উচ্চ রক্তচাপ কমানোর কৌশল কোনটি - উচ্চ রক্তচাপের প্রাথমিক চিকিৎসা কি

দাঁতের মাড়ির ব্যথা কমানোর উপায়প্রিয় পাঠক, আশা করি আপনি জানতে আগ্রহী উচ্চ রক্তচাপ কমানোর কৌশল কোনটি? এবং উচ্চ রক্তচাপের প্রাথমিক চিকিৎসা কি? এগুলো সম্পর্কে। আপনি তাহলে অবশ্যই সঠিক জায়গাতে এসেছেন, কেননা আমরা এই পোস্টের মাধ্যমে আপনাকে জানাবো উচ্চ রক্তচাপ কমানোর কৌশল কোনটি ও উচ্চ রক্তচাপ কমানোর উপায় কি এবং উচ্চ রক্তচাপের প্রাথমিক চিকিৎসা কি সে সম্পর্কে।
উচ্চ রক্তচাপ কমানোর কৌশল কোনটি - উচ্চ রক্তচাপের প্রাথমিক চিকিৎসা কি
তাই এই পোস্টটি আপনি অবশ্যই প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়বেন। আশা করি এই পোস্টটি আপনার অনেক উপকারে আসবে। তাহলে চলুন দেরি না করে উচ্চ রক্তচাপ কমানোর কৌশল কোনটি এবং উচ্চ রক্তচাপের প্রাথমিক চিকিৎসা কি তা সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে আসার চেষ্টা করি।
পোস্ট সূচিপত্রঃ উচ্চ রক্তচাপ কমানোর কৌশল কোনটি - উচ্চ রক্তচাপের প্রাথমিক চিকিৎসা কি

ভূমিকা | উচ্চ রক্তচাপ কমানোর কৌশল কোনটি | উচ্চ রক্তচাপের প্রাথমিক চিকিৎসা কি

আমাদের বাংলাদেশে প্রাপ্তবয়স্কদের প্রতি ৫ জনের মধ্যে একজন উচ্চ রক্তচাপ ধনিত সমস্যায় ভুগে থাকে। তাছাড়া বিশ্বজুড়ে উচ্চ রক্তচাপ একটি নীরব ঘাতক হিসেবে সবার কাছে পরিচিত। সারা বিশ্বে স্বাস্থ্য সংস্থা হিসেবে, উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভুগে থাকেন বিশ্বের প্রায় ১৬০ কোটি মানুষ। আর এই সমস্যার কারণে সারা বিশ্বের প্রায় ৮০ লক্ষ মানুষ প্রতি বছর মারা যাচ্ছে।
তাই আমরা এই পোস্টটির মাধ্যমে জানবো উচ্চ রক্তচাপ কমানোর কৌশল কোনটি? এবং উচ্চ রক্তচাপের প্রাথমিক চিকিৎসা কি?। এছাড়াও আমরা এই পোস্টটির মাধ্যমে জানবো উচ্চ রক্তচাপ কত?, তাৎক্ষণিক উচ্চ রক্তচাপ কমানোর ওষুধ, এবং উচ্চ রক্তচাপ কমানোর উপায় কি। আশা করি এ পোস্টটি সম্পন্ন করার মাধ্যমে আপনি এগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জানতে পারবেন। তবে চলুন উচ্চ রক্তচাপ কমানোর কৌশল কোনটি এবং উচ্চ রক্তচাপের প্রাথমিক চিকিৎসা কি তা সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জেনে নিন।

উচ্চ রক্তচাপ কত

আমরা পোস্টটির এই অংশে জানবো উচ্চ রক্তচাপ কত? উচ্চ রক্তচাপ ১৪৫/৯৫ এর বেশি হলে উচ্চ রক্তচাপ হিসেবে বিবেচিত করা হয়ে থাকে। হাই ব্লাড প্রেসার বা উচ্চ রক্তচাপের (বিপি) অপেক্ষা করা মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। সে ক্ষেত্রে আমাদের খারাপ লাইফস্টাইল উচ্চ রক্তচাপের জন্য অনেকটাই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।

সে জন্যই মূলত বিশেষজ্ঞরা উত্তর রক্তচাপে আক্রান্ত ব্যক্তিদের তাদের জীবনধারা উন্নত করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। তাছাড়া আমাদের স্বাভাবিক রক্তচাপ হলো ১২৫/৮৫ MMHG পর্যন্ত। এবং ১২৫ থেকে ১৪৫ সিস্টোলিক ও ৮৫ থেকে ৯৫ ডাইস্টলিকের মধ্যে রক্তচাপ প্রি হাইপারটেশন তাছাড়া মূলত একটি ব্যক্তির ১৪৫/৯৫ এর বেশি হয়ে গেলে উচ্চ রক্তচাপ হিসেবে বিবেচিত করা হয়।

সে ক্ষেত্রে বয়স অনুযায়ী এর পরিষদ পরিবর্তিত হয়ে থাকে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের প্রায় ৩৫ শতাংশ যুবকের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে। এরমধ্যে ৪০ শতাংশ শহর অঞ্চলে বসবাস করে এবং ৩০ শতাংশ গ্রাম এলাকায় বসবাস করে থাকেন। তাছাড়া আমরা অনেকেই হয়তোবা জানি না, মহিলাদের তুলনায় পুরুষদের উচ্চ রক্তচাপ হওয়ার সম্ভাবনা চার শতাংশ বেশি হয়ে থাকে।

উচ্চ রক্তচাপ কমানোর উপায় কি

আমরা এখন পোস্টটির এ অংশে জানবো, উচ্চ রক্তচাপ কমানোর উপায় কি? সে সম্পর্কে। আমাদের জীবন যাপনের পরিবর্তন তো ডাক্তারের পরামর্শে অষুধ খেলে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা অনেকটাই সহজ হয়ে যাবে। সেজন্য কয়েকটি বিষয় আপনাদের সামনে তুলে ধরলাম। এগুলো বিষয়ে মনোযোগী হতে পারেন।

প্রথমেই আপনার খাবারের দিকে নজর দিতে হবে

যতটুকু সম্ভব খাবারের লবণের পরিমাণ কমিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করুন। কারণ এই লবণের সোডিয়াম রক্তের জলীয় অংশ বাড়িয়ে দেয়। সেজন্য আমাদের রক্তের আয়তন ও চাপ বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

আপনাকে আপনার ওজনের দিকে খেয়াল রাখতে হবে

সব সময় চেষ্টা করুন আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণ রাখতে। কারণ আমাদের শরীরের ওজন অতিরিক্ত বেড়ে যাওয়ার ফলে, হৃদযন্ত্রের অতিরিক্ত পরিশ্রম হয়। সেজন্যই মূলত অতিরিক্ত ওজনের মানুষের মধ্যে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে।

যতটুকু সম্ভব মানুষের চাঁদ থেকে দূরে থাকো

কারণ দুশ্চিন্তা বা মানসিক চাপ, উত্তেজনা, রাগ এবং ভীতির কারণেও আমাদের রক্তচাপ সাময়িকভাবে বেড়ে যেতে পারে। সেজন্য দীর্ঘ সময় ধরে আপনি যদি মানসিক চাপ অব্যাহত রাখেন, তাহলে দীর্ঘ মেয়াদে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা তৈরি হতে পারে আপনার।

যতটুকু সম্ভব নিয়মিত ব্যায়াম করার চেষ্টা করুন

কারণ আমরা যদি নিয়মিত ব্যায়ামও শারীরিক পরিশ্রম করি তাহলে আমাদের হৃদপিণ্ড সবল থাকে, এবং আমাদের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয়। তার ফলে রক্ত চাপও অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে থাকে।

আপনার খাদ্য তালিকা থেকে খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করুন

কারণ মাখন, মাংস এমনকি তেলে ভাজা খাবার, এবং অতিরিক্ত চর্বি জাতীয় খাবার খাওয়ার মাধ্যমে আমাদের ওজন বৃদ্ধি হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেয়। তাছাড়াও দেহে অতিরিক্ত কোলেস্টোরেল যুক্ত খাবার খাওয়ার জন্য উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আমাদের রক্তনালীর দেয়াল মোটা ও শক্ত করে ফেলে, আমাদের রক্তে অতিরিক্ত কোলেস্টোরেল। সেজন্যও শরীরে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা দেখা দিতে পারে।

আপনাকে অবশ্যই ধূমপান ও মধ্য পান পরিহার করতে হবে

কারণ আমাদের শরীরে ধূমপান নানা ধরনের বিষাক্ত পদার্থের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। যার ফলে সিরা ও ধমনীর নানা ধরনের রোগ সহ হৃদয়রোগ দেখা দিয়ে থাকে।

উচ্চ রক্তচাপের প্রাথমিক চিকিৎসা কি

আমরা পোস্টটির এই অংশে জানব উচ্চ রক্তচাপের প্রাথমিক চিকিৎসা কি?। একটি সুস্থ ব্যক্তির হঠাৎ করে যদি রক্তচাপ বেড়ে যায় তাহলে তাকে অবশ্যই বিশ্রাম নিতে হবে। এইসব ক্ষেত্রে অনেকেই উচ্চ রক্তচাপ ব্যক্তির মাথায় পানি দিয়ে বা বরফ দিয়ে আরাম পেতে পারেন।এবং কেউ কেউ তেঁতুলের শরবত খেয়ে থাকেন।

আসলে প্রকৃতপক্ষে এগুলোর কখনোই রক্তচাপ কমানো সম্ভব নয়। সে ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। এবং প্রয়োজন হলে চিকিৎসাকি ওষুধ দিবেন। সেক্ষেত্রে যাদের আগে থেকেই উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা আছে, তাদের ক্ষেত্রে হঠাৎ করে রক্তচাপ বেড়ে গেলেও অস্থির হওয়ার কোন প্রয়োজন নেই, তাকে মূলত বিশ্রাম নেওয়া উচিত।

বরফ বা মাথায় পানি দিয়ে সাময়িক উপশম হলেও আপনাকে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। কিন্তু আপনি কখনোই নিজে থেকে উচ্চ রক্তচাপ কমানোর জন্য কোন ধরনের ওষুধ সেবন করবেন না।

তাৎক্ষনিক উচ্চ রক্তচাপ কমানোর ঔষধ

আমরা পোস্টের এই অংশে এখন জানবো তাৎক্ষণিক উচ্চ রক্তচাপ কমানোর ওষুধ সম্পর্কে।

তাৎক্ষণিক উচ্চ রক্তচাপ কমানোর ওষুধ

  • (ARB) অ্যাঞ্জিওটেনসিন রিসেপ্টর ব্লকার।
  • (থিায়জাইড  ডায়রিটিক্স) "জল" ট্যাবলেট।
  • ব্লকার-বিটা।
  • চ্যানেল ব্লগার-ক্যালসিয়াম।
  • (ACE) কনভার্টিং এনজাইম-অ্যাঞ্জিওটেনসিন ইনহিবিটার।

উচ্চ রক্তচাপ কমানোর কৌশল কোনটি

পুষ্টির এই অংশে আমরা এখন জানব, উচ্চ রক্তচাপ কমানোর কৌশল কোনটি?। আমাদের মধ্যে কারো যদি উচ্চ রক্তচাপ হয়। তারা মূলত এই বিষয়গুলো অবলম্বন করতে পারেন।
  • কমলা বা লেবুর রসের সঙ্গে অল্প পরিমাণে মধু মিশিয়ে খেতে পারেন।
  • কম চর্বিযুক্ত বা সয়াজাতীয় খাবার খান, শর্করার পরিবর্তে।
  • আপনার দৈনন্দিন খাবারে লবণের পরিমাণ কম রাখার চেষ্টা করুন।
  • আপনি বেশি বেশি করে  প্রতিদিন শাক-সবজি ও পটাশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খেতে পারেন।
  • আপনার যদি ঘুমের মধ্যে নাক ডাকার অভ্যাসটি থেকে থাকে তাহলে তা সরিয়ে ফেলার চেষ্টা করুন। কারণ এতে করে ঘুম কম হয় এবং উচ্চ রক্তচাপ বেড়ে যায়।
  • আপনি একটি জায়গায় উন্মুক্ত বাতাসে অন্তত পাঁচ থেকে দশ মিনিট ধীরে ধীরে শ্বাস নিন, এবং মেডিটেশন বা ইয়োগা করতে পারেন। তাছাড়া যদি সম্ভব হয় ঘুমিয়ে পড়ুন।
  • আমাদের শরীর থেকে উচ্চ রক্তচাপ কমিয়ে দেয় সাত থেকে আট ইউনিট পর্যন্ত, শুধুমাত্র আধাঘন্টা হালকা ব্যামের কারণে। সেজন্য আপনি যদি পারেন প্রতিদিন নিয়মিত ৩০ থেকে ৪৫ মিনিট ব্যায়াম করতে পারেন।

শেষ কথা | উচ্চ রক্তচাপ কমানোর কৌশল কোনটি | উচ্চ রক্তচাপ কমানোর উপায় কি

প্রিয় পাঠক, এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনি নিশ্চয়ই এতক্ষণে জেনে গেছেন, উচ্চ রক্তচাপ কমানোর কৌশল কোনটি এবং উচ্চ রক্তচাপের প্রাথমিক চিকিৎসা কি সম্পর্কে। আশা করি এ পোস্টটি আপনার অনেক উপকারে আসবে। তাই এই পোস্টটি আপনার কাছে ভালো লেগে থাকলে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন।

এবং এরকম বিভিন্ন ধরনের নতুন নতুন আর্টিকেল বা ব্লক পোস্ট নিয়মিত পেতে আমাদের সাথেই থাকুন, তাছাড়াও আমরা এই ওয়েবসাইটে প্রযুক্তি বিষয়ক বিভিন্ন পোস্ট বা আটিকের প্রকাশ করে থাকি। আসসালামু আলাইকুম।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সাগর ম্যাক্স এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url