অর্থ সঞ্চয় করা কেন ভালো - সঞ্চয় এর গুরুত্ব কি

আমরা সকলেই সঞ্চয় করতে পছন্দ করি, কিন্তু আমরা জানি না সঞ্চয় এর গুরুত্ব কি? এবং এটাও জানিনা অর্থ সঞ্চয় করা কেন ভালো?। সেজন্যই মূলত আজকে আমরা পোস্টটি সাজিয়েছি, কারণ আমরা এই পোস্টটির মাধ্যমে জানবো সঞ্চয় এর গুরুত্ব কি ও অর্থ সঞ্চয় করা কেন ভালো।
অর্থ সঞ্চয় করা কেন ভালো - সঞ্চয় এর গুরুত্ব কি
এছাড়াও জানবো সঞ্চয় বলতে কী বোঝানো হয়, টাকা সঞ্চয় করতে হবে কেন, সঞ্চয় ও বিনিয়োগের সুবিধা। আশা করি এই পোস্টটি আপনার অনেক উপকারে আসবে। তাহলে চলুন অর্থ সঞ্চয় করা কেন ভালো এবং সঞ্চয় এর গুরুত্ব কি বিষয় সম্পর্কে আমরা সকলেই বিস্তারিত ভাবে জেনে আশার চেষ্টা করি।
পোস্ট সূচিপত্র:

ভূমিকা | অর্থ সঞ্চয় করা কেন ভালো | সঞ্চয় এর গুরুত্ব কি

আমাদের জীবনে সঞ্চয় এর গুরুত্ব অনেক বেশি। কেননা একটা মানুষ সঞ্চয়ের মাধ্যম দিয়েই তার জীবনকে সুন্দরভাবে পরিচালনা করতে পারে ভবিষ্যতের জন্য। আপনি জীবনে যত টাকায় ইনকাম করেন না কেন, আপনি যদি কোন ধরনের সঞ্চয় না করেন তাহলে আপনার ওই টাকাগুলো একটা সময় গিয়ে থাকবে না। একমাত্র সঞ্জয় পারে আপনার জীবনের যেকোনো বিপদ থেকে উদ্ধার করতে। সেজন্য সঞ্চয়কে অনেক প্রাধান্য দেওয়া দরকার আমাদের।
আমরা যদি আমাদের ইনকামের কিছু টাকা প্রতিদিন বা প্রতি সপ্তাহে বা প্রতি মাসে একটি জায়গায় সঞ্চয় করতে পারি তাহলে, একটা সময় গিয়ে সেটি বড় অংকের টাকা হয়ে দাঁড়াবে। তখন আপনি চাইলে ওই টাকা দিয়ে যেকোন বড় ধরনের সমস্যা সমাধান করতে পারবেন বা যেকোনো ধরনের স্বপ্ন পূরণ করতে পারবেন। সেজন্য অবশ্যই আমাদের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ একটি মাধ্যম। তাহলে চলুন সঞ্চয় বিষয়ক কিছু তথ্য সম্পর্কে জানা যাক-
 

সঞ্চয় এর গুরুত্ব কি

সঞ্চয় কেন আমাদের জীবনের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় সেটা জানা আমাদের সকলের প্রয়োজন। আমাদের জীবনে ব্যয় পরিচালনা করা এবং সাশ্রয় করা একটি সাধারন বিষয় বলা যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে আমরা মাঝেমধ্যেই অর্থ ব্যয় না করার জন্য সব সময় পরামর্শ দি। এবং বেশি বেশি করে সঞ্চয় করার বিষয়ে বক্তৃতা দিয়ে থাকে। আপনার জীবনের প্রথম আয় করার সাথে সাথে অবশ্যই সঞ্চয় করা শুরু করুন।

কারণ এমন কিছু সময় আপনার জীবনে আসতে পারে যখন আপনার জীবনে উপার্জনের ঘাটতি দেখা দিতে পারে। সেজন্য আমাদের সকলেরই উচিত আমাদের জীবনের প্রথম ইনকাম থেকেই সঞ্চয় শুরু করা। তাহলে চলুন সঞ্চয়ের আরো কিছু বিষয় সম্পর্কে জানি।
  • আপনাকে অবশ্যই জরুরী তহবিল গঠন করতে হবে। কেননা আপনার সংকটের জীবনের সময় এই সঞ্চয়গুলি কার্যকর টিকা পালন করবে। সেক্ষেত্রে আপনি জরুরি তহবিল কি আপনার বিএই হিসেবে ভাবুন এবং আপনি অবশ্যই অন্য কিছু করার আগে জরুরিত হবিল করার দিকে সঞ্চয় শুরু করার চেষ্টা করুন।
  • আপনি হয়তোবা জানেন না মুদ্রাস্ফীতি আমাদের সকল অর্থের মূল্য হ্রাস করে ফেলে। সেক্ষেত্রে আপনার আজ অর্থ সঞ্চয় করা এবং ফেরত পাওয়া জিনিস গুলির পরে যখন পণ্য এবং পরিষেবার মূল্য বেশি হয়ে থাকে, তখনই মূলত ব্যবহার করে থাকে/। সেজন্য আমাদের সঞ্চয়ের মুদ্রাস্ফীতির কাল গোল বজায় রাখতে অনেকটাই ভূমিকা পালন করে থাকে।
সেজন্যই মূলত আপনার জীবনের বড় ব্যয় এবং জীবনের লক্ষ্যের জন্য সঞ্চয় করুন। যেমন ধরেন আপনার প্রধান জীবন ব্যয় শিক্ষা, ছুটির দিন, বিবাহ, বাড়ি, গাড়ি ইত্যাদি সেক্ষেত্রে আপনার ভালো সঞ্চয় অর্থের সাহায্যে অর্থায়ন করা যেতে পারে। আপনাকে প্রথমে একটি লক্ষ্য নির্ধারণ করতে হবে তারপর সেখানে নিয়মিত সঞ্চয় করতে হবে।
  • বার্ধক এবং আপনার কর্মহীন দিনের জন্য সংরক্ষণ করা শুরু করুন। ব্যয়টা হয়তোবা আপনার একই হবে। তাছাড়া আপনার মুদ্রাস্ফীতির কারণে এগুলি বাড়তে পারে। সে ক্ষেত্রে আপনি অবশ্যই আপনার অবসরের জন্য তাড়াতাড়ি সাশ্রয় করুন।
  • মূলধন সঞ্চয় ও জমা করুন সব সময়। কেননা একটা সময় গিয়ে বিনিয়োগ এবং সুবর্ণ সুযোগগুলো দখল করার জন্য।
  • বেশি বেশি করে সম্পদ সংরক্ষণ করুন এবং তৈরি করুন। কারণ আপনার পরবর্তী প্রজন্মকে হস্তান্তরিত করার জন্য।

সঞ্চয় বলতে কি বুঝানো হয়

আমাদের দৈনন্দিন জীবনে সঞ্চয়ের গুরুত্ব অনেক বেশি। আর সঞ্চয় বলতে আমরা বুঝি, আমাদের দৈনিক, সাপ্তাহিক, মার্কশিট কিংবা বাৎসরিক। যেকোনো ধরনের উপার্জন থেকে খরচ করার পরে বাকি অংশটুকু অবশিষ্ট থাকে এবং তাকেই আমরা মূলত সঞ্চয় বলে থাকি। অথবা, কোন পরিবার বা ব্যক্তির সকল রকমের পরক গ্রহণ যেমন বলতে পারেন বাড়ি ভাড়া, ঋণ পরিশোধ, বাচ্চাদের স্কুলের বেতন ইত্যাদি যে টাকাগুলো বাকি থাকে এবং ভবিষ্যতের জন্য রেখে দেওয়া হয় সেটাই মূলত সঞ্চয়।

এর কাছে অতি পরিচিত একটি শব্দ হল সঞ্চয়। আপনি যদি ১০০ জন মানুষকে জিজ্ঞাসা করেন আসলে কি সঞ্চয়ের প্রয়োজনীয়তা আছে কি? তাহলে ওখান থেকে প্রায় ৯৯ জনই বা ১০০ জনে বলবে অবশ্যই সঞ্চয়ের প্রয়োজনীয়তা আছে। কিন্তু কথা হচ্ছে আমরা কতজন নিয়মিত সঞ্চয় করতে পারি। সেই কথাটা আমরা নিজেকে প্রশ্ন করলেই তার উত্তর আমরা এমনিতেই পেয়ে যাই।

কেননা আমরা সঞ্চয় শব্দটি শুনে কিন্তু আসলে সঞ্চয় আমরা কোনভাবেই কখনোই করি না। কিন্তু অবশ্যই আমাদেরকে প্রতি সপ্তাহের বা প্রতিমাসের খরচ থেকে কিছু টাকা আলাদা করে রেখে তাকে সঞ্চার করা দরকার। কারণ ভবিষ্যতে আমরা যে কোন বিপদ থেকে বা পরবর্তী প্রজন্মকে স্বয়ংশিলতা করে গড়ে তোলার জন্য এবং নিজের কিছু স্বাদ, ইচ্ছা পূরণের জন্য সঞ্চয় করতে পারি।

অর্থ সঞ্চয় করা কেন ভালো

আমাদের মধ্যে অনেকেরই মনে প্রশ্ন জাগতে পারে অর্থ সঞ্চয় কেন করব আমরা?। এই প্রশ্নের উত্তরে আপনাদেরকে আমরা একটি সহজ উদাহরণ দিব। যেটার মাধ্যমে আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন কেন আমরা অর্থ সঞ্চয় করব। কেননা আমরা সঞ্চয় করে থাকি শুধুমাত্রই আমাদের বিপদের কথা চিন্তা করে। কারণ বিপদের সময় আপনি দেখবেন আপনার কাছের মানুষগুলো আপনাকে টাকা ধার দিবে না।

কিন্তু যদি আপনি আপনার সঞ্চয়ে টাকা থাকে, তাহলে কখনোই কারো কাছে আপনাকে হাত পাততে হবে না। কিন্তু যদি আপনি আবার ইসলামের দিক থেকে ভাবতে যান তাহলে বিষয়টি ভিন্ন। কারণ ইসলাম বলে, আসলে সঞ্চয় ইসলামী নিষিদ্ধ নয়, কিন্তু আমরা কেন টাকা জমাচ্ছি। প্রথমেই সেটা নিজেকে জিজ্ঞেস করে নিতে হবে। আসলেই কি টাকাটা আমরা হজের জন্য জমাচ্ছি যদি হজ্বের জন্য জমিয়ে থাকি তাহলে আল্লাহতালা অবশ্যই আমাদেরকে হজ্ব করার তৌফিক দান করবেন।

এছাড়াও আপনি যদি আপনার গ্রামে একটি মসজিদ বানানোর স্বপ্ন দেখে থাকেন তাহলে, সেই উদ্দেশ্যে অল্প করেও টাকা জমা। একটা সময় গিয়ে দেখবেন আল্লাহ তা'আলা ঠিকই আপনাকে দিয়ে একটা মসজিদ তৈরি করে নিয়েছে। আবার এমনও হতে পারে আপনার বেতন অল্প কিছু টাকা কিন্তু আপনার কোরবানি দেয়ার অনেক ইচ্ছা তাহলে আপনি তখন আস্তে আস্তে অল্প অল্প করে কিছু টাকা যদি সঞ্চয় করে থাকেন।

তাহলে দেখবেন আল্লাহ তা'আলা ঈদের সময় আপনার স্বপ্নটা অবশ্যই পূরণ করবে। তাছাড়াও আমরা যারা অবিবাহিত আছি, তাদের উচিত এখন থেকে অল্প কিছু টাকা করে মোহরানার টাকা এবং পলিমার টাকা জমানো। এখান থেকেই আমরা বুঝতে, পারছি অর্থ আমাদেরকে অবশ্যই নেক কাজের জন্য জমানোর চেষ্টা করতে হবে। কেননা আপনি যদি নেক কাজের জন্য টাকা জমান তাহলে মহান আল্লাহতালা শয়ন আপনাকে হেল্প করবে।

আমাদের মধ্যে অনেকে আছেন যারা, অসুস্থ হওয়ার ভয়ে টাকা জমিয়ে থাকে। কিন্তু শুনেন ভাই আপনি যদি কোটি কোটি টাকাও জমিয়ে ফেলেন, আর আল্লাহতালা যদি আপনাকে এমন একটা অসুখ দেয় যে অসুখটার পৃথিবীতেই কোন চিকিৎসা কেন্দ্র নাই। সে ক্ষেত্রে আপনার কোটি টাকা থেকে কোন লাভ হবে না। তাই অবশ্যই আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই আপনাকে টাকা জমাতে হবে।

আবার আমাদের আশেপাশে গ্রামে অঞ্চলে এটি বেশি দেখা যায়, সেটা হল ছোট থেকেই মেয়েদেরকে বিয়ে দেয়ার জন্য তার বাবা মায়েরা অনেক টাকা জমা, যৌতুক দেওয়ার জন্য। কিন্তু এটা তো ইসলামী একেবারেই হারাম, এমনকি আপনার এই টাকা জমানো নিয়াতটা ইসলামের দিক থেকে একেবারেই পুরাপুরি হারাম। তাই অবশ্যই বন্ধুরা আপনারা চেষ্টা করবেন, যেকোনো বিষয়ে টাকা জমানোর আগে অবশ্যই আল্লাহ তা'আলা সন্তুষ্টির জন্যই অর্থ জমাবেন।
কিন্তু আপনি অবশ্যই একটা কথা মনে রাখবেন, কখনোই আপনি হারাম পথে উপার্জন করবেন না, কেননা আপনি যদি হারাম পথে উপার্জন করেন। এবং সেখান থেকে আপনার পরিবারের ভরণ পোষণ চালান, সে ক্ষেত্রে সেটার হিসাব শুধুমাত্র আপনাকেই দিতে হবে আল্লাহতালার কাছে। যাদের জন্য আপনি হারাম ইনকাম করছেন তারা কখনোই এটার হিসাব দিবেনা। তাই বন্ধুরা অবশ্যই আপনি অর্থ সঞ্চয় করবেন সেটা ভালো কথা, কিন্তু সেটা যেন হয় সৎ ভাবে। আশা করি বিষয়টি আপনি সুন্দর ভাবে বুঝতে পেরেছেন।

টাকা সঞ্চয় করতে হবে কেন

আমাদের সমাজে বেশি সংখ্যক মানুষকে দেখা যায় যারা মধ্যবিত্ত তারা সঞ্চয় করেন। এবং যারা ধনী তারা সঞ্চয়ের থেকে বিনিয়োগ বেশি করতে ভালবাসে এবং যারা একেবারে গরীব তারা তো নুন আনতে তাদের পান্তা ফুরিয়ে যায়। তারপরও তারাও কিছু না কিছু সঞ্চয় করেন। সেজন্য দেখা যায় কম বেশি সবাই সঞ্চয় করেন। সে ক্ষেত্রে অনেক অর্থনীতিবিদরা বলেন, বিনিয়োগের পরিধি অথবা সঞ্চয়ের পরিধি একই।

কারণ আমরা হয়তোবা অনেকেই জানিনা বিনিয়োগের অর্থ আসে কিন্তু সঞ্চয় থেকেই। সেজন্য আমরা যদি বেশি বেশি করে সঞ্চয় করি তাহলে ব্যাংকগুলো সেই টাকা বেশি বেশি প্রতিষ্ঠানে লগ্নী করতে পারে। এবং বাংলাদেশের মানুষকে তাদের সঞ্চয়ের জন্য মূলত ব্যাংক এবং অন্যান্য উন্নয়ন ব্যাংকিং আর্থিক ওপর অনেকটাই নির্ভরশীল করতে হয়। সেজন্যই মূলত ব্যাংকগুলো তাদের গ্রাহকরা যেন জীবনের প্রতিটি পর্যায়ের সঙ্গে তাল মিলাতে পারেন।

সেটিকে পরিকল্পনা করে নতুন নতুন সঞ্চয়ী হিসাবের প্রস্তাব সামনে নিয়ে আসে। সেজন্য বাংলাদেশের সঞ্চয় করতে পারেন ব্যাংক। সরকারি বন্ধে অর্থ রেখে, আবার পুঁজিবাজার মিউচুয়াল ফান্ডে লগ্নি করে অনেক অর্থ সঞ্চয় করতে পারেন। আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা স্বর্ণ, জমি এমনকি অ্যাপার্টমেন্ট কিনে তারপর টাকা সঞ্চয় করেন।

যদিও আমাদের বাংলাদেশে এখন ক্রেডিট কার্ডের প্রচলিত বেশি, সেজন্য ব্যাংকে কোন ধরনের অর্থ না থাকলেও সেরে ফেলতে পারে, আবার দিতে পারেন বাচ্চাদের স্কুল কলেজের ফি ও বাড়ি ভাড়া। সেই অর্থগুলো পরে দিলেও চলবে। তাই আমাদেরকে ভাবতে হবে দুনিয়ায় যখন এ অবস্থা চলে এসেছে তখন সঞ্চয়ের প্রয়োজনীয়তা অনেকের কাছেই গুরুত্বপূর্ণ হারিয়েছি। সেজন্য আমাদের এখন আধুনিক ভাবনায় সঞ্চয় কি সত্যি জরুরী?

এই প্রশ্নে একটি সফল মার্কিন উদ্যোক্তা ওয়ারেন্ট বাপের বলেছেন, আপনার খরচের পর যা অবশিষ্ট থাকবে তা সঞ্চয় না করে বরং সঞ্চয়ের পর যা অবশিষ্ট থাকে তা খরচ করুন। অনেক সময় দেখা যায় আমাদের বাংলাদেশে অনেক ক্ষেত্রেই মহামারি। সেজন্য তখন সঞ্চয়ের টাকায় আমাদের প্রধান ভরসা হয়ে দাঁড়ায়। সে ক্ষেত্রে বলাই যায় সঞ্চয় আমাদের বিপদের বন্ধু।

কিন্তু আমাদের এক একজনের কাছে এক এক রকমের আর্থিক সচ্ছলতার ভাবনা। কেউ কেউ মনে করেন, তিন বেলা দু'মুঠো খাবার যোগান দেওয়াটাই আমাদের জন্য স্বচ্ছলতা। আবার দেখা যায় কারো কারো কাছে সংসারে যাবতীয় খরচ মিটিয়ে ভালো হবে জীবন যাপন করাটাই হলো সচ্ছলতা। কিন্তু আমরা যদি আপনাকে বৈশ্বিক ভাবে সচ্ছলতার মানদন্ড বলতে যায়,

তাহলে আপনি যদি মাসের শেষে চাকরির চেকের উপরেই কেবল নির্ভরশীল হয়ে থাকেন তাহলে আপনাকে সচ্ছল বলেই ধরে নেয়া যেতে পারে। কিন্তু আপনি তারপরেও অবশ্যই সঞ্চয় করাতে মনোযোগী হন। বাড়ি গাড়ি কেনা থেকে শুরু করে। ধরুন আপনি একটা ভালো চাকরি করছেন। এবং সেই চাকরি থেকে যে অর্থটুকু পাচ্ছেন তা দিয়ে আপনার সুন্দর জীবন যাপন পরিচালনা করা সম্ভব হচ্ছে।

কিন্তু আপনি যদি চান যেন আমি এখান থেকেই বড় কিছু হব তাহলে আপনাকে অবশ্যই সঞ্চয়ের দিকে মনোযোগী হতে হবে। কারণ আপনি এখন যা করছেন সারা জীবন যেটা আপনি সেটাই করতে চান তাহলে হয়তো আপনার সঞ্চয়ের কোন প্রয়োজন নেই। কিন্তু আপনি যদি ভেবে থাকেন যে আমি এখন যা করছি আজ থেকে পাঁচ বছর পর এর থেকে বড় কিছু করব। তাহলে অবশ্যই আপনাকে সঞ্চয় করতে হবে।

তাছাড়া আপনি যদি একটা ব্যবসায়ী হয়ে থাকেন, এবং আপনি ভাবছেন আপনার ব্যবসাটাকে অনেক বড় কিছু করতে। তাহলে অবশ্যই আপনাকে সঞ্চয়ের দিকে মনোযোগী হতে হবে। সেটা যদি আপনি অল্প অল্প করে করেন তাও চলবে। কে আপনি মনে মনে প্রতিজ্ঞা করুন যদিও বা আপনি অল্প অল্প করে অর্থ জমাতে পারবেন তবে তাই শুরু করুন। কেননা সঞ্চয় পারে আপনার জীবনটাকে বদলে দিতে।

আপনি যদি অল্প অল্প করে টাকা জমান সে ক্ষেত্রে আপনার মনে হতে পারে। এই সামান্য টাকা কি হবে কিন্তু আপনি যদি এই টাকাটাই জমাতে জমাতে প্রায় ৫ থেকে ১০ বছর জমান তাহলে দেখবেন একটা সময় গিয়ে এই টাকাটা অনেক বড় অংকে রূপ নিয়েছে। আর আপনার যদি টাকা জমানোর ইচ্ছা থাকে তাহলে অবশ্যই বাইরে খাওয়া থেকে বিরত থাকার চেষ্টা করুন।

কেননা বাইরে খাওয়ার ফলে আপনার অনেক অর্থ নষ্ট হয়ে যায় কিন্তু আপনি সেটা বুঝতে পারেন না। হয়তোবা আপনি মাসে ৫ থেকে ১০ দিন থাকতেন কিন্তু আপনি আজকেই আপনার ফোনে ক্যালকুলেটর মেরে দেখেন সেই টাকাটা আসলে কত বড় রূপ নিচ্ছে। আশা করি বিষয়টি আপনি সুন্দর ভাবে বুঝতে পেরেছেন।

সঞ্চয় ও বিনিয়োগের সুবিধা

জীবন সুন্দরভাবে পরিচালনা করার জন্য সঞ্চয় অবশ্যই আমাদের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। কিন্তু সঞ্চয় একাউন্টগুলি স্বল্প মেয়াদে প্রয়োজন বা জরুরী তহবিলের জন্য একটি হাতিয়ার হিসেবে দ্রুত কাজ করে। সে ক্ষেত্রে আবার বিনিয়োগ অ্যাকাউন্টগুলি উচ্চ হারে রিটার্ন দিতে পারে, কিন্তু এখানে ঝুঁকিও অনেক বেশি। সেজন্য আপনার দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্য গুলির জন্য বিনিয়োগ করা উচিত। এবং আপনার ঝুঁকি সহনশীলতা সম্পর্কে অবশ্যই সচেতন থাকা উচিত। তাই আপনি কতটা ঝুঁকি গ্রহণ করতে ইচ্ছুক তার ওপরে নির্ভর করবে বিনিয়োগ।

আমরা হয়তোবা অনেকেই জানিনা, সঞ্চয় এবং বিনিয়োগ উভয় একটি সুস্থ আর্থিক পরিকল্পনার গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। যা সঞ্চয় একটি নিরাপদ জাল এবং স্বল্প মেয়াদী লক্ষ্য অর্জনের একটি উপায় প্রদান করে। সেক্ষেত্রে যখন বিনিয়োগে উচ্চতর দীর্ঘমেয়াদী আয়ের সম্ভাবনা থাকে এবং দীর্ঘমেয়াদী আর্থিক লক্ষ্য অর্জনের সহায়তা করতে পারে। সেক্ষেত্রে আপনি যদি এখন আমাদেরকে প্রশ্ন করেন,

সঞ্চয় ও বিনিয়োগের মধ্যে সবথেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ কোনটি? সে ক্ষেত্রে আমরা অবশ্যই বলব সঞ্চয়। কারণ আপনি যখন বিনিয়োগ করবেন তখন আপনাকে নিশ্চিত করার চেষ্টা করতে হবে যেন আপনার কাছে একটি আলাদা কম ঝুঁকিপূর্ণ, এবং কম রিটার্ন একাউন্ট আছে কিনা। যেটা দিয়ে আপনি একটি অপ্রত্যাশিত ঘটনার সময় ফরজ গুলি কভার করতে ব্যবহার করতে পারেন।

সেজন্য আপনি আপনার সাধারণ অর্থ থেকে কমপক্ষে তিন থেকে ছয় মাসের জীবনযাত্রার ব্যয় নির্ধারণ করে রাখতে পারেন। যদিও সাধারণ বিনিয়োগ করার আগে আমাদের তিন থেকে ছয় মাসের জীবনযাত্রার ফরজ বাঁচানোতেই মূলত আদর্শ বলা হয়ে থাকে। তবে তার পরেও গুরুত্বপূর্ণ হলো সঞ্চয়ের সমর্পর্শপূর্ণ অভাব গড়ে তোলা। আপনি যদি মূলত একটি স্বল্প মেয়াদী লক্ষ্যের জন্য সঞ্চয় করে থাকেন।

তাহলে নিকট ভবিষ্যতে তহবিল উত্তোলন করতে হবে।কেননা তার ফলে আপনি সম্ভবত একটি সেভিংস একাউন্টে অর্থ পার্কিং করাই ভালো।তারপরেও যদি বিপরীতভাবে আপনার লক্ষ্য গুলি দীর্ঘ সময়ের মধ্যে থাকে, তাহলে আপনি সাধারণত দেখতে পাবেন যে আপনি বিনিয়োগ খেতে আরো সন্তোষজনক ফলাফল পেতে পারেন। আশা করি আপনি সঞ্চয় ও বিনিয়োগের সুবিধা গুলো সুন্দরভাবে বুঝতে পেরেছেন।

শেষ কথা | অর্থ সঞ্চয় করা কেন ভালো | সঞ্চয় এর গুরুত্ব কি

প্রিয় পাঠক, এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনি নিশ্চয়ই  এই পোস্টটির মাধ্যমে এতক্ষণে জেনে গেছেন, সঞ্চয় এর গুরুত্ব কি এবং অর্থ সঞ্চয় করা কেন ভালো সে সম্পর্কে। আশা করি এ পোস্টটি আপনার অনেক উপকারে আসবে। তাই এই পোস্টটি আপনার কাছে ভালো লেগে থাকলে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন।
এবং এরকম বিভিন্ন ধরনের নতুন নতুন আর্টিকেল বা ব্লক পোস্ট নিয়মিত পেতে আমাদের সাথেই থাকুন, তাছাড়াও আমরা এই ওয়েবসাইটে প্রযুক্তি বিষয়ক বিভিন্ন পোস্ট বা আটিকের প্রকাশ করে থাকি। আসসালামু আলাইকুম।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সাগর ম্যাক্স এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url