আমার মন খারাপ হলে কি করব - মন নিয়ন্ত্রণ কিভাবে কাজ করে

মানসিক শান্তি বলতে কি বুঝায়প্রিয় পাঠক, আপনি নিশ্চয়ই জানতে চাচ্ছেন, আমার মন খারাপ হলে কি করব? এবং মন নিয়ন্ত্রণ কিভাবে কাজ করে?। সেজন্য আমরা এই পোস্টটির মাধ্যমে আপনাদেরকে জানাবো আমার মন খারাপ হলে কি করব ও ছোট ছোট বিষয় কষ্ট পাই কেন এবং মন নিয়ন্ত্রণ কিভাবে কাজ করে।
আমার মন খারাপ হলে কি করব
আশা করি এই পোস্টটি সম্পন্ন পড়ার মাধ্যমে আপনি এগুলো বিশ্বাস সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জানতে পারবেন। নিশ্চয়ই এই পোস্টটি আপনার অনেক উপকারে আসবে। এছাড়াও আপনি এই পোস্টটির মাধ্যমে জানতে পারবেন, আমরা কি আমাদের চিন্তার উপর নিয়ন্ত্রণ করতে পারি।
পোস্ট সূচিপত্রঃ আমার মন খারাপ হলে কি করব - মন নিয়ন্ত্রণ কিভাবে কাজ করে

ভূমিকা | আমার মন খারাপ হলে কি করব | মন নিয়ন্ত্রণ কিভাবে কাজ করে

কিছু কিছু সময় আমাদের মন হঠাৎ করে খারাপ হয়ে যায় না, এর কোন না কোন কারণ থাকে। হয়তোবা আমরা সচেতন ভাবে কোন কিছু বুঝে উঠতে পারি না। কিন্তু আমাদের অবচেতন মন খুব সহজেই সেটি বুঝতে পারে, তার ফলে আমাদের মন খারাপ হয়ে যায়। আমাদের অনেক বেশি মন খারাপ হয়, সেক্ষেত্রে আমাদের স্বাভাবিক কাজকর্মের ওপর তার অনেক প্রভাব পড়তে থাকে। সে ক্ষেত্রে আমাদের কোন ধরনের কাজে মন বসে না, এমনকি দেখা যায় অনেক ক্ষেত্রেই ভুল হওয়া সম্ভবনা।
যখন আমাদের মন খারাপ থাকে তখন যেই সিদ্ধান্তগুলি আমরা নিয়ে থাকি পরবর্তী জীবনের জন্য সেটি অনেক খারাপ হয়ে থাকে। কিন্তু আমাদের মন খারাপ থেকে ভালো করার উপর নিজেদের অনেক ধরনের নিয়ন্ত্রণ করার মাধ্যম রয়েছে। তাই আমরা এই পোস্টের মাধ্যমে আপনাদেরকে বিস্তারিত ভাবে জানানোর চেষ্টা করব। কিভাবে আপনার মন ভাল করবে। এটা জানতে হলে আমাদের এই পোস্টটি আপনাকে অবশ্যই পড়তে হবে।

আমাদের শরীর ও মন কিভাবে ভালো থাকে

আমাদের শরীর সুস্থ থাকার মানে শুধুমাত্র শারীরিকভাবেই নয়, মানসিকভাবেও ভালো থাকা। সেজন্য যখনই আমাদের মাঝে প্রসঙ্গ উঠবে, সেক্ষেত্রে শরীর এবং মনের যত্নের প্রতি মনোযোগী হবেন। সেজন্য আমাদের স্বাস্থ্যকর জীবন যাপনের মাধ্যমে অনেক কঠিন সুস্থ থাকার পথটি সহজ করে নিতে পারি আমরা।

শরীর যখন আমাদের ভালো থাকে তখন তার চিহ্ন থাকে মনে। এবং মন যখন আমাদের খারাপ থাকে তখন প্রভাব পড়ে শরীরে। সেজন্য অবশ্যই আমাদের শরীর ও মন সুস্থ রাখা সমানভাবে জরুরি। আমাদের মন কখনো খালি চোখে দেখা যায় না, কিন্তু না দেখা গেলেও তার যত্নের প্রতি উদাসীন থাকা যাবে না কখনোই।

আমরা হয়তোবা সকলেই জানি আজ আমাদের বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস। মূলত প্রতিবছরই এই দিনটিতে অর্থাৎ এপ্রিল মাসের ৭ তারিখে দিবসটি পালন করা হয়ে থাকে। এই দিবসটির পালনের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে আমাদের সকলকে স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন করা। আমাদের মধ্যে অনেকে আছেন যারা শরীরের প্রতি অনেক যত্নশীল হলেও মনের দিকে কখনোই গুরুত্ব দেয় না।

কিন্তু সব সময় একটা কথা মাথায় রাখতে হবে মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখা আমাদের অনেক জরুরি। এছাড়াও এই সম্পর্কে আমাদের সকলের জানা উচিত। সেজন্য নিজেদের বা কাছের কারো আত্মীয় র মানসিক সমস্যা দেখা দিলে যত দ্রুত সম্ভব হবে চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে, কেননা যেমনটা আমরা শারীরিকভাবে অসুস্থ হলে করে থাকি। সেজন্য আমরা নিজেকে কিছু উপাসম্পন্ন আপনাদের সামনে উল্লেখ করলাম। যেমনঃ

আমাদের শরীর  ও মনকে ভালো রাখার ৭ উপায়

  1. বেশি বেশি করে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন।
  2. কখনোই কোন বিষয় নিয়ে মানসিক চাপ নেবেন না।
  3. যতটুকু সম্ভব নিয়মিত শরীরচর্চার চেষ্টা করুন।
  4. সব সময় মনকে ভালো রাখার চেষ্টা করুন।
  5. যে যার ধর্মে বিশ্বাসী সেই ধর্ম অনুযায়ী প্রার্থনা করুন।
  6. সব সময় পরোপকার করার চেষ্টা করুন।
  7. বিশ্রাম নিন এবং সম্পন্ন পরিমাণে ঘুমান।

আমার মন খারাপ হলে কি করব

আমরা এতক্ষণ জানলাম আমাদের শরীর ও মন কিভাবে ভালো থাকে সে সম্পর্কে। এখন আমরা পোস্টটির এই অংশে জানবো আমার মন খারাপ হলে কি করব?। আগে সবার প্রথমে আমাদেরকে মন খারাপের বিষয়টি খুঁজে বের করার চেষ্টা করতে হবে। কেননা যদি ওই বিষয়টি চুপিচাপি রেখে দিই তাহলে কোন প্রকার লাভ হবে না, বরং মনটা ধীরে ধীরে আরো খারাপ হবে।

এছাড়াও নিজেকে হতাশা করে ফেলবে এবং ভিতর থেকে অবশ করে দিবে। তোমাদের মন বিভিন্ন কারণে খারাপ হতে পারে, যেমন ধরন, আমি যদি কোন মানুষের সাথে খারাপ ব্যবহার করি, ঝগড়া করি, কিন্তু কিছুক্ষণ পরে ঝগড়াটা শেষ হয়ে যায়। তার কিছুক্ষণ পর দেখি চারিদিকে নিরব কিন্তু যোগ হয় আমাদের মন খারাপ। প্রথমত অল্প থেকে শুরু হয় পরে অনেকটাই বেশি হয়ে যায়।

তারপরে দ্রুত আমরা তাকে সরি বলি, এমনকি স্বাভাবিকভাবে কোন কথা বলে পরিবেশটাকে হালকা করি। আবার ধরুন কেউ আমার সাথে খারাপ ব্যবহার করল, সেটার মাধ্যমে আমার মন অনেক খারাপ হয়ে গেল। তখন আমরা নিজেকে বোঝায় ও এরকমই। হয়তোবা আমরা ওর কাছে বেশি প্রত্যাশা করে ফেলেছি। আমি এতটা প্রত্যাশা না করলেও পারতাম। এবং তখনই আমরা নিজেকে কিছুটা সামলিয়ে নিতে পারি।

আমরা মূলত যখনই কিছু চেষ্টা করেও পাই না, তখন আমাদের প্রচন্ড মন খারাপ হয়ে থাকে। সেজন্য এই সমাধানটি মহান আল্লাহ তালাই দিয়েছেন। আল্লাহ তাআলা আমাদের জন্য যাই করুক না কেন সেটা আমাদের ভালোর জন্যই করেন। সেটা যে ১০০% সত্যি হয়তোবা আমরা প্রাথমিক অবস্থায় তা বুঝতে পারি না, কিন্তু কিছুদিন পর ঠিকই এ বিষয়টা আমরা বুঝতে পারি। তাছাড়াও বহুবিধ কারণে বা অকারণে আমাদের মন খারাপ হতে পারে।

যেমন কেউ যদি আমাদের বকা দেয় বা টিটকারি মারে, কিংবা শরীরটা যদি খারাপ থাকে বা কোন আত্মীয়-স্বজনের অসুস্থতার কথা শুনলে, নিজের শখের কোন জিনিস চুরি হয়ে গেলে, পার্সোনাল কোন জিনিস হারিয়ে গেলে, ফেসবুকের আইডি হ্যাক হয়ে গেলে পরীক্ষায় ভালো ফলাফল না পেলে বা ফেল করলে এমনকি পরীক্ষায় ভালো নম্বর না পাওয়ার কারণে মন খারাপ হয়ে থাকে, চাকরি না পাওয়ার আশায়,

ইন্টারভিউতে রিজেক্ট হয়ে গেলে, চাকরিতে প্রমোশন না হওয়ায়, বেতন না বাড়ায়, চাকরি করার মাধ্যমে বসের বকুনি খাওয়াই, বয়স থেকে অনেক ছোট হওয়ার পরেও সম্মান না করায়, এবং পছন্দের কোন জিনিস পত্র বা কাপড়চোপড় কিনতে না পারা ইত্যাদি ইত্যাদি। সেজন্য আমাদেরকে মন খারাপের কারণগুলো প্রিয়জনের সাথে শেয়ার করতে হবে তাহলে আমাদের মন অনেকটাই হালকা হয়ে যাবে।

এমনকি আপনার যদি কোন বাচ্চা থেকে থাকে তাহলে তার সাথে কিছুক্ষণ সময় কাটালে আপনার মন এমনিতেই ভালো হয়ে যাবে। তাছাড়াও আপনার পছন্দের সিনেমা কিংবা ইউটিউবে ভালো ভিডিও গান tiktok আপনার মন খারাপ করতে ব্যবহার করতে পারেন। এবার আপনাদেরকে বলব, এমন কিছু মন খারাপ আছে যেগুলো সহজেই দূর করা সম্ভব হয় না। যেটা থেকে মুক্ত পেতে গেলে আমাদের সময়ের হাতে ছেড়ে দিতে হয়।

যেমন ধরতে পারেন আপনার কাছের কেউ যদি মারা যায়। তাহলে সে ক্ষেত্রে আপনার অনেক মন খারাপ হতে পারে। সেক্ষেত্রে আপনি কিছুদিন সময়ের মাধ্যমে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারবেন। আশা করি পৃথিবীর সকল মানুষকে আল্লাহ তাআলা ভালো রাখুক। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এতক্ষণ পোষ্টির এ অংশটুকু পড়ার জন্য।

আমরা কি আমাদের চিন্তার উপর নিয়ন্ত্রণ করতে পারি

এতক্ষণ আমরা জানি আমার মন খারাপ হলে কি করব। এখন আমরা পোস্টের এই অংশে জানবো আমরা কি আমাদের চিন্তার ওপর নিয়ন্ত্রণ করতে পারি? সে সম্পর্ক। আমরা নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আপনাদের সামনে কিছু কথা বলতে চাই। এই নিয়ন্ত্রণটি মূলত নিজের আচার-আচরণ ও কর্মকাণ্ডের উপর এবং কথাবার্তার উপর নির্ভর করে থাকে।

আমাদের চারপাশে পরিচিত অপরিচিত মানুষের মধ্যে মূলত আজকাল যে ধরনের আচরণগুলো অনেক বেশি মাথায় চোখে পড়ে। তা হচ্ছে, ক্ষমাহীনতা, ধৈর্যহীনতা, পরিহাস, প্রতিহিংসা এবং আক্রমনাত্মক। বিশেষ করে বাড়িতে, স্কুল কলেজে, অফিস আদালতে, এমনকি বিশ্ববিদ্যালয় এবং রাস্তাঘাটে এই বিষয়গুলো যেন সব জায়গাতেই সমান রয়েছে।
কিন্তু আমাদেরকে একটা কথা মাথায় রাখতে হবে আমরা কেউ ফেরেস্তা নই। মূলত আমাদেরকে খারাপ ভালো নিয়েই চলতে হয়। সেজন্য কখনোই নিজেকে খুব একটা কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর চেষ্টা করবেন না। কেননা কম বেশি ভুল খারাপ আমরা সকলেই করে থাকি।

আপনি সবসময় খেয়াল রাখবেন আপনার মাধ্যমে যেন ভালো কাজটি বেশি হয়। সেক্ষেত্রে আস্তে আস্তে আপনার খারাপ কাজগুলো এমনিতেই কমে যাবে এবং একটা সময় আপনি আপনার চিন্তাভাবনার উপর নিয়ন্ত্রণ করতে শিখে যাবেন। আশা করি বিষয়টি সুন্দরভাবে বুঝতে পেরেছেন।

মন নিয়ন্ত্রণ কিভাবে কাজ করে

এতক্ষণ আমরা জানলাম আমরা কি আমাদের চিন্তার ওপর নিয়ন্ত্রণ করতে পারি। এখন আমরা পোষ্টের এই অংশে জানবো মন নিয়ন্ত্রণ কিভাবে কাজ করে? সে সম্পর্কে। আসলে এ প্রশ্নটি অনেক কঠিন, কেননা এই প্রশ্নটির উত্তর খুঁজে পাওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের মহা জ্ঞানী মানুষ দার্শনিকরা হাজারো বছর ধরে খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে।

আমাদের মন নিয়ন্ত্রণ কিভাবে কাজ করে, এমন প্রশ্ন মাঝে মধ্যে দেখা যায় আমাদের চারপাশে। আমাদের মন নিয়ন্ত্রণ অনেক ভাবে কাজ করে থাকে। যেমন ধরুন, একটি মানুষ যদি তার মনকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে, সে তার জীবনে যা চায় সেটা পেতে পারে। তাছাড়া আমাদের মন এমন ভাবে কাজ করে যা আমরা কখনোই কোন কিছুতে বুঝে উঠতে পারিনা।

একটা সময় দেখবেন আমাদের মন খারাপ হয়ে যায় আবার একটা সময় দেখবেন আমাদের মন অনেক ভালো হয়ে যায়। কেননা আমাদের চারিপাশের পরিবেশ থেকে আমাদের মন খারাপ হয় এবং ভালো হয়ে থাকে। আপনি যদি আপনার মনকে সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন তাহলে আপনার মন নিয়ন্ত্রণ কাজটি অনেক সহজ হয়ে যাবে।

যেমন ধরেন বালুর মাঠে কোনোভাবেই আপনি স্থির থাকেন না আপনার বল কে আপনি নিয়ন্ত্রণ করতে চাইলেও পারবেন না। বালুর মাঠে কখনোই ক্রিকেট খেলা সম্ভব হয় না। সে ক্ষেত্রে প্রাকৃতিক পরিবেশ ইতিবাচক পরিবেশ পেলেও আমাদের মন অনেক ক্ষেত্রেই দারুন ভাবে কাজ করে থাকে।

সেজন্য আমাদের মনকে তেমনি একটি পরিবেশে যদি আমরা নিয়ে যেতে পারি তাহলে আমরা আমাদের মনকে আরো বেশি নিয়ন্ত্রণ করতে পারব। সেক্ষেত্রে আমরা বিভিন্ন বইকে রেফারেন্স হিসেবে গ্রহণ করতে বলবো। কেননা আমরা যখন কোন বিপদে পড়ি তখন আমরা বিভিন্ন বইয়ের সহায়তা নিয়ে থাকি।

তাছাড়া যে কোনো বইয়ের সহায়তা নেওয়ার ক্ষেত্রে আমরা সেই পুরনো ধর্মগ্রন্থ গুলো সহায়তা যেমন নিতে পারি, তেমনভাবেই আধুনিক বিভিন্ন বই আছে যেগুলো সহায়তা নিতে পারি আমরা। দিনের শেষে বলা যায় মনকে এবং নিয়ন্ত্রণকে দারুন ভাবে এগিয়ে নিতে যাওয়া হচ্ছে আমাদের জীবনের আসল লক্ষ্য। আশা করি বিষয়টা সুন্দর ভাবে বুঝতে পেরেছেন।

ছোট ছোট বিষয়ে কষ্ট পাই কেন

আমরা এতক্ষণ জানলাম মন নিয়ন্ত্রণ কিভাবে কাজ করে। এখন আমরা পোষ্টের এই অংশে জানবো ছোট ছোট বিষয় কষ্ট পাই কেন? সে সম্পর্কে। আমরা হয়তোবা সকলেই ছোট ছোট বিষয় নিয়ে মন খারাপ করে থাকি। এর বড় একটি কারণ হলো আমরা হয়তোবা সংবেদনশীল

এবং নিজের সভ্য গন্ডির বাইরের মানুষদের বা জগতের বড় সমস্যা নিয়ে কখনোই চিন্তা ভাবনা করি না। বা এমনও হতে পারে আমাদের কোন উল্লেখযোগ্য শখের বিষয় নেই। আমরা হয়তো মনের ভেতর জমে থাকা ছোট ছোট দুঃখগুলো অন্যের সঙ্গে শেয়ার করি না। এমনও হতে পারে আমাদের কম হাসি হতাশার কারণ হয়ে পারে।

অনেক সময় দেখা যায় আমরা কেবল হাসি বলেই সুখী। তাই আমাদের এই সমস্যাগুলো থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য প্রথমে কমফরজন থেকে বা অভ্যস্ত জগত থেকে অনেকটাই বেরিয়ে আসতে হবে। এছাড়াও আপনি আমাদের নিম্নলিখিত কিছু কাজগুলো করার চেষ্টা করতে পারেন।
  • নিজেকে কখনোই ভিকটিম হিসেবে দেখানোর প্রবণতা তৈরি করবেন না।
  • আপনাকে নিয়তিবাদী দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টাতে হবে। এবং ভাবুন সব সমস্যার কোন না কোন যৌগিকও সুষ্ঠু সমাধান রয়েছে।
  • আপনি যদি পারেন তাহলে প্রতিদিন একটা সময় বাড়ির বাইরে প্রাকৃতিক পরিবেশে কাটাতে পারেন।
  • আপনার জীবনের দুঃখ কষ্ট ও অভাব এমন কি অভিযোগগুলোকে নিজের মধ্যে চাপিয়ে না রেখে আপনার ছেলেমেয়েদের সাথে বা বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে শেয়ার করার চেষ্টা করুন।
  • আপনার জীবনে যেটা ভালো লাগে যেমন গান শোনা ছবি আঁকা রোমান্টিক সিনেমা দেখা ইত্যাদি সংস্কৃতি উপভোগ করার চেষ্টা করুন। এইসব আপনার জীবন থেকে একঘেয়েমি কাটাতে অনেকটাই সহযোগিতা করবে।
  • আপনাকে নিয়ে কে কি বলল সেদিকে কখনোই গুরুত্ব দিবেন না। যতটুকু সম্ভব আপনার জীবনকে নিয়ে চিন্তা ভাবনা করার চেষ্টা করুন। কেননা আপনি বেশিরভাগ মানুষের জীবনে ক্ষুদ্র একটা সম্পর্কের বেশি কিছু না। কারণ সবাই আসলে নিজেকে নিয়ে বেশি ব্যস্ত থাকে।
  • আপনার যদি বই পড়ার অভ্যাস না থাকে তাহলে বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। কেননা বই পড়ার মাধ্যমে আপনার অনেকটাই মন হালকা করা সম্ভব হবে সেক্ষেত্রে যেই বইগুলো আপনি পড়তে পারেন সেগুলো হল যেমন গল্প, উপন্যাস, দর্শন, মনোবিজ্ঞান ও নৃবিবিজ্ঞান সম্পর্কিত।

শেষ কথা | আমার মন খারাপ হলে কি করব | আমাদের শরীর ও মন কিভাবে ভালো থাকে

প্রিয় পাঠক, এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনি নিশ্চয়ই এতক্ষণে জেনে গেছেন, আমার মন খারাপ হলে কি করব এবং মন নিয়ন্ত্রণ কিভাবে কাজ করে সে সম্পর্কে। আশা করি এ পোস্টটি আপনার অনেক উপকারে আসবে। তাই এই পোস্টটি আপনার কাছে ভালো লেগে থাকলে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন।
এবং এরকম বিভিন্ন ধরনের নতুন নতুন আর্টিকেল বা ব্লক পোস্ট নিয়মিত পেতে আমাদের সাথেই থাকুন, তাছাড়াও আমরা এই ওয়েবসাইটে প্রযুক্তি বিষয়ক বিভিন্ন পোস্ট বা আটিকের প্রকাশ করে থাকি। আসসালামু আলাইকুম।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সাগর ম্যাক্স এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url