লিচুর উপকারিতা ও অপকারিতা - লিচু কি খেলে ওজন বাড়ে

প্রিয় পাঠক, আপনি নিশ্চয়ই জানতে চাচ্ছেন লিচুর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে। তাহলে আপনি সঠিক জায়গাতেই এসেছেন। কারণ আমরা এই পোস্টের মাধ্যমে সুন্দরভাবে আলোচনা করার চেষ্টা করেছি লিচুর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে। শুধু তাই নয় লিচু খাওয়ার নিয়ম থেকে শুরু করে, নিজের আরো অন্যান্য বিষয়গুলো আপনার সামনে উপস্থাপন করার চেষ্টা করব।
লিচুর উপকারিতা ও অপকারিতা - লিচু কি খেলে ওজন বাড়ে
আমরা প্রত্যেকে লিচু খেতে খুবই পছন্দ করি, সেজন্য লিচুর উপকারিতা ও অপকারিতা বিষয়ে সকলেরই জানা উচিত। তাছাড়া লিচুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। আর লিচু পছন্দ করে না এমন মানুষ বাংলাদেশের খুঁজে পাওয়া প্রায় অসম্ভব। তাহলে চলুন দেরি না করে ঝটপট আমরা জেনে আসার চেষ্টা করি লিচুর উপকারিতা ও অপকারিতা বিষয়ে।
পোস্ট সূচীপত্র:

ভূমিকা | লিচুর উপকারিতা ও অপকারিতা | লিচু কি খেলে ওজন বাড়ে

আমাদের সকলেরই পছন্দের ফল হল লিচু। লিচুর অনেক গুনাগুন রয়েছে যা আমাদের শরীরে পুষ্টির চাহিদা মেটাতে পারে। গ্রীষ্মকালীন সিজনে অনেক বাগানের আমরা লিচু দেখতে পাই। অনেকে আছেন যারা বাড়ির আশেপাশে লিচুর গাছ লাগিয়ে লিচু খান। বিশেষ করে গ্রাম অঞ্চলগুলোতে লিচুর গাছ দেখা যায় বেশি। কেননা গ্রাম অঞ্চলগুলোতে লিচুর চাষ অনেকেই করে থাকেন।

আর বাংলাদেশের লিচুর চাহিদা এতটাই বেশি যে, ব্যাক্তিরা লিচুর চাষ করে তারাই লাভবান হয় প্রতি বছর। তাই বন্ধু আপনিও যদি লাভবান হতে চান লিচুর ব্যবসা করে তাহলে এখন থেকে শুরু করে দিন। যাইহোক আমরা অন্যদিকে না যাই যেহেতু আমরা এই পোস্টটিতে এসেছি লিচুর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানার জন্য। আমরা আজকে লিচু বিষয়ে বিভিন্ন অজানা তথ্য আপনাদের সামনে আলোচনা করব,

যেমন লিচু ফলে কি ভিটামিন আছে, নিচু খাওয়ার নিয়ম, লিচু কি খেলে ওজন বাড়ে, লিচুর উপকারিতা ও অপকারিতা এবং লিচু তে কি এসিড থাকে। তাহলে চলুন দেরি না করে এ সকল বিষয়ে আমরা জেনে আসার চেষ্টা করি। আশা করি এই পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে আপনি লিচু বিষয়ক অনেক তথ্য জানতে পারবেন এবং এ পোস্টটি আপনার অনেক উপকারে আসবে।

লিচু ফলে কি ভিটামিন আছে

লিচুফলে ২ ধরনের ভিটামিন রয়েছে এবং এর পাশাপাশি খনিজ রয়েছে ৪ ধরনের সেগুলো নিচে দেওয়া হল।

লিচু ফলের ভিটামিন

  1. ভিটামিন সি
  2. ক্যালসিয়াম

লিচু ফলের খনিজ

  1. ফলিক এসিড
  2. ম্যাগনেসিয়াম
  3. আয়রন
  4. ক্যালসিয়াম

আমাদের দৈনন্দিন জীবনের যে সকল পোস্টটি চাহিদা রয়েছে সেগুলো লিচু খুব সহজেই মেটাতে পারে। তাছাড়া গ্রীষ্মকালীন রসালো লিচু ফল খেতে যেমন সুস্বাদু তেমনি পুষ্টিগুণে ভরপুর। এছাড়াও অনেক রকমের গুনে ভরা লিচু ফল আমাদের শরীরে বিভিন্ন ভূমিকা রাখে। সেজন্য মৌসুমীর ফলগুলি যতটা সম্ভব, আমাদের সকলেরই খাওয়া উচিত।

লিচু খাওয়ার নিয়ম

লিচু ফলটি এমন একটি ফল যা সবাই পছন্দ করে খেতে। কিন্তু আপনি কি জানেন বিভিন্ন গবেষণায় এই লিচু খাওয়ার নিয়ম বলা হয়েছে। সকলেই জানি লিচু হল সিজনাল ফল। সেজন্যই মূলত প্রচুর পরিমাণে লিচু হাওয়ায় মস্তিষ্কে উত্তেজনা হওয়ার ঘটনা জানা গেছে। আবার এই লিচু একিউট এনকেফালাইটিস সিনড্রোম নামের এক জটিলতর সমস্যা দেখা দিতে পারে।

লিচু টক্সিসিটি কিংবা একিউট হাইপোগ্লায়সেমিক টক্সিক এনকেফালাইটিস হওয়ার কারণে প্রচুর পরিমাণে সমস্যা দেখা দিতে পারে। কিন্তু তাই বলে এই নয় যে লিচু ফল খেলেই রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যাবে বা মারা যাবেন। সেজন্য অনেক ধরনের গুজব বিভ্রান্তি এবং ভুল ধারণা পরবর্তীতে বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা হিসেবে সঠিক সমাধান জানাটাও আমাদের অনেকটাই জরুরী। ("litchi Chinensis") হচ্ছে লিচু ফলের বৈজ্ঞানিক নাম।

লিচু ফলে অল্প পরিমাণ টক্সিন থাকে, যেমন এমসিপিজি এবং হাইপোগ্লাইসন-এ ইত্যাদি। এগুলো মূলত আমাদের শরীরের গ্লুকোজ উৎপাদন ও চর্বি ভাঙতে বিশেষভাবে বাধার সৃষ্টি করে থাকেন। সেজন্য যারা রাতে খালি পেটে ঘুমিয়ে পড়ে এবং সকালে খালি পেটে উঠে লিচু খাই তাহলে ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। বিশেষ করে যে সমস্ত ব্যক্তিরা রোগা পাতলা কিংবা অপুষ্টির শিকার ও যাদের বয়স দুই থেকে ১০ বছরের মধ্যে এ সকল শিশুদেরও ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।

সেজন্য শিশুদের হঠাৎ করেই গ্লুকোজের অভাব দেখা দিতে পারে অভাবে শিশুদের শরীর হঠাৎ করে। তবে বৈজ্ঞানিকেরা কখনোই লিচু খেতে নিষেধ করেনি কিন্তু লিচু খাওয়ার কিছু নিয়ম-কানুন আছে সেগুলো অবলম্বন করে লিচু খেতে বলেছে। আমরা সকলে ই জানি লিচুতে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিগুণ রয়েছে। তাই বলে আপনি কখনোই সকালে খালি পেটে লিচু খাবেন না এটা আপনার সমস্যা দেখা দিতে পারে।

আর লিচু ফল খালি পেটে খাওয়া বিপদজনক বেশি শিশুদের ক্ষেত্রে। কেননা শিশুদের বিপাক ক্রিয়া সম্পূর্ণভাবে পরিপক্ক নয় সেজন্যই মূলত তাদের বেশি সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাছাড়াও আধা পাকা কিংবা আধা কাঁচা একেবারে গাছ থেকে পেড়ে খাওয়া ঠিক নয়। সে ক্ষেত্রে আপনি যদি ভরা পেটে কিংবা খাবারের পর ৬ থেকে ৭টি লিচু খান তাহলে আপনার শরীরে অনেক উপকার হবে, এটা জানা গেছে অনেক চিকিৎসকের কাছ থেকে।

এছাড়াও আপনি সবসময় খেয়াল রাখবেন আপনার শিশু যেন লিচুর খোসা গিলে না ফেলে। কারণ এতে করেও কি টিনাশক সহ বিভিন্ন বাঁদরের লালা গুলো লিচুর গায়ে থাকে। সেজন্য অবশ্যই বাচ্চাকে লিচু খাওয়ানোর আগে খুব সুন্দর ভাবে ছিলে নিবেন।

লিচু কি খেলে ওজন বাড়ে

বাংলাদেশে বসবাস করে লিচু পছন্দ করেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া প্রায় অসম্ভব। কারণ লিচু যেমন দেখতে সুন্দর তেমনি টসটসে এবং পুষ্টিগুনে ভরপুর। যখনই গ্রীষ্মকালের সিজন আসে তখনই লিচু বাগানে লাল লাল হয়ে ধরে থাকে প্রচুর লিচু দেখতে কতই না ভালো লাগে। মনে হয় টুক করে পেরে খেয়ে নিই। কিন্তু আমাদের মধ্যে অনেক মানুষ আছে যারা মোটা হওয়ার ভয়ে বা ওজন বৃদ্ধি পাওয়ার ভয়ে লিচু খান না।

তবে আপনি হয়তোবা জানেন না লিচু খেলে তো ওজন বাড়বে না বরং আপনারা যদি ওজন কমানোর ডায়েটে থাকেন তাহলে আপনার খাবারের তালিকায় লিচু রাখতে পারেন, তাতে করে আরো ভালো ফল পাবেন। অনেক পুষ্টিবিদদের কাছ থেকে জানা গেছে, এই লিচুফলে প্রচুর পরিমাণে পানি থাকে। এবং অন্যদিকে ক্যালরি এবং ফ্যাটের মাত্রা শুধুই নাম মাত্র। সেজন্যই মূলত,

আপনারা যারা ওজন কমানোর ডায়েটে রয়েছেন বা আছেন লিচু একটি আদর্শ ফল হবে আপনাদের জন্য। তাই আপনি যদি ওজন কমাতে চান তাহলে আপনার দৈনন্দিন খাবারের সঙ্গে লিচু রাখতে পারেন এছাড়াও লিচুকে বলা হয় খাদ্যগুণের আধার। লিচু ফল শুধু সুশান নয় ফলের সঙ্গে আমাদের শারীরিক গুনাগুনও রয়েছে প্রচুর পরিমাণে। তাছাড়া ভিটামিন সি এবং অ্যাসকরবিক এসিডে ভরপুর থাকায়,

আমাদের দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে থাকে। সেজন্য বন্ধু আপনাকে আমরা বলতে চাই কখনোই আপনি ওজন বাড়ার ভয়ে লিচু খাওয়া বন্ধ করবেন না। কারণ লিচু আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকার। লিচু খেলে কখনোই আপনার ওজন বাড়বে না বরং আপনার ডায়েটে লিচু রাখার মাধ্যমে ওজন কমাতে পারবেন। আশা করি বন্ধু বিষয়টি সুন্দরভাবে বুঝতে পেরেছেন।

লিচুর উপকারিতা ও অপকারিতা

আমরা সকলেই এতক্ষণে জেনে গেছি লিচু খাওয়া আমাদের জন্য অনেক ভালো। কিন্তু যে ফলের উপকারিতা রয়েছে সে বলে অপকারিতা থাকবে এটা স্বাভাবিক। সেজন্যই মূলত আমরা পোস্টের এই অংশে জানবো লিচুর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে। প্রত্যেকটি ব্যক্তিরই লিচুর উপকারিতা ও অপকারিতা জেনে রাখা উচিত। তাহলে চলুন দেরি না করে আমরা ঝটপট জেনে নিই লিচুর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে।

লিচুর উপকারিতা

  • নিজেতে রয়েছে ভিটামিন সি যা কমলা লেবুর তুলনায় ৪০% বেশি।
  • লিচু আমাদের চুল ও ত্বকের পুষ্টি বাড়িয়ে দেয়।
  • কিছু মস্তিষ্কের বিকাশ ঘটাতে বেশ কার্যকরী। তাছাড়াও লিচু আমাদের হার্ড ভালো রাখে এর পাশাপাশি স্ট্রোকের যুগেও কমিয়ে থাকে।
  • লিচুতে আছে রিবোফ্লাভিন এবং নিয়াসিন নামক ভিটামিন বি কমপ্লেক্স।
  • লিচু আমাদের শরীরের শক্তি বাড়িয়ে থাকে, কেননা লিচু শরীরে ফ্লুইডের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়।
  • আনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি এসিড থাকে লিচুতে।
  • লিচুতে রয়েছে কার্বোহাইড্রেট এবং ফাইবার যা আমাদের হজম শক্তি বাড়িয়ে থাকে।
  • লিচুতে রয়েছে ক্যালসিয়াম যা আমাদের চুল, ত্বক, হাড়, নখ, দাঁত ইত্যাদি ভালো রাখতে বেশ ভূমিকা রাখে।
  • লিচু আমাদের মানব দেহকে ক্যান্সার মুক্ত রাখতে সাহায্য করে। কারণ ক্যান্সার তৈরি কারি কোষকে ধ্বংস করতে পারে লিচু।
  • লিচু বিটা ক্যারোটিন সহ সকল প্রয়োজনীয় ভিটামিন শোষণে অনেকটাই সহযোগিতা করে।
  • লিচু বিটা ক্যারোটিন পর্যাপ্ত পরিমাণে আছে যা একটি গাজরের তুলনায় বেশি।
  • লিচুর ভিটামিন-এ, চোখ ওঠা, রাতকানা, চোখের কোণে ফুলে যাওয়া এবং চোখের লাল ভাব দূর করতে সাহায্য করে।
  • লিচুতে রয়েছে পটাশিয়াম ও খনিজ যা আমাদের হৃদয় রোগের ঝুঁকি কমে থাকে। এবং এর পাশাপাশি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ ও রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে।

লিচুর অপকারিতা

  • লিচুতে বিভিন্ন ধরনের প্রয়োজনীয় উপাদানের ঘাট রয়েছে, (যেমনঃ ক্যালসিয়াম, ফ্যাট এসিড, প্রোটিন নেই)সেজন্য অতিরিক্ত পরিমাণে লিচু খেলে তা আমাদের শরীরের স্বাভাবিক ব্যালেন্স নষ্ট করে ফেলে। তাই আমাদের সকলের উচিত পরিমিতভাবেই লিচু ফল খাওয়া।
  • ১০০ গ্রাম লিচুতে রয়েছে ৬৬ ক্যালোরি। , তাই অতিরিক্ত পরিমাণে লিচু খেলে যে পরিমাণ ক্যালরি জমা হয়ে থাকে তা যদি সঠিকভাবে ব্যবহার না করা হয় তাহলে শরীরের ওজন বৃদ্ধি পেতে পারে।
  • লিচু রক্তের গ্লুকোজ কমাতে বেশ সাহায্য করে থাকে। তাই যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে এবং যারা ওষুধের মাধ্যমে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করছেন তারা লিচু খাওয়ার সাবধানতা অবলম্বন করবেন।এমনিতেই ওষুধ আমাদের রক্তে গ্লুকোজ কমায়, এর সঙ্গে লিচু যদি আমাদের রক্তেগুলো খোঁজ কমায় তাহলে যে কোন সময় যে কোন বিপদ ঘটতে পারে। এবং ছোট বাচ্চাটা যদি লিচু গ্রহণ করে তাহলে অবশ্যই যেন ভরা পেটে গ্রহণ করে। খালি পেটে লিচু খেলে শিশুদের অনেক সমস্যা দেখা দিতে পারে।
  • আপনি যদি অতিরিক্ত পরিমাণে লিচু খান তবে অস্বাভাবিকভাবে রক্তচাপ কমে যেতে পারে।যেমন বুক ধরফর করা, মাথা ঘোরা, শ্বাসকষ্ট হওয়া, বমি বমি ভাব হওয়া ইত্যাদি।
  • যারা সার্জারি রোগী আছেন, তারা অল্প পরিমাণে লিচু খাওয়ার চেষ্টা করবেন, কারণ সার্জারির রোগীদের অতিরিক্ত পরিমাণে লিচু খাওয়ার অনেক ঝুঁকি রয়েছে। সেজন্য যারা সার্জারি করবেন ভাবছেন তারা অন্তত দুই সপ্তাহ আগে থেকেই লিচু খাওয়া থেকে বিরত থাকার চেষ্টা করবেন।
  • লিচু ফল একটি গরম ফল। তাই লিচু ফল গরম হওয়ায় অতিরিক্ত পরিমাণে লিচু খেলে আমাদের শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা ব্যালেন্স হারিয়ে ফেলে।ফলে মুখের ভেতরের ক্ষত হওয়া, নাক দিয়ে রক্ত পড়া এমনকি গলা ব্যথা হওয়ার সমস্যা দেখা দিতে পারে।বর্তমান সময়ে আমাদের দেশে আবহাওয়ার কারণে এ সকল সমস্যা হওয়ার ভয় বেশি থাকে।
  • আপনি যদি একটানা অতিরিক্ত পরিমাণে লিচু খান তাহলে আপনার ইমিউনিটি বেড়ে যাবে। এর সঙ্গে সঙ্গে আপনার বিভিন্ন ধরনের রোগের আশঙ্কা বেড়ে যাবে। যেমন হতে পারে, লপাস, রিউমাটয়েড আরর্থ্রাইটিস, মাল্টিপল স্ক্লেরসিস ইত্যাদি রোগগুলো থাকলে আরো বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।

লিচু তে কি অ্যাসিড থাকে

লিচুতে রয়েছে ক্যালসিয়াম, ভিটামিন-সি। তাছাড়াও লিচুতে থাকা অন্য খনিজ উপাদানগুলি যেমনঃ (আয়রন, ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম, ফলিক অ্যাসিড)। এই সমস্ত উপাদানগুলি লিচুতে প্রচুর পরিমাণে রয়েছে। সেজন্য আমাদের দৈনন্দিন পুষ্টি চাহিদা মেটাতে লিচু বেশ সাহায্য করে থাকে। সেজন্য আমাদের প্রত্যেকেরই উচিত মৌসুমী ফলগুলো সেবন করা। কিন্তু আপনি যদি অতিরিক্ত পরিমাণে লিচু খান তাহলে,

আপনার পেট খারাপ, সুগারের সমস্যা, ওজন বৃদ্ধি ইত্যাদি সমস্যা দেখা দিতে পারে। অনেক ব্যক্তিরই এলার্জির সমস্যা থাকে, তাই যাদের অ্যালার্জি সমস্যা রয়েছে তারা লিচু এড়িয়ে চলতে পারেন। সেজন্য নিয়ম মেনে পরিমান মত মৌসুমী ফল গুলো খেতে হবে আমাদের। প্রয়োজনে পুষ্টিবিদদের পরামর্শ অনুযায়ী মৌসুমী ফলগুলো খেতে পারেন। এতে করে আপনার ডায়েটের তালিকায় কতটা মৌসুমী ফল প্রয়োজন, তার সঠিক পরিমাণটি সুন্দরভাবে জানতে পারবেন।

শেষ কথা | লিচুর উপকারিতা ও অপকারিতা | লিচু কি খেলে ওজন বাড়ে

প্রিয় পাঠক, এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। শেষ কথাই আপনাকে এটাই আমরা বলতে চাই শুধু লিচু নয়। আপনি যে মৌসুমী ফলই খান না কেন অবশ্যই পরিমাণমতো খাওয়ার চেষ্টা করবেন। কারণ কোন ফলেই অতিরিক্ত খাওয়া ঠিক নয়। আমাদের স্বাস্থ্যের বিভিন্ন ধরনের ক্ষতি হতে পারে। তবে অবশ্যই লিচু খাওয়া আমাদের জন্য খুবই ভালো তবে সেটি নিয়ম অনুসারে খেলে।
আশা করি এই পোস্টটি আপনার কাছে ভালো লেগেছে। তাই যদি পোস্টটি ভালো লেগে থাকে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। আর নতুন নতুন ব্লক পোস্ট বা আর্টিকেল পেটে আমাদের সাথে থাকুন। কারণ আমরা এই ওয়েবসাইটে নিয়মিত পোস্ট পাবলিশ করে থাকে। আসসালামু আলাইকুম।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সাগর ম্যাক্স এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url