কারিগরি শিক্ষা কাকে বলে - কারিগরি শিক্ষার উপকারিতা

এফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে কি কি জানা দরকারপ্রিয় পাঠক, আপনি নিশ্চয় জানতে চাচ্ছেন, কারিগরি শিক্ষা কাকে বলে?। তাই আপনাকে আমরা এই পশ্চিম মাধ্যমে জানানোর চেষ্টা করব কারিগরি শিক্ষা কাকে বলে। এছাড়াও এ পোষ্টের মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন কারিগরি শিক্ষার উপকারিতা এবং কারিগরি বিষয়ক বিভিন্ন ধরনের অজানা তথ্য। কারিগরি শিক্ষা কাকে বলে এই বিষয়টি আমাদের সকলের জানা উচিত। একমাত্র কারিগরি শিক্ষার মাধ্যমে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব।
কারিগরি শিক্ষা কাকে বলে
কারিগরি শিক্ষা এমন একটি শিক্ষা যার মাধ্যমে আপনি আপনার স্কুল কলেজের জীবনেই ইলেকট্রনিক্স অনেক ধরনের জ্ঞান উপার্জন করতে পারবেন। তাই কথা না বাড়িয়ে কারিগরি শিক্ষা বিষয়ক অনেক অজানা তথ্য আমরা জানিয়েছি এই পোস্টের মাধ্যমে। তাহলে চলুন প্রথম থেকে আমরা শেষ পর্যন্ত এ পোস্টটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ি কারিগরি শিক্ষা কাকে বলে এটা ছাড়াও কারে করে বিষয়ে অন্যান্য অজানা তথ্যগুলো জানার চেষ্টা করি।
পোস্ট সূচিপত্রঃ কারিগরি শিক্ষা কাকে বলে - কারিগরি শিক্ষার উপকারিতা

ভূমিকা | কারিগরি শিক্ষা কাকে বলে | কারিগরি শিক্ষার উপকারিতা

কারিগরি শিক্ষা এমন একটি শিক্ষা, যার মাধ্যমে দেশের অর্থনীতি বৃদ্ধি করা সম্ভব। এমনকি দেশের বিভিন্ন কর্মস্থল নতুন ভাবে তৈরি করা সম্ভব। তাই আমাদের সকলকেই কারিগরের বিষয়ক অজানা তথ্য গুলো জেনে রাখা দরকার। একমাত্র কারিগরি শিক্ষায় পাড়ে দেশকে উন্নতির দিকে নিয়ে যেতে। তাই আজকে আমরাই পোস্টটি এমন ভাবে সাজিয়েছি, যেন আপনি এ পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে বুঝতে পারেন,
কারিগরি শিক্ষা কাকে বলে, বাংলাদেশের উন্নয়নে কারিগরি শিক্ষার ভূমিকা, কারিগরি শিক্ষার উদাহরণ, কারিগরি শিক্ষার গুরুত্ব, কারিগরি শিক্ষার উপকারিতা এবং কারিগরি শিক্ষা ব্যবস্থা। তবে চলুন দেরি না করে সকল বিষয় সম্পর্কে আমরা স্টেপ বাই স্টেপ জেনে আসার চেষ্টা করি। আশা করি এ পোস্টটি আপনার অনেক উপকারে আসবে।

কারিগরি শিক্ষা কাকে বলে

কারিগরি বা টেকনিক্যাল কথাটির অর্থ হচ্ছে শিল্প প্রণালীর দক্ষতা সম্পর্কিত। যার মাধ্যমে যার মাধ্যমে বাজে বিষয়ে শিক্ষার দ্বারা এই প্রণালীগত দক্ষতা বিকাশ ঘটানো হয়ে থাকে তাকেই মূলত কারিগরি বা টেকনিক্যাল শিক্ষা বলে। সুতরাং যে সকল শিক্ষা দ্বারা শিক্ষার্থীকে শিল্প, কৃষি, কলকারখানার যন্ত্রপাতি ব্যবহার

এবং বাণিজ্যের, জন্য বৈজ্ঞানিক প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়, সে সকল শিক্ষাকে কারিগরি শিক্ষা বলা হয়। যেমন কলকারখানার যন্ত্রপাতি পরিচালনার দক্ষতা কৃষি দক্ষতা অর্জন। এ সকল শিক্ষা ব্যবস্থা যেকোনো ব্যক্তির জীবন ও জীবিকা নির্বাসনের সাথে যুক্ত কারিগর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলি হচ্ছেঃ

  • পলিটেকনিক কলেজ
  • মেডিক্যাল কলেজ
  • জুনিয়র টেকনিক্যাল স্কুল
  • কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়
১৯৮৬ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে নিম্ন মাধ্যমিক স্তরে মোট ছাত্র সংখ্যা ২০ শতাংশ এর দশম শ্রেণীর পাশ করার পর ৫০ শতাংশ শিক্ষার্থী কারিগরি ও ব বৃওি শিক্ষা গ্রহণ করবে, (কমিশনের মতনুযায়ী)।

বাংলাদেশের উন্নয়নে কারিগরি শিক্ষার ভূমিকা

একটি দেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে কারিগরি শিক্ষা। নির্মাণের প্রতিটি ক্ষেত্রে সব সময় প্রযুক্তিবিদদের প্রয়োজন হয়। প্রযুক্তিবিদদের কারখানা, রাস্তা, সেতু, ভবন, বিমানবন্দর, খাল ইত্যাদি নির্মাণের প্রয়োজন হয়ে থাকে। তাই কোন দেশে যদি প্রযুক্তিগত জ্ঞান থাকে, তাহলে উন্নয়নের গতি নিঃসন্দেহে বৃদ্ধি পাবে। এবং আমাদের পদ্ধতি উৎপাদন, পর্যাপ্ত পরিমাণে ফসল ইত্যাদির জন্য নানা ধরনের প্রযুক্তি বিদ প্রয়োজন।

আরএসি বিভাগের ইন্সট্রাক্টর ওগো শালী মোঃ ইয়াসিন ভূঁইয়ার মতে, বর্তমান সময়ে বাংলাদেশে আয়তনের তুলনায় জনবহুল এই দেশে মানব সম্পদ উন্নয়নের মাধ্যমে সুখী সমৃদ্ধ, ক্ষুধা ও দারিদ্র মুক্ত দেশ গড়া এখন আমাদের স্বপ্ন নয়, বাস্তব। তিনি আরো বলেন, ২০৪১ সালে স্মার্ট বাংলাদেশ তৈরিতেই স্মার্ট স্বাস্থ্যসেবা, স্মার্ট ইউটিলিটিজ, স্মার্ট ট্রান্সপোর্টেশন, নগর প্রশাসন, কৃষি, জননিরাপত্তা, ইন্টারনেট কানেক্টিভিটি

এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে হবে। তিনি আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, রোবটিক্স, মাইক্রোচিপ ডিজাইনিং এন্ড ম্যানুফ্যাকচারিং এবং সাইবার সিকিউরিটি যুক্তির ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে মূল ইসলামভের চারটি অংশ স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট ইকোনমি, স্মার্ট গভার্নমেন্ট, জ্ঞান ভিত্তিক, বুদ্ধি ভিত্তিক এবং উদ্ভাবনী বাংলাদেশ হিসেবে সমাজের সকল শ্রেণীর অন্তর্ভুক্তির ওপর গুরুত্ব দেওয়ার আহবান জানিয়েছেন।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কারিগরি, প্রযুক্তি ও বিজ্ঞান নির্ভর বাংলাদেশ গড়ে তোলার যে ভিত্তি তিনি তৈরি করে গেছেন, মূলত সেই পথ ধরে ডিজিটাল বাংলাদেশ স্বপ্নদ্রষ্টা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণ করে বাংলাদেশকে এক অন্য উচ্চতায় নিয়ে যাচ্ছেন।

এছাড়াও দেশের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদদের কথা অনুযায়ী, কারিগরি শিক্ষার ওপর জোর দিয়ে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ অর্থনৈতিক উন্নতি লাভ করছে। মিড লেভেলের কারিগরি জনশক্তি যে দেশের কর্মক্ষেত্রে যত বেশি নিয়োজিত, মূলত সে দেশ তত বেশি উন্নতি করতে পারছে। একটি বেসরকারি সংস্থা পরিচালিত এক সমীক্ষায় দেখা যায়, অস্ট্রেলিয়া ও জাপান সহ বিভিন্ন উন্নত দেশ এবং সিঙ্গাপুর, হংকং, মালয়েশিয়া

কিংবা দক্ষিণ কোরিয়া সহ প্রায় সব দেশে কারিগরি ভাবে দক্ষ মিড লেভেলের জনশক্তির পরিমাণ মোট শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর শর্করা ৬০ থেকে ২০ ভাগের মধ্যে। আর এ সমস্ত দেশে জনপতি বার্ষিক মাথাপিছু গড়াই ৪০ হাজার থেকে ১৪ হাজার মার্কিন ডলার। সেক্ষেত্রে বলা যায়, বর্তমানে বিশ্ব এই প্রযুক্তির যুগে কারিগরি শিক্ষার কোন বিকল্প নেই বললেই চলে।সেজন্যই মূলত আমরা সকলেই আশা করছি, সরকার কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির পতি যথাযথ ব্যবস্থা নেবেন। তাহলে আমাদের বাংলাদেশের বৃহৎ বেকার যুবশক্তি গুলো কর্মের হাতিয়ার হয়ে উঠবে।

কারিগরি শিক্ষার উদাহরণ

কারিগরি শিক্ষায় এমন এক ধরনের শিক্ষা ব্যবস্থা, যা মানুষকে প্রস্তুত করে কারিগর টেকনিশিয়ান হিসাবে কিংবা বিভিন্ন কাজ যেমন ট্রেড অথবা ক্রাফটের কাজের জন্য। কারিগরি শিক্ষাকে কখনো কখনো ক্যারিয়ার শিক্ষা হিসেবে উল্লেখ করা হয়ে থাকে। কারিগরি মূলক বিদ্যালয় এক ধরনের শিক্ষামূলক প্রতিষ্ঠান। যা বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছে কারিগরি শিক্ষা প্রদানের জন্য।

কারিগরি শিক্ষার মাধ্যমে পরবর্তী, অন্যান্য শিক্ষা এবং উচ্চ শিক্ষায় স্তরে ইসলাম গ্রহণ করতে পারে, তাছাড়া এটি শিক্ষানবিশ পদ্ধতির সাথে সম্পর্ক রাখে। বিশিষ্ট ট্রেড কারিগরি বিদ্যালয়, ও কমিউনিটি কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয় এছাড়াও রয়েছে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের মাধ্যমে মাধ্যমিক পরবর্তী উত্তরের কারিগরি শিক্ষা প্রদান করা হয়। ঐতিহাসিকভাবে প্রায় সকল কারিগরি মূলক শিক্ষা শ্রেণীকক্ষে কিংবা কর্মক্ষেত্রের মধ্যে স্থান গ্রহণ করেছে,

এবং এর সাথে শিক্ষার্থীরা স্বীকৃতি অধ্যাপক বা প্রতিষ্ঠিত প্রসাদের কাছ থেকে দক্ষতা এবং ট্রেড তত্ত্ব লিখছে। বর্তমানে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অনলাইনে পরিশিক্ষা গ্রহণের জনপ্রিয়তা অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়াও প্রতিষ্ঠিত পেশাদারদের কাছ থেকে শিক্ষার্থীদের জন্য আগের তুলনায় অনেক ট্রেড দক্ষতা ও সাধারণ দক্ষতা অর্জন করা সহজ করা হয়েছে, আবার যারা ঐতিহ্যবাহী কারিগরি মূলক শিক্ষা কার্যক্রম থেকে অনেক দূরে বসবাস করে, তাদের ক্ষেত্রেও।
২০১৯ সালে বিশ্ব ব্যাংকের বিশ্ব উন্নয়ন প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ভবিষ্যতে কাজের জন্য সাধারণ এবং কারিগরি শিক্ষার মধ্যে বিশেষভাবে উচ্চতার শিক্ষায় সমন্বয়ে সুপারিশ করা হয়েছে, সুপ্রিয় শ্রমিকদের জন্য কিংবা শ্রম বাজারের পরিবর্তনের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করার জন্য, যেখানটাই প্রযুক্তি কর্ম-বর্ধমান গুরুত্বপূর্ণভাবে অনেক ভূমিকা পালন করছে।

কারিগরি শিক্ষার গুরুত্ব

আমরা সকলেই জানি বর্তমান সময়ে প্রযুক্তির ব্যবহার বিভিন্ন আল্লাহ সকলে জানে বর্তমান সময়ে প্রযুক্তির ব্যবহার অনেক, তাই প্রযুক্তির সান্নিধ্যে থেকে বাস্তবধর্মী এবং হাতে কলমে শিক্ষাকেই কারিগরি শিক্ষা বলা হয়। সুতরাং যে শিক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীকে তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি, শিল্প ও কলকারখানার যন্ত্রপাতি ব্যবহারের জন্য আধুনিক ও বৈজ্ঞানিক ভাবে যে সকল প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।

এছাড়াও আমাদের শ্রম বাজার কে আধুনিকায়নের মাধ্যমে দক্ষ শ্রমিকদের রূপান্তর এবং দেশের শিল্পায়নের পথে কারিগরি শিক্ষা অনেকটাই ভূমিকা পালন করে থাকে। বর্তমান সময়ে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের যুগে আমাদের বাংলাদেশের কারিগরি শিক্ষার গুরুত্ব অনেকটাই এতটাই বেশি যে ১০০ ভাগ কর্মস্থানে তার প্রমাণ। শুধু আমাদের বাংলাদেশের প্রয়োজন দক্ষ কারিগর এবং দক্ষ অপারেটর সবাইকে বিয়ে এমএ পাস করার কোন দরকার নেই।

কেননা এ সকল সার্টিফিকেট ধারীকে চাকরি দেওয়ার সুযোগ আমাদের বাংলাদেশে নেই। এছাড়া বিষয়ভিত্তিক প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত না হলে বিদেশেও চাকরির কোন উপকার সুযোগ নেই। প্রায় বর্তমান বিশ্বে চাকরির বাজারে উৎপাদনশীল খাতই সবচেয়ে বেশি সংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করে। বাংলাদেশ বর্তমানে উন্নয়ন বিনির মানে শিল্পায়নের ফলে নতুন নতুন শিল্পাঞ্চল গড়ে উঠেছে,

এবং তাদের বিনিয়োগ করছে পৃথিবীর ভারত বড় বড় পণ্য ও সেবা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। এইসব কারণেই আমাদের বাংলাদেশে বর্তমানে কারিগরি শিক্ষার গুরুত্ব প্রতিনিয়তই বেড়েই যাচ্ছে। সারা বিশ্বে আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থায় উন্নত দেশগুলি কারিগরি শিক্ষা অর্জনের মাধ্যমে উৎপাদন মূলক কাজের সাথে যুক্ত হয়ে দেশের উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি করছে এবং এর পাশাপাশি আধুনিক যন্ত্রপাতি এবং উপকরণ ব্যবহার ও কৌশল প্রয়োগ করে,

শিল্প এবং কৃষিতে বিপ্লব ঘটাচ্ছে। কারিগরি শিক্ষাটি একটি উৎপাদন ভিত্তিক শিক্ষা ব্যবস্থা, যায় একটি দেশে জাতীয় আয় বৃদ্ধিতে সহায়তা করে থাকে। তাছাড়া কারিগরি শিক্ষা শ্রমিকদের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির পরে এর পাশাপাশি শ্রমিক সহজেই দেশীয় ও আন্তর্জাতিক সোম বাজারে প্রবেশ করে দক্ষ জনশক্তি এবং বৈদেশিক মুদ্রা আহরণ বৃদ্ধি করে থাকে। সুতরাং কারিগরি শিক্ষা অর্জনের মাধ্যমে মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি পায়,

এবং প্রয়োজনীয় মূলধন অর্জন করে জীবনযাত্রা মান উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন করা সম্ভব হয়। এছাড়াও কারিগরি দক্ষতা বৃদ্ধি হওয়ার ফলে তিনি তার বিশাল জনগোষ্ঠীকে মানবসম্পদে রূপান্তর করে মানব সম্পদের রূপান্তর করে শিল্পায়নে ইউরোপের সাথে প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয়েছে। সে সঙ্গে দারিদ্র বিমোচনে, কর্মস্থানের সুযোগ সৃষ্টিতে, আন্ত কর্মস্থান, উদ্যোক্তা উন্নয়ন এবং উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিতে কারিগরি শিক্ষার গুরুত্ব অনেক বেশি। তাছাড়া কারিগরি শিক্ষা বিভিন্নভাবে একটি শিক্ষার্থীকে কর্মমুখী শিক্ষায় দক্ষ করে তুলতে সাহায্য করে থাকে।

কারিগরি শিক্ষার উপকারিতা

একটি দেশের উন্নয়ন সাধনে কারিগরি শিক্ষার অপকারিতা অনেক। বর্তমানে আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থায় উন্নত দেশগুলো কারিগরি শিক্ষা অর্জনের মধ্য দিয়ে উৎপাদনমূলক কাজের সাথে যুক্ত হয়ে দেশের উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধের পাশাপাশি, উপকরণ ব্যবহার। আধুনিক যন্ত্রপাতি। ও কৌশল প্রয়োগ করে শিল্প এবং কৃষিতে বিপ্লব ঘটাচ্ছে। একটি উৎপাদন ভিত্তিক শিক্ষাব্যবস্থা বলা যেতে পারে কারিগরি শিক্ষাকে। কারণ দেশের জাতীয় আয় বৃদ্ধিতে সহায়তা করে থাকে কারিগরি শিক্ষা।

এছাড়াও কারিগরি শিক্ষা শ্রমিকদের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করে থাকে, তাই শ্রমিক সহজেই দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক শ্রম বাজারে প্রবেশ করে দক্ষ জনশক্তি এবং বৈদেশিক মুদ্রা আয় বৃদ্ধি করে। আর কারিগরি শিক্ষা অর্জনের মাধ্যমে মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি পায়, এছাড়াও প্রয়োজনীয় মূলধন অর্জন করে জীবনযাত্রা মান উন্নয়ন এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন করা সম্ভব হয়ে থাকে।

তাছাড়া কারিগরি শিক্ষার মাধ্যমে দক্ষতা বৃদ্ধির চীন, তার বিশাল জনগোষ্ঠীকে (ঐঁসধহ ঈধঢ়রঃধষ) সুতরাং মানব সম্পদে রূপান্তর করে শিল্পায়নে ইউরোপের সাথে প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয়ে গেছে। কারিগরি শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম, কারণ কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টিতে, দারিদ্র বিমোচনে, উদ্যোক্তা উন্নয়নে ও আন্তকর্মসংস্থানে এবং উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিতে। এছাড়াও শিক্ষার্থীদেরকে কারিগরি শিক্ষা বিভিন্নভাবে কর্মমুখী শিক্ষায় দক্ষ করে তুলে।

কারিগরি শিক্ষার উপকারিতা এক নজরে
  • কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে
  • বেকারত্ব দূরীকরণে
  • দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে
  • দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে
  • আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে

কারিগরি শিক্ষা ব্যবস্থা

কারিগরি শিক্ষা ব্যবস্থা বলতে কারিগরি শিক্ষা এমন একটি শিক্ষাকে বোঝায়, জেটি শিক্ষার্থীদের নির্দিষ্ট শিল্প কিংবা পেশাগত ব্যস্ততার জন্য প্রস্তুত করে থাকে। এটি মেডিকেল এবং ইঞ্জিনিয়ারিং এর মত পেশাদার কোর্সের প্রচলিত ফর্মগুলোর পাশাপাশি একটি বিকল্প প্রস্তাব করে থাকে। এমন একটি ব্যক্তির জন্য যারা কোনো কারণে কিংবা অন্য কারণে পেশাদার কোর্সে ভর্তি হতে চান না বা করেন না,

কারিগরি শিক্ষা ব্যবহারিক জ্ঞান ও দক্ষতা সরবরাহকারী এমন প্রযুক্তি শিক্ষা হিসেবে পরিচিত, যে এটি সাধারণ শিক্ষার চেয়ে অনেকটাই আলাদা। আমরা যদি কারিগরি শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা বলতে চাই তবে, সময়ের সাথে সাথে দেশের সবকিছু পরিবর্তন গুলো ঘটে। তাই, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষার উদ্দেশ্য গুলো পরিবর্তিত হয়ে থাকে। সেজন্য বর্তমান সময়ের প্রয়োজন অনুসারে কারিগরি শিক্ষা,

কাজের অভিজ্ঞতা এবং বিজ্ঞান শিক্ষার উপর জোর দেওয়া অত্যন্ত জরুরি। অর্থাৎ শিক্ষার অভাবে শিক্ষার্থীরা দক্ষ হতে পারে না। দক্ষতা ব্যতীত আর্থিক ও ব্যবসা সাফল্য অর্জন করা যায় না কখনোই। এর জন্য প্রকৃত সম্পদের সমৃদ্ধ হয়েও আমাদের দেশে এখনো দরিদ্র। আমরা হয়তোবা এখনো জানিনা প্রাকৃতিক উপায় বলে কিভাবে এবং স্বাদ সরঞ্জামগুলো সঠিক ব্যবহার করতে হয়। শুধুমাত্র প্রযুক্তিগত, প্রযুক্তিবিদ এবং পেশাদার শিক্ষা আমাদের ইঞ্জিনিয়ার দেয়।

আমাদের বাংলাদেশে প্রচুর পরিমাণে প্রয়োজন। তাছাড়াও ভারতের বিশাল মানসম্পদ শক্তি তখনই উপকারী হতে পারবে, যখন সে শিক্ষার পরে কর্মসংস্থান অর্জন করতে সক্ষম হবে। তাই আমাদের সকলেরই অবশ্যই কারিগরি দক্ষতা অর্জন করা প্রয়োজন।

শেষ কথা | কারিগরি শিক্ষা কাকে বলে | কারিগরি শিক্ষার উপকারিতা

প্রিয় পাঠকগণ, আমরা এতক্ষন যা যা জানলাম সেগুলো হল, কারিগরি শিক্ষা কাকে বলে, বাংলাদেশের উন্নয়নে কারিগরি শিক্ষার ভূমিকা, কারিগরি শিক্ষার উদাহরণ, কারিগরি শিক্ষার গুরুত্ব, কারিগরি শিক্ষার উপকারিতা এবং কারিগরি শিক্ষা ব্যবস্থা। যেহেতু আমাদের বাংলাদেশটাকে উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে কারিগরি শিক্ষায় একমাত্র মূল চাবিকাঠি, সেহেতু আমাদের সকলকেই উক্ত বিষয় সম্পর্কে জেনে রাখা উচিত।
প্রিয় পাঠক, আসসালামু আলাইকুম। এতক্ষন আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আশা করি এই পোস্টটি আপনার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। এই পোস্টটি যদি আপনার কাছে ভালো লেগে থাকে, তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। আপনি নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন, কারণ আমরা এ ওয়েবসাইটে নিয়মিত বিভিন্ন তথ্যমূলক আর্টিকেল বা ব্লক পোস্ট পাবলিশ করে থাকি, আসসালামু আলাইকুম।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সাগর ম্যাক্স এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url