সাফল্যের প্রক্রিয়া কি - জীবনে সফল হওয়া যায় কিভাবে

কারিগরি শিক্ষা কাকে বলেআমরা প্রত্যেকেই জীবনে সফল হতে চাই কিন্তু কথা হল, জীবনে সফল হওয়া যায় কিভাবে? এই প্রশ্নটি আমাদের মধ্যে অনেকেই করে থাকে। তাই আমরা এই পোস্টটির মাধ্যমে আপনাদেরকে জানানোর চেষ্টা করব জীবনে সফল হওয়া যায় কিভাবে তা সম্পর্কে।
সাফল্যের প্রক্রিয়া কি - জীবনে সফল হওয়া যায় কিভাবে
আপনি যদি আমাদের এই পোস্টটি সম্পন্ন মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে আপনি জানতে পারবেন সাফল্যের প্রক্রিয়া কি, জীবনে সফল হওয়া যায় কিভাবে, জীবনের প্রকৃত সফলতা কি, পরিশ্রম সম্পর্কে ইসলাম কি বলে এবং আপনার কাছে সফল হওয়ার অর্থ কি। তাহলে চলুন এইসব বিষয় সম্পর্কে আমরা বিস্তারিত ভাবে জেনে আসি গোটা পোস্ট জুড়ে।
পোস্ট সূচীপত্রঃ

ভূমিকা

জীবনে সফল হতে গেলে আপনাকে অবশ্যই একটা কথা মাথায় রাখতে হবে সেটা আপনার জীবনে আপনি কতটুকু ধৈর্য ধরতে পারবেন তার ওপর নির্ভর করবে। আপনি যদি ধৈর্যশীল মানুষ হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনি সফলতা একদিন না একদিন পাবেন। কিন্তু আমরা কোন প্রকার লাইন খুঁজে পাই না, যে কোন লাইন ধরে আমরা সফলতা অর্জন করব।

আসলে আমাদেরকে প্রথমে একটি নির্দিষ্ট সীমারেখা তৈরি করতে হবে যে আমি বড় হয়ে কি হতে চাই বা আজ থেকে পাঁচ বছর পর আমার অবস্থান কোথায় থাকবে। আপনি যদি একটি জিনিস খেয়াল করেন তাহলে বুঝতে পারবেন, একটা মানুষ তখনই সফল হয় যখন সে তার লক্ষ্য পূরণের জন্য কাজ করে।
সে ক্ষেত্রে আপনি যদি সেই লক্ষ্য ধরনের কাজটি দুদিন করেন বা এক মাস পরে এবং তারপরে কিছু দিন পর ওই জিনিসটা ছেড়ে দেন তাহলে কখনো আপনি সফল হতে পারবেন না। সেজন্য অবশ্যই আপনাকে প্রথমে একটি সুন্দর লক্ষ্য নির্ধারণ করতে হবে এবং ওই লক্ষ্য অনুযায়ী আপনাকে কাজ করে যেতে হবে। ইনশাল্লাহ আপনি একদিন না একদিন সফল হবেন।

আমাদের এই পোস্টটির মাধ্যমে আরো বিস্তারিত ভাবে এ সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। আশা করি এই পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে আপনার অনেক উপকার হবে। তাহলে এগুলো বিষয় সম্পর্কে আমরা বিস্তারিতভাবে জেনে নি-

জীবনে সফল হওয়া যায় কিভাবে

আমরা জীবনে সবাই সফল হতে চায়, কিন্তু আসলে আমরা জানি না কিভাবে আমরা সফল হব। আসলে সফল হওয়াটা অতটা সোজা না যতটা আমরা মনে করি। একটা মানুষ সফল হওয়ার জন্য যতটুকু পরিশ্রম দরকার হয়তোবা আমরা সেই পরিশ্রম গ্রহ করি না। যদিও বা করি কিন্তু বুঝে শুনে করি না। তার ফলে আমরা কখনোই সফলতা পাই না জীবনে। সেজন্য আমাদেরকে একটা জিনিস মাথায় রাখতে হবে পরিচয় তো করতেই হবে।

কিন্তু এর পাশাপাশি বুঝে শুনে প্রশ্ন করতে হবে। না হয় সারা জীবন পরিশ্রম করার পরও কখনোই সফলতা পাওয়া যাবে না। তাছাড়াও জীবনে সাফল্যের চাবিকাঠি আসতে অনেক সময় লাগে কিন্তু ওই সময়টুকু আমরা দিতে পারব কিনা তার উপরে নির্ভর করবে আমাদের সফলতা। আপনি যখন একটা মানুষকে সফল হতে দেখেন তখন শুধুমাত্র আপনি তার সফলতাটাই দেখেন।

কিন্তু সফলতার পিছনে যে তার কতটা পরিশ্রম আছে সেটা কখনো আপনি দেখেন না। সেজন্য আপনাকে প্রথমে আগে বুঝতে হবে সফলতা পেতে গেলে আমাকে কতটুকু প্রশ্ন করতে হবে এবং কতটুকু ধৈর্য ধরতে হবে। কেননা পৃথিবীতে সফল হতে গেলে আপনাকে অবশ্যই ব্যর্থতার মুখ দেখতে হবে। যেই ব্যক্তি কোনদিনই ব্যর্থতার মুখ দেখেনি সে কখনোই সফলতা অর্জন করতে পারবে না।

তাই সবার প্রথম আমাদেরকে একটা জিনিস কি মনে রাখতে হবে বিশেষ করে। সফলতা অত সহজ নয়, সফলতা জীবনে আনতে হলে জোর করে আনতে হবে। তারপরেও হয়তোবা আপনি অনেক জায়গায় শুনেছেন, সফলতা পেতে গেলে অবশ্যই মানুষের কটু কথা শুনতে হয়। কেননা যখন আপনি একটা জিনিসের লক্ষ্যে কাজ করে যাবেন তখন দেখবেন আপনার পিছন থেকে অনেক মানুষ অনেক কথা বলবে।

এবং একটা সময় যে মনে হবে আপনার জীবনে বেঁচে থেকে আর কোন লাভ নেই। কিংবা এমনও হতে পারে মনে হবে যে আজকে আপনি জীবনের শেষ দিন। বন্ধু একটা কথা মাথায় মনে রাখবেন মানুষের চলার জীবনের কখনো উঁচু-নিচু ধাপ আসবে কখনো কখনো আপনার মনে হবে জীবনে সব শেষ আবার দেখবেন কখনো কখনো মনে হবে।

সকালে ঘুম থেকে উঠার পর জীবনের সবকিছু ঠিক হয়ে গেছে, তাই অবশ্যই বন্ধু নিজের উপরে যথেষ্ট পরিমাণে ভরসা রাখবেন। এবং পরিশ্রম করে যাবেন যতটুকু সম্ভব ধৈর্য রাখবেন। সফলতা একদিন আসবেই আপনার, আর একটা জিনিস বলতে, মনে হল একটা জিনিস খেয়াল করে দেখবেন যে জিনিস খুব তাড়াতাড়ি পাওয়া যায় সে জিনিস খুব সহজে হারিয়ে যায়।

আর যে জিনিস পেতে অনেক কষ্ট হয় সাধনা করতে হয় ধৈর্য ধরতে হয় সেই জিনিস কখনোই আপনার জীবন থেকে হারাবে না। আর সফলতা পেতে গেলে অবশ্যই আপনাকে নিজের প্রতি ভরসা রাখতে হবে নিজেই নিজের প্রতি ভরসা না রাখতে পারেন, তাহলে কখনোই আপনি সফলতা পাবেন না বা সফলতার মুখ আপনি কোনদিন দেখতে পারবেন না। তবে দোয়া করি আপনি অবশ্যই সফলতা পাবেন। আশা করি আপনি সুন্দরবন বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন।

সাফল্যের প্রক্রিয়া কি

সফলতা অর্জনের জন্য কোন ধরনের আকার সম্মত পরিকল্পনা আসলে নেই বললেই চলে। এটা আপনি আপনার জীবনে বিভিন্ন উপায়ে অর্জন করতে পারেন। একজন ব্যক্তি ইচ্ছা করলে সে অবশ্যই সফল হতে পারবে। তার ইচ্ছাটা হতে হবে অবশ্যই একটি নির্দিষ্ট লোকের উপরে, কেননা আপনি যদি মাঝে মাঝে আপনার লক্ষ্য গুলো পরিবর্তন করতে থাকেন তাহলে কখনোই আপনার লক্ষ্য করুন হবে না।

কারণ একটা লক্ষ্য পূরণ হতে গেলে অনেকটা সময় দিতে হয় তার লক্ষ্যের উপরে, তখন সাফল্যের প্রক্রিয়াটি আসলে পাওয়া যায়। সফলতা আমরা সকলেই চাই কিন্তু পায়ে হাতে গোনা কয়েকজন, হাতে গোনা পরিশ্রমের সাথে যারা ধৈর্য ধরেছে বা নিজের প্রতি বিশ্বাস রেখেছে আসলে তারাই সফলতা অর্জন করেছে। কিন্তু আপনার জীবনে কখনোই সাফল্য সাধারণত শুধুই ঘটবে না, একে ঘটানোর চেষ্টা করতে হবে।

এবং এটি একটি প্রক্রিয়া কেননা কখনো কখনো একটি শ্রমসাধ্য প্রক্রিয়া হিসেবে কাজ করে থাকে এটি। সে ক্ষেত্রে আপনি কি করতে চান তার উপর নির্ভর করে সম্পন্ন হতে সপ্তাহ মাস বা এমন কি বছরে লাগতে পারে আপনার সফলতা পেতে। আপনি যদি একটা জিনিসের উপরে কমপক্ষে পাঁচ বছরের লেগে থাকেন তাহলে আপনার সফলতা আটকাতে পৃথিবীর কেউ পারবে না এটা আপনি নিশ্চিত থাকেন।

কিন্তু আমরা অনেকেই সফলতাকে একেবারে হাতের মুয়া মনে করি, মনে হয় এই বললাম আর সফলতা চলে এলো, কিন্তু আপনি একটা জিনিস খেয়াল করে দেখেন ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা তিনি ১৪ বছর যাবত ফেসবুক নিয়ে কাজ করার পরও কোন ধরনের টাকা পয়সা হাতে পায়নি, কিন্তু এখন দেখেন তো সেই ব্যক্তিটা যদি ঘুমিয়ে থাকে তার হাজার হাজার কোটি কোটি টাকা উপার্জন করছে প্রতি সেকেন্ডে।
সে যদি ১৪ বছর ধরে অপেক্ষা করতে পারেন একটা সফলতা হওয়ার জন্য। তাহলে আমরা কেন ছোটখাটো সফলতা পাওয়ার জন্য সামান্য একটি দুটি বছর অপেক্ষা করতে পারবোনা। আপনি যে কোন জিনিস যদি একটি থেকে দুটি বছর সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে করতে পারেন তাহলে আপনার সফলতা কেউ কোনদিন আটকাতে পারবেনা। সেজন্য সাফল্যের প্রক্রিয়া হিসেবে আপনাকে অবশ্যই ধৈর্য রাখতে হবে নিজের উপরে এবং বিশ্বাস রাখতে হবে। এছাড়াও সাফল্যের প্রক্রিয়া গুলো নিচে কিছু উল্লেখ করার চেষ্টা করলাম-

সাফল্যের প্রক্রিয়াগুলো
  • প্রথমেই আপনাকে একটি পরিমাপ যোগ্য সেট করতে হবে আপনার জীবনে।
  • যে কোন কাজ করার সময় আপনাকে অবশ্যই কৌশলের উপরে কাজ করতে হবে। কেননা কৌশলের উপরে আপনি যদি কাজ না করেন তাহলে আপনার কাজগুলো একেবারে বৃথা হয়ে যেতে পারে।
  • আপনার সময় কি যতটুকু সম্ভব আরও ভালোভাবে পরিচালনা করার চেষ্টা করুন এবং সংগঠিত থাকুন সবসময়।
  • যে কোন কাজে সব সময় ফোকাসড  থাকার চেষ্টা করুন।
  • সব সময় আপনার জীবনের ভুলগুলো সংশোধন করার চেষ্টা করুন যেন একই রকম ভুল আপনার জীবনে আর একবার না হয়।
  • সব সময় নিজের জীবনকে আনন্দময় করার চেষ্টা করুন। কেননা আপনি জীবন যদি আনন্দময় না থাকে তাহলে কখনোই আপনি সফলতা অর্জন করতে পারবেন না।

জীবনের প্রকৃত সফলতা কি

প্রকৃতপক্ষে আপনি যদি জীবনে সফল হতে চান, তাহলে অবশ্যই আপনাকে একটা কথা মাথায় রাখতে হবে সেটা হল নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস। কেননা আপনি যদি নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাসী না থাকে আপনার তাহলে কখনোই আপনি প্রকৃতপক্ষে সফলতা পাবেন না। তাই সবার প্রথম আপনাকে আপনার প্রতি বিশ্বাস রাখতে হবে হ্যাঁ আমি পারবো। আসলে মানুষ পারেনা জীবনে এমন কোন জিনিস না।

আপনি একটা জিনিস খেয়াল করে দেখেন দুনিয়াতে তো বুজ খলিফার মত বিল্ডিং তৈরি হয়েছে, এই বিল্ডিংটা কোন না কোন মানুষ কিছু তৈরি করেছেন বা কোন না কোন মানুষের বুদ্ধি এখানে আছে বলেই এই বিল্ডিংটা তৈরি হয়েছে। তাহলে আপনি একটা জিনিস খেয়াল করে। দেখেন তো যদি দুনিয়াতে এত বড় একটা বিল্ডিং তৈরি করতে পারে একটা মানুষের ব্রেন দিয়ে।

তাহলে ভাবেন তো আপনার সফলতা আনতে পারবেন কিনা আপনি আপনি?। আবার একটা জিনিস খেয়াল করে দেখেন মানুষ চাঁদে পর্যন্ত চলে যাচ্ছে কিসের কারণে একটা মানুষের বুদ্ধির কারণে। কোন রকম চিন্তাভাবনা না করে এবং কোনরকম সময় অপচয় না করে আপনি আপনার সফলতার লক্ষ্যে চেষ্টা করতে থাকুন তাহলে আপনি দেখবেন আপনার জীবনে একদিন না একদিন প্রকৃতপক্ষে সফলতা আসবেই।

সবথেকে বড় বিষয় হলো আমাদের বাংলাদেশের মানুষের মনের ভিতরে আত্মবিশ্বাস অনেকটাই কম সে কারণে অনেক মানুষ সফল হতে পারে না। তাই বন্ধু আপনাকে অবশ্যই আপনার নিজেকে নিজের প্রতি একটু বিশ্বাস বাড়ানোর চেষ্টা করুন। আর আপনার লক্ষ্য অনুযায়ী কাজ করতে থাকুন। এমনও দেখবেন আপনার লক্ষ্য অনুযায়ী যখন আপনি কাজ করতে যাবেন তখন আপনি অনেক বাধা সম্মুখীন হবেন।

যদি আপনি ওই বাঁধাগুলো সরিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে পারেন তাহলেই আপনি উপকৃতপক্ষে সফলতা অর্জন করতে পারবেন। তার আগে কখনো সফলতা অর্জন করতে পারবেন না। আশা করি বন্ধু আপনি বিষয়টি সুন্দরভাবে বুঝতে পেরেছেন।

পরিশ্রম সম্পর্কে ইসলাম কি বলে

পরিশ্রম সম্পর্কে ইসলাম কি বলে সে সম্পর্কে জানতে গেলে। আমাদেরকে প্রথমে মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু সাল্লামের কথা মনে করতে হবে। কেননা আমাদের মহান হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) বলেছেন, আমাদেরকে অবশ্যই সর্বদা কঠোর পরিশ্রম করার জন্য। কারণ যে মানুষ কঠোর পরিশ্রম করেন সে ব্যক্তি আল্লাহর বন্ধু। এবং যে মানুষ কখনোই কোন ধরনের পরিশ্রম করে না বা কাজ করে না তাকে আল্লাহ তার শত্রু মনে করেন।

সে ক্ষেত্রে ইমাম জাফর আল সাদিক (আঃ) আমাদের ষষ্ঠ ইমাম। তিনি আমাদেরকে কঠোর পরিশ্রমের সুবিধা গুলি ও সম্পর্কে প্রভাবিত করেছেন অনেক ক্ষেত্রে। তিনি বলেছেন যেই মানুষেরা বেশি ঘুমায় অলসতায় জীবন যাপন পার করে এবং কাজ করে না আল্লাহতালা তাদের পছন্দ করেন না। তাই বন্ধু আমাদেরকে অবশ্যই আল্লাহ তাআলার পছন্দের ব্যক্তি হতে হলে পরিশ্রম করতে হবে এটাই স্বাভাবিক।

আর পরিশ্রমের মাধ্যম দিয়েই আমাদেরকে সফলতা অর্জন করতে হবে। আপনি যদি সঠিক পরিশ্রম করেন, তাহলে আল্লাহতালা কখনো আপনাকে নিরাশ করবে না। আপনি যদি ঠিকঠাক মতো পরিশ্রম করেন তাহলে আল্লাহ তাআলার সাহায্য সবসময় আপনি পাবেন। এবং আপনার সফলতা অনেক সহজ হয়ে যাবে। সেজন্য আমাদেরকে অবশ্যই পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তে হবে এবং আমাদের লক্ষ্য অনুযায়ী কাজ করতে হবে।

যেহেতু আল্লাহ তাআলার পছন্দ করে না,  সেও তো আমরা কখনোই সফলতা  অর্জন করতে পারব না এটাই স্বাভাবিক। সেজন্য আমাদের সফলতা পেতে গেলে অবশ্যই প্রশ্ন করতে হবে। তাহলে আমাদের সফলতা পৃথিবীর কেউ আটকাতে পারবেনা। কারণ স্বয়ং আল্লাহ তায়ালা আমাদের সাপোর্ট দিবে। আশা করি বন্ধু আপনি বিষয়টি সুন্দরভাবে বুঝতে পেরেছেন।

আপনার কাছে সফল হওয়ার অর্থ কি

আমরা যদি আপনাকে সফলতা হওয়ার অর্থ বলি। তাহলে সফলতার অর্থ হচ্ছে এমন অবস্থা যা একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য অর্জন করাকে বোঝায়। এছাড়াও সফলতার অর্থ হচ্ছে কাজের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা এবং এর জন্য সঠিক পরিকল্পনা তৈরি করা এছাড়াও শীর্ষে সেই লক্ষ্যে সাফল্য অর্জন করা। তাছাড়া সফলতা নিয়ে ব্যক্তিগত ও এশারার ইফতারের বিভিন্ন সংশ্লিষ্ট সুচারু অথবা ও সুচারুর নীতিমালা রয়েছে।

কোন মানুষ যদি সফল হতে চায় তাহলে তাকে সঠিক উদ্যোম, পরিকল্পনা, সংগঠনশীলতা, কাজের ক্ষমতা, কর্মপরি পরিশ্রম, সঠিক দৃষ্টি শক্তি এবং অনেক পরিমাণে ধৈর্য প্রয়োজন। সেক্ষেত্রে সফলতা একটি মানুষের জন্য ব্যক্তিগত সন্তুষ্টি এবং পেশাগত উন্নতি ও সম্প্রতি অর্জন সে ক্ষেত্রে সামাজিক স্থান এবং পরিবারিক সন্তোষটির সাথে সম্পর্কিত হয় এই ধরন গুলো।

আমাদের মতে সফলতার সমস্ত পরিমাপ একটি সময়সীমা এবং সম্ভাবনা গুলির সাথে সম্পর্কিত। যেটা শুধুমাত্র সময় এবং সামগ্রিক পরিবর্তনের সাথে বদলে যায় প্রতিনিয়ত। সফলতার ব্যাপারে ধরনের প্রতিবেদনের প্রাসঙ্গিক বিবরণ সম্প্রতি পরিবর্তিত হতে পারে সব সময়। সেজন্য আমাদেরকে একটি লক্ষ্য সর্বপ্রথম নির্ধারণ করতে হবে এবং সেই লক্ষ্য অনুযায়ী সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে।

তাহলে পৃথিবীতে সকল হওয়া ছাড়া আর কোন উপায় নাই বলে আমরা মনে করি। আশা করি আপনি বিষয়টি সুন্দরভাবে বুঝতে পেরেছেন। এবং আপনিও এগুলো বিষয় সম্পর্কে নিজের জীবনে পরিচালনা করতে পারে। সে ক্ষেত্রে আপনি অবশ্যই সফলতা পাবেন। এবং আমরা সব সময় আপনাদের জন্য দোয়া করব যেন আপনি অবশ্যই সফলতার শীর্ষে পৌঁছে যান।

কেননা আপনি যদি এই আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে সফলতা অর্জন করেন। তাহলে আমাদের নিজেদেরকে ভালো লাগবে। তাহলে আপনি অবশ্যই আজ থেকে আপনার কাজের প্রতি অনেক যত্নবান হন এবং ধৈর্যের সাথে আপনার কাজগুলো চালিয়ে যান। ধন্যবাদ।

শেষ কথা | জীবনে সফল হওয়া যায় কিভাবে | সাফল্যের প্রক্রিয়া কি

প্রিয় পাঠক, এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনি নিশ্চয়ই  এই পোস্টটির মাধ্যমে এতক্ষণে জেনে গেছেন, জীবনে সফল হওয়া যায় কিভাবে এবং সাফল্যের প্রক্রিয়া কি সে সম্পর্কে। আশা করি এ পোস্টটি আপনার অনেক উপকারে আসবে। তাই এই পোস্টটি আপনার কাছে ভালো লেগে থাকলে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন।
এবং এরকম বিভিন্ন ধরনের নতুন নতুন আর্টিকেল বা ব্লক পোস্ট নিয়মিত পেতে আমাদের সাথেই থাকুন, তাছাড়াও আমরা এই ওয়েবসাইটে প্রযুক্তি বিষয়ক বিভিন্ন পোস্ট বা আটিকের প্রকাশ করে থাকি। আসসালামুয়ালাইকুম।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সাগর ম্যাক্স এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url