শ্বাসকষ্ট হলে কি খাওয়া যাবে না - শ্বাসকষ্ট হলে কি খেতে হয়

প্রিয় বন্ধুরা, আপনারা সবাই কেমন আছেন, আশা করি সবাই ভাল আছেন। আজকে মূলত আমরা এই পোস্টটির মাধ্যমে আপনাদেরকে জানাতে চলেছি শ্বাসকষ্ট হলে কি খাওয়া যাবে না এবং শ্বাসকষ্ট হলে কি খেতে হয়। তাই আপনারা যদি না জেনে থাকেন শ্বাসকষ্ট হলে কি খেতে হয় এবং শ্বাসকষ্ট হলে কি খাওয়া যাবে না, তাহলে এ পোস্টটি আপনাদের জন্য। কারণ আমরা খুব সুন্দর ভাবে এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনাদের সামনে আলোচনা করব শ্বাসকষ্ট হলে কি খেতে হয় এবং শ্বাসকষ্ট হলে কি খাওয়া যাবে না।
শ্বাসকষ্ট হলে কি খাওয়া যাবে না - শ্বাসকষ্ট হলে কি খেতে হয়
শুধু তাই নয় এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আরো জানতে পারবেন নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হয় কেন। তাই আপনারা যদি এই পোস্টটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে স্টেপ বাই স্টেপ পড়েন, তাহলে এ সমস্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে পারবেন। আমরা এ পোস্টটির মাধ্যমে শ্বাসকষ্ট হলে কি খাওয়া যাবে না এবং শ্বাসকষ্ট হলে কি খেতে হয় এই বিষয়গুলো ছাড়াও আরো অন্যান্য বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। তাই আশা করি এই পোস্টটি আপনার অনেক উপকারে আসবে। তো চলুন দেরি না করে আমরা এই সমস্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে জানা শুরু করি।

পোস্ট সূচিপত্রঃ শ্বাসকষ্ট হলে কি খাওয়া যাবে না - শ্বাসকষ্ট হলে কি খেতে হয়

ভূমিকা । শ্বাসকষ্ট হলে কি খাওয়া যাবে না । শ্বাসকষ্ট হলে কি খেতে হয়

শ্বাসকষ্টের সমস্যা এটি একটি কঠিন সমস্যা, আপনি যদি সঠিকভাবে চিকিৎসা না করেন তাহলে এই শ্বাসকষ্ট একদিন বড় সমস্যায় পরিণত হবে। তাই আপনাকে জানতে হবে শ্বাস কষ্ট কি, নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হয় কেন, হঠাৎ শ্বাসকষ্ট হলে করণীয়, শ্বাসকষ্ট হলে কি খাওয়া যাবে না, শ্বাসকষ্ট হলে কি খেতে হয়। তাই বন্ধু চিন্তার কোন কারণ নেই আমরা এই পোস্টটির মাধ্যমে,
আলোচনা করে আপনাদেরকে জানাবো কিভাবে আপনি শ্বাসকষ্ট থেকে মুক্তি পাবেন। যদি আপনি এই সমস্ত বিষয় সম্পর্কে জানতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে এই আর্টিকেলটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে। আপনি যদি এই আর্টিকেলটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত না পড়েন তাহলে অনেক কিছুই আপনি বুঝতে পারবেন না।

কারণ এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা সুন্দরভাবে পয়েন্ট আকারে আলোচনা করি আপনাকে বোঝানোর চেষ্টা করেছি এ সমস্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে। তাই আপনি সকল পয়েন্টগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়ার চেষ্টা করবেন। তো চলুন বন্ধুরা দেরি না করে আমরা এ সকল বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জেনে আসার চেষ্টা করি। আশা করি এ পোস্টটি আপনার অনেক উপকারে আসবে।

শ্বাস কষ্ট কি

আমরা এখন আর্টিকেলের এই অংশে জানতে চলেছি শ্বাস কষ্ট কি?। আসলে শ্বাসকষ্ট এমন একটি শারীরিক অবস্থা যা একজন মানুষ মনে করে, সে যথেষ্ট ভালো করেও আরামদায়কভাবে শ্বাস নিতে পারছেন না। আর থেকে ইংরেজি চিকিৎসা বৈজ্ঞানিক পরিভাষায় ডিসপ্নিয়া বলা হয়ে থাকে। শ্বাসকষ্ট পরিমাপ করার জন্য মূলত তিনটি নিয়ামক বিবেচনায় গ্রহণ করতে হয়। সেগুলো হলো-
  1. কষ্টের তীব্রতা
  2. বিভিন্ন ধরনের অনুভূতির তীব্রতা
  3. দৈনন্দিন জীবন যাপনে এর প্রভাব
শ্বাসকষ্টের বিভিন্ন অনুভূতির মধ্যে রয়েছে, শ্বাস নেওয়ার জন্য কাজ করতে ইচ্ছে এ সকল অনুভূতি, বাতাসের জন্য আকুতি এবং বুক চেপে আসা এছাড়াও অক্সিজেনের অভাব হয়েছে এই অনুভূতি। স্বাভাবিক শ্বাসকষ্টের উপসর্গ দেখা যায়, অতিরিক্ত কায়িক পরিশ্রম করার ফলে। তবে যদি অস্বাভাবিক পরিস্থিতিতে অথবা সামান্য পরিশ্রমে এমন শ্বাসকষ্ট শুরু হয়, সেক্ষেত্রে তাকে রোগের উপসর্গ হিসেবে গণ্য করা হয়ে থাকে।

৮০ শতাংশ ক্ষেত্রেই শ্বাসকষ্টের পেছনে ফুসফুস প্রদাহ, হাঁপানি রোগ, হৃদ-রক্তাভাব, রক্তাধিক্যজনিক হৃদবৈকল্য, অঙ্গগহ্বরীয় ফুসফুসীয় ব্যাধি, দীর্ঘস্থায়ী অবরোধক ফুসফুসীয় ব্যাধি কিংবা মনোজাত কোনো কারণ। যথাক্রমে আতঙ্ক রোগ ও উৎকণ্ঠা। মূলত উক্ত মূল কারণের চিকিৎসা করলে শ্বাসকষ্টেরও চিকিৎসা হয়ে থাকে। আশা করি শ্বাস কষ্ট কি বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন।

নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হয় কেন

আমরা এখন আর্টিকেলের এই অংশে জানবো, নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হয় কেন?। আমাদের মধ্যে অনেকে আছে যারা শিবে ওঠার সময় শ্বাসকষ্ট হয়। এছাড়াও অনেকে আছে একটু বেশি হাটাহাটি করলেও শ্বাসকষ্ট নিতে অনেক কষ্ট হয়। আসলে বিষয়টি খুবই বিরল-আসলে বিষয়টি তা নয়। এমনিতেই প্রত্যেকটি ব্যক্তির ফুসফুস এবং হৃদযন্ত্রের ক্ষমতা সমান হয় না।

যে সকল ব্যক্তির ফুসফুস আর হৃদযন্ত্র দুর্বল, তাদের অল্প পরিশ্রমে শ্বাসকষ্টের সমস্যা হয়ে থাকে। হৃদযন্ত্রের সমস্যা, নিউমোনিয়া, এলার্জি, ফুসফুসের রোগ, হাঁপানি, যক্ষা, স্থূলতা ইত্যাদি সমস্যার কারণে শ্বাসকষ্ট হওয়াটা স্বাভাবিক। এছাড়াও দেহে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ হলেও শ্বাসকষ্ট হওয়ার সমস্যা দেখা দিতে পারে।

অনেকে আছেন যারা রাত্রে ঠিকমতো ঘুমান না তাদের ক্ষেত্রেও এই সমস্যা হতে পারে। যারা কিডনির অসুখে ভুগছেন তাদেরও শ্বাসকষ্টের সমস্যা হতে পারে। শ্বাসকষ্ট নিউমোনিয়ার প্রধান উপসর্গ। শ্বাসকষ্ট ততই প্রকট হবে যত ফুসফুসের বেশি অংশ আক্রান্ত হবে। একই ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে ক্রনিক ব্রস্কাইটিসের কারণে।

আমাদের মধ্যে বেশি সংখ্যক মানুষের মনে করেন, শ্বাসকষ্ট মানেই হচ্ছে হাঁপানি, তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চায় সব শ্বাসকষ্ট হাঁপানি নয়। কেননা হাঁপানি হলে বিশেষ ধরনের শ্বাসকষ্টের সমস্যা হয়ে থাকে। এই সমস্যাটি মূলত হঠাৎ করেই শুরু হয়। একই সাথে কাশি এবং বুকের ভেতর শ্বাস বন্ধ ভাব অনুভূতি হয়। সে ক্ষেত্রে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।

কেননা একমাত্র চিকিৎসকি বলতে পারবে আদৌ আপনার হাঁপানি সমস্যা আছে কিনা। শ্বাসকষ্টের সাথে যদি বুকের ব্যথা, ক্লান্তি, হাত পা ব্যথা অথবা অতিরিক্ত না ঢাকা সমস্যা বাড়ে তাহলে আপনাকে অবশ্যই বাড়তি সতর্কতা নেওয়া প্রয়োজন। কিন্তু অনেক মানুষ আছেন যারা হাঁপানি হয়েছে কিনা সেটা না বুঝেই বিভিন্ন ধরনের ওষুধ খেয়ে থাকেন

এটা একদমই ঠিক নয় অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোন ঔষধ সেবন করা ঠিক নয়। সর্বদা চেষ্টা করবেন চিকিৎসকের উৎসবের পরামর্শ নেওয়ার। যদি আপনার ধূমপানের অভ্যাস থেকে থাকে তাহলে ধূমপান ছেড়ে দিন। আর যতটুকু সম্ভব ধুলোবালি ও দূষণ থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করুন।

হঠাৎ শ্বাসকষ্ট হলে করণীয়

আমরা এখন আর্টিকেলে এই অংশে জানতে চলেছি হঠাৎ শ্বাসকষ্ট হলে করণীয়?। আপনার যদি হঠাৎ করে কোনদিন শ্বাসকষ্ট শুরু হয়ে যায় তাহলে কখনোই আপনি শুয়ে পড়বেন না। সব সময় সোজা হয়ে বসে থাকবেন ও নিজে নিজে ভাবতে থাকুন আতঙ্কের কিছুই হয়নি। সঙ্গে সঙ্গে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ নেবেন। চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে Inhaler Spacer এর সাহায্য নিতে হবে।

এতে আস্তে আস্তে পাঁচ থেকে সাতবার টান দিন। সে ক্ষেত্রে যদি হাতের কাছে কিছু না থাকে, তাহলে কাগজের ঠোঙ্গা ব্যবহার করতে পারেন। তাতে জোরে ফু দিয়ে টানতে থাকুন। Inhaler Spacer এর মধ্যে প্রত্যেকবার এক চাপ দিয়ে তা থেকে পাঁচবার শ্বাস নিতে হবে। আপনি ওষুধের ঠিকমতো টেনে নিতে পারছেন কিনা সেদিকে অবশ্যই খেয়াল রাখবেন।

আপনি রক্তচাপ মেপে দেখতে পারেন। যদি আপনার রক্তচাপ বেড়ে যায়, তবে চিকিৎসকের পরামর্শের প্রেসার ও ঘুমের ওষুধ খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ুন। এর মাঝে অল্প অল্প করে স্যালাইন জল খান। কিন্তু অবশ্যই আপনি আপনার শরীরের উপর খেয়াল রাখবেন। যদি আপনি Inhaler Spacer এর ব্যবহার করেন তাহলে মোট পাঁচবার চাপটা নিতে হবে।

আপনার অক্সিজেনের মাত্রা কত সেটি বারবার করে দেখুন। সেই মুহূর্তে নিকটবর্তী অক্সিজেন সিলিন্ডার বাড়িতে দিয়ে যেতে পারবে এমন কোন স্বেচ্ছাসেবক এর সঙ্গে যোগাযোগ করুন। সেজন্য আপনাকে আগে থেকেই এদের নাম ফোন নম্বর জোগাড় করে রাখতে হবে। যদি আপনার শ্বাসকষ্ট কিংবা হাঁপানের টান না থাকে তাহলে সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে যান।

কেননা আপনার লেবুলাইজার যন্ত্রের সাহায্য লাগতে পারে। তবে আপনি হাসপাতালে যাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শে ইনহেলার নিতে পারলে খুবই ভালো হয়। তবে শুরুতেই যদি দেখেন জিব্বা, আঙ্গুল বা নখ নীল হয়ে আসছে, এমনকি আপনি শ্বাসকষ্টের জন্য কথা পর্যন্ত বলতে পারছেন না, বা মাঝে মাঝে চেতনা হারিয়ে ফেলছেন।

তাহলে অবশ্যই যত দ্রুত সম্ভব আপনি হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসকের কাছে দেখা করুন। কেননা এটি নিয়ে যদি আপনি বাসায় বসে থাকেন তাহলে আপনার বড় ধরনের সমস্যা হতে পারে। আশা করি হঠাৎ শ্বাসকষ্ট হলে করণীয় কি সে বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন।

শ্বাসকষ্ট হলে কি খাওয়া যাবে না

আমরা এখন আর্টিকেলের এই অংশ জানতে চলেছিস শ্বাসকষ্ট হলে কি খাওয়া যাবে না?। যাদের শ্বাসকষ্ট হয়ে থাকে তাদেরকে সব সময় সতর্ক থাকতে হয়। কারণ কিছু কিছু খাবার আছে যেগুলো শ্বাসকষ্ট অনেকটাই কমিয়ে দেয় আবার কিছু কিছু খাবার আছে যেগুলো শ্বাসকষ্ট অনেক বাড়িয়ে দেয়। সেজন্য শ্বাসকষ্ট আক্রান্ত ব্যক্তির সামগ্রিক স্বাস্থ্য ও হাঁপানির লক্ষণগুলো হ্রাস করতে শ্বাসকষ্ট রোগীর খাদ্য তালিকায় কিছু নির্দিষ্ট খাবার অন্তর্ভুক্ত করা উচিত।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসাবিদদের মতে জানা গেছে, তাজা খাবারের পরিবর্তে প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়ার ফলে বিগত কয়েক বছর ধরে শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা আমাকে তো বেড়েই চলেছে। সেজন্য আমরা এখন জানবো শ্বাসকষ্ট হলে কি খাওয়া যাবে না। তাই আমরা নিচে কিছু খাবারের কথা উল্লেখ করেছি এ সকল খাবারগুলো শ্বাসকষ্ট রোগীদের খাওয়া একেবারেই উচিত নয়।

শ্বাসকষ্ট হলে কি খাওয়া যাবে না তা জেনে নিন

সালফাইটস

সালফাইট শুকনো ফল, চিংড়ি, আচার যুক্ত খাবার, ওয়াইন, লেবুর জুসে পাওয়া যায়। মূলত এ সকল জিনিসগুলো হাঁপানের লক্ষণ আরো বাড়িয়ে তুলে।

যেসকল খাবার খেলে গ্যাস হয়

কার্বনেটেড পানীয়, বাঁধাকপি, পেঁয়াজ, মটরশুঁটি, রসুন অথবা ভাজা খাবারের মতো খাবারগুলি গ্যাসের কারণ হয়ে থাকে। যেটা ডায়াফ্রাম এর উপর বিশেষ চাপ সৃষ্টি করে থাকে। তাই এটি হাঁপানির লক্ষণ গুলি বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে।

স্যালিসাইলেট খাবার

স্যালিসাইলেট জাতীয় খাবার গুলো হাঁপানির ক্ষেত্রে শ্বাসকষ্টের ক্ষেত্রে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করতে সাহায্য করে। স্যালিসাইলেট ওষুধ ও অন্যান্য পণ্য গুলোতেও পাওয়া যায়। তাছাড়া চা, কফি এবং অন্যান্য মসলায়ও পাওয়া যায়।
কৃত্রিম উপাদান

টিম উপাদান বলতে যেমন- ফুড কালার, ফুড ফ্লেভার ইত্যাদি আজাদ ও ফাস্ট ফুড গুলিতেও এ কৃত্তিম উপাদান পাওয়া যায়।

শ্বাসকষ্ট হলে কি খেতে হয়

আমরা এখন আর্টিকেলের এই অংশে জানতে চলেছি শ্বাসকষ্ট হলে কি খেতে হয়?। আমাদের মধ্যে অনেকে আছে যারা এখনো পর্যন্ত জানে না যে শ্বাসকষ্ট হলে কি খেতে হয়। তবে চিন্তার কোন বিষয় নেই আমরা এখনই আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি যে শ্বাসকষ্ট হলে কি খেতে হয়। যাদের শ্বাসকষ্টের সমস্যা আছে তাদের তাজা ফল এবং শাকসবজি জাতীয় শোষণ খাদ্য খাওয়া উচিত।

কিন্তু আমাদের অবশ্যই একটা বিষয় মনে রাখতে হবে। কিছু নির্দিষ্ট কারণ রয়েছে সে কারণে এলার্জি হয় বা হাঁপানের লক্ষণ গুলোর দিকে নিয়ে যেতে পারে। যে জাতীয় খাদ্য গুলি হাঁপানের ঝুঁকি হ্রাস করতে সাহায্য করে সেগুলো হল- ভিটামিন এ, ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন ডি, ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, বিটা ক্যারোটিন, ও খনি এবং অন্যান্য ভিটামিন জনিত খাবার। তাই আমরা এখন জানবো শ্বাসকষ্ট হলে কি খেতে হয়। শ্বাসকষ্ট হলে যে সকল খাবার গুলো পেতে হয় সেগুলো নিচে দেওয়া হল।

শ্বাসকষ্ট হলে কি খেতে হয় তা জেনে নিন

ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার

ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার গুলো ৬ থেকে ১৫ বছর বয়সী শিশুদের হাঁপানি সমস্যা কে কমিয়ে আনতে সাহায্য করে। সেই খাবার গুলো হল- দুধ, ডিম, সালমন, কমলা লেবুর রস। ভিটামিন ডি ফুসফুসের কার্যকারিতা বাড়াতে সাহায্য করে এর পাশাপাশি রেসপিরেটরি ইনফেকশন হ্রাস করতে পারে।

কলা

পানিতে আক্রান্ত শিশুদের ফুসফুসের কার্যকারিতা উন্নত করার জন্য কলা বেশ সাহায্য করে থাকে।

শাকসবজি ও ফলমূল

বিভিন্ন শাকসবজি ও ফলমূল খাওয়ার ফলে হাঁপানের লক্ষণ গুলো হ্রাস পায়। কেননা এগুলোতে ভিটামিন সি, বিটা ক্যারোটিন, ভিটামিন ই এর মত এন্টিঅক্সিডেন্ট।লাল, কমলা, হলুদ, বাদামি, সবুজ ইত্যাদি বর্ণের ফল এবং শাকসবজি খাওয়া কেবল আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকেই বৃদ্ধি করবে না, এর সাথে সাথে হাঁপানের হ্রাস করবে।

ভিটামিন এ সমৃদ্ধ খাবার

হাঁপানিতে আক্রান্ত শিশুদের শরীরের সুস্থ বাচ্চাদের তুলনায় ভিটামিন এ অনেকটাই কম থাকে। সেজন্য ভিটামিন এ সমৃদ্ধ খাবার যেমন- মিষ্টি আলো, গাজর, শাকসবজি, ব্রকলি এ সকল খাবারগুলো এড়ানো উচিত।

ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার

১৫ থেকে ১৯ বছর বয়সী শিশুদের যাদের শরীরে ম্যাগনেসিয়ামের মাত্রা অনেকটাই কম তাদের ফুসফুসের অবস্থা খুব একটা ভালো থাকে না।সেজন্য কুমড়োর বীজ, ডার্ক চকলেট, শাক এবং সালমন জাতীয় খাবার খেয়ে ম্যাগনেসিয়াম গ্রহণ বাড়ানো উচিত।

ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড

ওমেগা ৩ হ্যাপি অ্যাসি সমৃদ্ধ খাবার যথাক্রমে- সার্ডিন, সালমন, টুনা এছাড়াও কিছু উদ্ভিদ জাতীয় খাবার রয়েছে যেমন- বাদাম এবং ফ্ল্যাক্সিড আপনার খাদ্যের তালিকায় একটি অংশ হিসেবে থাকা উচিত। কেননা ওমেগা ৩ খ্যাটি এসিড সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া হাঁপানি রোগীদের তীব্রতা হ্রাস করতে সাহায্য করে।

আপেল

আপেলে রয়েছে ভিটামিন সি, ভিটামিন এ ও ম্যাগনেসিয়াম। যেটি অ্যাজমা উপশম করতে সাহায্য করে থাকে। সেজন্য আপেল হাঁপানির ঝুঁকি হ্রাস করে এর পাশাপাশি ফুসফুসের ক্রিয়াকে উন্নত করতে সাহায্য করে।

শেষ কথা । শ্বাসকষ্ট হলে কি খাওয়া যাবে না । শ্বাসকষ্ট হলে কি খেতে হয়

প্রিয় পাঠক, এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনি নিশ্চয়ই এতক্ষণে জেনে গেছেন শ্বাসকষ্ট হলে কি খাওয়া যাবে না এবং শ্বাসকষ্ট হলে কি খেতে হয়। তবে শেষ কথা হিসেবে আমি একটা কথাই আপনাকে বলতে চাই সেটা হল। আপনার যদি শ্বাসকষ্টের সমস্যা থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনি যত দ্রুত পারেন

চিকিৎসকের কাছে গিয়ে পরামর্শ নিয়ে চিকিৎসা করবেন। আশা করি এ পোস্টটি আপনার কাছে অনেক ভালো লেগেছে এবং এ পোস্টটি আপনার। তাই আর্টিকেলটি আপনার কাছে ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই আপনি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। আপনার মাধ্যমে আপনার বন্ধুরা জানতে পারবে শ্বাস কষ্ট হলে কি খেতে হয়

এবং শ্বাসকষ্ট হলে কি খাওয়া যাবে না। আর অবশ্যই আমাদের এই ওয়েবসাইটে নিয়মিত ভিজিট বা ফোলো করার চেষ্টা করবেন। কারণ আমরা এই ওয়েবসাইটে নিয়মিত নতুন নতুন ব্লক পোস্ট বা আর্টিকেল পাবলিশ করে থাকি। আসসালামু আলাইকুম।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সাগর ম্যাক্স এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url