অ্যালোভেরা মুখে মাখলে কি হয় - অ্যালোভেরার ক্ষতিকর দিক

এলোভেরা মুখে দিলে মুখ চুলকায় কেনপ্রিয় পাঠক, আপনি নিশ্চয়ই অনেক খোঁজাখুঁজি করছেন, অ্যালোভেরা মুখে মাখলে কি হয় এবং অ্যালোভেরার ক্ষতিকর দিক। তাহলে বন্ধু আপনাকে আর কোন জায়গা খোঁজাখুঁজি লাগবে না কারণ আমরা এই পোস্টটের মাধ্যমে আপনাকে এমনভাবে বোঝানোর চেষ্টা করব অ্যালোভেরা মুখে মাখলে কি হয় এবং অ্যালোভেরার ক্ষতিকর দিক।
অ্যালোভেরা-মুখে-মাখলে-কি-হয়
যেন এ পোস্টটি পড়ার পর আপনাকে অন্য পোস্ট আর পড়া না লাগে। এবং এ পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে আপনি আরও অ্যালোভেরা বিষয়ক আরো অনেক অজানা তথ্য সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জানতে পারবেন। আশা করি এ পোস্টটি আপনার অনেক উপকারে আসবে। তাহলে চলুন দেরি না করে আমরা জেনে আসি অ্যালোভেরা মুখে মাখলে কি হয় এবং অ্যালোভেরার ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে।
পোস্ট সূচিপত্রঃ

ভূমিকা

আপনি কি জানেন, বহুদিন থেকে ডায়াবেটিসের প্রাকৃতিক চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়ে থাকে অ্যালোভেরা জুস। এছাড়াও অ্যালোভেরা অল্প কিছু কাটা, পোড়া, এলার্জি এবং ত্বকের সমস্যায় ইত্যাদি সারাতে খুব কার্যকর, ও অ্যালোভেরা আমাদের ত্বকের আদ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। তাই আমাদের প্রত্যেকেরই অ্যালোভেরা সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে রাখা উচিত।সেজন্য আপনি এই পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে জানতে পারবেন,

অ্যালোভেরা মুখে মাখলে কি হয়, অ্যালোভেরা জেল মুখে ব্যবহারের নিয়ম, চুলে এলোভেরা দিলে কি হয়, অ্যালোভেরা জেল চুলে ব্যবহারের নিয়ম এবং এলোভেরার ক্ষতিকর দিক। তাহলে চলুন দেরি না করে এই সমস্ত বিষয়ে আমরা বিস্তারিতভাবে জেনে আসার চেষ্টা করি। আশা করি এই পোস্টটি আপনার অনেক উপকারে আসবে। এবং এ পোস্টটি পড়ে আপনি অনেক উপকৃত হবেন, কারণ এ পোস্টটি আমরা অ্যালোভেরার সঠিক দিক নিয়ে আলোচনা করেছি।

অ্যালোভেরা মুখে মাখলে কি হয়

আপনি কি জানেন অ্যালোভেরার কত গুন? অ্যালোভেরা কে বলা হয়ে থাকে জাদু করি ভেষজ। অ্যালোভেরার আমাদের ত্বকের জন্য বেশ উপকারী এবং এর পাশাপাশি এই অ্যালোভেরাটি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্যও অনেক উপকারী। আপনি যদি অ্যালোভেরার সঠিক উপায়ে মুখে মারতে পারেন, আপনার ত্বক হয়ে যাবে অনেক উজ্জ্বল। এবং আপনার ত্বককে সব সময় ঠান্ডা রাখবে।

শুধু তাই নয় আপনার ত্বক ভীষণভাবে উজ্জ্বল করবে এর পাশাপাশি আপনার মুখের কালো দাগ ও ব্রণের দাগগুলোকে দূর করে দিবে। অ্যালোভেরার এই সকল উপকার গুলো পেতে আপনাকে অবশ্যই এলোভেরার জেল বানিয়ে নিতে হবে। অবশ্য আমরা এর পরের অংশে আপনাকে জানানোর চেষ্টা করব কিভাবে আপনি অ্যালোভেরার জেল তৈরি করবেন এবং ব্যবহার করবেন। ত্বকের জন্য অ্যালোভেরাটি নিয়মিত ব্যবহার করতে পারেন।

কারণ আমরা প্রতিদিন বাইরে কোন না কোন দৈনন্দিন কাজে ব্যস্ত থাকি। সেজন্য আমাদের ত্বকে অনেক রোদ ও ধুলা বালিতে ত্বকের অবস্থা একেবারে নষ্ট হয়ে যায়। কেউ কেউ আছেন এ অবস্থায় পার্লারে গিয়ে আপনার পথ ঠিক করেন, কিন্তু তারপরও টক আপনি সুন্দরভাবে ম্যাসাজ করতে পারেন না। অনেক বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, ত্বকের যত্নে সবচেয়ে ভালো উপকারী উপাদান হিসেবে অ্যালোভেরার সবথেকে ভালো।

কেননা প্রাকৃতিক উপাদানের কোন প্রকার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই। সেজন্য আমাদের সকলকেই ত্বককে সুন্দর রাখার জন্য প্রাকৃতিক উপাদান গুলো বেশি বেশি করে ব্যবহার করা উচিত। সেজন্য বলাই যায় অ্যালোভেরা এক্ষেত্রে আমাদের ত্বকের জন্য বেশ উপকারী। এতক্ষণ তো আমরা শুধু জানলাম অ্যালোভেরা মুখে মাখলে কি হয়। তবে আরো অ্যালোভেরা সম্পর্কে জেনে নি অ্যালোভেরা আসলে কি করতে পারে।
  • আমাদের ত্বকের বলিরেখাগুলো দূর করতে পারে অ্যালোভেরা।
  • এই অ্যালোভেরাটি মেকআপ উঠাতে প্রাকৃতিক উপাদান হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
  • আমাদের ত্বককে সব সময় সজীব রাখে।
  • সব সময় ত্বকের সৌন্দর্য ধরে রাখতে সাহায্য করে।
  • সান বার্ন দূর করে থাকে।
  • আমাদের পায়ের গোড়ালি ফাটা অংশগুলো কমিয়ে থাকে এলোভেরা।
  • অ্যালোভেরারটি আমাদের চুলকে বৃদ্ধি করে ও মজবুত করে।
  • আমাদের ত্বকের যৌবনকে ধরে রাখতে সাহায্য করে অ্যালোভেরা।

অ্যালোভেরা জেল মুখে ব্যবহারের নিয়ম

আমরা পোস্টটি এবং সে জানতে চলেছি অ্যালোভেরা জেল মুখে ব্যবহার নিয়ম সম্পর্কে। আপনি শুধুমাত্র ৭ নিয়মে এলোভেরা জেল মুখে ব্যবহার করলেই আপনার মুখ হয়ে যাবে উজ্জ্বল এবং এর পাশাপাশি আপনার ত্বক হয়ে থাকবে সব সময় আকর্ষণীয়। আপনি শুধু অল্প খরচ করলেই বাজার থেকে এই অ্যালোভেরার কিনতে পারবে, আপনার রূপচর্চার জন্য এই অ্যালোভেরা টি আপনাকে সতেজ এবং সুন্দর আর উজ্জীবিত রাখবে সবসময়। তাহলে চলুন আপনি ঝটপট ৭টি উপায় জেনে নিন কিভাবে আপনি অ্যালোভেরা জেল মুখে ব্যবহার করবেন।

এলোভেরা জেল মুখে ব্যবহারের নিয়ম হিসেবে ৭টি উপায় নিচে দেওয়া হলঃ

১। আপনি যদি চান অ্যালোভেরা ব্যবহার করে ত্বকের মৃত কোষ দূর করতে। তাহলে আপনাকে অ্যালোভেরার মাস্ক তৈরি করতে হবে। মাস্কটি মাছটি তৈরি করতে আপনার লাগবে এক চা চামচ ফ্রেশ অ্যালোভেরার জেল যা ব্লেন্ডারে ফেটে নিন। তারপর এক চা চামচ ওটমূলের গোড়া আর এর সঙ্গে এক বা দুই চা চামচ অলিভ অয়েল তেল মিশিয়ে মাস্কটি মুখে আর গলায় কমপক্ষে ৩০ মিনিট রাখুন। তারপর শুকিয়ে গেলে সুন্দরভাবে ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে ফেলেন। সপ্তাহে অন্তত একবার একটু ব্যবহার করুন অনেক ভালো ফলাফল পাবেন আপনি।

২। আপনার সুস্থ ত্বকের যত্নের জন্য কসমেটিক্সে এই অ্যালোভেরাটি থাকে, কেননা অ্যালোভেরাটি ত্বককে সব সময় সজীব করে রাখে যা আপনিও খুব সহজে বাসায় তৈরি করতে পারবেন। সেজন্য আপনি বাজার থেকে একটি অ্যালোভেরার কিনে নিয়ে আসবেন তারপর সেটি ছুরি দিয়ে সুন্দরভাবে ছিলে নিন, তারপর ভিতরের অংশটুকু দিয়ে মুখে ত্বকে লাগান তাহলে আপনার তো হয়ে যাবে উজ্জ্বল ও নরম।

৩। আমাদের বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চামড়ায় বিভিন্ন ধরনের ভাজ পড়ে যায়, এ সকল ভাজ গুলো খুব সহজে রুকতে পারবেন, শুধুমাত্র অ্যালোভেরা ব্যবহার করে। কারণ এলোভেরাটি এন্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান সমৃদ্ধ। এই জেল টি আপনার ত্বকের ভেতরে প্রবেশ করবে তারপর এর ভিটামিন এ বি সি উপাদানগুলো ত্বকের পুষ্টি যোগাবে। আপনার ত্বকের রোদে পোড়া দাগ ও ত্বকের আদ্রতা ঠিক রাখতে এটি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। শুধুমাত্র দুই চা চামচ এলোভেরা জেল আর অর্ধেক লেবুর রস মিশিয়ে এই মাস্ক সান বর্ন হয়ে যাওয়া ত্বকে লাগানোর অন্তত ৫ মিনিট পরে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন আপনার মুখ। অল্প দিনেই ভালো ফলাফল পাবেন।

৪। আপনার ঠোঁট উজ্জ্বল রাখার জন্য এবং ঠোঁট নরম আর মসৃণ রাখার জন্য অ্যালোভেরা নিয়মিত ব্যবহার করতে পারেন। আপনি যদি নিয়মিত এলোভেরা জেল ঠোঁটে লাগিয়ে রাখেন তাহলে আপনার ঠোঁট উজ্জ্বল হবে। সেজন্য আপনাকে এক টেবিল চা চামচ চালের গুড়া এবং এলোভেরা জেল মিশিয়ে আস্তে আস্তে এই মিশ্রণটি ঠোঁটে লাগিয়ে অন্তত ৫ মিনিট পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। তারপর আপনি দেখুন আপনার ঠোঁট কতটা উজ্জ্বল, মসৃণ ও কোমল হয়ে ওঠে।

৫। অ্যালোভেরাটির প্রাকৃতিক উপাদান গুলো এন্টিব্যাকটেরিয়াল একনে সারাতে এবং এর পাশাপাশি নতুন কোষ জন্মাতে কার্যকরী হিসেবে কাজ করে। সেজন্য আপনাকে এলোভেরার জেল আইস কিউব ট্রেতে করে এলোভেরার আইস কিউব তৈরি করার পর এই কিউবটি দিনে অন্তত ২-৩ বার আপনার একনেতে ঘষন আপনার একনের সমস্যা দূর হয়ে যাবে।

৬। আপনি আপনার ত্বকের পাশাপাশি চুলের যত্নেও অ্যালোভেরা ব্যবহার করতে পারেন।অ্যালোভেরা মাথার ত্বকে ব্যবহারে (PH) ঠিক রাখতে সাহায্য করে থাকে এবং এ সে সঙ্গে খুশকিও দূর করে। সেজন্য আপনাকে ২ঃ১ অনুপাতে এলোভেরা জেল এবং তার সঙ্গে ক্যাস্টর অয়েল মেশানোর পর কথার ত্বকে লাগিয়ে সারা রাত রেখে দিবেন।তারপর সকালে ঘুম থেকে উঠে শ্যাম্পু দিয়ে সুন্দরভাবে ধুয়ে ফেলবে।আপনার চুলের খুশকি সব সময় মুক্ত থাকবে।

৭। আপনি কি জানেন অ্যালোভেরার অ্যান্টিসেপটিক গুনাগুনও বেশ উল্লেখযোগ্য। তাই অ্যালোভেরার পাতাকে বেটে জেল তৈরি করে ফ্রিজের রাখুন। তারপর কখনো কোন সময় যদি আপনার কোন কিছুতে হাত কেটে যায় কিংবা ক্ষত হয়ে যায় তাহলে দিনে অন্তত দুইবার ব্যবহার করুন আশা করি তাড়াতাড়ি আপনার কাটা দাগ বা ক্ষত দাগ দূর হয়ে যাবে।

চুলে এলোভেরা দিলে কি হয়

এতক্ষণে আমরা সকলেই জেনে গেছি অ্যালোভেরা আমাদের ত্বকের জন্য বেশ উপকারী। আপনি কি জানেন ত্বকের পাশাপাশি অ্যালোভেরা আমাদের চুলের জন্যই বেশ উপকারী। যদি না জানেন তাহলে পোস্টটির এই অংশটুকু পড়তে থাকুন। অ্যালোভেরা হচ্ছে বাংলার মানুষের কাছে ঘৃতকুমারী। এই অ্যালোভেরাটি আমাদের হজমের সমস্যা দূর করে ও ত্বক এবং চুলের যত্নে বিশেষভাবে কাজ করে থাকে।

এই অ্যালোভেরা বর্তমান সময়ে বিভিন্নভাবে প্রসাধনী হিসেবে পাওয়া যায়, যার মধ্যে সবথেকে অন্যতম হলো অ্যালোভেরা জেল। কিন্তু বাজারে যে সকল জেল বিক্রি করা হয়ে থাকে, তাতে অনেক ভেজাল থাকে। সেজন্য সব থেকে ভালো হয় অ্যালোভেরা জেল ঘরে তৈরি করতে পারলে।

চুল পড়া বন্ধ ও চুল চকচকে ও সুন্দর করতে ব্যবহার করতে পারেন অ্যালোভেরা জেল। আপনি যদি সঠিক নিয়মে অ্যালোভেরা জেল চুলে ব্যবহার করতে পারেন, তাহলে আপনার চুল হবে মজবুত ও ঝলমলে। তাহলে চলুন নিচের অংশ থেকে আমরা জেনে আসি স্বাস্থ্যোজ্জ্বল চুল পেতে কিভাবে ব্যবহার করব অ্যালোভেরা জেল।

অ্যালোভেরা জেল চুলে ব্যবহারের নিয়ম

অ্যালোভেরা জেল চুলে ব্যবহারের নিয়ম ৬টি নিচে দেওয়া হল

১। আপনারা যারা অল্প সময়ের মধ্যে চুলের যত্ন নিতে চান, তারা তাদের চুলের যত্নে অ্যালোভেরা ব্যবহার করতে পারেন। অল্প একটু এলোভেরা জেল হাতে নিয়ে মাথার তালুতে ম্যাসাজ করুন।তারপর সেটি মাথাতে অন্তত দুই ঘন্টা রেখে দিন, এরপর ঠান্ডা পানি ও শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। আপনি যদি ভালো ফলাফল পেতে চান তাহলে নিয়মিত এভাবে এলোভেরা জেল ব্যবহার করুন। কারণ নিয়মিত ব্যবহারের ফলে চুল পড়া বন্ধ থেকে শুরু করে নতুন চুলও গজাবে।

২। আপনার চুলের সুস্থতার জন্য অ্যালোভেরা শ্যাম্পু ব্যবহার করতে পারেন নিয়মিত। কিছু হারবাল বা মাইল্ড শ্যাম্পু এলোভেরা সমৃদ্ধ থাকে। সেজন্য চাইলে সাধারণ শ্যাম্পুতে কিছুটা অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে হারবাল শ্যাম্পু বানিয়ে চালিয়ে নিতে পারেন।

৩। চুল যদি সব সময় পরিষ্কার রাখতে চান তাহলে শ্যামপুর বদলে এলোভেরা হেয়ার প্যাক ব্যবহার করুন। সেজন্য আপনি নারিকেল তেল ও লেবুর রস এবং নারিকেলের দুধের সাথে অ্যালোভেরা মিশিয়ে ব্যবহার করুন। তাহলে আপনার চুল সব সময় সতেজ থাকবে।

৪। আপনি নিয়মিত যে পরিমাণ শ্যাম্পু ব্যবহার করেন তার কিছু অংশ নিয়ে সেটা এলোভেরা জেল দিয়ে পূরণ করে নিন। তাহলে আপনার চুল কখনোই রুক্ষ হবে না।

৫। আপনি কি চাচ্ছেন আপনার চুল সুস্থ রাখতে, তাহলে দেরি না করে আজ থেকে তেল ব্যবহার করুন।সেক্ষেত্রে আপনি জলপাই বা নারীকেল তেলের সাথে অ্যালোভেরা মিশিয়ে চলে লাগাতে পারেন। আর আপনি যদি চান তাহলে ঘরে বসেই বানাতে পারবেন খুব সহজে এলোভেরা হেয়ার অয়েল। সেজন্য আপনাকে চারভাগের এক ভাগ অ্যালোভেরা জেল এর সাথে ভেজিটেবল অয়েল মিশ্রণ করে নিতে হবে।

এরপর মিশ্রণটি ১০ মিনিট গরম করার পর ঠান্ডা করে নিতে হবে। এই অয়েলটি সুস্থ জায়গায় সংরক্ষণ করুন। আপনি যদি এই অয়েলটি নিয়মিত ব্যবহার করেন তাহলে আপনার খুশকি দূর হবে ও চুল পড়া কমবে। এর পাশাপাশি খুশকি দূর করতে লেবুর রস এবং নারকেল তেলের সাথে এলোভেরা জেল মিশিয়ে চুলের গোড়ায় লাগাতে হবে।

৬। আপনার চুলের ঝলমলে ভাব আনতে কন্ডিশনার হিসেবে অ্যালোভেরা ব্যবহার করতে পারেন।আমরা অনেক সময় রোদ এবং গোলাবাড়িতে চুলকে নষ্ট করে ফেলে। তখন চুল দুর্বল হয়ে মাঝখান থেকে ভেঙে পড়ার আশঙ্কা দেখা দেয়। সেজন্য শ্যাম্পু করার পরে নিয়মিত এলোভেরা কন্ডিশনার ব্যবহার করতে পারেন, কারণ এই সমস্যায় বেশ উপকারী হিসেবে কাজ করে অ্যালোভেরা।

বাজার থেকে না কিনে আপনি চাইলে বাসায় বসে বানিয়ে নিতে পারেন কন্ডিশনার।সেজন্য আপনাকে গামলার পানিতে একটি লেবুর রস মিশাতে হবে, এবং তার সঙ্গে ৫ ফোটা নারিকেল তেল অথবা তিলের তেলের সাথে এলোভেরা জেল মিশিয়ে কন্ডিশনার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন।

অ্যালোভেরার ক্ষতিকর দিক

আমরা সকলেই জানি যে জিনিসের ভালো দিক থাকে, সেই জিনিসের অবশ্যই ক্ষতিকর দিক থাকবে এটাই স্বাভাবিক। সেজন্যই মূলত আমরা এখন জানতে চলেছি অ্যালোভেরার ক্ষতিকর দিক কি সে সম্পর্কে।

নিচে কিছু অ্যালোভেরার ক্ষতিকর দিক দেওয়া হলঃ

  • আপনি যদি অতিরিক্ত পরিমাণে এলোভেরা ব্যবহার করেন তাহলে এলার্জি গঠিত রোগ যেমনঃ (চামড়ায় রেস্ট ও দাদ ইত্যাদি) হতে পারে। এছাড়াও আপনার শ্বাস নিতে অসুবিধা, ঘাড়ে ও বুকে ব্যথা ইত্যাদি এ সকল লক্ষণ দেখা দেওয়ার আশঙ্কা থাকে।
  • অ্যালোভেরার গাছটিতে লেটেক্স থাকার কারণে অনেক প্রকাশ স্বাস্থ্য সমস্যা যেমনঃ (কলোন ডিজিজ, ডাইভারটিটুলসিস, আলসার, লিভার সিরোসিস, অর্শ, হেপাটাইটিস, কলাইটিস ক্ষুদ্রন্ত্রের রোগ ও এপেগুিসাটিস) ইত্যাদি।
  • ১২ বছরের কম বয়সী এবং গর্ভবতী মহিলাদের এটি সেবন করা মোটেই ঠিক নয়।
  • অ্যালোভেরাই রয়েছে প্রচুর পরিমাণে লেনেটিভ আস্থারোকইনোন। যার ফলে পেট ব্যথা, ডিহাইড্রেশন ও ডায়রিয়া ইত্যাদি সমস্যা দেখা দিতে পারে।
  • আপনি যদি গ্যাসের সমস্যায় ভুগে থাকেন এবং আন্ত্রিক রোগে ভুবেন, তাহলে কখনো আপনি অ্যালোভেরা খাবেন না। কারণ আপনি যদি অতিরিক্ত পরিমাণে এলোভেরা খান তাহলে আপনার শরীরে জটিল সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে।
  • অপরিশোধিত অ্যালোভেরা শরীরে ডিহাইড্রেশন এবং মূত্রের রং বাদামী অথবা লাল করে দিতে পারে।
  • অতিরিক্ত পরিমাণে অ্যালোভেরা অনিয়মিত হার্টবিটের সৃষ্টি করতে পারে অ্যাডেরিলিনের বাড়ানোর পাশাপাশি হৃদপিন্ডের ক্ষতি করে থাকে এবং শরীরে পটাশিয়ামের মাত্রা কমিয়ে আনে।
  • আপনি যদি আপনার চিকিৎসাধীন অবস্থায় এলোভেরা খান তাহলে আপনার বিভিন্ন সাইড ইফেক্ট দেখা দিতে পারে।
  • দীর্ঘদিন যাবত যদি আপনি অ্যালোভেরা খান তাহলে আপনার আন্ত্রিক ক্যান্সারের সম্ভাবনা দেখা দিতে পারে।
  • চিকিৎসকের চিকিৎসাধীন ডায়াবেটিস রোগীরা অ্যালোভেরা যদি খায় তবে সুগারের মাত্রা বেশি কমে যাওয়ার সম্ভাবনা পারে।
  • অতিরিক্ত অ্যালোভেরা আপনার কিডনির মারাত্মক ভাবে ক্ষতি করতে পারে।
  • অ্যালোভেরা শরীরের ওজন কমিয়ে দেয় এবং কষ্টকাঠিন্য রোগ সৃষ্টি করতে পারে।

শেষ কথা

প্রিয় পাঠকগণ, আমরা এই পোস্টটি সম্পন্ন পড়ার মাধ্যমে যে সমস্ত বিষয়গুলো জানতে পারলাম সেগুলো হল, অ্যালোভেরা মুখে মাখলে কি হয়, অ্যালোভেরা জেল মুখে ব্যবহারের নিয়ম, চুলে এলোভেরা দিলে কি হয়, অ্যালোভেরা জেল চুলে ব্যবহারের নিয়ম এবং এলোভেরার ক্ষতিকর দিক। যেহেতু আমরা অ্যালোভেরা বিভিন্ন উপায়ে ব্যবহার করে থাকি, এছাড়াও আমাদের জন্য অ্যালোভেরা অনেক গুরুত্বপূর্ণ, সেহেতু আমাদের সকলেরই উক্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে জেনে রাখা উচিত।

এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আশা করি এই পোস্টটি আপনার অনেক উপকারে আসবে। আর এই পোস্টটি যদি আপনার কাছে ভালো লেগে থাকে তাহলে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। এছাড়াও আপনি নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন, কারণ আমরা এই ওয়েবসাইটে নিয়মিত নতুন নতুন ব্লক পোস্ট বা আর্টিকেল পাবলিশ করে থাকে। আসসালামু আলাইকুম।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সাগর ম্যাক্স এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url