বিনা জামানতে ঋণ দেয় কোন ব্যাংক - সহজ কিস্তিতে লোন

ব্যাংকের আমানত কত প্রকারপ্রিয় পাঠক, আবার আপনাকে জানাতে এসেছি, সহজ কিস্তিতে লোন এবং বিনা জামাতে ঋণ দেয় কোন ব্যাংক। তাই আপনি যদি আগে থেকে না জানেন, বিনা জামানাতে ঋণ দেয় কোন ব্যাংক এবং সহজ কিস্তিতে লোন এ বিষয়টি। তাহলে এ পোস্টটি আপনার জন্য, কারণ আমরা এই পোস্টটিতে সুন্দরভাবে ব্যাখ্যা করেছি সহজ বিস্তৃত লোন এবং বিনা জামাতে ঋণ দেয় কোন ব্যাংক।
বিনা-জামানতে-ঋণ-দেয়-কোন-ব্যাংক
আমাদের মধ্যে অনেকে আছেন যারা লোন নিয়ে বড় ধরনের ব্যবসা করতে চান, তারাও এই পোস্টটি সুন্দরভাবে পড়তে পারেন।কারণ পোস্টটিতে আমরা ব্যবসা লোন নিয়েও আলোচনা করেছি। শুধু তাই নয়এই পোস্টটিতে মাধ্যমে আমরা বিভিন্ন বিষয়ের লোন নিয়ে আলোচনা করেছি। আপনি সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে এ সমস্ত বিষয়গুলো বিস্তারিতভাবে জানতে পারবেন। আশা করি এ পোস্টটি আপনার অনেক উপকারে আসবে। এবং পোস্টটি পড়তে আপনার অনেক ভালো লাগবে। তো চলুন বন্ধু দেরি না করে আমরা সকলেই জেনে আসি সহজ কিস্তিতে লোন এবং বিনা জামাতে ঋণ দেয় কোন ব্যাংক।
পোস্ট সূচিপত্রঃ

ভূমিকা

বর্তমান সময়ে বাংলাদেশে, ঋণ বা লোন ক্রমাগতভাবে বেড়েই চলেছে। সেজন্য আমাদের সকলেরই লোনের বিষয়টি বিস্তারিতভাবে জানা উচিত। আমাদের মধ্যে অনেকে আছেন যারা লোন নিয়ে বাড়ি করছে। আবার কেউ কেউ লোন নিয়ে বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা করছে। তাই সকলেই মাঝে মধ্যেই জানতে চাই সুদবিহীন লোন, ব্যবসা লোন, সহজ কিস্তিতে লোন, বিনা জামাতে ঋণ দেয় কোন ব্যাংক এবং গ্রামে বাড়ি করার জন্য ব্যাংক লোন, এ সকল বিষয়গুলো।

আপনিও যদি এ সমস্ত বিষয়গুলো জানতে চান তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য। কারণ আমরাই পোস্টটিতে এ সকল বিষয় নিয়ে সুন্দরভাবে আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। আশা করি এই পোস্টটি সম্পূর্ণ করার মাধ্যমে আপনি লোন বিষয়ে বিভিন্ন অজানা তথ্য গুলো জানতে পারবেন। আর এগুলো জানার জন্য অবশ্যই আপনাকে এ পোস্টটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পয়েন্টগুলো স্টেপ বাই স্টেপ মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।

আপনি যদি কোন পয়েন্ট মিসিং করেন, তাহলে আপনি পোস্টটি পড়ে খুব একটা মজা পাবেন না এবং অনেক কিছু জানতে পারবেন না। তাই বন্ধু এ সকল বিষয়গুলো জানার জন্য আপনাকে অবশ্যই পোস্টটি সম্পন্ন মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে। তো চলুন দেরি না করে এ সকল বিষয় সম্পর্কে আমরা জেনে আসি।

সুদবিহীন লোন

আমাদের মধ্যে অনেকে আছেন যারা জানতে চান সুদবিহীন লোন কিভাবে নিব। তাদের উদ্দেশ্যই মূলত আমরা এই পোস্টটির এই অংশটুকু সাজিয়েছি। আপনি কখনোই সুদ বিহীন লোন নিতে পারবেন না, সুদ ভিত্তিক লোন ছাড়া। এক্ষেত্রে আপনাকে সুদবিহীন লোন নেওয়ার জন্য কি করতে হবে?। আপনি যদি কোন প্রকার সুদ ছাড়া বা সুদের ধারে কাছে না গিয়ে সে অবস্থা থেকে লোন নিতে চান,

আপনি তাহলে যে কোন ব্যক্তি পর্যায়ে সেই লোন নেওয়ার কাজ সম্পন্ন করতে পারেন। সুতরাং এখানে আমরা আপনাকে বলতে চাচ্ছি, আপনি কারো কাছে টাকা ধার নিয়ে এবং তারপর তাকে নির্দিষ্ট দিনে ধার পরিশোধ করে দিতে পারেন। কিন্তু অবশ্যই আপনি সুদের বিষয়টি ওই ব্যক্তির সঙ্গে একেবারে খোলাসা করে নেবেন। তাই আপনি যদি কারো কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা নেন,

তাহলে নির্দিষ্ট কিছুদিন পর আপনাকে ১০ হাজার টাকা পরিশোধ করতে হবে। এখানে যদি ১০ হাজার টাকার পরিবর্তে কোন প্রকার প্লাস মাইনাসের আবির্ভাব ঘটে, তাহলে অবশ্যই সেটি সুদ হিসেবে বিবেচিত করা হবে। সে ক্ষেত্রে আপনি যদি খুশি হয়ে তাকে অতিরিক্ত পরিমাণে টাকা দিতে চান, তাহলে সেটি সুদ হিসেবে বিবেচিত হবে না। কিন্তু কেউ যদি আপনাকে টাকা দিতে জোরজবস্তি করে ও আপনাকে জিম্মায় রেখে টাকা আদায় করে থাকে।

সেক্ষেত্রে সেটিকে সুদ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়ে থাকে। সেজন্য আপনি যদি কোনো রকম সুদ ছাড়া বা কোন প্রকার সুদের কাছে না গিয়ে লোন নিতে চান। তাহলে আপনি চাইলে যেকোনো ব্যক্তি পর্যায়ে টাকা নিতে পারেন। আপনি কখনোই কোন ব্যাংক থেকে এই সুযোগ-সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন না। তাই সুদবিহীন লোন নেওয়ার জন্য অবশ্যই ব্যক্তি পর্যায়ের চিন্তা আপনাকে করতে হবে।

ব্যবসা লোন

আমাদের মধ্যে অনেকে আছেন যারা চাচ্ছেন, ছোট ব্যবসাকে বড় করার জন্য লোন নিতে। এছাড়াও অনেক স্টুডেন্ট আছেন যারা চাচ্ছেন, পড়াশোনার পাশাপাশি লোন নিয়ে একটি নতুন ব্যবসা শুরু করতে। সবই ঠিক আছে, তবে এই ব্যবসা লোন পাব কোথায়? অনেকের মনে এই প্রশ্ন আসে। আসলে ব্যবসা লোনের জন্য সকলেরই প্রথম পছন্দ হয়ে থাকে বাণিজ্যিক ব্যাংক।

যেকোনো ব্যবসার জন্যই বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোতে ঋণ প্রদানের ব্যবস্থা রয়েছে। তবে এসএমই ফাউন্ডেশন বর্তমান সময়ে তিনটি ব্যাংকের মাধ্যমে ঋণ সহায়তা দিচ্ছে। এছাড়া অন্যান্য ব্যাংক নিজেদের নিয়ম কানুনের পাশাপাশি বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ম নীতিগুলোকে বিবেচনায় রাখার পর বিভিন্ন খাতে ঋণ প্রদান করে থাকে। ভালোবাসা ছাড়া "আইডিএলসি স্টাট অ্যাপ" লোন প্রায় ২৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত দেয়।

এই লোনটি পাঁচ বছরের মধ্যে পরিশোধ করতে হয়। তাছাড়াও বিনা জামানোতে কর্মসংস্থান ব্যাংকের ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ প্রদানের সহায়তা প্রদান করে থাকে। সর্বনিম্ন ৫ লক্ষ টাকা উদ্ভাবন লোন হিসাবে, ২৫ লক্ষ টাকা আনসিকিউরড লোন হিসাবে, সর্বোচ্চ ১ কোটি টাকা সিকিউরড লোন হিসাবে দেয়, আইডিএলসি ফিন্যান্স। এই ঋণের মেয়াদ সর্বনিম্ন ১৩ মাস থেকে সর্বোচ্চ ৬০ মাস পর্যন্ত।

আর যারা মূলত বেসিসের সদস্য, তারা এই ঋণ প্রাপ্তিতে বিশেষ ধরনের সুবিধা পেয়ে থাকে। সেজন্য আপনাকে অবশ্যই ব্যবসায় অভিজ্ঞতা থাকতে হবে অন্তত দুই বছরের। কিন্তু নারী উদ্যোক্তাদের জন্য শুধুমাত্র এক বছরের অভিজ্ঞতায় যথেষ্ট। তবে উদ্যোক্তার বয়স হতে হবে সর্বনিম্ন ২০ থেকে সর্বোচ্চ ৬০ বছরের মধ্যে।

অন্যদিকে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক স্মল বিজনেস লোন সর্বোচ্চ ৫০ লক্ষ টাকা দিয়ে থাকে, এবং এর মধ্যে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত কোন প্রকার জামানতের প্রয়োজন হয় না। এছাড়াও এই ঋণ পরিশোধের সময়সীমা সর্বোচ্চ পাঁচ বছর। কিন্তু অবশ্যই আপনার ব্যবসার সময়কাল হতে হবে কমপক্ষে ১ বছর।

সহজ কিস্তিতে লোন

সহজ কিস্তিতে লোন এটি এমন এক ধরনের অর্থনৈতিক সুবিধাকে বুঝিয়ে থাকে, যেটি ব্যাংক বা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক ব্যক্তিদের একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ ধার দেয় ও পূর্ব নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নিয়মিত সহজ কিস্তিতে সেই লোনটি পরিশোধ করার সুযোগ দিয়ে থাকে। বাংলাদেশের সমস্ত প্রথাগত ব্যাংকিং ব্যবস্থায় সহজ কিস্তিতে লোন নিতে আগ্রহী মানুষের সংখ্যা দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে।

বর্তমান সময়ে তারই ধারাবাহিকতায় সহজ কিস্তিতে লোন নেওয়ার বিষয়টি প্রায় প্রতিটি ব্যাংক বিশেষ জোরদার করেছে। প্রত্যেকটি বাংলাদেশী নাগরিকের জন্য ঋণের সহজলভ্যতা পরিবর্তন করেছে এই সহজ কিস্তিতে লোন গ্রহণ পদ্ধতিটি। আশা করি সহজ কিস্তিতে লোন বিষয়টি আপনি সুন্দর ভাবে বুঝতে পেরেছেন।

বিনা জামানতে ঋণ দেয় কোন ব্যাংক

আমাদের মধ্যে অনেকে আছেন যারা জানতে চান, বেনা জামানাতে ঋণ দেয় কোন ব্যাংক। তাই আপনি যদি জানতে চান, তবে সে ঘৃনা জামানাতে রিং দেয় কোন ব্যাংক, তাহলে এর এই অংশটুকু আপনার জন্য। আসলে পূর্বে শুধুমাত্র একটি ব্যাংকেই চালু ছিল বিনা জামাতে ঋণ কার্যক্রমের জন্য সে ব্যাংকটি হল কর্মসংস্থান ব্যাংক। বেকার যুবকদের বিনা জামানাতে এই ব্যাংকটি ঋণ দিত।

বাংলাদেশের বেকার, বিশেষ করে শিক্ষিত বেকার যুবকদের আন্তকর্মসংস্থান তৈরিতে ঋণ প্রদানের জন্য ১৯৯৮ সালে কর্মসংস্থান ব্যাংক চালু হয়। তাছাড়াও বর্তমান সময়ে অন্যান্য বাণিজ্যিক ব্যাংক ও সোনালী ব্যাংক এই সুবিধা প্রদান করে। আসলে বর্তমান সময়ে বাংলাদেশে বিনা জামানাতে ঋণ দিয়ে থাকে যে ব্যাংকগুলোঃ
  • কর্মসংস্থান ব্যাংক
  • অন্যান্য বাণিজ্যিক ব্যাংক
  • সোনালী ব্যাংক
  • তাছাড়াও (CSME) জানানোর বিহীন ব্যাংক ঋণ কার্যক্রম চালু করেছে
আমরাও উক্ত বিষয় থেকে জানতে পারলাম বিনা জামানতে ঋণ দেয় কোন ব্যাংক।বাংলাদেশের অভ্যন্তরে উদ্যোক্তাদের বিনা জামাতে বিভিন্ন ধরনের শর্তাবলী পূরণের মাধ্যমে ঋণ প্রদান করে, কর্মসংস্থান ব্যাংক থেকে। কর্মসংস্থান ব্যাংক ঋণ প্রদান করে থাকে, বিদেশ গমনের উদ্দেশ্যে। কিন্তু যদি ঋণের চাহিদা বেশি হয় নির্ধারিত পরিমাণের চেয়ে তাহলে সেই ব্যক্তিকে জামানত দিতে হয়।

গ্রামে বাড়ি করার জন্য ব্যাংক লোন

বর্তমান সময়ে অনেক ব্যাংক লোন প্রদান করছে গ্রামে বাড়ি করার জন্য। যা সাধারণত বাড়ি করার জন্য লোন বা হোম লোন নামে পরিচিত। কিন্তু গ্রামে বাড়ি করার জন্য সবচাইতে বেশি লোন প্রধান করে থাকে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক ও ইসলামী ব্যাংক। এই ব্যাংকগুলো ছাড়াও বর্তমান সময়ে আরো কিছু ব্যাংক রয়েছে যারা গ্রামে বাড়ি করার জন্য লোন প্রদান করে থাকে। এই সমস্ত ব্যাংকের মধ্যে উল্লেখযোগ্য প্র্যাকটিক ব্যাংক রয়েছে সেগুলো হল।

জনতা ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, সোনালী ব্যাংক, ডাচ বাংলা ব্যাংক ইত্যাদি। এছাড়া এ সমস্ত ব্যাংক ছাড়াও আরো প্রায় ১৮ থেকে ২৫ টি ব্যাংক আছে, যারা গ্রামে বাড়ি করার জন্য লোন প্রদান করে। সাধারণত আমাদের দেশের গ্রাম অঞ্চলগুলোতে বাড়ি করার জন্য সর্বনিম্ন ৮ লক্ষ টাকা থেকে ১৬ লক্ষ টাকা খরচ হয়।

যেহেতু আপনি লোন নিয়ে বাড়ি করবেন, সেহেতু আপনার মাসিক আয়ের ৩ ভাগের একভাগ পরিমাণ কিস্তি হিসাবে মাসিক কিস্তি প্রদান করলে বাৎসরিকভাবে যে টাকা দাঁড়ায়, সেই টাকা বা সেই অর্থ লোন হিসেবে আপনি পেতে পারেন। আশা করি বিষয়টি আপনি সুন্দর ভাবে বুঝতে পেরেছেন।

শেষ কথা

প্রিয় পাঠক, এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। শেষ কথাই আপনাদেরকে আমরা জানাতে চাই, আপনার কোন প্রকার জরুরী ভিত্তিক প্রয়োজন না হওয়া পর্যন্ত আপনি কখনোই কিস্তি বা লোন নিবেন না। কারণ কিস্তি বা লোন এই দুইটি ইসলামের দিক থেকে হারাম। কিন্তু হা, যদি আপনার খুবই প্রয়োজন পড়ে সেক্ষেত্রে আপনি কিস্তি বা লোন নিতে পারেন। আর একটা বিষয় মাথায় রাখবেন সেটা হলো কিস্তি বা লোন নিয়ে কখনোই অপচয় খরচ করার চেষ্টা করবেন না। কারণ এই টাকাটা আপনাকেই পরিশোধ করতে হবে। আশা করি বিষয়টি সুন্দরভাবে বুঝতে পেরেছেন।

তাই বন্ধু, এ পোস্টটি যদি আপনার কাছে ভালো লেগে থাকে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন। তাহলে তারাও আপনার মাধ্যমে জানতে পারবে সহজ কিস্তিতে লোন এবং কিনা জামাতে ঋণ দেয় কোন ব্যাংক। তাছাড়া আমাদের ওয়েবসাইটে নিয়মিত আপনি ভিজিট বা ফলো করুন। কারণ আমরা এই ওয়েবসাইটে নিয়মিত নতুন নতুন ব্লক পোস্ট বা আর্টিকেল পাবলিশ করে থাকি। আসসালামু আলাইকুম।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সাগর ম্যাক্স এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url