এলোভেরা মুখে দিলে মুখ চুলকায় কেন
এলোভেরা জেল ত্বকে ব্যবহারের নিয়মএলোভেরা মুখে দিলে মুখ চুলকায় কেন এবং অ্যালোভেরা মুখে দিলে কি উপকার হয় সে
সম্পর্কে জানতে চান?। তাই আমরা এলোভেরা মুখে দিলে মুখ চুলকায় কেন এবং অ্যালোভেরা
মুখে দিলে কি উপকার হয় এ সমস্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে এখন আলোচনা করব। এলোভেরা মুখে
দিলে মুখ চুলকায় কেন এবং অ্যালোভেরা মুখে দিলে কি উপকার হয় এ সমস্ত বিষয়গুলো
সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জানার জন্য আপনাকে এই আর্টিকেলটি সম্পন্ন পড়তে হবে।
এলোভেরা এমন একটি উদ্ভিদ, যেই উদ্ভিদের দ্বারা আমরা আমাদের ত্বকের জন্য অনেক
উপকার পেয়ে থাকি। কিন্তু অনেকের মাঝেই প্রশ্ন আসে অ্যালোভেরাতে এত প্রচুর উপকার
থাকা সত্ত্বেও কিন্তু এলোভেরা মুখে দিলে মুখ চুলকায় কেন?। মূলত এই প্রশ্নটির
উত্তর বের করার চেষ্টা করব আমরা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে। তো যাই হোক চলুন আর দেরি
না করে আমরা বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়ার চেষ্টা করি অ্যালোভেরা মুখে দিলে কি
উপকার হয় এবং এলোভেরা মুখে দিলে মুখ চুলকায় কেন। আশা করি বন্ধু এই আর্টিকেলটি
আপনার অনেক উপকারে আসবে।
পোস্ট সূচিপত্রঃ এলোভেরা মুখে দিলে মুখ চুলকায় কেন
ভূমিকা
এলোভেরা মুখে দিলে মুখ চুলকায় কেন এবং অ্যালোভেরা মুখে দিলে কি উপকার হয় আমাদের
মধ্যে অনেকেই আছেন যাদের এখনও পর্যন্ত এ বিষয়গুলো অজানা। তাই আপনিও যদি এ সমস্ত
বিষয়গুলো সম্পর্কে না জানেন তাহলে কোন সমস্যা নেই আমরা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে
আপনাকে আজকে জানিয়ে দিব এ বিষয়গুলো সম্পর্কে।
আরো পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা ফর্সা হয়
শুধু তাই নয় বন্ধু এই আর্টিকেলটি সম্পন্ন পড়ার মাধ্যমে আপনি এলোভেরা সম্পর্কে
আরো অনেক বিষয় জানতে পারবেন। তাহলে চলুন আমরা এক নজরে জেনে নেওয়ার চেষ্টা করি
এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ার মাধ্যমে কি কি বিষয় জানতে পারবো। আর্টিকেলটি পড়ার
মাধ্যমে আমরা জানবো এলোভেরা মুখে দিলে মুখ চুলকায় কেন,
অ্যালোভেরা মুখে দিলে কি উপকার হয়, এলোভেরা দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়, রাতে
এলোভেরা ব্যবহার, এলোভেরা খাওয়ার উপকারিতা, এলোভেরা খাওয়ার নিয়ম এবং এলোভেরার
ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে। তো চলুন আর দেরি না করে আমরা এ সমস্ত বিষয়গুলো
বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়ার চেষ্টা করি।
এলোভেরা মুখে দিলে মুখ চুলকায় কেন
এলোভেরা মুখে দিলে মুখ চুলকায় কেন? এই প্রশ্নটি প্রায় অনেকেরই। তাই আপনিও যদি
জানতে চান এলোভেরা মুখে দিলে মুখ চুলকায় কেন?। তাহলে আর্টিকেলের এই অংশটুকু
আপনার জন্য। কারণ আর্টিকেলের এই অংশে আমরা খুবই সুন্দরভাবে আলোচনা করার চেষ্টা
করেছি এলোভেরা মুখে দিলে মুখ চুলকায় কেন।
তাহলে চলুন বন্ধু আর দেরি না করে আমরা বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়ার চেষ্টা করি
এলোভেরা মুখে দিলে মুখ চুলকায় কেন সে সম্পর্কে। এলোভেরা মুখে দিলে মুখ চুলকায়
এর সবথেকে বড় কারণ হচ্ছে যাদের অ্যালার্জির সমস্যা রয়েছে তাদের। কিন্তু যাদের
অ্যালার্জির সমস্যা নেই তাদের অ্যালোভেরা সরাসরি লাগালেও মুখের ত্বক কখনোই
চুলকায় না।
এই কথাটি বলার একমাত্র কারণ হচ্ছে আমি নিজেই এই অ্যালোভেরা জেল সরাসরি ত্বকের
ব্যবহার করেছি আমার কোন প্রকার সমস্যা দেখা দেয় নি। কেননা আমার শরীরে এলার্জির
সমস্যা নেই। কিন্তু যাদের অ্যালার্জির সমস্যা রয়েছে তারা যদি সরাসরি তাদের ত্বকে
অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করে তাহলে একটু চুলকানির আশঙ্কা থাকে।
তবে কিছুক্ষণের মধ্যেই এই চুলকানি ঠিক হয়ে যায়। আমার একটি ফ্রেন্ডের এলার্জির
সমস্যা আছে। তাই আমার ফ্রেন্ড যখন এই এলোভেরা জেল তার মুখের ত্বকে ব্যবহার করছিল
তখন তার ত্বক কুটকুটি কামড়াচ্ছিল। তবে কিছুক্ষণের মধ্যেই সেই কুটকুটি কামড়ানো
ঠিক হয়ে গিয়েছিল।
তবে অ্যালোভেরাতে যদি অ্যালার্জি থাকে তাহলে অবশ্যই ত্বকে দেওয়ার পরে চুলকায়।
এছাড়াও এলোভেরার পাতা থেকে জেল টাকে নেওয়ার সময় যতটুকু সম্ভব পাতার গায়ের
কসাটা সরিয়ে ফেলবেন, তাহলে চুলকানির সমস্যা অনেকটাই কম হবে আমার অভিজ্ঞতা থেকে
আপনাকে বলছি। আমি যখন প্রথম এই এলোভেরা জেল ব্যবহার করেছিলাম,
তখন অ্যালোভেরার পাতার সবটুকুই নিয়েছিলাম সেজন্য আমার ত্বক কিছুটা চুলকাচ্ছিল।
কিছুদিন আগেও আমি আবারও এই অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করেছি তবে তখন আমি শুধুমাত্র
জেলটাকে বের করে নিয়ে ব্যবহার করার চেষ্টা করেছে। সেক্ষেত্রে আমি দেখেছি আগের
তুলনায় অনেক কম চুলকাচ্ছে।
সেক্ষেত্রেই আমি বুঝতে পারলাম শুধুমাত্র জেল টাকে বের করে ত্বকে ব্যবহার করাটাই
সবথেকে ভালো। তবে নিশ্চিতভাবে বলা যাবে না কার ত্বকে এটি বেশি চুলকাবে কিংবা কম
চুলকাবে। কিন্তু যাদের চুলকানির ভাব বেশি দেখাবে, তাদের ক্ষেত্রে বাজারে কিনতে
পাওয়া যায় অ্যালোভেরা জেল এর টিউব।
যদি কেউ নিয়মিত তার মুখে ব্যবহার করে। তাহলে আশা করা যায় এই চুলকানির সমস্যা
থেকে অনেকটাই মুক্তি পাবে। এমন কি সে চুলকানির ভাব বুঝতে পারবে না। এর পাশাপাশি
আপনি এই অ্যালোভেরার জেল ব্যবহার করার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারেন। তারা
আপনাকে অবশ্যই সঠিক পরামর্শটাই দেওয়ার চেষ্টা করবে। আশা করি বন্ধু আপনি এতক্ষণে
বুঝতে পেরেছেন এলোভেরা মুখে দিলে মুখ চুলকায় কেন।
অ্যালোভেরা মুখে দিলে কি উপকার হয়
অ্যালোভেরা মুখে দিলে কি উপকার হয় তা কি আপনি জানেন?। যদি না জানেন তাহলে
আর্টিকেলের এই অংশটুকু পড়তে থাকুন। কারণ আমরা আর্টিকেলের এই অংশে বিস্তারিতভাবে
আলোচনা করার চেষ্টা করেছি অ্যালোভেরা মুখে দিলে কি উপকার হয় সে বিষয়ে। তো চলুন
বন্ধু আর দেরি না করে আমরা বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়ার চেষ্টা করি অ্যালোভেরা
মুখে দিলে কি উপকার হয় সে সম্পর্কে।
আপনি যদি এলোভেরা থেকে খুব বেশি উপকার পেতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে এলোভেরা জেল
দিয়ে বরফ বানিয়ে নিতে হবে। এরপর সেই বরফ আপনার মুখে ঘুষতে হবে। এতে করে আপনার
ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা থেকে আপনি মুক্তি পাবেন। এই অ্যালোভেরা জেল এর বরফ আপনার
ত্বককে হাইড্রেটেড রাখবে, ত্বককে পুষ্টি যোগাবে এবং রোমকূপ সংকুচিত করতে সাহায্য
করবে।
এর পাশাপাশি আপনার ত্বকের ব্রণ এর সমস্যা দূর করবে এবং আপনার ত্বককে চাপমুক্ত
রাখতেও বেশ সাহায্য করবে। বিশেষ করে গরমের সময় আপনার ত্বকের উপর এলোভেরা জেল এর
তৈরি আইস ঘুষে নেওয়া মাত্রই অনেকটাই আরাম পাবেন। বিভিন্ন গবেষণা থেকে জানা গেছে,
ত্বকের ওপর আইস ঘুষার মাধ্যমে বিশেষ উপকারিতা পাওয়া যায়। কেননা আইস আমাদের
ত্বকের প্রদাহ কমাতে অনেক ভূমিকা রাখে।
তাছাড়া আমাদের ত্বকের অতিরিক্ত তেল শুষে নেওয়ার পাশাপাশি ওপেন পোরসের সমস্যাকে
দূর করতে সাহায্য করে। শুধু তাই নয় সে সঙ্গে আমাদের চোখের ফোলা ভাব ও ডার্ক
সার্কেল কমাতেও বেশ সাহায্য করে থাকে আইস। তাই আপনি যখনই এলোভেরার নির্যাস দিয়ে
আইস তৈরি করে আপনার ত্বকে ব্যবহার করবেন, তখন এর গুনাগুন আরো অনেকটাই বেড়ে যাবে।
অ্যালোভেরা জেল এর তৈরি বরফ হলো মূল উপাদান।
যেটি মূলত আমাদের ত্বকের হাজারো উপায়ে উপকারিতা প্রদান করে থাকে। এলোভেরার মধ্যে
যে সমস্ত উপাদান গুলো রয়েছে সেগুলো হল অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টি
ব্যাকটেরিয়া এবং এন্টি মাইক্রোবিয়াল। সেজন্য এলোভেরা নিয়মিত আমাদের ত্বকের ওপর
মাখলে এটি আমাদের ত্বকের প্রদাহ কমিয়ে থাকে এবং এর পাশাপাশি আমাদের ত্বকের খত
নিরাময়ে বেশ সাহায্য করে।
শুধু তাই নয় আমাদের তরফ থেকে কমিয়ে দেয় ব্রণ এবং ফুসকুড়ির মতো সমস্যাকেউ।
এছাড়াও তেলতেলে ত্বকের ওপর এলোভেরা জেল ব্যবহার করার মাধ্যমে পাওয়া যায়
ম্যাটফিনিশ এর মত ত্বক। সে জন্যই তো বন্ধু রূপচর্চার দুনিয়ায় সর্বপ্রথম থেকেই
এলোভেরার কদর সবচাইতে বেশি। আশা করি আপনি এতক্ষণে বুঝতে পেরেছেন অ্যালোভেরা মুখে
দিলে কি উপকার হয়।
এলোভেরা দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়
এলোভেরা দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে আপনি কি জানতে চান?। তাহলে বন্ধু আপনি
সঠিক জায়গাতেই এসেছেন কারণ এখন আমরা বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব এলোভেরা দিয়ে
ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে। তাহলে বন্ধু চলুন আর দেরি না করে আমরা
বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়ার চেষ্টা করি এলোভেরা দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় কি সে
বিষয়ে।
আমরা এখন এমন একটি বিষয়ে আলোচনা করব, সেই বিষয়টি যদি আপনি মেনে চলেন তাহলে
কিছুদিনের মধ্যেই আপনি আপনার ত্বককে করে ফেলতে পারবেন চকচকে এবং
উজ্জ্বলময়। আর কখনোই আপনাকে বিউটি পার্লারে গিয়ে ফেসিয়াল করার প্রয়োজন
পড়বে না। তাহলে চলুন চারটি স্টেপের মাধ্যমে আমরা জেনে আসি ন্যাচারাল স্কিন
কেয়ার সম্পর্কে।
পুষ্টিকর ক্লিনজার ফেসিয়ালঃ
আপনি যদি এলোভেরা দিয়ে ফেসিয়াল করতে চান তাহলে প্রথমে আপনাকে একটি পাত্রে দুই
চা চামচ এলোভেরা জেল এবং দই কাঁচামরিচ কাঁচা দুধ নিয়ে ভালো করে মিক্স করতে
হবে।মূলত এভাবে আপনি ক্লিনজারটি তৈরি করতে পারবেন খুব সহজে। এটা মূলত একটি
বিশেষ ধরনের পুষ্টিকর ক্লিনজার ফেসিয়াল হিসেবে পরিচিত।
এই ক্লেনজার টি এখন আপনার ত্বকে দুই মিনিট ধরে ম্যাসাজ করতে হবে। এভাবে যদি
আপনার ত্বকে ম্যাসাজ করতে পারেন, তাহলে আপনার ত্বকের সমস্ত ময়লা দূর হয়ে
যাবে এবং ত্বক পরিষ্কার হয়ে যাবে। এরপর তিন থেকে পাঁচ মিনিট অপেক্ষা করে
টিস্যু বা পাতলা তোয়ালে ব্যবহার করে সেগুলো মুছে ফেলুন অথবা মুখ ধুয়ে ফেলুন।
ত্বকের রং উজ্জ্বল করতে স্ক্রাবিংঃ
স্ক্রাবিং তৈরি করার জন্য আপনাকে প্রথমে একটি পাত্রে এক চা চামচ চালের গুড়া নিতে
হবে, এরপর এর মধ্যে দুই চা চামচ এলোভেরা জেল দিয়ে মিশ্রণ তৈরি করে নিতে
হবে। ব্যাস হয়ে গেল আপনার স্ক্রাবিং। এখন স্ক্রাবিং টি আপনার মুখে
আঙ্গুল দিয়ে সার্কুলেশন করে ম্যাসাজ করুন অন্তত ৫ থেকে ৭ মিনিট।
চালের গুড়া খুব কার্যকারী আমাদের ত্বকের রং উজ্জ্বল করতে। সামান্য এই পাঁচ
থেকে সাত মিনিট ম্যাসাজ করার ফলে আপনার ত্বকের সকল কালো ময়লা দাগ উঠে যাবে এবং
আপনার মুখ একেবারেই পরিষ্কার হয়ে যাবে। এরপর স্বাভাবিক পানি দিয়ে মুখ
ধুয়ে ফেলুন।
ত্বকে ফেসিয়াল ম্যাসাজঃ
ত্বকে ফেসিয়াল ম্যাসাজ করার জন্য আপনাকে একটি পাত্রে ২ চা চামচ এ অ্যালোভেরা জেল
নিতে হবে এবং তার মধ্যে এক চা চামচ আমান্ডো অয়েল ও দুইটা ভিটামিন ই ক্যাপসুল
দিয়ে সবগুলি উপাদান ভালো করে মিশ্রিত করে নিতে হবে। ব্যাস হয়ে গেল আপনার
ফেসিয়াল ম্যাসাজ জেল। এখন এই ফেসিয়াল ম্যাসাজ জেলটি আপনার ত্বকে ১০ থেকে
১৫ মিনিট পর্যন্ত সার্কুলেশন করে ম্যাসাজ করুন, মূলত যেভাবে ফেসিয়াল
ম্যাসাজ করা হয়ে থাকে।
আসলে এই মিশ্রণটি শীতকালে বেশ কার্যকারী হিসেবে কাজ করে আমাদের ত্বকের
জন্য। এর সব থেকে বড় কারণ হলো শীতে আমাদের ত্বকের শুষ্কতার হাত থেকে এই
ফেসিয়ালটির ব্যবহার রক্ষা করে।সেসঙ্গে আমাদের ত্বক হবে প্রাণবন্ত এবং তুলতুলে
নরম ও কমল। শুধু তাই নয় এর পাশাপাশি ত্বক থেকে বয়সের ছাপ, কুঁচকে
যাওয়া সকল ধরনের সমস্যা দূর হয়ে যাবে। এরপর পরিষ্কার স্বাভাবিক পানি দিয়ে
মুখ ধুয়ে ফেলুন।
ত্বকের জন্য ফেইস প্যাকঃ
ত্বকের জন্য এই ফেইস প্যাক তৈরি করার জন্য আপনাকে একটি পাত্রে দুই চা চামচ আটা,
আধা চা চামচ হলুদের গোড়া এবং তিন চা চামচ এলোভেরা জেল মিশিয়ে সুন্দরভাবে
সবগুলোই উপাদান মিশ্রণ করে নিতে হবে। এরপর এই মিশ্রণটি আপনার ত্বকে খুবই ভালোভাবে
ঘষে লাগিয়ে নিতে হবে। আসলে এই ফেইস প্যাকটি আপনার ত্বকের কাল যে ভাবতে দূর করে
ত্বক করবে উজ্জ্বল ও ফর্সা এবং আকর্ষণীয়।
সেসঙ্গে আপনার ত্বকের সমস্ত প্রকার দাগ কেউ দূর করতে সাহায্য করবে। শুধু তাই নয়
এর পাশাপাশি এই ফেইস প্যাকটি নিয়মিত ব্যবহার করলে আপনার ত্বকে একটি ন্যাচারাল
ব্রাইটনেস চলে আসবে। তাই আপনি যদি এই ফেইস প্যাকটির ভালো ফলাফল পেতে চান, তাহলে
আপনাকে এই প্যাকটি ভালোভাবে ম্যাসাজ করে লাগিয়ে রাখতে হবে অন্তত ১০ থেকে ১৫
মিনিট।
এরপর স্বাভাবিক পরিষ্কার পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে বা মুছে ফেলুন। আসলে এরই মাধ্যমেই
আপনার ফেসিয়ালের পুরোপুরি প্রসেসটি কমপ্লিট হয়ে যাবে। আশা করি আপনি নিশ্চয়ই
আপনার চেহারার উজ্জ্বলতা এবং সৌন্দর্যের পার্থক্যটা কিছুদিনের মধ্যেই বুঝতে
পারবেন। তাই এখন থেকে আপনি আপনার ঘরে বসেই নিজের ফেসিয়াল নিজেই তৈরি করতে
পারবেন।
শুধু তাই নয় এমনকি আপনার ঘরের অন্যদেরকেও এই ফেসিয়ালটি করে দিতে পারবেন আপনি
নিজেই। তাতে করে আপনার সময় নষ্ট হবে না এবং অর্থ অনেকটাই বাঁচবে। তাহলে এই
এলোভেরা দিয়েই আজ থেকে শুরু হোক আপনার সম্পূর্ণ ত্বকের যত্ন নেওয়া। আশা করি
আপনি এতক্ষণে বুঝতে পেরেছেন এলোভেরা দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে।
রাতে এলোভেরা ব্যবহার
রাতে এলোভেরা ব্যবহার করলে পাবেন অনেক উপকার। আপনি যদি চান আপনার তো দ্রুত
উজ্জ্বলময় হোক অথবা আপনার ত্বকের বলিরেখা এবং মেছতা দূর করতে, তাহলে অবশ্যই
আপনাকে রাতে এলোভেরা ব্যবহার করতে হবে। তবে আপনি কিভাবে এই এলোভেরা ব্যবহার করলে
পাবেন এ সমস্ত উপকার। সেই বিষয় নিয়েই মূলত আমরা আর্টিকেলের এই অংশটুকু
সাজিয়েছি।
শুধু তাই নয় রাতে এলোভেরা ব্যবহার করার মাধ্যমে আপনার চুলেরও অনেক উপকার আপনি
পাবেন সে বিষয়েও আমরা এখন আলোচনা করব। আমরা এখন এখানে আলোচনা করব অ্যালোভেরা
যেভাবে রাতে ব্যবহার করবেন, যদি আপনি রাত্রে পাঁচ থেকে দশ মিনিট এই এলোভেরা
ব্যবহার করেন তাহলে পাবেন ফর্সা উজ্জ্বল ও দাগ মুক্ত ত্বক। তাহলে চলুন আমরা জেনে
নেওয়ার চেষ্টা করি রাতে এলোভেরা ব্যবহার সম্পর্কে।
ত্বকের দাগ দূর করুনঃ
আপনার ত্বকের যে সমস্ত জায়গায় দাগ রয়েছে, সে সমস্ত জায়গাগুলোতে এলোভেরা
শাস অথবা জেল ওখানে সরাসরি ব্যবহার করতে পারেন। সেজন্য আপনাকে রাতে ঘুমানোর আগে
মুখের দাগগুলোতে জেলের মতো করে অ্যালোভেরার শাস লাগাতে হবে। তারপর ঘুম থেকে
উঠে সকালবেলায় স্বাভাবিক পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে। আশা করি খুব ভালো
ফল পাবেন।
ত্বকের বলিরেখা দূর করুনঃ
ত্বকের বলিরেখা দূর করতে বেশ সাহায্য করে থাকে এলোভেরা। সেজন্য আপনাকে রাতে
ঘুমানোর আগে অ্যালোভেরার সঙ্গে কিছুটা মধু মিশিয়ে ত্বকে নিয়মিত ব্যবহার করতে
হবে তার ফলে, আপনার ত্বকের অবাঞ্ছিত দাগ সহ বলিরেখা দূর করা সম্ভব হবে খুব
সহজেই।
ত্বকের মেছতা দূর করুনঃ
মেস্তা দূর করার বিভিন্ন উপায় থাকা সত্ত্বেও সবথেকে কার্যকারী উপায় বলা যেতে
পারে এলোভেরার জেল। কেননা এই এলোভেরা জেলে রয়েছে ত্বকের সকল ধরনের সমস্যা
দূর করার ক্ষমতা। সেজন্য আপনাকে আপনার আঙ্গুলের ডগার সাহায্যে আস্তে আস্তে
জেল ঘষে লাগাতে হবে লাগানো হয়ে গেলে সারারাত ধরে রেখে দিতে হবে আপনার ত্বকে।
আপনি যদি ভালো ফল পেতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে কমপক্ষে কয়েক সপ্তাহ এভাবেই
ব্যবহার করতে হবে। তাছাড়া এলোভেরা জেলের সঙ্গে ভিটামিন ই ও প্রেম রোজ অয়েল
মিশ্রিত করে আপনি যদি আপনার ত্বকে লাগান তবে এক সপ্তাহের মধ্যেই আপনি অনেক ভাল ফল
পাবেন।
এলোভেরা দিয়ে চুলের যত্ন নিনঃ
আপনি যদি আপনার চুলের খুশকি দূর করতে চান তাহলে মেহেদী পাতার সাথে এলোভেরা
মিশিয়ে আপনার চুলে লাগান।শুধু তাই নয় আপনার মাথা যদি সব সময় গরম থাকে তাহলে
অ্যালোভেরা পাতার শাঁস প্রতিদিন একবার মাথার তালুতে নিয়ে নিয়ম করে আপনার মাথায়
লাগান আপনার মাথা সবসময় ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করবে।
তাছাড়া আপনার মাথার চুল পড়া বন্ধ করতে কিংবা নতুন চুল গজাতে এলোভেরা রস মাথার
তালুতে ঘষে এক থেকে দেড় ঘন্টা রেখে স্বাভাবিক পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন, আশা
করি এভাবে কয়েক সপ্তাহ ব্যবহারে আপনি অনেক ভাল ফল পাবেন।এছাড়াও আপনি চুলে
শ্যাম্পু করার আধা ঘন্টা আগে অ্যালোভেরা রস আপনার মাথার সমস্ত চুলে লাগিয়ে
রাখুন। তারপর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন,
যখনই আপনি আপনার চুলে হাত দেবেন তখন আপনার চুল থেকে হাত সরাতেই মন চাইবে
না। অ্যালোভেরা বা ঘৃতকুমারী আমাদের শরীরের ভেতরে যেমন কাজ করে থাকে তেমনি
ভাবেই শরীরের উপরেও কাজ করে। আমাদের ত্বক লাবণ্যের রূপচর্চায় বিশেষ সাহায্য
করে থাকে ঘৃতকুমারী। চুলের রক্ষতা দূর করতেও বিশেষ ভূমিকা রাখে ঘৃতকুমারী।
আমাদের মধ্যে অনেকে আছেন যারা অতিরিক্ত রুক্ষ চুল থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য
বিভিন্ন ধরনের রং সঙ্গে বিজ্ঞাপনের পাল্লায় পড়ে ব্যবহার করে থাকে অনেক দামি বা
ব্যান্ডের হেয়ার প্রোডাক্ট। আবার অনেকেই দেখা যায় পার্লারে গিয়ে চুলের
যত্ন নিতে। তবে আপনি চাইলে এত ঝামেলায় না গিয়ে বাসায় বসে একটু সময়
বের করে উক্ত বিষয়গুলো ফোলো করার মাধ্যমেই চুলের রক্ষতা দূর করতে পারেন খুব
সহজেই।
এলোভেরা খাওয়ার উপকারিতা
এলোভেরা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে আপনি কি জানতে চাচ্ছেন?। তাহলে আপনি সঠিক
জায়গাটায় এসেছেন, কারণ আমরা এখন আপনাকে জানাবো এলোভেরা খাওয়ার উপকারিতা
এলোভেরা খাওয়ার উপকারিতা গুলো সম্পর্কে। তো চলুন আর দেরি না করে আমরা
বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়ার চেষ্টা করি এলোভেরা খাওয়ার উপকারিতা গুলি।
ঘৃতকুমারী বা অ্যালোভেরা খাবার মাধ্যমে যে সকল গুনাগুন আপনি পাবেন তা বলে শেষ করা
যাবে না। আসলে এলোভেরাতে রয়েছে সোডিয়াম, আয়রন, ফলিক এসিড, ম্যাঙ্গানিজ,
পটাশিয়াম, জিংক, জিক্স, এমাইনো এসিড এবং ভিটামিন এ, বি২ ও বি৬ ইত্যাদি। যেটি
মূলত আমাদের স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য বিশেষভাবে কাজে লাগে। শুধু তাই নয় আমাদের
শরীরের জন্য এ সকল উপাদান গুলি বেশ সাহায্য করে থাকে।
এলোভেরা খাওয়ার উপকারিতা গুলো নিচে দেওয়া হলঃ
- এলোভেরার ঔষধি গুণগুলি আমাদের রক্তচাপ কমায় এর পাশাপাশি রক্তের কোলেস্টেরল এবং চীনের মাত্রা স্বাভাবিক অবস্থায় নিয়ে আসতে বেশ সাহায্য করে।
- আমাদের শরীরের ক্ষতিকর পদার্থ প্রবেশ করলে সেটিকে অপসারণ করতে এলোভেরা বিশেষভাবে ভূমিকা পালন করে থাকে।
- অ্যালোভেরাতে রয়েছে এ অ্যামিনো এসিড, মিনারেলসহ নানান ধরনের পুষ্টিবার উপাদান। যেটি আমাদের শরীরের হাড় এবং মাংসপেশীকে শক্তিশালী করে তুলতে সাহায্য করে।
- আপনি যদি নিয়মিত অ্যালোভেরার রস পান করেন, তাহলে আপনার হজম শক্তি বৃদ্ধি পাবে। শুধু তাই নয় এর পাশাপাশি আপনার পরিপাকতন্ত্রের নানান ধরনের জটিলতার সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
- প্রাকৃতিক ওষুধের কাজ করে থাকে এলোভেরা। অ্যালোভেরা বিভিন্ন ধরনের চর্মরোগ এবং ক্ষত সারিয়ে থাকে। আবার অনেক সময় দেখা যায় প্রাথমিক চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়ে থাকে এই অ্যালোভেরা। অ্যালোভেরার জুস আমাদের শরীরের ক্লান্তি দূর করতে সাহায্য করে এবং শরীরকে সতেজ রাখতে ভূমিকা রাখে।
- এলোভেরা আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। অ্যালোভেরা শরীরে সাদা ব্লাড সেল গঠন করে, যেটি মূলত আমাদের শরীরের ভাইরাসের সাথে লড়াই করে থাকে।
-
এলোভেরার জুস আমাদের ওজন নিয়ন্ত্রণ রাখতে বেশ সাহায্য করে। এলোভেরার জুসে
থাকা অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি উপাদানটি আমাদের শরীরে জমে থাকা মেদ দূর করে
এবং কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ছাড়ায় ওজন নিয়ন্ত্রণ বা কমাতে কার্যকরী
ভূমিকা পালন করে থাকে।
এলোভেরা খাওয়ার নিয়ম
এলোভেরা খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে আপনি কি জানতে চাচ্ছেন?। তাহলে বন্ধু আপনি
সঠিক জায়গাতে এসেছেন, কারণ আর্টিকেলের এই অংশে আমরা আপনাকে জানাবো
এলোভেরা খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে। তাহলে চলুন বন্ধুরা আর দেরি না করে আমরা
বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়ার চেষ্টা করি এলোভেরা খাওয়ার নিয়ম গুলি।
আসলে এই অ্যালোভেরার রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। সেজন্য
ক্যালোরি খরচ করতে ও ডিটক্সিফাই করতে অনেকটাই ভূমিকা পালন করে থাকে। আপনি
যদি আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে বা ওজন কমাতে চান তাহলে এই এলোভেরা বিভিন্ন
উপায়ে খেতে পারেন। তো চলুন সেই উপায় গুলো আমরা জেনে নেই।
- নিয়মিত প্রত্যেক খাবারের অন্তত ২০ মিনিট আগে এক চা চামচ এলোভেরা জুস যদি আপনি পান করতে পারেন। তাহলে এতে করে আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণ হবে এবং ওজন দ্রুত কমবে।
- আমাদের মধ্যে অনেকে আছেন যারা এলোভেরা রস খেতে পারেন না স্বাদের কারণে, তারা ইচ্ছা করলে সবজির রসের সাথে মিশেও খেতে পারবেন, এভাবে খেলেও পাবেন অনেক উপকার।
- প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠে সকালবেলায় এক গ্লাস হালকা গরম কুসুম পানিতে এক চা চামচ ভর্তি এলোভেরা রস মিশিয়ে খেতে পারেন। আপনি যদি এভাবে খান তাহলে এলোভেরা রসের গুনাগুন সবচাইতে বেশি পাবেন।
- আপনি যদি ওজন কমাতে চান তাহলে এলোভেরার জুস মধুর সাথে মিশিয়েও খেতে পারেন। খেতে করে স্বাদ এবং গুণ দুটোই বাড়বে। এভাবে খাওয়ার ফলে আপনি উপকারিতা আরও বেশি পাবেন।
-
অ্যালোভেরার রসের সাথে আপনি চাইলে লেবুর রস মিশিয়েও খেতে
পারেন। এতেও পাবেন অনেক উপকার।
এলোভেরার ক্ষতিকর দিক
এলোভেরার ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে কি আপনি জানতে চান? তাহলে আর্টিকেলের এই অংশটুকু
পড়ুন। আমরা এখন আপনাকে বিস্তারিত ভাবে জানাবো এলোভেরার ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে।
তাহলে চলুন আর দেরি না করে আমরা বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়ার চেষ্টা করি এলোভেরার
ক্ষতিকর দিক গুলো সম্পর্কে।
আসলে ইংরেজিতে এলোভেরা বলা হলেও বাংলায় একে বলা হয় ঘৃতকুমারী এই উদ্ভিদের অনেক
উপকারিতা রয়েছে। আর এর ব্যবহার প্রায় অনেক যুগ থেকেই হয়ে আসছে। এই
এলোভেরাই বিভিন্ন গুণ থাকায় মানুষ চলাফেরা ব্যবহার করে যুগ যুগ থেকেই নানা ধরনের
রোগের সমাধানও পাচ্ছে।
তবে আপনি জানেন অবাক হবেন এই অ্যালোভেরার এত উপকার থাকা সত্ত্বেও কিছু ক্ষতিকারক
দিক রয়েছে। বিভিন্ন গবেষণা থেকে জানা গেছে, এই অ্যালোভেরা টি
অ্যান্টিবায়োটিকের প্রভাব অনেকটাই বেশি। ড্যানড্রাফ, অ্যাজমা এবং
সেরিয়াসিসের মত রোকগুলির জন্য স্ক্রিন কেয়ার চিকিৎসা গুলোকে এলোভেরা খুবই
জনপ্রিয়তা লাভ করেছে।
তবে বিভিন্ন চিকিৎসকের কাছ থেকে জানা গেছে, এলোভেরা আপনার জন্য তখনই নিরাপদ
হবে যখন আপনি এই অ্যালোভেরাটি ওষুধ বা জেল হিসেবে চামড়ায় ব্যবহার
করবেন। তবে প্রাকৃতিক উপায়ে এলোভেরার হলদে যে রসালো পদার্থ বের করা হয় তার
সাথে অ্যালোভেরা লেটেক্স নামের ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ থাকে। যেটি মূলত
আমাদের শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকারক হিসেবে কাজ করে।
মূলত এলোভেরার পাতার মধ্যেই থাকে এই লেটেক্স। কেউ যদি কোন ভাবে এই লেটেক্স
খায় তাহলে তার শরীরের বিভিন্ন রোগের কারণ হতে পারে। এই অ্যালোভেরা লেটেক্স
পেট ব্যাথাসহ আরো নানান ধরনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হওয়ার আশঙ্কা
থাকে। শুধু তাই নয় এই লেটেক্স দীর্ঘমেয়াদী ব্যবহার করার ফলে কিডনির
সমস্যা, ডায়রিয়া, প্রসাবে রক্ত, পটাশিয়ামের ঘাটতি, ওজন
হ্রাস, পেশি দুর্বলতা এবং হার্ট অ্যাটাকের মতো সমস্যাও দেখা দিতে পারে।
এছাড়াও এলোভেরা লেটেক্স অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে গর্ভের বাচ্চাও নষ্ট হয়ে
যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।এর পাশাপাশি গর্ভধারিনী মায়ের বুকের দুধ সন্তানকে খাওয়ার
মাধ্যমে ক্ষতিকর প্রভাব মায়ের শরীর থেকে সন্তানের শরীরে করে, বিভিন্ন
চিকিৎসাবিদদের মতে। তবে চিকিৎসাবিদ্রা জানিয়েছেন, অ্যালোভেরা সবুজ
পাতা সেক্ষেত্রে নিরাপদ। কিন্তু অবশ্যই এলোভেরার পাতা একটু বেশি পুরাতন ভাব
হয়ে গেলে কিংবা হলদেভাব হয়ে গেলে এই পাতাকে বর্জন করা উচিত।
লেখকের মন্তব্য
প্রিয় পাঠক, এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনি
নিশ্চয়ই এতক্ষণে জেনে গেছেন এলোভেরা মুখে দিলে মুখ চুলকায় কেন এবং অ্যালোভেরা
মুখে দিলে কি উপকার হয়। যেহেতু এলোভেরার অনেক উপকারও রয়েছে এবং এলোভেরার কিছু
ক্ষতির দিক রয়েছে সেহেতু আমাদের প্রত্যেকেরই উক্ত বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে
জানা উচিত। যদি এ আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে আপনার কোথাও সমস্যা হয়ে থাকে বা
কোথাও বুঝতে না পারেন,
তাহলে অবশ্যই আমাদেরকে কমেন্টে জানিয়ে যাবেন কারণ আমরা সাথে সাথেই সে বিষয়টি
আপনাকে জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব। আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনার কাছে অনেক ভালো
লেগেছে এবং এই আর্টিকেলটি আপনার অনেক উপকারে আসবে, তাই এই আর্টিকেলটি আপনার কাছে
ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না।
কেননা আপনার মাধ্যমে আপনার বন্ধুরা জানতে পারবে এলোভেরা মুখে দিলে মুখ চুলকায়
কেন এবং অ্যালোভেরা মুখে দিলে কি উপকার হয় সে বিষয়ে। আর অবশ্যই আমাদের এই
ওয়েবসাইটে নিয়মিত ভিজিট বা ফোলো করার চেষ্টা করবেন। কারণ আমরা এই ওয়েবসাইটে
নিয়মিত নতুন নতুন ব্লক পোস্ট বা আর্টিকেল পাবলিশ করে থাকি। আসসালামু আলাইকুম।
সাগর ম্যাক্স এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url