কক্সবাজারে দেখার জন্য সেরা ১০টি স্থান - কক্সবাজার দর্শনীয় স্থান কেন

গার্লফ্রেন্ডকে কি গিফট করা যায়প্রিয় পাঠক, আমাদের মধ্যে অনেকে আছেন যারা জানতে চান, কক্সবাজারে দেখার জন্য সেরা ১০টি স্থান সম্পর্কে। তাদেরকে আমরা এই পোষ্টের মাধ্যমে জানাবো কক্সবাজারে দেখার জন্য সেরা ১০টি স্থান এবং কক্সবাজার দর্শনীয় স্থান কেন?। তাই আপনি যদি কক্সবাজারে দেখার জন্য সেরা ১০টি স্থান, সম্পর্কে না জানেন তবে,
কক্সবাজারে-দেখার-জন্য-সেরা-১০টি-স্থান
আপনি যদি আমাদের এই পোস্টটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন তাহলে এ সকল বিষয় সম্পর্কে আপনি বিস্তারিত ভাবে জানতে পারবেন। এছাড়াও এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনি কক্সবাজার বিষয় সম্পর্কে আরো বিস্তারিত অজানা তথ্য জানতে পারবেন। আশা করি এই পোস্টটি আপনার অনেক উপকারে আসবে। তবে চলুন দেরি না করে কক্সবাজারে দেখার জন্য সেরা ১০টি স্থান জেনে আসি।
পোস্ট সূচিপত্রঃ

ভূমিকা

আমরা অনেকেই চাই ভ্রমণ করতে, এবং ভ্রমণ আমরা খুব ভালোবাসি আর সেটা যদি হয় কক্সবাজার তাহলে তো কোন কথাই নেই। কেননা কক্সবাজারে এমন দশটি স্থান রয়েছে, সে স্থানগুলো দেখার মত। আপনি যদি কখনো কোনদিন কক্সবাজারে যান তবে এই দশটি স্থান অবশ্যই আপনি দেখবেন। কারণ এই দশটি স্থানের মধ্যে এমন কিছু রয়েছে, সেগুলো আপনি সুন্দরভাবে উপভোগ করতে পারবেন। সে জন্যই মূলত আমরা এই পোস্টটির মাধ্যমে আপনাদেরকে জানাবো, কক্সবাজারে দেখার জন্য সেরা ১০টি স্থান সম্পর্কে।
এছাড়াও এই প্রশ্নের মাধ্যমে আপনি আরো জানতে পারবেন, বাংলাদেশের সবচেয়ে সুন্দর জায়গা কোনটি, কক্সবাজার এর অপর নাম কি, কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত এর নাম কি, কক্সবাজার কি কি পাওয়া যায়, কক্সবাজার কিসের জন্য বিখ্যাত এবং কক্সবাজার দর্শনীয় স্থান কেন। তবে চলুন এই পোষ্টির মাধ্যমে এ সকল বিষয় সম্পর্কে আমরা স্টেপ বাই স্টেপ জানার চেষ্টা করি।

বাংলাদেশের সবচেয়ে সুন্দর জায়গা কোনটি

যদিও আমাদের এই পোস্টটিতে আসার মূল উদ্দেশ্য কক্সবাজারে দেখার জন্য সেরা ১০টি স্থান তবুও আমাদের সকলেরই জানা প্রয়োজন, বাংলাদেশের সবচেয়ে সুন্দর জায়গা কোনটি। প্রথমেই বলতে চাই আমাদের বাংলাদেশ অনেক সুন্দর সুন্দর জায়গা রয়েছে দেখার মত, আপনি যদি ভ্রমণ পিপাসী মানুষ হয়ে থাকেন, তাহলে আপনি অবশ্যই এ সকল জায়গাগুলোতে ঘুরে আসতে পারেন।

আপনি যদি এ সকল জায়গাগুলোতে চান, তাহলে আপনার নিজের কাছে মনে হবে আপনার জীবন সার্থক। কারন অনেক বিশেষজ্ঞদের মধ্যে জানা গেছে, যারা ভ্রমণ করে নিয়মিত তাদের মন-মানসিকতা অনেক ভালো থাকে। তাদের ইচ্ছাশক্তি অনেক বেড়ে যায়। যাই হোক ওইদিকে না যায়, বাংলাদেশটা কতটা সুন্দর সেটা আমাদের সকলেরই দেখা উচিত। তাই বাংলাদেশটা কতটা সুন্দর সেটি দেখতে হলে আপনাকে ভ্রমণ করতে হবে।

কেননা আপনি ভ্রমণের মাধ্যমে জানতে পারবেন, বাংলাদেশের কোথায় কত সুন্দর জায়গা রয়েছে। তাই আপনাদেরকে এখন আমরা জানানোর চেষ্টা করব বাংলাদেশের সবচেয়ে সুন্দর জায়গা কোনটি বা কোনগুলো।

যাইহোক, এতক্ষণ আপনাদেরকে অনেক কথা বললাম তবে চলুন এখন আমরা জেনে আসি বাংলাদেশের সবচেয়ে সুন্দর জায়গা।

  • কক্সবাজার
  • সুন্দরবন
  • সেন্টমার্টিন দ্বীপ
  • কুমিরা ঘাট
  • সাজেক ভ্যালি
  • নিঝুম দ্বীপ
  • কুয়াকাটা
  • সোনাইছড়ি ট্রেইল
  • বাওয়াছড়া লেক সীতাকুণ্ড
  • বাঁশখালী সমুদ্র সৈকত
  • ঝরঝরি ঝর্ণা
  • কাপ্তাই লেক রিসোর্ট
  • পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত
  • কুমারীকুন্ড
  • নীলগিরি
  • সৈকত জাফলং
  • সোনামসজিদ
  • বান্দরবান
  • কুসুম্বা মসজিদ
  • খাগড়াছড়ি
  • মহামায়া লেক
  • চন্দ্রনাথ পাহাড়
  • বিরিশিরি
  • টাঙ্গুয়ার হাওড়
  • নারায়ণগঞ্জের বাংলার তাজমহল
  • গাজীপুরে সাফারি পার্ক
  • নিঝুমদ্বীপ নোয়াখালী
  • শ্রীমঙ্গল
  • আহসান মন্জিল
  • মহাস্থানগড়
  • লালবাগের কেল্লা
  • চর কুকড়ি
  • রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্ট
  • বিছানাকান্দি
  • স্বপ্নপুরী
  • ভিন্ন জগৎ
  • রাঙ্গামাটি
  • ভাষমান পেয়ারা বাজার

কক্সবাজার এর অপর নাম কি

কক্সবাজার এর অপর নাম হল পালংকি। কারণ কক্সবাজার নামটি এসেছে ক্যাপ্টেন হিরাম কক্স (গ্রাম কক্স >১৭৬০-১৭৯৯< একজন ব্রিটিশ কূটনীতিক, যিনি ১৮ শতকে বঙ্গ ও বার্মায় কর্মরত ছিলেন। বাংলাদেশের কক্সবাজার শহরটির নাম তার নামে নামকরণ হয়েছিল) নামে, ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির (এই শিরোনামটি একের অধিক পাতাকে বোঝাচ্ছে) এক অফিসারের নাম থেকে।

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত এর নাম কি

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত এর নাম "লাবনী বিচ"। বাংলাদেশের সমুদ্র সৈকত বলতে প্রথমে চোখে ভেসে ওঠে পুরাতন সি-বিচ যেটা মূলত লাবনী পয়েন্ট বা পুরাতন সি-বিচ নামেও পরিচিত। সমুদ্র দেখতে বাঙালি মাত্র ছুটে যান কক্সবাজারের এই সি-বিচে। বিভিন্ন জায়গা থেকে কক্সবাজার গামী বাসে করে কলাতলী সি-বিচ নেমে পায়ে হেঁটে অথবা রিসকাই করে যেতে পারবেন এই বিচে।
কক্সবাজার শহর থেকে নৈকট্যের কারণে লাবনী বিচকে কক্সবাজারের প্রধান সমুদ্র সৈকত বলে বিবেচিত করা হয়ে থাকে। নানান ধরনের জিনিসের পসরা সাজিয়ে সৈকত সংলগ্ন এলাকায় রয়েছে ছোট-বড় অনেক দোকান যেগুলো পর্যটকদের আকর্ষণ করে তুলেছে। এছাড়াও এখানে পর্যটকদের জন্য গড়ে উঠেছে ঝিনুক মার্কেট। সীমান্তপথে মিয়ানমার, থাইল্যান্ড এবং চীন প্রভৃতি দেশ থেকে আসা বাহারি জিনিসপত্র নিয়ে গড়ে উঠেছে এই সব ধরনের মার্কেটগুলো।

কক্সবাজারে দেখার জন্য সেরা ১০টি স্থান

কক্সবাজারে দেখার জন্য সেরা ১০টি স্থান

1. মহেশখালী
মহেশখালী

বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বিভাগের কক্সবাজার জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা হচ্ছে মহেশখালী। মহেশখালী অঞ্চলটি কক্সবাজারের একটি বাটি অঞ্চল দ্বীপ রূপ পরিচিত। এছাড়া মহেশখালী বাংলাদেশের একমাত্র পাহাড়ি দ্বীপ। এই দিকটি সকলের কাছেই মহেশখালী দ্বীপ নামে পরিচিত লাভ করেন।

2. ইনানী বিচ
ইনানী বিচ

ইনানী বিচ কক্সবাজার থেকে ২৩ কিলোমিটার আর হিমছড়ি থেকে ১৪ কিলোমিটার দূরে। ভাটার সময় ইনানী বিচ সেন্টমার্টিনের মত প্রবাল পাথরের দেখা মিলে। ইনানী বিকে কক্সবাজারের মত সাগর এত উত্তাল থাকে না আর এই শান্ত সাগরে পর্যটকদের আরও বেশি বিমোহিত করে তুলেছে। ইনানী বিচ ভ্রমণের জন্য সবথেকে আদর্শ সময় হচ্ছে বিকেল বেলায়।

যদিও বা বিকেল বেলায় ইনানী বিচে পর্যটক তুলনামূলক অনেকটাই কম থাকে আর সাথে অপূর্ব সূর্যাস্ত দেখার সুযোগ হাতছাড়া করা পরবর্তীতে আপনার অনেক আফসোসের কারণ হতেও পারে। তাছাড়াও টেকনাফ গামে মেরিন ড্রাইভ রোড দিয়ে ইনানী বিচে যাবার সময় সমুদ্র তীরের সাম্পান হিমছড়ির পাহাড়, নারিকেল ও ঝাউবন গাছে হাড়ি আর চারপাশের প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখে আপনার ভ্রমণের সমস্ত ক্লান্তি দূর হয়ে মন মুগ্ধময় হয়ে উঠবে।

3. মেরিন ড্রাইভ সড়ক
মেরিন ড্রাইভ সড়ক
টেকনাফ-কক্সবাজার মেরিন ড্রাইভ ৮০ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি সড়ক। যেটি বঙ্গোপসাগর এর পাশ দিয়ে কক্সবাজারের কলাতলী সৈকত থেকে টেকনাফ পর্যন্ত বিস্তৃত। মেরিন ড্রাইভ সড়কটি বর্তমানে পৃথিবীর দীর্ঘতম। বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এটি উদ্বোধন করেন ২০১৭ সালের ৬ই মে।

4. লামাপাড়া খিয়াং
লামাপাড়া খিয়াং
লামাপারা খিয়াং কক্সবাজার জেলার পফেখারকুল ইউনিয়নে বামু বাসস্ট্যান্ড থেকে এক কিলোমিটার দূরে বাকখালী নদীর তীরে অবস্থিত। ১৯ শতকের শুরুর বামুরথু অং গিয়াও চৌধুরী লামাপাড়া খিয়াং নির্মাণ করেছিলেন। বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম যুদ্ধ মূতি হিসেবে স্বীকৃতি লামাপাড়া খিয়াংয়ের মার্বেল পাথরের মঞ্চের ওপর স্থাপিত পিতলের যুদ্ধ মোহিত আকারের দিক দিয়ে।

খিয়াংয়ের স্থাপত্যশৈলী আগত দর্শনার্থীদের মনোমুগ্ধ করে তুলেছে। আর এই ধরনের খেয়াং কক্সবাজার জেলার প্রায় সকল থানায় রয়েছে। কেবলমাত্র বামুতে প্রায় তেইশটি ধ্যান রয়েছে এদের মধ্যে।

5. শাহপরীর দীপ
শাহপরীর দীপ
টেকনাফের সর্ব দক্ষিণা ভূভাগের খুবই নিকটবর্তী একটি দ্বীপ হচ্ছে শাহপরীর দীপ। যেটি মূলত টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নে অবস্থিত। এছাড়াও টেকনাফ উপজেলার উপদ্বীপ পর্যন্ত বিস্তৃত শাহপরীর দ্বীপের বাম পাশে না নদী বয়ে গেছে যেটি বাংলাদেশের মিয়ানমার থেকে বিভাজন করেছে।

6. হিমছড়ি পাহাড়
হিমছড়ি পাহাড়
বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বিভাগের কক্সবাজার জেলায় অবস্থিত একটি পর্যটন স্থল হচ্ছে হিমছড়ি পাহাড়। আর হিমছড়ি পাহাড়টি কক্সবাজার থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। হিমছড়ি পাহাড়ের এক পাশে রয়েছে সবুজ পাহাড়ের শারি আর অন্য পাশে রয়েছে সুবিস্তিত সমুদ্র সৈকত। হিমছড়ি পাহাড় এখানকার প্রধান পর্যটন আকর্ষণ কারণ হিমছড়িতে একটি জলপ্রপাত রয়েছে।

যদিও বা বর্ষাকালীন সময় ছাড়া অন্যান্য অনেক সময়ই ঝর্ণায় পানি থাকে না, তাই পানি না থাকার কারণে প্রায় সই শুকনো হয়ে থাকে এই জলাশয়টি। তারপরও পর্যটকদের অন্যতম এক আকর্ষণ কারণ প্রাকৃতিক পরিবেশ হিসেবে হিমছড়ি পাহাড় অনেক সুন্দর।

7. সোনাদিয়া দ্বীপ
সোনাদিয়া দ্বীপ
বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলায় মহেশখালী উপজেলার অন্তর্গত কুতুবজোম ইউনিয়নে অবস্থিত একটি দ্বীপ হচ্ছে সোনাদিয়া দ্বীপ। তাছাড়া সবার কাছেই এটি জিম বৈচিত্রের দ্বীপ নামেও পরিচিত পেয়েছে। তাছাড়া সোনা দেয়া দ্বীপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য পিপাসুদের জন্য অন্যতম পর্যটন স্থান হিসেবে আখ্যায়িত পেয়েছে। সোনাদিয়া দ্বীপের চারিদিকে গভীর সমুদ্রের সাগরের ঢেউ সমৃদ্ধ এটি মূলত প্যারাদ্বীপ নামে পরিচিত।

8. কক্সবাজার রেডিয়েন্ড ফিস ওয়াল্ড
কক্সবাজার রেডিয়েন্ড ফিস ওয়াল্ড
বাংলাদেশ নিয়ে এসেছে প্রথম আন্তর্জাতিক মানের fish একুরিয়াম দেখার সুযোগ যেটি হল রেডিয়েন্ট ফিস ওয়ার্ল্ড। রেডিয়েন্ট ফেস ওয়ার্ল্ড পর্যটন নগরী কক্সবাজার শহরের ঝাউতলায় বিনোদনের নতুন সংযোজন এই ফিস মিউজিয়াম। অ্যাকোরিয়াম কমপ্লেক্স এ রয়েছে সাগরও মিঠা পানির প্রায় 100 প্রজাতির মাছ।

তাছাড়া বিরল প্রজাতির মাছ সহ এখানে রয়েছে পিরানহা, ভাঙ্গ, শাপলা পাতা, কাঁকড়া, কাছিম, সাগর কুচিয়া, জেলেফিস, পাঙ্গাস, চেওয়া, পীতাম্বরী, সামুদ্রিক শৈল, আউশ সহ আরো অনেক প্রজাতির মাছ ও জলজ প্রাণী রয়েছে। তাছাড়াও ফুটিয়ে তোলা হয়েছে পুকুর এবং সাগরের তলদেশের বৈচিত্রময় পরিবেশও।

আপনি যদি ওখানে যান তাহলে আপনার প্রায় ২ ঘণ্টা সময় লাগবে এই মেরিন ফিস একুরিয়াম পুরোটা ঘুরে দেখতে। যখনই আপনি অ্যাকোরিয়ামে ঢুকবেন তখনই মনে হবে আপনি সাগরের তলদেশে আছেন। এছাড়াও আপনার চারপাশে খেলা করছে অসংখ্য বর্ণিল সামগ্রিক প্রাণী।

9. নিভৃতে নিসর্গ পার্ক
নিভৃতে নিসর্গ পার্ক
২০২০ সালে বাংলাদেশের কক্সবাজারে চকরিয়া উপজেলায় প্রতিষ্ঠিত একটি পার্ক হচ্ছে নিভৃতে নিসর্গ পার্ক। নিভৃতে নিসর্গ পার্কটি চকরিয়া উপজেলার সুরাজপুর মানিকপুর ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত। নিভৃতে নিসর্গ পার্কের এক পাশে রয়েছে সবুজ পাহাড়ের সারি আর অন্য পাশে রয়েছে সুস্তিত মাতামুহরি নদী। । তাছাড়াও নিভৃতে নিসর্গ পার্কে একটি প্রাকৃতিক ঝর্ণাও রয়েছে।

10. সেন্টমার্টিন দ্বীপ
সেন্টমার্টিন দ্বীপ
বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরের উত্তর পরবাংশে অবস্থিত একটি ছোট প্রবাল দ্বীপ হচ্ছে সেন্ট মার্টিন দ্বিপ। সেন্টমার্টিন দ্বীপ কক্সবাজার জেলার টেকনাফ হতে প্রায় নয় কিলোমিটার দক্ষিণে ও মায়ানমারের উপকূল হতে ৮ কিলোমিটার পশ্চিমে নাফ নদীর মোহনায় অবস্থিত। ওখানে প্রচুর পরিমাণে নারিকেল পাওয়া যায় বলে স্থায়ীভাবে একে নারিকেল জিঙ্গিরাও বলা হয়।

বাংলাদেশে যারা সমুদ্র প্রেমিকেরা রয়েছে তাদের কাছে এটি ব্যাপক পরিচিত একটি নাম। তাছাড়াও বিখ্যাত লেখ কথা সাহিত্য হুমায়ুন আহমেদের দারুন পূর্ণদৈর্ঘ্য ছায়াছবির মাধ্যমে এই দ্বিপটির পরিচিতি আরো বেড়ে যায় বলে মনে করে অনেকেই। 2022 সালে ৪ই জানুয়ারি তারিখে বন্যপ্রাণী আইন 2012 অনুযায়ী সেন মার্টিন দ্বীপ সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরের 1,743 বর্গ কিলোমিটার এলাকাকে সামগ্রিক সংরক্ষিত এলাকা হিসেবে ঘোষণা করে বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

কক্সবাজার কিসের জন্য বিখ্যাত

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত পৃথিবীর দীর্ঘতম অবিচ্ছিন্ন সমুদ্র সৈকত। ১২০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এই সৈকতটির বৈশিষ্ট্য হচ্ছে পুরো সৈকটটি বালুকাময় কোন কাদা নেই। আমাদের মধ্যে অনেকে আছেন যারা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে বের হয় এবং একটু শান্তির খোঁজে। সেক্ষেত্রে পর্যটক হিসেবে আপনি যেকোন জায়গা থেকে ঘুরে আসতে পারেন। আপনার পরিবারের সাথে কম খরচে বিভিন্ন দর্শনের স্থান পরিদর্শন করতে পারেন।

যদি আপনি চান ভিন্ন একটি জগত ভোরতে তবে অবশ্যই আপনি কক্সবাজার থেকে সমুদ্রসৈকত ঘুরে আসতে পারেন। কেননা আমরা কক্সবাজারের নাম শুনলেই চোখের সামনে ভেসে আসে দিগন্ত জোড়া সাগর আর দীর্ঘসৈকত। আর আমার মনে হয় একটি মানুষের সবচেয়ে পছন্দের দৃশ্য হলো সূর্যাস্ত পৃথিবীর এমন কোন মানুষ পাওয়া যাবে না, যার কাছে সূর্যাস্তের দৃশ্য ভালো লাগেনা।

শেষ বিকেলে আকাশটা ধীরে ধীরে আবির রং থেকে লাল হওয়া এবং নীল পানিতে লাল আকাশের প্রতিচ্ছায়া অদ্ভুত সৌন্দর্যের সৃষ্টি করে। এরপর ধীরে ধীরে সাগরের বুকে হারিয়ে যায় আসতো সূর্যটা। সূর্যিমামার হলুদ থেকে কমলা। কমলা থেকে টুকটুকে লাল হয়ে নানা রঙের বর্ণছটা দিগন্তে ছড়িয়ে দেওয়ার দৃশ্য পৃথিবী অন্যতম সেরা নৈসর্গিক সৌন্দর্যমণ্ডিত দৃশ্য।

সেজন্যই তো পৃথিবীর সব মানুষ বিশ্বময়বিমুগ্ধ চোখে তাকিয়ে থাকে অস্তমিত সূর্যের দিকে। এবং সূর্যাস্তের মায়াবী রূপ দেখতে টুরিস্টরা আসে বিশ্বের দীর্ঘতম অবিচ্ছিন্ন সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারে। সেজন্যই তো কক্সবাজার বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের ব্র্যান্ড বা বিখ্যাত হিসেবে বিবেচিত হয়। এছাড়াও কক্সবাজার আরো অনেক কিছুর জন্য বিখ্যাত। যেমন কক্সবাজার জেলা মিষ্টি পান এর জন্য বিখ্যাত।

কক্সবাজার দর্শনীয় স্থান কেন

কক্সবাজার দর্শনীয় স্থান হওয়ার পিছনে অনেক কারণ আছে। কিন্তু বিশেষ কারণ হলো সমুদ্র সৈকতের জন্য কক্সবাজার দর্শনীয় স্থান হিসেবে বিবেচিত হয়। এছাড়াও কক্সবাজারে দেখার মত দশটি বিখ্যাত বা দর্শনীয় স্থান রয়েছে।

  • সমুদ্র সৈকত
  • ছেঁড়া দ্বীপ
  • কালারমা মসজিদ
  • আদিনাথ মন্দির
  • সোনাদিয়া দ্বীপ
  • ইনানী সমুদ্র সৈকত
  • সেন্টমার্টিন দ্বীপ
  • লাবনী পয়েন্ট
  • বুদ্ধের প্যাগোডা
  • শাহ ওমেরর সমাধি
  • হিমছড়ি
চট্টগ্রাম বিভাগের অন্তর্ভুক্ত কক্সবাজার জেলাটি বাংলাদেশের দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত। আমাদের দেশের সর্ব দক্ষিনের জেলাটিই হল কক্সবাজার। এই জেলার আয়তন প্রায় ২৪৯১.৮৬ বর্গ কিলোমিটার। এবং কক্সবাজার জেলাটির পশ্চিমে আছে বঙ্গোপসাগর, এবং পূর্বে রয়েছে বান্দরবান জেলা।

আরাকান রাজ্য (মায়ানমার) ও নাফ নদী, উত্তরই রয়েছে চট্টগ্রাম জেলা এবং দক্ষিণে রয়েছে বঙ্গোপসাগর।তাছাড়াও কক্সবাজার বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় পর্যটন অঞ্চল। নৈসর্গিক সৌন্দর্যের জন্য বিখ্যাত এই জেলা চট্টগ্রাম থেকে দূরত্ব ১৫২ কিঃ। বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত ছাড়াও এখানে আছে আরো অনেক দর্শনের স্থান ও স্থাপনা।

অনেক উপজাতি বা নৃ তাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর বসবাসে বৈচিত্র্যময় এই জেলার জনপ্রিয় স্থানগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল লাবনী বীচ, কলাতলী বীচ, ইনানী বীচ, সেন্টমার্টিন, মহেশখালী, সুগন্ধা বীচ, হিমছড়ি, মেরিন রোড, রামু বুদ্ধ বিহার, কুতুবদিয়া দীপ এবং সোনাদিয়া দ্বীপ ইত্যাদির জন্য কক্সবাজার দর্শনীয় স্থান।

শেষ কথা

প্রিয় পাঠকগণ, আজকের এই আর্টিকেলে আপনাদেরকে জানালাম, বাংলাদেশের সবচেয়ে সুন্দর জায়গা কোনটি, কক্সবাজার এর অপর নাম কি, কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত এর নাম কি, কক্সবাজারে দেখার জন্য সেরা ১০টি স্থান, কক্সবাজার কি কি পাওয়া যায়, কক্সবাজার কিসের জন্য বিখ্যাত এবং কক্সবাজার দর্শনীয় স্থান কেন। যেহেতু আমাদের সকলেরই পথ বাজার খুবই ভালো লাগে এবং ওখানে যেতে আমাদের অনেক মন চায়, সেহেতু আমাদের সকলেরই উক্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জেনে রাখা উচিত।

প্রিয় পাঠক, এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আশা করি এ পোস্টটি আপনার অনেক উপকারে আসবে। এ পোস্টটি আপনার কাছে ভালো লেগে থাকলে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন। এমন নতুন নতুন অজানা তথ্য জানার জন্য নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন। কারণ এই ওয়েবসাইটে আমরা নিয়মিত নতুন নতুন ব্লগ পোস্ট বা আর্টিকেল আপলোড করি। আসসালামু আলাইকুম।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সাগর ম্যাক্স এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url