সিগারেট খেলে কী কী ক্ষতি হয় - সিগারেটের ক্ষতিকর প্রভাব

জুমার দিনের ১১ টি আমলসিগারেট খেলে কী কী ক্ষতি হয়? সে সম্পর্কে আলোচনা করব। আপনাদের অনেকের মনে প্রশ্ন আসে সিগারেট খেলে কী কী ক্ষতি হয় এবং সিগারেটের ক্ষতিকর প্রভাব কি। আজকের এই আর্টিকেলটি পড়লে সিগারেট খেলে কী কী ক্ষতি হয় সে সম্পর্কে জানতে পারবেন।
সিগারেট-খেলে-কী-কী-ক্ষতি-হয়
এছাড়াও জানতে পারবেন সিগারেটের ক্ষতিকর প্রভাব কি। তাহলে চলুন শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ে সিগারেট খেলে কী কী ক্ষতি হয় এবং সিগারেটের ক্ষতিকর প্রভাব কি তা জেনে নিই। আপনি যদি সিগারেট খেলে কী কী ক্ষতি হয় সে সম্পর্কে জানতে চান, তাহলে আপনি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমাদের সাথে থাকুন।

পোস্ট সূচিপত্রঃ সিগারেট খেলে কী কী ক্ষতি হয়

ভূমিকা

বাংলাদেশে এখন সিগারেট খাওয়ার প্রচলনটা বেশ বেড়েই চলেছে। ছোট থেকে শুরু করে বৃদ্ধ পর্যন্ত প্রায় মানুষই সিগারেট খেয়ে থাকেন। দিন যত যাচ্ছে, সিগারেটের প্রতি মানুষ আসক্ত হচ্ছে ততোই। যারা সিগারেট খান তাদের মধ্যে অনেকে আছেন যারা জানেন না সিগারেট খেলে কি কি ক্ষতি হয় বা হতে পারে এবং সিগারেটের ক্ষতিকর প্রভাব কি। তাই যারা ধূমপান করে তাদের অবশ্যই জানা উচিত ধুম পান কি, মানুষ সিগারেট খায় কেন,
খালি পেটে সিগারেট খেলে কি হয়, সিগারেট খেলে কী কী ক্ষতি হয়, সিগারেটের ক্ষতিকর প্রভাব, টয়লেটে বসে সিগারেট খেলে কি হয় এবং সিগারেট খেলে কি কি রোগ হয়। তাই আপনি যদি এগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জানতে চান, তাহলে আমাদের এই পোস্টটি আপনাকে স্টেপ বাই স্টেপ পড়তে হবে। তাহলে চলুন দেরি না করে স্টেপ বাই স্টেপ শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

ধুম পান কি

যখন আপনি ধূমপান করেন, আপনি তখন এমন পদার্থ গ্রহণ করেন যার ফলে আপনার ফুসফুসের অনেক ক্ষতি হয়ে থাকে। এবং এটি সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ফুসফুসের বিভিন্ন সমস্যার দিকে প্রচারিত করে ও ফুসফুসের ক্যান্সারের কারণ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এছাড়াও যখন আমরা স্বাভাবিক শ্বাস নি তখন স্বাস্থ হলে অক্সিজেন ছাড়া ধুলাবালি ও কার্বন-ডাই-অক্সাইড রক্তে মিশাতে দেয় না কোন ভাবে।

কিন্তু আবার ধূমপানের ফলে এই থলি বাজেভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় কিংবা একেবারেই অকেজো হয়ে পড়ে। যার মাধ্যমে শ্বাস নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ক্ষতিকারক উপাদান রক্তে চলে যায়। তার ফলে পুরো শরীরে অক্সিজেনের সরবরাহ কমে যায় ও মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়। এছাড়াও ধুমপান কি বলার আগে প্রথমে আমাদেরকে একটা কথা মাথায় রাখতে হবে সেটা হল তামাক কি? তামাক হচ্ছে এক ধরনের গাছের পাতা। 

সেজন্যই মূলত ওই গাছ খেয়ে তামার গাছ বলা হয়ে থাকে। প্রথমেই তামাক চাষ করা হয় এবং এর পাতা থেকে তৈরি হয় ধূমপান। তামাক পাতা শুকিয়ে প্রক্রিয়াজাত করার পর এটি কাগজের কলঙ্গীতে ঢুকানো হয়ে থাকে। এরপর সেবন করা হয়, এটাকে আমরা মূলত ধূমপান বলি। এই প্রচলনটি সর্বপ্রথম শুরু করেন ভার্জিনিয়ার বাসিন্দা টমাস হ্যারিয়েট ১৫৮৮ সালে। এবং তামাক গাছ পাওয়া যায় ৫০০০ খ্রিস্টাব্দে। মূলত মানুষ অনেক আগে থেকেই তামাক সেবন করতো কিন্তু তা ধূমপান হিসেবে নয়। নিচে ধূমপানের তিনটি বৈশিষ্ট্য দেওয়া হল।

ধুমপান হল

তামাক জাতীয় দ্রব্যাদী বিশেষ উপায়ে প্রক্রিয়াজাত করে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে শ্বাসের সাথে তার ধোয়া শরীরের গ্রহণ প্রক্রিয়াকে বলা হয়ে থাকে।

নিষ্ক্রিয় ধূমপান হল

ধূমপান করার সময় ধোয়ার যে অংশগুলো চারপাশের পরিবেশের সাথে ছড়িয়ে পড়ে এবং অনৈচ্ছিকভাবে মানুষের শরীরে নিঃশ্বাসের সঙ্গে প্রবেশ করাকেই বোঝানো হয়ে থাকে।

সক্রিয় ধূমপান হল

ধূমপায়ী যে অবস্থায় চলন্ত সিগারেট বা বিড়ি তামাক থেকে উদ্ভূত ধোঁয়াকে ইচ্ছাকৃতভাবে মুখে টেনে সেটি সরাসরি ফুসফুসে প্রবেশ করাকেই বোঝানো হয়ে থাকে।

মানুষ সিগারেট খায় কেন

যেই মানুষগুলো মূলত, সিগারেট খায় তাদেরকে প্রায় কিছু কমন প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয় যেমন ধরেন- সিগারেট খেলে কি হয়? সিগারেট খান কেন? সিগারেট না খেলে কি হয় না ইত্যাদি। এরকম বিভিন্ন রকমের প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয় এবং এ সকল প্রশ্নের উত্তর দেওয়া কঠিন হয়ে যায়।

আমার বন্ধুরা অনেক সময় আমাকে বলে তুই সিগারেট খাস কেন? আমি তখন তাদেরকে এককথায় উত্তর দিই ভালো লাগে তাই খায়। আসলে সত্য কথা বলতে ধুমপান কোনভাবেই গর্ভের কোন বিষয় নয়। কিছু কিছু বাজে অভ্যাসের মতো এটাও একটি বাজে অভ্যাস বলা যায়। আর যদি ভাই আপনি সিগারেট একবার খাওয়া শুরু করেন তবে এই সিগারেট ছাড়তে আপনি সহজে পারবেন না।

যেমন আমার জীবনের কথায় আপনাদেরকে বলি, আমি প্রথম সিগারেট খেয়েছিলাম এক্সপেরিমেন্ট করার জন্য এবং শুধু জানতে চেয়েছিলাম সিগারেট খেলে কি হয়। কিন্তু ভাই আপনাদেরকে কি বলব আমি কয়েকদিনের মধ্যে সেটা অভ্যাস করে ফেলেছিলাম। এখন পর্যন্ত আমি চেষ্টা করে যাচ্ছি তারপরও ছাড়তে পারছি না।

তাই আপনাদেরকে মানুষ সিগারেট খায় কেন তার ১০টি কারণ সম্পর্কে জানানোর চেষ্টা করব।

  1. নিষিদ্ধ বস্তুর প্রতি সবার একটা অন্যরকম দাম থাকে, এ কারণেই মূলত অনেক মানুষ সিগারেট খাওয়া শুরু করে।
  2. অনেক মানুষ আছে যারা দুশ্চিন্তা দূর করার জন্য সিগারেট খায়।
  3. স্কুল-কলেজের ফ্রেন্ড সার্কেলের পাল্লায় পড়েও ছাত্ররা ধূমপানে আসক্ত হয়ে যায়।
  4. আপনার আশেপাশে যদি অনেক ধূমপায়ী থাকে কিংবা আপনাকে যদি কিছু ধূমপায়ী দের মাঝে থেকে কাজ করতে হয় তাহলে সিগারেটের প্রতি আসক্তি চলে আসবে। তখন একটা সময় মানুষ সিগারেট খেয়ে থাকে।
  5. অনেক সময় দেখা যায় ফ্যামিলিগত কারণেও মানুষ সিগারেট খায়, যেমন বাবা যদি সিগারেট খায় তাহলে তার ছেলে সিগারেট খাবে এটাই স্বাভাবিক।
  6. আমাদের মধ্যে অনেকে আছেন যারা আনন্দের মুহূর্তেও অনেক সিগারেট খেয়ে থাকে।
  7. অনেক প্রেমিক আছে, যারা গার্লফ্রেন্ডের কাছে ছ্যাকা খেয়েও সিগারেট খায়।
  8. কিছু মানুষকে অনেক সময় দেখা যায় ঠান্ডা মাথায় কোন কিছু চিন্তা করার জন্য সিগারেট খায়।
  9. বিভিন্ন ধরনের ফ্রেন্ড সার্কেলের ওপর অনেক প্রভাব বিস্তার করে থাকে এই সিগারেট। কেননা আপনার যদি বন্ধুর সিগারেট খায় সে ক্ষেত্রে আপনি একদিন সিগারেট খাবেন এটাই স্বাভাবিক।
  10. অনেক সময় দেখা যায় শোঅফ করার জন্য কিছু মানুষ সিগারেট খেয়ে থাকে।
আসলে সিগারেট খাওয়ার আরও বিভিন্ন কারণ রয়েছে। কিন্তু আপনাকে একটা কথা মাথায় রাখতে হবে, ধূমপান কখনোই আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো না। তাই আপনি যদি ধূমপান বা সিগারেট খান তাহলে যত দ্রুত সম্ভব এটি ত্যাগ করার চেষ্টা করুন। না হলে আপনার জীবনে একটা সময় অকাল মৃত্যুর আশঙ্কা দেখা দিতে পারে। সুস্থ থাকুন ভালো থাকুন এবং আপনার পরিবারকে ভালো রাখার চেষ্টা করুন।

খালি পেটে সিগারেট খেলে কি হয়

খালি পেটে সিগারেট খেলে কি হয়? এই প্রশ্নের উত্তরটি বলার আগে আপনাকে আমরা একটা কথাই বলবো সিগারেট আপনি খালি পেটে খান বা ভরা পেটে খাননা আপনার শরীরে ক্ষতিকর প্রভাব পড়বেই। কেননা অন্যান্য নেশার মতো ঘুম পারো এক ধরনের নেশা এটা পৃথিবীতে সর্বাধিক প্রচলিত একটি মারাত্মক নেশা হিসেবে পরিচিত। তাই আপনার পেট খালি থাকুক আর ভরা সিগারেটের নেশাটি মারাত্মক। কিন্তু আপনি যদি খালি পেটে সিগারেট খান তাহলে আপনার ক্ষতির পরিমাণটা একটু বেশিই হবে।

খালি পেটে সিগারেট খেলে কি ক্ষতি হয়
  • শরীরে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দেখা দেয়।
  • শরীরে হাঁপানি হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেয়।
  • শ্বাসকষ্টের সমস্যা হয়।
  • আলসার হয়।
  • স্মরণ শক্তি কমে যায়। 
  • দাঁতের সৌন্দর্য নষ্ট হয়।
  • হৃদরোগ সৃষ্টি হয়।
  • যক্ষা হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
  • আয়ু কমে যায়।
  • মস্তিষ্কে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়।
  • দৃষ্টিশক্তি কমে যায়।
  • ফুসফুসে ক্যান্সার হয়।
  • যৌন ক্ষমতা কমে যায়।
  • মরণব্যাধি ক্যান্সার সৃষ্টি হয়।
  • মুখে প্রচন্ড পরিমাণে দুর্গন্ধ হয়, ইত্যাদি

সিগারেট খেলে কী কী ক্ষতি হয়

আমরা সকলেই জানি ধূমপান মানে বিষ পান। কিন্তু কথাটিকে সঠিকভাবে উপলব্ধি করে, ধূমপান ধূমপান করা ছাড়তে দেখা যায় অল্প কিছু মানুষকেই। আসলে ধূমপানের ক্ষতি শুধু দেহের উপরে না, এর প্রভাব গিয়ে পড়ে সমাজ ও পরিবারেও। সিগারেট খেলে কি কি ক্ষতি হয়? এ সম্পর্কে আমাদের সকলেরই জানা উচিত। তাই আমরা পোস্টটির এ অংশে জানবো সিগারেট খেলে কি কি ক্ষতি হয়।

সিগারেট এবং ক্যান্সার বর্তমান সময়ে যেন এক প্রকার সমার্থক শব্দ হয়ে উঠেছে। কেনই বা হবে না মানবদেহে যত ধরনের ক্যান্সারের সৃষ্টি হয়ে থাকে। তার কারণ বা অনুসন্ধান করতে গেলে দেখা যায় এর জন্য সিগারেটই  সব থেকে দায়ী। তাহলে চলুন জেনে নিই সিগারেট খেলে কি কি ক্ষতি হয় সেগুলো হলঃ
  • ফুসফুসের ক্যান্সার
  • লিভারের ক্ষতি
  • প্যানক্রিয়াসের ক্যান্সার
  • ল্যারিংস এবং মুখগহ্বরের ক্যান্সার
  • মূত্রনালীর সমস্যা
  • পাকস্থলীর সমস্যা
  • খাদ্যনালির ক্যান্সার
  • হার্টের সমস্যা
  • গলার ক্যান্সার
  • যকৃকিতের সমস্যা
  • ক্ষুদ্রান্তের ক্যান্সার
  • অগ্নাশয়ের সমস্যা
  • মস্তিষ্কে ক্ষতি
  • জরায়ুর ক্ষতি
  • স্মরণ শক্তির সমস্যা
  • স্বরযন্ত্রের ক্ষতি, ইত্যাদি।
উপরোক্ত থেকে দেখা যায় আমাদের শরীরের সকল স্থানে সিগারেট খাওয়ার মাধ্যমে ক্ষতি হতে পারে। বিশেষত ফুসফুসের ক্যান্সারের ক্ষেত্রে ধূমপানের প্রভাবটা সবচাইতে বেশি মারাত্মক হিসেবে বিবেচিত করা হয়ে থাকে। তাছাড়াও সিগারেট খাওয়ার মাধ্যমে আপনার অন্যান্য অনেক রোগের ঝুঁকির আশঙ্কা থাকে শরীরে। তাই আশা করি যত দ্রুত সম্ভব আপনি সিগারেট খাওয়া আজ থেকে ছেড়ে দিন।

সিগারেটের ক্ষতিকর প্রভাব

আসলে সিগারেট একটি ব্যাধি। শুধু তাই নয় এটি সামাজিক ও শারীরিক ব্যাধি। কেননা সিগারেট অনেক সামাজিক বিপর্যয় নিয়ে আসে। আমরা যদি চারপাশে তাকাই তবে দেখতে পাব অসংখ্য মানুষ জ্বলন্ত সিগারেট হাতে নিয়ে ঘুরছে। মূলত এটি একটি ভয়াবহ দিক বলা যেতে পারে। কিন্তু যারা এরকম করছে, তাদের কাছে মূলত এটি একটি ছোট্ট বিষয় মনে হয়। এবং তারা এটিকে অতি সাধারণ ভাবে মনে করেন, এছাড়া মনে করেন এটি কোন ব্যাপারই নয়।

কিন্তু তারা জানে না এটি আসলেই খুব জঘন্যতম একটি বিষয়। কারণ এর প্রভাব হয় অতি মারাত্মক। বাংলায় একটি প্রবাদ আছে, " জ্বলন্ত সিগারেটের জলে এ জীবন, বুঝতে পারে না তবু প্রতারিত মন, ধূমপানে পরিশেষে ঘনায় মরণ, তবু কেন ধূমপান চলে সারাজীবন"। আপনাদেরকে এখন আমরা বলব ধূমপানের প্রভাব কিভাবে বিস্তার হয়। আপনি হয়তোবা জানবেন ধূমপানে তো অনেক ধোঁয়া বের হয়।

আমাদের চলাফেরার সময় এই যে ধোয়া বের হয়, এটি কিন্তু অনেক মানুষ একেবারেই সইতে পারে না। আসলে ধূমপানের ধোয়াই অনেক কাশি শুরু হয়ে যায়। কারণ এই ধোঁয়ায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে বিষাক্ত পদার্থ। আবার এর মধ্যে একটি হল নিকোটিন। তাছাড়া অসভ্য বিষাক্ত পদার্থ থাকায় অনেক মানুষ কিন্তু এই ধোয়াই বিরক্ত হয়ে থাকে। কিন্তু যারা সিগারেট খান বা ধূমপান করেন তারা কখনোই এই বিষয়টিকে গুরুত্ব দেয় না।

যারা ধূমপান করে না তারা মনে করেন আমি তো খুবই ভালোই আছি। কিন্তু তারা জানে না ধুমপায়ীর আশেপাশে থাকার কারণেও তাদের অনেক ক্ষতি হয়। কেননা পরোক্ষ ধূমপানের কারণে সমস্যা হয়। যারা মূলত ধূমপান করেন তাদের তো অনেক ক্ষতি হয়। কিন্তু যারা ধূমপান করে না, তারাও এই পরিবেশের কারণে এবং ধোয়ার কারণে পরোক্ষভাবে আক্রান্ত হচ্ছে। আসলে এটি তো শুধু পথে ঘাটের ব্যাপার।

কিন্তু যারা বাড়িতে ধূমপান করে, এবং যাদের ছোট শিশু তারাও কিন্তু ভীষণভাবে আক্রান্ত হয়ে যায়। তাই যারা বাড়িতে ধূমপান করছে তাদের কারণে কিন্তু ঘরের ছোট শিশুটি নিউমোনিয়া এবং ব্রঙ্কাইটিসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এমনকি মারাও যেতে পারে। এ বিষয়টি অনেক মানুষের জানা নেই। আমাদের মধ্যে অনেক মানুষই আছে যারা বোঝেনা ধূমপান করাকে অনেকে ঐতিহ্য মনে করে। অনেকে আবার অন্যকে প্ররোচিতও করে ধূমপান বা সিগারেট খাওয়ার জন্য। তাই আমাদের এই মানসিকতার পরিবর্তন আনা দরকার।

টয়লেটে বসে সিগারেট খেলে কি হয়

আমাদের মধ্যে অনেকে আছেন যারা টয়লেটে বসে সিগারেট খেতে খুব পছন্দ করেন। তাই আপনারা যারা টয়লেটে বসে সিগারেট খান তাদেরকে অবশ্যই আমরা বলব টয়লেট এলাকাসহ যেকোনো বন্ধ স্থানে পান করা থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করুন। কারণ ধূমপান বিষাক্ত ধোঁয়া এবং রাসায়নিক পদার্থ তৈরি করে থাকে। যেমন বিভিন্ন কার্সিনোজেন এবং মনোক্সাইড। যার মাধ্যমে মূলত আপনার শ্বাসযন্ত্রকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করতে পারে।

এছাড়াও ফুসফুসের ক্যান্সার, হৃদরোগ ও অন্যান্য গুরুতর স্বাস্থ্য অবস্থার ঝুঁকি বাড়িয়ে থাকে। আমরা জানি সিগারেট এমনিতেই অনেক ক্ষতিকর। সেক্ষেত্রে আপনি যদি একটা বন্ধু জায়গায় সিগারেট খান তাহলে সিগারেটের বিষাক্ত ধোঁয়া বন্দি হয়ে আপনার আশেপাশে থাকে। এতে করে আপনার ক্ষতির ঝুঁকি বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিতে পারে।

সুতরাং উপরন্ত দাহ্য পদার্থের উপস্থিতি ও দুর্ঘটনা জনিত আগুনের সম্ভাবনার কারণে টয়লেটে সিগারেট খাওয়া অত্যন্ত বিপদজনক হতে পারে। দাহ্য পদার্থের কাছাকাছি সিগারেট খাওয়া যেমন, পরিষ্কারের পণ্য বা টয়লেট পেপার। আগুন জ্বালানোর ঝুঁকিতে ব্যাপকভাবে বাড়িয়ে তুলতে পারে। যার ফলে দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে।

এছাড়াও আপনার স্বাস্থ্য এবং নিরাপত্তার পাশাপাশি আপনার চারপাশের লোকদের মঙ্গলকে অগ্রাধিকার দেওয়া অপরিহার্য। তাই সবসময় আপনি মনে রাখবেন, সিগারেট খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ব্যাপকভাবে ক্ষতিকর। তাই আপনি যদি ধূমপান ছেড়ে দিতে পারেন, তবে আপনার স্বাস্থ্য অনেক ভালো থাকবে।

সিগারেট খেলে কি কি রোগ হয়

সিগারেট ও তামাকজাত দ্রব্যের সেবন আমাদের শরীরের বিভিন্ন ধরনের রোগ বয়ে আনতে পারে। তারপরেও বিশ্বব্যাপী কমছে না সিগারেট খাওয়া। কিন্তু যারা নিয়মিত সিগারেট খান, তাদের নিজেদের অজান্তেই যে মারাত্মক রোগ হচ্ছে তারা কি জানেন?। তাই আমরা এখন জানাবো সিগারেট খেলে কি কি রোগ হয় সেগুলো সম্পর্কে আলোচনা করব।

শ্বাসতন্ত্রের রূপ

ফুসফুস তো বটেই, পুরো শ্বাসতন্ত্রই ধূমপানের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।এতে করেই দেখা দেয় শ্বাসকষ্টের, বুকে ব্যথা এবং সর্দি কাশির মতো দৈনন্দিন রোগ।নিয়মিত সিগারেট খাওয়ার কারণে হতে পারে এমফিসেমা, মূলত যে রোগের কারণে আপনার ফুসফুসের কার্যক্ষমতা অধিকাংশভাবে নষ্ট হয়ে যায়।

ক্যান্সার

সিগারেটের নিকোটিন ছাড়াও বিভিন্ন প্রকার বিষাক্ত উপাদান রয়েছে। তার ফলে আপনার ফুসফুস তো বটেই, খাদ্যনালী, শ্বাসনালী, কিডনি, কলন, লিভার, মত্রনালী এবং প্যানক্রিয়াসও ক্যান্সারে আক্রান্ত হতে পারে। এখান থেকে বোঝা যায়, নিয়মিত সিগারেট খাওয়ার মাধ্যমে আক্রান্ত হতে পারে আমাদের গোটা শরীর।

উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগ

সিগারেট বা ধূমপানের সঙ্গে সরাসরি সংযোগ রয়েছে হৃদরোগের।কেননা সিগারেট খাওয়ার আমাদের শরীরে রক্তের ধমনীতে প্লেক নামক এক ধরনের চর্বি জাতীয় পর্দা জমার প্রবণতা দেখা যায়। মূলত এ রোগের নাম হল "অ্যাথেরোসক্লেরোসিস"। তাছাড়াও সিগারেটের কারণেও বেড়ে যেতে পারে করোনারি হার্ট ডিজেজের আশঙ্কাও। এই রোগে রক্ত জমাট বেঁধে ধমনীর দেওয়ালে লেগে থাকে। সেজন্যই আপনার ভরতে পারে প্রাণহাতি হার্ট অ্যাটাক।

শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়

যারা অনেক সময় ধরে সিগারেটে আসক্ত, তাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আস্তে আস্তে হ্রাস পায়। সেজন্যই তারা শ্বাসতন্ত্রের ইনফেকশন, টনসিল এবং সাইনানাইটিসের সমস্যায় বেশি ভোগে থাকেন।এছাড়াও বিভিন্ন সময় দেখা যায়, জ্বর হলে দূরত্ব সারতে চাই না, এবং ঘা হলে শুকাতে অনেক দেরি হয়। তাই এই সব ছোট ছোট সমস্যায় যদি অসাবধানতা থাকেন একটা সময় এই সমস্যা গুলোই মারাত্মক আকার ধারণ করবে বা হয়ে যেতে পারে বড় কোন রোগও।

নারীর স্বাস্থ্যের ঝুঁকি

অনেক নারীরা আছেন যারা সিগারেট খান। কিন্তু জানেন না সিগারেট খেলে আপনাদের কি রোগ হতে পারে। মূলত নারীরা ধূমপান করলে আক্রান্ত হতে পারেন স্তন ও গর্ভাশয়ের ক্যান্সারে। তাছাড়াও সিগারেটে থাকা নিকোটিন ও কার্বন মনোক্সাইড এর কারণে বেড়ে যেতে পারে আপনার মুখের লোম। এছাড়াও আপনি যদি গর্ভ থাকাকালীন সিগারেট খান, তবে আপনার গর্ভপাত সহ সন্তানের বিকালঙ্গ হওয়ার আশঙ্কা বহুগুণে বাড়ে।

হাড়ের ক্ষয় হওয়ার সম্ভাবনা থাকে

কিছু গবেষণা থেকে জানা গেছে সিগারেট খাওয়ার সাথে সাথে হাড়ের ক্ষয়ও বৃদ্ধি পায়। তাছাড়াও বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে তাদের বাতের ব্যথায় ভোগার প্রবণতাও বেড়ে যায়।

শেষ কথা

প্রিয় পাঠকগণ, আজকের এই আর্টিকেলে ধুম পান কি, মানুষ সিগারেট খায় কেন, খালি পেটে সিগারেট খেলে কি হয়, সিগারেট খেলে কী কী ক্ষতি হয়, সিগারেটের ক্ষতিকর প্রভাব, টয়লেটে বসে সিগারেট খেলে কি হয় এবং সিগারেট খেলে কি কি রোগ হয়? এই বিষয়গুলো বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। যেহেতু আমাদের মধ্যে অনেকে আছেন যারা সিগারেট খেয়ে থাকেন, সেহেতু অবশ্যই আমাদেরকে উক্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে জেনে রাখা উচিত।
এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আশা করি এই পোস্টটি আপনার অনেক উপকারে আসবে। এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ এবং তথ্যমূলক আঁটিকেল পেতে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করুন। কারন আমরা নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইটে এই ধরনের আর্টিকেল পাবলিশ করে থাকি। দোয়া করি আপনি ভালো থাকবেন, আসসালামু আলাইকুম।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সাগর ম্যাক্স এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url