চুল পড়া বন্ধ হবে কিভাবে - চুল পড়া বন্ধ ও ঘন করার উপায়
চুলকানি রোগ কেন হয়প্রিয় পাঠক, আপনি নিশ্চয় জানতে চাচ্ছেন চুল পড়া বন্ধ হবে কিভাবে এবং চুল পড়া বন্ধ ও ঘন করার উপায় সম্পর্কে। তাহলে বন্ধু আপনি সঠিক জায়গাতেই এসেছেন কারণ আমরা এখনই আপনার সাথে শেয়ার করতে চলেছি চুল পড়া বন্ধ হবে কিভাবে এবং চুল পড়া বন্ধ ও ঘন করার উপায় বিষয়ে।
আপনি যদি আমাদের এই পোস্টটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়েন, তাহলে চুল পড়া বন্ধ হবে কিভাবে এবং চুল পড়া বন্ধ করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানতে পারবেন এছাড়াও জানতে পারবেন মহিলাদের চুল পড়া বন্ধ করার উপায় সম্পর্কে।
পোস্ট সূচীপত্রঃ
ভূমিকা
আমাদের মধ্যে অনেকেই চুল পড়ার সমস্যায় ভুগেন। চুল পড়ার জন্য সবথেকে দায়ী অতিরিক্ত দূষণ, সঠিক খাদ্যাভ্যাসের অভাব থাকলেও চুল পড়তে পারে। তাছাড়া চুলের পর্যাপ্ত পরিমাণে যত্ন না নেওয়া ইত্যাদি কারণ, অনেকেই চুল পড়া কমাতে বাজার চলিত নানা প্রসাধনী ব্যবহার করে থাকেন। এইসব কিছুদিনের জন্য বা সাময়িক কাজ করলেও চুলের ক্ষতি করে। সেজন্য কিছু উপায় বা হেয়ার প্যাক আছে যা আপনার চুল পড়া বন্ধ হতে পারে।
নিয়ম করে এইসব প্যাক ব্যবহার করলে চুল পড়ার হার অনেকটাই কমানো সম্ভব, তবে চলুন জেনে নেওয়া যাক বিস্তারিত- আপনি যদি এই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়েন, তবে অবশ্যই আপনি আপনার চুল পড়া থেকে চুলকে বাঁচাতে পারেন। তাহলে চলুন বন্ধু দেরি না করে আমরা বিস্তারিত ভাবে জেনে আসি চুল পড়া বন্ধ হবে কিভাবে ও চুল পড়া বন্ধ করার উপায় এবং মহিলাদের চুল পড়া বন্ধ করার উপায় সম্পর্কে।
আপনার চুলের হারিয়ে যাওয়া আদ্রতা ফিরিয়ে আনতে এবং ভিটামিন বি ও প্রোটিনের যোগান বাড়াতে লেবু, মধু, দই এর প্যাক আদর্শ। আপনি সপ্তাহে একবার শ্যাম্পু করার আগে লাগিয়ে রাখার পর ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর শুকিয়ে গেলে চুল ধুয়ে ফেলুন। বংশানুক্রমিক চুল পড়ার ক্ষেত্রে খুব বেশি কিছু করার নাই। অ্যালোপেসিয়া এরিয়াটার মত অটোইমিউন ডিশঅর্ডার থাকলে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে চিকিৎসা করলে চুল পড়া বন্ধ হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যায়।
আপনার থাইরয়েডের সমস্যা থাকলেও চুল পড়ে যায়। সোরিয়াসিস এবং ক্রনিক পেট খারাপের সমস্যা থাকলেও চুল পড়ার সম্ভাবনা থাকে। কিন্তু আপনার যদি এ সকল সমস্যা গুলো না থাকে তারপরও যদি চুল পড়ে তাহলে আমাদের এই পোস্টটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন এবং আপনি তা ট্রাই করুন আপনার চুল পড়ার সমস্যার সমাধানের জন্য আমরা বিশেষ কিছু উপায় আপনার কাছে উপস্থাপন করলাম। তাই আপনি যদি এই আর্টিকেলটি সম্পন্ন মনোযোগ সহকারে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়েন,
তাহলে যে সকল বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে পারবেন সেগুলো হল চুল পড়া বন্ধ ও ঘন করার উপায়, চুল পড়া বন্ধ করার প্রাকৃতিক উপায়, চুল পড়া বন্ধ হবে কিভাবে, গরমে চুল পড়া বন্ধ করার উপায়, চুল পড়া বন্ধ করার উপায় ডাক্তারের পরামর্শ, মহিলাদের চুল পড়া বন্ধ করার উপায়, মেয়েদের চুল পড়া বন্ধ করার উপায় ঔষধ, চুল পড়া বন্ধ করার খাবার এবং চুল পড়া বন্ধ করার শ্যাম্পু। তাহলে চলুন দেরি না করে সকল বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে আসার চেষ্টা করি। আশা করি আর্টিকেলটি আপনার অনেক উপকারে আসবে।
চুল পড়া বন্ধ ও ঘন করার উপায়
আপনার চুল হয়তো দেখতে অনেক সুন্দর, কিন্তু যদি তা নিয়মিত পড়তেই থাকে, তবে এক সময় স্বাভাবিক সৌন্দর্য হারাতে আপনি বাধ্য হবেন। মানসিক নানা চাপ, পরিবেশ দূষণ, শারীরিক অসুস্থতা এমন নানা কারণেই চুল পাতলা হতে শুরু করে। এর বাইরে চলে কেমিক্যাল প্রয়োগের কারণে চুল পড়তে পারে। অস্বাভাবিক চুল পড়তে থাকলে তার দ্রুত সমাধান করা প্রয়োজন। তাছাড়া যে কারণেই চুল পড়ুক না কেন, নিয়মিত সঠিক উপায়ে যত্ন নিলে চুল ঘন হবেই। সেসঙ্গে হবে স্বাস্থ্য উজ্জ্বলও। কিভাবে পাবেন? চলুন তবে জেনে নেয়া যাক।
শীত এলেই শুরু হয়ে যায় চুলের নানা ধরনের সমস্যা। চুল রুক্ষ হয়ে যাওয়া এবং খুশকি চুল পড়ার মতো সমস্যা গুলো যেমন পিছু ছাড়তে চায় না। এমন সব সমস্যার সমাধানে কিন্তু সহজ কিছু উপায় আছে, সেটা আপনাকে জানতে হবে। চুল রুক্ষ হয়ে যাওয়া, খুশকি এবং চুল পড়ার মতো হাজারো সমস্যা কে জয় করতে হলে আপনাকে চুলের বাড়তি যত্ন নিতে হবে। আসুন তবে জেনে নেওয়া যাক চুল পড়া বন্ধ করার জন্য এমন কিছু সহজ উপায়।
ময়েশ্চারাইজার
আপনি এমন কন্ডিশনার ব্যবহার করুন, যার মধ্যে ভালো পরিমাণে ময়েশ্চারাইজার রয়েছে। কেমিক্যালযুক্ত চুলের রং ব্যবহার করা এড়িয়ে চলুন। এমন রং ব্যবহারে চুলের ময়েশ্চারাইজার কমে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই এর পরিবর্তে হেনা ব্যবহার করুন। চেষ্টা করতে পারেন বাড়িতেই মেহেদী পাতা বেটে হেনাপ্যাক বানিয়ে নিতে।
কেমিক্যাল ব্যবহার করা বন্ধ করুন
চুলে হাজার ধরনের কেমিক্যাল এর ব্যবহার বন্ধ করলে, মাথায় সালফেট ও প্যারাবিন মুক্ত শ্যাম্পু ব্যবহার করুন। এক্ষেত্রে অয়েল বেজড বা কন্ডিশনার বেজড শ্যাম্পু ব্যবহার করতে পারলে আপনার চুলের জন্য সবথেকে ভালো হয়।
হিট ব্যবহার করা বন্ধ করুন
অনেক সময় হেয়ার স্টাইল করতে গিয়ে অনেকেই চুলে হিট দিয়ে থাকে। তবে এই অভ্যাস আপনাকে এড়িয়ে চলতে হবে। কারণ এভাবে হিট দিলে চুল আরো শুষ্ক হয়ে যাবে, তাই স্নানের পর স্বাভাবিক উপায়ে চুল শুকাতে দিবেন।
মাথায় গরম পানি নয়
আপনি কখনোই মাথায় গরম পানি দিয়ে গোসল করবেন না, স্বাভাবিক পানি আপনার চুলের জন্য অনেক উপকার। আপনার চুল ভালো রাখার জন্য অবশ্যই গরম পানি এড়িয়ে চলুন।
প্রতিদিন মাথায় পানি নয়
মাথার ময়লা দূর করতে অনেকেই আবার শ্যাম্পু দিয়ে মাথা ধুয়ে নেন প্রতিদিন। তবে রোজ রোজ শ্যাম্পু ব্যবহার প্রয়োজন নেই। সপ্তাহে দুবার এটি করতে পারেন। এর মাধ্যমে মাথায় থাকা প্রাকৃতিক সিরাম, অর্থাৎ যার মাধ্যমে চুল চকচকে দেখায়, পা চুলে উপস্থিত থাকবে,। ফলে চুল থাকবে সুস্থ ও ঝলমলে।
অয়েল ম্যাসাজ
নারকেল তেল, বাদাম তেল ও অলিভ অয়েল মিশিয়ে নিয়ে তৈরি করে নিতে পারেন একটি তেলের মিশ্রণ। তারপর সেই মিশ্রণ চুলে ও মাথার ত্বকে আলতো ভাবে ম্যাসাজ করুন। একদিন পরে চুল শ্যাম্পু দিয়ে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। আর খেয়াল করুন চুলের অবাক করা জিল্লা।
খাবার
শাক-সবজি বেশি করে খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। আপনি যদি এইসব খাবারে উপস্থিত রাখেন ,তবে ভিটামিন খনিজ ও এন্টিঅক্সিডেন্ট আপনাকে এবং সুরক্ষিত রাখবে আপনার চুল।
চুল পড়া বন্ধ করার প্রাকৃতিক উপায়
সপ্তাহে অন্তত একদিন শ্যাম্পু করার আগে গরম তেল দিয়ে চুলে আর স্ক্যাল্পে মাসাজ করার চেষ্টা করুন। আমন্ড অয়েল, নারিকেল তেল, অলিভ অয়েল বা এভোকাডোর মত প্রাকৃতিক তেল চুলের গোড়ায় পুষ্টি যোগায়, চুলের রক্ষতা কমাতে সাহায্য করতে থাকে। তাছাড়া নিয়মিত স্ক্যাল্পে মাসাজ করলে রক্ত সংবহন বাড়ে, চুলে ঘন ভাব ফিরে আসার মত মনোভাব দেখা দেয়।
কোয়েল মাসাজের মতো ড্রাই মাসাজও চুলের জন্য অনেক উপকারী। আপনি যদি প্রতি রাতে শুতে যাওয়ার আগে আঙ্গুলের ডগা দিয়ে স্ক্যাল্পটা এমনি মাসাজ করুন। এতেও স্ক্যাল্পে রক্ত সংবহন বাড়বে এবং নতুন চুল গজাবে। ক্যাস্টর অয়েল, পিয়াজের রস, এলোভেরা জেল, নারিকেল তেলের মতো সাধারণ উপাদানে এমন অজস্র ভিটামিন ও মিনারেল রয়েছে যা প্রাকৃতিকভাবে পাতলা চুল ঘন করতে ভীষণ ভূমিকা পালন করবে।
এসব উপাদান দিয়ে তৈরি করে নিন আপনার নিজস্ব হেয়ার মাস্ক। তুলে আর স্ক্যাল্পে লাগিয়ে ২৫ থেকে ৩০ মিনিট রাখার পর ধুয়ে ফেলুন। আপনি যদি প্রতি সপ্তাহে একবার ব্যবহার করতে পারেন তবে চুল ধীরে ধীরে ঘন হতে শুরু করবে। আপনার চুল যত্ন নেওয়ার পাশাপাশি নজর দিন খাবারও। ডিম, মাছ, দুধ, দুই এবং ছানা নিয়মিত খেতে পারেন। পালং, ব্রকলি, বাঁধাকপির মতো সবুজ শাক-সবজি চুলের ক্যারাটিন মজবুত করে চুল ঘন করে তুলতে পারে।
কমলা, স্ট্রবেরি, পেয়ারার মতো ফল প্রতিদিন খাওয়ার চেষ্টা করুন। ভালো শ্যাম্পু, কন্ডিশনার, তেল আপনার চুল ভালো রাখতে অনেক সহযোগিতা করবে। চুল পড়া, খুশকি শুষ্কতার মত সমস্যা কমিয়ে ভালো রাখতে এবং চুলের গোড়া মজবুত রাখতে ভল্যুমাইজিং শ্যাম্পু আর কন্ডিশনার ব্যবহার করুন।
চুল পড়া বন্ধ হবে কিভাবে
চুল পড়া নিয়ে নারী পুরুষ উভয়ই অনেক সমস্যায় ভুবেন। তবে পুরুষেরা যেহেতু বেশিরভাগ সময় ঘরের বাইরে থাকেন। তাই তাদের চুল বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়। তাছাড়া নারীরা তাদের চুলের যত্নটা একটু বেশি নিয়ে থাকেন, তাদের এক ভাগও পুরুষেরা চুলের যত্ন করেন না। তাই পুরুষদের চুল কম বয়সেই পড়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায় বা চুল পড়ার সমস্যায় ভোগেন।
আবার কারো কারো মাথায় চুল পড়ে টাক হয়ে যায়। আর মাথার চুল কমে গেলে আপনার আত্মবিশ্বাসও কমে যেতে থাকে। এখনো উপায়? চুল পড়া নিয়ে বেশি দুশ্চিন্তার কোন কারণ নেই। আমাদের জীবনযাত্রার পরিবর্তন ও ঘরোয়া উপায়েও অনেক ক্ষেত্রে চুল পড়া বন্ধ করা সম্ভব। কিন্তু অনেকেরই জিনগত কারণে চুল পড়তে পারে, সেক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াটা জরুরি।
তবে চুল পড়ার পরিমাণটা যদি বেড়ে যায় সে ক্ষেত্রে ঘরোয়া ১০ উপায়ে হারানো চুল ফিরে পেতে পারেন আপনি। তাও আবার ১ মাসের মধ্যে! তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক চুল পড়া বন্ধের কার্যকারী ১০টি উপায়।
১। চুল পড়ার সমস্যার সমাধানে ভিটামিন ই চুলের গোড়ায় ব্যবহার করতে পারেন। ভিটামিন-ই মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে দেওয়ার কাজ করে থাকে। হলে চুলের খলিকুল উৎপাদনশীল থাকে।এছাড়াও ভিটামিন ই চুলের স্বাস্থ্যকর রং বজায় রাখতে অনেকটা সহযোগিতা করে।
২। নিয়মিত চুল পরিষ্কার রাখা অনেকটাই জরুরী। কারণ এতে চুলের গোড়ায় জমে থাকা ময়লা সহজে দূর হয়। ফলে চুল পড়া অনেকটা বন্ধ করা সহজ হয়। আপনি মনে রাখবেন, আপনার চুল অপরিষ্কার থাকলে খুশকি ও মাথার ত্বকে সংক্রমনের আশঙ্কা বেড়ে যায়।
৩। অনেক সময় আমাদের খাদ্যাভাসে পরিবর্তন হলে বা শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি থাকলে চুল পড়ে।সেজন্য খাদ্য তালিকায় চর্বিযুক্ত, মাংস, মাছ, সয়াসহ প্রোটিন রাখার চেষ্টা করুন। সেক্ষেত্রে চুলের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে ও চুল পড়া থেকে বিরত রাখে।
৪। কখনোই ভেজা চুল আঁচড়াবেন না। আমাদের মধ্যে অনেক পুরুষই হয়তো এই বিষয়টি মানেন না বা জানেন না। ভেজা অবস্থায় চুলের গোড়া নরম থাকায় চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়ানোর সময় চুল পড়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
৫। আপনি যদি ঘরোয়া উপায়ে চুল পড়া বন্ধ করতে চান তবে রসুন, পেঁয়াজ বা আদার রস। এই উপাদান গুলোর রস রাতে মাথার ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন। তারপর সারারাত রেখে সকালে চুল পরিষ্কার করে ধুয়ে ফেলুন। দুই সপ্তাহ নিয়মিত এই পদ্ধতি অনুসরণ করলে ফলাফল পেতে পারেন হাতেনাতে।
৬। বিশেষজ্ঞদের মতে দেখা গেছে, গ্রিন টি ব্যবহারে চুল পড়ার সমস্যা অনেক কমে যায়। এজন্য এক কাপ পানিতে দুটি গ্রিন টি ব্যাগ মিশিয়ে নিন। তারপর তা ঠান্ডা করে চুলের আগা থেকে গোড়া পর্যন্ত ব্যবহার করুন ৩০ থেকে ৪৫ মিনিট রাখার পর চুল ধুয়ে ফেলুন। ৫ থেকে ৭ দিন একটানা ব্যবহারে চুল পড়ার সমস্যার সমাধান হবে।
৭। শরীরে পানি শূন্যতার আশঙ্কা দেখা দিলে, চুল পড়ার পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই চুল পড়ার সমস্যা বেড়ে গেলে বুঝবেন আপনার শরীরে হয়তো পানি শূন্যতা হচ্ছে বা হয়েছে। তাই দৈনিক তিন থেকে চার লিটার পানি অবশ্যই পান করার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
৮। আপনি সবসময় খেয়াল রাখুন মাথার ত্বক যেন বেশি তৈলাক্ত না থাকে। অনেকেরই মাথার ত্বক বেশি ঘেমে থাকে, ঘামের কারণে মাথার ত্বকে বেশি ময়লা জমে। সেক্ষেত্রে পুরুষের চুল পড়ার পরিমাণ বেড়ে যায়। এজন্য এলোভেরা ও নিম যুক্ত ব্যবহার করুন তাহলে আপনার মাথা ঠান্ডা থাকবে ও চুল কম ঘামবে।
৯। আপনি দৈনিক শরীরচর্চা করুন। দিনে অন্তত ৩০ মিনিট হাটাহাটি করুন। এর পাশাপাশি সাঁতার কাটা বা সাইকেল চালানো এইসব করতে পারেন। এতে হরমোনের ভারসাম্য বজায় থাকবে ও স্ট্রেসের মাত্রা কমবে। হলে চুল পড়ার সমস্যাও কমে যাবে। টানা দুই সপ্তাহ নিয়মিত মানলেই আপনার চুল পড়ার সমস্যা অনেকটাই সমাধান হবে। এরপরেও যদি না কমে, সেক্ষেত্রে আপনি অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারেন।
১০। আপনি যদি ধূমপান ও মদপান পড়েন তবে সচেতন হোন কারণ এর মাধ্যমেও চুল পড়তে পারে।ধূমপান করলে মাথার ত্বকে প্রবাহিত রক্তের পরিমাণ কমে যায়। ফলে চুলের বৃদ্ধি বাধাগোস্ত হতে পারে।তাই যতটুক পারেন ধূমপান এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন।
গরমে চুল পড়া বন্ধ করার উপায়
প্রাকৃতিকভাবে ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে চুল ওঠা একটি সাধারণ সমস্যা। বিশেষ করে গরমের মাস গুলো চুলের জন্য যেন দুর্বিষহ হয়ে ওঠে, কেননা চুল সরাসরি রোদ লাগার হাত থেকে মাথার তালুতে রক্ষা করে। কিন্তু গরমের দিনে কখনো কখনো তাপ এতটাই বেড়ে যায় যে মাথা ঠান্ডা রাখতে শরীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে কিছু চুল ঝরে যায়।
এছাড়াও প্রবল উত্তাপের কারণে স্ক্যাল্পের প্রয়োজনীয় আদ্রতা নষ্ট হয়ে যায়, ফলে সাঁতার কাটলে বা বাড়ির বাইরে কাজে বেরোলে সমস্যা আরো বাড়ে। মাথায় বেশি ঘাম জমলে তাতে অনেক ব্যাকটেরিয়া জন্মায়, সেজন্যও চুল উঠে যেতে পারে। তবে আপনার দুশ্চিন্তার কোন কারণ নেই, কিছু সাধারন চুলের যত্নের টিপস মেনে চললেই গরমে চুল উঠে যাওয়ার সম্ভাবনা থেকে অনেকটাই রেহাই পাওয়া যায়। সেজন্য নিচে কিছু টিপস আপনাদের সামনে উপস্থাপন করা হল।
- এন্টি হেয়ারফল শ্যাম্পু দিয়ে চুল নিয়মিত ধুয়ে ফেলুন, মাথায় অতিরিক্ত ঘাম আর তেল জমলে তা চুলে দারুন ক্ষতি করে থাকে। সে ক্ষেত্রে চুলের গোড়ায় ফলিকল গুলোর মুখ বন্ধ হয়ে গেলে চুল পড়া শুরু করে। চুলের গোড়ায় ফলিকলের মুখ বন্ধ হওয়া দূর করতে অন্তত দুই থেকে তিন দিন আন্টি হেয়ারফল শ্যাম্পু দিয়ে চুল সুন্দরভাবে ধুয়ে ফেলুন। কারণ অ্যান্টি হেয়ার ফল শ্যাম্পু চুলের গোড়ায় পুষ্টি যোগায় এবং চুলের স্ট্রেচিং ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে সহায়তা করে। যাতে করে চুল পড়া অনেকটাই কমে যায়।
- ভেজা চুলে কিউটিকল খোলা থাকার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয় তাড়াতাড়ি। সেজন্য ভেজা চুল নিয়ে ঘুমানো চলবে না, তাতে করে বালিশের সঙ্গে ঘোষা লেগে চুল উঠে যেতে পারে। রাতে ঘুমানোর আগে অবশ্যই স্বাভাবিক খোলা হাওয়ায় চুল পুরোপুরি শুকিয়ে নিবেন।
- গরমের সময় চুল আদ্র রাখতে পারলে, বিশেষ করে সুইট আমন্ড, আর্গান, সানফ্লাওয়ার মারুলা ও সোয়াবিনের কোমল আদ্র পুষ্টিযুক্ত ফর্মুলা তুলে মাখতে থাকলে গরমের রক্ষা তো দূর হবেই এবং আপনার চুল পড়াও কমে যাবে। আদ্রতা চুলের কিউটিকল বন্ধ রাখতে পারে সেজন্য আচড়ানোর সময় তুলে জট পড়া বা চুল ঝরে যাওয়ার পরিমাণ অনেকটাই কমে যায়।
- গরমের দিনে চুলে ঘাম জমা এড়াতে চুল টানটান করে খোঁপা বা পনিটেলে বেঁধে রাখতে অনেকে পছন্দ করে থাকেন। কিন্তু খুব টানটান করে চুল বাধলে চুলের গোড়ায় চাপ পড়ে এবং সে কারণে চুল উঠে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে, ফলে এমনভাবে চুল বাঁধন যাতে চুলের গোড়ায় বেশি টান না পরে এবং চুলও সুরক্ষিত থাকে।
- গরমে চুল ওঠার অন্যতম কারণ হলো স্ক্যাল্পের প্রদাহ। শরীর যথাসম্ভব শীতল রাখতে পারলে চুল ওঠা অনেকটাই এড়ানো সম্ভব। যদি আপনি প্রতিদিন ৬ থেকে ৮ গেলাস জল পান করতে পারেন, বা আইস টি, তরমুজের রস, শসার জল খেলেও শরীর আদ্র থাকবে। এবং গরম জল পুরোপুরি এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন। প্রচুর পরিমাণে শাক সবজি সহ সুষম খাবার খান, এক্ষেত্রে পরিপাকতন্ত্রের উপর চাপ না পরে এবং শরীর গরম না হয়ে যায়।
চুল পড়া বন্ধ করার উপায় ডাক্তারের পরামর্শ
আপনি চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের সাথে দেখা করতে পারেন কারণ চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার চুল পড়া নিয়ন্ত্রণ এবং চিকিৎসা অনেক সুন্দর ভাবে নিতে পারে। একজন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার আপনাকে বলতে পারেন যে এটি এফ পি এইচ আর বা অন্য কিছু যা আপনার চুলের ক্ষতি করছে। চুল পড়ার অন্যান্য কারণগুলি এফ পিএ ইচ আর মত দেখতে পারে। সে ক্ষেত্রে এই কারণগুলিকে বাতিল করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
আপনার বয়সের কারণে চুল পড়ে যাওয়ার মত সমস্যা বা তা করার মতো সমস্যার জন্য সবচেয়ে বেশি যে ওষুধ ব্যবহার করা হয় তার নাম মিনোক্সিডিল। এটি একটি ক্রিম, ফর্ম বা স্প্রে আকারে পাওয়া যায় বাজারে। আপনি এটি সঠিক নিয়মে ব্যবহার করলে চুল পড়ার হার অনেকটাই কমানো সম্ভব। এটি নতুন চুল গজাতেও অনেকটাই সহযোগিতা করে। নারী ও পুরুষ উভয়ই সবাই এই ক্রিমটা ব্যবহার করতে পারেন।
মহিলাদের চুল পড়া বন্ধ করার উপায়
আপনি কি আপনার মাথার চুল পড়া নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভুগছেন? তাহলে চিন্তার কোন কারণ নেই, মহিলাদের মাথার চুল পড়া বন্ধ ও ঘন করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য আপনাদের সামনে উপস্থাপন করা হলো। মেয়েদের প্রাকৃতিকভাবে চুল পড়া একটি স্বাভাবিক বিষয়। কিন্তু মাঝে মাঝে মেয়েদের মাথার চুল খুব বেশি ঝরে পড়ার আশঙ্কা দেখা দেয়।
মেয়েদের সৌন্দর্যের অন্যতম উপাদান চুল নিয়ে চিন্তিত থাকেন অনেক মেয়েই। তাই খুব বেশি চুল পড়ার কারণ, মহিলাদের মাথার চুল পড়া বন্ধ ঘন করার উপায় নিয়ে আজকের এই আলোচনা।
খুব বেশি চুল পড়ার কারণ
চুল পড়া একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া হলেও বিভিন্ন কারণে অনেক চুল পড়তে পারে। এবং চুল পড়ার বিশেষ কারণ গুলোর মধ্যে যে বিষয়গুলি রয়েছে- আপনার জিনগত সমস্যা, হরমোনের পরিবর্তন, কঠিন অসুখ, মাথার ত্ব ক অপরিষ্কার থাকা এবং চুলের যত্ন না নেওয়া। এমনকি শরীরে পুষ্টি উপাদানের ঘাটতিতেও বেশি চুল পড়তে পারে।
মাথার চুল পড়া বন্ধ ও ঘন করার উপায়
মহিলাদের মাথার চুল পড়া বন্ধ ও ঘন করার উপায় হিসেবে বেশ কয়েকটি ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করা যেতে পারে যেমন- আপনার চুলের সঠিক যত্নের জন্য নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করতে হবে। এতে করে চুল সুন্দর ও ঘন হতে শরীর থেকে পুষ্টি পাবে। এমন কি মাথার স্কাপ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা, চুলে নিয়মিত তেল ব্যবহার করা,
অতিরিক্ত শ্যাম্পু না করা ও চুল আছড়ানোর সময় সচেতন থাকার মাধ্যমেও চুল পড়া বন্ধ এবং চুল ঘন করা যায়। নিয়মিত নারিকেল তেল ব্যবহার করতে পারেন, মাথায় নিয়মিত নারিকেল তেল ব্যবহার করা চুলের সকল প্রকার সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে। সপ্তাহে কমপক্ষে তিন দিন বা পাঁচ দিন মাথায় নারিকেল তেল দিতে পারেন।
এবং কমপক্ষে দুই দিন চুলে শ্যাম্পু করতে হবে। আপনি যদি নিয়মিত চুল পরিষ্কার রাখতে পারেন এবং যত্ন নিতে পারেন, তাহলে মাথার চুল পড়া বন্ধ করা সম্ভব ও ধীরে ধীরে চুল ঘন হতে থাকে। কালোজিরার তেল এমন একটি উপাদান যা আপনার চুলকে সতেজ রাখতে অনেকটাই সহযোগিতা করবে এবং চুলের যাবতীয় সমস্যা দূর হবে।
কালোজিরার এই তেল শরীরে ব্যবহার করলেও ব্যথা ও চর্মরোগ থেকে অনেকটাই মুক্তি মিলে। তাছাড়া অলিভ অয়েল ও লেবুর রস চুলের জন্য অনেক উপকারী। অলিভ অয়েল তেলের সাথে লেবুর রস সংযুক্ত করে মাথার চুলে ব্যবহার করলে এর এন্টি অক্সিডেন্ট গুনে চুল পড়া রোধ করে ও চুল ঘনত্ব বাড়ায়।
প্রথমে অলিভ অয়েল ও লেবুর রস ভালোভাবে একসাথে মিশিয়ে নিতে হবে। এবং তা হালকা গরম করে মাথায় মেসাজ করতে হবে ৪৫ মিনিট থেকে ১ ঘন্টা রাখার পরে তা ধুয়ে ফেলতে হবে। এভাবে নিয়মিত ব্যবহারের ফলে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়।
চুল পড়া বন্ধ করার প্যাক কি
চুল পড়া বন্ধ করার একটি ঘরোয়া উপায় যা হলো- মেথি, মেহেদী পাতা ও সরিষার তেলের মিশ্রণ। কিছু পরিমাণ মেথি নিতে পারেন এবং ১৫ থেকে ২০ মেহেদী পাতা ও পরিমান মত মধু মিশিয়ে গরম করতে হবে। তারপর তেলটা থেকে নিয়ে মাথায় মাখতে হবে ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর নিতে হবে
মেয়েদের চুল পড়া বন্ধ করার উপায় কি
মাথার ত্বক পরিষ্কার রাখার পাশাপাশি নিয়মিত নারিকেল তেল ব্যবহার এবং পেঁয়াজের রস, কালোজিরার তেল, অলিভ অয়েল, নিম পাতা তেল, মধু, মেথি ইত্যাদি তুলে নিয়মিত ব্যবহার করলে মেয়েদের চুল পড়া বন্ধ করা সম্ভব।
মেয়েদের চুল পড়া বন্ধ করার উপায় ঔষধ
- অ্যালোভেরা জেল আপনি সপ্তাহে ৩ দিন অ্যালোভেরা জেল লাগান আপনার চুলে।এলোভেরার পাতা থেকে জেল সংগ্রহ করে লাগান চুলের আগা থেকে গোরা পর্যন্ত। ৩০ মিনিট অপেক্ষা করে চুলগুলো সুন্দরভাবে ধুয়ে ফেলুন ভেষজ শ্যাম্পু দিয়ে। চুল পড়া বন্ধ হওয়ার পাশাপাশি ঝলমলে হবে আপনার চুল।
- অলিভ অয়েল, জিরা ও মধু দুই থেকে চার কাপ অলিভ অয়েল এক চা চামচ জিরা ভিজিয়ে রাখুন ৪ ঘন্টা। এরপর মিশ্রণটি থেকে তেল আলাদা করে নিন। তেলে খানিকটা মধু মিশিয়ে চুলের গোড়ায় মেসাজ করুন। ২০ মিনিট পর শ্যাম্পু দিয়ে সুন্দরভাবে ধুয়ে ফেলুন।
- ডিমের কুসুমের সঙ্গে সামান্য অলিভ অয়েল ও লেবুর রস মিশিয়ে চুলে ৩০ মিনিট লাগিয়ে রেখে ধুয়ে ফেলুন শ্যাম্পু দিয়ে। এটি চুল পড়া তো বন্ধ করবে এবং দ্রুত বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে।
- চুল পড়া রোধ করে চুলের বৃদ্ধির জন্য মেথি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। এটি সহজেই পাওয়া যায়, এটি চুল পড়া বন্ধ এবং চুলের দ্রুত বৃদ্ধিতে সহায়তা করে থাকে।
- পিয়াজের রস চুলের গোড়ায় ১০ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। এরপর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
- নিম পাতার রস মাথায় ব্যবহার এর ফলে চুল পড়া বন্ধ করা সম্ভব।
চুল পড়া বন্ধ করার খাবার
চুলের স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে খুশকি অনেক বড় সমস্যা। বিশেষ করে টাক পড়া রোধে নানাবিধ ওষুধ ও চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে কোন কাজে আসে না। তবে আপনি জানেন কি? এমন কিছু খাবার আছে যেটা খেলে আপনার চুল পড়া বন্ধ হবে। তবে আসুন জেনে নেওয়া যাক এমন কিছু খাবার সম্পর্কে। যা খেলে আপনি চুল পড়া থেকে মুক্ত পাবেন।
গাজর
গাজর একটি সুস্বাদু সবজি যা খুব সহজেই পাওয়া যায়। গাজর দেহের রোগ প্রতিরোধ বৃদ্ধি করে এবং চুল ও ত্বকের যত্ন নিয়ে থাকে। গাজরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে বেটা ক্যারোটিন এবং ভিটামিন এ। যা আমাদের চুলের গোড়ায় প্রাকৃতিক তেল তৈরি করে। এমনকি চুলের গোড়া মজবুত করে ও চুল পড়া কমায়।
সবুজ শাকসবজি
বাঁধাকপি, পালং শাক ও ব্রকলি ভিটামিন, মিনারেল(খনিজ) এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এর সবচাইতে ভালো উৎস হয়ে থাকে। এমনকি এই খাবারগুলো প্রতিদিন খেতে পারলে এইসব খাবার চুলের গোড়া মজবুত করে, এছাড়াও চুল পড়া কমায়।
মাছ
সামুদ্রিক মাছ ও ওমেগাতে ২ ফ্যাটি এসিড রয়েছে এমন মাছ খেতে পারেন আপনি। কারণ এইসব মাছ আপনার চুল পড়া বন্ধের সহযোগিতা করবে। সপ্তাহে অন্তত দুই থেকে তিনদিন ওমেগা ২ ফ্যাটি এসিড সমৃদ্ধ মাছ খেলে চুল পড়া বন্ধ হবে।
চুল পড়া বন্ধ করার শ্যাম্পু
একটি প্রোডাক্ট ব্যবহার করার আগে এর উপাদান গুলোর ব্যাপারে স্বচ্ছ ধারণা জেনে নেওয়া ভালো। এতে করে আমরা আরো সচেতন হতে পারি যে, প্রডাক্টটিতে থাকা উপাদান গুলো আমরা ব্যবহার করে কি কি উপকারিতা পাব। তবে চলুন জেনে নেওয়া যাক, এই শ্যাম্পুতে কি কি উপাদান রয়েছে? এই শ্যাম্পুটিতে মূলত ৪ উপাদান আছে।
- কেরাটিন
- পিঁয়াজ রসুনের নির্যাস
- ডি-প্যানথেনল
- ভিটামিন ই
আমি সাধারণত একদিন পরপর অর্থাৎ সপ্তাহে ২ থেকে ৩ দিন শ্যাম্পু ব্যবহার করে থাকি। প্রথমে আমি চুলটা ভিজিয়ে নেই, তারপর শ্যাম্পুটা পরিমাণ মতো চুলের গোড়ায় আলতো ভাবে আঙ্গুল দিয়ে মেসাজ করে নিই। দুই থেকে তিন মিনিট মেসাজ করে নরমাল পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলি। এবং ধোয়ার পর কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে আমি কন্ডিশনার হিসেবে, (Mamaearth Onion Conditioner) টা ব্যবহার করে থাকি। যা আমার চুলকে করে আরো সব এবং হেলদি।
আমি নিচে এই শ্যাম্পু টা ব্যবহার করে অনেক উপকৃত হয়েছি. আমার চুলের ভালো অবস্থা দেখে অনেকেই আমার কাছে জানতে চেয়েছিল যে কিভাবে আমি চুলের যত্ন করেছি. তাছাড়া আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম আমার চুলে (Mamaearth Onion Shampoo) তা কত ভালো কাজ করে। আমি আশা করি, আপনারাও এই শ্যাম্পু ব্যবহার করে আমার মতই উপকার পাবেন।
শেষ কথা
প্রিয় পাঠক, এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনি নিশ্চয়ই এতক্ষণে জেনে গেছেন চুল পড়া বন্ধ হবে কিভাবে এবং চুল পড়া বন্ধ ও ঘন করার উপায় সম্পর্কে। শেষ কথা হিসেবে আপনাকে একটা কথাই বলতে চাই, সেটা হলো চুল সচরাচর সবারই পড়ে কিন্তু কারো কম আবার কারো বেশি তবে আপনার যদি অতিরিক্ত পরিমাণে চুল পড়ে তাহলে অবশ্যই আপনি চিকিৎসকের কাছে যোগাযোগ করবেন।
এবং তার কাছ থেকে পরামর্শ নিয়ে আপনার চুলের যত্ন নেওয়ার চেষ্টা করবেন আশা করি বিষয়টি আপনি খুব সুন্দর ভাবে বুঝতে পেরেছেন। আশা করি আপনি এই পোস্টটি পড়ে অনেক উপকৃত হয়েছেন, তাই এ পোস্টটি আপনার কাছে ভালো লেগে থাকলে আপনি অবশ্যই শেয়ার করবেন আপনার বন্ধুদের কাছে। বিভিন্ন ধরনের ব্লক পোস্ট নিয়মিত পেতে আমাদের সাথেই থাকুন। আসসালামু আলাইকুম।
সাগর ম্যাক্স এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url