ভালো মানুষের বৈশিষ্ট্য কি কি - মানুষ চেনার উপায় কি

ফ্রি টাকা ইনকামপ্রিয় পাঠক, আপনি নিশ্চয়ই জানতে চাচ্ছেন, ভালো মানুষের বৈশিষ্ট্য কি কি? এবং মানুষ চেনার উপায় কি? সম্পর্কে। তাই আপনাকে আমাদের এই পোস্টের মাধ্যমে জানাবো মানুষ চেনার উপায় কি এবং ভালো মানুষের বৈশিষ্ট্য কি কি। আপনি যদি আমাদের এই পোস্টটি সম্পন্ন মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে এগুলো বিষয় সম্পর্কে আপনি বিস্তারিত ভাবে জানতে পারবেন।
ভালো মানুষের বৈশিষ্ট্য কি কি
আশা করি এই পোস্টটি আপনার অনেক উপকারে আসবে। এছাড়াও এই পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন, একজন ব্যক্তি হিসেবে আমার মূল্য কি, কারো মূল্য বলতে কি বুঝায়। তাই অবশ্যই এ পোস্টটি আপনি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে করার চেষ্টা করবেন। তাহলে চলুন ভালো মানুষের বৈশিষ্ট্য কি কি এবং মানুষ চেনার উপায় কি বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জেনে আসার চেষ্টা করি।
পোস্ট সূচীপত্র:

ভূমিকা | ভালো মানুষের বৈশিষ্ট্য কি কি | মানুষ চেনার উপায় কি

আসলে ভালো মানুষ বলতে আমরা কি বুঝি? একটি মানুষের ভিতরে বিভিন্ন ধরনের নৈতিকতা থাকাকে বা ভালো কিছু দিক থাকাকেই বোঝানো হয় না। একটি ভাল মানুষের বৈশিষ্ট্য বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। কেননা একটি ভালো মানুষ কখনোই তার নিজের স্বার্থ নিয়ে ভাববে না এবং কোন ধরনের ক্ষতি কারও করবে না এছাড়াও সাহায্যের হাত সবার আগে বাড়াবে। তাই আমরা এই পোস্টটির মাধ্যমে মূলত এগুলো বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেছি।
আপনি যদি আমাদের পোস্টটি সম্পন্ন পড়েন। তাহলে এগুলো বিষয় সম্পর্কে আপনি বিস্তারিত ভাবে জানতে পারবে। এছাড়াও এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন মানুষ চিনতে হলে কি করতে হবে, স্বার্থপর ব্যক্তির আচরণ কেমন হবে, স্বার্থপর মানুষ কিভাবে চেনা যায়। সেগুলো সম্পর্কে। তাহলে চলুন এসব বিষয়ে আমরা বিস্তারিতভাবে জেনে আসি-

মানুষ চিনতে হলে কি করতে হবে

আমরা পোষ্টের এই অংশে জানবো মানুষ চিনতে হলে কি করতে হবে। আসলে মানুষ চেনা বড়ই কঠিন।কেননা আপনার কাছেরি মানুষ আপনার সাথে বেইমানি করবে। কিন্তু আপনি নিজেই কখনোই টের পাবেন না। আবার আপনি যদি কাউকে ধার দেন তাহলে সেই টাকা তোলার সময় আপনার অনেক ছড়াদ হবে। আপনি একটা জিনিস খেয়াল করে দেখবেন, আপনার সাথে তখনই কেউ বেইমানি করতে পারবে যখন আপনার সাথে তার ভালো একটি সম্পর্ক থাকবে।

আমার জীবনের একটা অভিজ্ঞতা থেকে বলি। আসলে আমার একটা দোকান ছিল। আমি অনেকদিন যাবত ব্যবসা করতাম। যখন আমি ব্যবসা প্রথম শুরু করি তখন আমার সাথে সবাই প্রায় ভালো ব্যবহার করত। কিন্তু আসলে আমি বুঝতে পারিনি তারা আমার সাথে বেইমানি করবে। কেননা প্রথম প্রথমে আমার দোকান থেকে জিনিসপাতি খাওয়ার সময় তারা সুন্দরভাবে টাকা দিয়ে দিত, কিন্তু হঠাৎ করে কেউ কেউ বলে।

আমি তোমাকে কিছুদিন পরে টাকা দিব। কিন্তু কিছুদিন করতে করতে একটা সময় সে আমার দোকান ছেড়ে দিল। এবং অন্য দোকানে গিয়ে আমার নামে দুর্নাম করতে লাগলো। যেমন ধরেন আমি অনেক টাকা বেশি লিখে রাখি বা আমার ব্যবহার ভালো না এমনও বলেছে যে, আমি নাকি খারাপ প্রোডাক্ট বেচি। আসলে আপনি একটা জিনিস খেয়াল করে দেখেন, আমি যখন তাকে বাকি খাওয়াছিলাম তখন তার কাছে আমি অনেক ভালো ছিলাম।

কিন্তু যখন আমি বাকি দিয়া তাকে বন্ধ করে ফেলি তখন তার কাছে আমি সব থেকে খারাপ মানুষ হয়ে গেলাম। আসলে সেজন্যই বলি ভাই সব থেকে কাছের মানুষই আপনার সব থেকে বড় ধরনের ক্ষতি করবে। কিন্তু তাই বলে সব ধরনের মানুষ আসলে একই নয়, এর মধ্যে থেকে আপনাকে ভালো মানুষ খুঁজে বের করে তাদের সাথে সম্পর্ক তৈরি করতে হবে। কেননা যখন আপনি কারো সাথে বন্ধুত্ব করবেন তখন হয়তো আপনার জীবনের অনেক কথা সে জেনে যাবে।

সে ক্ষেত্রে সে আপনার অনেক ক্ষতিও করতে পারে। তাই আপনাকে আমি বিশেষভাবে অনুরোধ করবো ভালো মানুষ চিনতে গেলে আপনাকে অবশ্যই কয়েকটা দিন তার সাথে চলতে পারেন, এক্ষেত্রে কয়েকটা দিনের মধ্যেই আপনি বুঝে যাবেন যে সে ভালো মানুষ না খারাপ মানুষ। কিন্তু কখনোই আপনি একটা মানুষের সাথে সম্পর্ক হওয়ার পরপরই আপনার জীবনের সব ধরনের কথা তাকে কখনোই বলবেন না।

সে আপনার যত বড়ই বন্ধু হোক না কেন। কেন না আপনি একদিন না একদিন তার সাথে হয়তো বা বন্ধুত্ব হারিয়ে যাবে। কিন্তু তাকে আপনার জীবনের যেই সব পারসোনাল কথাগুলি বলবেন। সেগুলো তার জীবন থেকে কখনোই হারাবে না। তাই অবশ্যই আপনি আপনার জীবনের গোপনীয়তা কথাগুলোকে কখনোই কারো সামনে শেয়ার করবেন না।

যদি করেন তাহলে অবশ্যই একটা না একটা দিন আপনি এটার খেসারত গুনবেন। তাই বন্ধু মানুষ চিনতে আপনি একটু সময় নিবেন হুট করে কোন মানুষকে কখনোই চেনা যায় না। সেখানে আপনি ওকে অল্প কিছু টাকা ধার দিয়ে পরীক্ষা করতে পারেন। আশা করি আপনি বিষয়টা সুন্দর ভাবে বুঝতে পেরেছেন।

স্বার্থপর ব্যক্তির আচরণ কেমন হয়

আসলে ভাই স্বার্থপর মানুষ বলতে কি বলব আপনাদের। মাঝে মাঝে মনে হয় সবাই স্বার্থপর। কিন্তু আসলে পৃথিবীর কেউ স্বার্থপর নয়। এটা আমার ভুল ধারণা, কেননা একটা মানুষ স্বার্থপরতা তখনই করতে পারে। যখন তার সাথে আমার বন্ধুত্ব সম্পর্ক থাকবে, বা সে আমার কাছের কেউ হবে। কারণ পর মানুষ কখনো স্বার্থপর হতে পারে না সেটা আমরা উপররের অংশ থেকে জেনে এসেছি।

স্বার্থপর বলতে আপনি যখন একটি ব্যক্তির উপরে অনেক পরিমাণ বিশ্বাস আনবে কিন্তু সে একটা সময় যে বিশ্বাসের মর্যাদা দিবেনা, তখনই আসলে স্বার্থপরের বিষয়টা ঘটে। যেমন আমার জীবনে একটি ঘটনা আছে আপনাদেরকে এখন আমি বলব, আমি একটা জিনিস একটা মানুষকে রাখতে বলেছিলাম অনেক যত্ন করে। কিন্তু বেশ কিছুদিন পরে যখন আমি ওই জিনিসটা আবার তার কাছে চাচ্ছি। 

তখন দেখি ওই জিনিসটা আর তেমন ভাবে নেই, সে ওই জিনিসটা ব্যবহার করেছে। এবং আমি ওকে যেমন যত্ন ভাবে রাখতে বলেছিলাম সে তো রাখেনি বরং জিনিসটার আমার অনেক ক্ষতি করে দিয়েছে। এছাড়াও আপনি স্বার্থপর বলতে মূলত নিজের সুবিধার জন্য অন্য কারো ক্ষতি করছি এটা আসলে বড় এক ধরনের স্বার্থপরতা। অনেক সময় দেখবেন মানুষ নিজেরটা এতটাই ভাবে যে অন্যের কথা ভাবতেই চায় না।

আবার দেখবেন তার নিজেকে আগে বাঁচানোর চেষ্টা করবে, নিজের সুযোগ সুবিধা আদায়ের জন্য সহকর্মী বা পাশের মানুষটিকে অন্যের কাছে শুভ করে ফেলবে এগুলোই মূলত স্বার্থপরতা। কিন্তু এখানে যদি নিজেকে ভালো করার জন্য অন্যের ক্ষতি না করে, নিজের কাজটা ঠিকঠাক মতো করে যাওয়া কিন্তু মোটেই স্বার্থপরতা নয়। কিন্তু আসলে বেশিরভাগ মানুষই স্বার্থপর সেটা স্বীকার করতে চায় না।

আবার আপনি বলতে পারেন স্বার্থপরতা একদিক থেকে ভালো, সেক্ষেত্রে আপনি আপনাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবেন, কিন্তু আবার সব ক্ষেত্রে নয়। বিশেষ করে বলতে পারেন আপনার সম্পর্কের ক্ষেত্রে। তাই আমরা আপনাকে বলব অন্যের ক্ষতি না করে নিজের ভালো করা অনেক ভালো। কেবলমাত্র আপনার নিজের সুবিধা দেখা তা নয়, এখানে আপনাকে বুঝতে হবে অন্যের ক্ষতিটাও।

আমরা হয়তোবা জন্মগতভাবে স্বার্থপর। কিন্তু সাধারণত নিজের দুর্বলতা ঘাটতি মূলত আর তো বিশ্বাসের অভাবে এবং নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারানোর ভয়ে ব্যক্তির বেশি স্বার্থপরতা দেখিয়ে থাকে। আশা করি আপনি বিষয়টি সুন্দরভাবে বুঝতে পেরেছেন।

ভালো মানুষের বৈশিষ্ট্য কি কি

আসলে আমরা সকলে দোষে বলে মানুষ। প্রতিটি মানুষই আমরা চাই ভালো হয়ে থাকতে। কিন্তু দেখা যায় আমি আমার নিজের কাছে ভালো কিন্তু অন্যের কাছে অনেক খারাপ হয়ে যায় অনেক অজান্তেই। তাই আমাদেরকে মূলত ভালো মানুষের বৈশিষ্ট্য কি কি সে সম্পর্কে সুন্দরভাবে জানা দরকার। তাহলে আমরা জীবনে ভালো বৈশিষ্ট্য গুলো পরিচালনা করতে পারব।

এবং বিভিন্ন মানুষের কাছে আমরা অনেকটাই ভালো হয়ে থাকবো। আসলে ভালো মানুষ হিসেবে সবার কাছে উপস্থাপন করা অতটাও সহজ বিষয় নয়, যতটা আমরা আপনারা ভাবেন, কারণ কিছু কিছু সময় আপনি দেখবেন যদি জীবনে ভালোবেসে করেন না কেন আপনার চারপাশের মানুষ কখনোই আপনার প্রশংসা বা সুনাম করবে না কখনোই। সে ক্ষেত্রে আপনার হয়তোবা কোন কিছুই করার।
কিন্তু তারপরও আমাদের সমাজে অবশ্যই ভালো মানুষ আছে থাকবে এটা স্বাভাবিক তাই আমাদেরকে খারাপ জিনিসটাকে বর্জন করে ভালো জিনিসটাকে বেছে নিতে হবে হয়তো পিছন থেকে অনেক মানুষ অনেক কথা বলবে সে কোন কান না দিয়ে। সে ক্ষেত্রে মানুষ ভালো মনের অধিকারী হতে পারবে বা ভালো চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য প্রকাশ করতে পারবে এটাই ইসলামে বড় দামি। যেমন আপনাকে আমরা কিছু এখন ভালো মানুষের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে বলার চেষ্টা করবো-

ভালো মানুষের বৈশিষ্ট্য
  • একটি ভালো মানুষ কখনোই অন্যের খারাপ চাইবে না।
  • একজন ভালো মানুষ কখনোই অন্যের প্রতি কোনোভাবেই হিংসা বিবাদ করবে না।
  • একটি ভাল মানুষের বৈশিষ্ট্য বলতে গেলে ন্যায়পরায়ণতাবোধ সব সময় বেশি থাকবে।
  • এছাড়াও একটি ভালো মানুষের বৈশিষ্ট্য হিসেবে মায়া মমতা অনেক বেশি থাকবে।
  • একটি ভালো মানুষ সবসময় দয়ালু প্রকৃতির হবে।
  • একটি ভালো মানুষ সবসময় নিজের স্বার্থ নিয়ে থাকবে না।
  • একটি ভালো মানুষের বৈশিষ্ট্য হিসেবে তিনি গরীব ধনী সবাইকে সমান চোখে দেখবে।
  • ভালো মানুষের চরিত্র হবে অনেক সুন্দর।
  • প্রকৃতপক্ষে একজন ভালো মানুষ কখনো অন্য কেউ দুঃখ কষ্ট দিবে না এবং সে সবসময় চেষ্টা করবে তার মাধ্যম দিয়ে যেন কেউ কষ্ট না পায়।
  • একটি ভাল মানুষ কখনো অন্য মানুষকে কোন বিষয়ে ক্ষেত্রে ঠকানোর চেষ্টা করবে না।
  • একটি ভাল মানুষ চায় সব সময় যেন অন্য মানুষেরা সুখে থাকে।
  • একটি ভালো মানুষ কখনোই অন্যের চাহিদা সম্পর্কে সব সময় ভাবেন।
  • ভালো মানুষ কখনোই অহংকারী হয় না।
  • একটি ভালো মানুষ যে কোন বিষয়ে আপোষ করে নেয়।
  • যেকোন ভালো কাজ দেখলে সব সময় সে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে।
  • ভালো মানুষ কখনোই তার নিজের প্রচার করে না।
  • এছাড়াও একটু ভালো মানুষ কখনো কোন কিছুতে সীমানা অতিক্রম করেনা।

মানুষ চেনার উপায় কি

আসলে মানুষ চেনার উপায় বলতে, একটা মানুষের উপর যখন বড় ধরনের সমস্যা আসবে তখনই সেই মানুষটাকে আপনি চিনতে পারবেন। এছাড়াও ধরেন আপনার বন্ধুকে চেনার জন্য আপনি যখন বিপদে পড়বেন তখনই যথেষ্ট। কেননা তখনই আপনি বুঝতে পারবেন আপনার সে কি আসলে বন্ধু ছিল না বন্ধুর নামে ছলনা করতো। কারণ যে সঠিক বন্ধু হবে সে আপনার সাথে সব সময় থাকবে।

কিন্তু যদি স্বার্থপর বন্ধু হয় তাহলে আপনার জীবনের সমস্যা আশামাত্র দ্বারা সরে দাঁড়াবে। তারপরে ধরলাম আপনার স্ত্রী যে আপনাকে কতটা ভালবাসি তখনই আপনি বুঝতে পারবেন যখন আপনার জীবন থেকে সবকিছু হারিয়ে যাবে, যেমন ধরেন যত সহ-সম্পতি বা যত টাকা পয়সা আপনার ছিল সবকিছু যখন শেষ হয়ে যাবে তখন প্রকৃতপক্ষে আপনি আপনার স্ত্রীকে চিনতে পারবেন।

তার আগে কখনো আপনি চিনতে পারবেন না। সে ক্ষেত্রে আপনি স্ত্রীকে চেনার জন্য কিছুদিনের জন্য আপনার টাকা পয়সা গুলো সড়িয়ে ফেলুন তখনই প্রকৃতপক্ষে তাকে আপনি চিনতে পারবেন। কারণ যারা প্রকৃতপক্ষে আদর্শ স্ত্রী হয়, তারা স্বামীর দুঃখে কষ্টে সব সময় তার পাশে থাকে। কখনো তাকে ছেড়ে চলে যাওয়ায় চিন্তাই করে না।

যেমন ধরেন বিষাক্ত কোনো সাপের সাথে আপনি একই ঘরে কখনো থাকতে পারবেন না, তেমনভাবেই আপনার স্ত্রী যদি বিষাক্ত সাপের মত হয় তাহলে কখনোই তার সাথে আপনি সংসার চালিয়ে যেতে পারবেন না। যেমন আপনাদেরকে আমি আর একটা উদাহরণ দিতে যাচ্ছি, আমার একটা অনেক পরিচিত কাজিন ছিল। সে একটা কোম্পানির মালিক ছিল, কিন্তু একটা সময় তার বন্ধুকে শেষ সিইও বানিয়ে ফেলে।

এবং তার কোম্পানির সমস্ত গোপনীয়তা তথ্য তার সামনে বলে দেয়। এবং কয়েক বছর পরে একটা সময় তার বন্ধু তাকে তার কোম্পানি থেকে বাদ দিয়ে দেয় অনেক কারণ দেখিয়ে। তাই বন্ধুরা আপনাদেরকে আমি একটা কথাই বলতে চাই, আপনি যতদিন না বিপদে না পড়বেন ততদিনই আপনি কোন মানুষকে চিনতে পারবেন না। কারণ আপনার সুখের সময় সবাই আপনার পাশে থাকবে এটাই স্বাভাবিক।

কিন্তু আপনার দুধের সময় কেউ আপনার পাশে থাকবে না এটাই আপনাকে মেনে নিতে হবে। কিন্তু ওর মধ্য থেকে কে আপনাকে প্রকৃত ভালোবাসে তখনই আপনি বুঝতে পারবেন যখন আপনার অনেক রিপোর্ট আছে অনেক দিক থেকে। আশা করি আপনি বিষয়টি সুন্দরভাবে বুঝতে পেরেছেন।
 

স্বার্থপর মানুষ কিভাবে চেনা যায়

স্বার্থপর মানুষ কিভাবে চেনা যায়? এ প্রশ্নই আপনাকে আমরা বলতে চাই, স্বার্থপর মানুষেরা অনেক ছলে কৌশলে আপনার সাথে সুন্দর সুন্দর ব্যবহার করবে। আপনাকে কখনো বুঝতে দেবে না সে স্বার্থপর। কিন্তু আপনার একটা সহজ উপায় আছে স্বার্থপর চেনার সব থেকে সহজ উপায়টি হলো আপনি যখন বিপদে পড়বেন। কেননা কখনোই আপনি কোনদিনই ফালতু কোন মানুষের আসল রূপ খুঁজে পাবেননা।

তারপরও দেখা যায় স্বার্থপর মানুষেরা সব সময় নিজের কথা চিন্তা ভাবনাই করে, এবং অন্যের কখনো ভালো দেখতে পারে না, তাই বলতে পারেন একদিন হিংসে প্রকৃতির মানুষ হয়। স্বার্থপর মানুষের সব সময় নিজেকে নিয়ে বেশি চিন্তা ভাবনা করে, এবং নিজের জিনিসপাতের যত্ন সব সময় বেশি করে। কিন্তু যখন অন্য কারো জিনিস সে নিয়ে যায় বা ব্যবহার করে তখন সে কখনোই অন্যের জিনিসপত্রগুলো সঠিকভাবে পরিচালনা করে না বা দেখভাল করে না।

স্বার্থপর মানুষগুলো সব সময় নিজের স্বার্থ দেখে চলে, অন্য কেউ যদি বিপদে পড়ে তাহলে তার বিপদ থেকে তাকে উদ্ধার তো করে না বরং তার আরো ক্ষতি করার চেষ্টা করে। এবং স্বার্থপর মানুষেরা সব সময় একটি মানুষের বিশ্বাসঘাতকতা গুলোকে ভেঙে দেয়। স্বার্থপর মানুষেরা কখনো অন্যের বন্ধু হতে পারেনা।

যদিও সে বন্ধুর মত আচরণ করতে পারে কিন্তু হঠাৎ করে যদি তার বন্ধু অনেক বিপদে পড়ে যায় সে ক্ষেত্রে সে ওখান থেকে সরে আসে। কখনোই তার বিপদ থেকে উদ্ধার করার চেষ্টা করে না। আমরা নিচে কিছু স্বার্থপর মানুষ কেমন হয় তা নিজে উল্লেখ করলাম যেমনঃ-
  • সব সময় নিজের প্রয়োজন বেশি গুরুত্বপূর্ণ মনে করে থাকে স্বার্থপর মানুষ।
  • একটি স্বার্থপর মানুষ সব সময় হিংসাপরাইন হয়।
  • সব সময় স্বার্থপর মানুষেরা ব্যর্থতার দিক এড়িয়ে যাবে।
  • স্বার্থপর মানুষের চাওয়ার কোন শেষ হয় না।
  • সব সময় নিজেকে নেতা হিসেবে জাহির করে থাকে।
  • এবং সব সময় স্বার্থপর মানুষেরা আত্মমর্যাদায় তুঙ্গে থাকে।

শেষ কথা | ভালো মানুষের বৈশিষ্ট্য কি কি | মানুষ চেনার উপায় কি

প্রিয় পাঠক, এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনি নিশ্চয়ই  এই পোস্টটির মাধ্যমে এতক্ষণে জেনে গেছেন, ভালো মানুষের বৈশিষ্ট্য কি কি এবং মানুষ চেনার উপায় কি সে সম্পর্কে। আশা করি এ পোস্টটি আপনার অনেক উপকারে আসবে। তাই এই পোস্টটি আপনার কাছে ভালো লেগে থাকলে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন।
এবং এরকম বিভিন্ন ধরনের নতুন নতুন আর্টিকেল বা ব্লক পোস্ট নিয়মিত পেতে আমাদের সাথেই থাকুন, তাছাড়াও আমরা এই ওয়েবসাইটে প্রযুক্তি বিষয়ক বিভিন্ন পোস্ট বা আটিকের প্রকাশ করে থাকি। আসসালামু আলাইকুম।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সাগর ম্যাক্স এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url