বিয়ের জন্য নিজেকে কিভাবে প্রস্তুত করব বিস্তারিত জানুন
আমাদের সকলকেই বিয়ে একদিন না একদিন করতে হবে। তাই বিয়ের জন্য নিজেকে কিভাবে প্রস্তুত করব সেটা সম্পর্কে জানা আমাদের জরুরী। তাই আপনি যদি না জানেন বিয়ের জন্য নিজেকে কিভাবে প্রস্তুত করব। তাহলে আমাদের এই পোস্টটির মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন বিয়ের জন্য নিজেকে কিভাবে প্রস্তুত করব তা সম্পর্কে।
আপনি যদি আমাদের এই পোস্টটি সম্পন্ন মনোযোগ সহকারে পড়েন। তাহলে আপনি বিয়ে সম্পর্কে যত প্রশ্ন আছে সব উত্তর হল পেয়ে যাবেন। আপনাদের মধ্যে যারা এখন পর্যন্ত বিবাহ করেননি, তাদের জন্য এই পোস্টটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। তবে চলুন বিয়ের জন্য নিজেকে কিভাবে প্রস্তুত করব সে সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে আমরা জেনে আসার চেষ্টা করি।
পোস্ট সূচিপত্রঃ
ভূমিকা
আমাদের মধ্যে যারা এখন পর্যন্ত বিয়ে করেননি, তারা মূলত বিয়ের কোন সাধও পায়নি। বিয়ে আমাদের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কারণ বিয়ে করার মাধ্যমে আমাদের একটি দায়িত্ব গ্রহণ করতে হয় এবং সংসারের মাধ্যমে জীবনটা পরিচালনা করতে হয়। এবং বিবাহর মাধ্যম দিয়ে আপনার নতুন জীবন শুরু হবে। তাই আমাদের সকলের অবশ্যই জানা দরকার বিয়ের জন্য নিজেকে কিভাবে প্রস্তুত করব।
আরো পড়ুনঃ বাংলা লেখা লেখি করে আয়
আমাদের পোষ্টির মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন বিয়ের প্রস্তুতি কি, বিয়ের জন্য নিজেকে কিভাবে প্রস্তুত করব, বিয়ের আগে কোন ফেসিয়াল করা উচিত, বিয়ের আগে কতবার ফেসিয়াল করা উচিত এবং বিয়ের আগে কি কি খাওয়া উচিত। তাহলে চলুন এগুলো বিষয় সম্পর্কে আপন তথ্যগুলো জেনে আসি। আশা করি এই পোস্টটি আপনার অনেক উপকারে আসবে। আপনি যদি অবিবাহিত হয়ে থাকেন তাহলে পোস্টটি আপনার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ হবে।
বিয়ের প্রস্তুতি কি
আমরা এখন আর্টিকেলের এই অংশে জানতে চলেছি বিয়ের প্রস্তুতি কি সে সম্পর্কে। বিয়েতে অবশ্যই নিজেকে প্রস্তুতি করা প্রয়োজন কিভাবে আপনি প্রস্তুতি নিবেন সে বিষয়গুলো আমরা নিচে সুন্দরভাবে আলোচনা করার চেষ্টা করেছি।
আপনাকে অবশ্যই বিয়ের আগে মানসিক প্রস্তুতি নিতে হবে
কেননা এটি আপনার জীবনের নতুন একটি অধ্যায়। এছাড়াও আপনার নিজের এবং আপনার সঙ্গিনীর জীবনের অনেক কিছুই বিয়ের পর পাল্টে যাবে এটাই স্বাভাবিক। সেজন্য অবশ্যই ভবিষ্যতের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করে তোল।
সেক্ষেত্রে আপনার আশেপাশের সকল বিবাহিত জুটির দিকে খেয়াল রাখুন। তাদের কার্যকলাপ গুলো দেখতে পারেন, বা বোঝার চেষ্টা করুন। যেমন ধরেন তাদের কোন কোন পদক্ষেপগুলো সঠিক আর কোন কোন পদক্ষেপগুলো ভুল তা বোঝার চেষ্টা করুন। এবং সেখান থেকে আপনি শিক্ষা নিয়ে নিজের পরিকল্পনা তৈরি করুন।
বিয়ের আগে নিয়মিত শারীরিক প্রস্তুতি নিন
আপনি ছেলে হন বা মেয়ে হন আপনাকে বিয়ের আগে শারীরিক প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে। যদি আপনি পারেন তাহলে বিয়ের অন্তত চার থেকে পাঁচ মাস আগে থেকে প্রেম করে শরীরের গঠনকে সুন্দর করে তুলতে পারেন। হয়তোবা আপনি এখন মনে করছেন, আসলে কি শরীরের চর্চা আমরা জেনে গিয়ে করব? বিষয়টি সেটা না।
আমাদের অনেক ধরনের ব্যায়াম আছে যেগুলি আমরা বাসাতেই অনেক সহজে করতে পারি। আপনার শরীরে যদি বাড়তি মেদে চর্বি থাকে তাহলে সেগুলোকে ঝেড়ে ফেলতে হবে, কেননা বিয়ের সময় পাত্র-পাত্রী দিকে সবাই মনোযোগ সহকারে তাকিয়ে থাকে। অনেকেই দেখে আসলে পাত্র-পাত্রী মানানসই হয়েছে কিনা সেদিকে। আপনি অবশ্যই আপনার শরীরের দিকে খেয়াল রাখবেন যেন শরীরে চর্মরোগ বা অন্য যে কোন ধরনের রোগ থেকে থাকে।
তাহলে সেগুলোর চিকিৎসা করতে হবে। এবং আপনাকে নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমাতে হবে কারণ স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য এটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ। একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের জন্য দৈনিক ৮ ঘন্টা ঘুম প্রয়োজন হয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে আপনি বিয়ের আগের কয়েক সপ্তাহ পর্যন্ত পরিমানে ঘুমাতে পারেন, বা আপনি এর থেকে আধাঘন্টা থেকে এক ঘন্টা বেশি ঘুমাতে পারেন।
আপনাকে অবশ্যই হাতে পর্যাপ্ত পরিমাণে টাকা রাখতে হবে
কারণ বিয়ে মানে হচ্ছে অনেক ধরনের খরচ। সেজন্য অবশ্যই আপনাকে বিয়ের আগে হাতে বাড়তি কিছু টাকা রাখতে হবে।কেননা বিয়ের সময় বিভিন্ন প্রয়োজনীয় বিষয়ের ওপর প্রচুর পরিমাণে টাকা খরচ হয়, তাই আপনি কখনোই বিয়ের আগে অপ্রয়োজনীয় টাকা খরচ করবেন না। অবশ্যই বিয়ের আগে আপনাকে বুঝে শুনে খরচ করতে হবে।
এবং আপনাকে আগে থেকেই একটি লিস্ট তৈরি করতে হবে অনুমান করে, যে কোন কোন হাতে কত টাকা খরচ হতে পারে সেগুলো। আপনি ছেলে হন বা মেয়ে হন, যাই হন না কেন আপনাকে অবশ্যই টাকা রাখতে হবে সেক্ষেত্রে ছেলেদের কিছু খরচ বেশি হয়ে থাকে তাই আমরা বলব ছেলেদের কাছে একটু বেশি টাকা থাকলে ভালো হয়।
বিয়ের আগে যদি পারেন তাহলে আপনার হবু বউয়ের সাথে কথা বলার চেষ্টা করুন
কারণ আমাদের কাছে মনে হয় বিয়ের প্রস্তুতি গ্রহণের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো এটি। সে ক্ষেত্রে আপনার যখন বিয়ে পাকাপোক্ত কথাবাত্রা বলার আগেই হবু বউ বা স্বামীর সাথে অন্তত একবার ব্যক্তিগতভাবে কথা বললে ভালো হয়। সেক্ষেত্রে তার মানসিকতা বুঝতে চেষ্টা করতে পারেন আপনি।
এবং আপনি তার কাছে কিছু জানতে চাইলে এবং নিজের সম্পর্কে কিছু চাইলে তাকে জানাতে পারেন। কেননা বিয়ের পূর্বে অনেকের মাঝে দেখা যায় ব্যক্তিগত অতীত নিয়ে ঝামেলা হতে।সেজন্য যেন ভবিষ্যতে কোন ধরনের ঝামেলা সৃষ্টি না হয় তার আগে আপনি তার সাথে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করতে পারেন। এবং তার এই বিয়েতে সম্মতি আছে কিনা সেটাও আপনি জানতে পারেন।
অতীতকে মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলে দিয়ে মেনে নিতে শিখুন
এখানে আপনাকে আমরা বোঝানোর চেষ্টা করছি। আসলে যুবক বয়সে প্রেম ভালোবাসা সবার মধ্যে থাকে। সেজন্য হয়তোবা আপনি যদি ছেলে হন তাহলে কোন মেয়ের সাথে আপনার সম্পর্ক থাকতে পারে এবং আপনি যদি মেয়ে হন তাহলে আপনার কোন ছেলের সাথে সম্পর্ক হতে পারে। সে ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে এগুলো বিষয়ে বিয়ের আগেই মাথা থেকে ঝেরে ফেলে দিতে হবে।
এবং আপনাকে নতুনভাবে আপনার জীবন শুরু করার চেষ্টা করতে হবে। এবং মেনে নিতে হবে যে সৃষ্টিকর্তা আমার ভালোর জন্য এগুলো করছে। তাই কখনোই ওদেরকে মনে করে বিয়ের আগে কখনোই দুঃখ বা দুর্দশায় থাকবেন না। চেষ্টা করুন নিজের জীবনটাকে আনন্দময় করে তুলতে। এবং নতুন জীবন নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে। আশা করি আপনি বিষয়গুলো সুন্দরভাবে বুঝতে পেরেছেন।
বিয়ের জন্য নিজেকে কিভাবে প্রস্তুত করব
আমরা এখন আর্টিকেলের এই অংশে জানতে চলেছি বিয়ের জন্য নিজেকে কিভাবে প্রস্তুত করব সে বিষয়ে। আমাদের সবার জীবনে বিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সেজন্য আমাদেরকে অবশ্যই বিয়ের আগে সুন্দর হবে প্রস্তুত করে নেওয়া উচিত। যেন আমরা কোন প্রকার সমস্যায় না পড়ে বিয়ের পরে। যেমন বলতে গেলে,
আপনার শারীরিক দিক থেকে শুরু করে অর্থ থেকে শুরু করে এবং আপনার যদি অতীতের কোন রিলেশন থেকে থাকে। তাহলে সেগুলোর সবকিছু বাদ দিয়ে নতুন জীবন শুরু করাটাই হচ্ছে মূল লক্ষ্য বা বিয়ের প্রস্তুতি। আপনি দেখবেন আমাদের আশেপাশে অনেক সময় দেখা যায়, বিয়ের কিছুদিন আগে ছেলে বা মেয়ে অন্য কারো সাথে পালিয়ে যায়।
কিন্তু এটা একেবারে ঠিক নয়, কেননা আপনার বিয়ে সম্পর্কে যাপন কথা হবে আপনার বাসায় তখন আপনার পছন্দের মানুষের কথা বাসার সবাইকে বলে দিতে হবে। কেননা আপনার যখন বিয়ের সবকিছু প্রোগ্রাম শুরু হয়ে যাবে বা সবকিছু আয়োজন করা হয়ে যাবে। তখন যদি আপনি বাসা থেকে পালিয়ে যান সে ক্ষেত্রে আপনার বাবা মা অনেক কষ্ট পাবে।
সে জন্য আমাদের সকলের উচিত বিয়ের আগে অবশ্যই আমাদের কোন ধরনের কাউকে যদি পছন্দ হয়ে থাকে তাহলে বাসায় জানানো। তখন আপনার সাথে ওর যদি বিবাহ নাও দেও বাঁচা থেকে সেক্ষেত্রে আপনি অতটা দায়ী হয়ে থাকবেন না। সে ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনি আপনার পছন্দের কেউ থেকে থাকলে বাসায় জানানোর চেষ্টা করবেন।
অনেকের ক্ষেত্রেই দেখা যায় বিয়ের সময় অর্থ না থাকার কারণে অনেকের কাছে ধার দেনা করে বিয়েটা পার করে। এটা আসলে একেবারে ঠিক নয় কারণ যখন আপনি বিয়ে করবেন তখন আপনার কাছে অবশ্যই অর্থ থাকতে হবে। কেননা দিয়ে এমন একটা জিনিস যেখানে আপনার বিভিন্ন ধরনের খরচ হতে পারে। এবং বিয়ের নতুন অবস্থায় তো খরচের পাল্লাটা একটু বেশি থাকে।
তাই আপনি কখনোই ভুল করবেন না, অবশ্যই বিয়ের আগে নিজের কাছে অর্থ রাখার চেষ্টা করুন। এবং চেষ্টা করুন যেন আপনি যদি ছেলে হয়ে থাকেন তাহলে মেয়ের মোহরানা টাকা পরিশোধ করেই বিয়ে করে নিয়ে আসবেন বাসায়। কেননা ইসলামের দিক থেকে মৌলানা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আপনি যদি মোহরানা পরিষদ না করেন,
তাহলে আপনার সাথে যতদিন আপনার স্ত্রী থাকবে ততদিন আপনার পাপ হবে। তাই অবশ্যই চেষ্টা করুন মহারাজ টাকা সম্পূর্ণ পরিশোধ করে দিয়ে তারপর বিয়ে করে আনতে। বিয়ের আগে থেকেই নিজেকে সামলানো এবং মেনে নেওয়া অভ্যাস গড়ে তোলা কেননা আপনি যেমন স্ত্রী চাচ্ছেন তেমন আপনার স্ত্রী নাও হতে পারে
বা আপনি যেমন স্বামীর চাচ্ছেন তেমন আপনার স্বামী নাও হতে পারে সেক্ষেত্রে আপনার সংসার পরিচালনা করার জন্য। অবশ্যই ছোটখাটো বিষয়গুলো মেনে নেওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলার চেষ্টা করতে হবে। কারণ জন্ম মৃত্যু বিয়ে এটি পুরোই আল্লাহতালার হাতে। তাই আমরা ইচ্ছা করলেই যে কোন মানুষের সাথে বিয়ে করতে পারব না,
আমাদের কপালে যার সাথে লেখা থাকবে তার সাথে বিয়ে হবে এটাই স্বাভাবিক এবং আমাদেরকে এটাই মেনে নিতে হবে। এবং বিয়ের আগে নিজেকে ফিট রাখার জন্য অবশ্যই নিয়মিত ব্যায়াম করার অভ্যাস গড়ে তুলুন। কারণ বিয়ের সময় সব মানুষই বরের বা কন্যার দিকে বেশি ফোকাস করে থাকে, তাই আপনাকে আপনার শরীরের প্রতি খেয়াল রাখতে হবে।
এবং শরীরকে কিছুদিনের মধ্যেই অনেক সুন্দর মনে করে তোলার চেষ্টা করতে হবে। আপনি হয়তোবা জিমে গিয়ে ব্যায়াম না করলেও হবে। কিছু কিছু সহজ ব্যায়াম আছে সেগুলো আপনি বাসায় একা একা করতে পারেন। যেমন যোগ ব্যায়াম। আবার আপনি পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমাতে পারেন, ঘুমানোর ক্ষেত্রে আমাদের শরীরে অনেকটাই সুন্দর দেখায় আপনি যদি ছেলে হয়ে থাকেন
তাহলে কোন প্রকার নেশা দ্রব্য করবেন না। এবং এটি একেবারে ছেড়ে দেয়ার চেষ্টা করবেন। আশা করি বিয়ের জন্য নিজেকে কিভাবে প্রস্তুত করব সে সম্পর্কে সুন্দরভাবে বুঝতে পেরেছেন।
বিয়ের আগে কোন ফেসিয়াল করা উচিত
আমাদের দেশে মূলত বিয়ের আগে "কোলাজেন" ফেসিয়াল করা হয়ে থাকে। কেননা এটি আমাদের দেশের পণ্যের জন্য অনেক ভালো একটি ফেসিয়াল। এটি মূলত ত্বকে কোলাজেন উৎপাদন চালু করে দিয়ে থাকে। যার ফলে আপনাকে আপনাকে দেখতে মনে হবে তরুণ এবং স্বাস্থ্যকর। সেজন্যই মূলত আমাদের বাংলাদেশে এই ফেসিয়ালটি অনেক বেশি মাত্রায় করা হয়ে থাকে। আশা করি আপনি বুঝতে পেরেছেন।
বিয়ের আগে কতবার ফেসিয়াল করা উচিত
আপনি ছেলে বা মেয়ে যাই হন না কেন আপনার ত্বককে সুন্দরময় করার জন্য বিয়ের অন্তত ছয় মাস আগে থেকে ফেসিয়াল করলে ভালো হয়। সেক্ষেত্রে আপনার যদি বিয়ের ছয় মাস না থাকে তাহলে আপনি গোল্ড, সিলভার, পার্ল কিংবা ডায়মন্ড ফেসিয়াল করিয়ে নিতে পারেন। সেজন্য আপনাকে অবশ্যই ত্বকের ধরন অনুযায়ী বিশেষজ্ঞের মতামত নিয়ে তারপরে ফেসিয়াল করলে ভালো ফলাফল পেতে পারেন।
এছাড়াও আপনি যদি মনে করেন তাহলে বাসাতেই আপনি সুন্দরভাবে আপনার ত্বককে ফেসিয়াল করতে পারবেন। সেজন্য আপনাকে চালের গোড়ার সঙ্গে টক দই মিশিয়ে একটি প্যাক তৈরি করে নিতে হবে তারপরে সেই প্যাকটি আপনার মুখে সুন্দরভাবে লাগাতে হবে। অন্তত আধা ঘন্টা রাখার পর টকটি সুন্দরভাবে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। এ প্যাকটি নিয়মিত ব্যবহার করার মাধ্যমে এক থেকে দুই সপ্তাহের মধ্যে একটি ভালো ফলাফল পাবেন। আশা করি বিষয়টি আপনি সুন্দর ভাবে বুঝতে পেরেছেন।
বিয়ের আগে কি কি খাওয়া উচিত
বিয়ের আগে ছেলেদের জন্য যা যা খাওয়া উচিত
অনেক ছেলেরাই আছে যারা বিয়ের আগে কিছুটা মোটা হতে চান, সেজন্য আপনি বিয়ের এক মাস আগে নিয়মিত ফলমূল ও শাক-সবজি খেতে পারেন। আমরা নিচে কয়েকটি খাদ্যের নাম উল্লেখ করলাম।
- পালং শাক
- বাঁধাকপি, ফুলকপি
- টমেটো, শসা
- কলা
- দুধ
- রসুন
- সিদ্ধ ডিম
- তরমুজ
- কাঠ বাদাম
- কাজুবাদাম
- কিসমিস
- হরলিক্স, ইত্যাদি।
বিয়ের আগে মেয়েদের যা যা খাওয়া উচিত
আমাদের দেশের বেশিরভাগ মেয়েরা বাড়তি ওজন নিয়ে অনেক চিন্তিত থাকে। সেজন্য অনেকেই বিয়ের আগে ওজন একটুখানি কমানোর জন্য চেষ্টা করেন। এসব ক্ষেত্রে আপনি যদি সঠিক খাদ্য তালিকা মেনে চলেন। তাহলে আপনার ওজন কমানো একেবারেই সহজ বা নিজেকে ফিট রাখা অনেক সহজ, সে ক্ষেত্রে আপনি এই খাবার তালিকা মেনে চলতে পারেন।
সকালে ডায়েটে আপনি রাখতে পারেন
আটার রুটি দুই পিস সাথে সেদ্ধ সবজি এক বাটি এবং শসা এক বাটি ও দুধ ছাড়া কফি বাঁচা।
মধ্য দুপুরে খাবার তালিকায় রাখতে পারেন
সব জাতীয় ফলমূল এবং একটি করে সিদ্ধ ডিমের সাদা অংশটুকু।
দুপুরের খাদ্য তালিকায় রাখতে পারেন
কিছু সংখ্যক ভাব। এবং তার সঙ্গে মুরগি বা মাছের ঝোল। আবার রাখতে পারেন এক বাটি সবজি, সোশ্যাল সালাদ এছাড়াও কিছুটা ডাল নিতে পারেন।
রাতের খাবারের তালিকায় রাখতে পারেন
এক বাটি ডাল, টক দই, এক টুকরো মাংস রাখলে ভালো হয় তার সাথে এক বাটি সালাত এবং এক বাটি ডাল।
শেষ কথা
প্রিয় পাঠক, এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনি নিশ্চয়ই এই পোস্টটির মাধ্যমে এতক্ষণে জেনে গেছেন, বিয়ের জন্য নিজেকে কিভাবে প্রস্তুত করব সে সম্পর্কে। আশা করি এ পোস্টটি আপনার অনেক উপকারে আসবে। তাই এই পোস্টটি আপনার কাছে ভালো লেগে থাকলে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন।
কেননা আপনার বন্ধুরাও আপনার মাধ্যমে জানতে পারবে বিয়ের জন্য নিজেকে কিভাবে প্রস্তুত করব সে বিষয়ে। এবং এরকম বিভিন্ন ধরনের নতুন নতুন আর্টিকেল বা ব্লক পোস্ট নিয়মিত পেতে আমাদের সাথেই থাকুন, তাছাড়াও আমরা এই ওয়েবসাইটে প্রযুক্তি বিষয়ক বিভিন্ন পোস্ট বা আটিকের প্রকাশ করে থাকি। আসসালামুয়ালাইকুম।
সাগর ম্যাক্স এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url