে
আপনার সামনে সুন্দরভাবে আলোচনা করার চেষ্টা করেছি চুলকানি রোগ কেন হয় ও চুলকানি বন্ধ করার উপায় কি এবং পুরুষাঙ্গের চুলকানি দূর করার উপায় সম্পর্কে। শুধু তাই নয় আর্টিকেলের মাধ্যমে চুলকানি বিষয়ক আরো অনেক অজানা তথ্য এবং ওষুধের বা ক্রিমের নামগুলিও জানতে পারবেন। তো চলুন আমরা এক নজরে দেখিনি আপনি এই আর্টিকেলটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ার মাধ্যমে যে সকল বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে পারবেন সেগুলো হল
শরীরে চুলকানি হওয়ার কারণ কি, চুলকানি রোগ কেন হয়, চুলকানি বন্ধ করার উপায় কি, পুরুষাঙ্গের চুলকানি দূর করার উপায় চুলকানি দূর করার ওষুধের নাম চুলকানি দূর করার ক্রিম সারা গায়ে চুলকানি ওষুধ এলার্জি চুলকানি দূর করার উপায়।তাহলে চলুন বন্ধুরা আর দেরি না করে বিস্তারিতভাবে এ সমস্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে জেনে আসার চেষ্টা করি। কিন্তু অবশ্যই এর সকল বিষয়গুলো সম্পর্কে জানার জন্য আপনাকে স্টেপ বাই স্টেপ সকল পয়েন্ট গুলো পড়তে হবে।
আপনি যদি কোন কারনে যেকোনো পয়েন্ট মিস করে ফেলেন। তাহলে আপনি অনেক কিছু জানতে পারবেন না এবং এই আর্টিকেলটি পড়ে খুব একটি মজা পাবেন না। তাই চেষ্টা করবেন এই আর্টিকেলের সকল পয়েন্টগুলো পড়ার।
শরীরে চুলকানি হওয়ার কারণ কি
আমাদের শরীরে নির্দিষ্ট কোন রাসায়নিকের স্পর্শে এলার্জি প্রতিক্রিয়া হতে পারে যেমন উরুশিওল, বিষ আইভি এবং পয়জন ওক পেরুর বালসাম থেকে প্রাপ্ত, অনেক খাবার এবং সুগন্ধিময় দ্রব্য পাওয়া যায়। এমনকি কিছু অ্যালার্জেন প্যাচ পরীক্ষায় নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। তোকে বিদেশি বস্ত্রগুলি ও অ-প্যাথলজিকাল চুলকানির সবচেয়ে সাধারণ কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
সে ক্ষেত্রে আমাদের শরীরে কোন কিছু ব্যবহার করার জন্য সেটি ভালোভাবে পরীক্ষা করে নেওয়া উচিত। এটাই যেন আমাদের শরীরে কোন চুলকানির ভাব আনতে না পারে। সেদিকে পুরোপুরি আমাদের নজর দিতে হবে। তাছাড়াও বিভিন্ন কারণে আমাদের শরীরে চুলকানি বা বডি ইচিংয়ের সমস্যা গুলো দেখা দিতে পারে। সঠিকভাবে চিকিৎসা না করলে রোগ জটিল আকার ধারণ করবে।
শরীরে রক্তশূন্যতা হওয়ার ফলে চুলকানি হতে পারে এবং যাদের ত্বক খুব শুষ্ক শীতকালে ময়েশ্চার কমে যাওয়ার ফলে, শরীরে চুলকানি দেখা দিতে পারে। তাছাড়া কারো কারো ডায়াবেটিসের কারণেও সারা গা চুলকাতে পারে, এছাড়াও হরমোনের সমস্যা থেকে চুলকানি দেখা দেয়।
চুলকানি রোগ কেন হয়
আমরা এতক্ষণ জানলাম শরীরের চুলকানি হওয়ার কারণ কি?। এখন আমরা আর্টিকেলের এই অংশে জানতে চলেছি চুলকানি রোগ কেন হয়। আমাদের শরীরের চুলকানি বা বডি ইচিংয়ের সমস্যাগুলো দেখা দিতে পারে নানা কারণে। আমরা যদি সঠিকভাবে চিকিৎসা না করি তাহলে এই রোগ জটিল আকাশ ধারণ করতে পারে।
যাদের শরীরের ত্বক খুব বেশি শুষ্ক, শীতকালে যখন ময়েশ্চার আমাদের শরীর থেকে কমে যায়, দোকানের সমস্যা দেখা দেয়। এছাড়াও রক্তশূন্যতা, ডাইবেটিস, হরমোন ও থাইরয়েডজনিত এই সমস্যা গুলো থাকলে আমাদের গোটা শরীর চুলকাতে পারে। একই সঙ্গে সিস্টেমিক রোগ, যেমন অবসট্রাকটিভ জন্ডিস, লিভারের সমস্যাগুলো থেকে হতে পারে।
এমনকি সোরিয়াসিস রোগ থেকেও চুলকানি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এক ধরনের সোরিয়াসিস ছোট ছোট দানার মতো হয়ে থাকে। সোরিয়াসিস আপনি যদি ঠিক মত চিকিৎসকের কাছ থেকে চিকিৎসা না পড়েন তাহলে এই সমস্যা গুলো হতে পারে। তাই আমাদের ইচিংকে অপেক্ষা করা একদমই ঠিক হবে না। আমাদের মধ্যে অনেকেই মনে করেন শুধুমাত্র চুলকাচ্ছে,
এটি হয়তোবা চুলকানোর পরে ভালো হয়ে যাবে। কিন্তু আমাদের চুলকানির বিষয়ে সতর্ক থাকায় উচিত। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ সেবন করুন, এবং নিজেকে ভালো রাখুন। আশা করি আপনি এতক্ষণে জেনে গেছেন চুলকানি রোগ কেন হয়।
চুলকানি বন্ধ করার উপায়
আমরা এতক্ষণ জানলাম চুলকানি রোগ কেন হয়?। এখন আমরা আর্টিকেলের এই অংশে জানার চেষ্টা করব চুলকানি বন্ধ করার উপায় সম্পর্কে। চুলকানির সমস্যা সবারই হতে পারে এবং এর কারণে আমাদের ত্বকে ব়্যাশ, লালচে ভাব দেখা দেয়, এবং ফুলে ওঠা দেখা দিতে পারে। আমাদের শরীরে বিভিন্ন কারণে এই সমস্যা হতে পারে।
তাছাড়া চুলকানি একবার শুরু হলে মানুষকে বিরক্তি করে তুলে। আমাদের শরীরে চুলকানির অ্যাটাক মাঝেমধ্যেই যন্ত্রতন্ত্র শুরু হয়ে যায়। আমাদের এর থেকে মুক্তি পেতে বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে। আমরা আজকে এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে এমন কয়েকটি বিষয় বলবো, যেগুলি প্রয়োগ করলে আপনি এই বিরক্তিকর সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
চন্দন কাঠের ব্যবহার করতে শিখুন
চন্দন কাঠ শরীর থেকে চুলকানোর সমস্যা দূর করতে এবং এটি ত্বকের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। আপনার শরীরের চুলকানির জায়গা গুলোতে চন্দনের পেস্ট লাগাতে হবে।
নারিকেল তেলের ব্যবহার
নারকেল তেল তেলে এমন অনেক গুণাবলী রয়েছে যা আমাদের শরীরের অনেক উপকার করে থাকে। শরীর থেকে চুলকানি দূর করার জন্য আপনি নারকেল তেলের ব্যবহার করতে পারেন। তাছাড়াও তোকে নারকেল তেল ও ত্বকের আদ্রতা বেশিক্ষণ থাকে।
বেকিং সোডা ও লেবুর ব্যবহার
আপনার যদি চুলকানি সমস্যা থাকে, তাহলে স্নানের জন্য পরিষ্কার জল ব্যবহার করতে হবে। তাছাড়া, জলে এক চামচ বেকিং সোডা এবং কয়েক চামচ লেবুর রস মেশানোর পর, সপ্তাহে কমপক্ষে দিন থেকে চারবার ব্যবহার করুন।
তুলসী পাতা
আপনাকে চুলকানি থেকে মুক্তি পেতে তুলসী পাতার ব্যবহার করতে হবে। কয়েকটি তুলসী পাতা নারকেল তেল মিশিয়ে তোকে মালিশ করলে, আপনার চুলকানি থেকে আপনি অনেকটাই মুক্তি পাবেন আমাদের শরীরে এই পদ্ধতিটি থেকে ফাংগাল উপসরনে সহায়তা করতে পারে।
এলোভেরা জেল এর ব্যবহার
আমরা এলোভেরার গুণাবলী সম্পর্কে সবাই জানি। আমাদের ত্বকে এটি ভীষণ উপকারী, এর পাশাপাশি এলার্জি থেকেও মুক্তি পাওয়া সম্ভব। এলোভেরা এমন একটি উপাদান যা ত্বকের জ্বালা এবং চুলকানি কমায়। সেজন্য আপনি কিছুটা অ্যালোভেরা জেল নিয়ে তোকে লাগান। ৩০ থেকে ৪৫ মিনিট তোকে রাখার পর, আপনি দেখবেন আস্তে আস্তে আপনার চুলকানি এবং জ্বালার সমস্যা কমে গেছে।
নিম পাতার ব্যবহার
আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য নিমপাতা অনেক উপকার, এটা আমরা সবাই জানি। আপনি আপনার চুলকানি থেকে বাঁচতেও নিম পাতার ব্যবহার করতে পারেন। আপনি নিমপাতা পিষে আক্রান্ত স্থানে লাগান। আপনার চুলকানি থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য এটি একটি দুর্দান্ত প্রাকৃতিক মাধ্যম।
পুরুষাঙ্গের চুলকানি দূর করার উপায়
আমরা ইতিমধ্যেই জেনে এসেছি চুলকানি রোগ কেন হয় এবং চুলকানি বন্ধ করার উপায় কি। এখন আমরা আর্টিকেলের এই অংশে জানব পুরুষাঙ্গের চুলকানি দূর করার উপায় সম্পর্কে। তবে আসুন আমরা পুরুষাঙ্গের চুলকানি দূর করার জন্য কিছু ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জেনে আসার চেষ্টা করি।
- নারিকেল তেলের ব্যবহার, ছত্রাকের সংক্রমণ রোধে শরীর ও গোপনাঙ্গে নারিকেল তেল ব্যবহার করা যেতে পারে। এটি আপনার পুরুষাঙ্গের চুলকানি দূর করতে সহযোগিতা করবে।
- বেকিং সোডা দিয়ে আপনাকে গোসল করতে হবে। আপনার ত্বকে ছত্রাক সংক্রমণের কারণে চুলকানি হয় এবং তার পাশাপাশি আরো কিছু চুলকানির ক্ষেত্রে বেকিং সোডা আপনার শরীরের জন্য অত্যন্ত কার্যকরী।
- প্রোবায়োটি ক খাবার এই খাবারগুলো ত্বকের ছত্রাকের ক্ষেত্রেও অনেক কার্যকারী ভূমিকা পালন করে। প্রোবায়োটিক খাবারগুলো যেমন- দই, কিসমিস।
- ঠান্ডা ঠান্ডা বরফের ব্যবহার চুলকানি থেকে তাৎক্ষণিক রেহাই পাবার জন্য বড় বা বরফের ঠান্ডা জলে শেখ দিতে পারেন আপনি। রাতের বেলা যখন এই চুলকানির তীব্রতা খুব বৃদ্ধি পায় তখন এই কার্যক্রমটি খুব কাজে লাগে।
- একাধিক ব্যক্তির সাথে যৌন সহবাস পরিত্যাগ করার চেষ্টা করুন।
- আপনি কখনোই ভেজা কাপড় পড়ে বেঁচে ফোন থাকবে না। গোসল বা ব্যায়ামের পর যত তাড়াতাড়ি পারেন ভেজা কাপড়টি পাল্টে ফেলুন।
- রঙ্গিন এবং বেশি সুগন্ধি ময় যুক্ত টয়লেট টিস্যু ও সাবান যৌনাঙ্গে ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন।
চুলকানি দূর করার ওষুধের নাম
এতক্ষণ আমরা জানলাম পুরুষাঙ্গের চুলকানি দূর করার উপায় সম্পর্কে। এখন আমরা আর্টিকেলের এই অংশে জানবো চুলকানি দূর করার ওষুধের নাম সম্পর্কে। আমরা চুলকানি দূর করার কিছু ওষুধ আপনাদের সামনে উপস্থাপন করলাম।
- Alatrol
- Darma 50mg (Hydroxzine Hydrochloride Tablet)
- Sedno
- Darma50
- Frxofenadine
- Desloratadine
- Diphenhydramine
- Cetrizine
- Loratadine
- Fungin
- Fungidal-HC
- Antifungal Cream
- Pevisone
তবে একটা কথা মাথায় রাখবেন এ সকল ওষুধ গুলোর মধ্যে যেই ওষুধই আপনি সেবন করেন না কেন অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সেবন করার চেষ্টা করবেন।
চুলকানি দূর করার ক্রিমের নাম
এতক্ষন আমরা জানলাম চুলকানি দূর করার ওষুধের নাম। এখন আমরা আর্টিকেলের এই অংশে জানতে চলেছি চুলকানি দূর করার ক্রিম সম্পর্কে। আপনি যদি না জেনে থাকেন চুলকানি দূর করার ক্রিম গুলো কি তাহলে এখনই জেনে নিন চুলকানি দূর করার ক্রিমের নাম গুলো কি কি। কেননা আপনাদের জন্য বাজারের সবচাইতে ভালো কিছু চুলকানি দূর করার ক্রিমের নাম শেয়ার করেছি। আমরা আশা করি আপনাদের অনেক উপকারে আসবে এই ক্রিমগুলো।
- এভিশন
- পেভিটিন
- পেভিসোন
- Lorix
- Lulifin
- Clotrimazole
আরো পড়ুনঃ দাঁতের ব্যাকটেরিয়া দূর করার প্রাকৃতিক উপায়
সারা গায়ে চুলকানি ওষুধ
এতক্ষন আমরা জানলাম চুলকানি দূর করার ক্রিম সম্পর্কে। এখন আমরা আর্টিকেলের এই অংশে জানতে চলেছি সারা গায়ে চুলকানি ওষুধ বিষয়ে। সারা গায়ে চুলকানির কিছু ওষুধ নিচে আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। আপনি এই ওষুধগুলো মধ্যে যে কোন একটি ওষুধ ব্যবহার করলে আপনার সারা গায়ে চুলকানি দূর করা সম্ভব হবে।
- Atarax250Tablet
- Flugal 50 Tablet
- Darma 50 Tablet
- Sedno Tablet
- Oradin Tablet
- Rupadin 10 mg Tablet
- Alatrol Tablet
এলার্জি চুলকানি দূর করার উপায়
আপনার এলার্জি থেকে মুক্ত থাকার সবচেয়ে ভালো উপায় হল, যে বস্তুতে এলার্জি রয়েছে, তার সংস্পর্শ থেকে দূরে থাকা। যেমনটা হলো, যার ডিটারজেন্ট ও সাবানের এলার্জি, বাসন-কোষন, এমনকি কাপড়চোপড় ধোয়ার সময় হাতে গ্লাভস ব্যবহার করতে পারেন। যেটার অলংকারে এলার্জি, আপনি তা ব্যবহার থেকে বিরত থাকার চেষ্টা করুন।
তাছাড়াও রোগীর যে সব বস্তুতে অ্যালার্জি সেগুলোর একটি তালিকা করতে পারেন। এটি স্কিন টেস্ট করে বোঝা যায়। কোন কোন সময় যেকোনো ওষুধেও এলার্জি হতে পারে, সে ক্ষেত্রে কোন ওষুধে এলার্জি হলে অবশ্যই তার নাম লিখে রাখবেন এবং চিকিৎসকের কাছ থেকে পরামর্শ নিবেন। আপনার ত্বকের প্রদাহ বা অ্যালার্জি হয়ে গেলে
তা কমাতে চিকিৎসকের পরামর্শে অ্যান্টিহিস্টামিন, ক্যালামিন লোশন, স্টেরয়েড মলম ইত্যাদি ব্যবহার করতে পারেন। আপনার চুলকানি গুলো হঠাৎ লাল হয়ে গেলে ঠান্ডা সেক বা ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করলে খানিকটা আপনি আরাম পেতে পারেন। এমন সময় বাতাস চলাচল করে এমন পাতলা সুতি কাপড় পড়ার চেষ্টা করুন। আপনার যদি প্রসাধন সামগ্রীতে এলার্জি থেকে থাকে তাহলে রাসায়নিকযুক্ত প্রসাধনসামগ্রীর ব্যবহার এড়িয়ে চলুন।
শেষ কথা
প্রিয় পাঠক, এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনি নিশ্চয়ই এতক্ষণে জেনে গেছেন চুলকানি রোগ কেন হয় ও চুলকানি বন্ধ করার উপায় এবং পুরুষাঙ্গের চুলকানি দূর করার উপায় সম্পর্কে। শেষ কথা হিসেবে আপনাকে একটা কথাই বলতে চাই, যখনই আপনার চুলকানির সমস্যা দেখা দেবে
তাৎক্ষণিক চিকিৎসকের কাছে পরামর্শ নিয়ে চিকিৎসা গ্রহণ করবেন।কারন একমাত্র চিকিৎসপি আপনার চুলকানি প্রতিরোধ করতে সাহায্য করবে। এছাড়াও এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা আপনাকে যে উপায়গুলো জানিয়েছি সেগুলো আপনি অবলম্বন করতে পারেন। আপনি এগুলো অবলম্বন করলে ভালো ফল পাবেন।
আরো পড়ুনঃ মোটা হওয়ার ঘরোয়া উপায়
আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনার কাছে অনেক ভালো লেগেছে এবং আপনার অনেক উপকারে আসবে। তাই বন্ধু এই আর্টিকেলটি আপনার কাছে ভালো লেগে থাকলে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। কেননা আপনার মাধ্যমে আপনার বন্ধুরাও জানতে পারবে চুলকানি রোগ কেন হয় এবং চুলকানি বন্ধ করার উপায় কি। আর অবশ্যই আমাদের এই ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট বা ফলো করার চেষ্টা করবেন। কারণ আমরা এই ওয়েবসাইটে নিয়মিত নতুন নতুন ব্লগ পোস্ট বা আর্টিকেল পাবলিশ করে থাকি। আসসালামু আলাইকুম।
সাগর ম্যাক্স এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url